Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bilawal Bhutto Zardari: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না, জার্মানিকে স্পষ্টবার্তা ভারতের

    Bilawal Bhutto Zardari: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না, জার্মানিকে স্পষ্টবার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল পাক সরকার। তাকে সমর্থন করে জার্মানিও (Germany)। যদিও সীমান্তপার সন্ত্রাস নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি দুই দেশই। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের অনধিকার চর্চা যে ভারত মেনে নেবে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    সম্প্রতি যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari) এবং জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা ব্যায়েরবক। এই সাংবাদিক বৈঠকটি হয়েছি বার্লিনে। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল পাক সরকার। তাকে সমর্থন করে জার্মানি। অ্যানালেনা এও বলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে জার্মানির ভূমিকা ও দায়িত্ব রয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুন : ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    ভারতের হয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, তামাম বিশ্বের যেসব দেশ সিরিয়াস ও বিবেক সম্পন্ন তাদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সোচ্চার হেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত সীমান্তপার সন্ত্রাস (Cross-border Terrorism ) নিয়ে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে এমন সন্ত্রাস। এখনও চলছে। সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন বহু বিদেশি নাগরিকও। কেবল জম্মু-কাশ্মীরেই নয়, দেশের অন্যত্রও হানা দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে যে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা তা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও এফএটিএফও। পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, যখন কোনও রাষ্ট্র নিজের স্বার্থ বা উদাসীনতার কারণে কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তখন তারা শান্তি নয়, তার বিরুদ্ধে কাজ করে। এভাবে তারা সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়া মানুষদের প্রতি অবিচার করে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জার্মানির বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে যে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির (Bilawal Bhutto Zardari)  মন্তব্যকে সমর্থন করেছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Solar Power Village: ভবিষ্যতে গুজরাটেই তৈরি হবে বিমান, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Solar Power Village: ভবিষ্যতে গুজরাটেই তৈরি হবে বিমান, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে গুজরাটেই বিমান উৎপাদন করা হবে। রবিবার মোধেরায় এমনই আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা জেলার (Mehsana District) মোধেরাকে দেশের প্রথম সৌরশক্তি চালিত গ্রাম (Solar Power Village) ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোধেরার সূর্য মন্দিরে একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনদিনের সফরে এই মুহূর্তে নিজের রাজ্য গুজরাটে রয়েছেন মোদি। সেখানেই মোদি বলেন, “ভবিষ্যতে গুজরাটই প্লেন উৎপাদন করবে। ভুলে গেলে চলবে না, আগে এই রাজ্যে সাইকেলও তৈরি হত না। সুজুকি কোম্পানি গুজরাটে গাড়ি তৈরি করছে। তারা যদি জাপানেও গাড়ি চায়, গুজরাট থেকে আমদানি করতে হয়। সাম্প্রতিক অতীতে দেশ গুজরাটকে এভাবেই এগোতে দেখেছে। লিথিয়াম ব্যাটারিও তৈরি হবে এই রাজ্যে।”  

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    প্রসঙ্গত, মোধেরা সূর্য মন্দির থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সুজনপুরায় একটি ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১,৩০০ সোলার সিস্টেম (Rooftop Solar Systems) গড়ে তোলা হয়েছে এই প্রকল্পে। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই গ্রামে দেশের অন্যতম বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প (Solar Power Project) গড়ে তোলা হয়েছে। সৌরশক্তির সাহায্যে গোটা গ্রামে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যু়ৎ পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে দুই ধাপে রাজ্য এবং কেন্দ্র পঞ্চাশ শতাংশ করে ৮০.৬৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।    

    এদিন মোদি বলেন, “সূর্য মন্দিরের জন্য পরিচিত মোধেরা এবার সৌরশক্তিতে অগ্রগতির জন্য পরিচিত হবে। মোধেরার জন্য ঐতিহাসিক দিন আজ। কারণ এই দিনে সৌরশক্তি ব্যবহারে বড় পদক্ষেপ করল মোধেরা।” তিনি আরও জানান, এবার থেকে মোধেরার বাসিন্দারা বিদ্যুতের জন্য আর পয়সা দেবে না, বরং বিদ্যুৎ বিক্রি করে তারা উপার্জন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগে পর্যন্ত সরকার নাগরিকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। এখন নাগরিকরা তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।”    

    এদিকে জানা গিয়েছে, তিন দিনের গুজরাট সফরে সোমবার ভারুচ, আহমেদাবাদ এবং জামনগর সফর করবেন মোদি। ভারুচে ৮,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন। পরদিন আহমেদাবাদের হাসপাতালে নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এইসঙ্গে গুজরাটের মোধেশ্বরী মাতা মন্দির এবং সূর্য মন্দির পরিদর্শন করবেন। প্রতিবেশী রাজ্য মধ্যপ্রদেশের শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরও দর্শন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিবি শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিরাট সাফল্য পায়। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করে। একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজ আটক করা হয়েছে. সেখান থেকেই ২০০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। সঞ্জয় কুমার সিং আরও জানান, ৬ ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেরোইন-সহ নৌকাটি মাত্তানচেরির ঘাটে আনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    তিনি আরও বলেন, এই চক্রকে গ্রেফতার করে তাদের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যোগ পাওয়া গিয়েছে। ড্রাগ কার্টেলের অনন্য চিহ্ন ও প্যাকিং বিশেষত্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে ওই ড্রাগ আফগানিস্তান থেকে আনা হয়েছিল। তা পরিবহন করা হয়েছিল পাকিস্তান গিয়ে। পাকিস্তান উপকূল থেকে শ্রীলঙ্কার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় আসার পর তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    এনসিবি জানাচ্ছে, ওই আফগান হেরোইনের (Afghan Heroin) বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। তাই দামও আকাশছোঁয়া। মাদকগুলি যাতে নষ্ট হয়ে না যায় সে জন্য ওয়াটারপ্রুফ মোড়কে খুব ভালভাবে প্যাকিং করা হয়েছিল। সাত মোড়কের প্য়াকেটে সেগুলিকে রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকটি প্যাকেটের উপর আলাদা চিহ্ন ছিল, যা মূলত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাদকচক্রেই ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি প্যাকেটের ওপর কাঁকড়া বিছের চিহ্ন আঁকা ছিল, কিছু প্যাকেটে আবার ছিল ড্রাগনের চিহ্ন।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেরোইন উৎপাদক দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৮০-৯০ শতাংশ এই দেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে এই মাদকের উৎপাদন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক 

    এদিকে এটিএসের অভিযানেও বড় সাফল্য এসেছে। আজ, শনিবার আবার গুজরাতের সমুদ্র উপকূল থেকে ৫০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে গুজরাত এটিএস ও উপকূল রক্ষা বাহিনী। যার বাজারমূল্য ৩৫০ কোটি টাকা। জাকুয়া বন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে ছয়জন ব্যক্তি নৌকা করে ভারতে এই বিপুল সংখ্যক হেরোইন নিয়ে প্রবেশ করছিল। তখনই উপকূল রক্ষা বাহিনীর হাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার হন ওই ছয় ব্যক্তি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে গুজরাত পুলিশ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Defence Production: ডেট লাইনের অনেক আগেই প্রস্তুত ৭২টি সামরিক সরঞ্জাম! মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য

    Defence Production: ডেট লাইনের অনেক আগেই প্রস্তুত ৭২টি সামরিক সরঞ্জাম! মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনায় আরও জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে সামনে রেখেই পিআইএল তালিকায় উল্লিখিত ২১৪টি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল ২০২৩ থেকে ২০২৪ -এর মধ্যে। এই সামরিক সরঞ্জামগুলি তৈরির জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংসকে (ডিপিএসইউস) বরাত দিয়েছিল। কিন্তু ডেট লাইনের অনেক আগেই ৭২টি সরঞ্জাম তৈরি হয়ে গেল। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১৪২টি সরঞ্জামও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আশাবাদী ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    দেশীয় কিছু প্রধান সাব-সিস্টেম/লাইন রিপ্লেসমেন্ট ইউনিট (LRUs) এর মধ্যে রয়েছে জাহাজের জন্য ম্যাগাজিন ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, স্টিয়ারিং গিয়ার সিস্টেম এবং ফ্রিগেটগুলির জন্য নিয়ন্ত্রণ সহ ফিন স্টেবিলাইজার।  আকাশ মিসাইলের জন্য চাপযুক্ত পাত্র, কনকুরস ক্ষেপণাস্ত্র এবং বৈদ্যুতিক মোটরের জন্য KOE চার্জ, ডিকনটামিনেশন সেট এবং ব্যাটল ট্যাঙ্কের জন্য প্রিজম অপটিক্যাল যন্ত্র। এই সরঞ্জামগুলির পাশাপাশি, হেলিকপ্টারের জন্য মধ্যবর্তী কাস্টিং, সাবমেরিনগুলির জন্য পলিক্রোপিন রাবার ব্যান্ড এবং যুদ্ধ জাহাজগুলির জন্য উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণকারী ভালভ। দেশীয় প্রযুক্ততে তৈরি যাবতীয় সামরিক সরঞ্জাম বিশদ বিবরণ সহকারে “শ্রীজন পোর্টালে (srijandefence.gov.in)” পাওয়া যাবে।  আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করতে কয়েক বছর আগেই সক্রিয় হয়েছিল মোদি সরকার। ‘অস্ত্র আমদানিকারক দেশ’ থেকে ভারতকে ‘অস্ত্র রফতানিকারক দেশ’-এ পরিণত করার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়। এই সাফল্য তারই ফল।

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    প্রতিরক্ষা উত্পাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর অধীনে ডিপিএসইউগুলির আমদানি কমানোর জন্য, প্রতিরক্ষা উত্পাদন বিভাগ (ডিডিপি), প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এলআরইউ/সাব-সিস্টেম/এর তিনটি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। প্রথম পিআইএল-এ ৩৫১টি সরঞ্জাম, দ্বিতীয় পিআইএল-এ ১০৭টি আইটেম এবং তৃতীয় পিআইএল-এ দেশীয়করণের জন্য ৭৮০টি আইটেম রয়েছে। পরবর্তীকালে, ডিডিপি ৭২টি দেশীয় আইটেমের সংশোধিত টাইমলাইন (পিআইএল-1:67 এবং পিআইএল-2:5) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এখন, এই আইটেমগুলি শুধুমাত্র ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হবে। যা একদিকে দেশের শিল্পকে অক্সিজেন জোগাবে, একাধারে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় করবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী সরবরাহের জন্য দেশীয় শিল্পের সক্ষমতার প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান আস্থাকেও শক্তিশালী করে। এই কর্মকাণ্ডকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে  ‘বড় পদক্ষেপ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকদের জ্বালানি সরবরাহ করার একটি নৈতিক দায় রয়েছে ভারত সরকারের। তাই সরকার যেখান থেকে পারে জ্বালানি কিনবে। শুক্রবার এ কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া (Russia) থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেনি কোনও দেশই।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে। এর পর গোটা বিশ্ব কার্যত ভাগ হয়ে যায় দু ভাগে। তামাম বিশ্বের একটি অংশ চলে যায় রাশিয়ার পক্ষে। অন্য অংশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করতে থাকে। ঘটনার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে বিভিন্ন দেশকে বারণ করে আমেরিকা ও পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। এহেন দ্বন্দ্বের মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে থাকে মোদির (PM Modi) ভারত।

    জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ৫০ গুণ। ভারত আমদানির পরিমাণ বাড়ালে কী হবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। এদিন হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, ভারত যে কোনও দেশ থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করবে। তিনি বলেন, আমাদের নীতি স্পষ্ট। জ্বালানির নিশ্চয়তা ও সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দিতে আমরা যেখানে থেকে কিনলে সুবিধা হবে, সেখান থেকেই কিনব। এই জাতীয় আলোচনা যেন সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত না করে। এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে ভারতকে কেউ নিষেধ করেনি।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, গত অর্থবর্ষে আমরা মাত্র ০.২ শতাংশ তেল আমদানি করেছি। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারির (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিন) পর রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। সম্প্রতি ওই দেশ থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জ্বালানি কিনেছি। আরও তেল কেনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নয় মাসে পাকিস্তানের জেলে থাকতে থাকতে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয় বন্দির। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মৎস্যজীবী। তাঁদেরকে অবৈধভাবে পক জেলে আটকে রাখা হয়েছিল, বলে দাবি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের (Pakistan) জেলগুলিতে বন্দি ভারতীয়দের (Indian Prisoners) মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘সম্প্রতি মৎস্যজীবীদের মৃত্যু বেড়েছে। পাক হেফাজতে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই মৎস্যজীবী। সাজা শেষ হওয়ার পরেও তাঁদের বেআইনি ভাবে আটক করে রেখেছিল পাকিস্তান।’’ তাঁর কথায়,‘‘এই ঘটনা উদ্বেগজনক। ইসলামাবাদে আমাদের হাইকমিশন এই বিষয়টি তুলেছে। ভারতীয় বন্দিদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাধ্য পাকিস্তান।’’

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, এর আগে সদ্য পাকিস্তান কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানোর কথা জানায়। তারা জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে জলপথে কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবী ডুবে যাচ্ছিলেন, তাঁদের রক্ষা করেন পাকিস্তানের সেনা জাওয়ানরা। এরপরই দিল্লি,পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের প্রসঙ্গে মুখ খোলে। কার্যত সেদেশে ভারতীয় বন্দিদের নিয়ে কী ঘটছে তা নিয়েই মুখ খুলেছে দিল্লি।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে প্রায়ই একে অপরের দিকে আঙুল তোলে প্রতিবেশী দুই দেশ। সীমান্ত পেরিয়ে আসার কারণেই আটক করা হয় মৎস্যজীবীদের, এমন যুক্তিও দেয় দুই পক্ষ।  গত জানুয়ারি মাসে গুজরাতের ৫০ বছরের এক মৎস্যজীবীর পাকিস্তানের জেলে মৃত্যু হয়। তাঁর নাম জয়ন্তী সোলাঙ্কি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। গত জুলাইয়ে গির সোমনাথ জেলার আর এক মৎস্যজীবী কালু সিয়ালের মৃত্যু হয় পাকিস্তানের জেলে। ২০১৮ সালের জুনে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের জন্য আটক করা হয়েছিল তাঁকে। সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও মুক্তি মেলেনি। এরকম আরও বহু নজির রয়েছে, বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।  উল্লেখ্য, গত ২০ জুন আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে (Indian Fishermen) মুক্ত করেছিল পাকিস্তান তা-ও অনেক চাপের পর। এবার নানান তথ্যপ্রমাণ দিয়ে  যে সকল বন্দিদের  সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ashok Gehlot: গেহলটের সঙ্গে আদানির ছবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দিয়ে খোঁচা বিজেপির

    Ashok Gehlot: গেহলটের সঙ্গে আদানির ছবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দিয়ে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বড় শিল্পপতিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে বরাবরই কংগ্রেসের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। বিশেষ করে দুই শিল্পপতির নাম উল্লেখ করে বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়েছে নাম নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছে এই প্রধান বিরোধী দল। কংগ্রেস বছরের পর বছর দাবি করে এসেছে, গরিবের চোখের জলের বিনিময়ে আদানি-আম্বানিকে ধনকুবের করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সেই দাবিকে উদ্ধৃত করেই কংগ্রেসকে (Ashok Gehlot) নিশানা করল বিজেপি। 

    রাজস্থান বিনিয়োগ সম্মেলনে রাজ্য সরকার আম্বানি এবং আদানিকে (Gautam Adani) বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উভয় উদ্যোক্তার কোম্পানিই মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করছে সেই রাজ্যে। শুক্রবার গৌতম আদানি এবং অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) বৈঠক নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সেই বৈঠকের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন অমিত মালব্য।

     

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডক্টর সতীশ পুনিয়া বলেন “গতকাল পর্যন্ত যে প্রতিপক্ষ ছিল, আজ সে বন্ধু, টাকার লোভে বদলে গেল আদর্শ।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়াও ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, রাহুল গান্ধী বলেছেন, “ভারতে যাই ঘটুক না কেন, আদানি জিকে সেখানে দেখা যায়।” জয়পুরে একটি  সমাবেশে রাহুল গান্ধীর দেওয়া বক্তৃতার একটি অংশও ভিডিওতে রয়েছে, সেখানে তিনি বলছেন, “যেখানেই দেখবেন, সেখানেই দুজন মানুষকে দেখতে পাবেন। আদানি জি  এবং আম্বানি জি।” সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দেওয়া উত্তরটিও ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এতে তিনি বলেছেন যে “অশোক গেহলট (Ashok Gehlot), যিনি জনসভায় আম্বানি-আদানির বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন, পরের দিনই তাঁদের সঙ্গে মৌ  স্বাক্ষর করলেন।”    

     



     
    রাজস্থানে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২২-এর প্রথম দিনে আদানি গ্রুপ ৬০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের জন্য একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এই ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot) গৌতম আদানির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনে বিনিয়োগকারী শিল্পপতিদের থাকার জন্য রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ তারা হোটেলও বুক করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা     
     
    বিরোধী দলের নেতা রাজেন্দ্র রাঠোড় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের দাবি করছেন কিন্তু ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ আসবে না। সরকার নিজেই অনিশ্চয়তায় রয়েছে। রাজস্থানে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই।” রাঠোড় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিনিয়োগ সামিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করার অভিযোগও করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • Mukesh Ambani Office: সিঙ্গাপুরে ‘ফ্যামিলি অফিস’ খুলছেন মুকেশ আম্বানি! নিযুক্ত করা হয়েছে ম্যানেজারও!

    Mukesh Ambani Office: সিঙ্গাপুরে ‘ফ্যামিলি অফিস’ খুলছেন মুকেশ আম্বানি! নিযুক্ত করা হয়েছে ম্যানেজারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে দেশের বাইরেও পারিবারিক অফিস খুলতে (Mukesh Ambani Office) চলেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি সিঙ্গাপুরে তাঁর অফিস স্থাপন করতে চলেছেন। তবে এর পিছনে আসল কী কারণ রয়েছে, তা সংস্থা থেকে এখনও কিছু স্পষ্ট জানানো হয়নি। এও জানা গিয়েছে, এই নতুন অফিসের জন্য কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এমনকি অফিস চালানোর জন্য  ইতিমধ্যেই ম্যানেজার খুঁজে ফেলেছেন তিনি।

    এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির বিদেশে অফিস খোলা (Mukesh Ambani Office) নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে জোড় জল্পনা শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুরের এই নতুন অফিসের কথা শুনে অনেকেই মনে করছেন যে   আম্বানিরা নতুন করে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় নামছেন। যদিও রিলায়েন্সের মুখপাত্রের তরফ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। এবং রিলায়েন্সের একজন মুখপাত্রের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

    আরও পড়ুন: দেশে ৫ জির সূচনা, ভারতে বসে ইউরোপে গাড়ি চালালেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে ‘ফ্যামিলি অফিস’-এর জন্য অনেক ধনী ব্যক্তিই এখন উদ্যোগ নিচ্ছেন। পৃথিবীর যত সব ধনী ব্যক্তিরা রয়েছেন তাঁধের মধ্যে অনেকেই এই সিঙ্গাপুরকেই পারিবারিক অফিসের জন্য বেছে নেন। এবার বিশ্বের সমস্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে এই দৌড়ে সামিল হয়েছেন মুকেশ আম্বানিও (Mukesh Ambani Office)। পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। যার নাম হেজ ফান্ড। বিলিয়নিয়ার রে ডালি ও গুগল এর সহ প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনও ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক ধনী, এই সংস্থার সদস্য হিসাবে যোগদান করেছেন। আর ফলে এতে যোগদান করেছেন মুকেশ আম্বানিও।

    এছাড়াও সিঙ্গাপুরে ফ্যামিলি অফিস খোলার (Mukesh Ambani Office) পেছেনেও অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে দুটি কারণ হল নিরাপত্তা ও ট্যাক্স। এছাড়াও সিঙ্গাপুর মনিটারি অথরিটির তরফে অনুমান করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সেখানে বৈদেশিক সংস্থার অফিস নির্মাণের জন্য জায়গা ছিল ৭০০ টি যা ২০২০র তুলনায় ৪০০ টি বেশি। ফলে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা সিঙ্গাপুরকেই ফ্যামিলি অফিস খোলার জন্য যোগ্য স্থান হিসেবে মনে করেছেন। তবে যে হারে ধনকুবেরদের আধিক্য বাড়ছে সিঙ্গাপুরে, যার ফলে এই দেশের গাড়ি, আবাসন এবং অন্যান্য জিনিসের দামও বাড়ছে। উপপ্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং অগাস্ট মাসে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ধনীদের জন্য কর বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার।

    আম্বানিরা তাঁদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতেই এমন পদক্ষেপ (Mukesh Ambani Office) নিয়েছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ভারতের বাইরেও সম্পদ অর্জনের জন্য এটি তার একটি পরিকল্পনা বলে মনে করছেন অনেকেই। অনেকেই এর নামকরণ করছেন রিলায়েন্সের আন্তর্জাতিকরণের সূচনা। আরও জানা গিয়েছে, ব্লুমবার্গ ওয়েলথ ইনডেক্স অনুসারে আম্বানির সম্পত্তির মূল্য বর্তমানে আনুমানিক ৮৩.৭ বিলিয়ন, তিনি চান সিঙ্গাপুরের এই পারিবারিক অফিসটিকে  এক বছরের মধ্যে চালু করতে, যার জন্য স্ত্রী নীতা আম্বানিও এটি স্থাপনে সহায়তা করছেন তাঁকে।

  • Direct Tax Collection: লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীলাভ! প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ল ২৪ শতাংশ

    Direct Tax Collection: লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীলাভ! প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ল ২৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনেই মিলল সুখবর! চলতি অর্থবর্ষের (Fiscal Year) প্রথমার্ধে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) পরিমাণ বাড়ল ২৪ শতাংশ। কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত আয়ের ওপর ওই কর সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ছ মাসে এই সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশ। রবিবার ট্যাক্স দফতরের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।

    প্রত্যক্ষ কর হল দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের ওপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। এর উল্টো দিকে রয়েছে পরোক্ষ কর বা মূল্য সংযোজন কর যা পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানি ও রফতানি এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়। প্রত্যক্ষ কর সাধারণত দু প্রকার-আয়কর ও সম্পদ কর।

    ট্যাক্স দফতরের জারি করা বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত কর্পোরেট আয় বেড়ে হয়েছে ১৬.৭৪ শতাংশ। আর পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স বেড়ে হয়েছে ৩২.৩০ শতাংশ। ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) পরিমাণ ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর এই সময়ের চেয়ে এই বৃদ্ধির হার ২৩.৮ শতাংশ বেশি। এই কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত আয় দিয়েই হয় প্রত্যক্ষ করের পরিমাপ। জানা গিয়েছে, রিফান্ড অ্যাডজাস্ট করার পর প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৬.৩ শতাংশ বেশি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বাজেট এস্টিমেটে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৫২.৪৬ শতাংশ। অর্থবর্ষের প্রথম ছ মাসেই সংগ্রহ হয়েছে যার প্রায় অর্ধেক।

    আরও পড়ুন : চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে বিপুল বৃদ্ধি, কত জানলে চোখ কপালে উঠবে!

    কর সংগ্রহের সূচক দেখেই কোনও একটি দেশের অর্থনীতির হালহকিকত সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ হয়। ভারতে  কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়লেও, কমেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন এবং রফতানির পরিমাণ। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শেষ হওয়া আর্থিক বর্ষে দেশে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) মাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছিল। কর আদায় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪.১০ লক্ষ কোটি টাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Shiv Sena: শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না ঠাকরে-শিন্ডে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Shiv Sena: শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না ঠাকরে-শিন্ডে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) বিতর্কে আপাতত ইতি টানল নির্বাচন কমিশন (EC)। সাফ জানাল, আসন্ন আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শিবসেনার প্রতীক তির ও ধনুক ব্যবহার করতে পারবে না শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর কোনওটিই। মাস দুয়েক আগে শিবসেনা (Shiv Sena) ভেঙে দু টুকরো হয়ে যায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন শিবসেনারই একনাথ শিন্ডে। তার পরেই দু পক্ষ নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে থাকে। বিবাদ গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। সেই বিবাদেই আপাতত জল ঢালল কমিশন। সাফ জানাল, আন্ধেরি পূ্র্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দু পক্ষকেই লড়তে হবে তির-ধনুক বাদে অন্য কোনও প্রতীকে।

    জারি করা নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বলেছে, দুই গোষ্ঠীই একই দলের (শিবসেনার) প্রতিনিধিত্ব দাবি করছে। তাই তারা একটি প্রতীকের দাবি করছে। তা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দুই গোষ্ঠীই শিবসেনার (Shiv Sena) প্রতীক ছাড়া অন্য কোনও প্রতীক নিতে পারে। দুই গোষ্ঠীকেই নয়া নাম এবং প্রতীক জমা দিতেও বলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বাকরুদ্ধ শিবসেনা (Shiv Sena)  নেতা অনিল দেশাই। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র নরেশ মাসকে বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। আমরা প্রতীক হিসেবে তির-ধনুকই চাই। সেজন্য আমরা আইনি পরামর্শও করছি।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (Shiv Sena) গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তাদের প্রতি অবিচার বলে আখ্যা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আম্বাদাস দাঁভে বলেন, এটি আমাদের প্রতি অবিচার। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি না করে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশের পর ট্যুইট করেছেন আদিত্য ঠাকরে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, বাক্সবন্দি বিশ্বাসঘাতকের দল শিবসেনার (Shiv Sena)  নাম ও প্রতীক লোপ করতে লজ্জাজনক কাজ করছে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা এটা সহ্য করবেন না। আমরা লড়াই করব এবং জয়ী হব। আমরা সত্যের পক্ষে। সত্যমেব জয়তে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share