Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • CDS Anil Chauhan: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    CDS Anil Chauhan: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক (Chief Of Defence Staff ) বা সিডিএস (CDS) হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনিল চৌহান (Retd Lt General Anil Chauhan)। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়তের (General Bipin Rawat) উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু সিডিএস বা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফই নয়, অনিল চৌহানের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের কাজ ও সেনা স্তরীয় কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে একথা। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ৯ মাস পর নতুন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পেল ভারত।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ভারতীয় সেনায় (Indian Army) ১১ গোরখা রাইফেলসের (11 Gorkha Rifles) সদস্য ছিলেন অনিল চৌহান। বহু বছর নর্দার্ন কমান্ডের বারামুলা সেক্টরে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফলে কাশ্মীর সম্পর্কে তাঁর ধারণা যথেষ্ট ভাল। তাঁর ৪০ বছরের কেরিয়ারে কাশ্মীরই শুধু নয়, উত্তর পূর্বের অনুপ্রবেশ ঠেকানোতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌহান ২০২১ সালের মে মাসে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধানের (General Officer Commanding-in-Chief, Eastern Command) পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণকারী অনিল চৌহান এককালে দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিললিটারি অ্যাকাডেমি (IMA), ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (NDA) ছিলেন। এছাড়াও ভারতীয় সেনায় স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রেও তিনি বিভিন্ন পদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা ইস্যুর ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ নাম হয়ে উঠতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট 

    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে এক সামরিক হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে ভারতের সামরিক বাহিনীর এই সর্বোচ্চ পদটি ফাঁকাই ছিল। সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা– এই তিন পরিষেবার মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে আসার জন্যই এই নতুন পদটি তৈরি করা হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Central Bureau of Narcotics: হিমাচল প্রদেশে ১,০৩২ হেক্টর জমির গাঁজা ধ্বংস করল সিবিএন

    Central Bureau of Narcotics: হিমাচল প্রদেশে ১,০৩২ হেক্টর জমির গাঁজা ধ্বংস করল সিবিএন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কুল্লুতে দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা একটি অভিযানে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স (CBN) এর আধিকারিকরা ১,০৩২ হেক্টর (১২,৯০০ বিঘা) গাঁজার (Cannabis) ক্ষেত ধ্বংস করেছেন।    

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পর, সিবিএন-এর আধিকারিকদের দল গঠন করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়। ওই আধিকারিকরা গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করেন এবং অবৈধ চাষাবাদ হচ্ছে যে এলাকায় সেই এলাকাকে সনাক্ত করেন। পরবর্তীকালে, জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স- এর কমিশনার রাজেশ এফ ধবরে। 

    আরও পড়ুন: ঔপনিবেশক অতীত ঝেড়ে ফেলার পথে ভারতীয় সেনা? 

    সিবিএন অফিসাররা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে একটি দ্বিমুখী পন্থা গ্রহণ করেছে। শরীর ও মনে মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে কমিউনিটি মোবিলাইজেশন পন্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এনডিপিএস আইন এবং এর শাস্তিমূলক বিধানগুলির বিষয়েও গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা অবৈধ চাষাবাদ ধ্বংস করতে সিবিএন আধিকারিকদের সহায়তা করেন বলেও জানিয়েছেন কমিশনার ধবরে। 
     
    তিনি আরও জানান, সংবেদনশীল স্থানগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য জিপিএস কোঅর্ডিনেট ব্যবহার করা হয়েছিল এবং অবৈধ গাঁজা চাষের এলাকা সনাক্তকরণ এবং নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এতেই এসেছে এত বড় সাফল্য। তিনি আরও বলেন, “মিশন ক্র্যাকডাউন এভাবেই দেশের অন্যান্য অংশে জোরালোভাবে চলতে থাকবে এবং সিবিএন মাদকের বিরুদ্ধে লড়তে সম্পূর্ণরূপে  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”    

    আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    হিমাচল প্রদেশে গাঁজা চাষের ঘটনা এই প্রথম নয়। ক্যানাবিস হচ্ছে ঐ অঞ্চলের প্রাচীনতম ফসলের একটি। এ থেকেই গাঁজা তৈরী হয়। এর আগেও এই এলাকায় গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই বন্ধ্যা মাটিতে অন্য কোনও চাষ হয় না। তাই বাধ্য হয়েই এই অবৈধ কাজে নামতে হয় তাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হল বাচ্চাদের পাউডার (Powder) প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনজন্সের (Johnson & Johnsons) লাইসেন্স। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) ওই লাইসেন্স বাতিল করে। সদ্যজাত শিশুদের (New-born Babies) ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এই পাউডার। তার জেরে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    দেশজুড়ে সদ্যজাত শিশুদের পাউডারের বাজারে একচেটিয়া রাজ করে জনসন অ্যান্ড জনসন্সের পাউডার। টিভি রেডিওয় ঘন ঘন বিজ্ঞাপণের দেওয়ার দরুণ লোকমুখে দ্রুত প্রচারিত হয়ে যায় এই পাউডারের সুখ্যাতি। তার পর থেকে ঘরে ঘরে দেখা যেতে থাকে এই পাউডার। এবার সেই পাউডারই পাশ করেনি মহারাষ্ট্র সরকারের পরীক্ষায়! মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাগারে পরীক্ষার সময় ওই কোম্পানির পাউডারে যে পরিমাণ পিএইচ ভ্যালু থাকার কথা, তা ছিল না। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কারণ কলকাতা ভিত্তিক সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরির রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সেখানে পাঠানো পাউডারের নমুনা পিএইচ ভ্যালুর নিরিখে আইএস ৫৩৩৯:২০০৪ মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি। এটা জানার পরেই বাতিল করা হয়েছে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স।

    আরও পড়ুন : ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    মহারাষ্ট্র সরকারের ওই বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল নাসিক ও পুণে থেকে। নমুনা সংগ্রহ করেছিল মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই দেখা যায়, যে মাপকাঠি সরকারের তরফে রাখা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি ওই পাউডার। তাই এই পাউডার ব্যবহার করলে শিশুদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে ওই কোম্পানিকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাজারে ওই কোম্পানির যত পাউডার রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে এই রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কোম্পানির কর্তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Gogra Hot Spring: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্মাণ সরিয়েছে চিন, এমনই ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    Gogra Hot Spring: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্মাণ সরিয়েছে চিন, এমনই ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে পূর্ব লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন (China)। কিছুদিন আগের ছবিতে চিনের এক বড় নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছিল ওই এলাকায়। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে ওই নির্মান আর নেই। বরং ওই এলাকার মাটিতে গর্তও ধরা পড়েছে। নির্মান ভেঙে ফেলেছে চিন। 

    সরকারের দেওয়া খবর অনুযায়ী, একেবারে পরিকল্পনামাফিকই পূর্ব লাদাখের গোগরা হট স্প্রিং থেকে ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। নিয়ম মেনে দুপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করেছে। 

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যে বিন্দুগুলি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার সবকটির সমাধান পাওয়া গিয়েছে। বাকি ছিল এটিই। সূত্রের খবর, পিপি-১৫ তো বটেই, গোটা পূর্ব লাদাখ সেক্টর থেকেই সেনা সরানোর বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল বেজিং-ই। ভারত যদিও খুব বেশি তাড়াহুড়ো দেখায়নি।       

    ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় ভারত-চিন। তারপর সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্কও তলানিতে পৌঁছায়। শান্তি ফেরাতে তার পর থেকে দফায় বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তার উপর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা সেনার নানা ধরনের নির্মাণের খবরে জল্পনা দানা বাঁধে। লাদাখে যে সমস্ত এলাকায় অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, সেনা পর্যায়ের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে এর আগেই জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। অস্থায়ী সেই কাঠামো ভেঙে ফেলা ব্যাপারে দুই দেশের সেনা সম্মত হয়েছে বলে জানান তিনি। কথা রেখেছে দুই দেশই। ৮-১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশই। ১৬ তম বৈঠকে দুই দেশেরে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় দু-তরফই যে অস্থায়ী নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্ট্যান্ড-অফের আগে ওই এলাকার যা গঠন ছিল, তাতেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ঠিক এমনটাই দেখা গিয়েছে উপগ্রহ চিত্রেও।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Agnipath Scheme: অগ্নিপথ প্রকল্প আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল, বললেন নৌসেনা প্রধান

    Agnipath Scheme: অগ্নিপথ প্রকল্প আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল, বললেন নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ (Agnipath Scheme) প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার (R Hari Kumar)। তিনি বলেন, “অগ্নিপথ একটি অসাধারণ প্রকল্প। বহু আলোচনা এবং গবেষণা পর আনা হয়েছে এই প্রকল্প।” তিনি বলেন, “এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০২০ সালে। দুবছর পর বাস্তবায়িত করা হয় প্রকল্পটিকে।” তিনি আরও বলেন, “এটি একটি দুর্দান্ত প্রকল্প। বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্পটি। অনেক বছর আগে বাস্তবায়িত করা উচিত ছিল।” 

    আরও পড়ুন: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    অ্যাডমিরাল কুমার বলেন, “কার্গিল পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্টে একটি সুপারিশ রয়েছে যে সশস্ত্র বাহিনীর সেনা জওয়ানদের বয়স কম হওয়া উচিৎ। সেই সময়ে গড় বয়স ছিল ৩২ বছর। সুপারিশে বলা হয়েছিল, এই বয়স হওয়া উচিৎ ২৫-২৬ – এর মধ্যে। তারপর থেকেই কীভাবে সশস্ত্র বাহিনীতে সেনাদের গড় বয়স কমিয়ে আনা যায় সেই নিয়ে পর্যালোচনা চলছিল। বিকল্প খোঁজা হচ্ছিল। এই নিয়ে বহু আলোচনা, বিতর্কের পর আনা হয়েছে এই প্রকল্প।”  

    গত ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই প্রকল্পের অধীনে চার বছরের জন্য সেনাতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই চার বছরের কাজের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়োগের প্রথম কিস্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখায় ৪৫,০০০ এর বেশি নিয়োগ হবে। সরকারি তরফে তাঁদের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা, বিমা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নয়! রয়েছে নানা সুযোগ

    চার বছর পর এই সৈন্যদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল রাখা হবে। তাঁরা ক্যাডারে নিযুক্ত হয়ে আরও ১৫ বছর নন-অফিসার পদে চাকরি করতে পারবেন।জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়াদে চাকরি চলে যাওয়ার আনুমানিক ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ সেনাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার নয়া তারিখ ধরে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। সেই তারিখের ভিত্তিতেই বেতন এবং পেনশন পাবেন সেনারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • PFI: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই?  দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    PFI: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই? দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএফআই নিয়ে শীর্ষ স্তরের বৈঠকে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এবার পিএফআই-কে ইউএপিএ আইনের আওতায় দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার জন্য জোরকদমে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে এই শীর্ষ স্তরের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন এনআইএ ডিজি, ইডির প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। এই বৈঠকে পিএফআই-কে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। 

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    সোমবার রাত থেকেই পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয়। দেশের আটটি রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA) এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা।  প্রথম দফার অভিযানের পর দ্বিতীয় দফাতে এখনও পর্যন্ত ২৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানী দিল্লির রোহিনী, নিজামুদ্দিন, জামিয়া মিলিয়া চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা, শাহিনবাগে নেমেছে আধাসেনা।  রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি, অসম, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশের ১৩টি রাজ্যে অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। সেই অভিযানে ধৃত ১০৬ জন পিএফআই নেতার থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার আবার অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    প্রসঙ্গত, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ এর ৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, দেশে ৪২ টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সংগঠন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে, বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে তাহলে সেই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য় করা হবে। এবার সেই আইনের আওতায় ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রস্তাব করতে পারে ইডি ও গোয়েন্দা সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gold, Silver Price: সোনা কেনার সুবর্ণ সুযোগ! পুজোর আগে দাম কমল সোনা, রুপোর

    Gold, Silver Price: সোনা কেনার সুবর্ণ সুযোগ! পুজোর আগে দাম কমল সোনা, রুপোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে খুশির খবর। ফের দাম কমল সোনার (Gold Price)। ফলে পুজোর আগে সোনার গয়না কিনে ফেলার এটিই দারুণ সুযোগ। প্রায় অনেকদিন ধরেই সোনার দাম কমছিল। কিন্তু মঙ্গলবার অল্প পরিমাণে দাম বেড়েছিল। কিন্তু আবার লক্ষ্মীবারে ফের কমে গিয়েছে। তবে এবারে সোনার দাম গত ৭ মাসে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি কমেছে রুপোর দামও।

    ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX), সোনা ০.২৫ শতাংশ কমে প্রতি ১০ গ্রামে (আজ সোনার দাম) ৪৯,৩২১ টাকার স্তরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রুপোর দামও ০.৪ শতাংশ কমেছে। দাম কমার পর প্রতি কেজিতে রুপোর দাম হয়েছে ৫৭,০৫৯ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ১ শতাংশ কমেছে। সোনার দাম বর্তমানে প্রতি আউন্সে ১,৬৫৬.৯৭ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে, আন্তর্জাতিক বাজারে রুপোর দাম ১.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রুপোর দাম আজ প্রতি আউন্সে ১৯.২৬ ডলার হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্লাটিনামের দাম ১.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ও এর দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্সে ৮৯৭.৯২ ডলার। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তিনটি ধাতুরই দাম কমেছে। তাই এটিই সুবর্ণ সুযোগ।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    চলতি মাসেই একটা সময় কলকাতার বাজারে ১০ গ্রাম হলমার্ক সোনার গয়নার দাম ৫০,০০০ টাকার কাছে ওঠানামা করছিল। সেখানে এখন ১০ গ্রাম হলমার্ক সোনার গয়নার দাম নেমে গিয়েছে ৪৯ হাজারের কাছাকাছি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কয়েকদিন পর থেকেই উৎসবের মরশুম আসতে চলেছে। ফলে ধনতেরাস, নবরাত্রীর মত উৎসবে সোনা-রুপার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সোনা-রুপার দামও ফের বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা এও মনে করেছেন যে, তখন সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়ে যাবে।  

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Yogi Adityanath Temple: অযোধ্যায় তৈরী হল যোগী আদিত্যনাথের মন্দির, সকাল-সন্ধ্যা চলে আরতি, গাওয়া হয় ভজন

    Yogi Adityanath Temple: অযোধ্যায় তৈরী হল যোগী আদিত্যনাথের মন্দির, সকাল-সন্ধ্যা চলে আরতি, গাওয়া হয় ভজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে অযোধ্যায় (Ayodhya) তৈরি করা হল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্দির (Yogi Adityanath’s Temple)। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেই, ভরতকুণ্ড এলাকায় তৈরি করা হল তাঁর মন্দির। শুধুমাত্র মন্দির নির্মাণ নয়, সেই মন্দিরে যোগী আদিত্যনাতের মূর্তিকে সকাল-সন্ধ্যা রীতিমতো পুজো করা হয়। পুজোর পর ভোগ দেওয়া হয় ও ভজনও গাওয়া হয়।

    প্রভাকর মৌর্য নামে উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন। অযোধ্যা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে ভরতকুণ্ডের কাছে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। কথিত রয়েছে, যোগীর নামে মন্দিরটি সেই জায়গায় তৈরি করা হয়েছে যেখানে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছরের জন্য বনবাসে যাওয়ার সময় ভাই ভরত দাদার খড়ম রেখেছিলেন। সেই কারণে স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    প্রভাকর মৌর্য জানিয়েছেন, ২০১৫ সালেই তিনি ঠিক করেছিলেন যে, অযোধ্যায় যিনি রাম মন্দির স্থাপন করবেন, তাঁর পুজো করবেন। তাই যেহেতু রাম মন্দির তৈরিতে যোগী আদিত্যনাথের অনেক ভূমিকা রয়েছে, তাই প্রভাকর যোগীজির মূর্তি স্থাপন করে মন্দির বানিয়েছেন ও সেখানে পুজো করেন। তিনি বলেন ‘যোগী আদিত্যনাথ আমাদের জন্য রাম মন্দির তৈরি করেছেন। তাই আমি তাঁর জন্য এই মন্দির নির্মাণ করেছি।’

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যোগীজিকে রামের অবতারে দেখেন ও সেভাবেই পুজো করেন। এমনকি ভগবান রামের সামনে যেমন সকলে মন্ত্র পড়েন, সেই রকমভাবেই তিনি রোজ যোগী আদিত্যনাথের সামনে বসে মন্ত্র উচ্চারণ করেন। যোগী মহারাজের উচ্চতা ৫.৪ ফুট এবং তাই তাঁর মূর্তিটিও বড়। নির্মাণের সময় মূর্তির পোশাকের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। কারণ যোগী আদিত্যনাথ যে পোশাক পরেন তেমনই পোশাক মূর্তিটিকেও পরানো হয়েছে। এই মূর্তিতে দেখা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের হাতে তির ও ধনুক রয়েছে।

    আরও জানা গিয়েছে, যোগীজির পুজো করার সময়ে যেসব ভজন গাওয়া হয় তা সবই প্রভাকর মৌর্য নিজে লিখেছেন। এমনকি এই স্থানটি প্রচার করার জন্য ভজনগুলির অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট তৈরি করা হচ্ছে৷ মূর্তিটি নির্মাণ মৌর্যর এক বন্ধু বানিয়েছিলেন এবং এটি বানাতে তাঁর প্রায় ২ মাস সময় লেগেছিল।

  • SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিফর্ম (Uniform) চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) মামলার শুনানিতে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnatak High Court)। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, ইউনিফর্ম পরার ওপর জোর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    আরও পড়ুন : বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার আবেদনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর যুক্তি, সরকারি স্কুলগুলি পোশাক বিধি চালু করতে পারে। তবে তারা হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ইউনিফর্ম চালু করার ক্ষমতা রয়েছে। হিজাব এর থেকে আলাদা। ভূষণ বলেন, হিজাব পরা কোরানে বাধ্যতামূলক নয়। তবে বহু মুসলিম মহিলা এই প্রথা মেনে আসছেন। তাই এটা নিষিদ্ধ করা যায় না। আইনজীবী সোয়েব আলম বলেন, সরকার যদি হিজাব রেস্ট্রিক্ট করতে চায়, তবে তাকে তা করতে হবে আইনের পথেই।

    ওই মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এর (হিজাব বিতর্কের) একটা পথ হল কোরানের ব্যাখ্যা দেওয়া। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ জানায়, আমরা কোরানের ব্যাখ্যাকর্তা নই। আমরা এটা করতে পারি না। ধর্মীয় কোনও শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কোর্টের নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ghulam Nabi Azad: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ

    Ghulam Nabi Azad: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন সদ্য কংগ্রেসত্যাগী রাজনীতিবিদ। গুলাম নবি আজাদ বলেন, “কোনও কিছুতেই আমি ভয় পাই না।” দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) অনন্তনাগে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে গুলাম নবি আজাদ বলেন, “আমি শুনাছি জঙ্গি সংগঠন আমায় হত্যার হুমকি দিয়েছে। ওরা বলেছে আমি নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু, ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে বলছি, জীবনে কখনও অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করিনি আমি। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে ঠিকই। তবে তা আমার কাজেরই অংশ ছিল। বহু রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গেই আমার বৈঠক হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়, কাশ্মীরে বললেন গুলাম নবি আজাদ

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আরও বলেন, “পঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীরে আমার উপর অন্তত ৫০ বার প্রাণঘাতি হামলা হয়েছে। ভগবান আমায় বাঁচিয়েছেন। কিন্তু, ঈশ্বর যদি আমার প্রাণ কেড়ে নেন তবে আমার সমস্ত নীতি আদর্শ নিয়েই দেহত্যাগ করব। মিথ্যে অপবাদ নিয়ে নয়।” জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যারা হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন, মনে রাখবেন বন্দুক কোনও সমাধান হতে পারে না। বন্দুক শুধুই ধ্বংস এবং দুঃখের কারণ হতে পারে।” 

    লস্কর-ই-তইবা (LeT) জঙ্গি সংগঠন গুলাম নবি আজাদকে সরাসরি ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণনাশের হুমকিতে আজাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বৈঠকের কথা উল্লেখ করে জঙ্গি সংগঠন। লস্করের (LeT) শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’-এর পক্ষ থেকে এই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই পোস্টারে এও বলা হয়েছে  পরিকল্পনা করেই কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদ। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী লিখেছে, “বিশ্বাসঘাতকের হৃদয় কখনও বিশ্বস্ততা দেখাতে পারে না। কেবল বিশ্বাসযোগ্য সাজার ভান করতে পারে মাত্র।” প্রসঙ্গত, গত ২৬ অগস্ট কংগ্রেসের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দল ছাড়ার সময় সরাসরি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁকে ‘শিশুসুলভ’ এবং ‘অপরিণত’ বলে আক্রমণ করেন।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ! জানেন কী বললেন তাঁর অনুগামী  

    শোনা গিয়েছে খুব শিগগিরি নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মাটিতেই শুরু করবেন রাজনীতির নতুন অধ্যায়। এর মধ্যেই এক জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকির মুখে পড়তে হল তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উপত্যকায়।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share