Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mother Language: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জেনে নিন মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের গুরুত্ব

    Mother Language: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জেনে নিন মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বব্যাপী আজকের দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day) হিসেবে পালিত হয়। কেন এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ? কোথায় জুড়ে এর তাৎপর্য? বর্তমান পৃথিবীতে প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এমন সময় দেখা যাচ্ছে আমরা মাতৃভাষা (Mother Language) থেকে যেন ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। আজকের দিনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইংরেজি ভাষা। এটা মনে করা হয় যে ইংরেজিতে সাবলীলভাবে যিনি কথা বলতে পারেন, তিনি বেশি শিক্ষিত। যিনি পারেন না তিনি কম শিক্ষিত।

    মাতৃভাষার অনুভূতি (Mother Language)

    আমাদের ভাবা দরকার মাতৃভাষার (Mother Language) গুরুত্ব কমিয়ে অপর ভাষায় সাবলীল হওয়াটা কি সত্যিই গর্বের? বাড়িতে আমরা যে অনুভূতিটা পাই, যে আরাম পাই, যে ধরনের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, মাতৃভাষার ক্ষেত্রেও ঠিক অনেকটা একই রকম। নিজের মাতৃভাষায় কথা বললে মনে হয় যেন আমরা বাড়িতে রয়েছি। আমরা বিদেশে গিয়েও যদি কারও সঙ্গে নিজের মাতৃভাষায় কথা বলি তখন আমাদের অনুভব হয় যে আমরা হয়তো নিজের বাড়িতেই রয়েছি। ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের দিকে যদি আমরা একবার তাকিয়ে দেখি, তাহলে দেখব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য রচনা নিজের মাতৃভাষাতেই করেছিলেন। অন্যদিকে, মুন্সি প্রেম চাঁদ তিনি হিন্দিতে সাহিত্য রচনা করেছেন। কারণ হিন্দি ছিল তাঁর মাতৃভাষা। নিজের মাতৃভাষা তামিলে সাহিত্য রচনা করেছেন সুব্রহ্মণ্য ভারতী। ওড়িশার বিখ্যাত সাহিত্যিক গোপীনাথ মোহান্তি তিনিও নিজের মাতৃভাষা (International Mother Language Day) ওড়িয়াতেই সাহিত্য রচনা করেছেন। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র তাই নয় এটি সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের সংস্কৃতিকেও শক্তিশালী করে।

    ভারতীয় ভাষা পুস্তক প্রকল্প

    চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি সেই বাজেটে একটি প্রকল্প চালু করেন যার নাম দেন, ভারতীয় ভাষা পুস্তক প্রকল্প। এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হল, স্কুল এবং কলেজের পড়ুয়াদের জন্য ভারতীয় ভাষায় বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল বই সরবরাহ করা। অর্থমন্ত্রী মনে করেন যে, এর মাধ্যমে শিক্ষা আরও সহজেই পৌঁছাতে পারবে পড়ুয়াদের কাছে। অর্থাৎ মাতৃভাষায় শিক্ষায় বিষয়বস্তু সহজেই বোধগম্য হয়। এর পাশাপাশি এটি একটি প্রজন্মকে সশক্তিকরণের পথে নিয়ে যায়।

    মোদি জমানায় বাড়ছে মাতৃভাষায় শিক্ষার গুরুত্ব

    মোদি জমানায় এমন উদ্যোগ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরাও দুহাত ভরে সমর্থন করছেন। সেরকমই একজন হলেন এম জৈন কলেজের ডিন ডঃ এমএম রানা। তিনিও মাতৃভাষায় ওপর শিক্ষাদানের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, ‘‘২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ভারতীয় ভাষা পুস্তক নামের যে প্রকল্পটি আনা হয়েছে, তা সত্যিই একটি বড় পদক্ষেপ। স্থানীয় ভাষায় ডিজিটাল বইয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্প পড়ুয়াদেরকে আরও বেশি উন্নত করবে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় পড়ার বই ইংরেজি বা হিন্দিতে হয়। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় এমন উদ্যোগের ফলে পড়ুয়ারা আরো ভালোভাবে পড়ার ধারণাগুলি বুঝতে পারবে এবং তারা অনেক কিছু বিশ্লেষণ করতে পারবে সহজেই।

    কী বলছে সমীক্ষা?

    সম্প্রতি, একটি সমীক্ষা হয়েছিল নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে। সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে এই দেশগুলির ৩৭ শতাংশ পড়ুয়াকে সেই ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয় না, যে ভাষাটা তারা সবচেয়ে ভালো বোঝে। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন অনুসারে ভারতের ক্ষেত্রে এটি ৩৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের। ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এবং যেখানে সম্ভব অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাদানকে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে।

    করোনা অতিমারিও মাতৃভাষায় শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছে

    অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, করোনা অতিমারিও মাতৃভাষায় শিক্ষাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। ইউনেস্কোর সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে এবং সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সময় বিভিন্ন স্কুলই বন্ধ ছিল। এর ফলে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার মান আরও নিচে নেমে গিয়েছে। প্রত্যেকটি স্কুলে গড়ে কমবেশি ২৪ সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কুল আবার ৭০ সপ্তাহ বন্ধ ছিল এই সময়ের মধ্যে।

    মাতৃভাষার কোনও বিকল্প নেই

    প্রসঙ্গত বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে শিক্ষা ক্রমশই বহুভাষার হয়ে উঠেছে। ভারতবর্ষের মতো দেশে অভিভাবকরা ইংরেজি ভাষায় শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। একাধিক ভাষা জেনে রাখা ভালো। কিন্তু শিক্ষাদানটা সেই বিষয়ে হওয়া উচিত যে ভাষাতে সহজে বোঝা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইংরেজি হল বিশ্বব্যাপী একটি ভাষা। কিন্তু নিজের সংস্কৃতি, নীতি, সাহিত্য থেকে পড়ার যে কোনও জটিল তত্ত্ব বোঝার জন্য মাতৃভাষার (Mother Language) কোনও বিকল্প নেই।

  • Maha Kumbh 2025: ‘এই আধ্যাত্মিক মেলার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন’, কুম্ভে মজে বিদেশি পর্যটকরা

    Maha Kumbh 2025: ‘এই আধ্যাত্মিক মেলার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন’, কুম্ভে মজে বিদেশি পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) ঘুরে উচ্ছ্বসিত বিদেশি পর্যটকরা। মহাকুম্ভ দেখার অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ওই মেলা চত্বর ঘুরে দেখে উচ্ছ্বাস এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন বিদেশ থেকে আসা শয়ে শয়ে ভক্ত। কুম্ভমেলার এই রকম আয়োজন দেখে বিস্মিত এবং মুগ্ধ তাঁরা। এই মহা-আয়োজনকে এক গ্লোবাল ইভেন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁরা।

    মানব আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল

    বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের মতে, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র মানব আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল নয়, এটি একটি ঐশ্বরিক ঘটনা যা সকল জীবের কল্যাণে সহায়ক, পাখি ও প্রাণীদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, বিদেশি পর্যটকরা এই অভিজ্ঞতাকে একটি জীবনে একবার পাওয়া সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা আধ্যাত্মিক উত্থান এবং সাংস্কৃতিক বিশালতার অসাধারণ এক পরিসর। এ প্রসঙ্গে এক পর্যটক বলেন, ‘এই রকম একটি ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক মেলার আয়োজন করার জন্য আমি ভারত সরকারে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এবং ভারতের ঐতিহ্যের সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ তাঁরা জানান, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) এসে যে জিনিস তাঁরা দেখলেন তা কোনও দিনই ভুলবেন না।

    সারা জীবনে একবারই আসে

    মহাকুম্ভ ২০২৫ (Maha Kumbh 2025) বিশ্বব্যাপী তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের জন্য এক সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এর মধ্যে দিল্লির মনিকা তার ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শনকে তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি শুধুমাত্র মিডিয়াতে এসব মুহূর্ত দেখেছি, কিন্তু তা সরাসরি অভিজ্ঞতা করা আমার ধর্ম এবং মানবতায় বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। এটি একটি অবিস্মরণীয় আধ্যাত্মিক যাত্রা।” এক বিদেশি পর্যটকের কথায়, এখানকার সরকার যেভাবে এই বিপুল জনসামাগম সামলেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। তিনি বলেন, “ভিড়ের পরিমাণ সত্ত্বেও, এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে যে ইতিবাচক শক্তি রয়েছে, তা সকলকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে।” মহাকুম্ভ মেলা দর্শন সারা জীবনে একবারই আসে বলে উল্লেখ করেছেন অন্য এক পর্যটক। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে আমরা ভারত এবং তার নাগরিক সংস্কৃতিকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি।’

  • Google Play Store: জাতীয় সুরক্ষায় গুগল প্লে স্টোরের ১১৯ অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    Google Play Store: জাতীয় সুরক্ষায় গুগল প্লে স্টোরের ১১৯ অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে বহু অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র সরকার।আজ বৃহস্পতিবারই এক নির্দেশিকা জারি করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে ১১৯টি অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভিডিও অথবা ভয়েস চ্যাটিং অ্যাপ বলে জানা গিয়েছে। খবর মিলেছে, এই অ্যাপগুলির সঙ্গে চিন ও হংকং যোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯(এ) ধারায় নির্দেশিকা

    তবে চিন ও হংকং ছাড়া সিঙ্গাপুর, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ারও অ্যাপ (Google Play Store) রয়েছে ওই তালিকায়, এমনটাই জানা গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯(এ) ধারায় এই নির্দেশিকা জারি করেছে। মূলত দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস না করতে এবং ওই অ্যাপগুলির কন্টেন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার (Indian Govt)। এর আগে ২০২০ সালেই চিনা অ্যাপ টিকটক ও শেয়ার ইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। করোনাকালে ২০২০ সালের ২০ জুন প্রায় ১০০টি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার।

    কোন কোন অ্যাপ (Google Play Store)?

    অ্যাপগুলির (Google Play Store) মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ চিলচ্যাট, এছাড়াও সেখানে রয়েছে ম্যাঙ্গোস্টার টিমের তৈরি গেমিং প্ল্যাটফর্ম। গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন অর্থাৎ দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ তা ডাউনলোড করেছিলেন বলে জানা যায়। গুগল প্লে স্টোরে ৪.১ রেটিংও রয়েছে ওই অ্যাপগুলির। চিনের তৈরি চাংঅ্যাপও রয়েছে ওই তালিকায়। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার তৈরি হানিক্যাম অ্যাপও রয়েছে নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিন ও ভারতের কূটনৈতিক বিবাদের কারণে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে টিকটক। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি বিধিগুলির কারণে দেশে এই অ্যাপগুলি ব্লক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছে যে, এই নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া আগামীদিনেও জারি থাকবে।

  • Mahakumbh: স্বচ্ছ মহাকুম্ভ! সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং সহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত প্রয়াগরাজে

    Mahakumbh: স্বচ্ছ মহাকুম্ভ! সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং সহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত প্রয়াগরাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Mahakumbh) মেলাতে ভিড় জমিয়েছেন জমাচ্ছেন কোটি কোটি ভক্ত। কুম্ভকে (Kumbh Mela) স্বচ্ছ-পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগও নিতে দেখা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে। জানা গিয়েছে, মেলা চত্বরে থাকা শৌচাগারগুলিকে পরিষ্কার করতে এক কোটি লিটারের পরিষ্কার করার তরল ব্যবহার করেছে যোগী প্রশাসন। একইসঙ্গে সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে বলে সূত্রের খবর।

    শৌচাগার পরিষ্কার করতে অক্সিডেশন পদ্ধতি (Mahakumbh)

    জানা গিয়েছে, এই কাজে এগিয়ে এসেছে বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং শৌচাগারগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে তারা অক্সিডেশন টেকনোলজিকে ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) স্বচ্ছ করতে ব্যবহার করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ ব্লিচিং পাউডার, ৭৫ হাজার ৬০০ লিটার ফিনাইল, ৪১ হাজার কেজির মেলাথিওন। ইতিমধ্যে মহাকুম্ভের মেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ রয়েছে এই মেলাকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন রয়েছে দল এবং তাঁরাই মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার কাজ করছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬৫০ মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্যকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে

    সম্প্রতি এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে।

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) চুক্তির বিধানের অধীনে রাজ্যের ১.৬৬ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Intruders) অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে। বুধবার অসম বিধানসভায় এ কথা জানান অসম চুক্তি বাস্তবায়ন মন্ত্রী অতুল বরা।

    কী বললেন মন্ত্রী?(Assam)

    কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩১ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৭০ জন অসমে প্রবেশ করেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর অসমে ঢুকেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। এটি হচ্ছে নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য অসম চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমা। এর পরেই মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত অসম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১১৫ জনকে অনুপ্রবেশকারীকে।

    অবৈধ অভিবাসন

    ঐতিহাসিকভাবে, অসম প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি দশকের পর দশক ধরে রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অভিবাসন রাজ্যের একাধিক জেলার জনসংখ্যার গঠনও পরিবর্তন করেছে। প্রসঙ্গত, অসম (Assam) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৮৫ সালে, ছ’বছরের অভিবাসনবিরোধী অসম আন্দোলনের পর। অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই চুক্তি।

    চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর পরে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি নাগরিক ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আগতদের ভোটাধিকার দশ বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৭১-এর পরে আসা অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, “চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১.৬৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হলেও, বহিষ্কারের সংখ্যা মোট চিহ্নিত অভিবাসীর তুলনায় নগণ্য।” অসমের বিভিন্ন আদি সংগঠন, বিশেষ করে অসম ছাত্র সংস্থা (AASU) মনে করে যে রাজ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এদিকে, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP) অসম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে (Bangladeshi Intruders)। একে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছে (Assam)।

  • Delhi CM: ২৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার

    Delhi CM: ২৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) পদে শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা করলেন বিজেপির রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দিল্লির রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তার পরেই ঘোষণা করেন, তাঁর সরকার ৮ মার্চের মধ্যে মহিলাদের প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে।

    মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা (Delhi CM)

    পূর্বতন আপ সরকারকে তাদের কাজের জন্য জবাবদিহিও করতে হবে বলে জানান দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মধ্যেই যোগ্য মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা জমা করা হবে।” আপ সরকারকে নিশানা করে নয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তাদের (আপ সরকারকে) প্রতিটি পয়সার হিসেব দিতে হবে।” তাঁর সরকার যে বিজেপির প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রেখা।

    মোদির স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার

    এদিন জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে তিনি কাশ্মীরি গেটের শ্রী মর্ঘট ওয়ালে হনুমান বাবা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করাই দিল্লির ৪৮জন বিজেপি বিধায়কের প্রধান অগ্রাধিকার।” এদিন রেখাকে শপথবাক্য পাঠ করান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন (Delhi CM) বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনডিএ জোটের নেতারাও।

    প্রসঙ্গত, রেখা হলেন দিল্লির চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে দিল্লি শাসন করেছেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আপের অতিশী মারলেনা। রেখার পাশাপাশি এদিন শপথ নেন পরবেশ বর্মা, আশিস সুদ, মনজিন্দর সিং সিরসা, কপিল মিশ্র, রবীন্দ্র ইন্দ্ররাজ সিং এবং পঙ্কজ সিং। শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নিতে দিল্লি সচিবালয়ে যান।

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “আমরা দিল্লিতে একটি নতুন পরিবর্তন দেখতে চলেছি। এখন থেকে একটি ভিন্ন দিল্লি হবে। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক দিল্লি নিয়ে গর্বিত হবেন। আমরা খুব খুশি, এখন দিল্লিতে নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে। চমৎকার উন্নয়নও হতে যাচ্ছে। গত ১০ বছর ধরে দিল্লিতে (Rekha Gupta) কোনও ভালো কাজ হয়নি। এখন একটি নতুন যুগের সূচনা হবে (Delhi CM)।”

  • Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান

    সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর।  পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”

    ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”

    ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)

    এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”

  • Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মমতার দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগীর মতে, সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে অ্যাখ্যা দেন মমতা। এরপরই বিভিন্ন মহলে ওঠে সমালোচনার প্রবল ঝড়। রাস্তায় নামে বিজেপি। এরপরেই গতকাল বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পাল্টা জবাব দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) অপমান তৃণমূলের

    মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন আলোচনা করছি, তখন কুম্ভে (Mahakumbh) ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। ভারতের আস্থা বা মহাকুম্ভের বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করছেন, মিথ্যা ভিডিও দেখাচ্ছেন, তারা ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্ম রাষ্ট্রীয় ধর্ম। এই ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করা যদি অপরাধ হয়, তবে সরকার এই অপরাধ করবে।’’

    মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘সরকার এঁদের পাশে রয়েছে। যথা সম্ভব সাহায্য করব আমরা। কিন্তু এটা নিয়ে কী রাজনীতি করা উচিত?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা বিজেপি সরকারের সৌভাগ্য যে মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছে, আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। আমরা নিজেদের দায়িত্ব জানি। গোটা দেশ ও বিশ্ব মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছে। এই সব মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না।’’

    ষড়যন্ত্র চলছে কুম্ভকে বদনাম করতে

    বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘এরা প্রথম দিন থেকেই কুম্ভের বিরোধিতা করছে। কুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) বদনাম করার ষড়যন্ত্র চলছে। ওদের ভাষা সভ্য সমাজের ভাষা নয়। অনর্গল মিথ্যা প্রলাপ মানুষের আস্থার উপর আঘাত করছে। মানুষ ওদের অপপ্রচার মানছে না। কুম্ভের প্রচার করা অন্যায় নাকি!উত্তর প্রদেশ নিয়ে এখন মানুষের ধারণা বদলেছে। এরা আকবরের কেল্লার কথা জানে না। অক্ষয় বটের কথা জানত না। রেলের কাজ যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।’’

    সনাতন ধর্মের অপমান মমতার স্বভাব তোপ শিবরাজের

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুকুম্ভ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের অপমান করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতি আজকের নয়। হাজারো বছর ধরে গঙ্গার জলের মতো ভারতীয় সংস্কৃতি প্রবাহিত হয়ে আসছে। যাঁরা সনাতন ধর্মের দিকে আঙুল তোলেন, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের লোকসান করছেন। মানুষের আস্থা-ভরসা-ভাবনার উপর আঘাত করা অপরাধ সমান।’’

  • Delhi New CM: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ রেখা গুপ্তর, চিনুন বিজেপির এই নেত্রীকে

    Delhi New CM: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ রেখা গুপ্তর, চিনুন বিজেপির এই নেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন বিজেপির রেখা গুপ্ত (Delhi New CM)। আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান (Rekha Gupta)। বুধ-সন্ধ্যায় বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম ঘোষণা করেন রেখার।

    রেখা এবারই প্রথম বিধায়ক (Delhi New CM)

    বছর পঞ্চাশের রেখা এবারই প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শালিমার বাগ কেন্দ্রের বিধায়ক। ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপের বন্দনা কুমারীকে। রেখা হলেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে ওই পদে বসেছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আপের অতিশী।

    হরিয়ানায় জন্ম রেখার

    ১৯৭৪ সালের ১৭ জুলাই হরিয়ানার জুলানায় জন্ম রেখার। দিল্লির দৌলত রাম কলেজ থেকে বিকম পাশ করেন। পরে মিরাটের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি লাভ করেন। আরএসএসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ৩২ বছরের। ১৯৯২ সালে তিনি যখন দৌলত রাম কলেজে ছিলেন, তখন তিনি এবিভিপি করতেন। ১৯৯৫-৯৫ সালে তিনি ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদক। তার পরের বছরই হন সভাপতি (Rekha Gupta)।

    বিজেপিতে যোগ ২০০২ সালে

    ২০০২ সালে রেখা (Delhi New CM) যোগ দেন বিজেপিতে। দলের যুব শাখার জাতীয় সম্পাদক হন। মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মহিলা শাখার দায়িত্বেও ছিলেন রেখা। হয়েছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতিও। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে রেখা দিল্লি পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে কাউন্সিলর হন। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন শালিমার বাগের কাউন্সিলর। ছিলেন নাগরিক সংস্থার নারী কল্যাণ ও শিশু উন্নয়ন কমিটির প্রধান। ২০০৭ সালে দিল্লির পুরভোটে রেখা প্রথমবার উত্তর পিতমপুরা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি তিনবারের কাউন্সিলর এবং দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র (Delhi New CM)। ২০২২ সালের পুরভোটে রেখাকে আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও সেবার জিততে পারেননি রেখা।

    রেখা বৈশ্য সম্প্রদায়ের

    রেখাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি। রেখা বৈশ্য সম্প্রদায়ের। দিল্লির একটি বড় অংশের ভোটার এই সম্প্রদায়ের। দিল্লি একাধিক নারী মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের ১৫ বছরের শাসনকাল অন্যতম। বছর ২৭ আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ। দিল্লির শেষ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কালকাজির বিধায়ক আতিশী। তিনি মাত্র পাঁচ মাস ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ নেত্রীকে।

    রেখাকেই বেছে নিল বিজেপি

    রেখাকে মুখ্যমন্ত্রী (Delhi New CM) পদে বেছে নিতে বুধবার বৈঠকে বসে গেরুয়া শিবিরের সংসদীয় বোর্ড। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ওমপ্রকাশ ধনখড় হবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। ওই দুই পর্যবেক্ষক বুধবার সন্ধেয় দিল্লির বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। পরিষদীয় দলের বৈঠকেই পরিষদীয় দলের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় শালিমার বাগের বিধায়কের নাম। এদিন সন্ধেয় নাম ঘোষণার পরেই বিজেপি বিধায়করা রওনা দিয়েছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপালের বাসভবনের উদ্দেশে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের দাবি জানান রেখা। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, দিল্লির জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Rekha Gupta) তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী।

    রেখাকে শুভেচ্ছা বিজেপির

    রাজধানীর চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দিল্লি বিজেপি। সেখানে লেখা হয়েছে, “দিল্লি বিজেপির নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য শ্রীমতি রেখা গুপ্তজিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস যে আপনার নেতৃত্বে রাজ্য এগিয়ে যাবে।” উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে পরবেশ শর্মাকে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। পরবেশ জানান, নারী সশক্তিকরণের লক্ষ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রেখাকে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে।

    রেখার শাশুড়ির প্রতিক্রিয়া

    আদরের বউমা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন শুনে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রেখার শাশুড়ি। তিনি বলেন, “চমকেগা নাম রেখা গুপ্ত, চমকেগা দিল্লি।” বউমাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি বলেন, “রাজনীতির পাশাপাশি বউমা ঘরের কাজটাও নিপুণ হাতে সামলান।” স্ত্রীর সাফল্যে গর্বিত রেখার স্বামী মণীশও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখার নাম ঘোষণা হতেই খুশিতে মেতে ওঠেন তাঁর পড়শিরা। তা দেখে রেখার শাশুড়ি বলেন, “আশপাশে দেখ একেবারে উৎসবের মেজাজ (Rekha Gupta)। বিয়েবাড়ির চেয়েও বেশি আনন্দ এখানে। সবাই আনন্দে নাচছে, লাফাচ্ছে। চারদিকে কেবলই খুশির হাওয়া (Delhi New CM)।”

LinkedIn
Share