Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার হলেন কর্ণাটকের (Karnataka) লিঙ্গায়ত (Lingayat ) মঠের সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু (Shivamurthy Sharanaru)। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। মঠের মুখ্য সন্ন্যাসী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কর্নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রদুর্গার এই মঠের প্রধানকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়মিত ভাবে পড়ুয়াদের যৌন নির্যাতন করতেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন মঠের অন্যান্য কর্মী। যদিও শিবমূর্তির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই চক্রান্ত হচ্ছে। এই অভিযোগ তারই অংশ। শেষমেশ তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেই দাবি শিবমূর্তির।

    উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী দুই নাবালিকার বয়স যথাক্রমে ১৫ এবং ১৬ বছর। দুই নাবালিকা মঠ পরিচালিত একটি স্কুলে পাঠরত ছিলেন এবং স্কুল সংলগ্ন হোস্টেলে তারা থাকতেন। গত ২৪ জুলাই তাঁরা হোস্টেল ত্যাগ করেন এবং ২৫ জুলাই তাদের কটনপেট থানায় পাওয়া যায়। এরপর ২৬ অগাস্ট লিঙ্গায়ত স্বামী শিবমূর্তির বিরুদ্ধে মাইসোরের নজরবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশকে ওই দুই নাবালিকা জানায় গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের ওপর যৌন হেনস্থা চালাতেন ওই লিঙ্গায়ত মঠের সাধু।

    আরও পড়ুন: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    অভিযুক্ত সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়েরই নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের সিংহভাগ অধিকাংশ ভোটার এই সম্প্রদায়ের। এই রাজনৈতিক সমীকরণ মাথায় রেখেও শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সাধুকে। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘পুলিশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তদন্তের জন্য। তারা তদন্ত করবে আর সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’ 

    জগদ্গুরু মুরুগরাজেন্দ্র বিদ্যাপীঠ মঠের গুরু শিবমূর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি দুই নাবালিকার শ্লীলতাহানী করেছেন। চিত্রদুর্গের দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা আদালত যৌন হেনস্থার মামলায় শিবমূর্তির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। এর মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, শিবমূর্তিকে শুক্রবারই আদালতে পেশ করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। এর আগে প্রভাবশালী এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ‘লুকআইট সার্কুলার’ জারি করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy), বা বলা ভাল সামরিক ইতিহাসে “বিক্রান্ত” শব্দটার মাহাত্ম্য অন্যরকম। এর আগে, ভারতের (India) প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। তবে তার আগে, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে (1971 Indo Pak War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ওই জাহাজটি। 

    সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর (First Indigenous Aircraft Carrier) নামকরণও দেশের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এর নকশা তৈরি হয়। নৌসেনার অধিনস্থ ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশা করে। কিন্তু, নির্মাণ কাজ শুরু হয় এক দশক পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে। এরপরও দফায় দফায় নির্মাণ ব্যাহত হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। অবশেষে, ২০১৩ সালে একে জলে ভাসানো হয়। অবশেষে ২০২২ সালে, নৌসেনার হাতে আসছে আইএনএস বিক্রান্ত। অর্থাৎ, নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ বছর। জাহাজটি তৈরি করেছে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited)।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দূর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) উপস্থিতিতে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রথম ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারের। আজ থেকে নামকরণ হল ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। এই যুদ্ধজাহাজ অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। 

    এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাড়ল ভারতের (India) গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট, সংক্ষেপে জিডিপি (GDP)। গত বছর এই সময়সীমার মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ। এবার তা দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (National Statistical Office) থেকে যে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। বুধবার ওই ডেটা প্রকাশ করা হয়।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি পৌঁছেছে ১৩.৫ শতাংশে।

    রেটিং এজেন্সি আইসিরএ-র মতে, জিডিপি ১৩ শতাংশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তার রিপোর্টে বলেছিল, জিডিপি দাঁড়াতে পারে ১৫.৭ শতাংশে গিয়ে। এই মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেট দাঁড়াতে পারে ১৬.২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এই সময় সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব মন্দার ভয় এবং সুদ বাবদ খরচ বৃদ্ধির জেরেই এই বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক বেঞ্চমার্ক পলিশি রেট বাড়িয়ে করেছে ১৪০ পয়েন্ট। মে মাস থেকে তিন কিস্তিতে ওই বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যাংক এও জানিয়েছিল, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেবল জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগও। প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি আর্থিক বর্ষের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০.১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আরও জানা যাচ্ছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ১.৩ শতাংশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচের হার বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Sonia Gandhi: প্রয়াত সোনিয়া গান্ধীর মা, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির 

    Sonia Gandhi: প্রয়াত সোনিয়া গান্ধীর মা, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মা পাওলা মেইনো (Paola Maino)। ২৭ অগাস্ট প্রয়াত হন তিনি। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৩০ অগাস্ট, মঙ্গলবার। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।

    বয়স হয়েছিল ৯০। ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। সে খবর পেয়ে মাকে দেখতে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে সোনিয়া গান্ধী ইটালি উড়ে যান ২৩ অগাস্ট। ২৭ অগাস্ট মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় জানান, শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীর মা শ্রীমতি পাওলা মেইনো শনিবার ২৭ অগাস্ট ইটালিতে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে গতকাল।

    ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, প্রয়াত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধীজির মা পাওলা মেইনো। শোকের সময় তাঁকে সমবেদনা জানাই। সোনিয়াজির মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। এই শোকের সময় আমার চিন্তা তাঁর পুরো পরিবারকে নিয়ে।

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর মা পাওলা মেইনো মারা গিয়েছেন শুনে দুঃখিত। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি ভগবান  তাঁকে দিন।

    আরও পড়ুন : জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

  • Cervical Cancer Vaccine: জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা নিয়ে হাজির সিরাম, আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল 

    Cervical Cancer Vaccine: জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা নিয়ে হাজির সিরাম, আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা শাস্ত্রে সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বড় বড় অবদান রাখল দেশ। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি (DBT) জরায়ুমুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি কোয়াড্রিভালেন্ট হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস ভ্যাকসিন (QHPV) লঞ্চ করছে আজ। বৃহস্পতিবার এই বহুল প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনটির উদ্বোধন করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।  

    আরও পড়ুন: সব জানতেন অভিনেত্রী! চার্জশিটে দাবি ইডি-র, তছরুপকাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে জ্যাকলিন 

    ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারপারসন ডাঃ এন কে অরোরা এ বিষয়ে বলেন, “ভারতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের লঞ্চ এক গৌরবময় অভিজ্ঞতা। এটা ভেবেই ভালো লাগছে যে, এখন আমাদের দেশের মেয়েরা এই টিকা নিতে পারবেন।” তিনি আরও বলেন, “এই ভ্যাকসিন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন দেশেও সহজলভ্য হবে। আশা করা যায় এই টিকা চালু হওয়ার পর সরকার শীঘ্রই ৯-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করবে।”

    আরও পড়ুন: মাছ-মাংস-ডিমের চেয়েও বেশি উপকারী সয়াবিন, জানেন কেন? 
      
    ডাঃ অরোরা আরও বলেন, “এই টিকা জরায়ুর ক্যানসার (Cervical Cancer) প্রতিরোধ করে। ৮৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে টিকার অভাবে জরায়ুর ক্যানসারের সম্ভবনা বেড়ে যেত। কিন্তু এখন আর তা হবে না। যদি ছোট বাচ্চাদের এবং মেয়েদের আগেই এই টিকা দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে তারা সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং এর ফলে তাদের পরবর্তী ৩০ বছর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কমবে। এই টিকা আবিষ্কারের ফলে ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলিও উপকৃত হবে।”

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্যানসার অন্যান্য ক্যানসারের থেকে অনেকটাই আলাদা। কারা এই রোগে ভবিষ্যতে আক্রান্ত হতে পারেন, তা আগে থেকেই বোঝা সম্ভব। এইচপিভি ভাইরাস শরীরে প্রবেশের প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর পর শরীরে দেখা দেয় এই ক্যানসার। ফলে সচেতন থাকলে এই ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকার মাধ্যমে এই রোগ হওয়া আটকানো যায়। তবে যৌন সংসর্গ শুরুর আগেই নারীদের এই টিকা নিয়ে নিতে হয়।  

    এত দিন সারভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা হিসেবে পাওয়া যেত গার্ডাসিল ও সার্ভারিক্স। ওই দুই টিকাই আনতে হতে বিদেশ থেকে। এ বার জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা মিলবে দেশেই। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dumka Murder: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগেও অঙ্কিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শাহরুখ?

    Dumka Murder: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগেও অঙ্কিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শাহরুখ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমকার (Dumka) কিশোরী ছাত্রী অঙ্কিতা সিংকে (Ankita Singh) জীবন্ত পুড়িয়ে মারার দিন কয়েক আগে তার বাড়ির জানালা ভেঙেছিল অভিযুক্ত উত্যক্তকারী (Stalker) শাহরুখ (Shahrukh)। সেই সময় তার ভাই সলমান অঙ্কিতার পরিবারের কাছে এসে ক্ষমাও চেয়েছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করতে অনুরোধও করেছিল।    

    ২২ অগাস্ট রাতে দুমকার জারুয়াডি কসবার ঘরে ঘুমোচ্ছিল বছর ষোলোর অঙ্কিতা সিং। অভিযোগ, বছর ২৩ শাহরুখ হুসেন গভীর রাতে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে দেয় ওই কিশোরীর গায়ে। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৮ অগাস্ট মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। শাহরুখের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই ওই কিশোরীর এহেন পরিণতি বলে দাবি অঙ্কিতার পরিবারের।

    জানা গিয়েছে, অঙ্কিতার চরম পরিণতির দিন পাঁচেক আগে তার বাড়িতে এসেছিলেন শাহরুখ। এনিয়ে তার সঙ্গে অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যদের ঝগড়াও হয়। তখনই রাগের বশে সে জানালার কাচ ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। তার পরেই সলমান তাঁর মামাকে নিয়ে অঙ্কিতার বাড়িতে আসে। দাদার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চায়। থানায় অভিযোগ দায়ের না করতে অনুরোধ করে। অঙ্কিতার কাকার আক্ষেপ, আমরা যদি তখনই ব্যবস্থা নিতাম, তাহলে অঙ্কিতার এই পরিণতি হত না। ঘটনাটিকে লাভ জিহাদ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিও জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত বিচারের।

    আরও পড়ুন :‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    এদিকে, শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কা কানুনগো জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে এই সপ্তাহেই তিনি যাবেন দুমকা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে চিঠি লিখেছে জাতীয় মহিলা কমশন। দুমকার শিশু কল্যাণ কমিটির দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী অঙ্কিতার বয়স ১৬, যদিও পুলিশ দাবি করছে, সে প্রাপ্ত বয়স্ক। অন্যদিকে, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশকে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand High Court)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nadimarg massacre: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Nadimarg massacre: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) এবং লাদাখ (Ladakh) হাইকোর্ট (High Court) । ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ পুলওয়ামার নাদিমার্গে (Nadimarg) দুই শিশুসহ মোট ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তাঁরা সকলেই কাশ্মীরি পণ্ডিত ছিলেন। 

    এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত বহু জঙ্গি মারা যাওয়ায় মামলাটি প্রায় এক দশক আগে, ২০১৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মামলাটি সোপিয়ান আদালতে চলছিল। কিন্তু সেখানে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়। বহু সাক্ষী ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অনেকে  প্রাণভয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন এমনটাই দাবি।  তাই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্ট সেই পুরনো মামলার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় ওই মামলা চলুর নির্দেশ দিয়েছে।  

    ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ নাদিমার্গে পণ্ডিতদের বাড়িতে সেনার পোশাকে গিয়েছিল জঙ্গিরা। ১১ জন পুরুষ ও মহিলাকে বাড়ির ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে আসে তারা। বাদ পড়েনি দু’জন শিশুও। সবাইকে বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে জঙ্গিরা। এক সঙ্গে মৃত্যু হয় ২৪ জনেরই। এই হত্যাকাণ্ডের ভয়বহতায় সেদিন শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ঘটনার পিছনে মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে নাম উঠে আসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের বাসিন্দা মুস্তাফার। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে জানিয়েছিল, লস্কর নেতাদের নির্দেশে সে পণ্ডিতদের হত্যা করেছে। পরে, পুঞ্চের জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষে মারা পড়ে নাদিমার্গ গণহত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়া মুস্তাফা।

    আরও পড়ুন: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    সম্প্রতি উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর জঙ্গিদের হামলা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। চলতি বছর মে মাসেও জম্মু-কাশ্মীরের বদগামে অফিসে ঢুকে রাহুল ভাট নামে এক সরকারি কর্মীকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় উপত্যকায়। তার রেশ কাটার আগেই কুলগামে খুন করা হয় আরেক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকাকে। এ বছর জম্মু-কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    নাদিগ্রাম হত্যাকাণ্ড মামলা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি সিএম কাবিন্দর গুপ্ত।  তিনি বলেন, যারা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন তারা এবার তা পাবেন। 

  • Avijit Sen: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন

    Avijit Sen: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন (Avijit Sen)। মৃত্যুকালে ৭২ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অর্থনীতিবিদের ভাই প্রণব সেন বলেন, “রাত ১১টা নাগাদ দাদার হার্ট অ্যাটাক হয় ৷ আমরা তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই ৷ কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷”  

    আরও পড়ুন: ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার
     
    অর্থনীতিবিদ হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন অভিজিৎ সেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ছিলেন প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য, জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ভারতের প্রধান পরিসংখ্যানবিদ। ‘কমিশন অফ এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইসেস’ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য ছিলেন।  

    ১৯৫০ সালের ১৮ নভেম্বর জামশেদপুরে জন্মগ্রহণ করেন অভিজিৎ সেন। দিল্লির সর্দার প্যাটেল বিদ্যালয়ে স্কুল জীবন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজে ফিজিক্স অনার্স পড়েন। ১৯৮১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন। তাঁর গবেষণাপত্রের বিষয় ছিল, “ভারতের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি প্রতিবন্ধকতা”। তিনি ১৯৮৫ সালে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও পরিকল্পনা বিভাগে যোগ দেন। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট  

    এক রিপোর্টে তিনি সুপারিশ করেছিলেন, কৃষি খরচ ও মূল্য কমিশনকে (CACP) ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে গড়ে  তোলা হবে। যে সংস্থা কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করবে। প্রসঙ্গত সেই সময় এই নীতি, সরকার মেনে নিতে বাধ্যও হয়। উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাকে বলা হয় C2 খরচ, সেই মূল্য নির্ধারণ করার কথাই এই কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছিল।  

    পরে এম এস স্বামীনাথনের নেতৃত্বাধীন কৃষকদের জাতীয় কমিশন, ২০০৬ সালের এপ্রিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করে যে, ফসলের এমএসপিগুলি ‘C2’ খরচের চেয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি হবে। অভিজিৎ সেন কমিটি অবশ্য প্রস্তাব করেছিল বিশেষ কিছু অঞ্চলেই ব্যাপক ‘C2’ খরচ বিবেচনা করা হবে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kerala NEET innerwear row: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ 

    Kerala NEET innerwear row: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর নীট পরীক্ষার (NEET 2022) সময় বিতর্কে উত্তাল হয় কেরল (Kerala)। পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাস (Innerwear) খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাচ্ছেন সেই ছাত্রীরা।  আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) তরফে। ইতিমধ্যে ওই পরীক্ষার্থীদের মেলও পাঠানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত

    চলতি বছর জুলাই মাসে কেরলের কোত্তারাকারা থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে ওই ব্যক্তি জানান, ন্যাশনাল এলিজিবিটি এন্ট্রান্স টেস্টের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে তাঁর মেয়ে সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তাদের তরফে প্রথমে বলা হয়, ইমেল মারফৎ পরীক্ষায় বসার জন্য পোশাকবিধির কথা স্পষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রী পোশাক বিধি মেনে চলেনি। মেটাল ডিরেক্টরে ধাতব অস্তিত্ব ধরা পড়ে। যদিও পরে জানা যায় অন্তর্বাসের হুক মেটাল ডিরেক্টরে চিহ্নিত হয়েছিল। পরীক্ষা পরিচালনকারী সংস্থা নিরাপত্তার আশঙ্কা করে ওই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেরনোর সময় তাঁদের অন্তর্বাস পরার সুযোগও দেওয়া হয়নি, হাতে নিয়েই বেরিয়ে যেতে হয়। কেরলের কোল্লাম জেলায় ছিল এই পরীক্ষা কেন্দ্রটি। ওই পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করায় অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। মন দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুসারে মহিলাদের শালীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে আক্রমণ বা বলপ্রয়োগ, ৫০৯ ধারা অনুসারে মহিলাদের অপশব্দপ্রয়োগ বা অঙ্গভঙ্গি -এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। তার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র কলেজের দুই কর্মী ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার তিন কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যান। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এনটিএ।  

    ঘটনায় তৎপর হয় জাতীয় মহিলা কমিশন ও শিশু সুরক্ষা কমিশনও। কমিশনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করল এনটিএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • NCRB Report: ২০২১ সালে জঙ্গিদের থেকে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন বেশি পুলিশকর্মী, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট 

    NCRB Report: ২০২১ সালে জঙ্গিদের থেকে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন বেশি পুলিশকর্মী, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের তুলনায় দ্বিগুণ পুলিশকর্মী (police personnel) নিহত হয়েছেন মাওবাদী সংগঠনগুলির (Left Wing Extremists) হাতে। এমনটাই জানা গিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০২১ সালের রিপোর্ট (NCRB 2021 Report) থেকে। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালে জঙ্গিদের হাতে খুন হন ১৮ জন পুলিশকর্মী। আর মাওবাদী সংগঠন খুন করে ৪০ জন পুলিশকে। একইভাবে, ১১ জন পুলিশকর্মী সীমান্ত গুলিতে, একজন দাঙ্গায়, ১১ জন অপরাধীদের হাতে নিহত হয়েছেন। সাতজন দুর্ঘটনাক্রমে নিজের অস্ত্র দিয়ে এবং ৩৩৯ জন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তবে, উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহীদের হাতে কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়নি।    

    কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত মোট ৪২৭ জন পুলিশ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন, কনস্টেবল পদমর্যাদার ২৩৩ জন, হেড কনস্টেবল ৪৪ জন, সহকারী সাব ইস্পেক্টর ৩৭ জন, সাব ইন্সপেক্টর ২৬ জন, ইস্পেক্টর ৪ জন এবং গেজেটেড অফিসার এবং আরও দুজন। প্রায় একই সময় ১৬৩২ জন বিভিন্ন পদ মর্যাদার পুলিশের আহত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র, কর্নাটকের হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে হবে গণেশ উৎসব 

    যে রাজ্যগুলিতে পুলিশের মৃত্যুর খবর সব থেকে বেশি। তার মধ্যে প্রথম তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে সর্বাধিক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৫৬ জন পুলিশকর্মী পথ দুর্ঘটনায় এবং দুজন অপরাধীদের হাতে নিহত হয়েছেন। ছত্তিশগড়ে ৪০ জন পুলিশ কর্মী এলডব্লিউই এবং সাতজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বিহারে, ৩৮ জন পুলিশ কর্মী সড়ক দুর্ঘটনায় এবং একজন দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন। 

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে, ১৮ জন পুলিশ কর্মী সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন এবং দিল্লিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

    ২০২১ সালে, ওড়িশায় অপরাধী দমন অভিযানে সবচেয়ে বেশি পুলিশ আহত হন। ১৮৮ জন আহত পুলিশের মধ্যে ১৭৬ জন অপরাধীদের হাতে এবং ১২ জন দাঙ্গায় জখম হন। কেরলে মোট ১৫৯ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন যার মধ্যে ৯০ জন অপরাধীদের হাতে, ৬৮ জন দাঙ্গার কারণে এবং একজন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। তামিলনাড়ুতে, মোট ১৩৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৯৬ জন দুর্ঘটনায়, তিনজন নিজের অস্ত্র দিয়ে এবং ৩০ জন অপরাধীদের হাতে আহত হন। 

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে দিল্লিতে সর্বাধিক সংখ্যক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। দাঙ্গায় আহত হয়েছেন ১৫৬ জন, অপরাধীদের হাতে ২২ জন এবং দুর্ঘটনায় ১৭ জন আহত হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

LinkedIn
Share