Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Noida Twin Towers: মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার!

    Noida Twin Towers: মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটিতে মিশে যেতে সময় লাগল মাত্র ৯ সেকেন্ড। সেই সময়ের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নয়ডার (Noida) টুুইন টাওয়ার (Twin Towers)। মুহূর্তে ধুলোয় ঢাকল এলাকা। জোড়া এই টাওয়ার তৈরি করেছিল সুপারটেক লিমিটেড (Supertech Ltd.)। এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তার পরেই কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টুইন টাওয়ার।

    নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে সুপারটেক তৈরি করেছিল ওই জোড়া টাওয়ার। নাম দেওয়া হয়েছিল অ্যাপেক্স (Apex) ও সিয়ানে (Ceyane)। অ্যাপেক্সে ছিল ৩২টি ফ্লোর, আর সিয়ানে ছিল ২৯টি। দেশের উচ্চতম বহুতল এই জোড়া টাওয়ার। দুটি টাওয়ারে ছিল ৯১৫টি ফ্ল্যাট, ২১টি দোকান এবং দুটি বেসমেন্ট। জোড়া এই বহুতল দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এদিন ভেঙে ফেলা হয় ওই জোড়া টাওয়ার। এদিন সকাল থেকেই এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব। দুপুর ২ টো ১৫ মিনিট থেকে ২ টো ৪৫ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় নয়ডা-গ্রেটার নয়দা এক্সপ্রেসওয়ে। টাওয়ারের চারপাশে মোতায়েন করা হয় ৫০০ পুলিশ কর্মী। তার ঢের আগেই এলাকাটিকে ঘোষণা করা হয় নো-ফ্লাই জোন। সরিয়ে দেওয়া হয় টুইন টাওয়ার লাগোয়া দুটি বহুতলের হাজার পাঁচেক বাসিন্দাকে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পথকুকুরদের। ঘড়ির কাঁটা ২.৩০ ছুঁতেই ঘটানো হয় বিস্ফোরণ। ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ হয়ে যায় জোড়া টাওয়ার।

    নির্মাতা সংস্থা সুপারটেকের তরফে জানানো হয়, নয়ডা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি প্ল্যান অনুমোদন করার পরে প্ল্যান মেনেই তৈরি করা হয়েছিল টুইন টাওয়ার। সুপার টেকের চেয়ারম্যান আরকে অরোরা বলেন, টাওয়ার তৈরিতে কোনও বিচ্যুতি ঘটেনি। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়কে সম্মান জানাতেই ভেঙে ফেলা হল টুইন টাওয়ার। টাওয়ার ভাঙার কাজ করছিল মুম্বইয়ের ইডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং। কন্ট্রোলড ইমপ্লোশান পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় দেশের সর্ব্বোচ্চ ওই টাওয়ারকে। এলাকায় ক্ষতি যাতে কম হয়, তাই কাজে লাগানো হয় এই পদ্ধতি।

    আরও পড়ুন : চোখের পলকে ধূলিসাৎ! ১০০ মিটার উচ্চতার ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ ভেঙে ফেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-Pakistan Border: ভারত-পাক সীমান্তে সিধু মুসেওয়ালার গান বাজাল পাকিস্তানি সেনা, নেচে উঠলেন ভারতীয় জওয়ানরা

    India-Pakistan Border: ভারত-পাক সীমান্তে সিধু মুসেওয়ালার গান বাজাল পাকিস্তানি সেনা, নেচে উঠলেন ভারতীয় জওয়ানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) আর না থাকলেও তাঁর গান তো রয়েছেই কিন্তু এবারে তাঁর গানের তালে মিলেমিশে গিয়েছে দুই শত্রু দেশও। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সিধু মুসেওয়ালার গান বাজছে ভারত-পাক সীমান্তে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি মুসেওয়ালার গানের তালে তালে কোমর দোলাচ্ছেন ভারতীয় ও পাক জওয়ানরা। আর এই ভিডিও শেয়ার করতেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    এর থেকেই বোঝা গেল সিধুর গান শুধুমাত্র ভারতেই জনপ্রিয় নয়, পাকিস্তানেও সিধুর গান তেমনভাবেই জনপ্রিয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান থেকে হঠাৎই সিধু মুসেওয়ালার জনপ্রিয় ‘বামবিহা বোলে’ (Bambiha Bole) গানটি ভেসে আসে। অন্যদিকে সেই গানের তালে পা মেলান ভারতীয় সেনারা। ইতিমধ্যেই এর ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন আইপিএস আধিকারিক এইচজিএস ঢালিওয়াল। আর ভারত-পাক সীমান্তের এই ভিডিও দেখে উচ্ছ্বসিত নেটনাগরিকরা। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে বাজছে মুসেওয়ালার গান। ভেদাভেদ ঘুচিয়ে সংযোগ স্থাপন।’

    আরও পড়ুন: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের, প্রকাশ্যে ভিডিও

    ২৯ সেকেন্ডের এই ভিডিও-র কমেন্ট সেকশনে হাজার হাজার মানুষ কমেন্ট করেছেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩ লক্ষেরও উপর শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি। কেউ কমেন্টে প্রয়াত গায়ক সিধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কেউ আবার ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, সংগীতের এটিই সৌন্দর্য ও শক্তি যে দুটো দেশকে এক করেছে।

    প্রসঙ্গত, সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পর প্রায় তিন মাস কেটে গেছে। ২৯ মে ভারতের পাঞ্জাবের মানসায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত রাস্তায় গুলি করে মারা হয় জনপ্রিয় গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে। তিন দিক থেকে গুলি চালানো হয় তার ওপর। ঘটনাস্থলেই মারা যান সিধু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajeev Chandrashekhar: সুরক্ষার খাতিরে সরকার নজরদারি চালাতে পারে, পেগাসাস ইস্যুতে বললেন রাজীব চন্দশেখর

    Rajeev Chandrashekhar: সুরক্ষার খাতিরে সরকার নজরদারি চালাতে পারে, পেগাসাস ইস্যুতে বললেন রাজীব চন্দশেখর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে আতঙ্কবাদী হামলা থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে নজরদারি চালানোর অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। শুক্রবার পেগাসাস ইস্যুতে (Pegasus Spyware) এমন মন্তব্য করলেন বৈদ্যুতিন এবং তথ্য কারগরি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrashekhar)। ডিজিটাল প্রাইভেসি নীতিতে বদল আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র, এদিন এমনটাও জানান তিনি।  

    সম্প্রতি পেগাসাস মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্যানেল স্পষ্ট জানায় যে, পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তে সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। কমিটি যে ২৯টি ফোন পরীক্ষা করেছিল তার মধ্যে পাঁচটিতে ম্যালওয়্যারের (Malware) খোঁজ মিলেছে। তবে তা পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনা তার নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    গত বছর সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি। ইজরায়েলে তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, ব্যবসাসী, বিচারপতি এমনকি বিজেপির মন্ত্রীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও রাজ্য সরকার এই স্পাইওয়্যার কিনে ব্যক্তিগত পরিসরে নজর রাখছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে কমিটি তৈরি করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।  মাস খানেক আগে সুপ্রিম কোর্টে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে।

    এই বিষয়ে চন্দশেখর বলেন, “আমি জানতে পেরেছি ২৯টি মোবাইল পরীক্ষা করে ৫টিতে ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেটা আদেও পেগাসাস কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে কেন্দ্র চাইলে সুরক্ষার স্বার্থে নজরদারি চালাতেই পারে। সেই অধিকার তাদের রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান আইটি অ্যাক্ট ২২ বছরের পুরনো। ডিজিটাল প্রাইভেসি আমাদের সরকার নতুন আইন আনতে চলেছে। আমরা আন্তর্জাতিক মানের সাইবার আইন আনতে চাই। যাতে সকলের সুবিধা হয়। টেকনজি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে চাই।”

    মন্ত্রী বলেন, “২০,০০০ কোটি টাকার ফোন ভারতে তৈরি হয়ে বিদেশে বিক্রি হয়। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে সরকার এই সংখ্যাকে ২১ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে চায়। এর মধ্যে ৮ লক্ষ কোটি টাকার ফোন বিদেশে বিক্রি করতে আগ্রহী ভারত।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • GN Azad Quits Congress: দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক! বিস্ফোরক মন্তব্যের  পর কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন আজাদ

    GN Azad Quits Congress: দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক! বিস্ফোরক মন্তব্যের পর কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের ‘হাত’ ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। শুধু সব পদ ছাড়াই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। আজাদের দাবি, রাহুল সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে গিয়েছে। যে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ইউপিএ (UPA) সরকার সফল হয়েছিল, সেই সিনিয়রদেরই উপেক্ষা করেছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন রাহুলের নেতৃত্বে, ‘দেশের জন্য যা ভাল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।’ তাঁর মতে, “এখন দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক।”

    পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে গুলাম নবি লিখেছেন, ‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটা প্রহসন। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের নির্বাচনই হয়নি।’বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের হারের অন্যতম কারণ, রাহুল গান্ধীর অপরিণতমনস্কতা এবং ছেলেমানুষি। যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করানো একটি অর্ডিন্যান্স প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, তাতেই প্রচারের হাতিয়ার পেয়েছিল বিরোধীরা।

    এখানেই থামেননি আজাদ। দীর্ঘ চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেছেন, “২০১৪ সালের পর রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেস দুটি লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। ৪৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৩৯টি হেরেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস নিজের দমে মাত্র ৪টি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতেছে। আর ৬ বার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে। দুঃখজনকভাবে আজ কংগ্রেস মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায়। আর দুটি রাজ্যে শাসক জোটের প্রান্তিক শক্তি।”

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    চিঠিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কথা যেমন পদত্যাগপত্রে তুলে ধরেছেন গুলাম নবি, তেমনই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্কের’ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। কয়েক দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি এবং রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গুলাম নবি। ২০২০ সালের অগস্টে যে ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আজাদ। পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে তাঁর দাবি, ৮ বছরে নেতৃত্বের অপদার্থতায় কংগ্রেস এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • CJI Ramana on Freebies: ভোট খয়রাতি মামলা গেল নয়া বেঞ্চে, শেষ দিনে নির্দেশ রামানার

    CJI Ramana on Freebies: ভোট খয়রাতি মামলা গেল নয়া বেঞ্চে, শেষ দিনে নির্দেশ রামানার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শুক্রবারই ছিল এনভি রামানার (NV Ramana) শেষ দিন। এদিন পাঁচটি মামলার রায়দান করার কথা তাঁর। দিনের শুরুতেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Electotal Freebies) নিয়ে আদালতে গড়ানো মামলার রায়দান করেন তিনি। মামলাটি নয়া বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (CJI)। যেহেতু এদিন ছিল সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন, তাই এদিন পাঁচটি মামলার রায়দানই প্রদর্শন করা হয়েছে অনলাইনে।

    ক্ষমতায় আসতে নির্বাচনের আগে বেবাক প্রতিশ্রুতি  দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা রয়েছে ভোটারদের হাতে। ভোটাররা দল এবং দলীয় প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। শেষ শুনানিতে আমরা কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে সর্বদল বৈঠক ডাকতে বলেছিলাম। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা জানিয়েছিল, এগুলি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, এগুলি জনকল্যাণ মূলক প্রতিশ্রুতি। ২০১৩ সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, বিনামূল্যে টিভি কিংবা ল্যাপটপ দেওয়া দুর্নীতি নয়। এটা বরং রাজ্যবাসীর জন্য রাজ্যের জনকল্যাণমূলক নীতি। এ নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন আছে বলে এদিনও জানিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হল, কেন সর্বদল বৈঠক হচ্ছে না, কেন্দ্রই বা কেন বৈঠক ডাকছে না?

     

  • Black Panther: দুবছর পর ফের মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে দেখা গেল ‘ব্ল্যাক প্য়ান্থার’, ভাইরাল ভিডিও

    Black Panther: দুবছর পর ফের মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে দেখা গেল ‘ব্ল্যাক প্য়ান্থার’, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবছর পর ফের দেখা গেল ব্ল্যাক প্যান্থার। বনদপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভে প্রাণীটিকে দেখা যায়। মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে পর্যটকরা ঘুরতে বেড়োনোর সময় এই প্রাণীটিকে দেখতে পান। তখই তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এই দৃশ্যটিকে ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস, দিনটির তাৎপর্য জানেন কি?

    আপনারা নিশ্চয় ‘দ্য জঙ্গল বুক’ দেখেছেন। তবে জানেন কী এই কাল্পনিক বইয়ের ‘বাঘীরা’ নামক ব্ল্যাক প্যান্থারের থেকেই এই প্রজাতিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ফরেস্টে রেঞ্জার রাহুল উপাধ্যায় (forest ranger Rahul Upadhyaya) সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শেষবার পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভে ব্ল্যাক প্যান্থার দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। সেবছর একটি ব্ল্যাক প্যান্থারের শাবককে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা যায়। পরে এটিকে মহারাষ্ট্রের কাছে খাবাসা ফরেস্টে (Khavasa Forest) দেখা যায়। অনুমান করা হয়েছে, সেই ব্ল্যাক প্যান্থারটির বয়স এখন ২ বছর হবে। এই ব্ল্যাক প্যান্থার ও এখন যেই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে উভয়ই একই মায়ের থেকে জন্ম হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, সেই মা বাঘটি প্রথমে দুটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। যার মধ্যে একটির রং কালো এবং একটির রং সাধারণ বাঘের মতই ছিল। আবার দ্বিতীয়বারের সময় ৩টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল, এর মধ্যে একটিই ছিল কালো যেটি এখন সবার কাছে হয়ে উঠেছে আকর্ষণ। ২০ অগাস্ট, পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভ নিজেদের ট্যুইটারে এই ব্ল্যাক প্যান্থারের ভিডিওটি শেয়ার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর থেকেই এটি ব্যাপক ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গ, নাসিক, মুম্বইের পর্যটকরা এই বিরল  প্রজাতির ব্ল্যাক প্যান্থারটি দেখা সুযোগ পেয়েছে।  

    আরও পড়ুন: চলতি বছরে ২৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে, দেশে সর্বাধিক 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonali Phogat: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    Sonali Phogat: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনালি ফোগাট (Sonali Phogat) মৃত্যু মামলায় তাঁর দুই সহকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Goa Police)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তত্ত্ব মানতে আগেই নারাজ ছিল পরিবার। এবার পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও (Autopsy Report) মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও ঘনীভূত হল রহস্য। অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের মৃত্যু ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। বৃহস্পতিবার সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বিজেপি নেত্রীর শরীরে। ভোতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল সোনালিকে, এমনটাই জানানো হয়েছে। সোনালির পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন (Rape and Murder) করা হয়েছে সোনালিকে।  

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন বিজেপি নেত্রীকে! বিস্ফোরক অভিযোগ সোনালি ফোগাটের পরিবারের

    সোমবারই সহকারী ও বন্ধুদের নিয়ে গোয়ায় যান হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট করতেও দেখা যায় ওই টিকটক তারকাকে। বিকেলে শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই রাতে অসুস্থ বোধ করায় গোয়ার সেন্ট অ্যান্টনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় সোনালির। প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ উল্লেখ করা হলেও সেই দাবি মানতে রাজী হয়নি পরিবার। 

    সোনালির পরিবারের থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে গোয়া পুলিশ। এরপরই বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হয় সোনালি ফোগাটের দেহের। গোটা ময়নাতদন্তের রেকর্ডিংও করা হয় প্রমাণের জন্য। বিকেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, শরীকে একাধিক ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন বিগবস প্রতিযোগী বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট 

    এরপরে ওইদিন বিকেলেই সোনালির খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সঙ্গন ও বন্ধু সুখবিন্দর ওয়াসিকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ। 

    এদিকে, সোনালি ফোগাটের ভাইও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিন বছর আগে সোনালিকে ধর্ষণ করেছিল সুধীর ও সুখবিন্দর। খুনের হুমকিও দেওয়া হত তাঁকে। দীর্ঘ সময় ধরেই ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করছিলেন  অভিযুক্তরা। তাঁর আরও দাবি, মৃত্যুর আগে শেষবার যখন সোনালির সঙ্গে কথা হয়েছিল, তখন তিনি খাবারে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মা ও বোনের সঙ্গে কথা বলার সময়ও সোনালি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Army Commander: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকা পরিদর্শনে আর্মি কমান্ডার, কেন জানেন?

    Army Commander: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকা পরিদর্শনে আর্মি কমান্ডার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) এলাকা পরিদর্শন করলেন নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার (Northern Army Commander) লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। শনিবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। সেনাবাহিনীকে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শও দেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

    সেনার এক মুখপাত্র জানান, বর্তমানে উপেন্দ্র পাঁচ দিনের সফরে কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলে এসেছেন। কথা বলেছেন বাহিনীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সেনা কমান্ডার বাহিনীর প্রশংসা করেছেন দ্বিবেদী। বলেছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের কর্তব্যে অবিচল রয়েছেন। পেশাদারিত্বের চূড়ান্ত নিদর্শন তাঁরা। সেনাদের সঙ্গে গোটা দেশ রয়েছে জানিয়ে দ্বিবেদী বাহিনীর জওয়ানদের উৎসাহিতও করেন।

    দ্বিবেদী লাদাখে পৌঁছেছিলেন শুক্রবার। সেখানে তিনি মেজর জেনারেল মনজিৎ সিং মোখার সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। বাহিনীর প্রস্তুতির প্রশংসাও করেন তিনি। দ্বিবেদী সেনা জওয়ানদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সেনার ভূমিকার প্রশংসার সুরও শোনা যায় তাঁর গলায়। সেনার ওই মুখপাত্র জানান, নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এদিন লাদাখ স্কাউটস রেজিমেন্টাল সেন্টারে গিয়ে পদাতিক সৈনদের আধুনিকীকরণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। পরে একটি বৈঠকও করেন। স্কাউটস রেজিমেন্টাল সেন্টারের পরে আর্মি কমান্ডার ত্রিশূল ডিভিশন পরিদর্শন করেন। অগাস্টের ২৮ এবং ২৯ তারিখ তিনি পূর্ব লাদাখের স্ট্রাইক ১ ইউনিট পরিদর্শন করবেন।

    আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা নিয়োগ স্থগিতের আর্জি নেপালের

    মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পোলেসি সম্প্রতি তাইওয়ান পরিদর্শন করেন। তার পরেই তলানিতে গিয়ে ঠেকে চিন তাইওয়ান সম্পর্ক। পোলেসির সফরের পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। সমরসজ্জা শুরু করে দেয় দুই দেশই। এহেন পরিস্থিতিতে নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jharkhand Politics: সরকার বাঁচাতে জোটের বিধায়কদের নিয়ে অতিথিশালায় সোরেন, ফের কোথায় যাচ্ছেন জানেন?

    Jharkhand Politics: সরকার বাঁচাতে জোটের বিধায়কদের নিয়ে অতিথিশালায় সোরেন, ফের কোথায় যাচ্ছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের নামে কয়লা খনি (Coal Mine) লিজ দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন খোদ ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বিজেপির (BJP) তরফে এই অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। বিপদ আঁচ করে এবার জোট সরকারের বিধায়কদের নিয়ে ঝাড়খণ্ডের লাট্রাটু বাঁধ (Latratu Dam) এলাকার একটি অতিথিশালায় আশ্রয় নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৮১। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দখলে রয়েছে ৩০টি আসন। কংগ্রেসের দখলে ১৮টি। আর আরজেডির হাতে রয়েছে একটি আসন। কংগ্রেস এবং আরজেডিকে নিয়ে জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। এদিকে, ওই বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ২৬।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজ হতে পারে আশঙ্কা করে শনিবার বিকেলে বৈঠকে বসেন জোট সরকারের বিধায়করা। তার পরেই তিনটি বাসে করে লাট্রাটু বাঁধের দিকে রওনা দেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সেখানকার একটি অতিথিশালায় আশ্রয় নিয়েছেন বিধায়করা। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জেরে মাছি গলারও জো নেই সেখানে। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, জোট সরকারের বিধায়কদের পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ছত্তিশগড় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য ছত্তিশগড়ের বারমুডা ও রায়পুর এবং বাংলার কয়েকটি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    এক ট্যুইট বার্তায় এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি লিখেছেন, কেন্দ্র কতটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করতে পারে, তাতে কিছু যায় আসে না। আমি উপজাতি সন্তান। আমি ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র। আমরা ভয় পাই না, লড়াই করি। হেমন্ত বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে আমাদের বিরোধীরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করছে।আমাদের সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে তারা ইডি, সিবিআই, লোকপাল এবং আয়কর দফতরকে ব্যবহার করছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন নই। বিরোধীরা নয়, আমাদের ক্ষমতায় এনেছে জনগণ।

    মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে চাইছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে গিয়েছিলেন প্রথম গুজরাট ও পরে বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকার একটি নামকরা হোটেলে ছিলেন তাঁরা। এবার সরকার বাঁচাতে জোট সরকারের বিধায়কদের নিয়ে রিসর্টে আশ্রয় নিলেন হেমন্ত সোরেন।

    রিসর্ট সংস্কৃতি এসেছে ফিরিয়া!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tejashwi Yadav: চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    Tejashwi Yadav: চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় (Land for Jobs Scam) গ্রেফতার হতে পারেন বিহারের (Bihar) উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। তেজস্বীর বাবা লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) রেলমন্ত্রী ছিলেন ইউপিএ-১ (UPA-1) এর জমানায়। ওই সময়ই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআইসয়ের (CBI) সূত্র উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।

    সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে একটি হার্ড ডিস্ক এসেছে। তাতে রয়েছে একটি তালিকা। ওই তালিকায় ১ হাজার ৪৫৮ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। অভিযোগ, চাকরি পেতে এঁরা যাদবদের জমি লিখে দিয়েছিলেন। যে সময় এই কাণ্ড হয়, সেই সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। তালিকা তৈরি করেছিলেন লালুর পুত্র তেজস্বী। সেই তেজস্বীই এখন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। গত মাসে সিবিআই হানা দেয় তেজস্বীর বাড়িতে। তখনই উদ্ধার হয় হার্ড ডিস্ক। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে কেলেঙ্কারি।

    সূত্রের খবর, চাকরি প্রার্থীদের দেওয়া জমি লিখে নেওয়া হয়েছিল বন্ধু এবং পরিবারের নামে। তল্লাশি চালানোর সময় তেজস্বীর বাড়ি থেকে যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়, তাতে নাম যে হাজারেরও বেশি জনের নাম রয়েছে তার মধ্যে ১৬ জনের ক্ষেত্রে তথ্য যাচাই করা হয়েছে। তার পরেই দ্রুত এগোতে শুরু করেছে সিবিআই তদন্ত। জানা গিয়েছে, সিবিআই এ ব্যাপারে রেলকে চিঠি লিখতে চলেছে। ওই চিঠিতে ওই ১,৪৫৮ জন চাকরি প্রার্থীর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হবে। এঁরা ভুল নথি এবং শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন : দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?

    সূত্রের খবর, এই প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কী বেআইনি কাজ হয়েছে, তার তদন্ত করতে গিয়ে তেজস্বীকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তেজস্বীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু জোরালো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সেটাকে হাতিয়ার করেই গ্রেফতার করা হতে পারে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীকে। ইউপিএ-১ আমলে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলে লালু প্রসাদ। সেই সময়ই দুর্নীতি হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিমত। চাকরি পেতে প্রার্থীরা টাকা নয়, জমি লিখে দিয়েছিলেন যাদব পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নামে। এর পরিবর্তে রেলের বিভিন্ন জোনে এঁরা চাকরি পেয়েছেন গ্রুপ-ডি পদে। সিবিআইয়ের তরফে দায়ের করা এফআইআরেও বলা হয়েছে, চাকরি পেতে পাটনায় থাকা প্রচুর জমি প্রার্থীরা লিখে দিয়েছিলেন লালু প্রসাদের পরিবারের সদস্যদের নামে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

       

LinkedIn
Share