Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জঙ্গল থেকে পাওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হাড়ের টুকরো এবং জমাট বাধা রক্তের সঙ্গে ডিএনএ মিলল শ্রদ্ধার (Delhi Murder) বাবা বিকাশ ওয়ালকারের। এমনটাই জানাল ফরেন্সিক টিম। শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। সূত্রমতে জানা গিয়েছে শ্রদ্ধা-আফতাবের বাড়ির ফ্ল্যাটের টাইল থেকে পাওয়া কিছু রক্তের নমুনা শ্রদ্ধা এবং কিছু তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার সঙ্গে মিলেছে। আপাতত মৌখিকভাবে দিল্লি পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট আসতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। 

    এদিকে আফতাব পুনাওয়ালা তাঁকে খুন (Delhi Murder) করতে চায়। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকর মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বই পুলিশের কাছে শ্রদ্ধা যে অভিযোগ দায়ের করেন, সেখানে তিনি খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনকী, আফতাব তাঁকে খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে বলে পুলিশকে চিঠি লেখেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে কী হবে বলেও পুলিশ চিঠি লেখেন শ্রদ্ধা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে শ্রদ্ধা যেভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, তারপরও পুলিশ কেন পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    নার্কো টেস্ট 

    আফতাব আমিন (Delhi Murder) পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট করা হয়েছে। আজও চলবে পরীক্ষা। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব তদন্তে সহযোগিতা করছে না, এমনই অভিযোগ ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করে সে। খুন সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নার্কো টেস্টের (Narco Test) আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।সেই মতো গতকাল নার্কো টেস্ট করানো হয় আফতাবের। 

    নার্কো টেস্টের (Delhi Murder) আগে ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। প্রেশার, সুগার, পালস রেট সব কিছু স্বাভাবিক আছে  কী না দেখা হয়। বয়স, লিঙ্গ অনুযায়ী ইঞ্জেকশনের  ডোজ আলাদা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রে (Democracy) কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। এমন কী কলেজিয়াম সিস্টেম, যারা বিচারক নিয়োগ করে, তারাও এর বাইরে নয়। শুক্রবার একথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আজ, শনিবার সংবিধান দিবস (Constitution Day)। এই উপলক্ষে শুক্রবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকে কাজ করাই একমাত্র পথ।

    চন্দ্রচূড় বলেন…

    সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমি সেরাটাকে সংরক্ষণ করব। এর পরেই তিনি বলেন, গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সৈনিক, যারা সংবিধানকে কার্যকর করব। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা যখন অপূর্ণতার কথা বলি, তখনও আমাদের সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করা। চন্দ্রচূড় আরও বলেন, কেবল কলেজিয়াম সিস্টেম সংস্কার করলে কিংবা বিচারকদের বেতন বাড়িয়ে দিলেই ভাল এবং যোগ্য মানুষ বেঞ্চে যোগ দেবেন, তা নিশ্চিত হয় না।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)  বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভাল মানুষের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর পরেই তিনি বলেন, ভাল মানুষদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা, ভাল আইনজীবী তৈরি করেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। টাকা কিংবা বেতন দিয়ে বিচারকের মান নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচারককে আপনি যতই বেতন দেন না কেন, তা একজন সফল আইনজীবীর দিনের শেষের উপার্জনের একটা ছোট অংশ হবে। তিনি বলেন, বিচারক হওয়া আসলে বিবেকের ডাক, পাবলিক সার্ভিসের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    আরও পড়ুন: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল ভারতীয় সংবিধান। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পরের বছর থেকে ফি বছর এই দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগে এই দিনটি পালিত হত আইন দিবস হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jama Masjid: মহিলাদের ‘একা’ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! বিতর্কিত নোটিশ প্রত্যাহারে রাজি জামা মসজিদ

    Jama Masjid: মহিলাদের ‘একা’ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! বিতর্কিত নোটিশ প্রত্যাহারে রাজি জামা মসজিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জামা মসজিদে (Jama Masjid) মহিলারা যেতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তার পরেই হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে। মসজিদ কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে নোটিশও পাঠায় দিল্লির (Delhi) মহিলা কমিশন। তার পরেও অবশ্য পিছু হটেননি মসজিদ কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ জট খুলল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার হস্তক্ষেপে। তিনি কথা বলেন জামা মসজিদের শাহি ইমামের (Shahi Imam) সঙ্গে। মহিলাদের মসজিদে ঢোকার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে তাঁকে অনুরোধ করেন। তার পরেই মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেন। সূত্রের খবর, ইমাম বুখারিও ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। তবে সেক্ষেত্রে একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দর্শনার্থীদের মসজিদের পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।

    জামা মসজিদের নোটিশ…

    দিল্লির জামা মসজিদ (Jama Masjid) কর্তৃপক্ষ মসজিদের প্রধান ফটকের বাইরে একটি নোটিশ টাঙায়। তাতে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কোনও মহিলা একাই আসুন কিংবা দলবদ্ধভাবে আসুন, তাঁরা কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না মসজিদে। তার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে মসজিদের শাহি ইমাম বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেন, যাঁরা প্রার্থনার জন্য মসজিদে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য নয়।

    মসজিদের (Jama Masjid) মূল গেটের সামনে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে নোটিশ টাঙানো হয়েছিল, তাতে নোটিশ ইস্যুর কোনও তারিখ দেওয়া ছিল না। দিন কয়েক আগে তিনটি ফটকের সামনে ওই নোটিশ ঝুলতে দেখা যায়। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। মসজিদ কমিটির তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, কোনও মহিলা যদি একা আসেন কিংবা দলবদ্ধভাবেও আসেন, তাহলেও তাঁরা মসজিদে ঢুকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, দিল্লির জামা মসজিদ তৈরি হয়েছি মুঘল আমলে, সপ্তদশ শতাব্দীতে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন মসজিদ দর্শনে।

    আরও পড়ুন: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    মসজিদ (Jama Masjid) কমিটির ওই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফেও। মসজিদ কমিটির ওই সিদ্ধান্তকে ‘মহিলা বিরোধী’ বলেও দাবি করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই বিষয়ে তারা দাবি করে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ। পরে মসজিদ কমিটিকে নোটিশ পাঠায় দিল্লির মহিলা কমিশনও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হল বৃহস্পতিবার। দিল্লি পুলিশের তরফে সে কথা জানানো হয়। দিল্লির রোহিনী ফরেন্সিক ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার সময়ই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আফতাবের কথার উপর ভিত্তি করেই মেলে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করতে ব্যবহার করা পাঁচটি ছুরি।

    কোথায় মিলল ছুরি

    আফতাবের ঘর থেকে ৫টি ছুরি পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের তরফে জানানো হয়, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আজ আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala) একেবারে স্বাভাবিক ছিল। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব ধীর, স্থির ছিল বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত বুধবারই আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের কথা ছিল। তবে গতকাল আফতাব সুস্থবোধ না করায়, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। পলিগ্রাফের পর আফতাবের নারকো টেস্টও করা হবে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করতে ৫টি ছুরি ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। ওই পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ টুকরো করতে যে একের বেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন আফতাব, তার আন্দাজ আগেই করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি দিল্লিতে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ১টি করাতও উদ্ধার হয়। দেহ টুকরো করতে ওই করাতটি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে। তবে তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jama Masjid: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    Jama Masjid: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলারা মসজিদে (Jama Masjid) একা যেতে পারবেন না। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ জারি করেছে দিল্লির জামা মসজিদ। আর এই নির্দেশিকা আসার পরই, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মসজিদকে নোটিস পাঠাল দিল্লির মহিলা কমিশন। দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল জামা মসজিদের ইমামকে একটি চিঠি লিখে মসজিদে মহিলাদের একা প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    স্বাতী ট্যুইটে ক্ষোভ উগরে দেন 

    ট্যুইটারে স্বাতী মালিওয়াল লিখেছেন, ‘”জামা মসজিদে (Jama Masjid) মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক না। এক জন পুরুষের যেমন উপাসনার অধিকার আছে, তেমনই এক জন নারীরও আছে। আমি জামা মসজিদের ইমামকে নোটিস পাঠিয়েছি। উপাসনা কেন্দ্রে মহিলাদের এ ভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার অধিকার কারও নেই।”

     

    স্বাতী আরও বলেন, “এটা ইরান নাকি? যে মহিলাদের সঙ্গে অসম আচরণ করা হবে, আর কেউ কিছু বলবে না!”  

    জামা মসজিদের (Jama Masjid) জনসংযোগ আধিকারিক সাবিউল্লাহ খান এর জবাবে বলেন, “মসজিদ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এই সিদ্ধান্ত লিঙ্গবিদ্বেষমূলক নয়। পরিবারের সঙ্গে বা স্বামীর সঙ্গে এলে মহলাদের মসজিদে কোনও বাধা থাকবে না। মসজিদ চত্বরে অশোভন কাজকর্ম যাতে না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও বলেন, “মহিলাদের প্রবেশে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায়, মহিলারা একা এলে অনেক অশোভন কাজকর্ম হয়। তাঁরা টিকটক ভিডিয়ো রেকর্ড করেন, নাচগান করেন। পরিবার বা দম্পতিদের মসজিদে প্রবেশে কোনও বাধা নেই।মসজিদকে মহিলা-পুরুষদের মিলনক্ষেত্র বানানোটা ঠিক নয়।”

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের (Jama Masjid) তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে ‘মহিলা-বিরোধী’ বলে দাবি করা হয়েছে। এই বিষয়ে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Chief Election Commissioner: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Chief Election Commissioner: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানাল কেন্দ্র। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (Chief Election Commissioner) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। এদিন এই প্রসঙ্গেই তার অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    ‘সংবিধানের নীরবতা’

    প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালত এও জানায়, কোনও দৃঢ় চরিত্রের ব্যক্তির এই পদে থাকা উচিত, যিনি নিজেকে বুলডোজ হতে দেবেন না। এর পরেই শেষনের প্রসঙ্গ টেনে দেশের শীর্ষ আদালত বলে, অনেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসেছেন, কিন্তু টিএন শেষন একবারই এসেছেন। এই মামলার শুনানির সময়ই কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতি, যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে ‘সংবিধানের নীরবতা’র উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বুধবার কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দেয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এও বলেছে, ‘সাংবিধানিক নীরবতা’ পূরণ করতে পারে না বিচারবিভাগ। বিচারবিভাগের উচিত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকেই এক্সিকিউটিভের স্বাধীনতাকে সম্মান করা।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে। সম্প্রতি কেন্দ্র ওই পদে বসিয়েছে অরুণ গোয়েলকে। ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আএএস অফিসার তিনি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালত অরুণ গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল খতিয়ে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। এই মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এই বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। শুনানি চলাকালীন তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কাট্রামনিকে অরুণ গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল পেশ করার নির্দেশ দেয়। এর পরেই অরুণ কুমারের আইনজীবী বলেন, অরুণ কুমার শুক্রবার ভিআরএস নিয়েছেন। তার পরের দিনই তাঁকে ইলেকশন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Satyendar Jain: কারাগারে ‘আম’ মন্ত্রীর রাজকীয় ভোজ! সত্যেন্দ্র জৈনের নয়া ভিডিও ভাইরাল

    Satyendar Jain: কারাগারে ‘আম’ মন্ত্রীর রাজকীয় ভোজ! সত্যেন্দ্র জৈনের নয়া ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain) তিহাড়ের জেলে বসে খাচ্ছেন রাজকীয় খাবার। জেলে তেল মালিশের পর সদ্য আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের এই ভিডিও ভাইরাল। ওজন কমে গিয়েছে আঠাশ কেজি। যথেষ্ট খাবার দেওয়া হচ্ছে না জেলে। আদালতে এমন অভিযোগই করেছিলেন দিল্লির জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার এক দিন পরেই প্রকাশ্যে এল একটি সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে দেখা গিয়েছে জেলের কুঠুরিতে বসে ফল, স্যালাড খাচ্ছেন সত্যেন্দ্র। তিহাড় জেলের একটি সূত্র বলছে, প্রকাশ্যে আসা ফুটেজ সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের তিনটি দিনের। সূত্রটির দাবি, এই ফুটেজ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, সত্যেন্দ্রের পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জেলে থেকে দিল্লির মন্ত্রীর ওজন আঠাশ কেজি কমেনি। বরং ৮ কেজি বেড়েছে।

    নতুন ভিডিও

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, আর্থিক তরুপের দায়ে গ্রেফতার হওয়া আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain) জেলের ভিতর নিজের পছন্দের খাবার খাচ্ছেন। ট্যুইটারে পুনাওয়ালা লেখেন, “জনমাধ্যমে আরও একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ধর্ষকের কাছ থেকে মালিশ নেওয়ার পর এখন রাজকীয় খাবার উপভোগ করছেন সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁকে সেলের মধ্যে কর্মীরা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন, যেন কোনও রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছেন তিনি! কালো টাকার কারবারি যেন জেলের ভিতর ভিভিআইপি সুবিধা পান, তা কেজরিওয়ালজি নিজে নিশ্চিত করেছেন”। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খিদে বৃদ্ধিকারক খাবার দিয়ে ভোজন শুরু করার পর স্যালাড সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর জন্য কেনা পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। একজন কর্মী তাঁকে খাবার সাজিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর চেয়ারের কাছে একটি ডাস্টবিনও রেখে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    বিতর্কের কেন্দ্র

    উল্লেখ্য,গত কয়েক দিন ধরেই সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ঘিরে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। যা নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন।সত্যেন্দ্রর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, গত ছ’মাসে শুধুই ফল, সব্জি, দানাশস্য, শুকনো ফল এবং খেজুর খেয়ে রয়েছেন। প্রত্যেক জেলবন্দির জন্য যে রেশন বরাদ্দ থাকে, তার আওতায় ওই ফলমূল কিনে খেয়েছেন বলে দাবি সত্যেন্দ্রের। অভিযোগ ছিল, গত ছ’মাস ধরে ধর্মীয় উপবাস করছেন সত্যেন্দ্র। তা সত্ত্বেও তাঁকে ফল, সব্জি, শুকনো ফল, খেজুর দিচ্ছেন না জেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সত্যেন্দ্রর শরীরে ‘প্রোটিন ও আয়রনের ঘাটতি’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এল এই ভিডিও ফুটেজ। যা নিয়ে পুরভোটের আগে দিল্লির রাজনীতি সরগরম।

  • Shraddha Walkar: মাদকাসক্ত ছিল আফতাব, রিহ্যাব সেন্টারেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শ্রদ্ধা, দাবি মুম্বই অভিনেতার

    Shraddha Walkar: মাদকাসক্ত ছিল আফতাব, রিহ্যাব সেন্টারেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শ্রদ্ধা, দাবি মুম্বই অভিনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে যে, আফতাব মাদকাসক্ত ছিল ও প্রায় ২-৩ বছর ধরে সে নিয়মিত মাদক সেবন করত। আর এ কথা দাবি করেন মুম্বইয়ের এক অভিনেতা ইমরান নাজির খান। তিনি বলেন, শ্রদ্ধা নিজেই ২ বছর আগে তাঁকে এই কথাগুলো বলেছিলেন ও আফতাবকে নেশা মুক্ত করার জন্য তাঁর কাছে রিহ্যাব সেন্টারের খোঁজও করেছিলেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ইমরান। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, শ্রদ্ধা যে আফতাবের সঙ্গে ভালো নেই, সেই কথাও শ্রদ্ধা (Shraddha Walkar) ইমরানকে জানিয়েছিলেন।

    মাদকাসক্ত ছিল আফতাব, দাবি মুম্বই অভিনেতার

    অভিনেতা ইমরান সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি কয়েকদিন মুম্বইয়ের বাইরে নিজের শহর কাশ্মীরের কুপওয়ারার চৌকিবলে ছিলেন, যার ফলে মুম্বইয়ে কী ঘটছে, তা তিনি জানতেন না। পরে যখন তিনি মুম্বইয়ে আসলেন, তারপর শ্রদ্ধার খুনের খবর শুনে তিনি হতবাক। তারপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেন। তিনি বলেন, “শ্রদ্ধার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। ২০২১-এ ফেব্রুয়ারিতে শ্রদ্ধা আমাকে বলেছিলেন, ওঁর জীবন নরকের মত হয়ে উঠেছে। প্রেমিক আফতাব নিয়মিত মাদক সেবন করে। গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে সে মাদকাসক্ত। আফতাবকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানোর কথাও ভেবেছিলেন শ্রদ্ধা। আমাকে তেমন কোনও সংস্থার সঙ্গে যোগযোগ করিয়ে দিতে বলেছিলেন।’’

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    তিনি আরও জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা (Shraddha Walkar) চেয়েছিলেন তিনি যেন আফতাবকে রিহ্যাবে পাঠাতে তাঁকে সাহায্য করে। তাই তিনি শ্রদ্ধাকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে শ্রদ্ধা দিল্লি চলে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। ফলে আফতাবের নেশা ছাড়ানোর জন্য রিহ্যাব সেন্টারের খোঁজ আর শ্রদ্ধাকে দিতে পারেননি ইমরান।

    কে এই ইমরান নাজির খান?

    ইমরান নাজির খান একজন টিভি অভিনেতা। তিনি বিভিন্ন সিরিয়াল যেমন- গাঠবন্ধন (কালারস হিন্দি), আলাদিন – নাম তো সুনা হোগা (সাব টিভি), মরিয়ম খান রিপোর্টিং লাইভ (স্টার প্লাস), হামারি বহু সিল্ক (জি টিভি), ম্যাডাম স্যার (সাব টিভি)- তে অভিনয় করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারও। অন্যদিকে তিনি তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম এবং কন্নড় চলচ্চিত্রেও সাপোর্টিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আবার তিনি বেশ কয়েকটি এনজিওর সঙ্গেও জড়িত আছেন এবং একজন পরিচিত সমাজকর্মীও ইমনরান। তিনি গরীব শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ দিয়ে সহায়তা করেন।

  • Mangaluru: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

    Mangaluru: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) অটোরিক্সা বিস্ফোরণের মূল চক্রী মহম্মদ শারিক। তার সঙ্গে তামিলনাড়ুর যোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, শারিক নিজে কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণে (Coimbatore Blast) অভিযুক্ত জামেসা মুবিনের সঙ্গে গত সেপ্টেম্বরে দেখা করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) সিরিঙ্গানেল্লুরে তারা দুজনে সাক্ষাৎ করেছিল।  

    মেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ…

    শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) বিস্ফোরণের জেরে একটি অটোরিক্সায় আগুন ধরে যায়। অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরে জানা যায়, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল। 

    আরও জানা গিয়েছে, শারিক কোয়েম্বাতুরে একটি ডর্মেটরিতে থাকত। সেখানকারই সুরেন্দ্রন নামে একজনের নামে কেনা সিমকার্ডও ব্যবহার করত। সেই সুরেন্দ্রন অবশ্য এখন পুলিশি হেফাজতে। সুরেন্দ্রন ছাড়া শারিক কোয়েম্বাতুরে আর কার কার সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুরেন্দ্রন কেন তাকে সিম কার্ড ব্যবহার করতে দিল, তাও জানতে চাইছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু অটো বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত

    দীপাবলির ঠিক আগের দিন বিস্ফোরণ ঘটে কোয়েম্বাতুরে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল জামেসা মুবিনের। ওই বিস্ফোরণে শারিকের কোনও হাত রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মুবিনের ছয় সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়েছে ইউএপিএ ধারায়। ঘটনার মূলে পৌঁছতে এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করে শারিকের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে।

    এদিকে, সইদ ইয়াসিন, মাজ মুনির আহমেদ এবং শারিক এই তিনজনে মেঙ্গালুরু (Mangaluru) বিস্ফোরণের রিহার্সাল দিয়েছিল বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। শিবামোগ্গা জেলার তুঙ্গা নদীর তীরে মহড়া দিয়েছিল তারা। সেখানে বিস্ফোরণ সফলও হয়েছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। মূল অভিযুক্ত শারিক ইসলামিক স্টেটের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান তদন্তকারীদের। আইসিসের কয়েকজনের সঙ্গে সইদ ইয়াসিন ও মুনির আহমেদের যোগাযোগও শারিক করে দিয়েছিল বলেই জেনেছেন গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indo Pakistan Border: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    Indo Pakistan Border: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক বড় সাফল্য পেল সীমান্তরক্ষীরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (Indo Pakistan Border) অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে এক পাকিস্তানি। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় খতম করা গিয়েছে ওই অনুপ্রবেশকারীকে। আবার আরও এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতায় ফের ভেস্তে গেল ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতার ছক।

    বিএসএফের গুলিতে খতম অনুপ্রবেশকারী

    সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টর দিয়ে (Indo Pakistan Border) ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল এক পাকিস্তানি। তাঁকে দেখতে পেয়েই প্রথমে সাবধান করে বিএসএফ আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে ওই অনুপ্রবেশকারী কান না দিলে গুলি চালায় বাহিনী। সেই গুলিতে প্রাণ হারায় ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী। বিএসএফ-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জম্মুর আর্নিয়া সেক্টরে এবং সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে সর্তক সেনা জওয়ানরা অনুপ্রবেশের এই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। তিনি আরও বলেন, আর্নিয়া সেক্টরে সীমান্তের দিকে আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে আসতে দেখে বিএসএফ-এর জওয়ানরা পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে থামার জন্য অনেকবার বলা হলেও সে কোনও কর্ণপাত করেনি। তাই অন্য কোন বিকল্প না পেয়ে জওয়ানরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

    গ্রেফতার এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    অপরদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের রামগড় সেক্টর দিয়েও (Indo Pakistan Border) একজন পাকিস্তানি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। সীমান্তের কাঁটাতার টপকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করার সময় পাকড়াও করে বিএসএফ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিএসএফের কর্তারা। পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হবে ওই পাকিস্তানিকে, এমনটাই জানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে।  দুই সেক্টরেই তল্লাশি চালাচ্ছে বিএসএফ জওয়ানরা।

    উল্লেখ্য, চলতি বছরে উপত্যকা রক্তাক্ত হওয়ার অনেক ঘটনাই উঠে এসেছে। একাধিক নাশকতার ছক কষা হয়েছে। এমনকি জইশ, লস্কর সহ একাধিক পাকিস্তানি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই নিয়ে বৈঠকও হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। কোথায় কিভাবে হামলা করা যাবে সেই ব্লু প্রিন্টও নাকি তৈরি হয়েছে। তাই এবারে সীমান্তে কড়া নজর রাখছে বিএসএফ। সীমান্তে পাহারা দেওয়া সত্ত্বেও পর পর জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে যে খুনের ঘটনা ঘটছে তা রুখতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি, ভূস্বর্গে অনুপ্রবেশের ঘটনাও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই ভারত-পাক সীমান্ত  (Indo Pakistan Border) এলাকায় আরও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ।

LinkedIn
Share