Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jorhat-Kolkata Indigo Flight: দুর্ঘটনার কবলে কলকাতাগামী ইন্ডিগো বিমান! রানওয়ে থেকে পিছলে গেল চাকা

    Jorhat-Kolkata Indigo Flight: দুর্ঘটনার কবলে কলকাতাগামী ইন্ডিগো বিমান! রানওয়ে থেকে পিছলে গেল চাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপত্তির মুখে ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার বিমান। বৃহস্পতিবার, বিমানবন্দর থেকে বিমান ওড়ার আগেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে অসমের (Assam) জোরহাট (Jorhat) থেকে কলকাতায় (Kolkata) আসার পথে বিমানটি ওড়ার আগেই রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে কাদায় আটকে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই দুর্ঘটনায় বিমানযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। যদিও যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত আছেন বলে জানানো হয়। তবে, এদিন বিমানযাত্রীরা বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

    ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার, দুপুর ২টো বেজে ২০ মিনিটে জোরহাট থেকে কলকাতাগামী ৬ই-৭৫৭ বিমানটি টেকঅফের সময় রানওয়ে ধরে এগোনোর সময়ে আচমকাই চাকা পিছলে যায় ও পাশের জমির কাদায় আটকে যায়। বৃষ্টির ফলে মাটি নরম থাকায় বিমানের সামনের চাকা আটকে যায়। বিমানটিতে মোট ৯৮ জন যাত্রী ছিলেন। এরপরেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে তাদের বিমান থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    এরপর বিমানটিকে ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও বিমানটিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েনি বলে খবর। তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের থেকে বিমানটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কলকাতাগামী এই বিমানটিকে বাতিল করা হয়েছে বলেই খবর। কিন্তু কেন এইরকম ঘটনা ঘটল, কীভাবে রানওয়ে ছেড়ে বিমানটি কাদায় আটকে গেল তা খতিয়ে দেখবে বিশেষ টিম। এমনটাই জানা গিয়েছে বিমান সংস্থা সূত্রে।

    প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিমান দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগেই শারজা থেকে হায়দ্রাবাদগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানের জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন পাইলট। যাত্রাপথে বিমানে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। আর সেই সময় বিমানের পাইলট পাকিস্তানের করাচিতে (Karachi) অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবারও গতকাল দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হল ইন্ডিগো সংস্থার বিমান।

    আরও পড়ুন: ফের বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, পাকিস্তানের মাটিতে জরুরি অবতরণ ইন্ডিগোর বিমানের

     

  • Ramsar Site: ফের ৫টি ভারতীয় জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল রামসার সাইটে

    Ramsar Site: ফের ৫টি ভারতীয় জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল রামসার সাইটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে, ভারতের আরও পাঁচটি জলাভূমিকে রামসার সাইটে (Ramsar site) অন্তর্ভুক্ত করা হল। নতুন পাঁচটি যে জলাভূমি রামসার সাইটে যুক্ত করা হল সেগুলো হল- কারিকিলি পাখি অভয়ারণ্য (Karikili Bird Sanctuary), পল্লীকরণাই মার্শ রিজার্ভ ফরেস্ট (Pallikaranai Marsh Reserve Forest), পিচাভরম ম্যানগ্রোভ (Pichavaram Mangrove), মিজোরামের পালা জলাভূমি (Pala wetland) ও মধ্যপ্রদেশের সাখ্য সাগর (sakhya Sagar)। এই জলাভূমি গুলোকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন চেষ্টা করছিল ভারত সরকার। অবশেষে রামসার কনভেনশনের অধীনে এই জলাভূমিগুলিকে “আন্তর্জাতিক গুরুত্ব” বলে মনে করা হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব (Bhupender Yadav) ট্যুুইটে এই বিষয় জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: লোহিত সাগরের তলদেশে ‘ব্রাইন পুল’! যেখানে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত…

    উল্লেখ্য, এটি জলাভূমি সংরক্ষণ এবং সুসংগত ব্যবহারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার নামে একটি শহরে জলাভূমি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এই শব্দটি ব্যবহিত করা হয়। ভারতে আগে মোট ৪৯টি রামসার সাইট ছিল। তবে এর সংখ্যা বেড়ে হল ৫৪। গোটা বিশ্বে মোট ২৫০০টি জলাভূমি রামসার সাইটের অন্তর্ভুক্ত। ভারতের কিছু উল্লেখযোগ্য রামসার সাইটের জলাভূমি হল ওড়িশার চিলিকা হ্রদ, জম্বু কাশ্মীরের উলার হ্রদ, হিমাচল প্রদেশের রেণুকা জলাভূমি, রাজস্থানের সম্ভার হ্রদ, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব কলকাতা জলাভূমি, গুজরাটের নাল সরোবর, পাজ্ঞাবের হরিকা, ত্রিপুরার রুদ্র সাগর, মধ্যপ্রদেশের ভোজ জলাভূমি ইত্যাদি।

    গাছপালা হ্রাস, লবণাক্তকরণ , অত্যধিক বন্যা , জল দূষণ , আক্রমণাত্মক প্রজাতি , অত্যধিক উন্নয়ন এবং রাস্তা নির্মাণ , সবই দেশের জলাভূমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার ফলে জলাভূমিগুলো সংরক্ষণের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল। এর ফলে এই জলাভূমিগুলোর আশেপাশে কোনও শিল্প তৈরি করা, নোংরা ফেলা ইত্যাদি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এই জলাভূমি গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এগুলো অত্যধিক বন্যা রোধ করতে, দলের জোগান দিতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে জলাভূমির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

     

  • S-400 at China Border: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    S-400 at China Border: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে চিন সীমান্ত বরাবর এস-৪০০ (S-400) ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন বসাতে চলেছে ভারত (India)। এই বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম লাদাখ (Ladakh) সেক্টরে ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) আলাদা মনোবল জোগাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) মাঝেমধ্যেই নো-ফ্লাই জোনে যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন উড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করে চলেছে চিন, এই মিশাইল বসানো হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে বলে ধারণা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। চিনের বাড়বাড়ন্তও অনেকটা রোখা যাবে বলে অনুমান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia-Ukraine War) পর থেকে রুশ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু চিনকে আটকাতে এই মিসাইল সিস্টেমটি কেনার ব্যাপারে ভারতকে আলাদা করে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। মার্কিন ক্যাটসা আইন (CAATSA) অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে ভারতকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ও লম্বা পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুদ্ধ চালাতে  ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) -এর বিকল্প নেই। চিনের সঙ্গে সীমান্তে প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগে রয়েছে এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাচ্ছে। এর ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে ভারত। লাদাখ (Ladakh) ও অরুণাচলকে (Arunachal Pradesh) নিশানায় রেখে আগেভাগেই চিন অধিকৃত তিব্বতে দুটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে বেজিং। এ বার ভারতের পালা। রাশিয়া থেকে পাঁচটি স্কোয়াড্রন ভারতে আসছে। খরচ পড়ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেও বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। 

  • Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার, তল্লাশি বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জামিন সহ যাবতীয় আইনি সংস্থানকে যথাযথ উল্লেখ করে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। পিএমএলএ ( PMLA: আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। বুধবার বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায় তার সিংহভাগই। এই রায়ে বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে বড় জয় পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। 

    মামলাকারীদের দাবি ছিল, এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা সংক্ষেপে ইসিআইআর হল অনেকটা এফাআইআর-এর মতো। ফলে, আটক হওয়া ব্যক্তিকে তার কপি দেওয়া উচিত। এদিন সেই যুক্তি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রতি ক্ষেত্র বা ব্যক্তিকে ইসিআইআর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, এটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি আধিকারিকরা কাউকে গ্রেফতার করলে সেই সময় গ্রেফতারির ভিত্তি দেখালেই তা যথেষ্ট। আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কারণনা জানিয়ে অথবা প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করা অসাংবিধানিক। এটাও খারিজ হয়ে যায় ওই বেঞ্চে। 

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    মামলাকারীদের দাবি ছিল, এই আইনে জামিনের শর্তগুলি কঠোর, বেআইনি এবং যুক্তি মানে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই আইনের জামিনের যে কঠোর শর্তগুলো রয়েছে তা যথাযথ। শর্তগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আইন অনুসরণ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত এদিন তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপ শুধুমাত্র যে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে তাই নয়। এধরনের কার্যকলাপ উল্টে সন্ত্রাসবাদ, এনডিপিএস আইন (দি নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট) ইত্যাদির মতো অন্যান্য জঘন্য অপরাধকেও প্রচার করে। এটা সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।

    মামলাকারীদের আরেকটি দাবিও এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ ছিল, ২০০২ সালে প্রথম কার্যকর হয় পিএমএলএ আইন। অথচ, তার আগে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও এই আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। জবাবে কেন্দ্রের কৌঁসুলি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে এটিকে ন্যায়সঙ্গত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,  অর্থ পাচার একটি ক্রমাগত ঘটে চলা অপরাধ। এটি কোনও একক বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং একটি চেইন। হতে পারে অপরাধের সূত্রপাত ২০০২ সালের আগে হতে পারে। কিন্তু, তা ২০০২-এর পরেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রায় আড়াইশোর মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন অনিল দেশমুখ, কার্তি চিদম্বরম এবং মেহবুবা মুফতিও। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আর কাউকে গ্রেফতার করতে বাধা রইল না ইডির সামনে।  প্রসঙ্গত, পিএমএলএ আইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০২ সালে। যদিও কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ১ জুলাই।

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্থিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। তার আগে ন’ বছরে ১১২টি তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১০টিতে। গত ৮ বছরে, ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অ্যাটাচ করা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি।

  • Partition Painful: দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    Partition Painful: দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশভাগ খুব বেদনাদায়ক। পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানির ( East Germany and West Germany) মতোই যদি আবার বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে ভারত (India) এক হয়ে যায়, তাহলে স্বপ্নপূরণ হবে।  এমনই মন্তব্য করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Haryana Chief Minister) মনোহরলাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। ঐক্যবদ্ধ ভারত এক স্বপ্ন বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: আগামী ৭৮ বছরে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে ৪১ কোটি ! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    সোমবার গুরুগাঁওয়ে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভারতের একতার কথা বলতে গিয়ে খট্টর টেনে আনেন দেশভাগের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘‘যখন পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি এক হতে পারে, তখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে জুড়ে এক হতে পারে। খুব বেশি দিন আগে তো নয়। এই তো ১৯৯১ সালে বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তেমনি ভারতও আবার অখণ্ড হতে পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় ‘দেশভাগ খুব যন্ত্রণার।’ এর মাধ্যমেই ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করা হয়। এর পর দেশে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে খট্টর বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দেওয়ার কারণ ছিল। যাতে তাঁরা ভয়ে এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে না থাকেন, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’’

    আরও পড়ুন: ‘ভারতে গরীব শুধু স্বপ্ন দেখে না, পূরণও হয়

    বিজেপি নেতার দাবি, মোদি (Modi) সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘ভারত সব সময় চায়, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।’’ কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বরাবর সঙ্ঘের নামে মিথ্যা ভয় দেখিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু মানুষ এখন সত্যিটা বুঝতে পারছে। কংগ্রেসের আদর্শ ধরা পড়ে গিয়েছে। চিরকাল সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেছে কংগ্রেস দাবি মনোহর লাল খট্টরের। সেখানে বিজেপির লক্ষ্য় ”সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস।” 

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর 

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি (Rastrapati) নির্বাচিত হয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের জনজাতি সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁকে রাষ্ট্রপত্নী বলে সম্বোধন করে বসেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীরের এই মন্তব্যে দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বিজেপির (BJP) পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্দরেও অধীরের বিরুদ্ধে বইতে থাকে উষ্মার চোরা স্রোত। এর পরেই স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ।

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে অধীর লিখেছেন, আপনার অবস্থান বর্ণনা করার জন্য একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই এই চিঠি লিখছি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, শব্দটি ভুল করেই বেরিয়েছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং আপনাকে আমার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

    বিজেপি-বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ২৫ জুলাই। দ্রৌপদী দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা যিনি রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হয়েছেন। তিনি দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও। তাঁকেই অপমান করায় অধীরের পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীকেও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে এদিন সংসদে সরব হন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গন্ডগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। একসময় উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    ঘটনার জেরে অধীরকে তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন। ঘটনার পরে পরেই অধীর অবশ্য বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তার পরেও অধীরকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, মুখ ফস্কে নয়, ভেবেচিন্তেই অধীর এ কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, শব্দটি মুখ ফস্কে বেরোয়নি। আপনারা যদি ভিডিও ক্লিপটি দেখেন, দেখবেন অধীররঞ্জন চৌধুরী স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে উল্লেখ করে দুবার রাষ্ট্রপতি শব্দটি বলেছেন, তারপর তিনি তাঁকে রাষ্ট্রপত্নী বলেছেন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

  • Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের (Election) সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে কী করা যায় তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    প্রতিবার ভোটের সময় অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Irrational Freebies) দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি। সে পঞ্চায়েত হোক কিংবা পুরসভা, বিধানসভা অথবা লোকসভা সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এটা করা হয় বলে অভিযোগ। এই অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ হওয়া উচিত বলেই দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন। এটা বন্ধেই এবার কেন্দ্রকে পথ খুঁজতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রাধান বিচারপতি এনভি রামানা বিষয়টিকে সিরিয়াস আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজের কাছে যথাযথ উত্তর না পেয়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বন্ধ করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে বললেন।

    আরও পড়ুন : কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ…

    এদিন শুনানি চলাকালীন কোনও কারণে কোর্টরুমে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, সিবাল একজন বর্ষীয়ান সাংসদ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? সিবাল জানান, অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটা গুরুতর বিষয়। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সিবাল বলেন, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। তিনি বলেন, অর্থ কমিশনই এই ইস্যুটি খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। আগস্টের ৩ তারিখে মামলাটি ফের উঠবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানিয়েছিল। এফিডেভিট দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলে ভোটারদের ওপরও। এগুলি তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

     

  • Let Terrorist: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি

    Let Terrorist: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) খতম হল ১ লস্কর জঙ্গি। রবিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় (Baramulla) জঙ্গি (Terrorists) দমন ও তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরেই বারামুল্লার বিন্নার (Binner) এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি সংগঠনের এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযানে নামে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের কাছে খবর ছিল বিন্নার এলাকায় লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই মতো তারা অভিযান শুরু করে৷ তবে তল্লাশির সময় যৌথ বাহিনীকে দেখে গুলি চালায় ওই জঙ্গি৷ তখন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী দুইই পাল্টা গুলি চালায়। দীর্ঘক্ষণ লড়াই শেষে ওই জঙ্গিকে এনকাউন্টারে খতম করা হয় ও পরে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ পরে তার নাম-পরিচয়ও জানা যায়৷

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের (Jammu Kashmir Police) তরফে টুইট করে জানানো হয়, নিহত জঙ্গির নাম ইরসাদ আহমেদ ভাট (Irshad Ahmd Bhat )। এই জঙ্গি বারামুল্লার পাট্টান (Pattan) জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি একে রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই যুবক, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    [tw]


    [/tw]

  • 7 TMC MPs Suspended: তৃণমূলের সাত সহ রাজ্যসভার ১৯ সাংসদ সাসপেন্ড

    7 TMC MPs Suspended: তৃণমূলের সাত সহ রাজ্যসভার ১৯ সাংসদ সাসপেন্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা চলাকালীন হইহট্টগোলের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যসভার মোট ১৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এঁদের মধ্যে সাত জন তৃণমূলের। সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, দোলা সেন এবং শান্তনু সেন, শান্ত ছেত্রী, নাদিমূল হক, অবীররঞ্জন বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এছাড়া ডিএমকের হামিদ আবদুল্লা, আর গিরিরাজন, এনআর এলাঙ্গো, এম শানমুগান এবং কানিমোঝি, সিপিএমের এএ রহিম এবং ভি শিবাদাসান, টিআরএসের বি লিঙ্গাইয়া যাদব, রবীহান্দ্রা ভাদ্দিরাজু এবং দামোদর রাও দিভাকোন্দা, সিপিআইয়ের সন্তোষ কুমারকেও সাসপেন্ড করা হয়৷ শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বারবার পণ্ড হয় অধিবেশন৷ স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে অসুবিধা হয়৷ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আর রাজ্যসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন না। 

    গতকাল সোমবার পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে৷ তাঁরা হলেন এম টেগোর, রামইয়া হরিদাস, জ্যোতিমণি এবং টিএন প্রতাপন৷ আগামী ১২ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে বাদল অধিবেশন৷ ওই চার কংগ্রেস সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ অধিবেশন চলাকালীন তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান৷ ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করলেও সেকথা কানে তোলেননি তাঁরা৷ তখন তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ৷

    আরও পড়ুন: সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

    এদিন ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও আইনের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় লাগাতার স্লোগান দিচ্ছিলেন তৃণমূল সহ বিরোধী একাধিক দলের সাংসদ। ওয়ালে নেমেও বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের এই আচরণকে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। চলতি অধিবেশনের আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে নির্দেশিকা জারি করে বেশ কয়েকটি শব্দ সভায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না প্রদর্শনও বন্ধ করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে মুখর বিরোধী দলগুলি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরও মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না দেখিয়েছেন, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

    বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উভয় কক্ষেই হট্টগোল চলছে। ফলে বার বার বাধা পেয়েছে অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানান, সরকার চায় আলোচনা করতে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে। সরকারের কার্যাবলী তুলে ধরতে। কিন্তু বিরোধীরা হই হট্টগোল করে ক্রমাগত সভার কাজে বাধা দিলে শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে। বিরোধীরা কোনও কথা বলতেই চায় না বলে জানান তিনি।

  • Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন। রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি।

    এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।.

    ৩১ জুলাই বিপ্লবী উধম সিংয়ের মৃত্যুদিন। এদিন শুরুতেই পাঞ্জাবের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। উধম সিংয়ের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির প্রসঙ্গও টানেন তিনি। মোদি বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ইতিমধ্যেই একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষে দেশের পঁচাত্তরটি রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি

    দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ভারতীয় রেল যে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক রেলস্টেশন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, এই জুলাই মাসে কেন্দ্র ও ভারতীয় রেলওয়ের তরফে অত্যন্ত মনোগ্রাহী একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে বিশেষ ট্রেন চলবে। যাত্রীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেলওয়ের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত করাই এর লক্ষ্য।

    করোনা যুদ্ধে আয়ুষ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুর্বেদ ও ভারতীয় চিকিৎসার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই কারণেই আয়ুষ পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ শুরু হচ্ছে।

    পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়া সহ ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের অভিনন্দনও জানান। সাফল্য কামনা করেন চলতি কমনওয়েল্থ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দেরও। বক্তব্যের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করছি এবারের স্বাধীনতা দিবস কীভাবে পালন করেছেন, তা আমাকে লিখে জানান।

    আরও পড়ুন : ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

LinkedIn
Share