Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে (Grenade Attack) প্রাণ হারালেন এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)। ওই হামলায় গুরুতর জখমও হয়েছেন দুজন। কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামার ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য উপত্যকায়। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার গদুরা এলাকায়, যেখানে ছিলেন ওই শ্রমিকরা, তার বাইরে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ মুমতাজ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    জানা গিয়েছে, বিহারের শাকওয়া পারসা এলাকার এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারের ছেলে মুমতাজ। রোজগারের আশায় এসেছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন বিহারেরই দুজন। পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা হলেন মহম্মদ আরিফ ও তাঁর ছেলে মহম্মদ মকবুল। বিহারের রামপুরের এই দুই বাসিন্দাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিসটেন্স ফ্রন্টের হাত দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, পুলওয়ামায় কাপুরুষোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই দুঃখের সময় মহম্মদ মুমতাজের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ঘটনার নেপথ্যে যারা, তারা শাস্তি পাবেই। আজ, ৫ অগাস্ট। তিন বছর আগে এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। তার ঠিক আগের দিন পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। উপত্যকা জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও জঙ্গিরা উপত্যকায় বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকিয়ে গিয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। এপ্রিলেরই চার তারিখে পুলওয়ামায়াতেই জঙ্গিরা তিনটি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারান একজন সিআরপিএফ জওয়ান। ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন চারজন। যাঁদের মধ্যে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিক ও এক কাশ্মীর পণ্ডিতও ছিলেন। এপ্রিলেরই পাঁচ তারিখে জঙ্গিরা সিআরপিএফের দুই জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র মইসুমা চক এলাকায়। চলতি বছরেরই ১৯ মার্চ পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন এক পরিযায়ী কাঠের মিস্ত্রি।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) মধ্যেই ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill ) বা তথ্য সুরক্ষা বিল পাশ হবে। এমনই আশা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯ আপাতত প্রত্যাহৃত হল। সরকার আগামী দিনে একটি সংশোধিত নয়া বিল আনবে যা আইন সম্মত এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সম্মত। মন্ত্রী বলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটির তরফে বিলটি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। বিলটিতে ৮১টি সংশোধনী ও ১২টি সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। তার পরেই বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। 

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ৫৪২ পাতার এখটি রিপোর্ট জমা দেয় সংসদের যৌথ কমিটি। সেখানে সব মিলিয়ে ৯৩টি সুপারিশ ও ৮১টি সংশোধনের কথা বলা হয়েছিল। নয়া প্যানেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি সাংবিধানিক বৈধতা পাবে কিনা এবং রাজ্যগুলির নিজেদের তথ্য সুরক্ষার অধিকার থাকবে কিনা।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    প্রসঙ্গত, এই বিলের বিষয়টি সামনে আসার পর শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। এই বিল মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল বলেও দাবি করা হয় কোনও কোনও মহল থেকে। অনেকের মতে, এই বিল আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত মতামতের ওপর নেমে আসবে সরকারি হস্তক্ষেপ। সরকার যাকে খুশি এই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে। সরকারের সমালোচনা করা হলে, তাকেও রাষ্ট্রদ্রোহ বলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।

    এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, আমরা নয়া বিলের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছি। এদিনই পার্লামেন্টের পদ্ধতি শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই অ্যাপ্রুভাল পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে আমরা নয়া খসড়া নিয়ে আসছি। তিনি বলেন, আশাকরি, বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই আমরা নয়া বিলটিকে পাশ করিয়ে নিতে পারব।

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

  • Ramsar list: চিনের সমান! রামসার সাইটের তালিকায় আরও ১০টি নতুন জলাভূমি যোগ করল ভারত

    Ramsar list: চিনের সমান! রামসার সাইটের তালিকায় আরও ১০টি নতুন জলাভূমি যোগ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত সরকার। নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে, ভারতের আরও দশটি জলাভূমিকে রামসার সাইটে (Ramsar site) অন্তর্ভুক্ত করা হল। এর ফলে দেশে মোট ৬৪টি জলাভূমি রামসার সাইট হিসাবে স্বীকৃতি পেল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব (Bhupender Yadav) ট্যুুইটে এই বিষয় জানিয়েছেন।

    জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ মিলে কনভেনশন অন ওয়েটল্যান্ডস নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেটি রামসার কনভেনশন নামে পরিচিত। রামসার কনভেনশন হল সারা বিশ্বে জৈব পরিবেশ রক্ষার একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এই কনভেনশনের অধীনে তালিকাভুক্ত সমস্ত জলাভূমিকে রামসার সাইট বলা হয়। আন্তর্জাতিক এই তালিকায় চিনেও রামসার সাইটের সংখ্যা ৬৪টি। রামসার কনভেনশনের অধীনে  ভারতে দশটি নতুন রামসর সাইট মনোনীত হওয়ায় পরিবেশ সুরক্ষার নিরিখে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে এক সারিতে উঠে এল ভারত। 

    গাছপালা হ্রাস, অত্যধিক বন্যা, জল দূষণ, শিল্পায়ন, ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু নির্মাণ প্রভৃতি দেশের জলাভূমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জলাভূমিগুলো সংরক্ষণের জন্যই আন্তর্জাতিক স্তরে এই চুক্তি করা হয়। এর ফলে  জলাভূমিগুলোর আশেপাশে কোনও শিল্প তৈরি করা যাবে না। ভারত সরকার এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক। এই জলাভূমিগুলি বায়ুমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খরা-বন্যা রোধ করতে, জলের জোগান দিতে জলাভুমির গুরুত্ব অপরিসীম।

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানেন তো? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    ভারতের ১০টি নতুন রামসার সাইটগুলির মধ্যে তামিলনাড়ুতে ছয়টি, ওড়িশা, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের একটি করে রয়েছে। ভারতের রামসার সাইটগুলি এখন মোট 12,50,361 হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। ভারতে প্রথম রামসার সাইটই হল ওড়িশার চিল্কা হ্রদ। ভারতের সবচেয়ে বড় রামসার সাইট হল সুন্দরবন। সবচেয়ে ছোট হল হিমাচল প্রদেশের রেণুকা হ্রদ। এই তালিকা ক্রম পরিবর্তনশীল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর চলছে। এই বছরেই দেশে রামসার সাইটের সংখ্যা ৭৫-এ নিয়ে যেতে চায় ভারত।

  • Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো পোশাক (Black Clothes) পরে কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আসলে রামমন্দিরের (Ram Temple) বিরুদ্ধে। এদিন এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Saha)। শুক্রবার ৫ অগাস্ট ছিল রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের বর্ষপূর্তি। এদিনই কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস। তাকেই কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর জিএসটি বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লি থেকে আসাম, মধ্যপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানা সর্বত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা কালো পোশাক পরে শামিল হন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। খোদ দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) সংসদের গেটের বাইরে একটি ব্যানার নিয়ে দলের মহিলা সাংসদের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস কালো পোশাক পরে একটা সূক্ষ্ম বার্তা দিতে চাইছে যে তারা রাম জন্মভূমির ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ করছে। পাল্টা ট্যুইট করে কংগ্রেসও। দলের নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় লেখেন, মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে ঘুরিয়ে দেওয়া, বিকৃত করা এবং মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা করছেন অমিত শাহ। প্রতিবাদ মোক্ষম জায়গায় লেগেছে, তা নিশ্চিত।  

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দিনেই (৫ অগাস্ট)রাম জন্মভূমির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই রামজন্মভূমি কোটি কোটি লোকের বিশ্বাসের জায়গা। সাড়ে পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের মীমাংসা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তার পরেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তারা। মোদি শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান করেছেন। এবং মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন। এই দিনটি সেই পবিত্র দিন।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

  • Assam: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    Assam: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অসমে প্রায় ১ হাজার বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৭৮৮টি। আনুমানিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসাগুলিতে পড়ে। বহু মাদ্রাসাতেই বেআইনি এবং দেশবিরোধী কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় দেশবিরোধী কাজে মদত দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সদ্য বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছে অসমে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুফতি মোস্তাফা নামের মরিগাঁও এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে। মোস্তাফা এখন রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন Ansar ul Bangla Team (ABT)-র সদস্য বলে পুলিশের দাবি। অসম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, ওই জঙ্গি সংগঠন মরিগাঁও এলাকা নিজেদের ‘মডিউল’ গড়ে তুলছিল। মোস্তাফাকে জেরা করে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। 

    অসমের পুলিশের স্পেশাল ডিজি জিপি সিং (GP Singh) জানান, “মুফতি মোস্তাফা যে ‘জিহাদি ট্রেনিং’ দেখাতেন, তা তার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলিতে পাওয়া গিয়েছে। আমরা এখন দেখতে চাইছি, তাঁর ওই ভিডিয়োগুলি কতজন দেখেছেন। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ওপরে সেগুলির কী প্রভাব পড়েছে, তাও আমরা দেখতে চাইছি।” জিপি সিং বলেন, “ওই মাদ্রাসার শিক্ষক যে ভিডিয়োগুলি দেখাতেন, সেখানে তালিবানদের ট্রেনিং নেওয়ার বিষয়টিও আছে। সেগুলি দিয়ে তিনি ওই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের প্রভাবিত করতেন।” তিনি জানান, একাধিক মাদ্রাসা তাঁদের ‘স্ক্যানারে’ আছে। 

    আরও পড়ুন: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “পুলিশের সর্ববৃহৎ অভিযানে ধরা পড়েছে একঝাঁক জেহাদি। মৈরাবাড়িতে একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য এই প্রথম কোনও ধর্মীয় মাদ্রাসার শিক্ষককে জেহাদি-যোগের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরপেটাতেও বড়সড় জঙ্গি মডিউল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি  অভিযান চলছে।”

    অসমের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু (Ranoj Pegu) বলেন, “অসমে কোনও সরকারি মাদ্রাসা নেই। আমরা একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পর্কে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে সেখানের পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য বলা হবে।” ইতিমধ্যেই অসমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৫০টি মাদ্রাসা, বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

  • Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। হল তারই তিন বছর পূর্তি।  তার পর থেকে ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে ভূস্বর্গের। একদিকে উপত্যকায় যেমন কমেছে পাথর ছোড়া, জঙ্গিপনা (Terrorist Act) সহ নানা অশান্তিমূলক কাজকর্ম, তেমনি হচ্ছে উন্নয়ন (Development)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং উপত্যকার লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (Monaj Sinha) নিরন্তর প্রচেষ্টায় নয়া রূপে সাজছে ভূস্বর্গ।

    ২০১৯ সালের ৫ তারিখে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই গেল গেল রব ওঠে বিরোধী শিবিরে। তাঁদের আশঙ্কা, ফের রক্তস্নাত হবে উপত্যকা। বাড়বে জঙ্গি হানার ঘটনাও। যদিও গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এমন কিছুই ঘটেনি, যা নিয়ে হইচই করতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ইদানিং ঘটছে কাশ্মীরের কিছু জায়গায়। এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কার্যকলাপ। সেই কারণেই ঘটছে এসব ঘটনা। গত কয়েক মাসে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শান্তি নেমে এসেছে ভূস্বর্গে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৯এর আগের তুলনায় ঢের কমেছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। বিধানসভার মর্যাদা ফেরাতে হবে নির্বাচন। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজও। সেই কাজ শেষের পরে শুরু হয়েছে ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজও। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও। এককথায়, ভূস্বর্গের সর্বত্র স্পষ্ট সুশাসনের ছাপ।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকা ছাড়েননি কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিত, জানাল সরকার

    গত ৭০ বছর ধরে কার্যত বঞ্চনার শিকার হয়েছিল উপত্যকা। এখন অবশ্য সে ছবি বদলে গিয়েছে বেবাক। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এসইএইচএটি স্কিমের সুযোগও পাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ফি বছর ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাচ্ছেন কাশ্মীরবাসী।

    কেবল সরকারি সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নের ছবি নজরে পড়ছে অন্যত্রও। ইতিমধ্যেই ১২০০ স্টার্টআপ রেজিস্টার্ড করে ফেলেছে। এর মধ্যে ফান্ডিং করে ফেলেছে ২০০। উপত্যকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে। এক লক্ষ কোটি টাকার নয়া প্রোজেক্টও অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ফি বছর আট থেকে ন হাজার প্রজেক্ট কমপ্লিট হত। এখন এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজারের ওপর। যা প্রমাণ করে সরকারি কাজে গতি এসেছে, এসেছে স্বচ্ছতাও। উন্নয়নের গতি নজরে পড়ে অন্যত্রও। আগে যেখানে প্রতিদিন ছ কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি হত, এখন সেখানে তৈরি হয় ২০ কিলোমিটার। ব্যবসা করার জন্য দুশোরও বেশি প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নিরন্তর চেষ্টায় উপত্যকায় যে আক্ষরিক অর্থেই সোনা ফলেছে, তার উদাহরণ রয়েছে আরও। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার কোটি লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে শিল্প দফতর। শিলান্যাস হয়েছে ৩৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই হয়েছে এই শিলান্যাস। ভূস্বর্গের বাস্তুতন্ত্রের কথাও মাথায় রেখেছে প্রশাসন। সেই কারণে উপত্যকায় ব্যাপক দূষণ ছড়ায় এমন শিল্পে উৎসাহ দিচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট কারখানা, ইটভাটা, স্টোন ক্র্যাশার এবং আয়রণ ও স্টিল প্ল্যান্ট।

    ৩৭০ ধারা রদের পরে এভাবেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ!

     

  • GST Collection: জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    GST Collection: জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে ভারতের জিএসটি (GST) সংগ্রহ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পণ্য এবং পরিষেবা করের কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে গতমাসে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম মাসে বৃদ্ধি অব্যহত। আগের বছরের জুলাই মাস থেকে এ বছরের জুলাই মাসে ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি সংগ্রহ।  

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

     
    ₹1,48,995 crore gross GST revenue collected in the month of July 2022

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহ ছিল ১১, ৬৩৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া এক মাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর আদায়ের পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে মোট জিএসটি সংগ্রহে কেন্দ্রীয় জিএসটির অবদান ছিল ২৫৭৫১ কোটি টাকা৷   

    রাজ্য জিএসটির অবদান ছিল ৩২,৮০৭ কোটি টাকা এবং ইন্ট্রা জিএসটির অবদান ছিল ৭৯,৫১৮ কোটি টাকা৷ এছাড়া ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে মোট ১০,৯২০ কোটি টাকা এসেছে।   

    ৭৯,৫১৮ কোটি টাকার আইজিএসটিএ আমদানির ফলে ৪১,৪২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে ১০,৯২০ কোটি টাকার মধ্যে সেস আমদানির ফলে এসেছে ৯৯৫ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: আজ থেকে লাগু হয়েছে জিএসটির নতুন রেট, কোন খাতে বাড়ল খরচ?

    গত পাঁচ মাসে জিএসটি সংগ্রহের অঙ্ক ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের কর আদায়। গত মাসে সরকার আমদানি কমাতে বেশ কিছু কর আরোপ করেছে কেন্দ্র সরকার। এতে যে দেশের অর্থনীতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তা জিএসটির এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। 

    সম্প্রতি, জিএসটি কাউন্সিল নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের ওপরেই জিএসটি ধার্য করেছে। যা আগে করমুক্ত ছিল। এতে যে আখেরে দেশের অর্থনীতিতে সুফলই এসেছে, তার প্রতিফলন দেশের কোষাগারে স্পষ্ট। 

    হোটেল রুমে ১০০০ টাকার কম হলেও এখন থেকে জিএসটি দিতে হবে। এছাড়াও, হাসপাতালের ঘরের ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি হলেও ৫% জিএসটি ধার্য করা হবে। প্যাকেটজাত খাবারের ওপরও ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। অর্গানিক ফুডের ওপরেও ধার্য করা হয়েছে জিএসটি। আগে এই বিষয়গুলি করমুক্ত ছিল। 

  • National Herald Scam: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    National Herald Scam: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্রের অফিসে হানা ইডির (ED)। এদিন দিল্লির (Delhi) আরও ১১টি জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি (National Herald Scam) মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)  ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। এবার ওই মামলায় ইডি হানা দিল দিল্লিরই ১২টা জায়গায়।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য সাংসদ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোনিয়ার কাছে মূলত তিনটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। প্রথমত, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে ন্যাশনাল হেরাল্ড অধিগ্রহণের সময় সোনিয়া ও কংগ্রেস নেতারা কাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন? দ্বিতীয়ত, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সোনিয়া। ন্যাশনাল হেরাল্ডের পাওনাদারদের বকেয়া মেটাতে হবে, এটা কী তিনি জানতেন না? তৃতীয়ত, অধিগ্রহণের পর কীভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বিলি করা হয়েছিল?

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ইডির এক আধিকারিক জানান, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এদিন তল্লাশি চালানো হয়। অতিরিক্ত তথ্য জোগাড় করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এদিন তল্লাশির সময় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ উত্তর রেড্ডি বলেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

  • Homage paid to Axel: জঙ্গির গুলিতে নিহত ‘শহিদ’ অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার

    Homage paid to Axel: জঙ্গির গুলিতে নিহত ‘শহিদ’ অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গির গুলিতে নিহত শারমেয় অ্যাক্সেলকে (Axel) শহিদ তকমা দিয়ে শ্রেষ শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) এক জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয় অ্যাক্সেলের। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর এই কুকুরটির মাথায় মোট তিনটি গুলি লাগে এবং তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি ঘটেছে বারামুল্লার ওয়ানিগামে (Wanigam)। 

    পুলিশ জানায়, মোট পাঁচ ঘন্টা ধরে চলা এনকাউন্টারে আখতার হুসেন ভাট নামে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং সংঘর্ষে দুই সেনা ও একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বারামুল্লার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মহম্মদ রইস ভাট বলেছেন, জঙ্গিরা ওয়ানিগাম গ্রাম ঘিরে ফেললে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি রাইফেল, তিনটি ম্যাগাজিন এবং একটি থলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    শনিবার কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেয় বেলজিয়ান মালিনোয়া প্রজাতির কুকুর অ্যাক্সেল। বারামুলার ওয়ানিগম বালা গ্রামে দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে খবর পায় সেনা। এরপরই তল্লাশি অভিযানে নামে করে ২৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেল। এই অভিযানেই ছিল ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের দুই সেনা কুকুর বয়সি অ্যাক্সেল ও বাজাজ। দুজনেরই বয়স দু বছর। 

    যে বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে খবর পায় সেনা, সেটিতে প্রথমে তল্লাশি চালায় বাজাজ। সে খালি হাতে ফিরে এলে, এরপর ময়দানে নামে অ্যাক্সেল। প্রশিক্ষকের নির্দেশে পর পর দুটি ঘরে তল্লাশি চালায় সে। দ্বিতীয় ঘরটিতে ঘাপটি মেরে বসে ছিল এক জঙ্গি। সে অ্যাক্সেলকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি চালায়। সেনাদের দাবি, ওই অবস্থাতেও ছুটে গিয়ে জঙ্গির শরীরে দাঁত বসিয়ে দেয় অ্যাক্সেল। ফলে জঙ্গিকে পাকড়াও করা সেনা পক্ষে আরও সহজ হয়ে যায়। কিন্তু মৃত্যু হয় অ্যাক্সেলের।

    আরও পড়ুন: ১৯১টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশন

    অ্যাক্সেলের মৃত্যুতে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করে চিনার কর্পস ব্যাটেলিয়ন। লেখা হয়, তোমাকে ধন্যবাদ অ্যাক্সেল। রবিবার সেনা আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের এলাকায় সমাধিস্থ করা হয় অ্যাক্সেলকে। 

     

    তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, আক্রমণাত্মক আচরণ এবং ক্লান্তিহীনতার জন্যে এই বিশেষ জাতের কুকুরকে বিভিন্ন জঙ্গি দমন অভিযানে ব্যবহার করে তদন্ত সংস্থা এবং ভারতীয় সেনা। এই কুকুরকে প্রথম নকশাল দমন অভিযানে কাজে লাগায় সিএরপিএফ। 

    এছাড়াও ভারতীয় সেনা বিভিন জঙ্গি অভিযানে ল্যাবরেডর, জার্মান শেফার্ড নিয়ে যায়। তুষারাচ্ছন্ন এলাকায় ব্যবহার করা হয় গ্রেট সুইস মাউন্টেন ডগ। এছাড়াও রয়েছে ককার স্যানিয়েলস। 

     

     

       

  • Sanjay Raut: সঞ্জয় রাউতকে চার দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত, খেতে পারবেন বাড়ির খাবার, ওষুধ 

    Sanjay Raut: সঞ্জয় রাউতকে চার দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত, খেতে পারবেন বাড়ির খাবার, ওষুধ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবিসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) চার দিনের ইডি হেফাজতে (ED Custody) পাঠাল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা আট দিনের হেফাজত চাইলেও, সেই দাবিতে রাজী হয়নি বিশেষ আদালত। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে শিবসেনা সাংসদকে বাড়ির খাবার এবং ওষুধ খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ৪ অগাস্ট অবধি এই সময়ে সঞ্জয় রাউতকে সমস্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের জন্যে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    জমি দুর্নীতি (Land Scam) মামলায় গ্রেফতার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। টানা ছ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সঞ্জয় রাউতকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। ‘পাত্রা চওল’ নামের একটি বস্তির পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    ইডি সূত্রে খবর, সঞ্জয় রাউতের মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই সকাল ৭টা নাগাদ সিআইএসএফ জওয়ানদের নিয়ে পূর্ব মুম্বইয়ের বান্ডাপে সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পরেই তাঁকে আটক করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সন্ধ্যাবেলায় ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে টানা ছ ঘণ্টার জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।

    কী এই পাত্রা চওল মামলা? 

    উত্তর মুম্বইয়ের গোরেগাঁও – এ অবস্থিত এই পাত্রা চওল (বস্তি)। গুরু আশিস কন্সট্রাকশন এই চওল পূননির্মাণের দায়িত্ব পায়। ৬৭২টি পরিবারকে নতুন বাড়ি দেওয়ার জন্যে ২০০৭ সালে মহারাষ্ট্র এরিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর হয়। এবং বাকি জায়গা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাগজেই শেষ সেই চুক্তি। গত ১৪ বছর ধরে নতুন বাড়ি পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভাড়াটেরা। ইডির দাবি, গুরু আশিস কন্সট্রাকশন এবং সঞ্জয় রাউত ঘনিষ্ঠ প্রবীণ রাউতের এই যৌথ উদ্যোগে একটি ফ্ল্যাটও তৈরি হয়নি আজ অবধি। বরং জায়গাটি ৯০১.৭৯ কোটি টাকার বিনিময়ে ৯ জন পাইভেট ডেভলপারকে বেঁচে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরু আশিস কন্সট্রাকশনও সেখানে একটি নতুন প্রজেক্ট শুরু করেছে। ফ্ল্যাট ক্রেতাদের থেকে ১৩৮ কোটি টাকা অগ্রিমও নেওয়া হয়েছে। সমস্যা তখন শুরু হয় যখন ভাড়াটেরা গুরু আশিস কন্সট্রাকশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল এই সংস্থা তাঁদের বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না। যেখানে যতদিন ভাড়াটেরা নতুন ঘর পাচ্ছেন না ততদিন তাঁদের বাড়ির ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল ওই সংস্থার। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। ২০১৪-২০১৫ সাল অবধিই বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তারপর তা বন্ধ করে দেয় সংস্থা।

    আরও পড়ুন: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    এরপরেই  গুরু আশিস কন্সট্রাকশনকে উচ্ছেদের নোটিস দেয় মহারাষ্ট্র এরিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি। কিন্তু যেই ৯ প্রাইভেট ডেভলপার জমি কিনেছিলেন তাঁরা বম্বে হাইকোর্টে নিয়ে যান মামলাটি। ২০২১ সালে মন্ত্রিসভা ফের চওলের পূননির্মাণের অনুমতি দেয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় সেই কাজ। 

    ইডির দাবি, এই পুরো বিষয়টিতে মোট ১,০৩৯.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পেয়েছেন প্রবীণ রাউত। এই টাকাটি তাঁর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সঞ্জয় রাউতের পরিবার। ইডির আরও দাবি, একটি অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে ২০১০ সালে ৮৩ লক্ষ টাকা সরাসরি নিয়েছিলেন।

LinkedIn
Share