Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet Muhammad) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) তীব্র সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। কিন্তু এবার নূপুর শর্মার হয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিরোধিতায় কলম ধরলেন ১৫ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার  (Bureaucrats)।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের   

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পাদ্রিওয়ালা রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন নূপুর শর্মাকে। দেশেজুড়ে হিংসার জন্য তাঁকেই দায়ী করেন তাঁরা। বিচারপতিরা বলেন, “সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পাদ্রিওয়ালা।

    আরও পড়ুন: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ  

    নূপুর শর্মা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এফআইআরগুলি একত্রিত করে দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদন জানান। আদালত ১ জুলাই তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি নূপুর শর্মার ‘লাগামহীন জিভ’ হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী, এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।   

    এই মন্তব্য ঠিক নয় বলে খোলা চিঠিতে জানান ১১৭ জন প্রাক্তন আমলা। তাঁরা লেখেন, “ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, চেতনা এবং সারমর্মের উপর এই মন্তব্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি কোনও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য নয় এবং সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতা এবং সম্মানকে প্রভাবিত করে এই মন্তব্য।”   

    চিঠিতে আরও লেখা হয়, “দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় দুর্ভাগ্যজনক ও নজিরবিহীন। এই মন্তব্যের সঙ্গে দেশের বিচারবিভাগের কোনও সামঞ্জস্য নেই। ইতিহাসের পাতা ওল্টালেও এমন তথ্য পাওয়া যাবে না। ইস্যুটির সঙ্গে পর্যবেক্ষণগুলির কোনও সংযোগ নেই।” 

    প্রাক্তনদের চিঠিতে নূপুর শর্মাকে কেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি প্রশাংসা পাওয়ার যোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে। নূপুর শর্মা ইস্যুতে মন্তব্য সর্বোচ্চ  আদালতের পবিত্রতা আর সম্মানকে প্রভাবিত করবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।    

    এই চিঠিতে মোট ১১৭ জন স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ক্ষিতিজ ব্যাস, গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএম সোনি, রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরএস রাঠোর, প্রশান্ত আগরওয়াল, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএন ধিংরা। প্রাক্তন আইএএস অফিসার আরএস গোপালন এবং এস কৃষ্ণ কুমার, প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ অফিসার এসপি বৈদ এবং পিসি ডোগরা, অবসরপ্রাপ্ত  লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে চতুর্বেদী ও প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এসপি সিং।

     

  • Let Terrorist: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

    Let Terrorist: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এর আগেও এখানে আতঙ্কবাদীরা এসেছে। কিন্তু আমাদের বড়রা তাদের সঙ্গে লড়াই করে তাড়িয়েছে। আমরা আর আতঙ্কবাদকে ফিরতে দেব না।” কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তুকসান গ্রামের এক বাসিন্দা দৃপ্ত কন্ঠে এই প্রতিজ্ঞা করেন। একদিন আগেই দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিকে (Terrorist) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আটক করেছেন এই তুকসান ধোক (Tukson Dhok) গ্রামের বাসিন্দারা। এই সাহসী কাজের জন্যে সরকারের তরফ থেকে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা  

    কাশ্মীরের এই ছোট্ট গ্রামটিতে ৩০০-৩৫০ পরিবারের বাস। ৫০ বছর আগেই এই অঞ্চল থেকে বহু মুসলিম পরিবার অন্যত্র গিয়ে বাসা বেঁধেছে। গরমে এই গ্রামের বাসিন্দারা গবাদি পশুদের নিয়ে চলে যায় উপেক্ষাকৃত উঁচু অঞ্চলে। শীতকালে আবার ফিরে আসে তারা। এখানেই পাকড়াও করা হয় ওই দুই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে।

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় খতম ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    ওইদিন জঙ্গি পাকড়াও -এর ঘটনায় জড়িত থাকা এক যুবক বলেন, “কিছুদিন আগেই ওই দুই ব্যক্তি এসে থাকতে শুরু করে গ্রামে। নিজেদের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয় তারা। যার বাড়িতে  থাকত সেই বাড়ির মালিককে ফোন সুইচ অফ করতে বলে। তাতে ওই ব্যক্তির সন্দেহ হয়। রাত ১০ নাগাদ ওই ব্যক্তি কোনও রকমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ভাইকে ফোন করে। ভাই পেশায় ট্রাক চালক। ব্যক্তিটি ভাইকে জানায় সন্দেহভাজনদের কথা। এও বলে যে তার প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। তারপর সেই ট্রাক চালক গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। চলে পরিকল্পনা। সবাই রাতের বেলায়  ওই বাড়ির বাইরে জড়ো হয়। ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা । ৫টা নাগাদ জানালা দিয়ে  জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে পড়ে গ্রামবাসীরা। তখনও ঘুমোচ্ছিল ওই জঙ্গিরা। কয়েকজন ওদের সামনে রাখা ব্যাগগুলি সরিয়ে দেয়। বাকিরা মিলে ওই দুজনকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলে। তারপরেই স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”   

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষ এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম্য শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দেবে।’ 

      

  • Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহে পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটি (Bundelkhand Expressway) পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। বুন্দেলখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগসাধনের জন্যেই ২৯৬ কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এই কাজের জন্যে ৩৬ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল যোগী সরকার (Yogi Adityanath Government)। কিন্তু কোভিডকালেও মাত্র ২৮ মাসেই শেষ হয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ। আগামী ১২ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। 

    আরও পড়ুন: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    রাস্তা তৈরিতে যে শুধু সময় বাঁচিয়েছে যোগী সরকার তাই নয়, বেঁচে গিয়েছে বেশ কিছু টাকা। বরাদ্দ টাকা থেকে ১,১৩২ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে যোগী সরকার। যা বরাদ্দ মোট টাকার প্রায় ১২.৭২%। এই মুহূর্তে এই এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের হলেও, ভবিষ্যতে ৬ লেনের করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাজ্যের সাত জেলার মধ্যে যোগাযোগ ঘটাবে এই রাস্তা। 

    প্রধানমন্ত্রী ওইদিন এক্সপ্রেসওয়ে ধরে জালালুন জেলার কাথেরি গ্রামে গিয়ে রাস্তার উদ্বোধন করবেন। এই এক্সপ্রেস ওয়ের অন্যতম বিশেষত্ব হল, ইটাওয়াতে আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেস ওয়েতে মিশবে এই রাস্তা। দিল্লি এনসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। লখনৌ থেকে বুন্দেলখণ্ডের যাত্রাও এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরে অনেকটাই সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের  

    আগামীদিনে সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই সহজ হবে যাতায়াত। চিত্রকূটে এই রাস্তা শেষ হচ্ছে জাতীয় সড়ক ৩৫-এ। ঝাঁসি এবং প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করবে এই রাস্তা। 

    ইউপি এক্সপ্রেসওয়েস ডেভলপমেন্ট অথরিটির প্রধান আনিস কুমার আবাস্তি বলেন, “এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে বুন্দেলখণ্ডের সার্বিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে। কৃষি, পর্যটন, শিল্প সবটাই সমৃদ্ধ হবে। দিল্লি এনসিআর- এর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হিসেবে কাজ করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।   

    গত বছরের নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী ঝাঁসিতে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ভারত ডায়নামিক লিমিটেডের (Bharat Dynamics Limited) শিলান্যাস করেছেন। সেক্ষেত্রে এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। 

    উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই চারটি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। নয়ডা- গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেস ওয়ে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। ১২ জুলাই পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন হতে চলেছে।   

     

     

     

  • Jagdeep Dhankar: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?  

    Jagdeep Dhankar: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে প্রার্থী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তাঁর নামে চেম্বার বরাদ্দ হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেহেতু তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী, তাই সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সেই চেম্বার ফিরিয়ে দিলেন ধনখড়। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নামে বরাদ্দ হওয়া চেম্বারটি যেন অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে দেওয়া হয়, যাঁর চেম্বারের আশু প্রয়োজন।

    এক সময় সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন জগদীপ ধনখড়। পরে বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসেন তিনি। সেই সময় তিনি আর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে পারেননি। তবে রাজ্যপাল হয়ে এ রাজ্যে আসারও বছর দুয়েক আগে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেছিলেন ধনখড়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় আইনজীবীদের। এ বছর ৪৬৮ জনকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ধনখড়ও। শেষমেশ আবেদন করার বছর পাঁচেক পরে এই সেদিন চেম্বার বরাদ্দ হয় ধনখড়ের নামে। ডি ব্লকে নিউ ল’ ইয়ার্স চেম্বারের একটি ঘর বরাদ্দ হয় তাঁর নামে।

    আরও পড়ুন : প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    এদিকে, ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এনডিএ। বিজেপি বিরোধী জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিজেপির যা শক্তি, তাতে ৬ আগস্ট ধনখড়ের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। নিয়ম অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলে আদালতে প্র্যাকটিস করা যাবে না। তাই উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে পাঁচ বছরের জন্য তিনি আর আইনজীবী হিসেবে লড়তে পারবেন না। তাই আপাতত পাঁচ বছর তাঁর চেম্বারও প্রয়োজন হবে না। সেই কারণেই চেম্বারটি সারেন্ডার করলেন ধনখড়।

    আরও পড়ুন : “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং বলেন, ধনখড়জি স্বেচ্ছায় তাঁর চেম্বারটি ছেড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ চেম্বারটি যেন অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে দেওয়া হয়, যাঁর এখনই চেম্বার প্রয়োজন। বিকাশ বলেন, ধনখড় তাঁর জন্য বরাদ্দ চেম্বারটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রাখতেই পারতেন, কিন্তু তিনি সেটি ছেড়ে দিয়েছেন স্বেচ্ছায়।

     

  • Amit Shah: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ   

    Amit Shah: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে (India) রাজ করবে বিজেপি (BJP)। দেশ হবে বিশ্বগুরু। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির (National Executive Meeting) বৈঠকে এই আশা ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। শীঘ্রই বাংলা এবং তেলঙ্গানাও পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদী অমিত।

    ১৮ বছর পর এবার ফের হায়দরাবাদে হচ্ছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। দুদিন ব্যাপী ওই বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। রবিবার বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করছিলেন শাহ। সেই সময়ই পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, খুব শীঘ্রই বাংলা এবং তেলঙ্গানা পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি পাবে। সেখানে বিজেপি জয়ী হবে।

    আরও পড়ুন : সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    এদিনের ভাষণে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলিকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, কংগ্রেস সহ বেশিরভাগ বিরোধী দল পরিবারতান্ত্রিক, নীতিহীন, দুর্নীতিগ্রস্ত, সুবিধাবাদী রাজনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগে পরিবারতন্ত্র ও তুষ্টিকরণের ভিত্তিতে ভোট হত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলেছে। বর্তমানে নির্বাচন পলিটিক্স অফ পারফরম্যান্স এবং উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে হয়।

    এদিন রাজনৈতিক প্রস্তাবে শাহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলা পরিবারতন্ত্রের কথার উল্লেখ করেন। কংগ্রেসের দিকে নিশানা তাক করে তিনি বলেন, কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। পরিবারের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে সভাপতি নির্বাচনই করছে না। অচিরেই বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশায়ও বিজেপির সরকার হবে বলে প্রত্যয়ী শাহ। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে রাজ করবে বিজেপি। দেশ হবে বিশ্বগুরু।   দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকতাবাদ, পরিবারতন্ত্র এবং তোষণবাদ চলছে বলে এদিন পেশ করা বিজেপির রাজনৈতিক প্রস্তাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতির বদল এনে বিজেপি চায় উন্নয়নের রাজনীতি, কাজ করার রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : হায়দরাবাদে শুরু বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক, কেন বাছা হল নিজামের শহর?

     

  • Maharashtra Political Crisis: শিন্ডেতেই ‘আস্থা’ মহারাষ্ট্রের! শিবসেনার পরিষদীয় নেতাও একনাথ 

    Maharashtra Political Crisis: শিন্ডেতেই ‘আস্থা’ মহারাষ্ট্রের! শিবসেনার পরিষদীয় নেতাও একনাথ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালের আস্থা ভোটে জিতে গেলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই সঙ্গে শিব সেনার (Shiv Sena) পরিষদীয় দলের নেতার পদেও বসেছেন তিনি। ফলে অস্বস্তি বাড়ল উদ্ধব শিবিরের।  মোট ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন শিন্ডে। বিজেপির (BJP) সঙ্গে হাত মিলিয়েই সরকার গড়েছেন তিনি।

    এবার মহারাষ্ট্রে শিন্ডে-বিজেপি সরকার। এদিন আস্থা ভোটে জয়ের জন্য শিন্ডের প্রয়োজন ছিল ১৪৪ ভোট। জাদু সংখ্যা (ম্যাজিক ফিগার) পার করে ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়ে শক্তিপরীক্ষায় সহজেই পাশ করলেন একনাথ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবসেনার মুখ্য সচেতক ভরত গোগাভালের হুইপের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে-পুত্র আদিত্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিভার ভোট দেননি। যার জেরে তাঁদের ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে। সমাজবাদী পার্টির দুই বিধায়ক ও এমআইএমের এক বিধায়ক ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন। শিন্ডে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ৯৯টি।

    আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    আস্থাভোটের আগের দিন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত হন রাহুল নরবেকর। ১৬৪-১০৭ ভোটে অধ্যক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি-শিন্ডে গোষ্ঠী। এরপর এদিন শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতার পদে ফেরানো হয় একনাথকে। ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উদ্ধব শিবিরের অজয় চৌধুরিকে। মুখ্য সচেতক পদ থেকেও উদ্ধব বাহিনীর নেতা সুনীল প্রভুকে সরিয়ে ভারতশেঠ গোগাভালেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে, দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরে  (Thackeray)। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নয়া স্পিকার নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যা বেড়েছে উদ্ধবের। তাঁর নিযুক্ত চিফ হুইপ ও পরিষদীয় দলনেতাকে সরিয়ে দিয়েছেন নবনিযুক্ত স্পিকার রাহুল নরবেকর। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে  শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্ধব। তবে আস্থাভোটে একনাথের বিপুল জয় উদ্ধবকে একেবারে কোণঠাসা করে দিয়েছে বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

  • Eknath Shinde: গুয়াহাটির হোটেলে ৮ দিন আস্তানা, ৭০ লক্ষের বিল মিটিয়েছে শিন্ডে-বাহিনী?

    Eknath Shinde: গুয়াহাটির হোটেলে ৮ দিন আস্তানা, ৭০ লক্ষের বিল মিটিয়েছে শিন্ডে-বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহারাষ্ট্রের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি থিতু হয়েছে। তবে এখন উঠছে অন্য প্রশ্ন। তা হল, আসামের গুয়াহাটির যে হোটেলে এতদিন ধরে ছিলেন শিন্ডে বাহিনী, তাতে খরচ হল কত?

    আরও পড়ুন :শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    মহাবিকাশ আঘাড়ি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই মহারাষ্ট্রে সরকার চালাতে চাইছিলেন শিন্ডে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সঙ্গে বিরোধের জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে আরও এক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে চলে যান শিন্ডে বাহিনী। সেখানকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন তাঁরা। হোটেলটির নাম র‌্যাডিসন ব্লু । জালুকবাড়ির গোতানগর এলাকার ওই হোটেলের ৭০টি ঘর বুক করা হয়েছিল শিন্ডে, তাঁর অনুগামী বিধায়ক এবং তাঁদের সঙ্গীদের জন্য। সূত্রের খবর, শিন্ডে বাহিনী যে আট দিন ধরে এই হোটেলে ছিলেন, সেজন্য হোটেলের বাইরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। শিন্ডে বাহিনী হোটেলে আসার আগে হোটেলটিতে গিয়ে সব খবরাখবর নেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তার পরেই হোটেলে আসে শিন্ডে বাহিনী। পরে মহারাষ্ট্রে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিন্ডে। বুধবার র‌্যাডিসন ব্লু হোটেল ছাড়েন শিন্ডের অনুগামী বিধায়করা। তাঁদের নিয়ে গিয়ে রাখা হয় গোয়ার হোটেলে। প্রশ্ন হল, আটদিন ধরে শিন্ডে বাহিনী যে এই হোটেলে ছিলেন, তার খরচ কত?  

    আরও পড়ুন : বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শিন্ডেবাহিনী। মুখ খোলেনি হোটেল কর্তৃপক্ষও। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী বিধায়করা বিলাসবহুল এই হোটেলে থাকা খাওয়া বাবদ সব মিলিয়ে বিল মিটিয়েছেন ৬৮ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা।এই টাকার মধ্যে শুধুমাত্র খাওয়া বাবদ শিন্ডে বাহিনীকে দিতে হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। এই হোটেলে স্পা সহ অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে। তবে হোটেল সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় পরিষেবার বাইরে এই বিধায়করা অন্য কোনও সুযোগ সুবিধা নেননি। এঁদের কেউই স্পা জাতীয় কোনও পরিষেবাও নেননি।

  • Maharastra political crisis: ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?

    Maharastra political crisis: ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ( Maharastra) জোট সরকার থাকবে কিনা, তা নিয়েই যখন দেশজুড়ে চলছে জোর চর্চা, তখনই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে শাসক শিবির। ডামাডোলের বাজারে সরকারের বিভিন্ন দফতর ছাড়পত্র দিয়ে চলেছেন একের পর এক প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের। সূত্রের খবর, জুনের ২০ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে ১৮২টি প্রকল্পে অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর হয়েছে। জুনের ১৭ তারিখে হয়েছে ১০৭টি।

    আরও পড়ুন: সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় রয়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোট । শিবসেনার (Shiv Sena) নেতৃত্বে এই জোটে রয়েছে কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি। নরম হিন্দুত্বের জেরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিবসেনার একনাথ শিন্ডের লড়াই তুঙ্গে। পরিস্থিতি এমনই যে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে উড়ে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে মধ্যরাতের বিমান ধরে বিজেপি শাসিত আসামের গুয়াহাটিতে। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৬। তার সিংহভাগই এই মুহূর্তে শিন্ডে শিবিরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এমতাবস্থায় একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ প্রস্তাব পাশ করে চলেছে শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির হাতে থাকা বিভিন্ন দফতর। শিবসেনার হাতে রয়েছে জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন বিভাগ। এই দফতরের মন্ত্রী গুলাব রাও পাতিল।গত ১৭ জুন তাঁর দফতর ৮৪টিরও বেশি অর্থ-প্রস্তাব পাশ করেছে।

    ২০ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে প্রস্তাব পাশ হয়েছে ১৮২টি। এর ৭০ শতাংশই পাশ হয়েছে কংগ্রেস এবং এনসিপির হাতে থাকা বিভিন্ন দফতর থেকে। সামাজিক ন্যায়বিচার, জল সম্পদ, স্কিল ডেভলপমেন্ট, হাউসিং ডেভেলপমেন্ট, ফিনান্স ও হোম দফতরের রাশ রয়েছে এনসিপির হাতে। এই দফতরগুলি থেকেও সব চেয়ে বেশি অর্থ-প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট, রাজস্ব, পিডব্লুডি, স্কুল শিক্ষা, ওবিসি এবং ফিশারিজ। তারাও পাশ করেছে বেশ কিছু প্রস্তাব।

    মৃত্তিকা ও সংরক্ষণ বিভাগের মন্ত্রী শঙ্কররাও গদাখ। তাঁর দফতর পাশ করেছে ২০টি প্রস্তাব। অথচ গত চার দিনে শিবসেনার হাতে থাকা দফতরগুলি থেকে পাশ হয়েছে হাতে গোণা কয়েকটি অর্থ-প্রস্তাব।

     

  • Bypolls: দেশের পাঁচটি রাজ্যে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি কয়েকটি জায়গায়

    Bypolls: দেশের পাঁচটি রাজ্যে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি কয়েকটি জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পাঁচটি রাজ্যে (5 States) ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (Union Territory) তিনটি লোকসভা এবং সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের ত্রিপুরার (Tripura) চারটি বিধানসভা আসন।

    ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা আসনে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে পৃথকভাবে লড়ছে তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস। উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার ((Tripura By Elections 2022) নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। চিকিৎসকের পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে নামা মানিক সাহাকে গত মে মাসে বিপ্লব দেবের উত্তরসূরি মনোনীত করে বিজেপি (BJP)। উপনির্বাচনে টাউন বড়দোয়ালী আসনে লড়ছেন তিনি। ২০১৮ সালে বিজেপির আশিস সাহা ওই আসনে জিতেছিলেন। এবার তিনি ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মানিকের প্রতিদ্বন্দ্বী।

    আরও পড়ুন: সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    সংঘাতের আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার বিভিন্ন কেন্দ্রে। এদিন ভোট নেওয়া হচ্ছে আগরতলা, সুরমা, বড়দোয়ালি এবং যুবরাজনগর কেন্দ্রে। এই চারটি আসনেই লড়াই করছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় করা হয়েছে মোট ২২১টি পোলিং স্টেশন। এর মধ্যে ৭৩টিকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোটের উপর নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণ। তবে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। ভোট গণনা হবে রবিবার, ২৬ জুন।

    আরও পড়ুন: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    ত্রিপুরা ছাড়াও ভগবন্ত মান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় সঙ্গরুরের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।  সেখানেও আজ উপনির্বাচন চলছে। অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে জেতার পর সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও আজম খান আজমগড় এবং রামপুরের সাংসদ পদ ছাড়েন। ফলে ওই দুই কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হচ্ছে। আম আদমি পার্টির বিধায়ক রাঘব চাড্ডা রাজ্যসভা ভোটে জেতার ফলে দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের আসনটি ফাঁকা হয়ে গিয়ছে। সেখানেও উপনির্বাচন হচ্ছে।  অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে মন্ডার আসনের জেভিএম বিধায়ক বান্ধু তিরকে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলায় দোষী ঘোষিত হওয়ায় বিধায়ক পদ হারিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের একটি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে বিধায়কের মৃত্যুর কারণে।  

  • Maharashtra political crisis: সঙ্কট আরও ঘনীভূত,  বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    Maharashtra political crisis: সঙ্কট আরও ঘনীভূত,  বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ডামাডোল। করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ওই একই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যপালও। এদিকে, নিভৃতবাসে থেকে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকাল থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, পদত্যাগ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ভার্চুয়াল বৈঠকে ঠিক হয়, আপাতত পদত্যাগ করছেন না উদ্ধব। অন্যদিকে, এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের মুম্বাই ফিরতে বলেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। এদিকে, এদিন একটি চার্টার্ড বিমানে করে চার বিধায়ককে নিয়ে গুয়াহাটি উড়ে যান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল।

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সম্পর্কে চিড় ধরে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর গ্রেফতার করা হয় বিজেপি সাংসদ নবনীত রাণা ও তাঁর বিধায়ক স্বামী রবি রাণাকে। এর পরেই উদ্ধব এবং একনাথের সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। তার পরেই সঙ্গী ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে একনাথ প্রথমে চলে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। সেখান থেকে মধ্য রাতে উড়ান ধরেন গুয়াহাটির। একনাথের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ৪৬ জন বিধায়ক। তার মধ্যে ৩৪ জনই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন তাঁকে। 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন বেলা একটায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই করোনা ধরা পড়ে তাঁর। তার আগে করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যপাল। পরে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উদ্ধব। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, এখনই পদত্যাগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি চিঠি দিয়েছে শিবসেনা। এদিনই বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে মুম্বাই ফিরতে বলা হয়েছে তাঁকে। তা না হলে তাঁদের বহিষ্কার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, যতক্ষণ না সব বিধায়ক গুয়াহাটি থেকে ফিরে আসবেন, ততক্ষণ দলের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।  

     

    এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই দাবি একনাথের। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ৬ নির্দল সহ ৪৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। এখনও পর্যন্ত আমরা বিজেপির তরফে কোনও প্রস্তাব পাইনি। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের আর আলোচনার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন একনাথ।

    ডামাডোলের এই পরিস্থিতিতে এদিনই বিকেলে বৈঠকে বসতে চলেছেন এনসিপি নেতৃত্বও। তবে এই মুহূর্তে সরকারের কোনও সঙ্কট নেই বলেই দাবি কংগ্রেসের।

     

LinkedIn
Share