Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Enforcement Directorate: ইয়েস ব্যাঙ্ক- ডিএইচএফএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

    Enforcement Directorate: ইয়েস ব্যাঙ্ক- ডিএইচএফএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েস ব্যাঙ্ক ডিএইচএফএল (Yes Bank- DHFL Scam) দুর্নীতি মামলায় ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এর মধ্যে রয়েছে সঞ্জয় ছাবড়িয়ার ২৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি এবং অবিনাশ ভোসলের ১৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। 

    অর্থ তছরুপ অ্যাক্ট, ২০০২ -এর অধীনে এই দুইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি। ইডির ধারণা এই সম্পত্তির পরিমাণ যাবে ১,৮২৭ কোটি টাকা অবধি। 

    আরও পড়ুন: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির আগে রেখে এসেছিলেন কে? ‘ষড়যন্ত্র’?

    সঞ্জয় ছাবড়িয়ার যে সম্পত্তিগুলি রয়েছে, সেগুলি মূলত জমি বা ফ্ল্যাট। মুম্বইয়ের স্যান্টাক্রুজে ১১৬.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সঞ্জয়ের। এতে সঞ্জয়ের কোম্পানির ২৫% ইক্যুইটি শেয়ার রয়েছে। মুম্বইয়ে ৩ কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দিল্লি বিমান বন্দরের কাছে একটি ১৩.৬৭ কোটি টাকার একটি হোটেল রয়েছে। মোট ৩.১০ কোটি টাকা মূল্যের তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে তাঁর। 

    অবিনাশ ভোসলের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১০২.৮ কোটি টাকা মূল্যের মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। পুনেতে একটি ১৪.৬৫ কোটি টাকা এবং একটি ২৯.২৪ কোটি টাকার জমি। এছাড়াও নাগপুরে ১৫.৫২ কোটি টাকার এবং ১.৪৫ কোটি টাকার দুটি জমি। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ইতিমধ্যেই ইডি ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর এবং ডিএইচএফএলের কপিল ওয়াধাওয়ান এবং ধীরাজ ওয়াধাওয়ানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এদের তিনজনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছিল এফআইআর। অভিযোগ ছিল, ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর অন্যায়ভাবে 
    ডিএইচএফএলকে অর্থ সাহায্য করেছেন এবং ওই কোম্পানি থেকে বিপুল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। 

    ইডির দাবি রানা কাপুর ও বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে মিলে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যেমন ডিএইচএফএল আবাসন ক্ষেত্রে টাকা লগ্নি করত। ভারতে আবাসন শিল্পের সংকটের সঙ্গে এই কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ডিএইচএফএল ৩৭০০ কোটি টাকা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। এরাই আবার রানা কাপুরের এক কন্যার পরিচালিত সংস্থাকে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। কাপুর কন্যা মাত্র ৪০ কোটি টাকার একটি জমি জামানত রেখে এই টাকা পায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের বক্তব্য অনুযায়ী জামানত রাখা ওই সম্পত্তিটার মধ্যেও জালিয়াতি আছে। কারণ সেখানে কাগজের হেরফের করে কৃষিজমিকে রেসিডেন্সিয়াল প্লট হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবার এই ডিএইচএফএল ও ইয়েস ব্যাঙ্কের যৌথ দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মীদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড। সেখানে ২২৬৭ কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক লাটে ওঠার কিছুদিন আগে রানা কাপুরের স্ত্রী বিন্দু কাপুর ৩৭৮ কোটি টাকা দিয়ে গৌতম থাপারের (অজন্তা রিয়েলিটি লিমিটেড) এর কাছ থেকে একটি বাড়ি কেনেন। এই বাড়িটি আবার ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছে মর্টগেজ রাখা ছিল। থাপারের কাছ থেকে ৩৭৪ কোটি টাকা পাওয়ার পরে ইয়েস ব্যাঙ্ক সম্পত্তিটিকে মুক্ত করে। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করেছে এই সম্পত্তি দেখিয়ে থাপার গ্রুপ দু’দফায়  ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ১২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। 

    ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে রানা কাপুর ৭৮টি শেল কোম্পানির মালিক এবং রানা কাপুরের তিন কন্যা ৪২টি কোম্পানির ডিরেক্টর যার অনেকগুলিই কোম্পানি আইনে রেজিস্ট্রি করা নয়। তার ৪২,০০০ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণের মধ্যে ২০,০০০ কোটি টাকা স্বয়ং রানা কাপুর নিজের সিদ্ধান্তে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছিলেন। 

  • Andhra’s Christian High School: হিন্দু রীতি মানতে বাধা! অন্ধ্রপ্রদেশে খ্রিস্টান স্কুলে নয়া বিতর্ক

    Andhra’s Christian High School: হিন্দু রীতি মানতে বাধা! অন্ধ্রপ্রদেশে খ্রিস্টান স্কুলে নয়া বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রীতি অনুযায়ী তিলক বা টিপ পরে স্কুলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাঁধলো বিতর্ক। কেন্দ্রস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) একটি স্কুল। সম্প্রতি  কুর্নুলের (Kurnool) মাউন্ট কার্মেল হাইস্কুলের (Mount Karmel High School) এই ঘটনা সামনে আসায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। 

    প্রসঙ্গত হিন্দু ধর্মে মাঙ্গলিক তিলক পরার রীতি রয়েছে। অনেকে ঈশ্বরের আর্শীর্বাদ হিসেবে টিপও পরেন। অভিযোগ, স্কুলে হিন্দু ছাত্ররা তিলক পরে এলে তাদের তা মুছে ফেলতে বলা হয়। শিক্ষকদের কাছে বকুনিও শুনতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এই নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা সম্প্রতি অভিযোগও দায়ের করে। অভিযোগ, ধর্মীয় আচারণ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এই যুক্তিতে ৩৬ জন ছাত্র স্কুল ছাড়তে চায়। কিন্তু তাদের টিসি দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে ভর্তির সময়ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হয় বলে দাবি অভিভাবকদের। স্কুলে জোর করে বাইবেল পড়ানো হয় বলেও অভিযোগ তোলেন অনেক।

    উল্লেখ্য, রাখি উৎসকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেই বিতর্ক বাধে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরের একটি স্কুলে। পড়ুয়াদের হাতে রাখি খেই সেগুলিকে জোরপূর্বক খুলতে বাধ্য করেন শিক্ষকরা। এমনকি, পরবর্তীতে সেগুলি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই অভিভাবকদের পাশাপাশি এলাকার বহু হিন্দু সংগঠনও বিক্ষোভে সামিল হয়। উত্তেজনা ছড়াতেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ফাদার সন্তোষ লোবো জানান, “অভিযোগ সামনে আসার পরই আমরা সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করি। এই কাজটি যারা ঘটিয়েছে, তারা সকলেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করা গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Jaishankar On Russian Oil: দেশবাসীর সুবিধাই আগে! জানুন রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে কী মত বিদেশমন্ত্রীর

    Jaishankar On Russian Oil: দেশবাসীর সুবিধাই আগে! জানুন রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে কী মত বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া (Russia)-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে পুতিনের দেশ থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল (Crude Oil) কিনছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) নিষেধাজ্ঞা (Sanction) সত্ত্বেও কেন ভারতের এই পদক্ষেপ, তার ব্যাখ্যা দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর (External Affairs Minister S Jaishankar)। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, রক্ষণাত্মক নয়, দেশের মানুষের স্বার্থে যাবতীয় যে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহন করতে রাজি নয়াদিল্লি। তাই কোনও রকম চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সম্ভাবনা নেই। তাঁর কথায়, জ্বালানির উচ্চ দাম কমানোর জন্য় সব দেশই চেষ্টা করবে। ভারতও সেই কাজই করছে।

    ভারত-থাইল্যান্ড যুগ্ম কমিশনের (India-Thailand Joint Commission) নবম বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাঙ্কক সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার সেখানে অনাবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের (Indo-US Relations) বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। রাশিয়া (Russia) থেকে সস্তায় তেল কেনার বিষয়টি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে জয়শংকর (S Jaishankar) বলেন, “একবার সততার সঙ্গে কোনও বিষয় বলা হলে সেটা শেষপর্যন্ত প্রতিষ্ঠা পায়। প্রথমে সবাই হয় তো প্রশংসা করবে না। কিন্তু তার জন্য চালাকির আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই।”

    আরও পড়ুন: কোচিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে প্রাণ পেল হুগলি ডক! কী হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন এই ডকইয়ার্ডে?

    বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, ভারতের জনগণ উচ্চ জ্বালানির দাম সইতে পারবে না। তাই সেই কষ্ট লাঘব করতে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি জানিয়েছেন, ভারত প্রথম থেকেই নিজের জায়গা ও ক্ষমতা সম্পর্কে পরিষ্কার ছিল। তিনি এদিন আরও বলেন, “এ দেশে মাথা পিছু আয় ২ হাজার ডলার। এখানে অনেক মানুষেরই উচ্চ হারে জ্বালানি কেনার ক্ষমতা নেই। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা যে আমি তাঁদের জন্য শ্রেষ্ঠ জিনিসটাই করব।” তবে ভারতের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) সঙ্গে সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি বিদেশমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “ভারতের সমস্যার বিষয়টি বোঝে আমেরিকা। তাই ভারতকে নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে না তাঁদের।” 

  • Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অভিযানের শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযানটি শুরু করেছে। ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ‘মন কী বাত’ এই কর্মসূচির উল্লেখ করেন। সেখানেই দেশবাসীকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন মোদি। 

    আরও পড়ুন: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী  

    ২ অগাস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২ অগাস্ট পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়াজির জন্মদিন। তিনিই আমাদের জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেছিলেন। তাঁর প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই।” 

     

    কী ভাবে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে রেজিস্ট্রেশন করবেন?  

    ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে যারা অংশ নিতে চান, তাঁরা নিজেদের মতো করে এই কর্মসূচীতে শামিল হতে পারেন। harghartiranga.com-এ আপনার ছবি আপলোড করতে পারেন। যাঁরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তাঁরা সরকারের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট পাবেন। এই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য উল্লিখিত সাইটেই যেতে হবে।

    আরও পড়ুন: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ 

    কী ভাবে এই অভিযানে রেজিস্ট্রেশন করবেন?    

    প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে – https://harghartiranga.com/  আপনার প্রোফাইল পিকচার সেট করুন। নিজের নাম, মোবাইল নম্বর কিংবা গুগল অ্যাকাউন্টের তথ্য দিন। লোকেশনের অ্যাকসেস দেবেন এই সাইটটিকে। আপনার লোকেশনে একটি ফ্ল্যাগ পিন করুন। ব্যাস এর পরই আপনি আপনার সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। সেটিকে ডাউনলোড করে নিন।  

     

  • Usha Thakur: অবৈধ মাদ্রাসাগুলিতে তদন্তের প্রয়োজন, দাবি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর 

    Usha Thakur: অবৈধ মাদ্রাসাগুলিতে তদন্তের প্রয়োজন, দাবি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ মাদ্রাসাগুলি (Illegally-Run Madrassas) মানুষ পাচারের জন্যে ব্যবহার করা হতে পারে, ওগুলোর তদন্ত হওয়া উচিৎ। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং আধ্যাত্মবাদের মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর (Usha Thakur)। এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কথা বলেন তিনি। 

    তিনি বলেন, “সম্প্রতি এক সমাজসেবী সংস্থা ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছে। তাদের দাবি এক অবৈধ মাদ্রাসায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০-৪০ জন শিশুকে রাখা হয়েছে। তাদের জন্যে পর্যাপ্ত খাবারও নেই সেখানে। আমার ভয় মানুষ পাচারের কোনও চক্রও হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর 

    তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও মাদ্রাসা, মাদ্রাসা বোর্ড এবং জেলা শিক্ষা দফতরের অনুমোদনপ্রাপ্ত না হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই তদন্ত চালানো উচিৎ।” 

    এর আগেও মাদ্রাসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ঊষা ঠাকুর। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি মন্তব্য করেন, সব জঙ্গি মাদ্রাসাতেই তৈরি হয়। এই মন্তব্যের পর বিস্তর সমালোচনার শিকার হতে হয় মন্ত্রীকে। 

    আরও পড়ুন: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রীর কথায়, “সব সন্ত্রাসবাদীরা মাদ্রাসা থেকেই তৈরি হয় আর জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে সন্ত্রাসের কারখানা গড়ে তোলে। তাই দেশের উন্নতি করতে চাইলে স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে মাদ্রাসাগুলিকে। সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীরা এই মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করে বড় হয়ে ওঠে।”

    ঊষা ঠাকুর আরও বলেন, “আপনি যদি এ দেশের নাগরিক হন, তাহলে দেখবেন, সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীই এই মাদ্রাসার ছাত্র।” মাদ্রাসাগুলি শিশুদের জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দিতে পারে না বলেও মত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর। 

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াল ‘রোমিও’, কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই হেলিকপ্টারের, জানেন কী? 

    ঊষা ঠাকুরের এই মন্তব্যের পর বেশ জলঘোলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ প্রদর্শনও করে মুসলিম সংগঠনগুলি। সেই বিতর্ক থিতিয়ে যেতেই ফের আবার বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী। 

     

  • Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে গোহারা হেরেছেন বিজেপি বিরোধী সম্মিলিত জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। তার পরেই বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছেন আলভা। নাম না করে তৃণমূল (TMC) সহ ‘ষড়যন্ত্রী’ বিরোধীদের আক্রমণ শানান তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড় জয়ী হয়েছেন ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোটে। ওই ভোটে পরাস্ত হয়েছেন আলভা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এই ভোটেও ক্রস ভোটিং হয়েছে। যার জেরে শক্তি খুইয়েছেন আলভা। স্ফীতকায় হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবিরে থেকেও এবার ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী শিবিরে থেকেও যাঁরা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন আলভা। বলেন, কিছু বিরোধী শক্তি বিরোধী অবস্থানে থেকেও বিজেপিকে সমর্থন করছে। যা ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের ধারণাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে এবার মোট ভোট পড়েছে ৭২৫টি। তার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১৫টি ভোট। বৈধ ভোটের ৫২৮টি পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। যার অর্থ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এবারেও হয়েছে ক্রশ ভোটিং।এই ফল প্রকাশ্যে আসার পর ভাবী উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলভা। তার পরেই তোপ দেগেছেন বিরোধীদের। ট্যুইটবার্তায় আলভা লেখেন, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধনখড়কে ধন্যবাদ। এর পরেই বিরোধী সমস্ত নেতা এবং দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষ করে যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। অন্য একটি ট্যুইটে আলভা লেখেন, এই নির্বাচনে বিরোধীদের জন্য এক সঙ্গে কাজ করা, অতীতকে পিছনে ফেলা এবং একে অপরের বিশ্বাসের একটা জায়গা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বিরোধী দল সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করতেই ব্যস্ত। তাঁর মতে, বিরোধীদের এই প্রয়াস বিরোধী জোটের ভাবনাকে চালিত করছে বিপথে। এই সব বিরোধী দল ও তাদের নেতারা অজান্তেই লোকসান করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সব শেষে আলভা লিখেছেন, এই নির্বাচন তো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সংবিধান রক্ষা, গণতন্ত্র মজবুত ও সংসদের গরিমা বজায় রাখার লড়াই জারি থাকবে।

    আরও পড়ুন :একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড়

     

  • Ramayana Quiz: “সকলের পড়া উচিত”, রামায়ণ কুইজ় প্রতিযোগিতা জিতল দুই মুসলিম ছাত্র

    Ramayana Quiz: “সকলের পড়া উচিত”, রামায়ণ কুইজ় প্রতিযোগিতা জিতল দুই মুসলিম ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হিন্দুদের কাছে রামায়ণ-মহাভারত শুধুই মহাকাব্য নয়। এগুলো ধর্মগ্রন্থের সমান। চেতনাকে ঠিক পথে চালনা করার এক পথ প্রদর্শক। প্রায় প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই পাওয়া যায় এই দুই গ্রন্থ। এই দুই মহাকাব্য হিন্দুরা পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষদেরও আকর্ষণ করার শক্তি রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতের, সেটা জানতেন কি?

    সম্প্রতি এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল দেশ। ‘রামায়ণ কুইজ়’ (Ramayana Quiz) – এ প্রথম স্থান অধিকার করলেন দুই মুসলিম যুবক (Muslim Students)। কী বিশ্বাস হচ্ছে না! এমনটাই ঘটেছে ‘ডিসি বুক্স’ (DC Books) নামের এক প্রকাশনী সংস্থার আয়োজিত কুইজ় প্রতিযোগিতায়। মহম্মদ জাবির পিকে (Mohammed Jabir P K) এবং মহম্মদ বাসিত এম (Mohammed Basith M), মালাপ্পুরমের দুই মুসলিম ছাত্র অনলাইন রামায়ণ কুইজে় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। তাঁরা দুজনেই কেকেএইচএম ইসলামিক অ্যান্ড আর্টস কলেজ, ভ্যালেনচেরিতে ওয়াফি কোর্স করছেন। প্রতিযোগিতাটিতে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    আরও পড়ুন: সিএসআইআরে ডিজি পদে প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী, জানুন পরিচয় 

    আপনি যদি মহম্মদ বসিত এম- কে রামায়ণ থেকে তাঁর প্রিয় শ্লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অবিলম্বে ‘অযোধ্যাকাণ্ড’-এর শ্লোক আবৃত্তি করে শোনাবেন। যেখানে ক্রোধে ফেটে পড়ছেন লক্ষণ। আর ভাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন দাদা রাম। বোঝাচ্ছেন রাজত্ব, রাজপাট কতটা অপ্রাসঙ্গিক এবং অসাড় বিষয়। 

    শুধু যে শ্লোক উদাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করেন তা নয়, প্রতিটা শ্লোকের মানেও বোঝাবেন মিষ্টি স্বভাবের বাসিত। বিশেষত ‘আধ্যাত্ম রামায়ণ’ পাঠ করেন বাসিত। রামায়ণের মালায়ালি ভাষায় অনুবাদের নাম ‘আধ্যাত্ম রামায়ণ’। অনুবাদ করেছেন থুনচাথু রামানুজন এজুথাচান। এই কুইজ় প্রতিযোগিতায় পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন এই দুই মুসলিম যুবক, মহম্মদ জাবির পিকে এবং মহম্মদ বাসিত এম।

    আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, উড়ান শুরু আকাসা এয়ারের 

    এই দুই যুবকের দাবি, তাঁরা ছোটবেলা থেকেই এই মহাকাব্যের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু মূলত ওয়াফি কোর্সে যোগদানের পর রামায়ণ এবং হিন্দুধর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে পড়তে এবং জানতে শুরু করেন। জাবির বলেন, “প্রত্যেকেরই উচিত রামায়ণ ও মহাভারত এই মহাকাব্যগুলি পড়া। কারণ মহাকাব্যগুলি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অংশ। আমি বিশ্বাস করি যে এই গ্রন্থগুলো শেখা এবং বোঝা আমাদের দায়িত্ব।”  

    বাসিত এ বিষয়ে বলেন, “মহাকাব্য পড়লে অন্য ধর্ম, তার মানুষদের সম্পর্কে আরও ভালো করে জানা যায়। কোনও ধর্মই ঘৃণার শিক্ষা দেয় না। শুধু শান্তি ও সম্প্রীতির প্রচার করে। এই কুইজে় জয় আমাকে আরও গভীরভাবে মহাকাব্য সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করেছে।” জাবির বলেন, “রামকেও তাঁর পিতা দশরথকে দেওয়া কথা রাখতে রাজ্য ত্যাগ করতে হয়েছিল। আমরা যাঁরা এই সময়ে বাস করছি, যখন ক্ষমতা দখলের অবিরাম যুদ্ধ চলছে, সেখানে রামায়ণ মহাকাব্যের রামের মতো চরিত্র থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।   

    ভারতের ৯৭টি মুসলিম কলেজ ক্যাম্পাসে ওয়াফি পড়ানো হয়। আট বছর দীর্ঘ এই কোর্স। মূলত প্রধান ধর্মগুলি সম্পর্কে পড়ানো হয় এই কোর্সে।

  • Sanjay Raut: ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের, জেরা তাঁর স্ত্রীকেও?

    Sanjay Raut: ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের, জেরা তাঁর স্ত্রীকেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডি (ED) হেফাজত শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut)। সোমবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) এই রাজনৈতিক নেতাকে থাকতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। রবিবার দিনভর তল্লাশির পর সোমবার গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার পত্র চাউল দু্র্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু তথ্যও চলে এসেছে। যা থেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে সঞ্জয়ের যোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সঞ্জয়কে ফের তোলা হয় বিশেষ আদালতে। সেখানে শিবসেনা নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কিছুদিন সময় চান ইডি আধিকারিকরা। তার পরেই সোমবার পর্যন্ত সঞ্জয়কে ইডি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সঞ্জয়ের স্ত্রী বর্ষা রাউতকেও তলব করল ইডি। অভিযোগ, শিবসেনা সাংসদের স্ত্রী বর্ষা প্রবীণ রাউতের স্ত্রী মাধুরীর কাছ থেকে ৮৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পরে ফের মাধুরির অ্যাকাউন্টে তিনি জমা দিয়েছিলেন ৫৫ লক্ষ টাকা। বাকি টাকায় বর্ষা মুম্বইয়ের দাদরে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। জানা গিয়েছে, বর্ষার নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। মহারাষ্ট্রের আলিবাগের কাছে কিহিম সৈকতে বর্ষা রাউতের নামে ৮টি জমি কেনা হয়েছে। শুধু বর্ষার নামেই জমি নেই, সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ সুজিত পাটকরের স্ত্রী স্বপ্না পাটকরের নামে জমি কেনা হয়েছে সেখানে। বর্ষাকে জেরা করে এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব পেতে চাইছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই কারণেই  তাঁকে তলব করতে চলেছে ইডি।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি  

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যে খামে টাকাটি রাখা ছিল, তার ওপরে শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নাম লেখা ছিল। সঞ্জয়ের দাবি, আদিত্য ঠাকরের অযোধ্যা সফরের জন্য রাখা হয়েছিল টাকাটি।

     

     

  • Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিল বিজেপি (BJP)। তার পরেও এনডিএর (NDA) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) আটকানোর চেষ্টা করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। তার জেরেই এনডিএ সরকার পড়ে যায় বিহারে।

    জানা গিয়েছে, বিহারের পালাবদল নিয়ে মাস দুয়েক ধরে আলোচনা চলছিল লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার এবং কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের। কোন দল কোন দফতর পাবে, সে সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেই মঙ্গলবার আচমকাই বিজেপির হাত ছেড়ে দেন নীতীশ।

    নীতীশের এই ‘ভোলবদল’কে প্রতারণা হিসেবেই দেখছেন পদ্ম নেতৃত্ব। বারবার শিবির বদলে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও দাবি তাঁদের। নীতীশ যে শিবির বদলানোর সলতে পাকাচ্ছিলেন, তা আঁচ পেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তার পরেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বিজেপির কোনও নেতা। তাঁকে শিবির না বদলানোর কোনও অনুরোধও করা হয়নি গেরুয়া শিবিরের তরফে। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি বিরোধী পক্ষের নেতা হওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে আসতে পারে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    অন্য একটি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং ফোন করেছিলেন নীতীশকে। বিজেপির রাজ্য নেতারাও তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন, তবে তাঁর মন পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, বিজেপি জোট ধর্ম পালন করেছে। কিন্তু নীতীশ কুমার ‘শপিং’ করছিলেন। মাত্র ৩৬টি আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।অথচ বিজেপি পেয়েছিল ঢের বেশি আসন। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে যেভাবে শিবসেনা শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে, তেমনই কোনও কিছুর আশঙ্কা করছিলেন নীতীশ। তাই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে হাত মিলিয়েছেন বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে।

    এদিকে, এই ভোলবদলের কারণে নীতীশকে পরজীবী বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বিহার সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল নীতীশকে পিছন থেকে ছুরি মারতেই অভ্যস্ত বলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বিহারের মানুষই তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন। সঞ্জয় বলেন, ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ লড়েছিল। সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং জনতা দল(ইউনাইটেড)। আমরা ৭৪টি আসন পেয়েছিলাম। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসান নীতীশকে। আজ জনতা দল ইউনাইটেড যা করল, তা বিহারবাসীকে পিছন থেকে ছুরি মারার শামিল।

     

  • T Raja Singh: গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন টি রাজা! বিজেপি সাসপেন্ড করল তেলঙ্গানার বিধায়ককে

    T Raja Singh: গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন টি রাজা! বিজেপি সাসপেন্ড করল তেলঙ্গানার বিধায়ককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবিকে নিয়ে অসাংবিধানিক মন্তব্যের জেরে  তেলঙ্গানার (Telengana) সাসপেন্ডেড BJP বিধায়ক টি রাজা সিংয়ের (T Raja Singh) জামিন মঞ্জুর করল আদালত। নবিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্তি দেওয়া হল তেলঙ্গানার বিধায়ককে। আদালতের তরফে বলা হয়, গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে ভারতীয় আইনের অনুচ্ছেদ ৪১ মানা হয়নি,তাই তাঁর জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    টি রাজার আইনজীবী করুণা সাগর জানিয়েছেন, আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেকশন ৪১ এ মানা হয়নি বলে দাবি করে জামিন চেয়েছিলেন। একাধিক ধারায় মামলা হয়েছিল টি রাজার বিরুদ্ধে। যার মধ্যে ছিল ১৫৩ এ (ধর্মের নামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা), ২৯৫ এ (কোনও বিশেষ ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা), ৫০৫ (২) (হিংসা বা ঘৃণা ছড়াতে পারে এমন মন্তব্য ছড়ানো), ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকি)। টি রাজা সিংয়ের জামিনে উত্তাল হয়ে ওঠে হায়দরাবাদ (Hyderabad)। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে সরব হয় মুসলিম সংগঠনগুলি।  বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: নিয়ম-রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিহারের মন্দিরে অহিন্দু মন্ত্রী! ক্ষুব্ধ বিজেপি, কী বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ

    অভিযোগ , একটি ১০ মিনিটের ভিডিয়োতে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান মুন্নাওয়ার ফারুকির সমালোচনা করেছিলেন টি রাজা। সেই ভিডিয়ো প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়। বিধায়ক টি রাজার বিরুদ্ধে সোমবার রাতে হায়দরাবাদের একাধিক থানায় বহু মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। 

     টি রাজার জামিনের প্রতিবাদ জানিয়ে মুসলিম সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরানা পুল এলাকায় লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। চারমিনার (Charminar) চত্বরেও বিক্ষোভ অবস্থান চলে। ঘটনাস্থলে যান ডেপুটি কমিশনার এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share