Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amarnath Yatra: আতঙ্কের অবসান, ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা

    Amarnath Yatra: আতঙ্কের অবসান, ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্ক কাটিয়ে ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের আতঙ্ক (Cloudburst Incident) আপাতত আর নেই। তাই ফের অমরনাথ যাত্রার অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। আজ থেকে আবারও শুরু হল অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2022)। দুর্ঘটনার পরে আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল যাত্রা। সোমবার সকালে নুনওয়ান-পাহালগামের দিক থেকে আবার শুরু হয়েছে যাত্রা। জম্মু বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের একটি নতুন দল যাত্রা শুরু করেছে। এক তীর্থযাত্রীর কথায়, “আমাদের মনোবল ভাঙেনি। বাবার দর্শন না করে ফিরে যাব না। আমরা খুশি যে যাত্রা আবারও শুরু হয়েছে। সিআরপিএফ এবং অন্যান্য কর্মীরা আমাদের যাত্রা শুরুর ছাড়পত্র দিয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: অমরনাথে বাঙালি ছাত্রীর মৃত্যু, আটকে ১৬, চালু হেল্পলাইন

    পাঞ্জাবের এক বাসিন্দার গলাতেও একই সুর। আয়ুশ নামের এক যুবকের কথায়, “অমরনাথ দর্শন করেই বাড়ি ফিরব। যতদিন না রুট চালু হচ্ছে, ততদিন এখানেই অপেক্ষা করব।” দেবরাজের নামের আরেক তীর্থযাত্রীর  পূর্ণ আস্থা রয়েছে প্রসাশনের ওপর। তাঁর কথায়, মেরামতির কাজ শেষ করে খুব শীঘ্রই যাত্রা শুরু হবে। 

    আরও পড়ুন: গুহার উপরেই জমাট বাঁধা মেঘ! অমরনাথে আতঙ্ক 

    বালতাল বেস ক্যাম্প থেকে যদিও এখনও যাত্রা শুরু হয়নি। সেখানে তীর্থযাত্রীরা যাত্রা শুরুর জন্য অপেক্ষা করছেন। বালতাল এবং নুনওয়ান উভয় দিক থেকেই হেলিকপ্টার পাওয়া যাবে।

    শুক্রবার অমরনাথের গুহা মন্দিরের কাছে একটি মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান নেমে আসে। আকস্মিক এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। কমপক্ষে ৩৬ নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (NDRF) কর্মীরা। পুলিশ কুকুরের মাধ্যমেও খোঁজ চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের আশঙ্কা হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পাহালগামের একটি বেস ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন।

     

  • Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে (Vijay Mallya) চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই সঙ্গে দুহাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে কিংফিসারের প্রাক্তন প্রধানকে। শর্ত না মানলে আরও ২ মাস জেল খাটতে হবে বলেও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও বিদেশে পাচার করা ৪ কোটি মার্কিন ডলারও ফেরত দেওয়ার জন্যে শিল্পপতিকে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

    তথ্য গোপন এবং আদালত অবমাননার দায়ে বিজয় মালিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউইউ ললিত, রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

    ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিজের ছেলে ও মেয়েকে প্রায় ৩১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। সেই টাকা ৮ শতাংশ সুদে চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে তাঁকে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যথায় ‘কিংফিশার কিং’ -এর সম্পত্তি বেঁচে পাওনাদার সংস্থাগুলিকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    ২০১৬ সালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বিজয় মালিয়া। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিজয় মালিয়াকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু হাজিরা তিনি দেননি। এছাড়াও নিজের সম্পত্তির সম্পূর্ণ খতিয়ান ব্যাঙ্কগুলির কাছে গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে মালিয়ার বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কগুলির অভিযোগ, ২০১৭ সালের কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ছেলে সিদ্ধার্থ ও মেয়ে লীনাকে প্রায় ৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন মালিয়া।  

    ৫ বছর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে মালিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরু হয়। শীর্ষ আদালত জানায়, মালিয়া তথ্য গোপন করেছেন। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন। ভারত সরকারের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকেই লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে বসে আছেন বিজয় মালিয়া। এখনও তিনি অধরা।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত এবং পলাতক বিজয় মাল্য, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির কাছ থেকে মোট ১৮,০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

  • Kerala High Court: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের 

    Kerala High Court: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সম্মতিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক (Consensual Sex) হলে, তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। শুক্রবার এমনই যুগান্তকারী রায় দিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। এমনকি পরবর্তীতে বিয়ে না করলেও, দুজনের সম্মতি ছিল এমন সহবাসকে ধর্ষণ ধরা যাবে না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় তখনই সেটাকে ধর্ষণ বলা যাবে, যদি সেই শারীরিক সম্পর্কে প্রতারণা বা মিথ্যাচার থাকে। অর্থাৎ দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সহবাস করলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।         

    আইনজীবী নভনীত এন নাথকে (Navneet N Nath) গত মাসে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। এক মহিলা আইনজীবীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আইনজীবী বর্তমানে কেরল হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী। বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাসের (Justice Bechu Kurian Thomas) বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ ওঠে আইনজীবীর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে অন্য মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত পিনারাই বিজয়ন! অভিযোগের পাল্টা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর   

    সরকারি উকিলের অভিযোগ, প্রেমিকের বিয়ের খবর জানতে পেরে মহিলা আইনজীবী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে ৩৭৬ (২)(n), ৩১৩ ধারায় গ্রেফতার করা হয় গত ২৩ জুন। 

    বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করে আদালত। আর তারপরেই আসে এই যুগান্তকারী রায়। আদালত বলে, “দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেই বিয়ে করতে হবে এমন নয়, তা হলেও তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। যেখানে এর কোনও প্রমাণ নেই অভিযুক্ত সম্মতি ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করেছে। যদি বিয়েতে কেউ রাজি না হয় বা সম্পর্ক বিয়ে অবধি না গড়ায় সেক্ষেত্রে সেটাকে ধর্ষণ বলা চলে না। তাতে দুজনে শারীরিক সম্পর্কে গেলেও বলা যাবে না।”  

    আরও পড়ুন: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস?  

    আদালত আরও জানায়, “পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে যৌন সম্পর্ককে তখনই ধর্ষণ বলা যাবে, যদি মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা বলপূর্বক তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।” আদালত এও বলে, “যদি কোনও প্রতারণা করে কেউ কোনও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় বা কোনও মিথ্যাচার করা হয়, তাহলে সেই সম্মতিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হবে।” 

    এরপরেই অভিযুক্ত আইনজীবীকে জামিন দেয় আদালত। আদালতের এই রায়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।

     

  • Lal Bazar Attack: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা

    Lal Bazar Attack: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরের লালবাজার এলাকায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট ( Islamic State) হিন্দ প্রভিন্স। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের জঙ্গি হামলার সাক্ষী থেকেছে উপত্যকাবাসী। শ্রীনগরের (Srinagar) লাল বাজারে (Lal Bazar) জি ডি গোয়েঙ্কা স্কুলের (G D Goenka School) বাইরে নাকা তল্লাশির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপরে অতর্কিতে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা (Terrorist)। ওই হামলায় মুস্তাক আহমেদ (Mustaque Ahamed) নামে পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (ASI) প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন আরও দুই পুলিশ কর্মী। হত্যালীলা চালিয়ে নিরাপদেই চম্পট দিয়েছে জঙ্গিরা।

    বুধবার ওই হামলার দায় নিয়ে, আক্রমণের ভিডিও প্রকাশ করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন। ভিডিওয় দাবি করা হয়েছে, লুকিয়ে পুলিশের উপর এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। আক্রমণের পর পুলিশের একটি একে ৪৭ রাইফেলও ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। উপত্যকায় ক্রমে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা বাড়ছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এ নিয়ে ১১জন পুলিশকর্মী জঙ্গিদের গুলির শিকার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ জন সেনা, ৫ জন আধাসেনা-সহ নিরাপত্তা বাহিনীর মোট ২২ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪২ জন সদস্য নিহত হন। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    উল্লেখ্য,জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বেড়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উপত্যকায় ১৪১ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। এরই মধ্যে উপত্যকা ফের একবার অশান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চিন্তা বাড়ছে। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে সুরক্ষা অনেক জোরদার করা হয়েছে। তারই মধ্যে এই আক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ৬৯ জন কাশ্মীরি তরুণকে জঙ্গি সংগঠন নিযুক্ত করেছে। এই সংগঠনটি পাক মদতপুষ্ট। লস্কর, জইশের পাশাপাশি হিজবুল মুজাহিদিন ও রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্টও উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষছে বলে কিছুদিন আগে প্রকাশিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়।

  • RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’,  সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

    RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’, সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালে সিপিএম কর্মী (CPIM Worker) খুনে (Murder) অভিযুক্ত ১৩ জন আরএসএস কর্মীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল কেরলের উচ্চ আদালত (Kerala HC)। ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে এই ১৩ আরএসএস (RSS) কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল তিরুবন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) নিম্ন আদালত।

    পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এই অভিযুক্তরা এই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। বিচারপতি চন্দ্রন এবং সি জয়া চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিপরীতে গিয়ে উচ্চ আদালত বলে, “আদালতের সামনে পুরো মামলাটিকে সাজিয়ে পেশ করা হয়েছে। যেন একটা সাজানো গল্প। মিথ্যে সাক্ষীও হাজির করা হয়েছে এই মামলায়। মিথ্যে প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাই অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সঠিক তথ্য-প্রমাণ দিতে ভয়ঙ্করভাবে ব্যর্থ  হয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের

    আদালত বলে, “যে সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির করা হয়েছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। কোনও ঠোস প্রমাণও যোগার করা যায়নি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যেসব প্রমাণ দেখানো হয়েছে সেগুলি মিথ্যে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফাঁসানো হয়েছে ওই আরএসএস কর্মীদের।”  

    সরকারপক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল যে, আরএসএস কর্মীরা ২০০৮ সালে তিরুবনন্তপুরম পাসপোর্ট অফিসের বাইরে বিষ্ণু নামের এক সিপিআইএম কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল এবং এটা আরএসএসের সাংগঠনিক ষড়যন্ত্র ছিল। 

    আরও পড়ুন: সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগে বাধ্য কেরলের মন্ত্রী

    ঘটনার পর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ১২০বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (অস্ত্র রাখার অপরাধ), ৩০২ (হত্যা) -সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। 

    শুনানির সময় থেকেই অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএম মামলাটিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং আইনকে ভুল পথে চালনা করছে। অভিযুক্তদের যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন সেই আইনজীবী। 

     

  • National Emblem :  সারনাথের স্তম্ভের সঙ্গে নয়া স্তম্ভের মিল ৯৯ শতাংশ! পার্থক্য সামান্য, দাবি নির্মাণশিল্পীদের

    National Emblem : সারনাথের স্তম্ভের সঙ্গে নয়া স্তম্ভের মিল ৯৯ শতাংশ! পার্থক্য সামান্য, দাবি নির্মাণশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারনাথের স্তম্ভটির সঙ্গে নতুন অশোক স্তম্ভের ৯৯ শতাংশ মিল রয়েছে, দাবি নির্মাণশিল্পীদের। নয়া স্তম্ভ পুরনো স্তম্ভের থেকে আলাদা নয়, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন শিল্পী। সোমবার নতুন সংসদ ভবনের (Parliament Building) অশোকস্তম্ভের (Ashok Stambh) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অতিকায় ব্রোঞ্জ নির্মিত স্তম্ভের সিংহগুলিকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এ প্রসঙ্গে স্তম্ভের নির্মাণশিল্পীরা দাবি করলেন, মূল সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে স্তম্ভটির এত বড় আকারের কারণেই। এর বিশালাকৃতির জন্যই ছোট ছোট ডিটেইলস চোখে পড়ছে। আর তাই মনে হচ্ছে এটা সারনাথের স্তম্ভটির থেকে আলাদা। অনুপাত ও দৃষ্টিকোণের পার্থক্যের কারণে এমন বিভ্রম তৈরি হচ্ছে। তবে মূল অশোকস্তম্ভের আকারের সঙ্গে এর যে সামান্য তফাত রয়েছে তা মানছেন নির্মাণশিল্পীরা। যদিও সব মিলিয়ে মূলটির সঙ্গে এটির ৯৯ শতাংশই হুবহু মিলে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: “বাংলার সব বিধায়ক, সাংসদের ভোট আমি পাব”, আশাবাদী দ্রৌপদী মুর্মু

    বিরোধীদের দাবি, নতুন অশোক স্তম্ভের বর্তমান চেহারার সঙ্গে আগের চেহারার পার্থক্য ধরা পড়েছে। আর এটাকে জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে এই নয়া স্তম্ভের সঙ্গে যুক্ত নির্মাণশিল্পী জানিয়েছেন, “যে ছবিটি সামনে এসেছে সেটি আউট অফ জুম। আর তাই লোয়ার অ্যাঙ্গলে সিংহগুলির অভিব্যক্তির একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একজন শিল্পী হিসেবে বলতে পারি, এটা তৈরি করার আগে আমরা মিউজিয়ামে গিয়ে গবেষণা করেছি। আমরা কেবল মূলটির (সারনাথে অবস্থিত অশোক স্তম্ভ) আদলেই এটি তৈরি করেছি। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র আড়াই ফুটের। আর সেই জন্যই, এখন সব কিছুই অনেক বড় মনে হচ্ছে। এটা বুঝতে হবে। তাছাড়া সংসদের উপরে রাখা ৬.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের অশোকস্তম্ভটিকে লোকে দূর থেকে দেখবে। অন্তত ১০০ মিটারের দূরত্ব থেকে। তখন আর কোনও তফাত মনে হবে না। চোখের মাপে দেখলে আউটলাইনটা একেবারে একই লাগবে।”

    [tw]


    [/tw]

    বিরোধীদের অভিযোগ নতুন যে ব্রোঞ্জের মূর্তিটি তৈরি হয়েছে সেটি অনেক বেশি আগ্রাসী। যা সারনাথের অশোকস্তম্ভে নেই। সারনাথের অশোকস্তম্ভ অনেক বেশি সৌম্য দর্শণ ও শান্ত প্রকৃতির। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন,দুটি প্রতীকের মধ্যে কোনও কাঠামোগত পার্থক্য নেই। তিনি বলেছেন কেউ যদি  সারনাথের প্রতীকটি উঁচু থেকে দেখেন  তাহলে একই রকমভাবে সেটিও শান্ত বা রাগান্বিত দেখায়। দুটি প্রতীকের আকৃতিগত পার্থক্য ছাড়া আর কোনও পার্থক্য নেই। তিনি আরও বলেছেন যদি সারনাথের প্রতীকের মত একই উচ্চতার কোনও জাতীয় প্রতীক কোনও ভবনে বসানে হয় তাহলে তা দূর থেকে দেখা যাবে না। নতুন প্রতীকটি মাটি থেকে ৩৩ মিটার ওপরে রয়েছে। আর সারনাথের প্রতীকটি মাটির ওপরেই বসানো হয়েছিল। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য জানিয়েছেন, “অশোকের রাজধানী সারনাথের সিংহকেই গ্রহণ করা হয়েছে নয়া স্থাপত্যে। একটি টুডি ছবির সঙ্গে থ্রিডি স্থাপত্যের তুলনা করছেন বিরোধীরা। এই বিষয়টি বোধহয় ওঁদের মনে ছিল না।”

  • IAF chief: পৃথক এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বায়ুসেনা প্রধান

    IAF chief: পৃথক এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বায়ুসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশসীমায় সুরক্ষা দিতে এবংআক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ চালানোর ক্ষেত্রে পৃথক এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের (Air Defence  command) প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বায়ুসেনা প্রধান তথা এয়ার চিফ মার্শাল (The Indian Air Force chief) ভি আর চৌধুরী (VR Chaudhari)। তাঁর মতে, এয়ার ডিফেন্স এবং কাউন্টার-এয়ার অপারেশন উভয় আলাদা আলাদা ভাবে করা যায় না। তাই তাঁর প্রশ্ন, শুধুমাত্র পৃথক এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের প্রয়োজনীয়তা কী ?

    উল্লেখ্য, পৃথক এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের পরিকল্পনা প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াতের মস্তিষ্কপ্রসূত। প্রয়াত সিডিএস-এর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বায়ুসেনা প্রধান। দুবছর আগে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। তাঁর যুক্তি, এয়ার ডিফেন্স  অর্থাৎ, শত্রুরা আকাশপথে হামলা চালালে প্রতিহত করা, আর কাউন্টার এয়ার স্ট্রাইক – অফেন্স অর্থাৎ,  পাল্টা আকাশ পথে জবাব দেওয়া বা হামলা চালানো একই অঙ্গের দুটো দিক। পৃথক করে কোনও লাভ নেই।

    আরও পড়ুন: এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ

    দিল্লিতে এয়ার অ্যান্ড মিসাইল ডিফেন্স ইন্ডিয়া ২০২২ শীর্ষক একটি সেমিনারে এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, দেশ বিরোধী বিভিন্ন শক্তিগুলিকে আটকাতে এই স্বাধীন কমান্ডের খুব একটা প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “মহাকাশের নিরাপত্তার পাশাপাশি  প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি আক্রমণ প্রতিহত করার সময় একই আকাশসীমার মধ্যে সমস্ত উপাদানের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স ও অফেন্স — একে অপরের পরিপূরক। পৃথকভাবে ব্যবহৃত হলে কার্যকারিতা হারাবে।” 

    আরও পড়ুন: “কোনও বিয়ে নয়, কোনও আংটি নয়”, বিয়ে জল্পনায় নীরবতা ভাঙলেন সুস্মিতা

    ভারতীয় বায়ু সেনাকে কম দূরত্বের অপারেশনের জন্যও তৈরি থাকার কথা বলেন ভিআর চৌধুরী। লজিস্টিক সাপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,এই বিষয়টা প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং। ভারতের আত্মনির্ভরতা মিশনকে সফল করতে তিনি নির্দিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যানের উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেন। এদিকে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ভারত বার বার এই আত্মনির্ভরতার পক্ষে সওয়াল করেছে। এমনকী বিদেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম যতটা সম্ভব কম আমদানি করার জন্যও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমদানি কমিয়ে দেশের সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র থেকেই যাতে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করা যায় সেব্যাপারেও বলা হয়েছে।  বায়ু সেনা প্রধানও সেই মতকেই সমর্থন জানালেন।

  • new railway line: ১১৬ কিমি বিস্তৃত নয়া রেললাইন! যুক্ত করবে দুটি রাজ্য, তিনটি ধর্মীয় স্থানকে

    new railway line: ১১৬ কিমি বিস্তৃত নয়া রেললাইন! যুক্ত করবে দুটি রাজ্য, তিনটি ধর্মীয় স্থানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেরঙ্গা হিল-অম্বাজি-আবু রোড নতুন রেললাইন চালু করতে চলেছে কেন্দ্র।  ১১৬ কিমি বিস্তৃত এই রেললাইন তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় চার বছর। খরচ পড়বে আনুমানিক দুই হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। নতুন এই প্রকল্পের কথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    অনুরাগ জানান, নরেন্দ্র মোদি সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য এই নতুন রেললাইনের অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন,“এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ পড়বে ২৭৯৮.১৬ কোটি টাকা। ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই এই নয়া রেলপথের কাজ সম্পন্ন হবে। নতুন রেললাইন দুটি রাজ্য, তিনটি ধর্মীয় স্থানকে যুক্ত করবে। এই নয়া লাইনের ফলে মূল রেল লাইনে চাপ অনেকটা কমে যাবে।” 

    [tw]


    [/tw]

    গুজরাটের মেহসানা জেলায় অবস্থিত তেরঙ্গা একটি তিন-চূড়া পাহাড়। এটি বৌদ্ধ এবং জৈন দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই তাৎপর্যপূর্ণ। গুজরাট পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট অনুসারে, এখানে অবস্থিত প্রাচীনতম জৈন মন্দিরটি ১২ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এই পাহাড়ের নানা জায়গায় বৌদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভগুলি চতুর্থ শতাব্দীর।

    মন্দির শহর অম্বাজি গুজরাটের বানাসকান্থা জেলায় অবস্থিত। এটি দেবী আরাসুরি অম্বার প্রধান মন্দির। যা প্রাক-বৈদিক যুগ থেকে পূজিত হয়ে আসছে। আবু রোড হল রাজস্থানের সিরোহিত জেলার একটি শহর। দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু পর্যটন-প্রেমী মানুষ এখানে আসেন। 

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    বহুদিন ধরে রাজস্থান-গুজরাট দুই রাজ্যের মানুষ আমদাবাদ-আবু রোড বিকল্প এই রেললাইনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কেন্দ্রের অভিমত, এই নতুন প্রকল্প মানুষের মধ্যে সংযোগ বাড়াবে। কম সময়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করা যাবে। এই রেললাইনের মধ্য দিয়ে কৃষি ও স্থানীয় পণ্য দ্রুত আমদানি-রফতানি করা যাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হবে। প্রকল্পটি রূপায়নের সময় আনুমানিক ৪০ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন। 

     

  • Indian Army: দুই মহিলা পাকিস্তানি এজেন্টের ‘হানি-ট্র্য়াপে’ পড়ে ধৃত বাংলার এক জওয়ান

    Indian Army: দুই মহিলা পাকিস্তানি এজেন্টের ‘হানি-ট্র্য়াপে’ পড়ে ধৃত বাংলার এক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশের এক জওয়ান ‘হানি-ট্র্যাপে’ পরে ফাঁস করল সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য৷ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৪ বছর বয়সী জওয়ানের নাম শান্তিময় রানা (Shantimoy Rana), তিনি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে ও তাঁকে রাজস্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল। তাঁকে পাকিস্তানের দুই মহিলা ফাঁদে ফেলে তাঁর থেকে ভারতীয় সেনার বেশ কিছু তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। সেনার গোপন তথ্য ফাঁস করার পরেই রাজস্থান পুলিশের হাতে ধরাও পড়ল বাংলার জওয়ান৷ তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও ভারতের বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি এজেন্টরা। আবারও এমন ঘটনায় চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    আরও পড়ুন: অবিবাহিত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা! সমীক্ষায় উঠে এল নয়া তথ্য

    ডিজি উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলা এজেন্ট নিজেদের গুর্নুর কৌর (Gurnur Kaur) ওরফে অঙ্কিতা (Ankita) ও নিশা (Nisha) নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। তারা শান্তিময়কে বলেছিলেন যে অঙ্কিতা উত্তরপ্রদেশে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কাজ করেন ও নিশা মিলিটারি নার্সিং সার্ভিসের সঙ্গে জড়িত। এইভাবেই এই পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টদের ‘হানিট্র্যাপ’-এ ফেঁসে দেশের সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য, ভিডিও শত্রুদেশের এজেন্টদের হাতে তুলে দেয়।

    আরও জানা গিয়েছে, শান্তিময়ের সঙ্গে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় ও তাদের ইমপ্রেস করার জন্যেই এই ভিডিও, তথ্যগুলো পাঠায়। অথচ, ওই দুই মহিলাই পাকিস্তানি গুপ্তচর বাহিনী আইএসআই-এর এজেন্ট বলে দাবি করেছে রাজস্থান পুলিশ। ২৫ জুলাই প্রাথমিক তদন্তের পর মঙ্গলবার ২৬ জুলাই শান্তিময় রানাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সেনা, ডিআরডিও-র গোপন তথ্য হাতাতে ছড়ানো হচ্ছে ম্যালওয়ার! সতর্ক থাকার নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় বাহিনী থেকে আগেই সেনা জওয়ানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছে ভারতীয় সেনা। এর আগেও মে মাসে দিল্লি পুলিশ ভারতীয় বিমান সেনার এক জওয়ানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। সেনাদের একাধিকবার সতর্ক করার পরেও পাকিস্তানি এজেন্টদের ফাঁদ থেকে রেহাই পাওয়া যাাচ্ছে না।

     

     

  • RSS: উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস  

    RSS: উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুরা প্রতিবাদ করেছে শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পথে। মুসলিমদেরও উচিত ছিল সেই বিক্ষোভে সামিল হওয়া। জানাল আরএসএস। হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি রাজস্থানের উদয়পুরে খুন হতে হয়েছে এক হিন্দু দর্জিকে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন এমন মন্তব্য করে আরএসএস (RSS)। আরএসএসের মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar) বলেন, আমাদের সকলের একযোগে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারকদের তিন দিন ধরে চলা বৈঠক শেষ হয় শনিবার। আম্বেকর জানান, দেশে আরএসএসের শাখার সংখ্যা বর্তমানে ৫৬ হাজার ৮২৪ জন। ২০২৪ সালে এক লক্ষে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    ২০২৫ সালে সংঘের একশো বছর পূর্তি। সেই উৎসব কীভাবে উদযাপন করা হবে, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান আরএসএস মুখপাত্র। তিনি বলেন, চব্বিশে দেশজুড়ে সংঘের এক লক্ষ শাখা থাকবে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে আরএসএস। একটা সদর্থক পরিবেশ তৈরি হবে। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার থাকা উচিত প্রত্যেকের। তবে সেক্ষেত্রে জনসাধারণের আবেগের বিষয়টিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।  

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    উদয়পুরের ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে আম্বেকর বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে। সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকারও রয়েছে। যদি কারও কিছু পছন্দ না হয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক পথে প্রকাশ করা যায়। তিনি জানান, কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এর প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়েরও এগিয়ে আসা উচিত। প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করায় হিন্দু দর্জি কানহাইয়া লালকে দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করে মুসলিম সম্প্রদায়ের দুজন। গোটা ঘটনাটি মোবাইল বন্দি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরএসএসের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।  

     

LinkedIn
Share