Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rekha Gupta: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ

    Rekha Gupta: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta)। উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ বর্মা। বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপির বৈঠকে বেছে নেওয়া হয় রেখা এবং পারবেশকে (Delhi CM)। প্রায় ২৭ বছর পরে দিল্লির কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি। আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে পদ্ম শিবির। তার পরেই জল্পনা শুরু হয় দিল্লির কুর্সিতে কে বসবেন বিজেপির। এদিন বৈঠক শেষে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রেখার নাম।

    জয়ী পদ্ম পার্টি (Rekha Gupta)

    ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয় দিল্লি বিধানসভার। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে পদ্ম পার্টি। রাজ্যের শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। গোহারা হেরে গিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রামলীলা ময়দান সাজানোর কাজ (Rekha Gupta)। এখানেই দুপুর ১২টায় হবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান।

    শপথের প্রস্তুতি

    সরকারি এক আধিকারিক বলেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রামলীলা ময়দান। ২৫ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে।” তিনি বলেন, “২৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী ও ১৫ কোম্পানিরও বেশি আধা সামরিক বাহিনী কড়া প্রহরায় নিযুক্ত থাকবে। শুধু রামলীলা ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। তাদের সঙ্গে থাকবে আধা সামরিক বাহিনীও।” তিনি বলেন, “আমরা ২ হাজার ৫০০টিরও বেশি কৌশলী পয়েন্ট চিহ্নিত করেছি। সেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে।”

    বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, “অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। থাকবেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অটোরিক্সা চালক এবং শ্রমিকরাও। নাগরিক সমাজের (Delhi CM) কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও উপস্থিত থাকবেন এদিনের (Rekha Gupta) অনুষ্ঠানে।”

  • KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-নেপাল কূটনৈতিক বিবাদের সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছিল ওড়িশায় নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে। তবে তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভারত সরকার। এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ওড়িশা বিজেপি ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। নেপালি ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি। নেপাল দূতাবাসের ভারতীয় শাখা দুই কর্মকর্তাকে পাঠানোর আগে, এবিভিপি ও তাদের ওড়িশা শাখা তিনটি দিকনির্দেশনা দেয়: শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অবিলম্বে বিক্ষোভ শুরু করা। এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশনা ছিল স্পষ্ট  “ওডিশায় নেপালি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক জায়গায় থাকার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

    কী ঘটেছিল কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    গত রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি(KIIT) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেয়েদের হস্টেলের ঘর থেকে এক নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তিনি বি টেক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালি পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশ দেয়। ২০ বছর বয়সী নেপালি ছাত্রী প্রাকৃতী লামসালের আত্মহত্যা দুই দেশের সম্পর্কেও চিড় ধরাতে শুরু করে। যদিও ভারতে নেপালি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি।

    নেপালি পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা

    ভুবনেশ্বরে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালে ফিরে যাচ্ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি পড়ুয়ারা। আর নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পথে যাতে খাবার কিংবা অন্য কোনও অসুবিধায় তাঁদের না পড়তে হয়, সেজন্য এগিয়ে যায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। বিভিন্ন স্টেশনে খাবার, জল-সহ নানা সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান এবিভিপির সদস্যরা। নেপালি পড়ুয়াদের দিকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গোরখপুর, রাক্সৌল, মুজফ্ফরপুর, পটনা-সহ বিভিন্ন স্টেশনে পৌঁছে যান এবিভিপি সদস্যরা। এছাড়াও এই দুই রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যে একাধিক ট্রানজিট পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। নেপালি পড়ুয়াদের সুরক্ষা ও ভারতে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করার ছিল এবিভিপি-র কাজ।

    কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এড়ানোর চেষ্টা

    ভুবনেশ্বর কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-তে নেপালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। বিক্ষোভরত নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে ‘জাতিবিদ্বেষী’ এবং ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে, নেপালি পড়ুয়াদের এভাবে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে এবিভিপি। ওড়িশার এবিভিপি ইউনিট এক্স হ্যান্ডলে এই নির্দেশের নিন্দা করে। এদিকে, ক্যাম্পাসে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এমনকি, নেপালি পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিভিপি তিনটি মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে নেপালি শিক্ষার্থীরা তাদের সাহায্য নিতে পারেন।

    ওড়িশা বিজেপির প্রয়াস

    নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য, এবিভিপি বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ শুরু করে, কেআইআইটির ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভুবনেশ্বরে বাইক র‍্যালি আয়োজন করে। এবিভিপি নেতা, বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি, শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে, রাজ্য বিজেপি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে, বিধায়ক বাবু সিং, কেআইআইটি প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সমন্তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। ওডিশার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবানশী সুরাজও জানতে চান, “নেপালি শিক্ষার্থীদের কটক রেলওয়ে স্টেশনে কেন নামানো হয়েছিল? কেন কেআইআইটি কর্তৃপক্ষ সরকারকে এ বিষয়ে জানায়নি?”

  • PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। বিজেপির (BJP) দাবি, তাঁর মিস্টার ক্লিন ইমেজ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দক্ষতার জেরে আপ দুর্গে বিজেপির ধস নামানো হয়েছে অনায়াস। এ সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কল্যাণে। সেই কারণেই ফের প্রধানমন্ত্রীকেই নির্বাচনী প্রচারে চাইছেন চলতি বছর যে দুই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে, সেখানকার নেতা-কর্মীরা। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। এই দুই রাজ্যেই চলতি মাসেই দুটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর ভোট রয়েছে অসমে। সেখানেও একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাগলপুরে জনসভা (PM Modi)

    ২৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের পূর্বাঞ্চলের ভাগলপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই তাঁর অসম সফরেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে পদ্ম শিবির। বিহারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর অসমে ভোট হবে এক বছর পরে। সম্ভবত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম সফরে যাবেন। যেখানে তিনি উদ্বোধন করবেন নতুন পামবান সেতুর। এই সেতু রামেশ্বরম দ্বীপ শহরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে।

    ভিড় টানতে শুরু সলতে পাকানোর কাজ

    গত এক দশক ধরে অসমের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, নীতীশ মাঝেমধ্যেই শিবির বদলে বিপাকে ফেলে গেরুয়া শিবিরকে। তাই বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে সে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাগলপুরে নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অসমেও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সে রাজ্যে নির্বাচন হবে আগামী বছর, তবুও এখন থেকেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন অসমের বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনসভায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় টানতে জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন এই দুই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই।

    প্রধানমন্ত্রী ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তি প্রদান করবেন। তিনি এদিন কিছু কৃষককে সম্মানিতও করবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ভাগলপুরে একটি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেবেন অসমের উদ্দেশে। দুদিনের সফরে অসম যাবেন তিনি। সেখানে তিনি ‘অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০’ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন (BJP)। সারুসজাই স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণও দেবেন। এই অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে একটি বিশাল ঝুমুর নৃত্য পরিবেশিত হবে (PM Modi)।

  • Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি। শ্রী মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের (Golwalkar) জন্মদিন। যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কাছে ‘গুরুজি’ মানে শুধুই তিনি। তিনি ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের পর দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক। তাঁর ৩৩ বছরের কার্যকালে, বিশেষ করে স্বাধীনতার পরে সংঘকে বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিতে পরিণত করেছিলেন তিনিই। আজ তাঁর ১১৯তম জন্মদিন।

    “গুরুজি” (Golwalkar)

    ১৯০৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাগপুরের কাছে রামটেক নামে একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুরুজি। তিনি ছিলেন পরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে একমাত্র জীবিত সন্তান। তিনি বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মহান জাতীয়তাবাদী নেতা শ্রী মদন মোহন মালব্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি প্রাণীবিদ্যা পড়াতে শুরু করেন। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। স্নেহভরে তাঁকে “গুরুজি” নামে ডাকতে শুরু করেন তাঁরা। সেই থেকে তিনি গুরুজি নামেই পরিচিত।

    সংঘচালক

    ১৯৩২ সালে হেডগেওয়ার গুরুজিকে বিএইচইউয়ের সংঘচালক হিসেবে নিয়োগ করেন। ১৯৩৬ সালে গুরুজি আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে বাংলার সারগাছিতে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী অখণ্ডানন্দের সেবা করেন দুবছর ধরে। ১৯৪০ সালে হেডগেওয়ারের মৃত্যু হলে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে গুরুজি (RSS) সংঘের সরসংঘচালক (Golwalkar) পদ গ্রহণ করেন। গুরুজির ওপর ছিল গুরু দায়িত্ব। প্রথমত, তাঁকে আরএসএসকে একটি শক্তিশালী ক্যাডার-ভিত্তিক সংগঠনে পরিণত করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে নিজেকেও এমন একটি সংগঠন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করতে হয়েছে। অনেকেই তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন সদস্য ছিলেন। তবে গুরুজি তাঁর দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একজন দক্ষ নেতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন।

    জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা

    দেশ ভাগের সময় সমস্যা শুরু হয় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে। পাকিস্তান কাশ্মীরকে তাদের মুকুটের রত্ন হিসেবে দেখেছিল। কারণ আক্ষরিক অর্থেই কাশ্মীর “ভূস্বর্গ”। ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, “লৌহপুরুষ” সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ও তাঁর সচিব ভি.পি. মেননের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ৫০০-রও বেশি দেশীয় রাজ্যকে ভারতে একীভূত করা হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরের বিষয়টি নিজে সামলাতে চেয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে তিনি তা (Golwalkar) আরও জটিল করে তুলেছিলেন।

    হরি সিংকে রাজি করালেন গুরুজি

    দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার হিন্দু রাজা তিনি। মহম্মদ আলি জিন্না জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজাকে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শেখ আবদুল্লার চাপ। তিনি নেহরুর সমর্থন পাচ্ছিলেন। তখনই কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বিদ্রোহের প্রস্তুতির জন্য রাজ্যে ব্যাপকভাবে অস্ত্র পাচার করা হয়। লর্ড মাউন্টব্যাটেন স্বয়ং কাশ্মীরে গিয়ে হরি সিংকে পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সেই সময় কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী আরসি কাক হরি সিংকে স্বাধীন থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই সব কিছু মহারাজা হরি সিংকে বিভ্রান্ত করে তোলে। তিনি এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তাঁর সামনে তখন মাত্র তিনটি বিকল্প পথ খোলা ছিল। এক, হয় তাঁকে পাকিস্তানে যোগ দিতে হবে, দুই, নয় তাঁকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে এবং তিন, তা না হলে তাঁকে স্বাধীন থাকতে হবে। হরি সিং পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তিনি ভারতের সঙ্গেও যুক্ত হতে চাননি। কারণ তিনি নেহরুর মনোভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নেহরু শেখ আবদুল্লাকে সমর্থন করতেন। হরি সিং স্বাধীনও থাকতে পারেননি। কারণ (RSS) তিনি পাকিস্তানের আগ্রাসনের আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর কাছে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল (Golwalkar) না।

    কাশ্মীরের ভারতভুক্তি

    সমস্ত নেতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হরি সিংকে যখন রাজি করানো গেল না, তখন সর্দার প্যাটেল গুরুজিকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে তাঁকে হরি সিংকে রাজি করাতে অনুরোধ করেন। গুরুজি তখনই তাঁর সমস্ত কাজ ফেলে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। গুরুজিই হরি সিংকে ভারতভুক্তিতে সম্মত করান। এই বৈঠকের পর, হরি সিং দিল্লিতে সংযুক্তির প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু, গুরুজি বুঝতে পারলেন যে এই সংযুক্তি সহজ হবে না। তাই, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সকল আরএসএস কর্মীদের নির্দেশ দেন যে তাঁরা যেন কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেন। আরএসএসের কর্মীরা গুরুজির আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।

    পরবর্তীকালে গুরুজি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা সংঘ পরিবারকে আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন এই বলে যে, এই সমস্ত সংগঠনের মূল আদর্শ সব সময় একই থাকবে। সেটি হল আমাদের মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। গুরুজি (RSS) সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী সরসংঘচালক। তিনি তাঁর চিন্তা, নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার মাধ্যমে বহু প্রজন্মের স্বয়ংসেবকদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন (Golwalkar)।

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভকে ‘‘মৃত্যুকুম্ভে’’র সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বিজেপির পাশাপাশি সাধু সম্প্রদায়ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে। বিধানসভায় মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাধু সম্প্রদায় বলেছে যে মমতার বক্তব্য সনাতন ধর্মের অপমান। তাঁর মন্তব্য সনাতন ধর্মের এবং মহাকুম্ভের পবিত্রতার প্রতি অবমাননা। সাধু-সন্তদের মতে, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং সনাতন সংস্কৃতির আত্মা, যা কোটি কোটি ভক্তের কাছে গভীর আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে।

    মহাকুম্ভের মহিমা দেখেছে বিশ্ব

    শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহাননির্বাণীর জাতীয় সম্পাদক মহন্ত যমুনা পুরী বলেছেন যে, দায়িত্বশীল পদে থেকেও এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোভা পায় না। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ হল অমৃত পর্ব, যার দেবত্ব এবং মহিমা সমগ্র বিশ্ব দেখেছে। মহাকুম্ভের নামের সাথে এই ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়।’’ এবং এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু সনাতনীদের জন্য ‘মৃত্যুর রাজ্য’ হয়ে উঠছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁর উচিত উত্তরপ্রদেশের নয়, নিজের রাজ্যের কথা চিন্তা করা।’ যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং তিনি এই মহৎ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন।’’

    সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ

    নির্মোহী আনি আখাড়ার মহান্ত রাজেন্দ্র দাস মমতার মন্তব্যকে সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ সনাতন ধর্মকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। মমতা এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না কারণ তিনি সবসময় সনাতন মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে অবমাননা করেছেন।’’ তিনি মন্তব্য করেন। মহামণ্ডলেশ্বর ঈশ্বর দাস মহারাজ মমতার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এটা তাঁর সনাতন বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন। তিনি সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গকে আরেকটি বাংলাদেশে পরিণত করতে চান।’’

    প্রয়াগরাজে আসুন মমতা

    অযোধ্যা হনুমান গড়ী মন্দিরের মহান্ত রাজু দাস মমতার মন্তব্যকে ‘‘অলভনীয়’’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন জানান। একইভাবে, স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ সনাতন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের প্রতীক। সন্ন্যাসী সম্প্রদায় মমতার কথার নিন্দা করেছে।’’ গোবর্ধন মঠ পুরী’র স্বামী অঢোকশজনন্দ দেব তীর্থ মমতাকে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে আসার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তিনি এর আধ্যাত্মিক মহিমা উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘৫০ কোটিরও বেশি সনাতনিরা এই ‘অমৃত কুম্ভ’ থেকে দৈবিক অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। একে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজনীতিকদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’’

  • Mobile Phone Exports: মোবাইল ফোন রফতানিতে নতুন রেকর্ড ভারতের

    Mobile Phone Exports: মোবাইল ফোন রফতানিতে নতুন রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের রফতানিতে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যেতে চলেছে চলতি অর্থবর্ষেই। এই প্রথম ১.৮ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রফতানি করতে পারে ভারত। ভারত সেলুলার এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (ICEA)দেওয়া রিপোর্ট থেকে মিলেছে এই তথ্য। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মোবাইল ফোন (Mobile Phone Exports) রফতানি (Indian Exports) ২০২৫ অর্থবর্ষে ৪০% বৃদ্ধির মাধ্যমে ১.৮ লাখ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে। “এই বৃদ্ধিটি গত আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ, যেখানে রফতানি ছিল ১.২৯ লাখ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের পিএলআই স্কিমের সূচনার পর থেকে প্রায় ৬৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

    কত টাকার রফতানি 

    ভারত থেকে রফতানি (Indian Exports) হওয়া স্মার্টফোনের (Mobile Phone Exports) মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অ্যাপলের আইফোন। তার পর স্যামসাং। রফতানি করা মোবাইলের সিংহভাগই এই দুই সংস্থার। তিনটি ভেন্ডর সংস্থার মাধ্যমে আইফোন অ্যাসেম্বল হয় ভারতে। এই তিন সংস্থার অ্যাসেম্বল করা আইফোনের ৮০ শতাংশই রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি আইফোন রফতানি হয়েছে তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ফক্সকনের ফ্যাক্টরি থেকে। কর্নাটকে অবস্থিত টাটা ইলেক্ট্রনিক্সের ফ্যাক্টরি এবং পেগাট্রনও প্রচুর আইফোন রফতানি করেছে। আইসিইএ জানিয়েছে যে, মোবাইল ফোন রফতানি ইলেকট্রনিক্স খাতে সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি চালক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের তৈরি স্মার্টফোনের একটি প্রধান বাজার। ২০২৫ অর্থবর্ষে-এর মধ্যে মোবাইল ফোন রফতানি ইতিমধ্যেই ১.৫ লাখ কোটি টাকার ওপরে পৌঁছেছে, যা পিএলআই স্কিমের সফল বাস্তবায়নের ফল।

    অবিশ্বাস্য উৎপাদন বৃদ্ধি

    প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের অধীনে ভারতে স্মার্টফোনের উৎপাদন বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রফতানি। কেন্দ্রীয় সরকারের (Indian Exports) তথ্য অনুযায়ী, ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিএলআই স্কিম অন্য সেক্টরের থেকে অনেক বেশি সফলতা পেয়েছে। ২০১৯ সালে মোবাইল রফতানিতে ভারতের স্থান ছিল ২৩। এখন সেই র‌্যাঙ্ক ৩। পিএলআই স্কিম চালুর পর থেকে ভারতের মোবাইল ফোন (Mobile Phone Exports) উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২.২ লাখ কোটি টাকা থেকে ২০২৫-এ ৪.২২ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। আইসিইএ অনুমান করছে, ২০২৫ অর্থবর্ষে উৎপাদন ৫.১ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছাবে, যা ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন শক্তিতে পরিণত করবে। পিএলআই স্কিমের জেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেক বেশি। এর জন্য তিন লক্ষ মানুষ সরাসরি কাজ পেয়েছেন। পরোক্ষভাবে ৬ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

  • PM Modi: কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, কী বিষয়ে হল আলোচনা?

    PM Modi: কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, কী বিষয়ে হল আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতারের (India Qatar Ties) আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা ভারত ও কাতারের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, শক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, যা দুই দেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। জানা গিয়েছে, তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়সমূহ নিয়ে মতামত বিনিময় করেছেন।

    ভারত সফরে কাতারের আমির (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, দুদিনের ভারত সফরে এসেছেন কাতারের আমির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছেন। এনিয়ে তিনি দুবার এলেন ভারতে। এর আগে কাতারের আমির ভারত সফরে এসেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। কাতার ও ভারতের বন্ধুত্ব খুবই নিবিড়। মোদি জমানায় সেই সম্পর্কের আরও উন্নতি হয়েছে। ভারত চায় পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে। উদ্দেশ্য, জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাতার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পায় নয়াদিল্লি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১৪.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কাতারের আমিরকে এদিন ভাই বলে সম্বোধন করে এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানানোর ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার ভাই কাতারের আমির এইচএইচ শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম (PM Modi)।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লিখেছেন, “ভারত-কাতার, যা আরও শক্তিশালী করছে গভীর ও ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি আজ হায়দ্রাবাদ হাউসে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। উভয় নেতা ভারত-কাতার সম্পর্ককে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে (India Qatar Ties) সম্পর্কের ওপর ফোকাস থাকবে। তারা পারস্পরিক আগ্রহের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময়ও করেছেন (PM Modi)।”

  • Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মা-বাবার যৌনতা দেখবে সন্তান’! সম্প্রতি ইউটিউব শোয়ে এমন মন্তব্য করে ঘোর বিপাকে ইউটিউবার, কমেডিয়ান রণবীর এলাহাবাদিয়া (Ranveer Allahabadia)। তাঁর মন্তব্য ‘প্রচণ্ড নোংরা মানসিকতার প্রতিফলন’ এমনই অভিমত প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। জনপ্রিয় ইউটিউবারের আবেদনের শুনানি চলাকালীন এই কথাই বলল শীর্ষ আদালত। বাকস্বাধীনতা থাকলেও সমাজবিরোধী মন্তব্য করার লাইসেন্স মেলে না, সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ইউটিউবে কত পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট রয়েছে সেই নিয়ে কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার রণবীরের আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের এজলাসে। প্রথম থেকেই শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রণবীরকে (Ranveer Allahabadia)। বিচারপতি কান্ত বলেন, “রণবীরের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা অত্য়ন্ত নোংরা। সেটারই প্রকাশ ঘটেছে তাঁর কথায়। নিজের বাবা-মায়েরও বিপুল সম্মানহানি করেছেন তিনি। জনপ্রিয় হলেই যা খুশি বলা যায় সমাজের তোয়াক্কা না করে-এমনটা মোটেই ভাবা যায় না। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তাতে গোটা সমাজ লজ্জিত।” এমন ভাষা প্রয়োগ করা ব্যক্তির কথা আদালত শুনবে কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন দুই বিচারপতি।

    ইউটিউবে কনটেন্টে নজরদারি

    রণবীর (Ranveer Allahbadia) নিয়ে শুনানির সময় কেন্দ্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন দুই বিচারপতি। ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় কত পর্নোগ্রাফি রয়েছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও। সোশাল মিডিয়ায় ‘ইন্ডিয়াজ গট ল্যাটেন্টে’র মতো কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা, সেই প্রশ্নও রেখেছে শীর্ষ আদালত। এদিন অন্য একটি মামলার কারণে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেকনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি। তাঁকে জানানো হয়, রণবীরের মামলার পরবর্তী শুনানির সময়ে যেন কেন্দ্রের জবাব আদালতে পেশ করা হয়। কেন্দ্র ইউটিউবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্র করুক এমন কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    ণবীরকে রক্ষাকবচ

    ‘বাবা-মায়ের যৌনতা দেখবে?’ ইউটিউবার, পডকাস্টার রণবীরের এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় দেশ। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। অসম থেকে মহারাষ্ট্র, দেশের একাধিক থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। দেশজুড়ে দায়ের হওয়া যাবতীয় অভিযোগের বিচার যেন একসঙ্গে হয় এবং গ্রেফতারি এড়াতে যেন আগাম জামিন দেওয়া হয়- শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ রণবীরের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেও গ্রেফতারি নিয়ে তাঁকে রক্ষাকবজ দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে আপাতত অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছে। দন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে। রণবীর এলাহাবাদিয়াকে তাঁর পাসপোর্ট থানে পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।

  • Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে (Mahakumbh) ভক্ত সংখ্যা ৫৩ কোটি ছাড়িয়েছে, সোমবারই একথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। প্রসঙ্গত ১৩ জানুয়ারি যে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে তা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতিদিনই কোটি কোটি মানুষ পবিত্র স্নান সারছেন গঙ্গা-যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে। পরিসংখ্যান বলছে, গত রবিবারই মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন ১.৩৬ কোটি ভক্ত। শুধুমাত্র ভারত নয়, বিদেশ থেকেও বিপুলসংখ্যক ভক্তরা (Mahakumbh) আসছেন।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?

    এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’

    মহাকুম্ভে স্নান সারছেন শিখরাও

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে বড় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি সেরেছেন পবিত্র স্নান। মহাকুম্ভে শিখ সম্প্রদায় মানুষদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তাঁরাও সেখানে হাজির হয়েছেন পুণ্য অর্জনের আশায়। প্রচুর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁরা পবিত্র স্নান সারছেন। গত ২৯ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল মহাকুম্ভে। সেই সময় মৌনী অমাবস্যায় কোটি কোটি ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন প্রয়াগ্ররাজে। সেদিনই পবিত্র স্নান সারে দমদামি তাকশাল নামের একটি শিখ সংগঠনের প্রধান হরনাম সিং ধুমমা। এরপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, শিখ সম্প্রদায়ের রীতি হল মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করা এবং উদাসীন ও নির্মল আখড়া কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছে।

  • Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরেই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করল টেসলা (Tesla)। আপাতত দিল্লি এবং মুম্বই জুড়ে ১৩টি পদের জন্য কর্মী চাইছে তারা। ভারতে কারখানা তৈরিতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ভাবনা রয়েছে টেসলার। ভারতীয় মার্কেট নিয়ে টেসলা আগেও আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু চড়া আমদানি শুল্কের জেরে ধীরে চলো নীতি নেয় এই সংস্থা। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের হাইএন্ড গাড়িতে কাস্টমস ডিউটি কমানোর পরই এ দেশের বাজার নিয়ে ফের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে টেসলা।

    কোথায় কত কর্মী নিয়োগ

    প্রাথমিক পর্যায়েই (Tesla Recruitment) টেসলা ভারতের জন্য ২ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলস বা অপারেশনে অভিজ্ঞতা (Tesla Plan) থেকে থাকলে আপনিও বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থার অংশ হতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। ভারতে বড় মাপের উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে ব্যাটারি উৎপাদনকারী (Elon Musk) সংস্থা টেসলা পাওয়ার। এই সংস্থা ভারতে তার ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছে। সোমবার টেসলার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। টেসলা পাওয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাবিন্দর খুরানা জানিয়েছেন যে, ‘আমরা ভারতে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। নানারকম উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিই। আমরা আমাদের টিমে সবসময় নতুন প্রতিভাকে স্বাগত জানাতে চাই। আমাদের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে তাদের অবদানগুলিকে কাজে লাগাতে পেরে আমরা যারপরনাই খুশি।’

    ১৩টি বিভিন্ন পদে নিয়োগ

    মোট ১৩টি বিভিন্ন পদে হবে এই নিয়োগ। সার্ভিস টেকনিশিয়ান, অ্যাডভাইজরি পদের জন্য মুম্বই ও দিল্লিতে নিয়োগ হবে এবং কাস্টমার এনগেজমেন্ট ম্যানেজার এবং ডেলিভারি অপারেশনস স্পেশালিস্ট পদের জন্য নিয়োগ করা হবে মুম্বইতে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা (Tesla)। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার হয়তো দুপক্ষ সহমত হয়েছে, লিঙ্কডইন পোস্ট থেকেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।

    টেসলা ভারতে যে সব পোস্টে কর্মী নিয়োগ করবে সেগুলি হলঃ

    সার্ভিস টেকনিশিয়ান

    সার্ভিস ম্যানেজার

    ইনসাইড সেলস অ্যাডভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট সুপারভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট স্পেশালিস্ট

    অর্ডার অপারেশন স্পেশালিস্ট

    সার্ভিস অ্যাডভাইজার

    টেসলা অ্যাডভাইজার

    পার্টস অ্যাডভাইজার

    ডেলিভারি অপারেশন স্পেশালিস্ট

    বিজ়নেস অপারেশন অ্যানালিস্ট

    স্টোর ম্যানেজার

    ভারতীয় বাজারে টেসলার আগ্রহ

    টেসলা (Tesla) ভারতীয় বাজারে প্রবেশের জন্য আগে দুবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু উভয় প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমত, ভারতে উচ্চ আমদানি শুল্ক—যা পূর্বে ১১০% পর্যন্ত ছিল। এই আমদানি শুল্কের ফলে টেসলা গাড়িগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রতিষ্ঠার অনুরোধ। সরকার চাইছিল যে টেসলা আমদানি না করে, বরং ভারতে একটি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করুক, কিন্তু কোম্পানিটি একটি উন্নয়নশীল বাজারে এমন বড় পরিমাণে বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করে। এছাড়া, ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা এখনও বড় বাজারগুলির তুলনায় অনেক কম, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ভারত কি টেসলার জন্য প্রস্তুত?

    ভারতের বাজারে ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বেড়ে চলেছে। টেসলার (Tesla) সম্প্রসারণের ফলে এই বাজার আরও দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। টেসলার এই তৃতীয় প্রচেষ্টা এমন সময়ে আসছে যখন ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে, বিলাসবহুল বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ১১০% আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৭০% করা হয়েছে, যার ফলে টেসলার গাড়িগুলি এখন আরও যুক্তিসঙ্গত দামে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারটি সম্প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (FADA) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ৮২,৬৮৮ ইউনিট থেকে ২০২৪ সালে ৯৯,১৬৫ ইউনিট বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা ১৯.৯৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাড়তি চাহিদা, চার্জিং অবকাঠামোর উন্নতি এবং আরও বেশি উৎপাদকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মডেল বাজারে আনার মাধ্যমে, ২০২৫ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্বিগুণ হতে পারে।

    পরিবর্তনের আশা

    চিনের বাজার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় টেসলা ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। তবে, দাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কারণ টাটা মোটরস, মহিন্দ্রা & মহিন্দ্রা, হুন্ডাই এবং মারুতি সুজুকির মতো কোম্পানিগুলি ভারতের ভোক্তাদের জন্য সস্তা ইভি বিক্রি করছে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার দুপক্ষ সহমত হয়েছে। যদি টেসলা সফল হয়, তবে এর আগমন ভারতীয় গাড়ির বাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে।

LinkedIn
Share