Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • FSSAI: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    FSSAI: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫টি খাবার ব্যবসায়ী সংস্থার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল (Suspend) করল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। তারা যে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করে, তাতে খাবারে পুষ্টিগুণ প্রদর্শনের দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই আপাতত বাতিল করা হয়েছে লাইসেন্স (licence)।

    পরিবেশিত খাদ্যের গুণগত মান বজায় রয়েছে কিনা, খদ্দেরকে তা জানাতে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে লেবেলিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের ১ জুলাই। এই নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী, খাবার ব্যবসায়ী যাঁদের সেন্ট্রাল লাইসেন্স রয়েছে অথবা ১০ কিংবা তারও বেশি জায়গায় আউটলেট রয়েছে, তারা মেনুকার্ডে ক্যালোরিফিক মূল্য উল্লেখ করতে বাধ্য। খাবারের পুষ্টিমূল্য, অ্যালার্জেন, উপাদান এবং অন্যন্য কী কী বস্তু রয়েছে, তাও জানাতে বাধ্য। সূত্রের খবর, এই নিয়মগুলি মেনে না চলায় ১৬টি খাবার ব্যবসায়ী সংস্থার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে দিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। প্রায় ৭০টি খাদ্য ব্যবসায়ী সংস্থা ওই অথরিটির কাছে এ ব্যাপারে সময় চেয়েছে। ওই অথরিটির তরফে এক আধাকারিক বলেন, আমরা স্বসম্মতির জন্য তাদের একাধিকবার বলেছি। ফলশ্রুতি হিসেবে তাদের অধিকাংশই সময় চেয়েছে। যারা ওই নিয়ম মানার কোনও উদ্যোগ দেখায়নি কিংবা দায়িত্ব নেয়নি, তাদের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    জানা গিয়েছে, ই-কমার্স খাবার ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিরও পুষ্টিসংক্রান্ত তথ্য লেবেলিং করা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটে। কোনও খাবারের ব্যবসা করতে গেলে মেনু লেবেলিং করতে হবে অন্তত যাদের সেন্ট্রাল লাইসেন্স রয়েছে। ১০টির বেশি আউটলেট যাদের রয়েছে, তাদেরও এটা করতে হবে। করতে হবে ই-কমার্স খাবার ব্যবসায়ীদেরও। ক্যাটারার এবং ফুড সার্ভিস সংস্থা যারা বছরে ৬০ দিনের কম খাবার পরিবেশন করে, এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের। অনলাইন ফুড প্লাটফর্ম সুইগি এবং জোমাটোকেও ১ জুলাই থেকে এই বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Economy: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    Indian Economy: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনকে (UK) হারিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে মোদির (PM Modi) ভারত (India)। তবে আর কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের ঠাঁই হবে আরও ওপরের দিকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) এক রিপোর্টেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি দশকেরই শেষের দিকে ভারত হারাবে বিশ্বের আরও দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দুই দেশকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ইকনোমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট আগাম জানিয়েছিল ২০২৭ এর মধ্যে ভারত বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিকে (Germany) এবং ২০২৯ সালের মধ্যে জাপানকে (Japan) টপকে তিন নম্বরে চলে আসতে পারে।

    ২০১৪ সালে ওই তালিকায় দেশের ঠাঁই হয়েছিল ১০ নম্বরে। রিপোর্ট বলছে, সাতটি দেশকে টপকে অচিরেই মোদির ভারত চলে আসবে তিন নম্বরে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ চিফ ইকনোমিক অ্যাডভাইজার সৌম্যকান্তি ঘোষ বলেন, যে কোনও মানদণ্ডেই মাপা হোক না কেন, এই তথ্য একটা একটা মনে রাখার মতো প্রাপ্তি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, শেষ তিন মাসে ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে ভারত। যে হিসেবের সাপেক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে এই ফল, সেটির মানদণ্ড হল মার্কিন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির তুলনায় দাম কমেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের। ভারতীয় মুদ্রার তুলানায় ৮ শতাংশ কমেছে পাউন্ডের দর।

    আরও পড়ুন : ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের আগে রয়েছে মাত্র চারটি দেশ। এগুলি হল, আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। এদের মধ্যে আমেরিকা প্রথম, চিন দ্বিতীয়, জাপান তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল জার্মানি। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ’২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি রেট ৬.৭ শতাংশ থেকে ৭.৭ শতাংশ হবে, এটা অবাস্তব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটা ঘোরাফেরা করবে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশের মধ্যে। বৃদ্ধির এই হার নিউ নর্মাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর অনুমতি! আজ কী রায় দেবে আদালত?

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর অনুমতি! আজ কী রায় দেবে আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলার রায় বেরোবে আজই। বারাণসী জেলা আদালত সোমবার শ্রিংগার গৌরী জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার ওপর কী রায় দেয়, আপাতত গোটা দেশের নজর তার দিকে। জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর হিন্দু দেবদেবীদের পূজা করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হিন্দু মহিলারা। সেই মামলাতেই আজকের এই রায় দান।  এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি ছাড়াতে না পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বারাণসী কমিশনারেটে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ আধিকারিকদের স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত শহরের জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতরে উপাসনার অধিকার চেয়ে করা মামলাটি “মেন্টেনেবল” কিনা সেই বিষয়ে এদিন সিদ্ধান্ত জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে বারাণসী আদালত। এই মামলার ফলে জ্ঞানবাপি মসজিদের অভ্যন্তরে একটি সমীক্ষার করা হয়। মসজিদের চত্বরে একটি শিবলিঙ্গের মতো কাঠামো আবিষ্কৃত হওয়ার পরে এই আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। যদিও মসজিদ কমিটি দাবি করেছে যে কাঠামোটি একটি ঝর্ণার। এখনও পর্যন্ত, মসজিদ কমিটি জানিয়েছে যে সম্পত্তিটি ওয়াকফ বোর্ডের এবং বিষয়টি আদালতে শুনানি করা যাবে না। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে মসজিদ সম্পর্কিত যে কোনও বিষয়ে শুনানির অধিকার কেবল ওয়াকফ বোর্ডের রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    সোমবার জেলা জজ সিদ্ধান্ত নেবেন পূজার অনুমতি সংক্রান্ত এই মামলায় আবেদনকারীদের যুক্তি আদৌও সঠিক কীনা। জেলা জজ অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশ গতমাসেই ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। কেননা বিষয়টি সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল। তাই সবদিক ভালভাবে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবেন বিচারক।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India surpasses UK: ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    India surpasses UK: ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির (Largest Economy) দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল ভারত (India)। এর আগে ওই জায়গায় ছিল ব্রিটেন (UK)। এবার ব্রিটেনকে ছাপিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করল মোদির ভারত। রানির দেশ ছিটকে গিয়ে দাঁড়াল ছয়ে। এই উন্নয়ন এল এমন একটা সময়ে যখন গত চল্লিশ বছরের মধ্যে এই প্রথম ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) সম্মুখীন ব্রিটেন। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। সেই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, শেষ তিন মাসে ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে ভারত। যে হিসেবের সাপেক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে এই ফল, সেটির মানদণ্ড হল মার্কিন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির তুলনায় দাম কমেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের। ভারতীয় মুদ্রার তুলানায় ৮ শতাংশ কমেছে পাউন্ডের দর।

    প্রায় দুশো বছর ধরে ভারত শাসন করেছে ব্রিটিশ। ১৯৪৭ সালে ভারত অর্জন করে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। তার পর এই প্রথম অর্থনীতিতে ভারত হারাল ব্রিটেনকে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের আগে রয়েছে মাত্র চারটি দেশ। এগুলি হল, আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। এদের মধ্যে আমেরিকা প্রথম, চিন দ্বিতীয়, জাপান তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল জার্মানি। দেশের অর্থনীতির এই ছবি বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ৫ সেপ্টেম্বর কনজার্ভেটিভ পার্টি জানাবেন প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন তাঁদের দলের কে। তবে যিনিই হোন না কেন, তাঁকে সামলাতে হবে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরির মূল দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন সচিব লিজ ট্রাস এবং এক্সচেকারের প্রাক্তন চান্সেলর ঋষি সুনক। রিপোর্ট অনুযায়ী, আশা করা যায় সুনককে ধরাশায়ী করে প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন ট্রাস।

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    সদ্যই করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে ভারত। বেড়েছে জিডিপিও। জারি রয়েছে মুদ্রস্ফীতির সঙ্গে লড়াইও। এহেন পরিস্থিতিতে ভূতপূর্ব শাসকের দেশ ব্রিটেনকে হারিয়ে হাসছে মোদির ভারত। এবং এই সাফল্য এল এমন একটা সময়ে, যখন দেশজুড়ে চলছে অমৃত মহোৎসব।  

     

  • Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ বছর পরে নিজের বাড়ি চাঁদখেড়ায় প্রিয়জনদের কাছে ফিরলেন ভারতীয় গুপ্তচর (Indian Spy) কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু সময়। পুরো সময়টাই কেটেছে পাকিস্তানি জেলে (Pakistan Jail)। ২৭ বছরের ঝকঝকে যে তরুণ বাড়ি থেকে একদিন বেরিয়েছিল সে আজ ফিরে এল ৫৯ বছরের প্রৌঢ় হয়ে। পাঞ্জাবীর নীচের জীর্ণ শরীরই বলে দেয় এই কয়েক বছরের গল্প। হৃদরোগ, টিবি, যক্ষ্মার মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। যে দেশের জন্যে এত কিছু সেই দেশই খোঁজ নেয়নি এত বছরে। দেশের কোনও প্রতিনিধি একটি বারের জন্যে দেখাও করতে যায়নি। এমনটাই দাবি কুলদীপ যাদবের।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল, ধূসর তালিকা থেকে বের হবে কি শরিফের দেশ?

    তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কখনও দেখা করতে আসেনি। আমি যখন গুপ্তচর হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। যে দেশের জন্যে সারাটা জীবন উৎসর্গ করে দিলাম, সেই দেশ আমাকে আমার যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিল না। কিছুই পাইনি আমি।” 

    ১৯৯১ সালের ১৫ মার্চ কুলদীপকে পাকিস্তানে চর হিসেবে পাঠায় ভারত সরকার। ১৯৯৪ সালের ২২ জুন ওকারা জেলা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সাজা শেষে ২২ অগাস্ট বাড়ি ফিরেছেন তিনি। নিজের লোকেদের কাছে। আপাতত একটাই দাবি, অর্থনৈতিক সুরক্ষা। কুলদীপ বলেন, “আমি এখন আমার ভাই দিলিপ এবং বোন রেখার ওপর নির্ভরশীল। আমার সম্বর্ধনা, অবসরকালীন ভাতা প্রাপ্য। ঠিক যেমনটা সেনা কর্মীরা পেয়ে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    তিনি আরও বলেন, “সম্মানের সঙ্গে বাঁচার জন্যে এই মুহূর্তে আমার একটি বাড়ি এবং কিছুটা আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।”

    কুলদীপের ভাই-বোন স্মৃতিচারণ করে বলেন, “কুলদীপ ১৯৯১ সালে একদিন হঠাৎ হারিয়ে যান। বাবা অনেক খোঁজার চেষ্টা করেন। তাঁর সন্ধানে অল্লাশি অভিযান করার আবেদন নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেন। কোনও লাভ হয়নি।”

    কুলদীপ বলেন, “তিন বছরের কোর্ট মার্শালের পরে আমাকে যখন জেলে স্থান্তরিত করা হয়, তখন বাড়িতে চিঠি লিখেছিলাম। সেই প্রথম বাড়ির লোক জানতে পেরেছিল, আমি বেঁচে আছি।”

    দিলিপ বলেন, “আমরা একই সঙ্গে খুশিও ছিলাম, আবার দুঃখিতও ছিলাম। আমরা জানতে পারি কুলদীপ বেঁচে আছে, তবে পাকিস্তানের জেলে।”

    কুলদীপ আরও বলেন, “আমি কখনও আমার মিশনের বিষয়ে আমার পরিবারকে বলিনি। দেশ সেবার উন্মাদনা ছিল আমার মধ্যে। এই জন্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিতাম আমি। এমন সময় দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাই আমি। লুফে নিই সেই প্রস্তাব। কিন্তু শেষটা ভালো হল না। 

    পাকিস্তান সম্পর্কে বলতে গিয়ে কুলদীপ বলেন, “পাকিস্তানিরা অনেকেই ভারতীয়দের মতো। আমার অনেকের সঙ্গেই জেলে ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ভাঙা হয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার (Noida) সেই ট্যুইন টাওয়ার (Twin Tower)। তার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি যেখানে এক সময় ট্যুইন টাওয়ার গড়ে উঠেছিল, সেখানে এবার কী হবে?  বেআইনিভাবে জোড়া ওই টাওয়ার বানিয়েছিল সুপারটেক (Supertech) নামে এক সংস্থা। এই সংস্থা চায়, ওই জায়গায় ফের নতুন করে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে। তবে এমারেল্ড কোর্টস (যে চত্বরে জোড়া টাওয়ার ছিল) রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (Emerald Court’s Residents’ Association) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুপারটেক যদি ফের ওই জায়গায় হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তারা আবারও দ্বারস্থ হবে আদালতের। এমারেল্ড কোর্টস রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে উদয়ভান সিংহ টিওটিয়া (Uday Bhan Singh Teotia) বলেন, নির্মাতা সংস্থা এমন কিছু করে কিনা, তা আমরা লক্ষ্য রাখছি। যদি প্রয়োজন হয়, তবে আমরা আদালতে যাব।

    নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে সুপারটেক তৈরি করেছিল জোড়া টাওয়ার। নাম দেওয়া হয়েছিল অ্যাপেক্স (Apex) ও সিয়ানে (Ceyane)। অ্যাপেক্সে ছিল ৩২টি ফ্লোর, আর সিয়ানে ছিল ২৯টি। দেশের উচ্চতম বহুতল এই জোড়া টাওয়ার। দুটি টাওয়ারে ছিল ৯১৫টি ফ্ল্যাট, ২১টি দোকান এবং দুটি বেসমেন্ট। জোড়া এই বহুতল দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু ছিল। জোড়া ওই টাওয়ার বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সপ্তাহখানেক আগে ভেঙে ফেলা হয় ওই জোড়া টাওয়ার।

    আরও পড়ুন : মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার!

    জানা গিয়েছে, জোড়া টাওয়ারের ওই জমিতে কী করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই জমিতে মন্দির গড়ার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উদয়ভান বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে আমরা ওখানে একটি পার্ক বানাব। আরও কিছু প্রস্তাব এসেছে। কেউ কেউ মন্দির নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে চলেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, ওই জমিতে কী করা যায়। যদিও সুপারটেক চেয়ারম্যান আরকে অরোরা জানান, ওই জমিতে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলব। প্রয়োজনে স্থানীয়দের অনুমতি নেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবারে সাধারণ মানুষ একটু হলেও স্বস্তি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হয়েই চলেছে আর এরই মধ্যে এখ খুশির খবর পাওয়া গেল। মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ লা সেপ্টেম্বর একধাক্কায় অনেকটাই কমল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। দেশের ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯১ টাকা ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    এরফলে এবার থেকে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম (১৯ কেজি এলপিজি) ২,০৯৫.৫ টাকা থেকে কমে ১৯৯৫.৫০ টাকা হয়েছে। দিল্লিতে দাম ১৯৭৬ টাকা থেকে কমে ১৮৮৫ টাকা হয়েছে। মুম্বইয়ে ১৯ কেজির রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১৯৩৬ থেকে কমে ১৮৪৪ টাকা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ২০৪৫ টাকা যা আগে ছিল ২১৪১ টাকা। আজ, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই দাম কার্যকর হয়েছে। 

    তবে বাড়ির কাজে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দামে (LPG Cylinder Price) কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৪.২ কেজির বাড়ির রান্নার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই রয়েছে। ৬ জুলাই থেকে এই দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। দিল্লিতে বাড়ির জন্য যে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় তার দাম ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, মুম্বইতে ১০৫২ টাকা ও চেন্নাইয়ে ১০৬৮ টাকা।

    আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি

    এর আগে দফায় দফায় রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হোটেল, রেঁস্তোরায় খাবারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এবারে পুজোর আগেই কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল সাধারণ মানুষের। আশাও করা হচ্ছে যে এবারে হয়তো হোটেল, রেঁস্তোরার খাবারের দামও কিছুটা হলেও কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Cyrus Mistry death: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    Cyrus Mistry death: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত গতিবেগ এবং সিট বেল্ট না পরার জন্যই প্রাণ গেল ভারতের প্রখ্যাত শিল্পপতি টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। গুজরাটের উড়ওয়াড়া থেকে মুম্বই ফেরার পথে পালঘরের চারোটি চেকপোস্ট পেরিয়ে পরের ২০ কিলোমিটার মাত্র ন’মিনিটে অতিক্রম করেছিল সাইরাসদের গাড়ি। টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন পারিবারিক বন্ধু দুই পন্ডোলে ভাই, দারায়ুস এবং জাহাঙ্গির এবং দারায়ুসের স্ত্রী অনাহিতা ৷ মার্সিডিজ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা। তাঁর ভুলও দুর্ঘটনার পিছনে দায়ী, এমনই ধারণা পুলিশের।

    প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক। আর তাই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল গাড়িটি। গাড়ির পিছনের সিটে বসে ছিলেন সাইরাস এবং দারায়ুসের ভাই জাহাঙ্গির ৷  তাঁরা কেউই সিট বেল্ট পরে ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। দু’জনেই প্রাণ হারিয়েছেন দুর্ঘটনায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় মাথায় চোট লাগে সাইরাসের।

    আরও পড়ুন: তীব্র গতি কাড়ল প্রাণ, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    উড়ওয়াড়া এলাকায় পার্সি সম্প্রদায়ের প্রধান অগ্নিমন্দিরে দারায়ুস ও জাহাঙ্গিরের বাবা দীনশ’-এর শেষকৃত্যের প্রার্থনায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷  গত সপ্তাহে প্রয়াত হন তিনি ৷ কয়েক বছর ধরে এই অগ্নিমন্দিরের সংস্কার করে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করেছিল মিস্ত্রি পরিবার। মুম্বই ফেরার পথে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের নামী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তথা দারায়ুসের স্ত্রী অনাহিতা পন্ডোলে ৷ তাঁর পাশের আসনে ছিলেন দারায়ুস ৷ দু’জনেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

     বণিক মহলে পন্ডোলে পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ ৷ ৬০ বছর বয়সি দারায়ুস হলেন মুম্বইয়ের জেএম ফিনান্সিয়াল প্রাইভেট ইক্যুইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৷ টাটা গোষ্ঠীর ডিরেক্টর পদেও ছিলেন তিনি ৷ টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাসের অপসারণের পর দারায়ুসও পদত্যাগ করেন ৷ এই পন্ডোলে পরিবারই ছিল ঠান্ডা পানীয় ‘ডিউকস’-এর কর্ণধার ৷ ২০ বছর আগে সংস্থার সত্ত্ব তারা বিক্রি করে দেয় পেপসি-র কাছে ৷ পন্ডোলে পরিবারের বধূ অনাহিতাও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ৷ ৫৫ বছর বয়সি এই নামী চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন বেআইনি হোর্ডিং অপসারণ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ৷ ‘জীয়ো পার্সি’ প্রকল্পেরও মুখ অনাহিতা ৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে মাত্র চারদিন। এই চারদিনেই নিষ্পত্তি হয়েছে হাজারেরও বেশি মামলার। যে চারদিনে এতগুলি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির (CJI) পদে রয়েছেন উদয় উমেশ ললিত।  গোটা দেশ যাঁকে চেনে ইউইউললিত (UU Lalit) নামে।

    সপ্তাহ খানেক আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তিনিই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন ইউইউললিতের নাম। দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবিত নামে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। রামানা অবসর নিলে দেশের প্রধান বিচারপতি পদে বসেন ললিত। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্রই ৭৪ দিন। নিয়ম অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়সে অবসর নিতে হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। সেই বিধির জেরেই ললিতের কার্যকালের মেয়াদ এত কম। কম সময়েই যে তিনি বিপুল কাজ করতে চান, শপথ গ্রহণের দিনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন আইনি পেশায় তিন প্রজন্ম ধরে থাকা পরিবারের সদস্য ললিত। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতে প্রতিদিন যাতে আরও বেশি করে মামলার শুনানি হয়, তার ব্যবস্থা করবেন।

    ললিত শপথ নেওয়ার পরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হল বার কাউন্সিলর অফ ইন্ডিয়ার তরফে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি ললিত জানান, তাঁর নির্দেশে তালিকা তৈরি ও শুনানির নয়া ব্যবস্থা লাগু হয়েছে, তার জেরেই মিলেছে সুফল। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, শেষ চারদিনে দেশের শীর্ষ আদালতে কী ঘটেছে, আমি তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে পড়ে থাকা প্রচুর মামলার মধ্যে থেকে তালিকা প্রস্তুত করছি। সেই মতো চলছে শুনানি।

    আরও পড়ুন : মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    এর পরেই তিনি বলেন, শেষ চার দিনে দেশের শীর্ষ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৯৩টি মামলার। এর মধ্যে ৪৯৩টি বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল ২৯ অগাস্ট, তাঁর প্রথম কাজের দিনে। শুক্রবার নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১৫টি মামলার। মঙ্গলবার নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৭টি মামলার, আর বৃহস্পতিবার হয়েছে ২২৮টির। মাঝে বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বন্ধ ছিল আদালত। ললিত বলেন, যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা যায়, এখন তার ওপর জোর দিচ্ছে আদালত। সোমবার থেকে এই চার দিনে ৪৪০টি ট্রান্সফার পিটিশনের নিষ্পত্তিও হয়েছে বলে জানান ললিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। বৃহস্পতিবার রাতে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) শাসকজোট। খনি মামলার জেরে বর্তমানে রাজ্যের নেতৃত্বে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের। মুখ্যমন্ত্রী সহ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের অফিস থেকে তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে বলে রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে চিঠি দিল ইউপিএ (UPA)। জোট সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টায় মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ইউপিএ নেতারা।

    বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপাল রমেশ বাইসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করে ইউপিএ জোটের বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। তবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন  সেই দলে ছিলেন না বলেই খবর। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৈঠকের পর রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি বান্ধু তিরকে  জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন না। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আর দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কী করে কিছু বিশেষ তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে গেল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর অফিস থেকে কোনও খবর বাইরে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    প্রসঙ্গত, খনি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট পেশ করার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম বিধায়ক ৩০ জন। এছাড়াও কংগ্রেসের ১৮ বিধায়ক ও একজন আরজেডি বিধায়ক রয়েছেন সরকারে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে, হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক। 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ঝাড়খণ্ডে পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা  ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের সরকার আস্থা ভোট আনার কথা ভাবছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share