Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাখনাকে ‘সুপারফুড’-এর তকমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানালেন, ছিয়াত্তর বছর বয়সেও তাঁর ঝলমলে ও ফিট স্বাস্থ্যের অন্যতম কারণ মাখনা (Makhana)। বছরে কমপক্ষে ৩০০ দিন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই মাখনা খান তিনি। দাবি করেন, গোটা বিশ্বের জন্যই স্বাস্থ্যকর মাখনার উৎপাদন জরুরি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার ভাগলপুরের সভায় মোদি জানান, আজ গোটা ভারত জলখাবারে মাখনা খচ্ছে। এদিন মাখনার (Makhana) মালা দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ভাষণে মোদি বলেন, “আজ গোটা দেশের শহরগুলিতে জলখাবারের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে মাখনা। কেন্দ্রীয় বাজেটে মাখনা বোর্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মাখনা এবার গোটা বিশ্বের খাদ্য বাজারকে শাসন করবে।”

    কোথায় কোথায় হয় মাখনার উৎপাদন

    পদ্ম ফুলের বীজ থেকেই তৈরি হয় মাখনা। কেউ কেউ আবার একে ফক্স নাট বলেও ডাকেন। মূলত, বিহারের মিথিলা এলাকায় তিন জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয় মাখানা। এই চাষের জন্য জলাজমি দরকার হয়। দেশে ধীরে ধীর এই মাখানার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভারতে তৈরি মাখনা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়, আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, আমিরশাহি। কারণ এই সমস্ত জায়গায় বহু প্রবাসী ভারতীয়ের বাস রয়েছে। গত ২ দশক ধরে এই মাখনা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

    বাজেটে মাখনা বোর্ড গঠন

    চলতি বাজেটে বিহারে মাখনা বোর্ড গঠনের কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লক্ষ্য হল মাখনার (Makhana) উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপুল হারে মাখনার বাণিজ্য থেকে অর্থ উপার্জন। উল্লেখ্য, বিহার দেশের ৮০ শতাংশ মাখনা উৎপাদন হয়। যদিও বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও বাণিজ্যে যথেষ্ট কম। সেই কারণেই বোর্ড গঠনের ভাবনা কেন্দ্রের। তিনি জানান, ‘মাখনা চাষিদের ট্রেনিং দেওয়া হবে, এবং নিশ্চিত করা হবে, তাঁরা যাতে সমস্ত সরকারি স্কিমের সুবিধা পান।’ আইএমএআরসি অনুযায়ী, মাখনা ২০২৩ সালে ভারতের মাখনা মার্কেটের দর ৭.৮ বিলিয়ন ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিলে জিআই ট্যাগ পেয়েছে ‘মিথিলা মাখনা’। ধীরে ধীরে মিথিলা অঞ্চল থেকে মাখানার চাষ কোশী উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সাহারসা, সুপৌলেও চাষ চলছে মাখনার। বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ জেলাতেও চলছে এই মাখনার চাষ।

    মাখনার উপকারিতা

    মাখনা (Makhana) বা পদ্মবীজ অনেকেই ডায়েট চার্টে রেখে থাকেন। বলা হচ্ছে, এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের উৎস। এরমধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। বহু গবেষণার দাবি, হার্টের সমস্যা থাকলে, মাখানা উপকার দিয়ে থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি। ওজন কমাতেও এটি সাহায্য করে থাকে। অনেকেই মাখনা ভেজে বা সেঁকে মুড়ি কিম্বা ভেলপুরীর সঙ্গে খান। আবার অনেকে ডালে মাখনা দিয়ে থাকেন। অনেকে স্ন্যাকস হিসাবেও মাখনা খান। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখনা শুধু খেতেই ভালো এমন নয় কিন্তু। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

    ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাখনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস, ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেশি সচল রাখে। স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ভর্তি

    মাখনায় (Makhana) রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। স্ট্রেস থেকে নানা মানসিক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খাবাররে তালিকায় মাখনা রাখলে বিভিন্ন জটিল অসুখ দূরে থাকে। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইফ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাখনা। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য তো অবশ্যই দারুণ উপকারী। এছাড়াও, যাঁদের মধুমেহ নেই, তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মাখনা খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই অহেতুক খিদে পাওয়ার কারণে শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমা হয়। মাখনা (Makhana) এই অহেতুক খিদে পাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না মাখনা। ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখে, ত্বক উজ্জ্বল করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রেখে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মাখনা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত ৬০ কোটি মানুষ এখানে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করবেন বলে অনুমান উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ঢেলে সাজানো হয়েছে কুম্ভ মেলার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ঘন ঘন মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন করেছেন যোগী সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ১৪৪ বছর পরে সম্পন্ন হওয়া মহাকুম্ভ প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। যেমন গত সোমবারে মহাকুম্ভ স্পর্শ করে এক নয়া রেকর্ড। সোমবার, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভস্থল পরিষ্কার করতে মাঠে নামেন। আর এই ইভেন্টই নাম তুলে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। জানা গিয়েছে এর আগে এক সঙ্গে এত সাফাই কর্মীর স্বচ্ছ অভিযানের রেকর্ড (Guinness World Record) ছিল কুম্ভমেলারই। ২০১৯ সালে যে অর্ধ কুম্ভ হয়েছিল, তখন একসঙ্গে ১০ হাজার সাফাই কর্মী স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন।

    লন্ডন থেকে এসেছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তারা

    এ নিয়ে প্রয়াগরাজের মেয়র গণেশ কেসারওয়ানি, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আকাঙ্খা রানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে লন্ডন থেকে পাঠানো হয় ঋষি নাথকে এবং তিনি এই মহাকুম্ভের ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর একসঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানকে খতিয়ে দেখেন।

    চারটি জায়গায় হয় স্বচ্ছতা অভিযান (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ মহাকুম্ভ অভিযান যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বড় পদক্ষেপ। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান হিসেবে উঠে এল। এই স্বচ্ছতা অভিযানে (Mahakumbh) সাফাই কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদেরকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় গঙ্গা সেবা দূত এবং সেক্টর এর দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের। সাফাই কর্মীদের এই স্বচ্ছতা অভিযান চলে মহাকুম্ভের দুই নম্বর সেক্টরের হেলিপ্যাডে, সালোরি নাগবাসুকি ক্ষেত্র, আড়াইল এবং ঝুন্সি ক্ষেত্রে।

    কী জানালেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী

    এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শহর পরিকল্পনা ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী একে শর্মা জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্টে। এই এত বড় কর্মযজ্ঞের পিছনে আসল হিরো হলেন সাফাই কর্মীরা। তাঁরাই এবার সফল হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ডে নাম তুলে।

  • Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দেশের সুরক্ষাই নয়, অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রভাব বিস্তারেও সামরিক শক্তি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। এজন্যই বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার সামরিক শক্তি প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্টে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিধর সামরিক বাহিনীর তালিকায় চার নম্বরে আছে ভারত (Indian Army)। দিল্লির থেকে বেশ কয়েক কদম পিছনে রয়েছে ইসলামাবাদ।

    প্রতিরক্ষায় জোর কেন্দ্রের

    সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাটিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ‘হাইপারসোনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এ ছাড়া অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিতেও উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করতে একের পর এক রণতরী এবং ডুবোজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সবাইকে চমকে দিয়ে গত দু’বছরে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভারও বাড়িয়েছে ভারত। চিন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেট (৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৃদ্ধি করেছে। ভারত তেজস যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো দেশীয় অস্ত্র তৈরির উপর মনোযোগ দিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার ইনডেক্স ০.০৭৪৪, রাশিয়ার ০.০৭৮৮, চিনের ০.০৭৮৮ এবং ভারতের ০.১১৮৪। এরপরের স্থানগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, তুরস্ক এবং ইতালি রয়েছে।

    কয়েক ধাপ পিছনে পাকিস্তান

    আগেরবারও এই তালিকায় ভারত (Indian Army) চার নম্বরেই ছিল। শুধু ২০২৪ সালে নয়, ২০০৬ সাল থেকেই লাগাতার চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত পঞ্চম স্থানে ছিল। আর সেই বছর যে দেশ চতুর্থ স্থানে ছিল, সেই পাকিস্তান ২০২৫ সালে ১২ নম্বরে নেমে গিয়েছে। গত বছর ছিল নয় নম্বরে। অন্যদিকে এবার সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে ৩৫ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কয়েকটি কারণের কথা বলেছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে অন্যতম হল ইসলামাবাদের আর্থিক দুরবস্থা। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের পশ্চিম পারের প্রতিবেশী। এ ছাড়া হাতিয়ারের ব্যাপারে অত্যধিক চিনা নির্ভরতা রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের।

    এক নম্বরে আমেরিকা

    বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে অবশ্য এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০০৫ সাল থেকে চলা ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারে’র তালিকায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই অন্য কোনও দেশ। পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ ওয়াশিংটনের প্রাপ্ত পয়েন্ট ০.০৭৪৪। সমীক্ষকদের দাবি, আমেরিকার হাতে রয়েছে ২১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০০ সৈনিকের এক বিশাল বাহিনী। দেশের বাইরে অন্তত ১০০টি সেনাঘাঁটি রয়েছে ওয়াশিংটনের। সেখান থেকে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ শানানোর ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে আটলান্টিকের পারের এই ‘সুপার পাওয়ার’।

    ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সামরিক শক্তি

    স্থলভাগে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাঙ্ক আছে। গাড়ি আছে ১,৪৮,৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হল ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে ভারতের হাতে।

    পাকিস্তান: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা হল ২,৬২৭। ১৭,৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ৬৬২টি রয়েছে। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা হল ৬০০।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের কাছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক আছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১,৫৮৪টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৫৬টি। রকেট আর্টিলারি ১১০টি রয়েছ।

    আকাশপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা হল ২,২২৯। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। আবার ৮৯৯টি হেলিকপ্টার আছে। আবার অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৮০।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৩২৮। হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৫৭।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের হাতে ২১৪টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৪২। হেলিকপ্টার মাত্র ৬৫টি আছে। কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই।

    জলপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা হল দুই। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা হল ১৩৫।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানর ‘অ্যাসেট’-র সংখ্যা হল ১২১টি। একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই পাকিস্তানের কাছে। ন’টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে পাকিস্তানের হাতে।

    বাংলাদেশ: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাতে ১১৮টি ‘অ্যাসেট’ আছে। ফ্রিগেটের সংখ্যা সাত। সাবমেরিনের সংখ্যা দুটি। ৬১টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে। আর পাকিস্তানের মতো একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই বাংলাদেশের হাতে।

  • ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোহলির শট বাউন্ডারি পেরোতেই উচ্ছ্বসিত উপত্যকা। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতোই আকাশে আতশবাজির রোশনাই বারামুলায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। প্রথমবারের মতো, আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর,ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখল উপত্যকাবাসী। ভারত জিততেই বারামুলা শহর উৎসবের সুরে ভরে ওঠে, যা জম্মু এবং অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। এই জয় শুধুমাত্র ভারতের ক্রিকেট দক্ষতার নয়, বরং আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর কাশ্মির উপত্যকায় পরিবর্তিত মনোভাবের প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তান

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা তুঙ্গে। শুরুতে দুবাইয়ের গ্যালারির কিছু অংশ ফাঁকা থাকলেও পরে তা ভরে যায়। ২৯ বছর পরে কোনও আইসিসি (ICC Champions Trophy) টুনার্মেন্ট পাকিস্তানে, অথচ ‘চিরশত্রু’ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ম্যাচটাই করাচি বা লাহোরের বদলে দুবাইয়ে। এতেই শেষ হচ্ছে না দুর্ভোগ। করাচিতে প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারের পরে, রবিবারও রোহিতদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মহম্মদ রিজওয়ানদের। লাহোর থেকে করাচি, ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ধিকিধিকি। অন্যদিকে ওয়াঘার এপারে খুশির হাওয়া। আট বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওভালে ভারতকে হারিয়ে জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের সেই ম্যাচের বদলা নিল ভারত। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই প্রায় ছিটকে যাওয়ার অবস্থা পাকিস্তানের। প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করেছিল পাকিস্তান। বিরাট কোহলির শতরানে ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতল ভারত।

    ভারতের জয়েই খুশি উপত্যকা

    বারামুলায় এদিন জয় উদযাপন ছিল এক উজ্জ্বল প্রদর্শন। বিশেষত যুবক-যুবতীদের মধ্যে জাতীয় গর্ব এবং উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। যখন আকাশে রঙিন আতশবাজি ফোটে এবং চারপাশে আতশবাজির শব্দ ভেসে আসে, তখন শহরটা জীবন্ত হয়ে ওঠে। বারামুলার মানুষের জন্য, এই জয় শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দলের মাঠে সাফল্য নয়, বরং এক বৃহত্তর গর্ব এবং ঐক্যের প্রতীক। “এটি এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারা এক বিশেষ অনুভূতি,” বলেন এক স্থানীয় যুবক, যার মুখ আলোয় ঝলমল করছে। “ক্রিকেট আমাদের জন্য শুধু খেলা নয়; এটি আমাদের একসাথে নিয়ে আসে।”

    কিং কোহলিতে মুগ্ধ

    এক দিনের ক্রিকেটে ৫১ নম্বর শতরান করে ফেললেন কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ১১১ বলে করা শতরান বুঝিয়ে দিল কেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারিতেই শতরান পূর্ণ কোহলির। সেই শতরান করে হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আছেন, স্বমহিমাতেই আছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর সারা দেশ রাজকীয় এই ইনিংসকে তাড়িয়ে উপভোগ করে। যে কাশ্মীরকে এতদিন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করা হত। প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানায় সেই কাশ্মীরে দাঁড়িয়েই বিরাট-রোহিতদের জয় উদযাপন করল উপত্যকাবাসী। এই জয় আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর উপত্যকাবাসীর মনের অবস্থা পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিল।

    ক্রিকেটই মেলবন্ধন, পরিবর্তিত কাশ্মীরের ছবি

    ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা পেত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট তার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর থেকেই কাশ্মীরে এসেছে পরিবর্তনের জোয়ার। পরিবর্তিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতা নয় মেলবন্ধনই প্রাধান্য পায়। তৈরি হয়েছে নয়া রেলপথ। যা জম্মুকে যুক্ত করেছে বারামুলার সঙ্গে। এখন কাশ্মীরে ভারতের পতাকা ওড়ানো অপরাধ নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এখন রোহিত-বিরাটদের হয়েই গলা ফাটায় কাশ্মীর। যার প্রতিফলন ঘটেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) ভারতের জয়ের পর বারামুলার উচ্ছ্বাসে। ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকদের মধ্যে যে নতুন এক সম্প্রদায়ভিত্তিক অনুভূতি গড়ে উঠেছে। এটি মুহূর্তের উৎসব নয়, বরং কাশ্মীরের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তনের একটি চিহ্ন।

  • PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনব্যাপী ইনভেস্ট এমপি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) হচ্ছে ওই সম্মেলন। এখানে অন্তত ৬০টি দেশের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি জানান, রাজভবন থেকে তাঁর রওনা হওয়ার সময়সূচি আজ অনুষ্ঠিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই অসুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল এখানে পৌঁছে জানলাম, আজ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার সময় ও রাজভবন থেকে আমার রওনা হওয়ার সময় এক সঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল।” তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। তাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে। এই অসুবিধা এড়ানোর জন্য, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়ে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, আমি ভেবেছিলাম সব শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই আমি রাজভবন থেকে রওনা হব। তাই আমি সচেতনভাবে আমার যাত্রার সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করেছি (PM Modi)।”

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব আশাবাদী। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার বিচারে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ সম্পদের দিক থেকেও এটি শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।” তিনি বলেন, “গত দু’দশকে মধ্যপ্রদেশে বহু রূপান্তর ঘটেছে। একসময় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা ছিল, আইন-শৃঙ্খলাও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে শিল্পোন্নয়ন কঠিন ছিল। কিন্তু গত বিশ বছরে, জনগণের সহায়তায়, বিজেপি রাজ্য সরকার শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দশক আগে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ করতেন। আর আজ এটি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগবান্ধব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।”

    সম্মেলনে ৬০টি দেশের উদ্যোক্তা, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ৬ জন হাই কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন কনসাল জেনারেল (Bhopal) অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি, নাদির গোদরেজ, পিরুজ খানবাটা, বাবা এন কল্যাণী, রাহুল আওয়াস্থী এবং নীরজ আখৌরি (PM Modi)।

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। ইতিমধ্যেই সেখানে রচিত হয়েছে ইতিহাসও। পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে ৬০ কোটি মানুষ নিজেদের পুণ্যস্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেই প্রয়াগরাজেই এবার বাঙালিরা তুলছেন জয় শ্রী রাম ধ্বনি (Jai Shri Ram)। যা বর্তমান সময়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পশ্চিমবঙ্গ (Mahakumbh) থেকে আগত ভক্তরা দলে দলে প্রয়াগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলছেন এবং মহা কুম্ভের বিভিন্ন সেক্টর পরিদর্শন করছেন- এই দৃশ্যই ধরা পড়ল। একইসঙ্গে হর হর গঙ্গে, ব্যোম বাম ভোলে ধ্বনিও উঠছে সেখানে।

    মমতার মন্তব্য মানতে পারেনি হিন্দু সমাজের বড় অংশ (Mahakumbh)

    কেউ কেউ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের তীর্থযাত্রীদের মহাকুম্ভে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ার পিছনে কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) মৃত্যুকুম্ভ বলে তোপ দেগেছেন। এতেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের বড় অংশ অসন্তুষ্ট বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার বাঙালিরা কুম্ভে গিয়ে ধ্বনি তুললেন জয় শ্রী রাম। অর্গানাইজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল রবিবার আসানসোল থেকেই দু হাজারেরও বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন ৪০টি বাসে করে পবিত্র প্রয়াগরাজে। কুম্ভ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাড়ায় পাড়ায় উন্মাদনা নজরে পড়ছে। এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার সমাজমাধ্যমে কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব ছড়িয়ে না পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন।’’

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে পাঁচ পরিবর্তনের কথা শোনালেন মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে পাঁচ পরিবর্তনের কথা শোনালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত আরএসএসের পঞ্চ পরিবর্তন নীতিকে ব্যাখ্যা করলেন। প্রসঙ্গত, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠন বলে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে আরএসএসের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অধীনে কাজ করছে ৬৩টিরও বেশি শাখা সংগঠন। হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে প্রত্যেক জায়গাতেই রয়েছেন রাষ্ট্রের স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রচারকরা। ব্যক্তি নির্মাণের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ- এই তত্ত্বে বিশ্বাস রাখা আরএসএস পঞ্চ পরিবর্তনের কথা বলছে। এরই ব্যাখ্যা গতকাল রবিবার অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে দিয়েছেন সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত অসমের গুয়াহাটি মহানগর শাখার পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রবিবারই। সেখানেই হাজির ছিলেন সংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat)।

    পঞ্চ পরিবর্তন নীতি

    এই অনুষ্ঠানে হাজারেরও বেশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবককে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তাঁরা সমবেত হয়েছিলেন গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া সাউথ পয়েন্ট স্কুলের মাঠে। সেখানেই বক্তব্য রাখেন সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁর বক্তব্যেই উঠে আসে সমাজ পরিবর্তনের নানা বিষয়। সামাজিক সম্প্রীতি কিভাবে রক্ষা হবে, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য আমাদের ভূমিকা কী এবং সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানের জন্য আমরা ঠিক কী কী করব। এই সমস্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। গতকাল রবিবার তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখেন । তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পঞ্চ পরিবর্তনের কথা। এই পঞ্চ পরিবর্তন হল-

    – সামাজিক সম্প্রীতি
    -পারিবারিক মূল্যবোধ
    -পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা
    – স্বদেশিয়ানার অভ্যাস
    -নাগরিক কর্তব্য

    কী বললেন মোহন ভাগবত?

    নিজের বক্তব্যে সংঘ প্রধান জোর দেন ভারতবর্ষের ঐক্য এবং বিবিধতার ওপরে। এদিন তিনি ডাকও দেন ভারতবর্ষের জাতপাত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে একত্রিত হওয়ার। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সম্প্রীতির পরিবেশ যখন সমাজে গড়ে ওঠে, তখন সেটা পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার জায়গা থেকেই তৈরি হয়। আমাদেরকে অন্য জাতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানাতে হবে। সমস্ত হিন্দু মন্দির, যে জায়গাগুলো আমরা জল সংগ্রহ করছি সেগুলি, যেখানে হিন্দুদের মৃতদেহ সৎকার করা হয় সেই মাঠগুলি- এই সব কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য প্রয়োজন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’’

    গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালকের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে পারিবারিক মূল্যবোধের কথা। প্রকৃতিকে রক্ষা করার কথা। প্রতিটি পরিবারকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে কথা। প্রসঙ্গত সংঘের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন, ‘‘যে কাজ ব্যক্তি তাঁর পরিবারের জন্য করেন, সেই কাজই যখন তিনি সমাজের জন্য করতে শুরু করেন, তখনই তাঁকে স্বয়ংসেবক বলা হয়।’’ পারিবারিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সমাজ গঠন। সেই তত্ত্বই এদিন যেন প্রতিফলিত হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর সংঘচালকের ভাষণে। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের চিন্তা করতে হবে, সামাজিক সুখের কথা। সর্বদাই আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর। সেখানে যেন আমরা একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারি। আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক মূল্যবোধের ওপরেও। কারণ এই পারিবারিক বন্ধন ও মূল্যবোধ থেকেই তৈরি হয় একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ সমাজ।’’

    বাঁচাতে হবে প্রকৃতিকে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সামনে অনেক কিছু পরিবেশের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জলবায়ুর দূষণ থেকে প্রকৃতিকে ধ্বংস করার মতো নানা রকমের কাজ। এখন চোখের সামনে দেখা যায়। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। জল সংরক্ষণ করতে হবে। প্লাস্টিকের ওপর যে নির্ভরশীলতা আমাদের রয়েছে তা আমাদের কমাতে হবে।’’ একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে তুলে ধরেন বৃক্ষরোপণ। তিনি বলেন, চারা গাছ আমাদেরকে রোপণ করতেই হবে এবং এটা কোন পছন্দের বা অপছন্দের বিষয় নয়। এটা আমাদের কর্তব্য হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করার জন্য।

    গুরুত্ব স্বদেশিয়ানায়

    এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত স্মরণ করিয়েছেন, আমাদের স্বদেশিয়ানার কথা। তিনি বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের অভ্যাস করতে হবে মাতৃভাষার চর্চার। আমার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কথা বলব মাতৃভাষায় এবং ব্যবহার করব তাঁতের তৈরি কাপড়। এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত হবে। নাগরিক কর্তব্যের দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের মেনে চলতে হবে আমাদের সমাজে চলার জন্য যে ঐতিহ্যবাহী নিয়মগুলি রয়েছে সেগুলি। আমাদের মনে রাখতে হবে, এগুলি কোনও আইনের বইতে বলা নেই। নাগরিক কর্তব্য শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ নেই যে আমি ট্রাফিক নিয়ম মানলাম কিংবা ট্যাক্স দিলাম। এটা সম্পূর্ণটাই দাঁড়িয়ে আছে নৈতিকতার ওপরে। আমাদের সামাজিক সদ্ভাবকে বজায় রাখতে গেলে এটি ভালো করে আমাদেরকে পালন করতে হবে।’’

  • BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শৌচালয়ের নাম করে বাঙ্কার বানাচ্ছিল পাকিস্তান (Indo-Pak Border)! আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবৈধ নির্মাণে লিপ্ত পাক সরকার। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বারমেরে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বাঙ্কার তৈরি করছিল পাকিস্তান। এই বেআইনি নির্মাণকাজ ধরে ফেলে বিএসএফ (BSF)। এরপরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় এই ভবনটি শৌচালয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। যদিও বিএসএফ এই দাবি মানতে নারাজ। তারা অবিলম্বে ওই ভবন ভেঙে ফেলতে জানিয়েছে পাকিস্তানকে।

    সীমান্তে বেআইনি নির্মাণ

    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কিছু তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ, এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বারমের জেলায় (Indo-Pak Border) গাদরায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রবিবার রাতে অবৈধ নির্মাণ কাজ করে পাকিস্তান। দাবি ভারতীয় সেনার। বিএসএফ (BSF) জানায়, সীমান্তের সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কমান্ডার কর্তৃক এই নির্মাণ নিয়ে পাকিস্তানকে প্রতিবাদ নোট পাঠানো হয়েছে। এরপরই জুনিয়র অফিসারদের একটি ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। যেখানে ওই নির্মাণটি যে ১৫০ গজের মধ্যে ছিল এই বিষয়টি পাকিস্তান (India-Pakistan) অস্বীকার করে। এদিকে, পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে, তারা সৈন্যদের জন্য একটি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করছে এবং এটি কোনও বাঙ্কার বা পর্যবেক্ষণ পোস্ট নয়। যদিও, এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    বিএসএফ-এর হুঁশিয়ারি

    বিএসএফ-এর (BSF) এক অফিসার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত করা হয়েছে এবং মাঠে কর্তব্যরত ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা নির্মাণস্থলের মাপ পরিমাপ করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তান রাতে এটি তৈরি করেছে, এর মানে তারা জানত যে এটি অবৈধ। সদর দফতরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক চেয়েছেন। পাকিস্তান রেঞ্জার্স এখনও সাড়া দেয়নি। যদি তারা নির্মাণ অব্যাহত রাখে, তাহলে বিএসএফও তাদের সামনে একটি অনুরূপ বাঙ্কার তৈরি করবে।” এই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রাজস্থান প্রশাসনের আওতাধীন, সীমান্ত এলাকা বিএসএফের গুজরাট ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বে। বিএসএফ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ২,২৯৬.৬৬ কিলোমিটার এবং কন্ট্রোল লাইন (LoC) এর ৪৩৫ কিলোমিটার পাহারা দেয়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

  • Mahakumbh: ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ অমৃত স্নান, জোরকদমে প্রস্তুতি যোগী সরকারের, বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল

    Mahakumbh: ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ অমৃত স্নান, জোরকদমে প্রস্তুতি যোগী সরকারের, বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রির দিন। যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার মহা শিবরাত্রির স্নানের জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং এবং পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার মহাকুম্ভ (Mahakumbh) নগর পরিদর্শন করেছেন। সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। অন্যদিকে, এই শেষ পুণ্যস্নানে যেন ভক্তদের যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয় সেদিকে তাকিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতীয় রেলও।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের ডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘‘আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবস্থা করছি যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়। ট্রাফিক কন্ট্রোল কিভাবে করা হবে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করা হবে এবং তীর্থযাত্রীরা সহজেই কীভাবে পুণ্যস্নান করতে পারবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া চলছে। আমরা মনে করি, আমাদের এই চেষ্টায় ভক্তদের কোনও রকমের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে না।’’

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের দিকেও কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব না ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) যা শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন সনাতন ধর্মের।’’

    বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল

    কুম্ভের শেষ পুন্যস্নান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করছে ভারতীয় রেলও। পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করল রেল। বিশেষ করে জংশনগুলিতে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উত্তর রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। প্রয়াগরাজ, বারাণসী, দীনদয়াল উপাধ্যায়-সহ একাধিক স্টেশনে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল।

LinkedIn
Share