Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • S Jaishankar: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার নিয়ে সাংহাই কোঅপারেশনের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে (SCO Meet) চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির সামনে জয়শঙ্কর বলেন, “প্রতিটি দেশের কর্তব্য অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা।” জয়শঙ্কর তাঁর বক্তব্যে কারও নাম না নিলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য আদতে চিনকেই খোঁচা দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    তিনি আরও বলেন, “সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন রিজিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টেটের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না সেটা দেখা দরকার।”

    আরও পড়ুন: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    বেশ কয়েক বছর সীমান্তে চিনের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত। চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে সেনা শিবির তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। অরুণাচলের সীমান্তবর্তী গ্রাম দখলে রাখারও অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকবার। কয়েকবার সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে  মুখোমুখি সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে চিন। তাই অনেকেই মনে করছেন জয়শঙ্করের এই মন্তব্য তির্যকভাবে চিনকে (China) উদ্দেশ্য করেই করা।   

    এসসিও কাউন্সিলের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন চাইনিজ প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং।  

    উল্লেখ্য চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে এর আগেই আপত্তি তুলেছিল ভারত। কারণ ওই করিডোর মূলত পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। যে দেশগুলি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (BRI) স্বাক্ষর করেনি ভারত তাদের মধ্যে অন্য়তম। 

    তবে তিনি এও বলেন, “এসসিও রিজিয়নে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দরজাকে খুলে দেবে।” মূলত ইরানের চাবাহার পোর্ট এবং ইন্টারন্য়াশানাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানান, এসসিও সদস্যদের মধ্যে মোট বাণিজ্যিক লেনদেন ১৪,১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আরও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GST Collection: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    GST Collection: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে লাভের মুখ দেখল ভারতীয় অর্থনীতি। বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collection in October) পরিমাণ। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় এ বছরের অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয়ের পরিমাণ বাড়ল ১৬.৬ শতাংশ। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পণ্য ও পরিষেবা কর বাবদ আদায় হয়েছে ১,৫১,৭১৮ কোটি টাকা। যা দেশে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়। সবথেকে বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছিল গত এপ্রিলে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জিএসটি বাবদ আদায় ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকার সীমা ছাড়াল বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

    অক্টোবরে আদায়কৃত জিএসটি-র মধ্যে সিজিএসটির পরিমাণ হল ২৬,০৩৯ কোটি, এসজিএসটির পরিমাণ ৩৩,৩৯৬ কোটি, আইজিএসটি ৮১,৭৭৮ কোটি (পণ্য আমদানিবাবদ ৩৭,২৯৭ কোটি টাকা রাজস্ব ধরে) এবং সেসের পরিমাণ ১০,৫০৫ কোটি টাকা (পণ্য আমদানিবাবদ রাজস্ব আদায় ৮২৫ কোটি টাকা ধরে)। 

    অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জিএসটি যুক্ত পণ্যের জন‌্য যে ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়, সেপ্টেম্বরে সেই সংখ‌্যাও ছিল অনেকটাই বেশি। সেপ্টেম্বরে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ ই-ওয়ে বিল দাখিল হয়েছে । অগাস্টে সেই সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৭০ লক্ষ। এই নিয়ে টানা ৯ মাস মাসিক জিএসটি আদায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার উপরে থাকল।

    আরও পড়ুন: খনি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, ইডি দফতরে তলব হেমন্ত সোরেনকে

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বেশ কিছুতে পণ্যের ওপর কর ছাড়ের সুবিধা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। মাছ, মাংস, দই, পনির, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ির মতো প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে কেন্দ্র ৫% জিএসটি বসানো হয়েছে। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাঙ্কগুলি যে ফি নেয়, তাতেও ১৮% কর বসানো হয়েছে। তাতে যে ভারতীয় কোষাগারের লাভের পালে হাওয়া লেগেছে তা অক্টোবরের জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।

    অক্টোবরে দেশে ব্যাপক পরিমাণে ব্যবসা বাণিজ্য হয়েছে। এপ্রিলের পরে অক্টোবরেই দেশে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা এতটা বেশি হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে মাসিক ভিত্তিতে রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। আরও বিস্তারিতভাবে অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, শুধু মুম্বাই জোনেই সিজিএসটির ১৮ শতাংশ ও শুল্ক সংগ্রহের ২৫ শতাংশ অবাদন থাকে।

    অক্টোবরে যে জিএসটির পরিমাণ বাড়বে, তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। অক্টোবর থেকেই উৎসবের মরশুম শুরু হয়। যার জেরে আমদানি-রফতানি অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ অক্টোবরে ব্যাপক পরিমাণে জিএসটি সংগ্রহ হয়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Christian missionaries: ধাপে ধাপে মগজধোলাই সঙ্গে অর্থের টোপ! কীভাবে চলছে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ?

    Christian missionaries: ধাপে ধাপে মগজধোলাই সঙ্গে অর্থের টোপ! কীভাবে চলছে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই চারশো জনের বেশি হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় ৯ খ্রিস্টান মিশনারিজ (Christian missionaries)। উত্তর প্রদেশের মেরঠ জেলার মঙ্গতপুরমের মালিন গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে গরিব মানুষদের সাহায্যের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। পরে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁদের। অভিযুক্ত ৯ খ্রিস্টান তাঁদের ঘরে রাখা দেবদেবীর মূর্তি নষ্ট করে ফেলতে বলেন। পুজোআচ্চা বন্ধ করে চার্চে যাওয়ার পরামর্শও দেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে দেশজুড়ে। কীভাবে হয় ধর্মান্তকরণ (mass conversion)? সে সম্পর্কে জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মেরঠ জোনের সাধারণ সম্পাদক রাজকমল গুপ্তা।

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গুপ্তা বলেন, খ্রিস্টান মিশনারিজ (Christian missionaries) ও মুসলিমরা বিভিন্নভাবে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ করছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষদেরই তাঁরা মূলত টার্গেট করেন। যে অঞ্চলের সিংহভাগ বাসিন্দা পিছিয়ে পড়া, সুযোগ সুবিধা পাননি, অজ্ঞ, তাঁদের প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। কখনও খাবার, কখনওবা পোশাক, কখনও আবার ওষুধ এবং অর্থ দেওয়ার অছিলায় তাঁরা ভাব জমান ওই মানুষদের সঙ্গে। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতে মিসনারিজরা (Christian missionaries) পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের শিক্ষা এবং বিয়ের ব্যবস্থাও করেন। শিকারদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই কেল্লাফতে। তাঁরা শিকারকে বোঝান, সব ভগবানই আসলে এক। এর পরেই তাঁরা ঝুলি থেকে বই, পুস্তিকা বের করেন। করেন যিশুর মহিমা কীর্তন। যিশুর অলৌকিক গল্পকথা ছড়ান। পরামর্শ দেন চার্চে যাওয়ার।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    গুপ্তা বলেন, সরল বিশ্বাসী হিন্দুরা তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দেন। এরপর মিশনারিজরা (Christian missionaries) শুরু করেন মগজ ধোলাইয়ের কাজ। এক জায়গায় অনেককে খিস্ট-পথে নিয়ে আসতে পারলে হিন্দুর জমিতে গড়ে তোলেন চার্চ। তার পরেই হয় ধর্মান্তকরণ। গুপ্তা বলেন, একইভাবে হিন্দুদের দীক্ষিত করা হয় ইসলাম (Islam) ধর্মেও। যেমন কিছুদিন আগে ঘটেছিল মোরদাবাদে। তিনি বলেন, সেখানকার এক গ্রামে একটি পরিবারই মুসলিম ছিল। বাকিরা হিন্দু (Hindu)। তাঁদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে, টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে দীক্ষিত করা হয় ইসলাম ধর্মে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Pollution: রাজধানীতে বায়ু দূষণ চরমে, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল্লি সরকারের

    Delhi Pollution: রাজধানীতে বায়ু দূষণ চরমে, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল্লি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একদিকে পারদ পতন অন্যদিকে ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণ। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লির বাতাসের অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাতাসের গুণগত মান ৫০০-কেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হয়েছে ৫৫১। আর রাজধানীর এই অবস্থার ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে নির্মাণ কাজ ও ভাঙার কাজ (Construction And Demolition Activities) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে।

    দিল্লিতে বাতাসের মান ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। প্রায় কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের মান ৪০০-৫০০ রেঞ্জ বা ‘গুরুতর’ বিভাগে ছিল। জানুয়ারি থেকে দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ হওয়ায় দিল্লির কিছু এলাকায় সূচক সাড়ে পাঁচশো-এর গন্ডিও ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, নভেম্বর মাস থেকে বাতাসের পরিবর্তন এবং অন্যান্য আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে শহরের বাতাসের মান আরও খারাপ হবে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ১ নভেম্বর থেকে বাতাসের গতি কমবে এবং এর দিক পরিবর্তন হবে। এর ভিত্তিতেই জানা গিয়েছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে।”

    দিল্লিতে যেসব জায়গায় বাতাসের পরিমাণ ভয়াবহ সেসব স্থানগুলোকে হটস্পট ধরা হয়েছে। সেসব জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে নরেলা, আনন্দ বিহার, মুন্ডকা, দ্বারকা, পাঞ্জাবি বাগ, আরকে পুরম, রোহিনী, বাওয়ানা, ওখলা, জাহাঙ্গীরপুরি, উজিরপুর এবং মায়াপুরী। আর এসব জায়গায় গত রবিবার কমপক্ষে ২২টি দমকল টেন্ডার পাঠানো হয়েছে কারণ দিল্লি ফায়ার সার্ভিস এই হটস্পটগুলোতে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও এদিন গোপাল রাই জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও সেগুলো নিরীক্ষণের জন্য ৫৮৬টি দল গঠন করা হয়েছে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন হাসপাতাল, রেলওয়ে, বিমানবন্দর এবং এই জাতীয় অন্যান্য পাবলিক কার্যক্রমে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধুলো কমাতে শহরজুড়ে জল ছেটানোর জন্য ৫২১টি মেশিন ও ২৩৩টি অ্যান্টি-স্মোগ গান-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, বাতাসের গুণগত মান ০ থেকে ৫০-য়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করলে সেটি ভালো। ৫১ থেকে ১০০-য়ের মধ্যে থাকলে, সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা মধ্যম। আর ২০১ থেকে ৩০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা খুব খারাপ। আর ৪০১ থেকে ৫০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা ভয়াবহ। ফলে দিল্লির পরিস্থিতি আক্ষরিক অর্থেই ভয়াবহ।

  • JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি (J J Irani)। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নেন তিনি। কী ভাবে পৌঁছলেন এই সাফল্যের শীর্ষে? পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনের কিছু বিশেষ অংশ জেনে নিন।  

    ১৯৩৬ সালে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ জামশেদ জে ইরানি। সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে নাগপুরের সায়েন্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন ডঃ ইরানি। ১৯৫৮ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে এমএসসি করেন। এরপর জে এন টাটা স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেন।    

    ১৯৬৩ মেটালারজিতে পিএইচডি করেন জে জে ইরানি। সে বছরই কর্মজীবনে পা রাখেন। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে শুরু করেন কর্মজীবন। ছ বছর পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। 

    ১৯৬৮ থেকে টাটা গ্রুপের সঙ্গে পথচলা শুরু। ডিরেক্টর-ইন-চার্জের সহকারী হিসেবে যোগ দেন টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে। এখন যা টাটা স্টিল নামে পরিচিত।  তারপর ধীরে ধীরে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হওয়া শুরু হয় ডঃ ইরানির নাম। ডঃ জামশেদ জে ইরানি হয়ে ওঠেন ‘ভারতের স্টিল ম্যান’। 

    আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত   

    এরপর শুধুই সাফল্যের সিঁড়ি চড়া। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ডঃ ইরানিকে। পৌঁছে যান সফলতার শীর্ষে। ১৯৭৮ সালে টাটার সংস্থায় জেনারেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই ফের পদোন্নতি। ১৯৭৯ একই সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজারের পদে চলে যান। ১৯৮৫ টাটা স্টিল-এর প্রেসিডেন্ট হন জে জে ইরানি। এরপর ১৯৮৮ টাটা স্টিলে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন।  

    ১৯৯২ টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নতি। অবশেষে ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ১৯৯৮ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন তাঁকে। পরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ সম্মান পান।   

    সোমবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘স্টিল ম্যান’। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত টাটা গোষ্ঠি-সহ গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করেন এক সময়ের সতির্থ রাজীব সোনিও। নেটমাধ্যমে রাজীব লেখেন, “আমরা এক কিংবদন্তিকে হারালাম। একটি যুগের অবসান ঘটল।”
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?   

    Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাটে (Gujarat)। সেখানে বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তার আগেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির। কর্নাটকের ভোটে (Karnataka Elections) ৩৫টির মধ্যে ১৭টি আসনে জয় পেল পদ্ম শিবির। তবে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি, বিজয়পুরা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ওই জয় পেয়েছে বিজেপি। এই মিউনিসিপ্যালিটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশজুড়ে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। তার সুফলও ঘরে তুলছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করে ক্ষমতা দখল করছে গেরুয়া পার্টি। কেবল কর্নাটকের বিজয়পুর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন নয়, ওই রাজ্যেরই কোল্লেগাল সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের উপনির্বাচনেও সাতটি আসনের মধ্যে ছটিতে বিজয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। রাজ্যে দলের এই ফলে যারপরনাই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এই অপ্রত্যাশিত ফলের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বিজয়পুরার বিধায়ক বিজেপির বাসনাগৌড়া পাটিল ইয়াটনাল এবং দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিজয়পুরা উত্তরে কংগ্রেস (Congress) জয়ী হয়েছে মাত্র ১০টি আসনে। এআইএমআইএম জিতেছে দুটি আসন। আর জনতা দল সেকুলার জিতেছে মাত্রই একটি আসনে। পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। বিজয়পুরা ও কোল্লেগালের ভোট হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। ফল প্রকাশ হয় ৩১ তারিখ, সোমবার।

    প্রসঙ্গত, বিজয়পুরায় ভোট হল ছ বছর পরে। সিটি মিউনিসিপ্যালিটি থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর এই প্রথম হল নির্বাচন। বোর্ড গঠনে নির্দল প্রার্থীদেরও সমর্থন মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিকে, কোল্লেগালে যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, সেগুলিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দেন কিছু দিন আগেই। তার জেরেই হয়েছে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনের পর ৩১ আসনের কোল্লেগালের রাজনৈতিক ছবিটা দাঁড়াল এইরকম। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩, কংগ্রেসের ১১ এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির ২। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Bridge collapse: ১২৫ জনের বদলে সেতুতে ছিলেন ৫০০ জন! মোরবি সেতু বিপর্যয়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৯

    Gujarat Bridge collapse: ১২৫ জনের বদলে সেতুতে ছিলেন ৫০০ জন! মোরবি সেতু বিপর্যয়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায়  ৯ জনকে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ওরেভা নামে একটি সংস্থা ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতুটি সংস্কার করে। অভিযোগ, কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই সংস্কারের পর ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়। ২৬ অক্টোবর মোরবির সেতু ( machu dam bridge collapse) চালু হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা ঘটে। সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার উপরতলার কর্মীরা নিখোঁজ। যদিও দোষী কোনও ব্যাক্তিকেই ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার। গত মার্চে সেতুর সংস্কারের দায়িত্ব নেয় ওরেভা। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ওরেভা সংস্থা সংস্কার এবং মেরামতের জন্য সেতুটি আট থেকে ১২ মাস বন্ধ রাখতে বাধ্য। কিন্তু চুক্তি ভেঙেই সেই সেতু খুলে দেয় তারা।  সিএফএল বাল্ব তৈরির জন্যই সারা দেশে বিখ্যাত ওরেভা। বাল্ব ছাড়াও সংস্থাটি তৈরি করে ঘড়ি, ইলেকট্রিক বাইক। মাচ্ছু নদীর উপর ভেঙে পড়া সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ করা ছাড়া তারা অন্য কোনও সেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এমন কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি। কী করে তারা এই সেতু সংস্কারের বরাত পেল তা জানতে তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    মোরবি পুরসভার প্রধান আধিকারিক দাবি করেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই সংস্কারের পর ওই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি। যেখানে সেতুর ধারণক্ষমতা ছিল ১২৫ জন। সেখানে রবিবার সেই সেতুতে ১২ থেকে ১৭ টাকার টিকিট কেটে উঠেছিলেন প্রায় ৫০০ জন। এখনও পর্যন্ত সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন অন্তত ১৪১ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাচ্ছু নদীর জল-কাদায় প্রায় ১০০ দেহ আটকে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Assam Police: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কড়া নির্দেশ অসম পুলিশের, কী এমন হল?

    Assam Police: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কড়া নির্দেশ অসম পুলিশের, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধার্মিক কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল অসম পুলিশ (Assam Police)। এই রাজ্যের পুলিশের তরফ থেকে জেলার সমস্ত পুলিশকে বলা হয়েছে কোনোরকমের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিরা যোগ দিলে তাঁদের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। আর এমন কোনও অনুষ্ঠানে বিদেশিদের উপস্থিতি দেখলেই বিশেষ সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অসম পুলিসের তরফে। কিছু বিদেশিদের ভিসার নিয়ম উলঙ্গন করার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে অসম পুলিশ, সূত্রের খবর।

    সম্প্রতি ১০ জন বিদেশির মধ্যে ৩ জন সুইডিশ এবং ৭ জন জার্মান কে ভিসার নিয়ম উলঙ্ঘন করার জন্য এবং বিদেশি আইন অমান্য করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অসমের বিশেষ ডিজিপি জানিয়েছেন, কাজিরাঙ্গায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মোপদেশ দেওয়ার অভিযোগে ৭ জার্মান নাগরিককে আটক করেছে। মাথাপিছু তাদের ৫০০ ইউএসডি (USD) জরিমানাও করা হয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ফলে এমন ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকায় বিদেশিদের ওপর বিশেষ নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম পুলিশ (Assam Police)।

    আরও পড়ুন: আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও গৃহীত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ আবেদনপত্র! প্রশাসনিক নির্দেশ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার অসমের ডিব্রুগড়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ডিব্রুগড় জেলার নামরুপ পুলিশ স্টেশন এলাকায় প্রার্থনা ও শান্তিসভার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। ফলে ডিব্রুগড় জেলা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেনডেন্ট (ডিব্রুগড়) বিটুল চেতিয়া জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তাঁরা অসমে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের  জরিমানা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে তাঁদের এই দেশ ছেড়ে সুইডেনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

  • Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ (Two Finger Test) – এ না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই পদ্ধতিটিকে ‘অবৈজ্ঞানিক এবং অপমানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ধর্ষিতার পরীক্ষা হলে তা ‘অশোভন আচরণ’ বলে ধরা হবে। বহুদিন আগেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে। তবে এখনও নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন জায়গায় করা হয় এই পরীক্ষা। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।           

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলে, “ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে এই আদালত। এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর ফলে  নির্যাতিতারা ফের  বিভীষিকার শিকার হন। দুই আঙুলের পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। আগে মনে করা হত যে, যৌন সম্পর্কে সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।”

    আরও পড়ুন: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত 

    সুপ্রিম কোর্ট বলে, “একজন মহিলা যৌন সম্পর্কে কতটা সক্রিয় তার ওপর তাঁর ধর্ষণের সাক্ষ্য নির্ভর করে না। এটা পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদীদের প্রস্তাব করা পরীক্ষা। কারণ তারা মনে করত, একজন মহিলা যৌন সক্রিয় হলে  তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করা যায় না।” আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাদের ওপর টু ফিঙ্গার টেস্ট না করা হয় তা নিশ্চিত করতে।  

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল যে, ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা মানে তাঁর গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করা। সরকারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে অন্য উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেয় আদালত। সেই সময় বিচারপতি বিএস চৌহান এবং বিচারপতি এফএমআই কালিফউল্লার বেঞ্চ বলেছিল, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ – এর রিপোর্টে ধর্ষণ বিষয়ক কিছুই প্রমাণ হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat bridge collapse: আমি মর্মাহত, মন পড়ে রয়েছে আক্রান্তদের সঙ্গে! আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    Gujarat bridge collapse: আমি মর্মাহত, মন পড়ে রয়েছে আক্রান্তদের সঙ্গে! আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনার ফলে সোমবার গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করা হল। বর্তমানে, গুজরাটরাজস্থানের তিন দিনের সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই দুর্ঘটনার কারণে তাঁর সফরসূচী পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ সোমবার আমদাবাদে মোদির রোড শো হওয়ার কথা ছিল। তা বাতিল করা হয়েছে। বিজেপির মিডিয়া সেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তা-ও স্থগিত করা হয়েছে। একমাত্র ২৯০০ কোটি টাকার রেল প্রকল্প উদ্বোধন করার অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবিতে একটি পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগেই কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল। গুজরাটি নববর্ষের দিন সেটি খুলে দেওয়া হয়। ওধভজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমভাবে সাহায্য করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মোরবি গিয়ে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মোদি। গতকালই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃসময়ে সরকার সব রকম ভাবে শোকাহত পরিবারের পাশে আছে। গুজরাট সরকার গতকাল থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন্দ্রও রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্য করছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন একতা নগরে আছি কিন্তু আমার মন পড়ে রয়েছে মোরবির আক্রান্তদের সঙ্গে। আমার জীবনে খুব কমই এমন ব্যথা অনুভব করেছি আমি। একদিকে বেদনায় ডুবে থাকা হৃদয়, অন্যদিকে কর্তব্যের পথ।’ 

LinkedIn
Share