Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Yashwant Sinha: তৃণমূলে ফিরছেন না, নির্দল হয়েই থাকতে চান ‘হেরো’ যশবন্ত!

    Yashwant Sinha: তৃণমূলে ফিরছেন না, নির্দল হয়েই থাকতে চান ‘হেরো’ যশবন্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করব না। সাফ জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential polls) পরাজিত প্রার্থী তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি যে নির্দল (Independent) হিসেবে থাকতে চান, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যশবন্ত।   

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর বাজি ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী হন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য বিরোধীরা প্রথমে যে কটি নাম নিয়ে ভেবেছিলেন, সেখানে যশবন্তের ঠাঁই হয়নি। তাঁরা এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল কংগ্রেসের গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ত্রয়ী রাজি না হওয়ায়ই শিকে ছেঁড়ে যশবন্তের ভাগ্যে। তবে দ্রৌপদীর কাছে বিপুল ভোটে পরাস্ত হন এই প্রবীণ রাজনীতিক।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, তৃণমূলে ফিরছেন যশবন্ত। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যশবন্ত, তবে তিনি জোড়াফুল শিবিরে ফিরছেন না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। যশবন্ত স্বয়ং বলেন, আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি, আমিও কারও সঙ্গে বলিনি। তিনি বলেন, আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করব না। আজীবন নির্দল হিসেবেই থাকব।

    বিজেপি ছেড়ে যশবন্ত তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে। পরে তাঁকে দলের সহ সভাপতি করা হয়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন যশবন্ত। বলেছিলেন, বাংলাই আগামিদিনের পথ প্রদর্শক হবে। ২০২৪ সালের সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেও বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই দূর থেকে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতেই তৃণমূলে যোগদান। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করেন প্রবীণ রাজনীতিক যশবন্ত। বলেন, মোদি শাহের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। বাজপেয়ী জমানার বিজেপির সঙ্গে যে এখনকার বিজেপির আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যশবন্ত।

    দ্রৌপদীর কাছে পরাজয়ই কি যশবন্তকে ঠেলে দিল  রাজনৈতিক সন্ন্যাসের পথে?

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • Maharashtra Political Crisis: সম্প্রসারিত হচ্ছে শিন্ডে মন্ত্রিসভা, বিজেপি শিবসেনা কার ভাগে কত আসন, জানেন?

    Maharashtra Political Crisis: সম্প্রসারিত হচ্ছে শিন্ডে মন্ত্রিসভা, বিজেপি শিবসেনা কার ভাগে কত আসন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। অথচ এখনও সম্প্রসারণ হয়নি মন্ত্রিসভার। শেষমেশ এবার সম্প্রসারিত হতে চলেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন শিন্ডে শিবিরের ১৫-১৬ জন মন্ত্রী। বাকি আসন ভাগ হবে বিজেপি (BJP) এবং নির্দলদের মধ্যে।

    শিবসেনা (Shiv Sena) , কংগ্রেস (Congress) এবং এনসিপিকে (NCP) নিয়ে গঠিত মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সতীর্থ একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে উদ্ধরের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে শিন্ডের। অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান একনাথ। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন একনাথ। এর পরেই আসল শিবসেনা কে, তা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় উদ্ধব-শিন্ডে শিবিরের। শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক পেতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিন্ডে শিবির। আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয় উদ্ধব শিবিরের পক্ষ থেকে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    ইতিমধ্যেই গড়িয়ে গিয়েছে এক মাসের কাছাকাছি। এখন সম্প্রসারিত হয়নি শিন্ডে মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হবে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা সর্বাধিক মন্ত্রী হতে পারবেন ৪২ জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফাঁকা রয়েছে মন্ত্রিসভার ৪০টি আসন। জানা গিয়েছে, শিবসেনা থেকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন ১৫-১৬ জন। এঁদের মধ্যে যে ন’ জন মন্ত্রী বিদ্রোহের শুরু থেকেই শিবসেনার সঙ্গে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই জায়গা পেতে পারেন নয়া মন্ত্রিসভায়। এই ন’ জনের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন পূর্ণমন্ত্রী, বাকি চারজন প্রতিমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    জানা গিয়েছে, ৬৫-৩৫ ফর্মুলায় বিলি হবে মন্ত্রীদের দফতর। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পাবে বিজেপি, বাকিটা শিবসেনার। এই সূত্র অনুযায়ী, শিন্ডে মন্ত্রিসভায় বিজেপি পেতে পারে ২৪-২৫টি আসন। আর ১৫-১৬টা পাবে শিন্ডে শিবির। কয়েকটি ছোট দল এবং কয়েকজন নির্দলেরও ঠাঁই হতে পারে মন্ত্রিসভায়।

     

  • Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-ই সন্তানের একমাত্র স্বাভাবিক অভিভাবক (Natural Guardian)। তাই সন্তানের পদবি (Surname) কী হবে তা ঠিক করার অধিকার মায়ের আছে। এমনই যুগান্তকারী রায় দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই রায়ে উঠে আসে কোনও মহিলার দ্বিতীয় বিবাহের প্রসঙ্গ। বেঞ্চ রায় দেওয়ার সময় জানায়, “একজন মহিলা দ্বিতীয় বিবাহের পরে যদি তাঁর প্রথম বিবাহের সন্তানকে দ্বিতীয় স্বামীর পদবি দিতে চান, তাহলে তা তিনি করতেই পারেন। পদবি শুধু মাত্র কোন বংশের ইঙ্গিত নয়, এর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি শিশুদের অনুভূতির সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে।”

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন? 

    শীর্ষ আদালত এও জানায়, “দ্বিতীয় স্বামীর নাম সন্তানের সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করার উচ্চ আদালতের রায় নিষ্ঠুর। এতে শিশু মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।” 

    উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের অন্ধপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়। যেখানে বাবার পদবি যেন শিশু ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে মামলা করেছিল এক মহিলার প্রথম স্বামীর পরিবার। ওই মহিলার প্রথম স্বামী ২০০৬ সালে মারা যান। তখন তাঁর সন্তানের বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ২০০৭ সালে। কিন্তু ওই শিশুটির জৈবিক পিতার পরিবারের তরফ থেকে আদালতে আবেদন করা হয় যেন শিশুটি তার জৈবিক পিতার পদবি ব্যবহার করে। আদালত রায় দেয়, “ওই শিশুটির পিতার নামের জায়গায় তার জৈবিক পিতার নাম লিখতে হবে।  আর তা না করলে ওই মহিলার দ্বিতীয় স্বামীর নাম সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত   

    তখন শিশুটির মা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। ২০১৯ সালের শিশুটির সৎ বাবা শিশুটিকে দত্তক নেন। এবার এই বিষয়ে রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট  জানায়, “একজন সৎ বাবা হিসেবে ওই মহিলার স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার হাইকোর্টের এই রায় নিষ্ঠুর। এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু মা সন্তানের স্বাভাবিক অভিভাবক। তাই এক্ষেত্রে তিনিই ঠিক করবেন তাঁর সন্তান কোন পদবি নেবেন।”   

  • MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় নৌসেনা (Navy)। এবার সমুদ্রে চিন ও পাকিস্তানকে (China and Pakistan) টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেল নৌসেনা। প্রতিরক্ষা ক্ষত্রে আরও একধাপ এগিয়ে  সাবমেরিন ধ্বংসকারী MH-60R হেলিকপ্টার এসে গেল ভারতে। দুটি এমএইচ ৬০ আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) থেকে ভারতে এল। ভারতের নৌসেনায় যে ২৪ টি হেলিকপ্টার সংযোজনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই হেলিকপ্টারগুলি তার মধ্যে অন্যতম। এই চপারগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সি সেভেন্টিন হেভিলিফ্ট এয়ারক্রাফ্ট থেকে উড়ে এসেছে।

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিক্রান্ত হাতে পেল নৌসেনা! জানুন কবে থেকে কাজ করবে এই রণতরী

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে ২৪ টি লকহিড মার্টিন (Lockheed Martin-Sikorsky) এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতীয় নৌসেনায় অ্যান্টি সাবমেরিন ও অ্যান্টি সারফেস যুদ্ধে (anti-submarine/anti-surface warfare) এই বিশেষ চপার কার্যকরী ভূমিকা নিতে চলেছে। সমুদ্রের যত গভীরেই শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ঘাপটি মেরে থাকুক না কেন, সেগুলিকে খুঁজে বার করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই হেলিকপ্টারগুলি। এই নয়া হেলিকপ্টারগুলি ব্যাবহার করে ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া প্রথম তিনটি এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টার নৌসেনার কর্মীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপর ৩ টি হেলিকপ্টার কোচিতে এসে পৌঁছনোর কথা। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার দুটি হেলকপ্টার ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। এরপর পরবর্তী হেলিকপ্টার ২২ অগাস্ট ভারতে আসার কথা। জানা গিয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২৪ টি হেলিকপ্টারের মধ্যে আরও যে বাকি  হেলিকপ্টারগুলি রয়েছে সেগুলি ভারতে ২০২৫ সালের মধ্যে এসে পৌঁছবে। 

  • INS Vikrant: ২ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএনএস বিক্রান্ত পুরো ‘অপারেশনাল’ হতে আরও এক বছর!

    INS Vikrant: ২ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএনএস বিক্রান্ত পুরো ‘অপারেশনাল’ হতে আরও এক বছর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। ঠিক সাতদিন পর, অর্থাৎ, ২ সেপ্টেম্বর আগামী শুক্রবার, ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) তথা সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার, কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে (Cochin Shipyard Limited) (এখানেই নির্মিত হয়েছে বিক্রান্ত) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে তৈরি প্রথম বিমাণবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তকে (INS Vikrant) অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar) থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্টজন। ওইদিন নৌসেনায় ‘কমিশন্ড’ (Commissioning of INS Vikrant) বা অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী । প্রাথমিকভাবে নাম রয়েছে ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার (Indigeneous Aircraft Carrier) বা “আইএসি ১”। অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর নাম হবে “আইএনএস বিক্রান্ত”। 

    তবে অন্তর্ভুক্ত হলেও, এখনই ‘অপারেশনাল’ হচ্ছে না আইএনএস বিক্রান্ত। সেটা হতে হতে আগামী বছরের মাঝামাঝি। নৌসেনার উপ-প্রধান ভাইস-অ্যাডমিরাল এসএন ঘোরমাদে জানান, বিক্রান্তের ফ্লাইট ট্রায়াল নভেম্বরে শুরু হবে। অর্থাৎ, তখন থেকে বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়ান ও অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করবে যুদ্ধবিমানগুলি। এরসঙ্গে জাহাজের বিভিন্ন সামরাস্ত্র ও প্রযুক্তি যুক্ত করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। ফলে, ২০২৩ সালের জুন নাগাদ ‘এয়ার উইং’ গঠন সহ যুদ্ধজাহাজটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (IOR) ভারতের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজ করবে আইএনএস বিক্রান্ত বলে জানান নৌ-উপপ্রধান। তিনি বলেন, এটি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indian Ocean Region) শান্তি, স্থিতাবস্থা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চিনের সরাসরি নাম না করে ঘোরমাদে জানান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেভাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে, তাতে এই রণতরীর গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আইএনএস বিক্রান্ত-এর ওপর ১২টি মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে। এরমধ্যে, নৌসেনা যে ২৬টি বিদেশি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই বিমানগুলি চলে আসলে, মিগ-২৯কে বিমানগুলিকে অবসরে পাঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় নতুন বিমানগুলিকে মোতায়েন করা হবে। এই জাহাজের ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ (F/A-18E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। এর জন্য সরাসরি সরকারের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে একটি বিমানকে বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    তবে, নৌসেনার উপ-প্রধান জানিয়েছেন, বর্তমানে নৌসেনার নিজস্ব একটি দেশীয় যুদ্ধবিমান নিয়ে গবেষণা করছে ডিআরডিও এবং এডিএ। আগামী ৭-৮ বছরের মধ্যে ওই যুদ্ধবিমান যাকে এখন বলে হচ্ছে ‘টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার’ বা ‘টিইডিবিএফ’ নির্মাণ হয়ে গেলে, সেগুলি পাকাপাকিভাবে থাকবে এই রণতরীর ওপর। ঘোরমাদে জানান, সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। এর মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে থাকবে মিগ-২৯কে এবং পরে যোগ দেওয়া দেশী/বিদেশি। বাকিগুলি হবে রোটারি এয়ারক্র্যাফট বা হেলিকপ্টার। এই তালিকায় রয়েছে— রুশ কামোভ-৩১ আর্লি ওয়ার্নিং চপার, মার্কিন লকহিড-মার্টিন নির্মিত এমএইচ-৬০আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার এবং থাকবে দেশে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার।

  • Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপ, বহিষ্কার, একত্রীকরণ এবং আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কে — নানা সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই মামলাই এদিন পাঠানো হল পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।   
    আসল শিবসেনার রাশ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বিবাদ গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত অবধি। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁরাই আসল শিবসেনা। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দাবি তাঁরাই আসল।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে আগ্রহী ছিলেন শিন্ডে। সেকথা তিনি জানিয়েওছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। তবে তাতে রাজি হননি উদ্ধব। এর পরেই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে তাঁদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য  অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে হাত মেলানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। মহারাষ্ট্রের তখতে বসেন একনাথ। পরে নিজেদের আসল শিবসেনা দাবি করে শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও।  

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের আসল শিবসেনা ঘোষণা না করে। প্রতীকও যেন না দেওয়া হয়।  বৃহত্তর বেঞ্চে বিষয়টি পাঠানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ উল্লেখ করেন, ডিসকোয়ালিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা কী হবে, তা আগে স্থির করতে হবে। সেই কারণেই মামলাটি পাঠানো হয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তাঁকে স্বাগত জানান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তেরঙ্গা শাড়ি পরে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথ গ্রহণের পর প্রথা মেনে তাঁকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

    দ্রৌপদী দেশের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। শপথ নেওয়ার পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন তিনি। বলেন, সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। একটি প্রগতিশীল দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে আমি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে ভারতের দরিদ্র মানুষরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্রৌপদী বলেন, ২৬ জুলাই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস। দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতীক। কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও দেশবাসীকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এদিকে, রবিবার রাত থেকেই উৎসব শুরু হয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের উপরবেদা গ্রামে। সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দ্রৌপদীর প্রায় ৬০ জন নিকট আত্মীয়।

    আরও পড়ুন : নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন দ্রৌপদী।

     

  • Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপি-র দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন রাইসিনা হিলসের নয়া বাসিন্দা।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন বিশ্বের সব চেয়ে বড় রাষ্ট্রপতি ভবন। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল এই ভবন। ৩২০ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছিল দিল্লির রাইসিনা হিলসের এই রাষ্ট্রপতি ভবন। রাইসিনা হিলসের মূল ভবনে ঘর রয়েছে ৩৪০টি। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রাইসিনা হিলসে রয়েছে তাঁর আধিকারিকনিবাস, স্বাগত কক্ষ, অতিথিশালা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ভবনের বাইরে রয়েছে বিশাল আকারের বাগান, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা। রয়েছে আস্তাবলও। রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই রয়েছে মুঘল গার্ডেন, মিউজিয়াম। মুঘল গার্ডেনে রয়েছে ময়ূরও। টিকিট কেটে এগুলি ঘুরে দেখতে পারেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    আগামী পাঁচ বছরের জন্য এখানকারই বাসিন্দা হতে চলেছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতি মাসে বেতন বাবদ তিনি পাবেন ৫ লক্ষ করে টাকা। জানা গিয়েছে, ১৯৫১ সালের আইন মোতাবেক নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ও পেনশনের পরিমাণ। রাষ্ট্রপতির জন্য দুটি ভ্যাকেশন রিট্রিটের ব্যবস্থাও রয়েছে। বছরে দু বার ছুটি কাটাতে যেতে পারেন তিনি। তাঁর জন্য ব্যবস্থা থাকে সিমলার দ্য রিট্রিট বিল্ডিং ও হায়দরাবাদের রাষ্ট্রপতি নিলয়মে। সফরের যাবতীয় খরচ বহন করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এ তো গেল রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন সুযোগ সুবিধা। অবসরের পরেও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ফি মাসে রাষ্ট্রপতি পেনশন পান দেড় লক্ষ টাকা। রাইসিনা হিলস ছেড়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সুসজ্জিত বাংলোর। এজন্য কোনও টাকা দিতে হয় না তাঁকে। পাঁচজন কর্মচারীও রাখতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কর্মচারীদের বেতন দেয় ভারত সরকার। জীবনভর বিনা মূল্যে ট্রেন এবং বিমানে ভ্রমণের সুযোগও পান অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।

     

  • MQ-9B drones: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    MQ-9B drones: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই ভারতের হাতে চলে আসবে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’। তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ— গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকার’ হয়েছেন অনেকে। শত্রু খতম করতে এর জুড়ি মেলা ভার। সেই ড্রোনই এ বার ভারতের হাতে আসতে চলেছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি প্রায় পাকা। ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করে আমেরিকা থেকে ড্রোন কিনবে ভারত। 

    মাঝেমধ্যেই সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতের আকাশে চলে আসছে পাক ড্রোন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের সঙ্গেও ভারতের বিবাদ লেগে রয়েছে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমেরিকা থেকে অতি উন্নতমানের ড্রোন আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার জন্য প্রিডেটরের ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জেনারেল অ্যাটোমিক্স গ্লোবাল কর্পোরেশনের মুখ্য আধিকারিক বিবেক লাল জানান, এই ড্রোন নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সরকারের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘‘কী কথাবার্তা হয়েছে, তা দুই সরকারের প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসা করা উচিত। তবে জেনারেল অ্যাটোমিক্স ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’

    আরও পড়ুন: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে প্রবেশের অধিকার পেল ভারত, কেন জানেন?

    গত বছর আমেরিকা সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে বিবেকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। ওই সময়েই তাঁদের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিডেটর ড্রোন কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, আমেরিকার তৈরি এই ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’ ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় টানা ২৭ ঘণ্টা উড়তে পারে। এর সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা রয়েছে এক হাজার ৭৪৬ কিলোগ্রাম। এই ড্রোন ব্যবহার করে সাত হাজার ৫০০ কিলোমিটার উপকূল রেখা বরাবর নজরদারি চালানো যাবে। আমেরিকা ছাড়া সম্প্রতি এই ড্রোন ব্যবহার করছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের বিমানবাহিনী। এবার সেই তালিকায় ঢুকতে চলেছে ভারতও।

  • Monkey Pox: মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের পৃথকীকরণে সফল ভারত, জানাল এইআইভি 

    Monkey Pox: মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের পৃথকীকরণে সফল ভারত, জানাল এইআইভি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নিরিখে আরও এক ধাপ অগ্রসর হল ভারত। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের নমুনা থেকে মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের পৃথককীকরণ (Isolation) সম্ভব হয়েছে। বুধবার এমনটাই জানাল পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (National Institute of Virology)। এখন দেশে মাঙ্কি পক্স নিয়ে গবেষণার অনুমতি না থাকলেও, ভবিষ্যতে গবেষণার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।   

    আরও পড়ুন: দেশে চতুর্থ মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ, এবার দিল্লিতে

    এই মুহূর্তে স্মল পক্সের টিকা দিয়েই মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর স্মল পক্সের টিকা তৈরির লাইসেন্স একমাত্র দানিশ কোম্পানির কাছেই রয়েছে। আর যে ভাইরাস থেকে মাঙ্কি পক্সের উৎপত্তি, সেই ভাইরোলা ভাইরাসের নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে আটলান্টার ডিসিজ কন্ট্রোল ল্যাব এবং রাশিয়ার ভেক্টর ইনস্টিটিউটে। 

    এনআইভি-র গবেষক প্রজ্ঞা যাদব এবিষয়ে বলেন, “ভাইরাসের এই পৃথকীকরণের ফলে ভবিষ্যতে গবেষণা, টেস্টিং কিট তৈরি এবং টিকা তৈরিতে সুবিধা হবে। এভাবেই স্মল পক্সের টিকা তৈরি করা হয়েছিল। আর তার ফলে বহু মানুষের উপকার হয়েছে।”  

    আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কে ছড়াতে পারে মাঙ্কি পক্স? জানুন

    তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটির পৃথকীকরণে গবেষণার ক্ষেত্রে বিস্তর উপকার হবে। কী করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে তাও অনেকটা বোঝা যাবে। 

    এক আক্রান্তের ত্বকের নিচে থাকা লেজিয়নের ফ্লুইড ব্যবহার করে ভাইরাসটিকে আলাদা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, এই পৃথকীকরণের কাজটি অত্যন্ত জটিল। এতে গবেষকদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তাই কাজটি অত্যন্ত সাবধানে এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে হয়। 

    ইতিমধ্যেই আইসিএমআরের (ICMR) অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ফার্মা সংস্থা, টিকা নির্মাতা সংস্থা, গবেষণা সংস্থাগুলির থেকে এই বিষয়ে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চেয়েছে। এমনকি ডায়গনস্টিক কিট নির্মাতাদের কাছেও ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে। 

    গত ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) প্রথম কেসটি সামনে আসার পর থেকে দ্রুত ছড়িয়েছে এই রোগ। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন।  

LinkedIn
Share