Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সফরে এসে কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট (Turkish President) রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুসারে সমস্যা সমাধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত (Indias Reaction)। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের চিরস্থায়ী বিষয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে এমন অযাচিত মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

    তুর্কি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Indias Reaction)

    সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমস্যার সমাধান করা উচিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এবং কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে। অতীতের মতো আজও আমাদের রাষ্ট্র এবং আমাদের জাতি আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে (Indias Reaction )।”

    ভারতের মোক্ষম জবাব

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার পরিবর্তে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারের পাকিস্তানের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হলে ভালো হত।” পাকিস্তানের সংসদ ভারতের প্রতি কাশ্মীরে গণভোট পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করানোর বিষয়ে আর একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং সর্বদা তাই থাকবে। তিনি বলেন, এনিয়ে কোনও সন্দেহ বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ এবং কোন কার্যকলাপ সার্ককে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী (Turkish President)। জয়শঙ্কর জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক করা উচিত নয় (Indias Reaction)।

  • Mahakumbh: ভক্তদের ৪০ শতাংশই মহিলা! অনন্য নজির মহাকুম্ভে, বলছে রিপোর্ট

    Mahakumbh: ভক্তদের ৪০ শতাংশই মহিলা! অনন্য নজির মহাকুম্ভে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মনে করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যাবে ৬০ কোটি। এই আবহে আরও এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। মহাকুম্ভে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এদেশের মহিলারা। যাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। একটি সমীক্ষা বলছে ,মহাকুম্ভে অংশগ্রহণকারী ভক্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই হলেন মহিলা। সমীক্ষাটি চালিয়েছে গোবিন্দ বল্লভ সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট।

    মহিলারা নিজেরাই দল করে স্নান করতে আসছেন (Mahakumbh)

    এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন টিম প্রয়াগের (Women Devotees) স্নানের ঘাটগুলিতে প্রথম দিন থেকেই দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেক জায়গাতে তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেছেন কত সংখ্যক মানুষ এসেছেন। তখনই তাঁরা জানতে পেরেছেন যে যাঁরা এসেছেন তাদের ৪০ শতাংশ হলেন মহিলা এবং এঁদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এটি একটি বড় সামাজিক পরিবর্তন (Mahakumbh) বলে মনে করা হচ্ছে। আরও উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক মহিলাদের দল কুম্ভে হাজির হয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই আত্মনির্ভর হয়ে পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করেছেন। কোনও রকমের পরিবারের পুরষ সদস্য তাঁদের সঙ্গে আসেননি।

    কী জানালেন গবেষক দলের সদস্য

    রিসার্চ যাঁরা করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অর্চনা সিং। তিনি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে সারাদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিক্ষার হার বেড়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বেড়েছে মহিলাদের। তাই স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের সামাজিক নিয়মগুলিতে (Mahakumbh) পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতীতে মহিলারা সাধারণত ঘরের যে কোনও আচার অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু তাঁরা এখন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন মহাকুম্ভের মতো বড় এই অনুষ্ঠানগুলিতে।

    মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে বেড়েছে অর্থনীতি

    ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে।

  • Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে সম্পন্ন হচ্ছে মহাকুম্ভ। সারা দেশ এখন প্রয়াগরাজমুখী। মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত ছুঁয়ে যাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আবহে অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির দর্শনে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের ঢল। ভোর থেকে রাত লম্বা লাইন। সারা দেশ থেকেই ভক্তরা হাজির হচ্ছেন রামলালার (Ramlala) দর্শনে। লাইন শুরু হচ্ছে সকাল পাঁচটা থেকে এবং তা চলছে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরেই প্রচুর ভক্ত আসছেন রামলালার দর্শনে। প্রতিদিন লাখেরও বেশি ভক্তের পা পড়ছে অযোধ্যার (Ayodhya) মাটিতে। এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন।

    ভক্তদের ভিড়ে উন্নত হয়েছে অর্থনীতিও

    এই আবহে ভক্তদের ভিড়কে (Ayodhya) নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে রাম মন্দির চত্বরজুড়ে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ২০১৬-১৭ সালে যেখানে অযোধ্যাতে ভক্ত সংখ্যা ছিল ২.৩৫ লক্ষ সেখানে ২০২৪ সালে অযোধ্যায় ভক্ত সংখ্যা হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ কোটি এবং এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হয়েছে ব্যাপকভাবে।

    কী বললেন অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার?

    চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার রাজ করণ নায়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রচুর ভক্ত অযোধ্যায় আসছেন। ২৪ ঘণ্টাই আমাদেরকে ডিউটি করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টও করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ভক্ত একই উদ্দেশ্যে আসছেন। তাঁরা রামলালাকে দর্শন করতে চান। এখানে যে গাড়িগুলি ঢুকছে সেজন্য পার্কিংয়েরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ট্রাফিকের জন্য অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। অযোধ্যার ছটি জায়গাতে আমরা কেন্দ্র তৈরি করেছি। যেখানে নিখোঁজ দর্শনার্থীদের সন্ধানের জন্য সাহায্য করা হবে।’’ অযোধ্যার (Ayodhya) আরেক পুলিশ কর্তা, মধুবন কুমার সিং জানিয়েছেন, প্রতিনিয়তই ভক্ত সংখ্যা বেড়ে চলেছে মহাকুম্ভে। ভক্তরা কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান সেরে রামলালা (Ramlala) দর্শন করতে আসছেন। একই সঙ্গে তাঁরা হনুমানজীর মন্দিরও দর্শন করছেন ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন চলছে।

  • RSS: “আরএসএস বটবৃক্ষের মতো, আমার মতো লাখো মানুষকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    RSS: “আরএসএস বটবৃক্ষের মতো, আমার মতো লাখো মানুষকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএস (RSS) বটগাছের মতো। আমার মতো লাখ লাখ মানুষকে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্ধুব্ধ করেছে।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। শুক্রবার দিল্লিতে তিন দিন ব্যাপী ৯৮তম অখিল ভারতীয় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি আরএসএসকে তুলনা করেন বটবৃক্ষের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই সংগঠন (আরএসএস) ভারতের মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক পবিত্র সাংস্কৃতিক অনুশীলন করে আসছে।” প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং এনসিপি (এসপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (RSS)

    প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, আরএসএসের জন্যই তিনি মারাঠি সংস্কৃতি ও ভাষার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের মাটিতেই মারাঠিভাষী এক মহাপুরুষ একশো বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন। আজ তা বটবৃক্ষের মতো শতবর্ষ পালন করছে। বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সংস্কার যজ্ঞ চালাচ্ছে। এ নিয়ে গর্ব বোধ করতে হবে।”

    আরএসএস-স্তুতি

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মতো লাখো মানুষকে (RSS) দেশের জন্য বাঁচার প্রেরণা জুগিয়েছে আরএসএস।” তিনি বলেন, “এই সম্মেলন এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের অভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে, যখন পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাই হোলকারের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে, এবং বাবাসাহেব অম্বেডকরের প্রচেষ্টায় গঠিত সংবিধান তার ৭৫তম বছরে পদার্পণ করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা এই গর্বও অনুভব করব যে মহারাষ্ট্রের মাটিতেই এক মহান মারাঠি ভাষাভাষী ব্যক্তি ১০০ বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন।” তিনি বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ আরএসএসের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার শিক্ষা পেয়েছে।” মারাঠি ভাষার ক্লাসিক্যাল ভাষার মর্যাদা পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা (PM Modi) করছিলেন। আমি একে আমার জীবনের একটি মহান মাইলফলক বলে মনে করি (RSS)।”

  • USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ (USAID Fund Controversy) করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুক্রবার সেই বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করল নয়াদিল্লি (Modi Govt)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের অভিমত

    সম্প্রতি, আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারত-সহ একাধিক দেশে বরাদ্দ (USAID Fund Controversy) বাতিলের কথা জানায়। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দফতর জানায়, ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমেরিকা যে ১৮২ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিয়েছিল, তা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের (Modi Govt) মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’’ তার পরই রণধীর জানান, ভারত সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো বিষয়টি যাচাই না করে জনসমক্ষে মন্তব্য করা অনুচিত বলে মনে করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার কয়েকটি কাজ এবং অর্থ জোগান নিয়ে মার্কিন প্রশাসন যে তথ্য সামনে এনেছে, সেটা আমরা দেখেছি। বিষয়টির গভীরে গিয়ে পরবর্তীকালে আমরা ওই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব বলে আশা করছি।”

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভারতে ভোটাদানের (USAID Fund Controversy) হার বৃদ্ধি করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার (খরচ করা হয়েছে)! ভারতের ভোটদানের হার নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা কীসের? আমাদের যথেষ্ট সমস্যা আছে। আমরা আমাদের ভোটাদানের হার বাড়াতে চাই।’ এরপরই ভারতে ভোটারদের ভোটমুখী করতে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধের কথা জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর দাবি, “আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।” ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কেন বৈদেশিক সহায়তা চাইছিলেন।

  • PM Modi: উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম ট্রেকিং পথের উদ্বোধন করবেন মোদি

    PM Modi: উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম ট্রেকিং পথের উদ্বোধন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সফর করবেন। এই সফরে তিনি উদ্বোধন করবেন জনাকতল এবং মুলিঙ্গানা পাস এই দুটি ট্রেকের। জানা যাচ্ছে, এরমধ্যে জনাকতল ট্রেক হল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রেকিং রুট। এই উদ্বোধন কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জনাকতল ট্রেক একেবারে চিন সীমান্তে অবস্থিত।  প্রধানমন্ত্রীর মোদির এই সফর এই সফরে আগামীদিনে উত্তরাখণ্ডে পর্যটক আরও বাড়বে বলেই মনেক করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    জনাকতল ট্রেকটি ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত (PM Modi)

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জনাকতল ট্রেকটি ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের জাদুং থেকে জনাকতল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ রয়েছে। পার্বত্য উপত্যকায় রয়েছে এই পথ। জানা যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৭১৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ট্রেকটি।

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। নেলং, জাদুং, সোনম প্রভৃতি স্থানে সাজোসাজো রব। এই স্থানগুলিতে আগামীদিনে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সেরাজ্যের হারসিল থেকে শুরু হবে মোটরবাইক র‍্যালি। একইসঙ্গে দুটি ট্রেকিং অভিযান সহ একাধিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    মোদির (PM Modi) সম্মানে বাইক র‍্যালি

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী হারসিল থেকে মোটরবাইক-ATV-RTV র‍্যালির নেতৃত্ব দেবে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড পর্যটন উন্নয়ন বোর্ডও (UTDB) একটি মোটর বাইক র‍্যালি করবে। জানা যাচ্ছে, এই র‍্যালি সম্পন্ন হবে সেরাজ্যের জাদুং-এ। অন্যদিকে নীলাপানি থেকে মুলিং লা বেস পর্যন্ত একটি ট্রেকিং অভিযানও সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP)। এর পাশাপাশি, জাদুং থেকে জনকতাল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেকিং অভিযানও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    মোদির (PM Modi) সফরে পর্যটনের প্রচার

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তরাখণ্ড সরকার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে উত্তরাখণ্ডে শীতকালীন পর্যটন প্রচারের একটি বড় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চায়। ধানমন্ত্রী মোদির এই সফরে তিনি গঙ্গা মন্দিরে পুজোও করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রশাসনের তরফ থেকে পরিদর্শন

    মোদির (PM Modi) সফরের আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হারসিলের স্থান পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই স্থানের ট্রাফিক, পার্কিং, বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছেন। উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি প্রদর্শনীও করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির ৫০ লাখেরও বেশি নেপালি ভক্ত, তীর্থযাত্রীদের মুখে যোগীর প্রশংসা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির ৫০ লাখেরও বেশি নেপালি ভক্ত, তীর্থযাত্রীদের মুখে যোগীর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মতোই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) নিয়ে বিপুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে নেপালেও। প্রসঙ্গত, নেপাল হল মাতা সীতার জন্মভূমি। রিপোর্ট বলছে ৫০ লাখেরও বেশি ভক্ত নেপাল থেকে পুণ্য স্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হওয়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে। নেপালি ভক্তদের এমন অংশগ্রহণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহাকুম্ভ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নেপালেও। এমনটাই বলছেন অনেকে।

    নেপালের ভক্তরা হাজির অক্ষত চাল নিয়ে (Mahakumbh 2025)

    নেপাল থেকে ভক্তদের মধ্যে অনেকে (Prayagraj) এসেছেন অক্ষত চাল নিয়ে। সেগুলি নিয়ে তাঁরা হাজির হচ্ছেন বড়ে হনুমানজির সামনে। একই সময়ে তাঁরা এখান থেকে গঙ্গাজল নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। এর পাশাপাশি ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র মাটি নেপালে নিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা (Mahakumbh 2025)। নেপালি ভক্তদের সঙ্গে বড়ে হনুমান মন্দিরের এবং অক্ষত চালের সম্পর্ক অনেক দিনের বলেই জানা যায়। পুণ্য স্নান করার পরে নেপালি ভক্তরা অযোধ্যার রাম মন্দিরের দর্শনও করেছেন। এর পাশাপাশি বারাণসীতে বাবা বিশ্বনাথ ধামেও তাঁরা যাচ্ছেন বলে খবর।

    কী বলছেন জনৈক নেপালি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    নেপাল থেকে এসেছিলেন এরকমই একজন ভক্ত, তাঁর নাম হচ্ছে রাম শিখদেল। ঘটনাক্রমে তিনি হলেন, নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্ট-এর সভাপতি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে জনকপুর থেকে আনা পবিত্র অক্ষত চাল বরে হনুমান মন্দিরে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গঙ্গা মৃত্তিকা এবং গঙ্গা জলের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নেপালিদের কাছে অনেক বেশি। একইসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ এর নেতৃত্বে হওয়া মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) ব্যাপক প্রশংসাও করেছেন তিনি। এখানে কোনও রকমের বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন। নেপালের মাতা জানকি মন্দির নেপাল থেকে তাঁরা নতুন বস্ত্র, অলংকার, ফল, ধুতি, টাওয়েল ইত্যাদি এনেছিলেন। এইগুলি তাঁরা উপহার হিসেবে মহাকুম্ভে নিয়ে এসেছিলেন এবং বিভিন্ন জনের কাছে তা বন্টনও করেছেন।

  • Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের কর্মভূমি ছিল দ্বারকা নগরী। ৪ হাজার বছরের পুরনো এক শহর। এখানেই রাজপাট চালিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এবার সেই দ্বারকায় সমুদ্রের নীচে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের খোঁজে নামল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই-এর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই দল গুজরাটের দ্বারকাধীশ মন্দির উপকূলে ও বেট দ্বারকায় সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যাওয়া ৪ হাজার বছরের পুরনো শহরের সন্ধান করবে। এই প্রথম মহিলা ডুবুরি-বিজ্ঞানীরাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। সমুদ্র গর্ভে দেশের ঐতিহ্যশালী ও সাংস্কৃতিক পরম্পরা কী ছিল, তারই খোঁজ শুরু হয়েছে।

    দুই দশক পর ফের অনুসন্ধান

    ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে শেষবার খননকার্য চালানো হয়েছিল দ্বারকা এবং বেট দ্বারকা অঞ্চলে। প্রায় দুই দশক পর, এবার ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং-এর একটি দল, সমুদ্রের নীচে চলে যাওয়া প্রাচীন বাণিজ্য নগরীর রহস্য উন্মোচন করতে ডুব দিচ্ছেন গুজরাট উপকূলবর্তী আরব সাগরে। বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নিদর্শন থেকে মনে করা হয়, এই অঞ্চলে প্রায় ৪০০০ বছর পুরনো এক বন্দর-শহর ছিল। যেখানে বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসা-যাওয়া করত। এই রহস্য ও কৌতূহলের নিরসন করতেই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (প্রত্নতত্ত্ব) অধ্যাপক অলোক ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে এএসআই-এর পাঁচ প্রত্নতাত্ত্বিকের একটি দল দ্বারকার উপকূলে জলের নীচে ডুব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। দলে রয়েছেন তিন মহিলা— অপরাজিতা শর্মা, পুনম বিন্দ এবং রাজকুমারী বারবিনা। দলের পঞ্চম সদস্য হলেন সহায়তা করেছেন এইচ এ নায়েক।

    কৃষ্ণের কর্মভূমি

    পুরাণে বর্ণিত সপ্তপুরীর অন্যতম দ্বারকা। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর দ্বারকা ছিল কৃষ্ণের কর্মভূমি। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণের দেহাবসানের পরই সূচনা হয় কলিযুগের। আর তখনই দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় সমুদ্রগর্ভে। মথুরা থেকে দ্বারকায় এসে কৃষ্ণ নতুন করে যদুবংশ স্থাপন করেছিলেন। গুজরাটের প্রভাসেই দেহত্যাগ করেন কৃষ্ণ। সেই আমলেও দ্বারকার অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। পরে প্রাকৃতিক কারণে সমুদ্র এগিয়ে আসায় অতীতের দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

    প্রত্নতত্ত্ব এবং পৌরাণিক কাহিনীর মিল

    প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এই ডুবন্ত শহরের কাঠামো এবং কিছু প্রাপ্ত বস্তু হয়তো প্রাকৃতিক গঠন হতে পারে অথবা এগুলির বয়স এবং সময়কাল নিশ্চিত করা কঠিন। তবে, এটি এক বিশাল অধ্যায়ের শুরু যেখানে পৌরাণিক কাহিনী এবং ইতিহাস একত্রিত হতে পারে। ডুবন্ত দ্বারকায় অনেক প্রাচীন বস্তু এবং কাঠামো পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষা প্রাচীর, পাথরের ব্লক, পিলার, স্টোন অ্যাঙ্কর এবং সেচ ব্যবস্থার অবশেষ রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত শহরের প্রমাণ হতে পারে, যা প্রাচীন কাল থেকে ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এই অনুসন্ধানগুলির মাধ্যমে আর্কিওলজিস্টরা মহাকাব্য মহাভারতের দ্বারকা শহরের সঙ্গে ঐতিহাসিক দ্বারকার সম্পর্ক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের আশা করছেন। এএসআই এর গবেষণা, পৌরাণিক কাহিনী এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সহায়ক হবে। যা ভারতের প্রাচীন অতীতকে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বারকা দর্শন

    প্রাথমিক তদন্তের জন্য এএসআই গোমতী ক্রিকের কাছে একটি এলাকা বেছে নিয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বারকাধিশ মন্দির পরিদর্শনের সময় স্কুবা গিয়ার পরে দ্বারকা উপকূলবর্তী সমুদ্রের নীচে ডুব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রাচীন দ্বারকা শহর দর্শন করেছি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জলের নীচে লুকিয়ে থাকা দ্বারকা শহর সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন। আমাদের ধর্মগ্রন্থেও দ্বারকার কথা বলা হয়েছে।’ তার প্রায় এক বছর পর শুরু হলো নয়া অনুসন্ধান।

    রহস্য উন্মোচন শুরু ১৯৩০ সালে

    দ্বারকার ডুবে থাকা রহস্য উন্মোচনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, হিরানন্দ শাস্ত্রীর হাত ধরে। এর পর ১৯৬৩ সালে জেএম নানাবতী এবং এইচডি সাঙ্কালিয়ার নেতৃত্বে প্রথম বড় মাপের খননকার্য শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকদের খননকার্যে এই অঞ্চল থেকে প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে একটি প্রাচীন দূর্গের ভিত পাওয়া গিয়েছিল। ইউনেস্কোর মতে, সম্ভবত এর উপরই এক সময় দাঁড়িয়ে ছিল দ্বারকার প্রাচীন নগরীর দেওয়াল। এ ছাড়া বড় বড় পাথরের ব্লক, স্তম্ভ, পাথরের তৈরি নোঙ্গর এবং সেচখালেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তার আগে ১৯৬৯-৭০ সালে দ্বারকায় সমুদ্রতীরবর্তী অনুসন্ধানে হরপ্পার শেষ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের অসংখ্য মৃৎপাত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। গত দুই দশকে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের ফলে বেট দ্বারকা দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রাচীন আবাসস্থলও আবিষ্কৃত হয়েছে। সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক এ এস গৌর জানিয়েছেন, এই স্থানগুলি থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্রাচীন মৃৎপাত্র পাওয়া গিয়েছে।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মহাকীর্তি! ৬০ কোটি ভক্তের ডুব, সঙ্গে ৩ লাখ কোটির ব্যবসা

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মহাকীর্তি! ৬০ কোটি ভক্তের ডুব, সঙ্গে ৩ লাখ কোটির ব্যবসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) পৃথিবী জুড়ে একটি বড় ইভেন্ট হিসেবে প্রচুর মানুষের সমাগমই হতে চলেছে তা নয়, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনৈতিক ইভেন্টগুলির মধ্যেও অন্যতম হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে মহাকুম্ভে স্থাপিত হতে চলেছে মহাকীর্তি। অনুমান করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬০ কোটিরও বেশি ভক্ত পুণ্যস্নান সারবেন।

    ৬০ কোটির ডুব, ৩ লাখ কোটির ব্যবসার

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের অন্যতম কর্তা তথা চাঁদনী চকের সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম মানব সমাবেশ হতে চলল এই মহাকুম্ভ। একইসঙ্গে এর অর্থনৈতিক দিকটির কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। প্রবীণ জানিয়েছেন, মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার আগে তাঁরা অনুমান করেছিলেন যে প্রয়াগরাজে ৪০ কোটি ভক্তের আগমন ঘটবে এবং প্রায় দু লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন হতে পারে। কিন্তু মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পর থেকে যেভাবে ভক্তদের ঢল নামতে শুরু করে, তারপরে সমস্ত হিসাব নিকাশ বদলে যায়। এখন আর চল্লিশ কোটি ভক্ত নয়। এখন মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করবেন মহাকুম্ভে। একইসঙ্গে দু লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা ঠেকতে পারে তিন লক্ষ কোটি টাকাতে। প্রসঙ্গত, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। সেই সময়ের মধ্যে আশা করা হচ্ছে যে ৬০ কোটি মানুষ মহাকুম্ভের পুণ্য স্নানে অংশগ্রহণ করবেন। এর ফলেই তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে ৫৩ কোটিরও বেশি ভক্ত মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভক্ত হিসেবে আসছেন।

    কোন কোন ব্যবসা বাড়ল (Maha Kumbh 2025)

    মহাকুম্ভকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশে অর্থনীতিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ছোটখাটো ব্যবসা ব্যাপক বেড়েছে। ক্যালেন্ডার, পাটের ব্যাগ, স্টেশনারি রাখার মতো বাক্স, ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হয়- এই সমস্ত পণ্যগুলোর ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক প্রভাবকে তুলে ধরে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) এর মহাসচিব আরও বলেন,যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক ব্যবসা বড়েছে, সেগুলি হল-

    -আতিথেয়তা এবং আবাসন

    -খাদ্য ও পানীয় ক্ষেত্র

    -পরিবহন ও সরবরাহ

    -ধর্মীয় পোশাক, পূজা সমাগম এবং হস্তশিল্প

    -বস্ত্র, পোশাক এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্য

    -স্বাস্থ্যসেবা এবং সুস্থতা পরিষেবা

    -ধর্মীয় নৈবেদ্য এবং অন্যান্য পণ্য

    -মিডিয়া, বিজ্ঞাপন এবং বিনোদন

    -অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবা

    -টেলিকম, মোবাইল, এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম

    ১৫০ কিলোমিটার আশেপাশে অর্থনীতির উন্নতি

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) আরও জানিয়েছে যে উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়েছে। মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) অর্থনৈতিক এমন সুবিধা শুধুমাত্র যে প্রয়াগরাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে, এমনটা নয় এই অর্থনৈতিক বিকাশ ১৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে। এর মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি শহর এবং জনপদেও ব্যবসা বেড়েছে যা স্থানীয় অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করেছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে পর্যটনও বেড়েছে। অযোধ্যা বারাণসী সমেত উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে বেড়েছে ভক্তদের ভিড়।

    অন্যান্য তীর্থস্থানেও ভিড়

    কারণ ভক্তরা যখন প্রয়াগরাজে আসছেন তখনই তাঁরা মনস্থির করছেন যে একইসঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ ধাম ও অযোধ্যার রাম মন্দিরও তাঁরা দর্শন করবেন। নিকটবর্তী আশেপাশে অঞ্চলে যে সমস্ত ধর্মীয় স্থান আছে, সেগুলিতে তাঁরা যাবেন। এর ফলেই বাড়ছে ধর্মীয় পর্যটক (Maha Kumbh 2025)। এই অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ব্যাপক হচ্ছে। এই শিল্প সংস্থার কর্তা আরও জানিয়েছেন মহাকুম্ভ একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় সমাবেশে পরিণত হয়েছে এবং একটি প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমন এর অর্থনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বেড়েছে প্রচুর মানুষের। সমৃদ্ধ হয়েছে জাতীয় এবং স্থানীয় ব্যবসা।

  • Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরাতে সক্রিয় কেন্দ্র। হাতে সাতদিন সময়। তার মধ্যেই নির্দেশ মানতে হবে। চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে দিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা। হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। নতুন কোনও মুখ্যমন্ত্রী বাছাই না করায় বর্তমানে রাজ্যে জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এর মাঝে রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা সমস্ত লুট করা অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল ভাল্লা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে লুটের অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দিতে হবে। তা না-করলে কঠোর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। এই সময়কালের মধ্যে যাঁরা বেআইনি অস্ত্র থানায় জমা দিয়ে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না, জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফেরাতে সম্প্রদায়দের নিজেদের মধ্যে শত্রুতা থামাতে হবে এবং সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। যদি সাতদিন সময়ের মধ্যে কেউ অস্ত্র জমা না দেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মে মাস থেকেই জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। সংরক্ষণ নিয়ে ভুল তথ্য ঘিরে কুকি ও মেতেই- দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তা বছরের পর বছর ধরে চলছে। হিংসায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

    শান্তি ফেরাতে মরিয়া প্রশাসন

    বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এর জন্য সমস্ত সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। শত্রুতা মনে রাখলে আর চলবে না। শান্তি বজায় রাখতে হবে।’’ রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘‘গত ২০ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছেন। মানুষের জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। আমি সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসুন এবং বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিকটবর্তী থানায় জমা দিয়ে যান। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করুন। সাত দিন বৃহস্পতিবার থেকে গোনা হবে। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য আপনাদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত কার্যকরী হবে।’’

LinkedIn
Share