Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Satyendra Jain: জেল সুপারের সঙ্গে খোশ গল্প করছেন আপের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র?

    Satyendra Jain: জেল সুপারের সঙ্গে খোশ গল্প করছেন আপের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের কুঠুরির মধ্যে বসে ম্যাসেজ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেখা গিয়েছে বাইরে থেকে আনা খাবার খেতেও। এবার তাঁকে দেখা গেল জেল আধিকারিকদের সঙ্গে বসে খোশগল্প করতে। তিনি সত্যন্দ্র জৈন (Satyendra Jain)। দিল্লির আম আদমি পার্টি (AAP) সরকারের মন্ত্রী। তিহার জেলের এই ভিডিও প্রক্যাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত, আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আম আদমি পার্টি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে।

    ভাইরাল ভিডিও…

    সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ১২ সেপ্টেম্বরের। ঘটনাটি রাত আটটা নাগাদ ঘটেছে। মিনিট দশেকের ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, তিহার জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতে বন্দি আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র (Satyendra Jain) তিন ব্যক্তির সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করছেন। এর কিছুক্ষণ পরে সত্যন্দ্রর কাছে আসতে দেখা যায় তিহার জেলের সুপার অজিত কুমারকে। সুপার সত্যন্দ্রর কুঠুরিতে ঢুকতেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় বাকিদের। এর আগে সত্যেন্দ্রর আরও একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটি ১৯ নভেম্বরের। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করছেন এক ব্যক্তি। ধোপদুরস্ত বিছানায় আয়েশ করে বসে রয়েছেন আপ সরকারের মন্ত্রী। আর তাঁর বিছানায় বসে তাঁর পা মালিশ করে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    এই দুই ভিডিওর মাঝে আসে আরও একটি ভিডিও ফুটেজ। সেটি ২৩ নভেম্বরের। তাতে দেখা যায়, তিহার জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে বসেই ফল, স্যালাড খাচ্ছেন আপ সরকারের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র (Satyendra Jain)। প্লাস্টিকের একটি বাক্স থেকে খাবারও খেতে দেখা যায় তাঁকে। সত্যেন্দ্রর ফোনে মেসেজ আসতেও দেখা গিয়েছিল আগেই। কোনও এক সঙ্গীর সঙ্গে চ্যাট করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ সবের কোনওটাই জেলের ভিতরে করা যায় না।

    সত্যেন্দ্রর (Satyendra Jain) পা মালিশের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সাফাই গাইতে শুরু করে আপ। তারা জানায়, সত্যেন্দ্রর ফিজিওথেরাপি হচ্ছিল। যদিও পরে জানা যায়, যিনি সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করছিলেন, তিনি আদতে কোনও ফিজিওথেরাপিস্টই নন। তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত। নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বন্দি রয়েছেন তিহার জেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (Mumbai Attack) আজ ১৪তম বছর। ২৬/১১-য় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu), বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নকভি-সহ বহু নেতারা। 

    নিহতদের স্মরণে ট্যুইট

    ২০০৮ সালে আজকের দিনেই দেশের বাণিজ্য নগরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার ১০ জঙ্গি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা-গুলি ও বন্দুক নিয়ে নাশকতা চালায়। প্রাণ হারান ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন। জখম হন ৩০০-র বেশি মানুষ। বিশ্বের বহু দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

    মুম্বই হামলার এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর। কিন্তু, তার ভয়বহতা এখনও পিছু ছাড়েনি। সেই দিন যাঁরা ডিউটিতে থাকাকালীন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘সেদিন আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে গোটা দেশ। তাঁদের পরিবারের অশেষ যন্ত্রণা আমরা অনুভব করতে পারি। বীরত্বের সঙ্গে যে সব নিরাপত্তারক্ষী লড়াই করেছিলেন এবং কর্তব্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের সম্মান জানায় গোটা দেশ।’

    ট্যুইটারে বিদেশমন্ত্রী লিখলেন, ‘মানবতার পক্ষে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। আজ ২৬/১১-য় নিহতদের স্মরণে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও তদারকি করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গোটা বিশ্বে যারা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন, এটা তাঁদের কাছে আমাদের ঋণ।’

    ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দিতে তিনি লেখেন, “মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলায় নিরীহ নাগরিকদের হারায় দেশ। আমাদের সাহসী জওয়ানরা প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তাঁদের প্রাণ হারান। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই। যাঁরা কাছের মানুষকে হারানোর মতো অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”

     

     

     

  • Amit Shah: ”২০০২ সালে দাঙ্গাবাজরা শিক্ষা পেয়েছিল, রাজ্যে শান্তি এনেছে বিজেপি”, গুজরাটে শাহ

    Amit Shah: ”২০০২ সালে দাঙ্গাবাজরা শিক্ষা পেয়েছিল, রাজ্যে শান্তি এনেছে বিজেপি”, গুজরাটে শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা গুজরাটে (Gujarat) সাম্প্রদায়িক হিংসা বাঁধিয়েছিল, তারা উপযুক্ত শিক্ষা পেয়েছে। নিজের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার খেদা জেলার মহুদা শহরে দলের তরফে আয়োজিত এক নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘দাঙ্গাবাজ’দের এমন শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল যে আজ বাইশ বছর রাজ্যে বিরাজ করছে শান্তি।

    কংগ্রেসের আমলে…

    এদিনের সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, কংগ্রেসের আমলে (১৯৯৫ সালের আগে) গুজরাটে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটত আকছার। কংগ্রেস প্রায়ই বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বর্ণের লোকজনকে উত্তেজিত করত। তার জেরে তারা প্রায়ই নিজেদের মধ্যে হিংসায় জড়িয়ে পড়ত। তিনি বলেন, এভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা লাগিয়ে কংগ্রেস নিজের ভোটব্যাঙ্ক শক্ত করেছে। অবিচার করেছে সমাজের একটা বড় অংশের প্রতি।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারুচে অনেক সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। কারফিউ, হিংসাও হয়েছে। বিশৃঙ্খলার কারণে গুজরাটে উন্নয়নের কোনও জায়গা ছিল না। ২০০২ সালে তারা সাম্প্রদায়িক হিংসায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিল…। আমরা তাদের শিক্ষা দিয়েছি। আমরা তাদের জেলে ঢুকিয়েছি। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাইশ বছর হয়ে গিয়েছে, আমরা একবারও কারফিউ জারি করিনি। বিজেপি এমন একটি রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ করেছে, যেখানে ঘন ঘন সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটে টানা তিনদিন ধরে চলে হিংসার ঘটনা। ওই ঘটনায় হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ওই সময় গোধরায় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রেন। সেই ট্রেনের একটি কামরায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫৯ জনের।

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?

    গুজরাট হিংসায় নাম জড়িয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময় তিনি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তবে হিংসার দায় থেকে মুক্ত হয়েছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকেও ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একটি মামলায় তাঁর অব্যাহতির বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন হবে দু দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ৫ তারিখে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। টানা আড়াই দশক ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shraddha Walkar: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Shraddha Walkar: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা সুবিচার নিশ্চিত করবে।” তিনি আরও জানান, “গোটা ঘটনার উপরে আমার নজর রয়েছে। আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, যে ব্যক্তিই এই ঘৃণ্য কাজ করুক, আইনের সাহায্যে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। সঠিক বিচার যাতে হয়, তা নিশ্চিত করবে আদালত, দিল্লি পুলিশ ও বিচারব্যবস্থা।”

    দিল্লি ও মুম্বই পুলিশের যৌথ তদন্ত 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ মিলিতভাবে শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলার তদন্ত করছে। দিল্লি ও মুম্বই পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় সম্প্রতিই যে চিঠিটি এসেছে, তাতে দিল্লি পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। শ্রদ্ধা ওয়ালকার মহারাষ্ট্রের একটি থানায় ওই চিঠিটি জমা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন আফতাব হয়তো তাঁকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলবে। সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ওই বিষয় নিয়েও তদন্ত করা হবে। ওই সময় আমরা সরকারে ছিলাম না…এই ঘটনায় যেই-ই দায়ী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাবকে। সূত্রের খবর, গতকাল আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে হত্যার কথা। পাশাপাশি সামনে এসেছে মুম্বাইয়ের ভাসাই থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু তখন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আর এই প্রসঙ্গ তুলে মহারাষ্ট্র সরকারকে তোপ দেগেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন অমিত শাহ রীতিমতো কড়া ভাষায় বলেন, ”শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, তাঁকে টুকরো করে ফেলবেন তাঁর প্রেমিক। তবুও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এর দায় যাঁর, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” 

    শ্রদ্ধার চিঠি

    ২০২০ সালে শ্রদ্ধা তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার নামে মহারাষ্ট্র পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, আফতাব তাঁকে মাঝেমধ্যেই মারধর করে। এমনকী কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলার হুমকিও দেয়। সেইসময় দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি। তখন দু’জনে মহারাষ্ট্রের ভেসাইয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেই বছরই ২৩ নভেম্বর পুলিশকে এই চিঠিটি লিখেছিলেন শ্রদ্ধা। যার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছিল অত্যাচার, মারধরের কথা। উল্লেখ্য, মুম্বই বিজেপির প্রধান আশীষ শেলারও ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকার তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে চিঠি লিখে যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তা নিয়ে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।

  • Tantrik kills Couple: উদয়পুরে সুপারগ্লু ঢেলে মিলনরত যুগলকে খুন তান্ত্রিকের

    Tantrik kills Couple: উদয়পুরে সুপারগ্লু ঢেলে মিলনরত যুগলকে খুন তান্ত্রিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশ (Tantrik kills Couple)। প্রতিদিনই প্রায় খুনের খবর সামনে আসছে। আগের দিনের ভয়ঙ্করতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে পরের দিনের ঘটনা। এ যেন এক ভয়ঙ্করতার প্রতযোগীতা। দিল্লি- উত্তরপ্রদেশের পর এবার রাজস্থানের এক হত্যার ঘটনায় শিউরে উঠল গোটা দেশ। প্রতিশোধ নিতে এক তান্ত্রিক সুপারগ্লু ঢেলে দিল এক মিলনরত যুগলের ওপর। এখানেই থেমে না থেকে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে এবং কুপিয়ে খুন করে ওই তান্ত্রিক। 

    কী ঘটেছিল

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাহুল মিনা (৩২) এবং সোনু কুঁয়ার (৩১) নামের দুই যুবক যুবতী। দুজনেই আলাদা-আলাদা জায়গায় বিবাহিত ছিলেন। দুই পরিবারেরই আস্থা ছিল ভালেশ কুমার নামের এক তান্ত্রিকের ওপর। গত সাত-আট বছর ধরে ৫৫ বছর বয়সি ওই তান্ত্রিক ভাদাবি গুদা এলাকার ইচ্ছাপূর্না শেষনাগ ভাবজি মন্দিরের বাসিন্দা। সেখানেই আলাপ হয় যুগলের (Tantrik kills Couple)। তারপরেই সম্পর্ক।

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা  

    যুবক যুবতীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল তান্ত্রিক (Tantrik kills Couple)। পরিবারের লোকজনকে সে কথা জানিয়ে দিতেই তাকে শ্লীলতাহানির মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন যুবতী। এরপরেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এক জঙ্গলে রাহুল এবং সোনুকে ডেকে পাঠায় ভালেশ। সমস্যার সমধান করার নামে যুবক-যুবতীকে তার সামনেই যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বলে। তাঁরা সঙ্গমে লিপ্ত হলে  তাদের উপর আঠা ঢেলে গলা কেটে কুপিয়ে যুগলকে খুন করে ওই তান্ত্রিক।  

    ভালেশ দুজনকে এমন ভাবেই খুন করার পরিকল্পনা করে, যাতে খুনের পর সকলে অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে যায়। তাতে তার উপর সন্দেহ হবে না বলে মনে করেছিল সে। সেই মতোই সে দোকান থেকে ৫০ টিউব সুপারগ্লু কিনে আনে। তারপর সমস্ত আঠা একটা বোতলে ঢেলে রাখে ভালেশ (Tantrik kills Couple)। এরপরেই পরিকল্পনার মতো সঙ্গমরত দম্পতির ওপর বোতল থেকে সুপারগ্লু ঢেলে দেয় সে। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক কাজ হয় না। কিন্তু আঠায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর রাহুল এবং সোনু পরস্পরের থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন। আর তা করতে গিয়েই তাঁদের চামড়া ছিঁড়ে উঠে আসতে শুরু করে। রাহুলের যৌনাঙ্গ তাঁর দেহ থেকে ছিঁড়ে চলে আসে। সোনুরও গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। 

    সেই সময়ই বিপদ বুঝে রাহলের গলার নলি কেটে দেয় ভালেশ (Tantrik kills Couple)। সোনুকেও কুপিয়ে খুন করে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ নভেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল ভালেশ। আর তাতেই রাহুলের স্ত্রীকে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরে সে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

    তবে এই কাজের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলেও দাবি করেছেন তান্ত্রিক (Tantrik kills Couple)। তাঁর কথায়, “আমি ভুল করেছি। এর জন্য আমার শাস্তিই পাওয়া উচিৎ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gujarat Election: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    Gujarat Election: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাত-সহ (Gujarat Election) গোটা দেশকে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুজরাত নির্বাচনের প্রচারমঞ্চ থেকে এভাবেই তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামনেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। গুজরাতে নির্বাচনের জন্য জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি। গুজরাটে নির্বাচন যখন কড়া নাড়ছে, সেই সময় রাহুল গান্ধীদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার গুজরাতের মেহসানার একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুজরাত-সহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস আসলে স্বজনপ্রীতি, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির মডেল।”

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত ২০ বছরে গুজরাত অনেক বদলেছে। গুজরাত (Gujarat Election) যে আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হয়েছিল, তা বর্তমান প্রজন্ম জানেই না। এই প্রজন্ম অভাব দেখেনি। এই প্রজন্ম যাতে অভাব না দেখে, সে জন্য আগের প্রজন্ম কঠোর পরিশ্রম করেছে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (Gujarat Election) বলেন, “কংগ্রেস দেশকে ধ্বংস করেছে। তাই আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। বিজেপি এমন পক্ষপাতিত্ব ও বৈষম্যের নীতিকে কখনোই সমর্থন করেনি। এই কারণে তরুণরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছে। কংগ্রেস সবসময় জনগণকে দরিদ্র বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল যাতে তারা সরকারের উপর নির্ভরশীল থাকে।” প্রচারমঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “তরুণরা আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপির নীতি ভবিষ্যতে তাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করবে।”

    আর কী বললেন মোদি? 

    কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে পুলিশের গুলিতে যুবকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক নিহত হয়েছিলেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সেই সময় খরা সাধারণ ঘটনা ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে আমরা গুজরাতকে (Gujarat Election) সমৃদ্ধির পথে নিয়ে এসেছি। অতীতে, ভোটের সময় জল এবং বিদ্যুৎ প্রধান সমস্যা ছিল। এই বিষয়গুলিতে কথা বলি না কারণ এই জাতীয় সমস্যাগুলি আমাদের দ্বারা সমাধান করা হয়। কংগ্রেসের শাসনকালে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে জনগণকে ঘুষ দিতে হত। পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য, আমরা নতুন ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন এবং ট্রান্সফরমার স্থাপন করে বিদ্যুৎ খাতে সংস্কার শুরু করেছি। দুই দশক আগে মাত্র ৫ লক্ষ কৃষি সংযোগ থেকে, গুজরাতে এখন এই ধরনের ২০ লক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।”

    উল্লেখ্য, ১৮২ টি আসনের গুজরাত নির্বাচন (Gujarat Election) এখন জাতীয় রাজনীতিতে হট কেক। তবে শুধু কংগ্রেস নয় গুজরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে আম আদমি পার্টিও। এবারের গুজরাত  বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কোন দল হাসবে শেষ হাসি, এখন তাই দেখার পালা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

  • Delhi Murder: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    Delhi Murder: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার রেশ এখনও কাটেনি। ফের এক মর্মান্তিক ঘটনার (Delhi Murder) সাক্ষী হল রাজধানী দিল্লি। মাদকে নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে রিহ্যাব কেন্দ্রে গিয়েছিল এক যুবক। বাড়ি ফেরার পরদিনই মাদকাশক্ত অবস্থায় গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল সে। বাড়িতেই বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। খুন করার পর পালানোর চেষ্টা করলে আত্মীয়ারা যুবককে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের বয়স ২৫ বছর। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম কেশব। মাদকের নেশায় পড়াশোনা ভুলেছিল সে। চাকরিতেও ছিল অনীহা। তা এই সর্বনাশা নেশা থেকে ছেলেকে মুক্ত করতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে এসেছিল তার পরিবার। সোমবারই রিহ্যাব সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরে কেশব। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা বাধে তার। জানা গিয়েছে, মাদক দ্রব্য কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল যুবক। যা দিতে অস্বীকার করে বাড়ির লোকেরা। এর পরেই একে একে বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে খুন করে সে।

    চিৎকার শুনে পুলিশকে ফোন করেন প্রতিবেশী 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক আসক্তির জন্যেই দীপাবলির সময় চাকরি খোয়া যায় যুবকের। খুনের সময়ও নেশাগ্রস্ত ছিল সে। ওই অবস্থায় ঠাকুমা দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দিনেশ কুমার (৫০), মা দর্শনা (৪২) ও বোন উর্বশীকে (১৮) নৃশংস ভাবে হত্যা করে সে। দিনেশ ও দর্শনার দেহ পুলিশ উদ্ধার করে বাথরুম থেকে। অন্য একটি ঘরে ছিল দিওয়ানা দেবী ও উর্বশীর দেহ। খুনের পর পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। যদিও আত্মীয়-প্রতিবেশীরা যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাদের কাছে ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, পাশের বাড়ি থেকে আর্তচিৎকার শোনা যাচ্ছে একাধিক মানুষের। হয়তো সেখানে ভয়ঙ্কর কোনও ঘটনা ঘটেছে। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান গোটা ঘর রক্তে ভাসছে, চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশকে দেখতে পেয়েই অভিযুক্ত যুবক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

     

  • Ravindra Jadeja Wife: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?  

    Ravindra Jadeja Wife: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো। উনি আমাকে রাজনীতিতে আসাতেও সমর্থন করেছেন। সম্প্রতি একথা বললেন রিভাবা জাদেজা। গুজরাটের (Gujarat) জামনগর উত্তর কেন্দ্রে এবার বিজেপির তুরুপের তাস রিভাবা। তিনি রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী (Ravindra Jadeja Wife)। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জাদেজা সম্পর্কে একথা বলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী।  

    গুজরাট নির্বাচন…

    ডিসেম্বরে দু দফায় হবে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ডিসেম্বরের ১ তারিখে। পরের দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ৫ তারিখে। দু দফায় ভোট হবে গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনেই। দিন কয়েক আগে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। সেখানেই দেখা যায় জামনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন জাদেজা ঘরণী। ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন রিভাবা। এবার তাঁকে টিকিট দিয়েছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রিভাবা (Ravindra Jadeja Wife) বলেন, আমার স্বামী আমার কাছে বুস্টার ডোজের মতো। তিনি আমাকে সব সময় মোটিভেট করেন। তিনি আমাকে সব সময় সামনে এগিয়ে চলতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, বিয়ে মানে হল স্বামী-স্ত্রী সব সময় একে অপরের পাশে থাকবেন। কথায় বলে, প্রতিটি সফল পুরুষের পিছনে থাকেন এক নারী। জাদেজা ঘরণী বলেন, একইভাবে প্রতিটি সফল নারীর পিছনে থাকেন তাঁর স্বামী এবং ভাই।

    আরও পড়ুন:অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    রিভাবা (Ravindra Jadeja Wife) বলেন, এটা আমার কাছে একটি আবেগঘন মুহুর্ত, যখন আমি নমিনেশন ফাইল করতে গিয়েছি, আর পাশে রয়েছেন আমার স্বামী। তিনি বলেন, আমি অন্য দম্পতিদের বলতে চাই যে কোনও নারী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন বিয়ের পরেও, যদি স্বামীরা তাঁদের নিরন্তর সমর্থন জোগান।

    এদিকে, মঙ্গলবার স্ত্রী রিভাবার সমর্থনে গুজরাটের জামনগর শহরে বিজেপি আয়োজিত এক রোড শোয়ে যোগ দেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজা। ক্রিকেটার এবং তাঁর রাজনীতিক স্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দুপাশে নামে মানুষের ঢল। বিজেপি আয়োজিত এই রোড শোয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাদেজার বহু সমর্থক এবং ফ্যানরাও। রোড শো চলাকালীন অটোগ্রাফ দিতেও দেখা গিয়েছে জাদেজাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Assam Meghalaya Border: অসম-মেঘালয় সীমান্তে মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৬, বন্ধ ইন্টারনেট

    Assam Meghalaya Border: অসম-মেঘালয় সীমান্তে মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৬, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি কাঠ পাচারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত অসম-মেঘালয় সীমান্ত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর রাতে পশ্চিম জয়ন্তীয়া পাহাড়ের অসম-মেঘালয় সীমান্তে অসম পুলিশের গুলিতে যে ছয়জন মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন মেঘালয়ের বাসিন্দা ও একজন অসমের বনরক্ষী। সেখানে গতকাল থেকে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে সতর্কতা হিসেবে মেঘালয়ের ৭ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। যে গ্রামে ওই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে সেই মুকরো গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    এরপরে এই ঘটনা এখানেই সীমিত থাকে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ অসমের নম্বর প্লেট লাগানো এক এসইউভি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কিছু দুষ্কৃতি। এই ঘটনার পরেই সেখানে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। গাড়িটি পুরোপুরি ভাবে পুড়ে গিয়েছে। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা নিয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে।

    গতকাল ঠিক কী ঘটেছিল?

    অসমের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার পুলিশ সুপার ইমদাদ আলি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে বন দফতরের আধিকারিকরা অবৈধ কাঠ পরিবহনকারী একটি ট্রাককে আটক করে। মুকরো গ্রামে থেকে ওই ট্রাকে চাপিয়ে কাঠ চোরাচালান করা হচ্ছিল। তখন ওই ট্রাকটিকে বনকর্মীরা আটকানোর চেষ্টা করলে প্রবল গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। ট্রাকটিকে থামাতে পুলিশ বনকর্মীরা গুলি চালায়। টায়ার ফেটে গিয়ে সেটি থেমে য়ায়। তারপরই আটক করা হয় ৩ জনকে। কিন্তু ট্রাকে থাকা অন্যরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এরপর বনকর্মীরা নিকটবর্তী জিরিকেনডিং থানায় খবর দেন। পুলিশ সেখানে পৌঁছনো মাত্র, ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আটক ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তুলে সেই এলাকার বাসিন্দারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় পুলিশের উপর। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতেই পুলিশ গুলি চালায়। আর এতেই এক বনকর্মী সহ এলাকার ৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে আশেপাশের জেলাগুলিতেও।

    সিট গঠন মেঘালয় সরকারের

    মুকরো গ্রামে এমন ভয়াবহ ঘটনার তদন্ত করার জন্য মেঘালয় সরকারের তরফে ডিআইজি-এর নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “যদিও আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করছি, ততদিনে সিট তদন্ত শুরু করবে। এরপর ভারত সরকার যখন আবেদনটি অনুমোদন করবে, তখন তদন্ত তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, মেঘালয়ের ক্যাবিনেট টিম খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এই ঘটনার বিষয়ে জানাবেন ও এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই বা এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বলবে।

    অসম সরকারের তদন্ত কমিশন গঠন

    মুকরোর ওই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অসম সরকার। কমিটির প্রধান হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। কোন পরিস্থিতিতে গুলিচালনা তা তদন্ত করে ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট কেন্দ্র সরকারের কাছে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মৃতদের ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অসম সরকার।

  • Kashmiri Pandits: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    Kashmiri Pandits: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’- এর সমালোচনা করে বিতর্কে ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাফ লাপিড। ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরির ভূমিকায় ছিলেন লাপিড। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবির কড়া সমালোচনা করে ছবিটিকে, ‘প্রোপাগন্ডা’ এবং ‘ভালগার’ আখ্যা দেন। তাঁর মতে, এই ছবি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর উপযুক্ত নয়। আর তাতেই ফুঁসে ওঠেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা (Kashmiri Pandits)। 

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস লক্ষ্মী সিং

    জম্মুর কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বলেন, কাশ্মীর ফাইলসে যা দেখানো হয়েছে, তা মাত্র ৫ শতাংশ। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) সঙ্গে উপত্যকায় কী হয়, তার ৯৫ শতাংশ সিনেমায় দেখানো হয়নি। নাদাভ লাপিড যে মন্তব্য করেছেন, তা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ক্ষতে নুন ছেটানোর সমান বলেও মন্তব্য করেন যোগেশ পণ্ডিত নামে জম্মুর এক বাসিন্দা। চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলি পরিচালকের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা পর্যন্ত রুজু হয়েছে। 

     

    এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল ভারতে অবস্থিত ইজরায়েল হাই কমিশন (Kashmiri Pandits)। ভারতবাসীর কাছে ক্ষমা চান ভারতে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত নায়োর গিলন, ভর্ৎসনা করেন নাদাভকে। নিজের মন্তব্যের সাফাই দিয়ে লাদাফ বলেন, “ওই ধরনের মন্তব্য করা আমার জন্য সহজ ছিল না। আমি অতিথি ছিলাম। এখানে আমি জুরি প্রধান। আমার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করা হয়েছে। … আমার মধ্যে একটি শঙ্কা এবং অস্বস্তি কাজ করছিল। এরপর বিষয়টি কোন দিকে এগোবে তা বুঝতে পারিনি। ফলে কিছুটা শঙ্কা নিয়েই আমি মন্তব্য করেছিলাম।”

    পরিচালক আরও বলেন, “আজকাল বিভিন্ন দেশে মানুষজন বাক স্বাধীনতা হারাচ্ছে (Kashmiri Pandits)। মন খুলে মনের কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। তাই কাউকে না কাউকে তো উদ্যোগী হতেই হবে। আমি যখন এই ছবিটা দেখি তখন আমি এই প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ইজরায়েলের তুলনা টানতে বাধ্য হই। আমার অন্তরআত্মা আমাকে বলে ওই কথাগুলো বলা উচিৎ।”

    চলচ্চিত্র উৎসবে কী বলেন লাদাফ? 

    মঞ্চে ইজরায়েলি পরিচালক বলেন, “আমরা প্রত্যেকে খুব অস্বস্তিবোধ করেছি, হতবাক হয়েছি কাশ্মীর ফাইলস (Kashmiri Pandits) দেখে। সকলের কাছেই এটা একটা অশ্লীল প্রোপাগান্ডা ছবি বলে বিবেচ্য হয়েছে…. . আমি প্রকাশ্যেই নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিতে স্বচ্ছন্দ, আর আমার মনে হয় এই সমালোচনামূলক আলোচনাকে গ্রহণ করাই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আসল স্পিরিট।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share