Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা, বাকিদের কত জানেন?

    Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা, বাকিদের কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী (Global Terrorist) দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) মাথার দাম ঘোষণা করল দুর্নীতি দমন শাখা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA) তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে ২৫ লক্ষ টাকা। তাঁর সাগরেদ ছোটা শাকিলের (Chhota Shakeel) খোঁজ দিতে পারলে ইনাম মিলবে ২০ লক্ষ টাকা। আর নগদ ১৫ লক্ষ করে টাকা করে দেওয়া হবে তিন সন্ত্রাসবাদী অনীশ ইব্রাহিম, জাভেদ চিকনা এবং টাইগার মেননের খোঁজ দিতে পারলে।

    ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় মুম্বই। ভারতের দাবি, ওই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী দাউদ পাকিস্তানে রয়েছেন বলে দাবি করে আসছে ভারত। যদিও দাউদ পাকিস্তানে নেই বলেই দাবি ইসলামাবাদের। এহেন দাউদকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এনআইয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম ও অন্য সন্ত্রাসবাদীরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba), জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) এবং আল কায়দার (Al Queda) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন : দাউদ ঘনিষ্ঠ ছোটা শাকিলের আত্মীয়কে গ্রেফতার করল এনআইএ

    গত বছরও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভারত বলেছিল, মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে রয়েছেন। দাউদ যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানিয়েছিল ভারত। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেডেড সন্ত্রাসবাদীর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। গত বছর এক বিবৃতিতে ভারত বলেছিল, ডি-কোম্পানি একটি সংগঠিত অপরাধ চক্র। এরা সোনা পাচার করে। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী এই ডি কোম্পানি। ধারাবাহিক ওই বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ২৫০ জন সাধারণ মানুষের। হানি হয়েছিল কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের ওই বিস্ফোরণে বিভিন্ন জায়গায় ১২টি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ধারাবাহিক ওই বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ৭০০জন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করে। তার পর থেকে তার খোঁজে হন্যে ভারতও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। শুক্রবার, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে এই বিশালকায় যুদ্ধজাহাজ উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

    নৌসেনায় আইএনএস বিক্রান্তের যুক্ত হওয়া অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier)। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা (Atmanirbhar Bharat) ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র ভারতে তৈরি হওয়া প্রথম বিমানবাহী রণতরী নয়। এটা এখনও পর্যন্ত ভারতে তৈরি হওয়া সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জটিল রণতরী। আইএনএস বিক্রান্ত নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ৪৩ হাজার টনের এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়বে নৌসেনার মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) আর্লি ওয়ার্নিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল হেলিকপ্টার। এছাড়াও, থাকবে দেশে তৈরি হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (HAL ALH)। পরবর্তীকালে, এই জাহাজের স্কি-জাম্প (Ski Jump) বা STOBAR ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। তার মধ্যে ১৭টি নীচের হ্যাঙ্গারে থাকবে ও বাকি ১৯টি ফ্লাইট ডেকে থাকবে।

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    আইএনএস বিক্রান্তের চালিকা শক্তি জোগায় চারটি এলএম-২৫০০ গ্যাস টার্বাইন। এই টার্বাইন থেকে ৯০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করে। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট (ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি)। স্বাভাবিক গতি ১৮ নট। এই গতিতে প্রায় একটানা ৭,৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে সক্ষম এই জাহাজ। জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক নৌসেনা কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজে যা পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে, তা দিয়ে অর্ধেক কোচি শহরের আলো জ্বালিয়ে রাখা যায়। জাহাজে ব্যবহৃত মোট তারের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার। জাহাজ নির্মাণে মোট ২১ হাজার ৫০০ টন দেশে তৈরি বিশেষ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এই পরিমাণ ইস্পাত তিনটে আইফেল টাওয়ারের সমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Delhi Firing: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    Delhi Firing: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকায় (Dumka) জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বছর ষোলোর এক কিশোরীকে। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের গুলিবিদ্ধ ষোড়শী। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ড নয়, দিল্লি (Delhi)।  

    প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুমকায় অঙ্কিতা সিং নামে এক নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে শাহরুখ হুসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বছর তেইশের শাহরুখ গভীর রাতে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে দেয় ওই কিশোরীর গায়ে। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাঁচির হাসপাতালে ২৮ অগাস্ট মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।

    এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিল্লির বছর ষোলোর ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জনৈক আমানত আলির। মিরাট থেকে এসে সে সঙ্গমবিহার এলাকায় ছিল। মাস ছয়েক আগে ওই কিশোরী বছর উনিশের আমানতের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে। পুলিশের দাবি, তার পরেই ওই কিশোরীকে খুনের ছক কষে ওই তরুণ। লক্ষ্য পূরণে সে পবন ও ববি নামে স্কুলছুট দুই যুবককে জোগাড় করে। পরে একজনকে সে ওই কিশোরীর বাড়িতে পাঠায়। জানালার কাচ ভেঙে সে ওই কিশোরীকে ভয়ও দেখায় বলে অভিযোগ। ২৫ অগাস্ট দুপুরে ওই কিশোরীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে একা পেয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, দুটো দেশীর পিস্তল এবং তিনটি কার্তুজ এবং বুলেটের খোল উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিন তরুণ তাড়া করছে ওই কিশোরীকে। কিন্তু কিশোরীর পালানোর কোনও উপায় ছিল না। কারণ তার আগেই তার কাঁধে লেগেছে গুলি। আতঙ্কিত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাত্রা হাসপাতালে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খালি গুলির খোল। পুলিশের দাবি, ঘটনার মূল চক্রী এই আমানত। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ধরতে মুজফফর নগর যায় পুলিশ। যদিও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়। সঙ্গমবিহার থেকে ধরা হয় ববি ও পবনকে। ত্রিলোকপুরী থেকে গ্রেফতার করা হয় আমানতকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sheikh Hasina in India: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    Sheikh Hasina in India: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে চারদিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় হবে, সংযোগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ। হাসিনার এই সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এছাড়া হাসিনা দিল্লি থাকার সময় তাঁর সঙ্গে ফোনালাপ সারবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

    আরও পড়ুন: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    এছাড়াও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টিও উঠে আসবে। সূত্র মতে, শেখ হাসিনা ভারতের কাছ থেকে নেপাল ও ভুটানে খাদ্যসামগ্রী, নানা পণ্য পাঠানোর অনুমতি চাইতে পারেন। এই সফরেই শেখ হাসিনার আজমের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই হবে হাসিনার প্রথম ভারত সফর। ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।   

    ভারত এবং বাংলাদেশ বহুক্ষেত্রে একই রকম। ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, জলবায়ু দুই দেশেই অনেকটা এক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে বড় ভূমিকা ছিল ভারতের। কিন্তু এই দুই দেশের সম্পর্কের ওঠানামাও চোখে পড়েছে বহুবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেষ বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন অনেকটাই উন্নত হয়েছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট, সন্ত্রাসবাদ এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই মূলত হাসিনার এই সফর। 

    আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    ৫৪টি নদী একই সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলে। এই নদীগুলোর মধ্যে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা উল্লেখযোগ্য। জলবন্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ৩৫ বছর ধরে বিরোধ চলছে। আশা করা হচ্ছে, হাসিনার এই সফরে খানিকটা হলেও সেই সমস্যার সমাধান হবে। সম্প্রতি দুই দেশ জল ভাগাভাগি করতে সাতটি নদী চিহ্নিত করেছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyrus Mistry: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট 

    Cyrus Mistry: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল গাড়ি। হঠাতই ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা। আর এক ধাক্কাতেই সব শেষ। মুম্বইয়ের পালঘরে ভয়ংকর গতির বলি হয়েছেন শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রি (Cyrus Mistry)। গাড়ি দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের ওয়ার্লি শ্মশানে। এদিকে, সাইরাস মিস্ত্রির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে (Cyrus Mistry Post Mortem Report) উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল টাটা গ্রুপের এই প্রাক্তন চেয়ারম্যানের তা জানতে সাত জনের একটি ফরেন্সিক টিম তদন্ত চালাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের? 

    ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত্যুর অন্যতম কারণ ত্রুটিপূর্ণ ব্রিজ। এছাড়াও তীব্র গতিতে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। সিট বেল্ট পরে ছিলেন না সাইরাস মিস্ত্রি। 

    ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়ি সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারায় ভয়ংকর ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। আর তাতেই মাথায় গুরুতর চোট পান সাইরাস মিস্ত্রি। যার জেরে তীব্র রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। পাশাপাশি বুক, ঘাড় এবং থাইতেও একাধিক হাড় ভেঙে যায় সাইরাসের। ফলে  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সাইরাসের মতো জাহাঙ্গির পাণ্ডোলেরও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে এবং মাথায় একাধিক অঙ্গে গুরুতর আঘাত ছিল ৷ চিকিৎসকদের দাবি, এরকম আঘাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়৷ 

    আরও পড়ুন: তীব্র গতি কাড়ল প্রাণ, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই যাওয়ার যে হাইওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ৯ মিনিটে ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল সাইরাস মিস্ত্রির ওই মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক অনিতা পাণ্ডোলে। এই মুহূর্তে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ও তাঁর স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা সিট বেল্ট পরে থাকলেও পিছনের আসনে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গির পাণ্ডোলে সিটবেল্ট পরেননি। চরম ঝাঁকুনির মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আহত হন পিছনের দু’জন যাত্রীই। এছাড়াও গাড়ির দ্রুতগতি এই ঘটনার মূল কারণ বলে জানিয়েছে পালঘর থানার পুলিশ। গাড়িটি একের পর এক সিগন্যাল ভেঙেছে বলেও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Muslim Population in West Bengal: সীমান্তে মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, কোন পথে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ?

    Muslim Population in West Bengal: সীমান্তে মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, কোন পথে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সীমান্ত (Bangladesh Border) বরাবর অঞ্চলে মুসলিম (muslim) জনসংখ্যা (population) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এই জনসংখ্যা বিস্ফোরণ  রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, মালদা টাউন, মুর্শিদাবাদ – শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই ফুটে উঠছে এই ছবি। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এখানে ডেরা বাঁধছে প্রচুর মুসলিম। নানান উপায়ে বর্ডার ক্রস করে তারা চলে আসছে এপারে। তারপর কয়েক বছর থাকার পর এখানকারই বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। কোণঠাসা হয়ে পড়ছে স্থানীয় হিন্দুরা। অনুপ্রবেশের (infiltration) ফলে বদলে যাচ্ছে এলাকায় এলাকায় জনসংখ্যার বাস্তব চিত্র (demography)।

    শুধু কোণঠাসা হয়ে পড়াই নয়, একসময় প্রাণের ভয়ে এখানকার হিন্দুরা চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কোনও নিরাপদ স্থানে। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্যে বাধ্য হয়েই নিজভূমে তাঁরা পরবাসী হয়ে যাচ্ছেন। উদ্বাস্তু হয়ে আসা মুসলিমরা প্রথমে ভাগচাষী হয়ে কাজ শুরু করছে। অনেকে কাজ নিচ্ছে হিন্দু বাড়িতে। তারপর তিন চার বছর যাওয়ার পর অন্য মূর্তি ধারণ করছে । সংখ্যাধিক্যের সুযোগ নিয়ে মনিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে কসুর করছে না তারা । অশান্তির জেরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে অনেক হিন্দু পরিবার।  এমনকি জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে নিজেদের বাস্তু ভিটে, চাষের জমি। 

    এভাবেই ডেমোগ্রাফি (demography) বা জনসংখ্যার স্ট্যাটিসটিক্স বদলে গেছে ঝাড়খন্ডের ৫ জেলায়। গত তিন দশক ধরে সেখানে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে নজিরবিহীন ভাবে। একই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেও। সেখানে ১৬টি জেলার ডেমোগ্রাফি বদলে গেছে। জনসংখ্যার নিরিখে বিহারের ৮টি জেলায় মুসলিম আধিক্য বেশি হয়ে গেছে। আর অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এরাজ্যের ১৪টি জেলায় অনুপ্রবেশের ফলে জনসংখ্যার পরিসংখ্যান বদলে গেছে। এবং ধীরে ধীরে এই সব এলাকা নানা দেশদ্রোহী  কার্যকলাপের (jihad) আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠছে।   

    আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    বাংলাদেশ লাগোয়া এরাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার বহু গ্রামে এখন মুসলিমদের বাস ৭০ শতাংশ। হিন্দুরা সেখানে মাত্র তিরিশ শতাংশ। গ্রামে বসবাস করলেও অনেক মুসলিমই বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন। সেখানে তৈরি হয়েছে প্রচুর মাদ্রাসা, নার্সিং ও ফার্মা কলেজ। বাংলাদেশ লাগোয়া এই ঝাঁ চকচকে প্রতিষ্ঠানগুলির দিকে তাকালে তাক লেগে যাবে। কোথা থেকে এত টাকা আসছে, তা নিয়ে নজরদারি নেই প্রশাসনের। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত লাগোয়া এইসব স্থানে পুলিশ-প্রশাসনেও মুসলিম আধিক্য বেশি। ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রশাসনের একটা গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ উঠছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এমনকি বেশ কিছু মাদ্রাসায় অবৈধ কাজকর্ম চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

    এই সব এলাকা থেকে প্রতি বছর ৫০ জন যুবক সৌদি আরবে ধর্মীয় পাঠ পড়তে যান। বেশিরভাগই ইমাম বা বুখারি হয়ে ফিরে আসেন। এখানে মাদ্রাসায় তাঁরা শিক্ষকতা করেন। প্রচার করেন তাঁদের ভাবনা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে টাকা আসে। টাকা আসে সৌদি আরব থেকে। আবার সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধাও ভোগ করে এই মাদ্রাসাগুলি। 
    এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে, মেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞান পড়ার ঝোঁক বাড়লেও, মুসলিম যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। 

    এই উগ্র মৌলবাদী চিন্তাধারা এখানকার অনেক যুবককেই ঠেলে দিচ্ছে দেশদ্রোহিতার পথে। তারা যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে তারা। এই মৌলবাদী ভাবধারার পাশাপাশি এক শ্রেণির মুসলিম আটকে আছেন তাঁদের সাবেকি চিন্তাধারা নিয়ে।  অনেক মুসলিমই এখানে দু-তিনটি বিয়ে করেছেন। তাঁদের বহু সন্তান। এক মুসলিম তো বলেই ফেললেন, তাঁদের সমাজে কম সন্তান হওয়া মানে গুণাহ বা অপরাধ। মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানাচ্ছেন, এটাই তাঁদের রীতি। ফলে আধুনিক চিন্তাধারা এখানে পৌঁছচ্ছে না। বরং বেশ কিছু মাদ্রাসায় যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই ধ্যান ধারণা তৈরি হচ্ছে  স্থানীয়দের মধ্যে। এভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সাহায্য আসছে আরব সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। নিঃশব্দেই বাড়ছে মুসলিম আধিপত্য। আর ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছেন সীমান্ত লাগোয়া বসবাসকারী অসংখ্য হিন্দু পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Sharing Treaty) স্বাক্ষরিত হয়নি। তবে মঙ্গলবার মোদি (PM Modi)-হাসিনা (PM Hasina) বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর (Kushiyara River) জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি। যে চুক্তির ফলে লাভবান হবে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দুই দেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি সমস্যাও যে দ্রুত মিটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এদিন ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) দুই দেশের মধ্যে সাতটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উন্মোচন করেছেন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ইউনিট-১এর আবরণ। তাঁরা ৫.১৩ কিমি দীর্ঘ রূপসা রেল ব্রিজেরও উদ্বোধন করেন। এদিনের আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার আবহে এদিন আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

     

     

    আরও পড়ুন :হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মোদিও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়েও। কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিয়েও। এবং অবশ্যই পোক্ত করতে হবে আমাদের অর্থনীতির ভিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি বন্যা নিয়ন্ত্রণে। রিয়েল টাইম ডেটা শেয়ার করেছি। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দুই দেশকেই অনেক প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সর্ব বৃহৎ ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক পার্টনারও। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina) চাইছেন তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Treaty) স্বাক্ষরিত হোক দ্রুত। হাসিনা চাইলেও, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পা ফেলতে হচ্ছে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাই এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না ভারত।

    ভারত ও তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৫৪টি নদী। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তাও। এই তিস্তা ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। তিস্তার উৎপত্তি সিকিমে। সেখানে থেকে এই নদী পশ্চিমবাংলার উত্তরাংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত তিস্তার ৫৫ শতাংশ জল দাবি করে। আর বাংলাদেশ যা জল পায়, দাবি করছে তার চেয়েও বেশি। এখানেই মূল সমস্যা।

    তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের দড়ি টানাটানি চলছে সেই ১৯৮৩ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য দুই দেশের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিস্তার জলের ৪২.৫ শতাংশে অধিকার ভারতের। আর ৩৭.৫ শতাংশের অধিকার বাংলাদেশের। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ, চুক্তির বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ উদ্যোগী হলেও, এই চুক্তির বিরোধিতা করেন মমতা। প্রত্যাশিতভাবেই দিনের আলো দেখেনি বহু আকাঙ্খিত তিস্তা চুক্তি।

    আরও পড়ুন : জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    শুখা মরশুমে তিস্তার জলের ৫০ শতাংশ দাবি করে বাংলাদেশ। কারণ এই সময় সে দেশে জলের জোগান খুবই কমে যায়। মার খায় সে দেশের বিস্তীর্ণ অংশের চাষবাস। তাই বাংলাদেশ চায় দ্রুত রূপায়িত হোক তিস্তা চুক্তি। তবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রূপায়িত করার ক্ষেত্রে ভারতের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পশ্চিমবাংলার অভিযোগ, তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছে না রাজ্য। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে বেশি জল দেওয়া হলে শুখা মরশুমে বিপাকে পড়বেন এ রাজ্যের কৃষকদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তি ফেরাতে রাজি নন। সেই কারণেই এখনই যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না, তা বলাই যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nasal Vaccine: ডিসিজিআই- এর আপৎকালীন অনুমোদন পেল ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন

    Nasal Vaccine: ডিসিজিআই- এর আপৎকালীন অনুমোদন পেল ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) তরফ থেকে ব্যবহারের আপৎকালীন অনুমতি পেল ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন (Intranasal Vaccine)। এই টিকা কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘বিগ বুস্ট’ বলে অভিহিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Manviya)। এই প্রথম কোনও ন্যাজাল-ভ্যাকসিনের প্রয়োগে ছাড়পত্র মিলল ভারতে। 

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    একটি ট্যুইট করে তিনি বলেন, “কোভিড যুদ্ধের বিরুদ্ধে ভারতের বড় সাফল্য। ডিসিজিএ- র অনুমোদনপ্রাপ্ত ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাজাল টিকা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কোভিড ১৯- এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হবে এই টিকা।” 

    তিনি আরও বলেন, “এর ফলে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি বাড়বে দেশের। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজ্ঞানে অনেক উন্নতি করেছে ভারত। বিজ্ঞান দিয়েই আমরা মহামারীকে আটকাবো।”

    আরও পড়ুন: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    তিনি আরও বলেন, “বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রয়োজন দেশের মানুষের সদিচ্ছা। একমাত্র তাহলেই করোনা মহামারিকে হারানো সম্ভব। 

     

    ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের প্রধান সংক্রমণের জায়গা নাক, যেহেতু নাক দিয়েই এই ভাইরাস মূলত শরীরে প্রবেশ করে। এই নাকের টিকা নাকে প্রতিরোধ শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে এবং কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করবে। তারা আরও জানিয়েছে যে, এই টিকা খুব সহজে নিজে থেকেই নাকের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। তাই আলাদা করে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রয়োজন হবে না বলেও সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jammu & kashmir: কাশ্মীরের কিশতওয়ার থেকে গ্রেফতার পাক মৌলবী গুপ্তচর

    Jammu & kashmir: কাশ্মীরের কিশতওয়ার থেকে গ্রেফতার পাক মৌলবী গুপ্তচর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আবারও এক বড় সাফল্য অর্জন করল ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কিশতওয়ারে (Kishatwar)  এক পাক গুপ্তচরকে (Cleric) গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। ধৃতের নাম আব্দুল ওয়াহিদ। মৌলবীর ছদ্মবেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত সে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশতওয়ার পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ তথ্যের সূত্রে আব্দুল ওয়াহিদ (Abdul Wahid) নামের সেই মৌলবীকে গ্রেফতার করা হয়েছি। ওই মৌলবী চের্গী ডুলের বাসিন্দা। সে পাকিস্তানের এক গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।

    জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সী মৌলবী আব্দুল ওয়াহিদ পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন কাশ্মীরি ফোর্সের হয়ে কাজ করত। তার কাজ ছিল কিশতওয়ার থেকে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানে পাঠানো।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    সূত্র থেকে আরও জানা যায়, আব্দুল ওয়াহিদ কিশতওয়ারের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে এবং স্থানীয় একটি মসজিদে মৌলবি হিসেবে কাজ করে। রাজৌরি আর্মি ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলার পর থেকে, কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছে, সেই খবর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এরপর এই তদন্তের সময়ই, এটি সামনে এসেছিল যে পাকিস্তানের কেউ কিশতওয়ারে বসে কাশ্মীরি বাহিনীর সদস্যদের সামরিক ক্যাম্প, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশের পথগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাচার করছে। এরপর সেনাবাহিনী যখন কিশতওয়ারে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে, তখন মৌলবী আব্দুল ওয়াহিদকে তারা খুঁজে পায়। তখনই জানা যায়, মৌলবী কিশতওয়ারে সেনা মোতায়েন, তাদের ক্যাম্প ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পর সেনাবাহিনী মৌলবী আব্দুল ওয়াহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াহিদ স্বীকার করেছে যে সে কিশতওয়ারে বসে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন কাশ্মীরি ফোর্সের হয়ে কাজ করে। এছাড়া সে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে সেনাবাহিনী সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যও দিয়ে আসছিলেন। ওয়াহিদ বলেছে যে তিনি কিশতওয়ারে নিযুক্ত সেনা সদস্যদের মোতায়েন, তাদের অফিসারদের ছবি এবং তাদের প্রতিদিনের যাতায়াত সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া পাকিস্তান থেকে কিশতওয়ারে অনুপ্রবেশের পথ কী কী হতে পারে সে সম্পর্কেও তথ্য দিচ্ছিল।

    তবে আবদুল ওয়াহিদ অতীতে কিশতওয়ারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টায় জড়িত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী। সব তথ্য সংগ্রহের পর ওই মৌলবীকে আদালতে হাজির করে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেবে সেনাবাহিনী। আব্দুল ওয়াহিদকে গ্রেফতার করার পর, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার পর কিশতওয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share