Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ayodhya Deepotsav 2022: ১২ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের ইতিহাস সৃষ্টির পথে অযোধ্যা, দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Ayodhya Deepotsav 2022: ১২ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের ইতিহাস সৃষ্টির পথে অযোধ্যা, দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছরের মত এবারও দীপাবলিতে প্রদীপের নানা সাজে সেজে উঠবে রাম নগরী অযোধ্যা (Ayodhya)। আর তারই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। আর হাতে মাত্র গোনা কয়েকদিন। তারপরেই দীপাবলি। এবছর দীপাবলি ২৩ অক্টোবর, তাই অযোধ্যার ‘রাম কি পৌড়ি ঘাটে’ ষষ্ঠবারের জন্য দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav 2022) উদযাপনের জন্য যোগী সরকারের তরফে বিশেষ প্রস্তুতি জোরদার ভাবে নেওয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর অনযায়ী, এবছর সরযূ নদীর তীরে আগের বারের থেকেও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের রেকর্ড গড়ে তোলা হবে।

    গত বারের মতো এবারও অযোধ্যায় রাজকীয় দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav 2022) আয়োজন করবে যোগী সরকার। জ্বালানো হবে ১২ লক্ষেরও বেশি মাটির প্রদীপ। আগেরবার সর্বাধিক প্রদীপ প্রায় ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guinness World Record) নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার তাই ১২ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনার রেশ কিছুটা কমায় এবছর আগের থেকে বেশি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে দীপোৎসব ও অতুলনীয় দীপসজ্জায় সেজে উঠবে সরযূ-তীরের নগরী অযোধ্যা।

    আরও পড়ুন: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট জানা যায়নি যে, মোট কত প্রদীপ এবছর জ্বালানো হবে, তবে তার পরিমাণ যে গত বছরের তুলনায় বেশিই হবে, সেটা নিশ্চিত। দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav 2022) প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই অযোধ্যা, লখনউ, গোন্ডা এবং অন্যান্য জেলা থেকে মাটির হাঁড়ি আনা হচ্ছে। ঘাটে প্রদীপ জড়ো করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ বছরের মত এবারও ৩০ মিনিটের বেশি প্রদীপ জ্বলবে। ফলে মানুষ দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রদীপ জ্বলতে দেখতে পাবে ও এই আলোকসজ্জার প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারবে। তাই এবার ৩০ মিলিলিটারের পরিবর্তে, ৪০ মিলি তেল প্রদীপে ঢেলে দেওয়া হবে যাতে সেগুলি দীর্ঘ সময় জ্বলতে পারে।

    প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠনের পর থেকে অযোধ্যায় দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav 2022) শুরু হয়েছিল। যোগী রাজত্বে প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে জ্বালানো হয়েছিল ১৮০০০০ টি প্রদীপ। এরপর ২০১৮ সালে ৩০১১৫২ টি, ২০১৯ সালে ৫৫০০০০ টি, ২০২০ সালে ৬ লক্ষ ৬ হাজার প্রদীপ এবং ২০২১ সালে ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পাশাপাশি এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল যোগী রাজ্য। এবারও আরও এক ইতিহাস সৃষ্টির পথে রাম-রাজ্য অযোধ্যা।

    পৌরাণিকভাবে কথিত আছে, ১৪ বছর বনবাসের শেষে রাবণ বধ করে কার্তিক মাসের অমাবস্যার দিনেই অযোধ্যায় স্ত্রী সীতাকে নিয়ে ফিরেছিলেন দশরথ নন্দন রামচন্দ্র। কথিত আছে, রাম-লক্ষ্মণ-সীতা ফেরার আনন্দে প্রদীপের মালায় সেজে ওঠে সরয়ূর তীর। তাঁদের স্বাগত জানাতে ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বালিয়েছিলেন অযোধ্যাবাসী। আর সেই থেকেই দীপাবলির (Deewali) সূচনা।

  • Nashik Maharashtra: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮

    Nashik Maharashtra: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন। প্রাণ গেল ১২ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ । মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাসিকে। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আহতদের চিকিত্‍সার দায়িত্ব নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। 

    মহারাষ্ট্রের ইয়াবতমাল (Yavatmal) থেকে মুম্বই (Mumbai) যাচ্ছিল স্লিপার বাসটি। নাসিকের ঔরঙ্গাবাদ রোডে (Aurangabad Road) দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ধুলে থেকে আসা মুম্বইগামী ট্রেলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। যাত্রীদের অনেকেই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত বাসে পুড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১২ জনের। নাসিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমল তোম্বে জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” ঠিক কী কারণে বাসে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। পরে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।          
     
    নাসিকের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি।  

     


    আরও পড়ুন: এদিন বায়ুসেনার নয়া যুদ্ধকালীন পোশাকও প্রকাশ করা হয়।

    এক আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাসটি মুহূর্তে জ্বলে ওঠে। মানুষকে বেরনোর সময়ও দেয়নি। জানলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। এভাবে বহু যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহত যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। নাসিক পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৫.১৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দাঁত, নখ বের করতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইসলামিক এই সংগঠনকে। তার পরেই মহারাষ্ট্রের বিজেপির (BJP) এক বিধায়ককে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে পিএফআইয়ের (PFI) এক সদস্য। ইসলামিক এই সংগঠনের সঙ্গে আইসিস এবং বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংগঠন ভারত বিরোধী কাজেও লিপ্ত। এই জোড়া অভিযোগের জেরে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে। হুমকি চিঠি পেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।

    দায়ের করা এফআইআরে বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার দেশমুখ অভিযুক্ত করেছেন পিএফআই (PFI) নেতা মহম্মদ সফি বিরাজদারকে। তাঁর দাবি, সফি তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তাঁকে এই সাজা দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, আত্মঘাতী বম্বারদের দিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির এবং কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পিএফআইয়ের (PFI) ওই নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরও কয়েকজন দক্ষ রাজনীতিবিদও তাঁদের র‌্যাডারে রয়েছেন। পিএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠির সত্যতা যাচাই করছে সোলাপুর পুলিশ।

    পুজোর আগে আগেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলামিক ওই সংগঠনকে। কেবল পিএফআই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই বেআইনি নানা কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। বেআইনি কার্যকলাপের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে।

    প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডেরায় হানা দিয়ে দেশের ১০টি রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একশোরও বেশি পিএফআই সদস্যকে। তার পরেই জানা গিয়েছিল, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর ও বিজেপির শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতাও ছিলেন পিএফআইয়ের র‌্যাডারে। পিএফআইয়ের টার্গেট যে বিজেপিই, এদিন ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সেটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ণ (Varna) এবং জাতিভেদ প্রথা (Caste System) তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শুক্রবার নাগপুরে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সরসংঘ চালক ভাগবত। সেখানেই তিনি বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা বাতিলের পক্ষে সরব হলেন। তিনি এও বলেন, বর্তমান সমাজে এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।

    বজ্রসূচি তুঁক বইটি লিখেছেন ডঃ মদন কুলকার্নি ও ডঃ রেণুকা বোকারে। এই বইটিরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, ভারতে এক সময় সামাজিক সাম্য ছিল। এটা ভারতীয় ঐতিহ্যেরই অঙ্গ ছিল। পরবর্তীকালে সমাজ সেটা ভুলে যায়। এর ফল হয়েছে মারাত্মক।

    আরএসএস প্রধান বলেন, বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথার মধ্যে প্রকৃত পক্ষে কোনও বৈষম্য ছিল না। এর প্রয়োজনও ছিল। তবে এখন আর এর কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন সরসংঘ চালক। তিনি বলেন, এই দুই প্রথা সম্পর্কে আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে, আমি অবশ্যই বলব, এসব এখন অতীত। তাই ভুলে যাওয়া যাক। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, যা কিছু সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি করে, সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত বলেন, আমাদের আগের প্রজন্ম সর্বত্র ভুল করেছে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। আরএসএস প্রধান এও বলেন, ওই ভুলগুলি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন আমাদের পূ্র্ব পুরষের ভুলগুলি স্বীকার করলে তাঁরা হীন হয়ে যাবেন, তা কখনওই হতে পারে না। কারণ এ ভুল করেছেন আমাদের প্রত্যেকের পূর্ব পুরুষ।

    দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) চেষ্টার কোনও খামতি নেই। দুর্গাপুজোর আগেই তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। তাঁরা তাঁকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ অভিধায় ভূষিত করেছিলেন। সেটা যে নিছক সম্মাননাই নয়, এদিন ভাগবতের এই সমাজ সংস্কারমূলক মন্তব্যই তার প্রমাণ।

     

     

  • Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা (Cheetah) হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন  সেনা এভিয়েশন কোরের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (Lieutenant Colonel) পদমর্যাদার অফিসারের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সহকারী পাইলট। তেজপুরের সেনা মুখপাত্র কর্নেল এএস ওয়ালিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিনা (China) সীমান্তের কাছে রুটিন টহলদারির সময় আচমকা ওই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। সকাল ১০ টা নাগাদ ভেঙে পড়ে চিতা হেলিকপ্টারটি। দ্রুত দুই পাইলটকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময়ই একজনের মৃত্যু ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও সেনাবাহিনীর (army) তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বিস্তারিত জানানো হবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম সৌরভ যাদব (Lt. Col Saurabh Yadav)। আরেক জখম পাইলটের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

    এই ঘটনার জেরে ফের একবার সেনাবাহিনীর চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের গ্রহনযোগ্যতার উপর প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৬০-৭০ সাল থেকে ব্যবহৃত এই হেলিকপ্টারগুলি বর্তমানে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়েছে। এমত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টারের সামনে ভারতীয় সেনা কিভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন যে, গত পাঁচ বছরে বায়ুসেনা বা তার সঙ্গে জড়িত এমন ৪২ জন যুদ্ধবিমান বা সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সাল থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৬টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অরুনাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh)  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খাণ্ডুও (Dorjee Khandu)।

    এর আগে গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনাবাহিনীর আরও একটি চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। সহকারি পাইলট গুরুতর আহত হয়েছিলেন। প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুও হয়েছিল এই কপ্টার দুর্ঘটনার জেরেই। ২০২১-এর ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১২ সেনা শীর্ষকর্তার মৃত্যু হয়।

    হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। যিনি নিজেও অরুণাচল প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলা থেকে মর্মান্তিক খবর আসছে। ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইলটদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি নির্ধারণের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান জানালেন, যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়।

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এটা সত্য যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিশাল। জনসংখ্যার বিচার আজকাল দুটি উপায়ে হচ্ছে। এই জনসংখ্যার জন্য উপযুক্ত পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন হবে। যদি এই সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে তবে বোঝাও বাড়তে বাড়তে অসহ্য হয়ে উঠবে। সেজন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকটি বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হয়। জনসংখ্যা বিচারের দ্বিতীয় প্রকারটি হল জনসংখ্যাকে একটি সম্পদ – asset– রূপে বিবেচনা করা।’’

     

    সরসংঘচালকের মতে, সেই সম্পদকে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং তার সর্বাধিক ব্যবহারের কথা ভাবতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘সারা বিশ্বের জনসংখ্যার দিকে তাকালে একটা বিষয় মাথায় আসে। কেবল আমাদের দেশের দিকে তাকালে চিন্তাভাবনা হয়ত বদলে যেতে পারে। চিন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নীতি পরিবর্তন করে তার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে শুরু করেছে। দেশের স্বার্থ জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিচারধারাকে প্রভাবিত করে। আজ আমরা সবথেকে তরুণ দেশ বলে পরিগণিত হই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, ‘‘আগামী ৫০ বছর পরে, আজকের যুবকরা প্রৌঢ়ে পরিণত হবে, তখন তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কত যুবক লাগবে সেই হিসাবও আমাদের করতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রচেষ্টায় দেশকে যেমন সমৃদ্ধ করে, তেমনই তাদের নিজেদের ও সমাজের জীবিকা নিরাপদ করে। জনতার যোগক্ষেম এবং জাতীয় পরিচিতি ও নিরাপত্তা ছাড়াও এই কয়েকটি বিষয় স্পর্শ করে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘সন্তানের সংখ্যার বিষয়টি মায়েদের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, শিক্ষা, ইচ্ছার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিটি পরিবারের চাহিদার সঙ্গেও সম্পর্কিত। জনসংখ্যা পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। মোটকথা, জনসংখ্যা নীতি অনেক কিছুকে সামগ্রিক ও সমন্বিতভাবে বিবেচনা করে প্রণয়ন করতে হবে, সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে, জনসচেতনতার মাধ্যমের সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন ফলদায়ী হবে।’’

    তাঁর মতে, ‘‘২০০০ সালে, ভারত সরকার সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে জনসংখ্যা নীতি নির্ধারণ করেছিল। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ২.১ এর প্রজননের হার (TFR) লাভ করা। এখন ২০২২ সালে, প্রতি পাঁচ বছরে প্রকাশিত NFHS রিপোর্ট এসেছে। যেখানে সমাজের সচেতনতা ও ইতিবাচক অংশগ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ক্রমাগত সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ২.১ -এর কম উর্বরতার হার প্রায় ২.০-এ নেমে এসেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতা এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রগতির সময়, আরও বিবেচনার জন্য দুটি প্রশ্ন উঠছে।’’

    সংঘ প্রধানের জানান, সমাজ বিজ্ঞানী ও মনোবৈজ্ঞানিকদের অভিমত অনুযায়ী, অতি ক্ষুদ্র পরিবার, ছেলে-মেয়েদের সুস্থ সার্বিক বিকাশ, পরিবারে নিরাপত্তাহীনতা বোধ, সামাজিক চাপ, একাকী জীবন ইত্যাদির কারণে ‘পরিবার ব্যবস্থা’ নিয়েও প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা দিয়েছে। একই সময়ে, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    তিনি বলেন, ‘‘৭৫ বছর আগে আমরা আমাদের দেশে এটি অনুভব করেছি। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের তিনটি সদ্য স্বাধীন দেশ– পূর্ব তিমোর, দক্ষিণ সুদান এবং কসোভা– ইন্দোনেশিয়া, সুদান এবং সার্বিয়ার একই ভূভাগে জনবিন্যাসের অসন্তুলনের ফল এটা। যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়। জন্মহারে বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে লোভ-লালসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও অনুপ্রবেশও বড় কারণ। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা উপেক্ষা করা যায় না।’’

    ভাগবত যোগ করেন, ‘‘গণতন্ত্রে জনমানসের সঙ্গে সহযোগিতার গুরুত্ব সর্বজনবিদিত। নিয়ম তৈরি করা হয়, সেটি গৃহীত হয় এবং সেই থেকে প্রত্যাশিত ফলাফল তার থেকেই পাওয়া যায়। যে নিয়মগুলি লাভ দ্রুত চোখে পড়ে, অথবা যে নিয়মগুলির উপকার সময়ের সঙ্গে চোখে পড়ে সেগুলি ব্যাখ্যা করতে হয় না। কিন্তু যখন দেশের স্বার্থে বা দুর্বলদের স্বার্থে মানুষকে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়, সেখানে এই আত্মত্যাগের জন্য জনগণকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে, তাই সমাজে স্ব-এর বোধ ও গৌরব জাগিয়ে রাখা দরকার।’’

  • Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আটকে রয়েছেন তিন বাঙালি পর্বতারোহী। উত্তরাখণ্ডের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিংয়ের (NIM ) তরফে জানানো হয়েছে,মঙ্গলবার নবমীর সকালে উত্তরকাশীতে দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ পর্বত শৃঙ্গে তুষারধসে আটকে পড়েছিল ৪১ সদস্যের একটি পর্বতারোহী দল। এদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।  বাকিরা আটকে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। ৩ বাঙালি পর্বতারোহীর নাম হল সৌরভ বিশ্বাস,অমিত কুমার সাউ এবং সন্দীপ সরকার।

    এনআইএম-এর অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত বিষ্ট বলেন,  তুষারধসের খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নামে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। ১০টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে ৪ টি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে উত্তরাখণ্ডের তুষার ধস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায় তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই আইটিবিপি জওয়ানরা রয়েছেন। রাতে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও তল্লাশি চালাচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে উদ্ধারকাজের খোঁজ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পুস্কর সিং ধামিকে ফোন করে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনাকে উদ্ধার কাজে লাগানো হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার চিতা হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বায়ুসেনার কপ্টারে করে আহতদের উদ্ধার করে দেরাদুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহাদশমী (MahaDashami)। মায়ের বিদায়বেলা। এই দিনটি উত্তর ভারতে দশেরা (Dussehra) নামে পরিচিত। আর তাই দশেরার প্রাক্কালেই ভারতের জনসাধারণকে দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর বার্তায় তিনি বলেন, “বিজয়াদশমীর শুভ তিথি উপলক্ষ্যে আমি সকল দেশবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।”

    এদিন অধর্মের প্রতীক রাবণকে বধ করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন রাম। আবার এই তিথিতেই অশুভ শক্তিরূপী মহিষাসুরের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করে শুভ শক্তিকে জাগ্রত করেন দেবী দুর্গা। এ কারণে দশমী তিথিটি বিজয়া দশমী নামেও পরিচিত। ফলে আজ দ্রৌপদী মুর্মুর বার্তাতেও মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের কথা উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    তিনি তাঁর বার্তায় বলেন, মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের, অনৈতিকতার ওপর নৈতিকতার জয়ের প্রতীক হিসেবে সারা ভারতে বিজয়াদশমী পালিত হয়। উত্তর ভারতে এটি ‘দশেরা’ হিসাবে পালিত হয় এবং রাবণের উপর ভগবান রামের বিজয় ‘রাবণ দহন’-এর মাধ্যমে দেখানো হয়। শ্রী রামজির আদর্শ, আচার-আচরণ এবং গুণের বার্তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। পূর্ব ভারতে, এই দিনে ‘দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন’ অনুষ্ঠান উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। এইভাবে এই উৎসব ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

    তিনি আরও বলেন, “আমি কামনা করি এই উৎসব আমাদেরকে নৈতিকতা, সত্য ও কল্যাণের শাশ্বত জীবন মূল্যবোধকে ধারণ করতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত করুক।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। জম্মু-কাশ্মীর সফরে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজৌরির সভায় তিনি বলেন, “বিচারপতি শর্মা কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ মেনে ওই জন-জাতিগুলিকে দ্রুতই সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এই সফরের নানা কর্মসূচীর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সকালে প্রথম কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    রাজৌরির সভায়  জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। “সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বাতিল না করলে উপত্যকার জনজাতিদের কি আদৌ সংরক্ষণের আওতায় আনা যেত?” রাজৌরির সভায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে কবে থেকে এই সংরক্ষণ দেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ওই সময় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বিলোপ করা হয়। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। মঙ্গলবারের রাজৌরির সভায় বারবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত। তিনি বলেন, “যাঁরা বলতেন ৩৭০ ধারা তুলে দিলে কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বইবে, তাঁরাই এখন মোদি-মোদি চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। সংবিধানের এই ধারা সরিয়ে দেওয়ার ফলে সংখ্যালঘু, দলিত ও পার্বত্য এলাকার জনজাতি ভুক্ত মানুষরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • SBI: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    SBI: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের একাধিক ব্যাংকও নিজেদের ঋণদানের সুদের হার বাড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও (State Bank Of India) ঋণে সুদ বাড়িয়েছে। এছাড়া আরও অনেক ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক শুক্রবার রেপোরেটে ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।  

    আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?

    এসবিআই (SBI) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক্সটার্নাল বেঞ্চমার্ক ল্যান্ডিং রেট ইবিএলআর (EBLR) এবং রেপোরেট এর সঙ্গে সম্পর্কিত আরএলএলআর (RLLR) ৫০ বেসিস পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে। এই বৃদ্ধির পরে ইবিএলআর ৮.৫৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে এবং আরএলএলআর ৮.১৫ শতাংশতে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে নতুন রেট লাগু হয়েছে। 

    ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (BOI) আরবিএলআর বাড়িয়ে ৮.৭৫ শতাংশ করেছে। আইসিআইসিআই  ব্যাংকও (ICICI) নিজেদের ইবিএলএলআর বাড়িয়েছে। তা বাড়িয়ে ৯.৬০ শতাংশ করে দিয়েছে। ঋণে সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাসিক কিস্তির রেটও বাড়বে। যারা ইবিএলআর এবং আরএলএলআর এর উপর লোন নিয়েছিলেন তাদেরকে দিতে হবে এই বাড়তি টাকা। এইচডিএফসি (HDFC) হোম লোনের সুদের হারের ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন রেট ১ অক্টোবর থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হোম-লোনে ইএমআইও বাড়তে পারে। ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলে প্রায় ৩ হাজার টাকা বার্ষিক খরচ বাড়তে পারে।  
     
    মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক এ বছর মে মাস থেকে শুরু করে চারবার রেপোরেট বৃদ্ধি করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক শুক্রবার, চতুর্থবার রিপোর্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। আরবিআই এই বৃদ্ধির পরে রেপো রেট ৫.৯০ শতাংশতে পৌছে গিয়েছে। এই দরেই আরবিআই ব্যাংকগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share