Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UN terror meet: সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ভালো-খারাপ হয় না, মুম্বাইয়ে রাষ্টসংঘের বৈঠকের আগে বলল ভারত

    UN terror meet: সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ভালো-খারাপ হয় না, মুম্বাইয়ে রাষ্টসংঘের বৈঠকের আগে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির বৈঠক (UN Terror Meet) অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে সন্ত্রাসে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তি, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এবং ড্রোন নিয়ে মূলত  আলোচনা হবে। বৈঠকটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে ২৮ অক্টোবর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে। ২০০৮ সালে, মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে পাকিস্তানের লস্কর ই তৈবা জঙ্গিদের হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারান।   

    সন্ত্রাসবাদবিরোধী এই বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি, ঘানার বিদেশমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। ইউএনএসসির বর্তমান ১৫ জন সদস্য ছাড়াও তাজ হোটেলের অনুষ্ঠানে পাঁচ দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। এই বৈঠকে ২৬/১১ হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। মুম্বাইয়ের সেই হামলায় মোট ১৬৬ জনের প্রাণ যায়। 

    এই বৈঠকে বক্তৃতা রাখবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং আদামো। মুম্বাই হামলায় নিহতদের পরিবারের লোকজনও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তারা সংক্ষেপে এ সম্পর্কে বলবে। এর বাইরে সন্ত্রাস দমনে স্থানীয় পর্যায়ে কী করা যেতে পারে। এ বিষয়ে আলোচনা চলবে। দ্বিতীয় দিনের বৈঠকটি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করা হবে।   

    এতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে তার মধ্যে থাকবে আধুনিক যুগে সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহৃত যোগাযোগের মাধ্যম, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে সন্ত্রাসের জন্য অর্থায়ন। এফএটিএফও এই আলোচনায় যুক্ত হবে। ৯/১১ হামলার পর CTC (কাউন্টার টেররিজম কমিটি) গঠিত হয়। এ পর্যন্ত আটবার দেখা হয়েছে নিউইয়র্কে। ২০১৫ সালে এই বৈঠকটি স্পেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর এই প্রথম নিউইয়র্কের বাইরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

    রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুচিরা কাম্বোজ বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে কোনো দ্বৈত ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত নয়। সন্ত্রাসে ভালো বা খারাপ কোনও জঙ্গি নেই। কেউ কেউ ভালো-মন্দ করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে নিয়োজিত। কাম্বোজ নাম না করে চিন ও পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলেন। সন্ত্রাসীদেরকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে ভারতের প্রস্তাবে চারবার বাধা দিয়েছে চিন।

    আরও পড়ুন: সুরজকুণ্ডে অমিত শাহের ডাকে চিন্তন বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা, কেন?

    উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসঙ্ঘে আমেরিকা ও ভারত পাকিস্তানী জঙ্গি সাহিদ মেহমুদের নাম বিশ্ব জঙ্গি বা গ্লোবাল টেররিস্টের তালিকায় রাখার আবেদন করেছিল, যা চিনের তরফে খারিজ করা হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানি জঙ্গিদের আড়াল করার কাজ করল চিন। 

    গত মাসে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর UNGA এর ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেখানেও তিনি রাষ্ট্রসংঘে জঙ্গিদের কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে চিন ও পাকিস্তান উভয়কেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন গোটা বিশ্ব যেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা, সেখানে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিরও উচিত এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। নয়াদিল্লি আশা করে পাকিস্তান ও চিন জঙ্গিদের কালো তালিকাভুক্ত করতে একমত হবে। তবে জয়শঙ্করের বক্তব্য যে বেজিং ও ইসলামাবাদের কানে যায়নি, তা তাদের এই আচরণেই স্পষ্ট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rashtra Sevika Samiti: ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা, সবার ওপরে মাতৃত্ব…’, জানুন আরএসএসের মহিলা সংগঠনের আদর্শ

    Rashtra Sevika Samiti: ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা, সবার ওপরে মাতৃত্ব…’, জানুন আরএসএসের মহিলা সংগঠনের আদর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা। তবে সবার ওপরে মাতৃত্ব। এই নীতিতেই বিশ্বাসী আরএসএসের (RSS) মহিলা সংগঠন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি (Rashtra Sevika Samiti)। ১৯৩৬ সালে গড়ে ওঠে আরএসএসের এই মহিলা সংগঠন। আরএসএসের তুলনায় মহিলাদের (Women) এই সংগঠন খুবই ছোট। সংগঠনের প্রধান ভি শান্তা কুমারী, সংগঠনে যিনি শান্তাক্কা নামেই পরিচিত। তিনি জানান, বিভিন্ন রাজ্যে সংঘের যেখানে ৩০০০ প্রচারক রয়েছে, সেখানে সমিতির প্রচারিকা মাত্র ৫২। বিস্তারক রয়েছেন দেড়শো জন। সংগঠনের শাখা রয়েছে ২ হাজার ৭০০টি। সেবিকা রয়েছেন ৫৫ হাজার।

    তিনি জানান, সমিতিতে (Rashtra Sevika Samiti) স্বেচ্ছাসেবিকার কাজ করেন সেবিকারা। বিস্তারিকারা শর্ট টার্ম সদস্য। প্রচারিকারা হলেন সেই সব সদস্য যাঁরা সমিতির জন্য জীবন উৎসর্গ করার শপথ নিয়েছেন। প্রচারিকা হতে গেলে বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৭০ এর মধ্যে।

    সেবিকা (Rashtra Sevika Samiti) সমিতির প্রধান জানান, সমিতি তিনটি মূল নীতির ওপর ভর করে কাজ করে। এগুলি হল, মাতৃত্ব, কর্তব্য এবং নেতৃত্ব। তিনি বলেন, সেবিকা সমিতি জিজা মাতা (জিজাবাঈ ভোঁসলে)-র আদর্শ অনুসরণ করে। যিনি শিবাজিকে শিক্ষা দিয়েছিলেন, গড়ে তুলেছিলেন। শান্তা কুমারী বলেন, আমাদের সংগঠনে হাজার হাজার গৃহিণী রয়েছেন, যাঁরা সন্তান-সংসার সামলেও, সোশ্যাল ওয়ার্ক করেন। আমরা তাঁদের কখনও বলিনা শাখায় এস, অথবা পরিবারের অমতে সমতিতে যোগ দাও। তিনি বলেন, মাতৃত্ব এবং কর্তব্য আমাদের কাছে সব চেয়ে আগে। এবং এগুলিই মহিলাদের নেতৃত্বদানের ক্ষমতাকে বিকশিত করে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    সেবিকা সমিতির (Rashtra Sevika Samiti) প্রধান বলেন, আমরা মহিলাদের বলিনা যে পরিবার ছেড়ে আমাদের সংগঠনে যোগ দিন। আমরাও সংগঠন বিস্তারের কর্মসূচি নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত ১ হাজার বিস্তারিকার একটি শক্তপোক্ত গোষ্ঠী তৈরি করব। তিনি বলেন, মহিলাদের পক্ষে সংসার ছেড়ে সংগঠনের জন্য জীবন উৎসর্গ করা সহজ নয়। কিন্তু আমরা তরুণীদের বলি, বাবা-মাকে বোঝাতে। জাতি গঠনের প্রয়োজনে যে এই সংগঠনে যোগ দেওয়া প্রয়োজন, সেকথাই বোঝাতে বলি। আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, মহিলারা সংসার করেন। তাই পাবলিক লাইফে তাঁদের অংশগ্রহণ সাধারণত কম। তিনি বলেন, তবে সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেবিকা সমিতি। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানও বিরাট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Bridge Collapse: জখম মায়ের কোলে ধরা শিশু সন্তানের শব…, মরবির হৃদয়বিদারক ছবি

    Gujarat Bridge Collapse: জখম মায়ের কোলে ধরা শিশু সন্তানের শব…, মরবির হৃদয়বিদারক ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জখম মায়ের কোলে শিশু সন্তানের শব! কিংবা হতে পারে মৃত বাবার হাত ধরে ভয়ে কাঁদছে আহত কোনও শিশু! হৃদয় বিদারক এ ছবি গুজরাটের (Gujrat) মরবির। রবিবার  সন্ধ্যায় মরবিতে একটি সেতু ভেঙে (Gujarat Bridge Collapse) মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। জখম হয়েছেন বহু। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়েই টুকরো টুকরো ওই সব দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা পরেও শিউরে উঠছেন যাঁরা।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস সাতেক ধরে সংস্কার কাজ চলার পর দিন পাঁচেক আগে খুলে দেওয়া হয় মরবির ওই ব্রিজ। রবিবারের সন্ধেয় ব্রিজে উঠে নদীর বাতাস খাচ্ছিলেন শ’ পাঁচেক মানুষ। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে মাঝ নদীতে (River) ভেঙে পড়ে ব্রিজের (Gujarat Bridge Collapse) একাংশ। সলিল সমাধি ঘটে শতাধিক মানুষের। জখম হন বহু। তাঁদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তখনই হৃদয়বিদারক কিছু ঘটনার সাক্ষী হন তাঁরা।

    স্থানীয় এক চা বিক্রেতা বলেন, পুরো ঘটনাটি ঘটে গেল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। কিছু লোককে দেখলাম ব্রিজ ধরে ঝুলতে। পরে হাত আলগা হয়ে যাওয়ায় টুপ টুপ করে খসে পড়ল নদীতে। তিনি বলেন, মাস সাতেকের এক অন্তঃসত্ত্বাকেও নদীতে পড়ে যেতে দেখেছি। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে চা বিক্রেতার। তিনি বলেন, কয়েকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। ওই চা বিক্রেতা আরও বলেন, একটি বাচ্চা মেয়ে। জল বমি করছি। ভাবলাম বেঁচে যাবে। তার পর হঠাৎই একটা হেঁচকি তুলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। এ ভয়ঙ্কর দৃশ্য বাবু চোখে দেখা যায় না!

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    ঘটনাস্থলে ছিলেন জনৈক হাসিনা বেহেনও। তাঁর দুটি গাড়ি আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কয়েকটি শিশুকে মৃত না জেনেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। যখন শুনলাম তারা মৃত, ভেঙে পড়েছিলাম। এরকম আরও টুকরো টুকরো মর্মস্পর্শী দৃশ্যের কথা শোনা গিয়েছে স্থানীয়দের কাছেই। তখনই জানা গিয়েছে মায়ের কোলে শিশু সন্তানের শবের কথা কিংবা দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কোনও শিশু ধরে রয়েছে মৃত বাবার হাত। হয়তো জেনে, হয়তোবা না জেনেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat bridge collapse: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    Gujarat bridge collapse: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে নদীর উপর সেতু ভেঙে মৃত্যু হল অন্তত ১৩২ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। রবিবার,সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীতে ভেঙে পড়ে একটি আস্ত কেবল ব্রিজ। অন্তত ৫০০ লোক নিয়ে ওই সেতু ছিঁড়ে জলে পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেতুটি সারানোর কাজ চলছিল। দিন পাঁচেক আগে নতুন করে খুলে দেওয়া হয় ওই সেতু।  এদিন ছট পুজো উপলক্ষে সেতুর উপর বহু মানুষের সমাগম হয়। এখনও পর্যন্ত ১৮০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। বহু মানুষ নিখোঁজ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই, শিশু, মহিলা ও বয়স্ক ব্যক্তি।

    মোরবির এই ঝুলন্ত সেতুটি ১৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৬৫ ফুট। ১৮৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের গভর্নর রিচার্ড টেম্পল ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। ১৮৮০ সালে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে এটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় এই সেতু তৈরির যাবতীয় উপকরণ ইংল্যান্ড থেকেই আমদানি করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়,কেউ সাঁতার কেটে প্রাণরক্ষা করার চেষ্টা করছেন, কেই ঝুলন্ত ব্রিজের দড়ি ধরে ঝুলে রয়েছেন।  যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স, উদ্ধারকার্যের জন্য বাহিনী,পুলিশ প্রশাসন। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন এলাকাবাসীও। সংস্কারের পাঁচ দিনের মধ্যে কী ভাবে ঝুলন্ত সেতু ছিঁড়ে পড়ল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গুজরাট প্রশাসন। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় সেতুর সংস্কারের বরাত প্রাপ্ত সংস্থাকে তলব করা হতে পারে। গুজরাট প্রশাসন সূত্রে খবর, কী কারণে আচমকা ওই সেতু ভেঙে পড়ল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল। ইঞ্জিনিয়ারদের টিমও পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। রাজ্য সরকারের তরফে নিহতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে সহায়তা ঘোষণা করা হয়। আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ট্যুইট করেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

  • PM Modi: শীঘ্রই প্যাসেঞ্জার এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরি করবে ভারত, ট্যাগ থাকবে মেক ইন ইন্ডিয়ার, বড় ঘোষণা মোদির

    PM Modi: শীঘ্রই প্যাসেঞ্জার এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরি করবে ভারত, ট্যাগ থাকবে মেক ইন ইন্ডিয়ার, বড় ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় গুজরাট (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যবাসীকে গুচ্ছ উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার তিনি যান গুজরাটের ভাদোদরায়। সেখানে শিলান্যাস করেন সি-২৯৫ (C-295) সামরিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টের। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, এয়ারবাস সিসিও ক্রিস্টিয়ান স্কেহরার এবং টাকা সন্সের চেয়ারপার্সন এন চন্দ্রশেখরনের। প্রসঙ্গত, রবিবার তিন দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন মোদি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে মোদি (PM Modi) বলেন, ভারত সৌরশক্তি এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। এই ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য দেখে বিস্মিত তামাম বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে ভারত বিশ্বে একটা নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তুলবে। এখানে যে ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরি হবে, সেগুলি যে কেবল সেনাবাহিনীকে শক্তি জোগাবে তাই নয়, এয়ারক্র্যাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের একটা ইকোসিস্টেমও গড়ে তুলবে। শীঘ্রই ভারত প্যাসেঞ্জার এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরি করবে বলেও উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন মোদি। বলেন, ওই প্যাসেঞ্জার এয়ারক্র্যাফ্টে মেক ইন ইন্ডিয়া ট্যাগ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, আগামী দিনে ভারতকে আত্মনির্ভর করতে দুটি মজবুত পিলার হবে প্রতিরক্ষা এবং এরোস্পেস। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। উত্তর প্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে ডিফেন্স করিডর গড়ে তোলা হবে। সেখান থেকে রফতানি করা হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম।

    সরকার যে প্রাইভেট এবং পাবলিক সেক্টরকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন মোদি (PM Modi)। বলেন, ভারতের অগ্রগতিতে বর্তমান সরকার পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে একটি নতুন মানসিকতা এবং নয়া কর্ম সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছে দেশ।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    আগামিকাল, সোমবার একতা দিবস। এদিন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন। এদিন স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তার পরের দিন যাবেন পাঁচমহল জেলায়। সেখানে কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। সন্ধেয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাতের ১৮২টি কেন্দ্রের কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। পরে যোগ দেবেন দলীয় কর্মীদের নিয়ে দিওয়ালি মিলানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার জোগানই সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ। রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বৈঠকে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে শুক্রবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী (UN Terror Meet) কমিটির বৈঠক। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল দিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এর টাকার জোগানকে দমন করা। কারণ এই মূলধনই হল সন্ত্রাসবাদের প্রাণ। বাস্তব এটাই যে, সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই তা প্রসারিত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ছবি তুলে ধরছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, সন্ত্রাসবাদীরা প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান পাচ্ছে।” 

    রাষ্ট্রসংঘে ‘স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ ও তার অর্থায়ন মোকাবিলা’ শীর্ষক বৈঠকে এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার অপরাধীদের আনার কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে। আর তার কারণ একটাই। এই ভয়ঙ্কর হামলার মূল চক্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে।” তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।  

    পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসে জড়িতদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ২৬/১১ হামলা শুধু মুম্বাইয়ের উপর ছিল না। ছিল বিশ্ববাসীর উপর। তাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে সময় এসেছে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার।” 

    এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনকে জীবিত ধরা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার হয়েছিল এবং দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল। দুঃখজনক বিষয় হল, নিরাপত্তা পরিষদ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনি।”

    জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘ কমিটির বিবেচনার জন্য পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সংগঠন সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    পাঁচটি পয়েন্টে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 

    ১. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এফএটিএফ-এর মতো অন্যান্য ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

    ২. শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে যাতে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অকার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। 

    ৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ৪. অস্ত্র এবং অবৈধ মাদক পাচারের মত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র এখন বেশ স্পষ্ট ও প্রমাণিত। এটি চিহ্নিত করতে হবে।  

    ৫. সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সূত্র অর্থ সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তির মোকাবিলায় আমাদের কাছে উন্নত সমাধান থাকা প্রয়োজন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে নকশালরা (Naxals) যে বড় বিপদ, তা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশবাসীকে এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে দেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র নকশাল ও কলমধারী নকশাল দুই ধরনের নকশালদেরই পরাজিত করতে হবে বলেও জানান মোদি।

    হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তন শিবির। এদিন ভার্চুয়ালি ওই শিবিরে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়াতে কাজ করেছে সব সরকারই। যৌথ বাহিনী ব্যবহার করে এই কাজ করতে হবে। আমাদের সব ধরনের নকশালদের শেষ করতে হবে। সে অস্ত্রধারী হোক কিংবা কলমধারী সব ধরনের নকশাল নির্মূল করতে হবে। এর আগে একাধিকবার শহুরে নকশালদের একহাত নিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)। শহুরে নকশালরা যে দেশের বিপদ, তারা যে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, সেকথা গুজরাটের সভায় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বলেন অস্ত্রধারী ও কলমধারী নকশালদের কথা। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    ভুয়ো খবরও যে দেশের বিপদ বাড়াচ্ছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, একটা ছোট্ট ভুয়ো খবর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে মানুষের উচিত খবরটির সত্যাসত্য যাচাই করা। তিনি বলেন, যাঁরা আইন মেনে চলেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নঞর্থক শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোনও খবর বিশ্বাস করার আগে, তা যাচাই করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে এখন আরও বেশি করে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। অপরাধের থেকে দশ কদম এগিয়ে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অপরাধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছে। তাই আমাদের নতুন যুগের টেকনোলজি বুঝতে হবে। আমরা ফাইভ-জি-র যুগে প্রবেশ করেছি। তাই আামাদের প্রয়োজন আরও বেশি সতর্ক হওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    BJP: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ভুল করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সেই ভুল সংশোধন করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) রদও করেছেন মোদি। এই ভুলের জন্য কংগ্রেসের (Congress) ক্ষমা চাওয়া উচিত, দাবি বিজেপির (BJP)।

    জম্মু-কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি ভুল করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল এই অঞ্চলের রাজা হরি সিংয়ের ভারত অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করাও। তিনি বলেন, এর মূল্য চোকাতে হয়েছে ভারতকে। জম্মু-কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান।  

    বিজেপির (BJP) এই মুখপাত্র বলেন, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে এনিয়ে সওয়াল করেছিলেন রাজা হরি সিং। যদিও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে স্বার্থ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তাঁর ও তাঁর বন্ধুদের। এর পরেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে ভাটিয়া বলেন, যদি সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেত, তাহলে ভারতের কোনও অংশই পাকিস্তান দখল করতে পারত না। এই ইস্যুতে তখন থেকেই কংগ্রেস মিথ্যে বলে আসছে। গোপন করতে চাইছে সত্য। তিনি বলেন, ঘরোয়া বিষয়টিকে নেহরু তখন নিয়ে গেলেন রাষ্ট্রসংঘে। পার্টি করলেন পাকিস্তানকে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১

    বিজেপির (BJP) এই মুখপাত্র বলেন, কংগ্রেস কৌশলে গণভোটের ধারণাটি ভাসিয়ে দিয়েছিল। যদিও স্বাধীনতা আইনে এর কোনও সংস্থান ছিল না। ওই সময় একশোরও বেশি রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর যা এখন একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, সেখানে জারি করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। যার জন্য দেশকে চড়া মূল্য চোকাতে হয়েছে। ভাটিয়া বলেন, তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল নেহরুকে বলেছিলেন, অন্যান্য দেশীয় রাজ্যের মতো জম্মু-কাশ্মীরও যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হত, তাহলে সম্ভবত এখানে কোনও জেহাদি সন্ত্রাসবাদী থাকত না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই ভুলগুলিই সংশোধন করেছেন মোদি। এবং তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। এই পদ্ম নেতা বলেন, এই সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত কংগ্রেসের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর! বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুজনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কথা হয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়েও।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করায় ওই পদে বসেন ঋষি। তামাম ভারত যেদিন দীপাবলি উৎসবে মাতোয়ারা, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষির নাম ঘোষণা করে তার দল কনজারভেটিভ পার্টি। এর পর বৃহস্পতিবার মোদি ফোন করেন ঋষিকে। জানা গিয়েছে, প্রথমে ঋষিকে শুভেচ্ছা জানানোর পর ‘কাজের কথায়’ চলে যান মোদি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু দেশের একটা সিদ্ধান্তে আসা যে প্রয়োজন, তাও ঋষিকে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দীপাবলির মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা করেছিল ভারত। কিন্তু গত প্রায় দু মাস ধরে ব্রিটেনের ঘটনাপ্রবাহের জেরে স্বাক্ষরিত হয়নি সেই চুক্তি।

    আরও পড়ুন: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে ট্যুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট- বার্তায় তিনি লেখেন, আজ ঋষি সুনকের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব খুশি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দু দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন, তা নিয়েও আমরা একমত হয়েছি।

    পাল্টা ট্যুইট করেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর নয়া ভূমিকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদিকে। ট্যুইট বার্তায় সুনক লিখেছেন, ভারত এবং ব্রিটেন অনেক কিছুই শেয়ার করে। আমি উত্তেজিত এই ভেবে যে দুটি মহান গণতন্ত্র সব কিছু পেতে পারে যদি আমরা নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে পারি মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bombay High Court: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    Bombay High Court: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কোনও বিবাহিত মহিলাকে (Married Woman) যদি গৃহস্থালির কাজ (Household Work) বলা মানে, তিনি কাজের লোক (Maid) হয়ে গেলেন না। এটি কোনওভাবে নিষ্ঠুরতাও (Cruelty) নয়।’ এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট। একটি মামলায় আজ এই পর্যবেক্ষণ করেছে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ (Aurangabad Bench)। আদালত জানিয়েছে, যে বিয়ের আগে মহিলাকে উল্লেখ করে দিতে হবে যে তিনি ঘরের কাজ করতে না চাইলে করবেন না।   

    বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং রাজেশ পাতিলের বেঞ্চ বলে, “যদি একজন বিবাহিত মহিলাকে পরিবারের প্রয়োজনে গৃহস্থালির কাজ করতে বলা হয়, তবে তিনি দাসী হয়ে গেলেন এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যদি তাঁর নিজের সংসারের কাজ করার ইচ্ছা না থাকে। তাহলে বিয়ের আগেই মহিলার বলা দেওয়া উচিত যে তিনি ঘরের কাজ করতে পারবেন না। যাতে বর বিয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ পান। বা বিষয়টির অন্য কোনও সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।”

    ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৪৯৮ এ  অধীনে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত এই পর্যবেক্ষণ জানায়। এক মহিলা স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও স্বামী বা স্বামীর আত্মীয় কোনও মহিলাকে নিষ্ঠুরতার শিকার করেন, তবে তাঁদের তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস ও জরিমানা হবে। ৪৯৮ ধারা ছাড়াও ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে মামলা করেছেন।

    আরও পড়ুন: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার ভাগ্যনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিয়ের পর এক মাস তাঁর সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করতে শুরু করে। মহিলার আরও দাবি, বিয়ের এক মাস পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং স্বামী গাড়ি কেনার জন্য ৪ লক্ষ টাকা দাবি করতে শুরু করেন। তাঁর বাবা সেই টাকা অসামর্থ হলে, এরপর স্বামী তাঁকে মারধর করেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।    

    অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার আদালতকে জানিয়েছে যে, মহিলা আগেও বিবাহিত ছিলেন। তাঁর প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি, ঘটনায় কোনও সত্যতা নেই। তাই তাঁর প্রথম স্বামীকেও  আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share