Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Yashwant Sinha: রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী,  জানেন কি আসল কাহিনি?

    Yashwant Sinha: রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী, জানেন কি আসল কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি (President) পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি হারছেন তা আগাম ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমন বলতে তিনিই পারেন। নিজেদের জোটের প্রার্থীকে ভোটের আগেই হারিয়ে দিয়ে এনডিএ-র (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয় নিশ্চিত বলেছেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঠিক আগে পাল্টি খেয়ে তিনি দ্রৌপদীদেবীকে সমর্থন করে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। মমতা সবই পারেন!

    যশবন্ত সিনহা ছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তাঁকে সমর্থন করছে সিপিএম-সহ বাম দলগুলি। এতদিন যে সিপিএম ‘দিদি-মোদি’ সেটিংয়ের তত্ত্ব প্রচার করত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারাই প্রমাণ করে দিয়েছে সেটিং আসলে ‘সীতা-মমতা’র। কিন্তু মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের পর মত বদলেছে মমতার। তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সহ-সভাপতি যে ভোটে হারছেন তা তিনি আগেই ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক বৃত্তে অনেকের প্রশ্ন, কাকে, ঠিক কী বার্তা দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো?এত কিছুর মাঝেও যশবন্ত সিনহা কীভাবে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী হলেন তার আসল কাহিনি অনেকের অজানা। মাধ্যম সে কথাই আজ জানাবে।

    আরও পড়ুন : “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ জুন হয় সেই বৈঠক। মমতা চাইছিলেন শারদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্খী হোন। তা ঠিক করতে দিল্লি পৌঁছান মমতা। উদ্দেশ্য ছিল, জাতীয় রাজনীতিতে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা। কিন্তু নয়াদিল্লিতে নেমেই মমতা জানতে পারেন, তাঁর ১৫ জুনের বৈঠকের পর আরও একটি বৈঠক ২১ জুন ডাকা হচ্ছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ পাওয়ার, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা আলোচনা করে তা ঠিক করে ফেলেছেন। তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, মমতা বুঝতে পারেন আরও বৈঠক হলে এবং তা তৃণমূলের নেতৃত্বে না হলে ১৫ জুনের বৈঠকের কোনও মূল্যই থাকবে না। ফলে শারদ পাওয়ারকে ম্যানেজ করতে দিল্লিতে পা দিয়েই তাঁর বাড়িতে ছোটেন মমতা। পাওয়ারকেই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে অনুরোধ করেন। এনসিপি নেতা সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েও দেন।

    আরও পড়ুন : বাজল উপরাষ্ট্রপতি পদের দামামাও, কীভাবে ভোট হয় জানেন?

    এমন পরিস্থিতিতে ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠক বসে। মমতা-শারদ পাওয়ার সেই বৈঠকের পর একটি তিনপাতার যৌথ বিবৃতি প্রকাশের জন্য সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে দায়িত্ব দেন। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লার নাম প্রস্তাবও করা হয় সেখানে। বৈঠকে আলোচনার পর তৃণমূল নেত্রী যখন যৌথ বিবৃতির কথা বলেন সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন ডিএমকে নেতা টি আর বালু। তিনি জানিয়ে দেন, এমন বিবৃতি এবং প্রস্তাবিত নাম নিয়ে এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি সই করতে পারবেন না। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি জানান। তার পর মুখ বাঁচাতে মেহবুবা মুফতিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে গিয়ে শুধু দুটি নাম নিয়ে আলোচনার কথা জানাতে বাধ্য হন তৃণমূল সুপ্রিমো। দু এক দিনের মধ্যে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লা জানিয়ে দেন তাঁরাও রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চান না।

    জাতীয়স্তরে  মমতার বিশ্বাসযোগ্যতাকে তলানিতে ঠেকিয়ে আসরে নামেন সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ পাওয়ার এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁরা যৌথভাবে প্রস্তাব দেন যশবন্ত সিনহাকে। ২১ জুনের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু যশবন্তকে বলা হয় আগে তৃণমূল ছাড়ুন তারপরই প্রার্থীপদে আপনার নাম ঘোষণা হবে। সেই মতো তৃণমূল সুপ্রিমোকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে এবং টুইট করে তৃণমূল ছেড়ে দেন যশবন্ত সিনহা। তাই তাঁর নিজের দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়ার পরেও রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে বিশেষ নাচানাচি করতে চাইছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের নেতা হয়েও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য যশবন্ত আবার প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্য থেকে। আর কলকাতায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেছেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতেন। মহারাষ্ট্রের দেওয়াল লিখন দেখে দ্রৌপদী মুর্মুর মাধ্যমেই এনডিএ-র কৃষ্ণ ভগবানকে স্মরণ করতে চাইছেন কি তিনি? রাজনৈতিক চর্চাজীবীদের একাংশের তেমনই মত। 

     

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

  • Maharashtra speaker election: মহারাষ্ট্রে ফের জয় টিম শিন্ডের, স্পিকার পদে বিজেপির রাহুল  

    Maharashtra speaker election: মহারাষ্ট্রে ফের জয় টিম শিন্ডের, স্পিকার পদে বিজেপির রাহুল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন বিজেপির (BJP) রাহুল নরওয়েকার (Rahul Narwekar)। রবিবার সকালে ভোটাভুটিতে ১৬৪টি ভোট পেয়ে স্পিকার (Speaker) নির্বাচিত হন তিনি। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগারের চেয়েও ঢের বেশি ভোট পেয়েছেন রাহুল। উদ্ধব ঠাকরের প্রার্থী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়ক রজন সালভি পেয়েছেন মাত্র ১০৭টি ভোট।

    গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শূন্য হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার পদ। ইস্তফা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের নানা পাটোলে। তারপর থেকে স্পিকারের কাজ সামলাচ্ছিলেন ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল। এদিন স্পিকার নির্বাচনের পর পূরণ হল সেই শূন্যস্থান। মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তার জেরে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। ওই পদে বসেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। রবিবার হয় স্পিকার নির্বাচন। হয় ভোটাভুটিও। ভোটদানে বিরত ছিলেন তিন বিভিন্ন দলের বিধায়ক। এদিকে হুইপ জারি করেছিল শিবসেনা। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং অনেক বেশি ভোট পেয়ে বিজেপির রাহুল পরাস্ত করেন শিবসেনার স্পিকার পদপ্রার্থীকে। রাহুলও এক সময় শিবসেনায় ছিলেন। ঘনিষ্ঠ ছিলেন আদিত্য ঠাকরের। ২০১৪ সালে বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে ত্যাগ করেন শিবসেনা-সঙ্গ। পরে যোগ দেন এনসিপিতে। তারও পরে বিজেপিতে। সেখানেই হল বাজিমাত।

    আরও পড়ুন : গুয়াহাটির হোটেলে ৮ দিন আস্তানা, ৭০ লক্ষের বিল মিটিয়েছে শিন্ডে-বাহিনী?

    এদিকে, রাহুলের জয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। শিবসেনার ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ক্ষমতা চলে এল স্পিকারের হাতে। গত মাসে ডেপুটি স্পিকার নরহরি এই ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের জন্য পদক্ষেপ করেছিলেন। নবনির্বাচিত স্পিকার সেই আবেদন প্রত্যাহার করতে পারেন। শিবসেনার শিন্ডে বাহিনীকে আদৌ আসল শিবসেনা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কিনা, সেই ক্ষমতাও থাকছে স্পিকারের হাতে। রাত পোহালেই আস্থা ভোট। এদিন স্পিকার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় প্রত্যাশিতভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

    আরও পড়ুন : ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?আরও পড়ুন : গুয়াহাটির হোটেলে ৮ দিন আস্তানা, ৭০ লক্ষের বিল মিটিয়েছে শিন্ডে-বাহিনী?

  • Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট কেটেছে। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর মহারাষ্ট্রর রাশ গিয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের (Eknatn Shinde) হাতে। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। প্রশ্ন হল, কেন বিজেপি একনাথকে ছেড়ে দিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ? কেনই বা ফড়নবিশকে বসানো হল উপমুখ্যমন্ত্রী পদে?

    আরও পড়ুন: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি সঙ্গ ধরতে চেয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার পরেই শুরু হয় একপ্রস্ত নাটক। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান শিন্ডে। চেষ্টা করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না বুঝে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিন্ডে। ‘কিং মেকার’ বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরে দাঁড়ান। ফড়নবিশের এই উদারতার ব্যাপক প্রশংসা করেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ফড়নবিশের হৃদয় বড়। প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী হতেও রাজি ছিলেন না ফড়নবিশ। পরে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার অনুরোধে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বলে সূত্রের খরব। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যেই বিজেপির রয়েছে ১০৬ জন বিধায়ক। সেখানে শিন্ডে শিবিরের সংখ্যা ৩৯। তার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন না বিজেপির কেউ?

    আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই ‘বিদ্রোহী’দের ফেরাতে গোয়া উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে অনেকগুলি কারণ। প্রথমত, বিজেপি ক্ষমতায় বসলে সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা গেরুয়া শিবিরের গায়ে ক্ষমতা লোভীর তকমা সেঁটে দিত। যা মোটেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহীদের সিংহভাগ যদি উদ্ধব শিবিরে ফেরেন, তাহলে সরকার পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার পড়ে যাওয়ার কলঙ্ক লাগবে না মোদি-শাহের দলের গায়ে। তৃতীয়ত, সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কেলেঙ্কারি কিংবা অপদার্থতার অভিযোগ উঠলেও তার আঁচ কোনওভাবেই লাগবে না পদ্ম শিবিরে। সর্বোপরি, শিন্ডে মরাঠি সম্প্রদায়ের। তিনি শিব সৈনিকও। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে পুরো মারাঠি আবাগের হাওয়া নিজেদের পালে টেনে নিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের এই ‘উদারতা’য় প্রত্যাশিতভাবেই খুশি হবেন মারাঠিরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যার সুফল বিজেপি ঘরে তুলবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে।  

     

  • Eknath Shinde: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    Eknath Shinde: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা (Shiv Sena)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই একথা ঘোষণা করে দিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। বৃহস্পতিবার রাতেই মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি।

    মহাবিকাশ আঘাড়ি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই মহারাষ্ট্রে সরকার চালাতে চাইছিলেন শিন্ডে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সঙ্গে বিরোধের জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে চলে যান শিন্ডে। দিন কয়েক আগে গুজরাটে এসে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তার পর বৃহস্পতিবার ফড়নবিশই মুখ্যমন্ত্রী পদে ঘোষণা করেন শিন্ডের নাম। শপথ নেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিন্ডে। তিনি জানান, হিন্দুত্বের আদর্শ মেনে চলার জন্যই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শিন্ডে বলেন, ফড়নবিশের এই মহানুভবতার জন্য ধন্যবাদ। বালাসাহেবের হিন্দুত্বের আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি জানান, আঘাড়ি সরকারে থেকে কাজ করতে অনেকদিন থেকেই সমস্যা হচ্ছিল। তাঁর ওপর ভরসা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিন্ডে। তাঁর দাবি, পুরো টার্ম নয়, অর্ধেক সময়ের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সেই শর্তেই তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আঘাড়ি সরকার গড়তে দিতে রাজি হয়েছিলেন বিধায়করা।

    আরও পড়ুন : বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে শিবসেনার ৫০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যাঁরা তাঁর ওপর ভরসা রেখেছেন এতদিন ধরে, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিদ্রোহী এই শিবসেনা বিধায়কের আশ্বাস, অনুগত বিধায়কদের বিশ্বাস এবং ভরসা কোনওদিনও ভাঙতে দেবেন না তিনি। বিধায়কদের সব কেন্দ্রে উন্নয়নের কাজের ধারা জারি রাখার বার্তাও দিয়েছেন শিন্ডে। তাঁর দাবি, আগাড়ি সরকারের শাসনকালে রাজ্যে থমকে গিয়েছিল উন্নয়নমূলক কাজকর্মের ধারা। শিন্ডে জানান, এ নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কোনও সুরাহা হয়নি। এর পরেই তাঁরা বুঝে যান, এই সরকারে থেকে কাজ করা যাবে না। তার জেরেই সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। শিন্ডে বলেন, বিজেপি ও শিবসেনার আদর্শ এক। তাই বিজেপির সমর্থন নেওয়া।

     

  • Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) কাছ থেকে সরকার গড়ার বিষয়ে প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। অন্তত এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শিন্ডেকে বিদ্রোহী বলতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিয়ার বলেন, আমরা কাউকে বিদ্রোহী বলে মনে করি না। তাঁর প্রশ্ন, শিন্ডের সঙ্গে যদি মোট বিধায়কের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকে, তাঁকে বিদ্রোহী বলি কী করে?

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা বর্তমানে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একটা বড় ঝাঁক শাসক জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি (MVA) ছেড়ে বেরিয়ে যান। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে হবে শিবসেনাকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে শিন্ডের বিরোধ বাঁধে। এর পরেই জোট ছেড়ে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। আসামের হোটেল থেকেই শিন্ডে জানিয়েছিলেন, তাদের পিছনে একটি জাতীয় দলের সমর্থন রয়েছে। যদিও, পরে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শিন্ডে বলেন, আমাদের পিছনে বালাসাহেব ঠাকরের শক্তি রয়েছে।

    বিজেপি অবশ্য শিবসেনার এই সংকটকে প্রথম থেকেই তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠনের যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে বলে ফড়নবিশের বাড়িতে বৈঠকের পরে জানান সুধীর। তিনি বলেন, প্রতিদিনের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে বিজেপি। 

    প্রসঙ্গত, সোমবারই একনাথ শিবিরকে স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দলবিরোধী আইনের আওতায় বিদ্রোহী ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করতে উদ্যত হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। পাল্টা বিদ্রোহী পক্ষের তরফে ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব বিধানসভাতেই পেশ করা হয়। ডেপুটি স্পিকার তা খারিজ করেন। 

    দলবিরোধী নোটিশ প্রাপ্তি এবং অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ— এই দুই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় একনাথ শিবির। গতকাল শুনানিতে ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) জিরওয়ালের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, শিন্ডে-সহ বিধায়কের বিরুদ্ধে ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের মহাসংকটের মধ্যেই এবার শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করল রাজ ঠাকরে শিবির। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সুপ্রিমো রাজ ঠাকরের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন শিন্ডে। গত দু দিনে অন্ততঃ দুবার দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    অন্যদিকে, বালাসাহেব ঠাকরে ছবি দিয়ে তার সঙ্গে শিন্ডের কাজে প্রশংসা করে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুত্ব ফর এভার। গর্ব করেন বলুন, আপনি হিন্দু। আপনাকে আমরা সব ধরনের সমর্থন জানাব। পোস্টারটি কারা সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

    মৃত্যুর এক দশক পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন প্রয়াত বালাসাহেব!

     

  • Credit Card: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    Credit Card: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) নিয়ে একাধিক নতুন নিয়মের ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। ১ জুলাই থেকেই ক্রেডিট কার্ডের এই পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে একাধিক নিয়ম বদলের জন্য সম্প্রতি আরও কিছু সময় দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় যে, ক্রেডিট কার্ডে পরিবর্তন আনার সময় ১ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ১ অক্টোবর করা হল।

    আরও পড়ুন: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    তবে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন এসেছে জানেন কি?

    আরবিআই-এর  নতুন নিয়ম অনুসারে, আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার পর ৩০ দিনের মধ্যে সেটি অ্যাক্টিভেট না করেন, তবে ব্যাঙ্ক বা যেই সংস্থা থেকে কার্ডটি ইস্যু করা হয়েছে সেখান থেকে কার্ড ব্যবহারকারীর কাছে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে কার্ডটি অ্যাক্টিভ করার জন্য। সেইসময়ে যদি কার্ড ব্যবহারকারী কার্ডটি অ্যাক্টিভ করার অনুমতি না দেয়, তবে সাত দিনের মধ্যে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এতে কোনো সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। আবার ক্রেডিট লিমিট বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কার্ড ইস্যু করার ব্যাঙ্ক বা সংস্থাকে গ্রাহকের থেকে অনুমতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    এপ্রিল মাসেও ক্রেডিট-ডেভিট কার্ড নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আর এই নিয়মগুলো সমস্ত ব্যাঙ্ক কে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। আরও জানানো হয়েছে যে ক্রেডিট কার্ডের বিলিং সাইকেল আগের মাসের ১০ তারিখ থেকে পরের মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের বিলিং পেমেন্টের বিস্তারিত বিষয় গ্রাহকের মেলে পাঠাতে হবে এবং এতে দেরী করা চলবে না। ব্যাঙ্কগুলোকে এদিকেও নজর রাখতে হবে যে গ্রাহকদের বিল মেটানোর সময় যাতে দেওয়া হয়, কমপক্ষে গ্রাহকরা যেন হাতে ১৫ দিনের মত সময় পান। এছাড়াও গ্রাহকরা ঠিক সময়ে বিলিং-এর বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে আরবিআই-এর তরফ থেকে।

  • DA Hike for Central Govt Employee: জুলাইয়েই ডিএ বাড়াতে পারে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?

    DA Hike for Central Govt Employee: জুলাইয়েই ডিএ বাড়াতে পারে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের (Central Government Employee) জন্যে সুখবর। জুলাই মাসেই বাড়তে চলেছে মহার্ঘ  ভাতা (Dearing Allowance)। সূত্রের খবর, ৫% অবধি মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) বাড়াতে পারে কেন্দ্র সরকার। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ৩৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন, এবার ৩৯% হারে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন মুদ্রাস্ফীতিকে নজরে রেখে জুলাই মাসেই সুখবরটি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বছরে দুবার, জানুয়ারি ও জুলাই মাসে ডিএ বৃদ্ধি করে সরকার। গত জানুয়ারিতে এআইসিপিআই (AICPI)- এর উপর ভিত্তি করে ৩% ডিএ বেড়েছে। এ বছর এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৭৯ শতাংশ। যা গত আট বছরে সর্বোচ্চ। তাই মনে করা হচ্ছে ফের জুলাইয়েই বর্ধিত ডিএ- র ঘোষণা করবে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের পাওয়া ফ্রি স্যাম্পল, উপহারও আসতে চলেছে টিডিএস-এর আওতায়?   

    ডিএ বাড়লে কী হারে বাড়বে বেতন?

    বিভাগ অনুসারে বেতন ম্যাট্রিক্স করা হয়েছে সপ্তম পে কমিশনে। তাই খুব সহজেই হিসেব করা যেতে পারে কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের বেতন। ডিএ বাড়ানোর পর বেতন কত বাড়বে, তা নির্ভর করবে সরকারি কর্মীর মূল বেতন কত তার ওপর। বেতন ম্যাট্রিক্স ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের সঙ্গে সংযুক্ত। সরকারি কর্মীদের বেতন বর্তমানে ২.৫৭ গুণ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?   

    বেসিক বেতন কাঠামো
     
    সপ্তম পে কমিশন অনুসারে, বর্তমানে, কর্মীদের পে ম্যাট্রিক্স লেভেল ৩ থেকে মূল বেতন কাঠামো তৈরি করা হয়। এটি ২১,৭০০ টাকা থেকে শুরু হয় এবং সর্বাধিক ৬৯,১০০ টাকা পর্যন্ত যায়৷ ধরা যাক দিল্লিতে কর্মরত একজন সরকারি কর্মীর মূল বেতন প্রতি মাসে ২১ হাজার ৭০০ টাকা। এখন এর সঙ্গে সব ধরনের ভাতা যোগ করা হবে। ২১ হাজার ৭০০ টাকা মূল বেতনে বর্তমানে পাওয়া ৩৪ শতাংশ ডিএ অনুসারে, তাঁর বেতনের সঙ্গে ৭,৩৭৮ টাকা যোগ হবে।  

    এরপর শহর অনুযায়ী মূল বেতনের ২৭ শতাংশে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাওয়া যায়। এইভাবে ৫,৮৫৯ টাকা যোগ হবে। গ্রেড-৩ কর্মী ৩,৬০০ টাকা ভ্রমণ ভাতা পান। এই টাকা যোগ করলে মোট মাসিক বেতন হবে ৩৮,৫৩৭ টাকা।  

    এবার কেন্দ্র যদি আগামী মাসে পাঁচ শতাংশ ডিএ বাড়ায়, তাহলে তা হবে ৩৯ শতাংশ এবং কর্মীদের বেতন বাড়বে মাসে ১,০৮৫ টাকা। ডিএ ৭,৩৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৮,৪৬৩ টাকা হবে। ডিএ বাড়লে উপকৃত হবেন ৫০ লক্ষ কর্মী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী।  
     
    বর্তমানে সরকার ৩৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে। এআইসিপিআই সূচকের তথ্য বলছে, এবার ডিএ ৪-৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। 

     

  • Maharashtra political crisis: দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    Maharashtra political crisis: দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও কোণঠাসা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। দল চাইলে ইস্তফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দলে ভাঙন ঠেকাতে পারছেন না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে আরও তিন শিবসেনা (Shivsena) বিধায়ক উড়ে গিয়েছেন আসামের (Assam) গুয়াহাটিতে। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে পৈত্রিক ভিটে মাতশ্রীতে ফিরে গিয়েছেন উদ্ধব।

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। শিন্ডের দাবি, কংগ্রেস, এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। তাঁর সঙ্গে দলীয় ৪০ জন বিধায়ক ও ৬ নির্দলের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি শিন্ডের। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ফের ৩ বিধায়ক উড়ে যান গুয়াহাটিতে।

    শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন না। তবে উদ্ধবের সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিধায়ক নেই বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কারণ যে ৩ বিধায়ক গুয়াহাটির হোটেলে গিয়ে উঠেছেন, তাঁরা যদি শিন্ডের শিবিরে নাম লেখান, তাহলে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলীয় বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৯। আর একজন বিধায়ক শিন্ডের দলে নাম লেখালেই কেল্লাফতে। কারণ বিধানসভায় শিবসেনার সদস্য সংখ্যা ৫৫। তার পর তিনি যদি দাবি করেন, উদ্ধব নন, তিনিই শিবসেনার আসল নেতা, আইন অনুযায়ী সেটাই মেনে নিতে বাধ্য হবেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন : সঙ্কট আরও ঘনীভূত, বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    পরিস্থিতির মোকাবিলায় কংগ্রেস ও এনসিপির তরফে শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শিন্ডে তাতে রাজি হবেন না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    কংগ্রেস-শিবসেনার চালকে সমর্থন করে বুধবার রাতেই সপরিবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ষা ছেড়ে পৈত্রিক ভিটে মাতশ্রীতে ফিরে গিয়েছেন উদ্ধব। শিবসেনারা যে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, তা প্রমাণ করতে মুম্বইয়ের রাস্তায় হাজার হাজার শিব সৈনিককে নামিয়ে ক্ষমতাও প্রদর্শন করেছেন উদ্ধব। করোনা সংক্রমিত মুখ্যমন্ত্রী এটা করতে পারেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কোভিড বিধি ভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই জোরালো হয়েছে পালাবদলের জল্পনা। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন তিনি।

     

  • LeT Terrorist: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা

    LeT Terrorist: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিকে (Terrorist) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেরাই আটক করলেন জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রিয়াসি (Reasi) জেলার তুকসান ধোক (Tukson Dhok) গ্রামের বাসিন্দারা। সন্ত্রাসবাদীদের তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। নিরাপত্তা বাহিনীর খাতায় এই দুই জঙ্গিরই নাম ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় ছিল। তাদের কাছে মজুত ছিল একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেডের মতো ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তা সত্ত্বেও পিছপা হননি গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য ছাড়াই তাঁরা করে ফেললেন অসাধ্য সাধন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, ৩ জুলাই।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি  

    একাধিক ট্যুইট করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই অসীম সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জম্মুর এডিজিপি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘অসীম সাহসের জন্য রিয়াসি জেলার তুকসান ধোক গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানাই। এলইটি-র দুই জঙ্গিকে গ্রামবাসীরা অস্ত্রসহ আটক করেছে। ২টি একে৪৭ রাইফেল, ৭টি গ্রেনেড এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মুর ডিজিপি গ্রামবাসীদের জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।’ 

    আরও পড়ুন: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পৃথক পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষ এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নদগ পুরস্কার দেবে।’      

    কিছুদিন আগেই রাজৌরি জেলার এক এলাকায় লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটির সন্ধান পেয়েছিল জুম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সন্ধান মিলেছিল। ওই অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। পুলিশ তালিবকে পলাতক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তার খোঁজে পুরস্কারের ঘোষণাও করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তালিব হুসেনের সঙ্গে কাসিম নামে এক পাকিস্তানি লস্কর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এছাড়া, কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে।      
      

LinkedIn
Share