Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেডিইউ-এর (JDU) সঙ্গে জোট ভেঙেছে। পতন হয়েছে সরকারের। যদিও তা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নয় বিহার বিজেপি (Bihar BJP)। পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha Polls)। গতবার জে ডি ইউর সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৩টি সিট জিতেছিল এন ডি এ। এবার একক ভাবে লড়াই করে ৩৫টি লোকসভা সিট জেতার টার্গেট ঠিক করলেন বিহার বিজেপির নেতারা।

    মঙ্গলবার রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ছিলেন, বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল, বি এল সন্তোষ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, শাহনাওয়াজ হোসেন, মঙ্গল পান্ডে, জনক রাম, নন্দ কিশোর যাদব ও অনেকে। বৈঠক শেষে জয়সওয়াল বলেন, “জনমতের বিপক্ষে গিয়ে বিহারে মহা গঠবন্ধন হয়েছে। আমরা বিধানসভার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে এই অসাধু জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। একই সঙ্গে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৩৫টি আসন জেতার টার্গেট দিয়েছে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষ্য পূরণের জন্য ঝাঁপাবো।”

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    বৈঠকে বিহারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা জোট করে বিধানসভায় লড়াই করেছিলাম। বেশি সিট জেতার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমারকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু জেডিইউ গাদ্দারি করলো। এর জবাব বিহারের মানুষ দেবে। কারণ কেউ চায় না রাজ্যে ফের লালু রাজ ফিরে আসুক।” বিহারের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপির দখলে ১৭, জেডিইউ পেয়েছে ১৬, লোক জনশক্তি পার্টি ৬টি ও কংগ্রেস জিতেছিল একটি আসনে। তবে আরজেডি এবং জেডিইউ যদি একসঙ্গে লোকসভায় লড়ে, তাহলে চিত্রটা অন্য রকম হতে পারে। তাই আগে থেকেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়লেন বিহার বিজেপির কর্তারা।

  • Ghulam Nabi Azad: দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস  

    Ghulam Nabi Azad: দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। যার জেরে বেকায়দায় কংগ্রেস। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, শারীরিক কারণেই নতুন দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

    জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট, ভূস্বর্গে নির্বাচন হতে পারে নভেম্বরে কিংবা নতুন বছরের গোড়ায়। এই সময় সীমার মধ্যে ভোট রয়েছে আরও কয়েকটি রাজ্যেও। তাই সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে অগোছাল কংগ্রেস। সেই মতো গুলাম নবিকে দেওয়া হয় প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। সেই পদেই ইস্তফা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এই কংগ্রেস নেতা। 

    কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুলাম নবির ক্ষোভ নতুন নয়। নেতৃত্ব বদলের দাবিতে ২০২০ সালে যে ২৩ জন জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন, তার অন্যতম শরিক ছিলেন গুলাম নবিও। দলের অন্দরে একাধিক পরিবর্তনের দাবিতে বারবার সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছিলেন। তার পরেও দলীয় সংগঠনে কোনও বদল আসেনি বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তাঁকে ওই পদ দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়ার ঘণ্টা দুই পরেই ইস্তফা দেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।  ইস্তফার কারণ হিসেবে গুলাম নবি শারীরিক কারণ দর্শালেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর মতো প্রবীণ এবং ‘হেভিওয়েট’ একজন নেতাকে প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ গুলাম। তাঁর মতো নেতার ক্ষেত্রে পদটি অসম্মানজক তো বটেই, রাজনৈতিক অবনতির দ্যোতকও বটে। সেই কারণেই পদ পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইস্তফা দেন গুলাম নবি।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গুলাম নবি ঘনিষ্ট গুলাম আহমেদ মীরকে জম্মু-কাশ্মীর কমিটি থেকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁর বদলে ওই পদে বসানো হয় ভিকর রসুল ওয়ানিকে। সেটা নিয়েও জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ছিল বলেও একটি সূত্রের খবর। সব মিলিয়েই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গুলাম। পদ পেয়েও ইস্তফা দেওয়া যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার

  • Fake Police Station: বিহারে নকল ‘থানা’ ভুয়ো ‘পুলিশের’ হদিশ পেল আসল পুলিশ 

    Fake Police Station: বিহারে নকল ‘থানা’ ভুয়ো ‘পুলিশের’ হদিশ পেল আসল পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোর-ডাকাত ধরতে পুলিশ যাচ্ছে, এ ঘটনা তো হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ ধরতে পুলিশ যাচ্ছে এমন আজব কথা কস্মিনকালে কেউ শুনেছে কখনও! এমনটাই ঘটেছে বিহারে (Bihar)। আসল পুলিশ হানা দিল নকল থানায়। আর গ্রেফতার করল পুলিশের উর্দিধারী বহুরূপীদের।  

    আরও পড়ুন: বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

    যখন একের পর এক জালিয়াতির খবরে জেরবার বাংলা, তখনই নতুন ধরণের এক প্রতারণার খবর এল প্রতিবেশি রাজ্য বিহার থেকে। আটমাস ধরে এক গেস্টহাউজে ভুয়ো ‘থানা’ (Fake Police Station) চালাচ্ছিল একদল প্রতারক। 

    ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বাঙ্কা (Banka) এলাকায়। বুধবার সকালে পুলিশ ‘অনুরাগ গেস্ট হাউসে’ অভিযান চালিয়ে একটি ভুয়ো থানার হদিশ পায়। অভিযানে ভুয়ো পুলিশের ইউনিফর্মে দুই মহিলাসহ কমপক্ষে ছ জনকে আটক করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    বেশ রমরমিয়েই চলছিল এই ভুয়ো থানার ব্যবসা। মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছিল আট মাস ধরে। উচ্চপদস্থ অফিসারদের মতো উর্দিও ছিল ভুয়ো পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে ৫০০ টাকা দিয়ে দিনমজুরদেরও ভাড়া করা হত।  কিন্তু হঠাতই ছন্দ পতন হয়। ভুয়ো পুলিশকর্মীদের অস্ত্র দেখে সন্দেহ হয় এক আসল পুলিশ আধিকারিকের।

    আর তারপরেই খবর পেয়ে ওই গেস্ট হাউজে অভিযান চালায় পুলিশ বাহিনী। তাতেই ফাঁস হয় বিষয়টি।  

    পুলিশ আধিকারিক ডি সি শ্রীবাস্তব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে স্থানীয় পুলিশ প্রধানের বাড়ি থেকে মেরেকেটে ৫০০ মিটার দূরেই সেই ভুয়ো থানা চলছিল। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের মতো রীতিমতো ব্যাজ, ইউনিফর্ম পরা হত সেখানে। অস্ত্রও থাকত। সেই ভুয়ো থানায় অভিযোগও জানাতে আসতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মামলাও রুজু করা হত বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।   

    পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, মামলার অজুহাতে অভিযোগকারীদের থেকে টাকা নেওয়া হত। সেইসঙ্গে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং পুলিশের আবাসন পাইয়ে দেওয়ার নামে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে টাকা তুলত এই ভুয়ো পুলিশ গ্যাং। শুধু তাই নয়, স্থানীয় দিনমজুমদের ৫০০ টাকা দিয়ে পুলিশকর্মীও সাজানো হত। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না।

    দুজন উর্দি পরা ভুয়ো পুলিশ, এক আসল পুলিশ আধিকারিকের চোখে পড়ে যায়। দুজনের হাতে থাকা অস্ত্র দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। পুলিশ আধিকারিকরা যে সার্ভিস বন্দুক ব্যবহার করেন, ওই দুজনের হাতে তার থেকে আলাদা অস্ত্র ছিল। তারপরই বিষয়টি সামনে আসে। 

     

  • Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (China) সীমান্তে সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে যৌথ মহড়ায় (Military Exercise) অংশ নিতে চলেছে ভারত (India) এবং চিনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার মাটিতে আরও তিনটি দেশের সঙ্গে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ায় এই সামরিক মহড়ার আয়োজনও আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

    চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত এবং চিন ছাড়াও রাশিয়া (Russia), বেলারুশ এবং তাজিকিস্তান এই মহড়ায় অংশ নেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কৌশলগত ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই মহড়া। তাছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াবে এই মহড়া।” 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোড়

    রাশিয়ার তরফে জুলাই মাসে একটি বিবৃতিতে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেখানে ১৩টি দেশ অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলকে এই সামরিক মহড়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চিনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই ড্রিলে বায়ু সেনা, দূরপাল্লার সামরিক যুদ্ধ সামগ্রীর অনুশীলন হবে। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক পরুস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    ভারত এই সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগেও চিন ও ভারত নিজেদের দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। 

  • MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) উপকণ্ঠে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। তবে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রকের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও (Arvind Kejriwal) বলা হয়েছে রোহিঙ্গারা যেখানে ছিলেন, সেখানেই থাকুন। মন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরেই আপাতত থাকতে হবে যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের আইন মেনে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

    ট্যুইটবার্তায় পুরী লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বুধবার মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের হিসেব বলছে, দিল্লি সহ গোটা দেশে হাজার চল্লিশেক রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর দিল্লি সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা যেসব শরণার্থী শিবিরে ছিলেন, সেসব শিবিরেই থাকবেন। আইন মেনে তাদের দেশ থেকে বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই থাকবেন। মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, এখন রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন দিল্লি সরকার তাকে এখনও শরণার্থী শিবির ঘোষণা করেনি। তাদের এখনই তা ঘোষণা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

  • Monkey Pox: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    Monkey Pox: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। করোনা (Covid-19) থেকে এখনও সেরে ওঠেনি বিশ্ব। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এরই মধ্যে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলছে। করোনার মতো মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে এই ভাইরাস।

    ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (World Health Organisation) তরফে গত বুধবার জানানো হয়েছে যে, পুরো বিশ্বের ৯২ টি দেশ থেকে ৩৫০০০ আক্রান্তের সংখ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে। আর মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। কারণ আগের সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৫০০, আর এই সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০০-এর বেশি।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এর জন্য অনেক দেশেই মাঙ্কি পক্সের জন্য টিকার উচ্চ চাহিদা রয়েছে। সূত্রে খবর অনুযায়ী, কিছু দেশ মাঙ্কি পক্সের প্রতিষেধক হিসেবে গুটি বসন্তের টিকা মজুত করে রেখেছে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের নতুন উপসর্গ শনাক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা, কী সেই উপসর্গ?

    দ্য ল্যানসেট (The Lancet) নামক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, গুটি বসন্তের (Small Pox) টিকা মাঙ্কি পক্সের গুরুতর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। তবে এটি  পরবর্তীতে মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কাজ করতে নাও পারে।

    হু (WHO) থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাড়ির পোষ্যর থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ সম্প্রতি ফ্রান্সে একটি কুকুরের মাঙ্কি পক্স হওয়ার খবর সামনে এসেছে এবং কুকুরটি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই সংক্রমিত হয়েছে। কুকুর মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত, এমন ঘটনা এর আগে সামনে আসেনি। তাই হু-এর মতে এটি একটি নতুন তথ্য। ফলে সকলকেই সতর্ক থাকা উচিত। মাঙ্কি পক্সকে ইতিমধ্যেই অতিমারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ (Global Health Emergency) বলেও ঘোষণা করেছে। ফলে সবাইকে এখন থেকেই সাবধান হতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জুনোটিক রোগ-এই ভাইরাস পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং এর উপসর্গগুলো গুটি বসন্তের মতোই। মাঙ্কি পক্সের সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর,  দেহে বড় বড় ফুসকুড়ি এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া। এই উপসর্গগুলো মানুষের দেহে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ দেখা যায়।

  • Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

    Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন তালাকের (Tin Talaq) মতো নয় তালাক-এ-হাসান (Talaq-e-Hasan) । এর অনুশীলন অতটাও ‘অনুচিত’ বা ‘বেঠিক’ নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এমনই মত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই বিষয়টিকে মহিলাদের অ্যাজেন্ডা করা উচিত নয়। কারণ, মহিলাদেরও জন্যও বিকল্প খোলা আছে।

     
     
    এই তালাক-এ-হাসান প্রথারই অনুশীলন বন্ধের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক বেনজির হিনা। তাঁর বক্তব‌্য ছিল– এই প্রথা ইসলাম এবং ভারতীয় সংবিধান, উভয়েরই বিরোধী। এই প্রথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যকেও প্রশ্রয় দেয়। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার দুবের মাধ্যমে সাংবাদিক বেনজির হিনার দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয় যে, এই প্রথা অসাংবিধানিক। কারণ এটি অযৌক্তিক, স্বেচ্ছাচারী এবং সংবিধানের ১৪, ৫১, ২১ এবং ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এটি একতরফা বিচার বহির্ভূত তালাক।
     
    সেই আবেদনেরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলে এবং এমএম সুন্দ্রেশের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ– ‘‘প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে হলে তালাক-এ-হাসান অতটাও বেঠিক প্রথা নয়। আমরা চাই না, অকারণে এটা নিয়েও অ‌্যাজেন্ডা তৈরি করা হোক।’’ আবেদনকারী  সাংবাদিক হিনা এই মত মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিজেই তালাক-এ-হাসান পদ্ধতির বিচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ আগস্ট।
     
     
  • Goa BJP: গোয়া পঞ্চায়েতে বিপুল জয় বিজেপির, গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া

    Goa BJP: গোয়া পঞ্চায়েতে বিপুল জয় বিজেপির, গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে ফের সুখবর গেরুয়া শিবিরে! গোয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Goa Panchayat Elections)  বিপুল জয় পেল বিজেপি (BJP)। লোকসভা, বিধানসভার পর জয়ের ধারা অব্যাহত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। রাজ্যের ১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) মধ্যে ১৪০টির রশি গিয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের হাতে।

    ১০ অগাস্ট ভোট হয়েছিল রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার ৯৭টি ও দক্ষিণ গোয়া জেলার ৮৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১ হাজার ৪৬৪টি আসনে। ভোট পড়েছিল ৭৯ শতাংশের কাছাকাছি। নির্বাচনের আগেই অবশ্য উত্তর গোয়ায় ৪১টি ও দক্ষিণ গোয়ায় ২৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন পদ্ম প্রার্থীরা। শুক্রবার শুরু হয়েছে গণনা। ফল প্রকাশিত হলে দেখা যাচ্ছে, হাজারখানেক আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। বিপুল জয়ের জন্য গোয়ার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত (Pramod Sawant)। তিনি বলেন, ১০ তারিখে গোয়ার ১৮৬টি পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল। ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আমরা ১৪০টি আসনে জয়ী হয়েছি। বিধানসভা, লোকসভার পর পঞ্চায়েতেও জয় পেয়েছি আমরা। এতে প্রমাণ হয় আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আমাদের এই ফলে খুশি হবেন কেন্দ্রীয় কমিটি। বিজেপির গোয়া রাজ্য সভাপতি সদানন্দ শেট তানাভাদে (Sadanand Shet Tanavade) বলেন, এই প্রথম গোয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও একটি রাজনৈতিক দল এত বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির এই জয় ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, নির্বাচনের এই ফলে এটা প্রমাণিত হয় যে বিধানসভা ভোটের তুলনায় আমাদের প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েছে।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই হয় গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। গোয়া বিধানসভার ৪০টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয়ে সরকার গড়ে পদ্ম-পার্টি। ওই নির্বাচনে গোয়া দখলে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কেও পদ্ম শিবিরের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বার দুয়েক গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কংগ্রেস ভাঙিয়ে তৃণমূল গড়ে বিজেপিকে মাত দিতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মুখ পুড়েছে জোড়াফুল শিবিরের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে খালি হাতে ফিরতে হলেও, পঞ্চায়েতে একটি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী রাখি নায়েক। দক্ষিণ গোয়া জেলার নেত্রাবলী থেকে জয়ী হয়েছেন রাখি।

    আরও পড়ুন : বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

  • VHP on Rohingya: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP on Rohingya: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রোহিঙ্গাদের (Rohingya) ভারত (India) থেকে বের করে দেওয়া উচিত। অন্তত এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার (Alok Kumar)। রোহিঙ্গাদের দিল্লিতে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতেই একথা বলেছেন অলোক কুমার। সরকারি সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও (Surendra Jain)।

    মায়ানমার ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। দিল্লিতেও ঘাঁটি গেড়েছেন তাঁরা। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দিচ্ছে কেন্দ্র। তাঁদের প্রহরায় মোতায়েন থাকবে দিল্লি পুলিশও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।

    ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ।

    আরও পড়ুন : পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অলোক কুমার বলেন, রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করার চেয়ে তাদের ভারতের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাই করা উচিত। তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা হিন্দু শরণার্থীরা মঞ্জু কা তিলা এলাকায় অতিকষ্টে দিন গুজরান করছেন। তাঁদের টপকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাট এবং পুলিশ প্রহরা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

  • Kashmir Terror Attack: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    Kashmir Terror Attack: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি হামলা। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ান জেলার কুটপোড়ায় সেনার উপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গিরা। এদিন সেনার টহলদারির সময় রাতের অন্ধকারে তাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় তারা। তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। 

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইকে গুলি করল জঙ্গিরা, মৃত এক

    বুধবার কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, গোয়েন্দা সূত্রে, এদিন একটি বাড়িতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনা। তারপরই ওই বাড়িতে গোপন অভিযান চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। অন্ধকারকে হাতিয়ার করে জঙ্গিরা লুকিয়ে পড়লেও ওই বাড়ি থেকে গোলা বারুদ উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে গোপন নথিও। এই নিয়ে পরপর ২ দিন সেনার উপর হামলা চালাল জঙ্গিরা। সোমবার, স্বাধীনতা দিবসেই বুদগাম এবং শ্রীনগর জেলায় দুটি পৃথক সন্ত্রাসবাদী হামলায় এক অসামরিক নাগরিক এবং একজন পুলিশ কর্মী আহত হন। দুটি হামলাতেই সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড ব্যবহার করে বলে জানা গিয়েছে।


    গত কয়েক দিনে পরপর জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। মঙ্গলবার সোপিয়ানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় একজনের। এর আগে বান্দিপোড়ায় (Bandipora) পরিযায়ী শ্রমিকের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাবাদীরা। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয় বিহার থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কাজ করতে আসা এক শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবারই রাজৌরির সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। উরির কায়দায় বড়সর আত্মঘাতী হামলার ছক বানচাল করে সেনা। গুলির লড়াইয়ে খতম হয় দুই জঙ্গি। শহিদ হন তিন জওয়ান।

     
     
LinkedIn
Share