Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kerala MBBS Scam: কেরলে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেআইনি আর্থিক লেনদেন! ইডির তলব চার্চ বিশপকে

    Kerala MBBS Scam: কেরলে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেআইনি আর্থিক লেনদেন! ইডির তলব চার্চ বিশপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে বহু ছাত্রকে কেরলে (Kerala) ডাক্তারিতে ভর্তি করা হয়েছিল। তিরুঅনন্তপুরমের কারাকোনামের ডাঃ সোমারভেল মেমোরিয়াল সিএসআই মেডিকেল কলেজে (Karakonam Medical College scam) ভর্তির প্রস্তাব দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া (CSI)-র বিশপ এ ধর্মরাজ রাসালাম (Bishop A Dharmmaraj Rasalam)। পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুর ছাত্রদের থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কেরল হাইকোর্টে দায়ের করা এক মামলায় অভিযোগ করা হয় চার্চ বিশপ ও তাঁর সহযোগীরা এমডি এবং এমবিবিএস-এ আসন বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬০ লাখ টাকার উপরে ক্যাপিটেশন ফি আদায় করেছিলেন। কিন্তু পরে ওই ছাত্রদের ভর্তি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    কেরলে এমবিবিএস, বিডিএস এবং এমডি কোর্সে (MD and MBBS) ভর্তির জন্য সেই রাজ্যেরই বাসিন্দা হতে হয়। কিন্তু নন-কেরলাইটদের জন্য টাকা  নিয়ে আসন বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন এ ধর্মরাজ রাসালাম। এমবিএস বা এমডি আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অতিরিক্ত ফি দাবি করা হয়। কারাকোনামের এই কলেজটি সংখ্যালঘু মর্যাদার প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে ৫০ শতাংশ আসন মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয় আর বাকি অর্ধেক আসন থাকে সংরক্ষিত। এই সংরক্ষিত আসনগুলিতে টাকা নিয়ে ভর্তি করার কথা বারবার শোনা গিয়েছে। এজন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাল শংসাপত্রও তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই জাল শংসাপত্র তৈরি করে টাকা নিয়ে ছাত্রদের ভর্তি করা হয়, বলে দাবি।

    আরও পড়ুন: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    এই দুর্নীতিতে যুক্ত বিশপ রাসালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোচিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি (ED)। টাকা দিয়ে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যেই ১১জন এমবিবিএস ছাত্রের ভর্তি বাতিল করেছে কেরল হাইকোর্ট। সোমবার তিরুবনন্তপুরমে মেডিকেল কলেজ এবং চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়ার (সিএসআই) অফিসে ১৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি বিশপ এ ধর্মরাজ রাসালামের অফিস, চার্চ সেক্রেটারি টিটি প্রবীনের বাসভবন, মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডাঃ বেনেট আব্রাহাম এবং মেডিক্যাল কলেজের অফিসেও এদিন অভিযান চালায়।

  • Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে মুদ্রাস্ফীতি। মন্দার মুখ দেখছে শেয়ার বাজারও। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ (Investment) করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ইক্যুইটি-ভিত্তিক স্কিমগুলোতে এমনটা হচ্ছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।  

    মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে রোজগার হিসেবে না দেখে, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা উচিত। ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। বিনিয়োগের সময় শেয়ার বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদ বা দীর্ঘ মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ যারা করতে চাইছেন, এটাই তাঁদের বিনিয়োগ করার সঠিক সময়। বাজারের অবস্থা যখন খারাপ থাকে, তখন বিনিয়গ করলে রিটার্নের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। 

    এমন কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্কিম রয়েছে, যেখানে ঝুঁকি কম, কিন্তু লাভ বেশি।

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    কানাড়া রোবেকো ব্লুচিপ ইক্যুইটি ফান্ড: এই স্কিমটি পুঁজির বাজারে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। যারা কম ঝুঁকিতে, বেশি লাভের মুখ দেখতে যান তাঁদের জন্যে আদর্শ। এটি লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করার একটি ভাল বিকল্প। এই স্কিমটি ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে নিফটি ৫০ -কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। 

    মিরাই অ্যাসেট ইমার্জিং ব্লুচিপ: এই স্কিমে এখনও কোনও দীর্ঘ মেয়াদী ফল দেখা যায়নি। কিন্তু ফান্ড ম্যানেজার নীলেশ সুরানার অভিজ্ঞতা এবং ব্র্যান্ডের সুনামের ওপর ভরসা করে টাকা রাখতেই পারেন। ফান্ডটি লার্জ ক্যাপ স্টকগুলিতে ৪৬.৮%, মিড ক্যাপ স্টকগুলিতে ২৫.৭৬% এবং স্মল ক্যাপ স্টকগুলিতে ৮.২৫% বিনিয়োগ করেছে৷ ৩ বছর এবং ৫ বছর মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে ব্যাপক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    কুয়ান্ট অ্যাক্টিভ ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন, এই মাল্টি-ক্যাপ ফান্ড তাঁদের জন্যে । ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে যেখানে নিফটি ৫০- ৩১.২০% এবং ৬২.৪০% রিটার্ন দিয়েছে, সেখানে এই ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ৯৫.৩৯% এবং ১৩৫.৬৫% রিটার্ন পেয়েছেন।   

    আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল ইক্যুইটি এন্ড ডেট ফান্ড: যারা মাঝারি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্যে এই স্কিম আদর্শ। অতীতের ভালো রেকর্ড এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফান্ড ম্যানেজার থাকায় আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল বিনিয়োগের জন্যে ভালো বিকল্প। ১ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে অনেক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।  

    কোটাক ডেট হাইব্রিড ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে একদম পছন্দ করেন না কোটাকের এই স্কিমটি তাঁদের জন্যে বিনিয়োগের ভালো বিকল্প। বহুদিন ধরেই কোটাকের শেয়ার বাজারে পারফর্ম্যান্স ভালো। তাই এখানে বিনিয়োগে ঝুঁকিও কম। ঝুঁকি কম হওয়া সত্ত্বেও ভালো রিটার্ন দেওয়ার রেকর্ড আছে এই স্কিমের। 

     

     

     

  • Maharashtra Political Crisis:  বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    Maharashtra Political Crisis: বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়করা তো বিদ্রোহ করেইছেন এবার সাংসদ হারানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) অন্দরে। শিন্ডে শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে দলের অধিকাংশ সাংসদ তাদের সঙ্গে রয়েছেন। তবে এখনও খাতায় কলমে শিবসেনা প্রধান উদ্বব ঠাকরে। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির (BJP) মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থনের আর্জি জানিয়ে উদ্ধবকে চিঠি লিখলেন শিবসেনা সাংসদ রাহুল শেওয়াল (Rahul Shewale)।

    প্রসঙ্গত, উদ্ধবের শিবসেনা শিবির এখনও কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখেছে। সেই অর্থে তারা বিরোধীদের সঙ্গে আছে। এই আবহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন জানাতে পারে উদ্ধব গোষ্ঠী। তবে রাহুল বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং সামাজিক জীবনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই সেনাপ্রধানকে তাঁকে সমর্থন করার কথা বলেছি।’ অবশ্য, রাজনৈতিক মহলের মতে এই আবেদন নিছক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে নয়। এটা আদতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার পরীক্ষা। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে এবার অটো-মার্সিডিজ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    প্রতিদিনই শিবির বদলাচ্ছে সেনাকর্মী, বিধায়ক, সাংসদরা। রাজ্যে পালাবদলের পুরো পর্বে উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের কালামনুড়ির বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গারকে। অথচ সোমবার  আস্থা ভোটে একনাথ শিন্ডের পক্ষে চলে যান তিনি। সূত্রের খবর,আস্থা ভোটে উদ্ধব শিবিরের হার বুঝেই শিন্ডের হাত ধরেন সন্তোষ। এতদিন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে নিয়মিতভাবে ঠাকরে পরিবারের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত সপ্তাহে নিজের এলাকায় একটি প্রচারসভায় তাঁকে হাত জোড় করে চোখের জল ফেলতেও দেখা যায়। সেখানে বালাসাহেব ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) নামে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ঠাকরে পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দেন সন্তোষ। ওই সভা থেকে শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরের বিধায়কদের বিশ্বাসঘাতক বলে দাবি করেন সন্তোষ বাঙ্গার (Santosh Bangar)। তবে গত রবিবার সকালে স্পিকার ভোটের পরই বদলে যায় ছবিটা। সূত্রের খবর, রাতেই একনাথ শিন্ডের হোটেলে যান সন্তোষ বাঙ্গার। মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর (Maharashtra Chief Minister) সঙ্গে কথা বলেই শিবির বদল করেন এই বিধায়ক।

  • Tajpur Port: তাজপুর বন্দরের ‘তাজ’ কেন পাচ্ছে না আদানিরা, নীরব কেন নবান্ন?

    Tajpur Port: তাজপুর বন্দরের ‘তাজ’ কেন পাচ্ছে না আদানিরা, নীরব কেন নবান্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে (Tajpur) নতুন বন্দর (New Port) নির্মাণে সর্বোচ্চ দর হেঁকেছে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) । তার পরেও গত পাঁচ মাসে এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করছে না নবান্ন। শিল্প দফতর সূত্রের খবর, শিল্পোন্নয়ন নিগম থেকে তাজপুরের ফাইল মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পৌঁছে গিয়েছিল এপ্রিলের শুরুতেই। আশা ছিল, গত ২০-২১ এপ্রিল শিল্প সম্মেলনের আসরেই তাজপুর বন্দরের ‘তাজ’ আদানি গোষ্ঠীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা  করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। নবান্নও আর আপাতত আদানিদের হাতে তাজপুর তুলে দিতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। যা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। তাহলে কি আদানিরাই আর রাজ্যে বিনিয়োগে রাজি হচ্ছে না? নাকি নবান্ন চাইছে না রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি বন্দরের রাশ চলে যাক আদানিদের হাতে?  

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    জাহাজি মহল অবশ্য দুটি প্রশ্নের পিছনেই যুক্তি রয়েছে বলে মতামত দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের আরও কয়েকটি বন্দরে আদানিদের লগ্নি প্রস্তাব আটকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ আদানি পোর্টের নানা কাজকর্ম নিয়ে বীতশ্রদ্ধ, এমনই মত জাহাজ মন্ত্রকের খবর রাখা বিশেষজ্ঞদের।কয়েক মাস আগে বিশাখাপত্তনম বন্দরের কয়লা নামানোর কাজ থেকে আদানিদের সরিয়ে দিয়েছে সেখানকার বন্দর কর্তৃপক্ষ। আদালতে গিয়েও সাহারা পাননি বন্দর ব্যারন। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের যাবতীয় টেন্ডারে শর্তও আরোপ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে কোনও সংস্থাকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও কারণে সরিয়ে দিলে পরবর্তী তিন বছর তারা আর কোনও কাজ করতে পারবে না। তার প্রেক্ষিতে আদানিরা ভারতের কোনও বন্দরে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছে না। সম্প্রতি মুম্বইয়ে জেএনপিটি বন্দরের লগ্নি করতে গিয়ে ফের হোঁচট খায় আদানিরা। মুম্বই হাইকোর্টে মামলা গড়ালে আদালত আদানিদের পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে মামলা শুনানির আবেদন জানায় ওই সংস্থা। তাতেও সাড়া দেয়নি আদালত।

    এসব জেনে রাজ্য সরকার আদানিদের ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলতে চাইছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। দেশের বড় বন্দরগুলির সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে চলে যাওয়া আদানিদের তাজপুরে ডেকে আনলে ফের আইনি সংঘাত বাড়বে বলে মনে করছেন নবান্নের একাংশ। তাই যতদিন না আদানিরা বন্দরে লগ্নির ব্যাপারে ভারত সরকার ও আদালতের সবুজ সংকেত পাচ্ছে, ততদিন আদানিদের সঙ্গে লোক দেখানো সংস্রব চাইছে না তৃণমূলও।

    আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    তাজপুর বন্দরে ৭০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নতুন বন্দরের বরাত পেয়েছে তারা। প্রতি মেট্রিক টন রাজস্ব সংগ্রহের ০.২৫% রাজ্য সরকারকে দেওয়ার কথাও দরপত্রে দাবি করেছিল তারা। দিল্লির অসূয়ার পাত্র হয়েই কি তা হলে ঘটা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি—এমন প্রশ্নও জাহাজি ও রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। শিল্পোন্নয়ন নিগমের এক কর্তার কথায়, তাজপুর বন্দর রাজ্যের জন্য খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। যদি আদানিদের বরাত দেওয়ার পর মামলা-মোকদ্দমা হয়ে যায় তাহলে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ক্ষেত্রে সাবধানী পদক্ষেপই শিরোধার্য।

     

  • Single Use Plastic Ban: প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! একনজরে দেখে নিন কী কী বিকল্প রয়েছে প্লাস্টিকের

    Single Use Plastic Ban: প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! একনজরে দেখে নিন কী কী বিকল্প রয়েছে প্লাস্টিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক (Single Use Plastic) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বিগত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পনা করার পরে অবশেষে জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে এবার থেকে বন্ধ হতে চলেছে প্লাস্টিকের উৎপাদন, সরবরাহ, জমানো এবং বিক্রি। তবে এবার শুধুমাত্র প্লাস্টিক বন্ধ করেনি, যদি কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংস্থাকে প্লাস্টিক সরবরাহ করতে দেখা যায় তবে তাদের জন্য তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যবহার করলেই এবার থেকে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা।

    আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো? এক

    [tw]


    [/tw]

    তাই প্লাস্টিক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বলতে গেলে দুঃখের খবর। কিন্তু প্লাস্টিক ছাড়াও এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে প্রথমেই যেই জিনিসটির কথা মাথায় আসে সেটি হল পাট (Jute)। তবে পাটজাতীয় যে সকল পণ্য বাজারে রয়েছে, সেই সমস্ত পণ্যের দাম প্লাস্টিকের চেয়ে অনেকটা বেশি। এছাড়া প্লাস্টিকের মত সহজে ব্যবহার করাও যায় না। কিন্তু পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করতে এখন থেকে পাটের তৈরি ব্যাগের ওপরই নির্ভর করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    শুধুমাত্র প্লাস্টিক ব্যাগ নয়, সিঙ্গল-ইউজড প্লাস্টিকের তৈরি মিষ্টির বাক্স, কাপ, চামচ, ছুরি, বাটি, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাঠি— সবই নিষিদ্ধ তালিকায় রাখা হয়েছে। ফলে পাটের তৈরি ব্যাগ ছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের বিকল্পগুলো হল-

    • পাটের তৈরি ব্যাগ।
    • খাদি ব্যাগ।
    • বাঁশের তৈরি স্ট্র ও বাসনপত্র।
    • প্লাস্টিক বোতলের বদলে স্টিলের ও কপারের বোতল।
    • কাপড়ের ব্যাগ।
    • প্লাস্টিকের তৈরি বাক্সের বদলে স্টিলের বাক্স।

     

     

     

     

     

     

     

  • Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) নন, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মসনদে বসেছেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। কে হবে মহারাষ্ট্রের রাজা, এই নিয়ে মসনদে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবারই শিন্ডে মুম্বাই ফিরেছেন। আর এদিনই নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। রাজ্যের বিধানপরিষদের নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির পরই একনাথ মহারাষ্ট্র ছাড়েন। প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে চলে যান আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে। শিন্ডের দাবি তিনি ও তাঁর অনুগামীরাই আসল শিবসেনা ও বালাসাহেব ঠাকরের আসল উত্তরসুরী। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন এই আশঙ্কায় আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তারপেই সেই পদে বসেছেন একনাথ।  

    আরও পড়ুন: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    মাত্র এক মাসে প্রচারের চড়া আলোয় চলে আসা কে এই একনাথ শিন্ডে?  
     
    দুদশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রচারের আলোয় সেভাবে কখনই আসেননি। চারবারের বিধায়ক শিন্ডে সামলেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে একসময় অটোও চালিয়েছিলেন। ৫৮ বছরের সেই একনাথ শিণ্ডেই এবার মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে। থানেতে মহারাষ্ট্রের ভিত শক্ত করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল শিন্ডের। ২০০৪ সালে শিবসেনার থানে জেলা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।   

    ১৯৬৪ সালে সাতারাতে জন্ম একনাথের। একাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৮০ সালে বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিবসেনা যোগ দেন। সেই সময় একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন একনাথ। একদা থানে শহরের অটো ড্রাইভার শিণ্ডে ধীরে ধীরে দলে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আসেন। ১৯৯৭ সালে থানে পুরনিগমের কর্পোরেটর পদে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেন। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    ২০০১ সালে থানে পুরনিগমের দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ অবধি ওই পদে ছিলেন শিন্ডে। ২০০৪ সালে বিধানসভার টিকিট পান। বড় ব্যবধানে জেতেন সেবার। তার পর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন ওই একই কেন্দ্র থেকে। ২০১৯ সালে মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হন একনাথ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিধানসভার দলনেতার দায়িত্ব পান শিন্ডে। 

    মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক সীমান্ত সমস্যার প্রতিবাদের কারণে ৪০ দিন জেলেও কাটিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র দাঙ্গার সময় তিনি এক মা-ছেলেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালেও পৌঁছে দেন। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ একনাথ শিন্ডে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বৃহস্পতিবারই তিনি দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

     

     

  • Udaipur Tailor Killing: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    Udaipur Tailor Killing: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ, নূপুর শর্মাকে সমর্থন। আর তাই প্রাণ গেল এক দরজি যুবকের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে করা হল মুণ্ডচ্ছেদ। খুনের ভিডিও শেয়ার করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নৃশংসতা লঙ্ঘন করল সমস্ত সীমা। ভয়ঙ্করতায় আঁতকে উঠল গোটা দেশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur) শহরের ধানমণ্ডি এলাকায়। পুরো বিষয়টির জন্যে গেহলট (Ashok Gehlot) সরকারের তোষণের রাজনীতিকেই দুষলেন রাজস্থানের প্রাক্তন এবং বিজেপি নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje)।     

    রাজস্থানের শিরশ্ছেদের (Udaipur beheading) ঘটনায় অশোক গেহলট সরকারের নীতির নিন্দা করে বসুন্ধরা রাজে বলেন, “উদয়পুরে নিরপরাধ যুবকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে রাজ্য সরকারের প্ররোচনা ও তোষণের কারণে অপরাধীদের মনোবল এখন তুঙ্গে। কংগ্রেস সরকারের ভুল নীতির কারণেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা এবং সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে সত্বর প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘হিংসায় ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না’, মুসলিম সমাজকে আবেদন মৌলবীদের

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দরজিকে হত্যা করেছে দুই যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দরজির মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। হত্যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করতেও দেখা গিয়েছে হত্যাকারীদের। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে তার জন্য এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, হত্যার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ  

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা শুরুতে সেই দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিযুক্তরা। এমনকী প্রধামন্ত্রীকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। নূপুর শর্মার মুণ্ডচ্ছেদেরও হুমকি দেয় দুই হত্যাকারী।    

    মৃত যুবকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগে নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে ওই যুবক একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।  

    যুবক খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদয়পুর শহরে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, সেই আশঙ্কায় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের এলওপি (LOP) গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, “এই ঘটনা কোনও ব্যক্তি বিশেষের নয়, কোনও সংগঠনের বলেই অনুমান করা হচ্ছে।”  

     

  • Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। তবে তাঁর সঙ্গে দ্রৌপদীর লড়াই হবে আদর্শের। এমনই জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিজেপি-বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। বিরোধীদের ভোটের পাশাপাশি বিজেপির কিছু ভোটও পাবেন বলে আশাবাদী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী প্রাক্তন রাজ্যপাল বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যাতে সর্বসম্মত হয়, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজনাথ সিংকে। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থ হন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দল সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যে তিনটি নাম নিয়ে বিরোধীরা প্রথমে এগিয়েছিলেন, সেই এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা ও কংগ্রেসের গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী সাফ জানিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তাঁরা নেই। এর পরেই বেছে নেওয়া হয় বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহাকে। তৃণমূলের এই ভাইস প্রেসিডেন্টকেই প্রার্থী করেন বিরোধীরা।

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীই। এনডিএর পাশাপাশি বিজেডি এবং নীতীশ কুমারের দলের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এতদসত্ত্বেও আশা ছাড়তে রাজি নন যশবন্ত স্বয়ং। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপি রয়েছেন, তাঁদের ভোটও পাব। আমি জানি, বিজেপির লোকও বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। গোপন ব্যালটে ভোট হবে। তাই বিষয়টি গোপনই থাকবে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    বস্তুত, এই হিসেব কষেছে তৃণমূলও। যশবন্ত যেহেতু বিজেপির প্রাক্তনী, তাই তিনি কিছু ভোট ভাঙাতে পারবেন। অন্তত এমনই ভেবেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পাওয়ার, আবদুল্লা এবং গান্ধী না করে দিতেই যশবন্তের নামে পড়ে শিলমোহর।

    কোন ইস্যুতে ভোট চাইবেন? সংবাদ মাধ্যমের এহেন প্রশ্নের জবাবে যশবন্ত বলেন, ভারতের সংবিধান রক্ষা করাই আমার সব চেয়ে বড় কাজ। যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাই, তাহলে এই কাজই করব।এই সরকার সংবিধান ও সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে মানছে না। রাষ্ট্রপতি ভবনে যদি রাবার স্ট্যাম্প থাকে, তাহলে এই সরকার তার সুযোগ নেবে এবং রাষ্ট্রপতিকে তাঁর কর্তব্য পালন করতে দেবে না।

    যশবন্তের রাইসিনা হিলসে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় কিনা, সেটাই দেখার।

          

  • Labrador Price Hike: হঠাৎ কেন ল্যাব্রাডর কুকুরের দাম বৃদ্ধি? কারণ জানলে অবাক হবেন…

    Labrador Price Hike: হঠাৎ কেন ল্যাব্রাডর কুকুরের দাম বৃদ্ধি? কারণ জানলে অবাক হবেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ‘৭৭৭ চার্লি’ (777 Charlie) নামে দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সিনেমা হলে। এই সিনেমায় একজন মানুষ ও কুকুরের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    ছবিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে কুকুরটি (Dog) এসে মানুষটির জীবনকেই বদলে দেয়। পোষ্যকে দত্তক নেওয়ার গুরুত্ব নিয়েও দুর্দান্ত বার্তা দিয়েছে এই ছবিটি। এর মাধ্যমে বহু রাস্তার কুকুরের জীবন বাঁচানো সম্ভব, তাও দেখানো হয়েছে। এককথায় বাড়িতে পোষ্য রাখার ভালো দিকগুলিও দেখানো হয়েছে সিনেমাতে।

    কিন্তু এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এক অদ্ভুত ট্রেন্ড দেখা যায়। এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরের চাহিদা বাড়তে দেখা যায়। এর চাহিদা বাড়ার ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর দামও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ল্যাব্রাডর (Labrador) প্রজাতির কুকুরের দাম ৯ হাজার টাকা থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে ১২-১৩ হাজার টাকা হয়েছে।

    বাড়িতে পোষ্য রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে বিভিন্ন পোষ্যের মধ্যে অনেকেই কুকুরকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র সিনেমার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কুকুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অনেক পশুপ্রেমীরাই এটিকে ভালো চোখে দেখছেন না।

    আরও পড়ুন: খাঁচা গলে বাইরে শিম্পাঞ্জি, তারপর…?

    এমনই এক পশুপ্রেমী দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, সিনেমাটি সমাজে এক বিপরীত প্রভাব ফেলেছে এবং ‘৭৭৭ চার্লি’ পর্দায় আসার পর থেকেই হঠাৎ ল্যাব্রাডর কুকুরের চাহিদা বেড়েছে। ফলে সিনেমাটির প্রধান উদ্দেশ্যই যেন হারিয়ে গিয়েছে। এই কুকুরের চাহিদা এতই বেড়ে গিয়েছে যে শহরে মানুষ এখন বেআইনিভাবে ব্রিডারদের থেকে এই প্রজাতি কিনছেন। তিনি আরও জানান, মাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র ল্যাব্রাডর কুকুর নিতেই আগ্রহী। এত চাহিদার ফলে কুকুর স্থানীয়ভাবে পাওয়া না গেলে, অন্য শহর থেকেও আনানো হচ্ছে।

    ওই পশুপ্রেমীর মতে, কীভাবে রাস্তার সারমেয়কেও পোষ মানানো যায় ও রাস্তার তাদের পোষ্য করার একটি দারুণ গল্প সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু মানুষ এটিকে অন্যভাবে নিয়েছে। ফলে আজ এই পরিণতি।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    এর আগেও দেখা গিয়েছিল যে ভোডাফোনের বিজ্ঞাপনে পাগ (Pug) প্রজাতির কুকুরকে ব্যবহার করার ফলে তখনও ওই প্রজাতির কুকুরের চাহিদা ও দাম দুইই বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে লকডাউনের সময় দেখা গিয়েছিল, মানুষ নিজেদের একঘেয়েমিতা কাটাতে বাড়িতে পোষ্য রাখতে শুরু করছে। আবার লকডাউন শেষ হলে তারা পোষ্যদের নয় রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে, নয় অন্যদের দিয়ে দিচ্ছে। ফলে মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য এমন কাজ করায় পশুপ্রেমীরা এই বিষয়টির নিন্দা করেছেন। তাঁদের আক্ষেপ, মানুষের এমন অমানবিক আচরণের জন্য নিরীহ জীবজন্তুদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

  • Sidhu Moosewala Murder: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের,  প্রকাশ্যে ভিডিও

    Sidhu Moosewala Murder: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের, প্রকাশ্যে ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের গত মে মাসে বিখ্যাত পাঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে (Sidhu Moosewala) পরিকল্পনা করে খুন করায় গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এবার এই খুনের ঘটনায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। প্রকাশ্যে আসা এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের পর গাড়িতে চেপে উল্লাস করছে খুনিরা। গাড়িতে বাজছে জনপ্রিয় গান। আর সেই গানের তালে তালে নিজেদের হাতে থাকা বন্দুক ঘোরাচ্ছে খুনিরা।

    [tw]


    [/tw]

    এই খুনে মূল অভিযুক্ত হিসেবে প্রথমের নাম উঠে এসেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণুই ও গোল্ডি ব্রারের। কিন্তু এরপরেই রবিবার এই খুনে অভিযুক্ত অঙ্কিত শীর্ষ এবং শচীন ভিওয়ানিকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার অঙ্কিত খুনিদের মধ্যে কনিষ্ঠতম ছিল ও ঘটনার দিন সে গায়কের সব থেকে কাছে গিয়ে তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয়টি গুলি চালায়। এও জানা গিয়েছে যে অঙ্কিত লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের সদস্যও ছিল। ঘটনার দিন পাঞ্জাবি গায়ক সিধুকে এরাই নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল।

    আরও পড়ুন: খালিস্থান-বন্দুক-সহিংসতাকে সমর্থন, স্বল্প দৈর্ঘ্যের জীবনে বিতর্ক যেন মুড়ে রেখেছিল সিধু মুসেওয়ালাকে

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিডিওটি অঙ্কিতের ইনস্টাগ্রাম (Instagram) হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছিল। বর্তমানে যদিও মুছে ফেলা হয়েছে সেই ভিডিও। তবে এখন সেই ভিডিও পুলিশের হাতে। আর তা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিধু মুসেওয়ালার অনুগামীরা।

    এই ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির পিছনের দিকে নীল জামা পরে হাসিমুখে দু হাতে বন্দুক তুলে দেখাচ্ছে প্রিয়ব্রত ফৌজি (Priyabrata Fouzi)। আর সামনের দিকে শচিন ভিওয়ানি (Sachin Bhiwani), অঙ্কিত সিরসা (Ankit Sirsa) বসে। তাছাড়া দীপক মুণ্ডি (Deepak Mundi) নামে আরও এক খুনিকেও দেখা যাচ্ছে উল্লাস প্রকাশ করতে। 

    এর আগেই দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল গুজরাটের কচ্ছ থেকে এই খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩টি পিস্তল, ৮টি গ্রেনেড, ৯টি  ইলেকট্রিক ডেটোনেটর। পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের মাস্টারমাইন্ড (Mastermind)  যে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণুই ছিলেন তা সে নিজেই স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৫ জুলাই ফৌজি সহ বাকি তিন অভিযুক্তকে সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

LinkedIn
Share