Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gautam Adani: বিশ্বের ধনীতম তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন আদানি, সত্যি?

    Gautam Adani: বিশ্বের ধনীতম তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন আদানি, সত্যি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী ব্যাক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন। ২০২২ সালে এশিয়ার ধনী ব্যাক্তি হিসেবে উঠে আসার পর থেকেই প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছেন। গত সপ্তাহেই অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজসকে (Jeff Bezos) পিছনে ফেলে দিয়ে রেকর্ড করেছিলেন গৌতম আদানি। বিশ্বের ধনকুবেদের তালিকার তিন নম্বরে উঠে আসেন। 

    শুক্রবার একটা সময়ে ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারের তালিকায় ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির অধিকারী হয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফেলেছিলেন আদানি। তিনি ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আর্নল্টকে (Bernard Arnault) পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখন করে ফেলেন। যদিও, কিছুক্ষণ পরই তিনি ফের তৃতীয় স্থানে নেমে আসেন। দ্বিতীয় স্থানে উঠে যান আর্নল্ট। বর্তমানে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫২.৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় ধনকুবের থেকে এগিয়ে আছেন শুধুমাত্র টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী বার্নার্ড আর্নল্ট।

    আরও পড়ুন: এখন বিশ্বের তৃতীয়তম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি, ধারে কাছে নেই আম্বানি!

    আজ গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ সব থেকে বেড়েছে। প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩.৩% শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধির উপর ভর করেই তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন। এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় এই স্থানে এসে পৌঁছেছেন। অপরদিকে, টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র আজই তাঁর পকেটে ৭৮৯ মিলিয়ন ডলার বা ০.২৮ শতাংশ অর্থ ঢুকেছে।

    চলতি বছরেই আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের তালিকায় থাকা ১০ জন ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যে কারও সম্পদ এতো বৃদ্ধি পায়নি। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেই শেয়ার বাজার খুলতেই লক্ষ্মীলাভ হয় আদানির। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই রিলায়েন্সের কর্নধার মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যাক্তির শিরোপা ছিনিয়ে নেন। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের (Forbes) রিয়েল টাইম বিলিয়েনিয়ারদের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছেন। তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ ৯২ বিলিয়ন ডলার।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    আদানি গ্রুপের বন্দর পরিকাঠামো, বিদ্যুত পরিষেবা, আবাসনের মতো ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয় ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনের অধিক ঋণ নিয়ে ফেলেছে। তার ফলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যদিও আদানি গোষ্ঠী এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ১৫ পাতার একটি রিপোর্টে প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, তারা কীভাবে ঋণের বোঝা কমিয়েছে। আদানি গ্রুপের স্টকগুলির অসাধারণ বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি বার্নার্ড আর্নল্টকে ছাড়িয়ে পাকাপাকি ভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • S Jaishankar: চিন-সীমান্তে একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে, এখনও অনেক পথ বাকি! দাবি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: চিন-সীমান্তে একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে, এখনও অনেক পথ বাকি! দাবি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চিন (China) সীমান্তে  (Border Pacts) একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পূর্ব লাদাখের গোগরা হটস্প্রিং পেট্রলিং এরিয়া ১৫ থেকে সেনা সরানোর কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। এ প্রসঙ্গে এই মত প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তবে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। অরুণাচল সীমান্তে এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটি একমুখী সম্পর্ক হতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। চিন আমাদের প্রতিবেশী। প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। একটা সমস্যার সমাধান হয়েছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে অন্য সমস্যাগুলোরও মীমাংসা করতে হবে। “

    বুধবার,  ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিনের সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্যের বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে, জয়শঙ্কর বলেন, “এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সমভাবাপন্ন দেশগুলির এক সঙ্গে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।” সন্ত্রাস দমনে ভারত-ফ্রান্স দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করছে বলে জানান জয়শঙ্কর।

    দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনারও সঙ্গে বৈঠকের সময়, দুই দেশের উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়। কথা হয় প্রতিরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, ভূ-রাজনীতি নিয়েও। কোলোনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বার্তা জানান। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ট্যুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় মোদি জানান, তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Goa Congress: বড় ধস গোয়া কংগ্রেসে, ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ ধরলেন ৮ বিধায়ক

    Goa Congress: বড় ধস গোয়া কংগ্রেসে, ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ ধরলেন ৮ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বড়সড় ধস গোয়া কংগ্রেসে (Goa Congress)। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Grand Old Party) বিধায়ক রয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ৮ জনই যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এই বিধায়কদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দিগম্বর কামাট ও মাইকেল লোবো। গোয়া বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৪০। তার মধ্যে কংগ্রেসের (Congress) সদস্য সংখ্যা মাত্র তিন। বর্তমানে দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। বর্তমানে এই কর্মসূচি চলছে কেরলে। এমতাবস্থায় দলের ভাঙনে যারপরনাই বিব্রত সোনিয়া গান্ধীর দল। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, জোড়ো ইয়োর পার্টি ফার্স্ট।

    যেহেতু এক সঙ্গে আটজন কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন, সেহেতু এঁদের ক্ষেত্রে দল বিরোধী আইন কার্যকর হবে না। এদিন যাঁরা হাত ছেড়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম, তাঁরা হলেন মাইকেল লোবোর স্ত্রী ডেলিয়া লোবো, রাজেশ ফালদেশাই, কেদার নায়েক, সংকল্প আমোনকর, অ্যালেক্সিও সেকুইরিয়া এবং রুডলফ ফার্দিনান্স। দল ছেড়ে মাইকেল লোবো বলেন, এটা হল কংগ্রেস ছোড়ো, বিজেপির সঙ্গে জোড়ো। এদিন যাঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের বক্তব্য, এটা হল অপারেশেন লোটাস।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    এঁদের সঙ্গে এদিন দল ছেড়েছেন কামাতও। তিনি বলেন, কংগ্রেসে আমরা ভাল ছিলাম না। আমরা দেখেছি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে কী ঘটেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজাদ। এদিন সেই প্রসঙ্গই টানেন দলবদলু বিধায়করা। তাঁরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করব। কাজ করব গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গেও। গোয়ার আরও উন্নতির জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।

    গোয়া বিধানসভায় মোট আসন ৪০। এর মধ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ২০। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সদস্য রয়েছেন দু জন। আর নির্দল রয়েছেন তিনজন। সব মিলিয়ে সরকার পক্ষে ছিলেন ২৫ জন। এদিন কংগ্রেস ভেঙে আটজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিধানসভায় তাদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Amit Shah: হিন্দি ভাষা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং বন্ধু, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: হিন্দি ভাষা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং বন্ধু, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দি ভাষা (Hindi Language) কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বরং দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার বন্ধু। বুধবার হিন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    এদিন গুজরাটের (Gujrat) সুরাটে অল ইন্ডিয়া অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাষার সহাবস্থান প্রয়োজন। হিন্দি ভাষা যাতে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে ফুলে ফেঁপে ওঠে সে ব্যাপারেও সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    হিন্দি ভাষা নমনীয় না হলে এটি সমৃদ্ধশালী হতে পারে না বলেই মনে করেন শাহ। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একটা জিনিস খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, তা হল হিন্দি ও গুজরাটি, হিন্দি ও তামিল, হিন্দি ও মারাঠি পরস্পরের প্রতিযোগী বলে কিছু লোক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, হিন্দি দেশের অন্য কোনও ভাষার প্রতিযোগী নয়। হিন্দি দেশের সব ভাষার বন্ধু। প্রত্যেকেরই এটা মেনে নেওয়া এবং বোঝা উচিত। শাহ বলেন, যতদিন না আমরা ভাষার সহাবস্থানকে মেনে নেব, ততদিন আমরা নিজেদের ভাষায় দেশ পরিচালনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বলতে চাই, সকল ভাষা ও মাতৃভাষাকে রক্ষা এবং সমৃদ্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি বলেন, হিন্দি ভাষা সমৃদ্ধ হলেই এই সব ভাষার সমৃদ্ধি ঘটবে। আবার উল্টোটাও সত্যি।

    আরও পড়ুন : হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    শাহ বলেন, ব্রিটিশরা ভারতীয় বিভিন্ন ভাষায় লেখা সাহিত্যিক কাজকর্ম নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এর মধ্যে হিন্দি কবিতা রয়েছে ২৬৪টি, উর্দু কবিতা ৫৮টি, তামিল কবিতা ১৯টি, ১০টি কবিতা তেলগু, পাঞ্জাবি এবং গুজরাটি কবিতা ২২টি করে, মারাঠি কবিতা ১২৩টি, সিন্ধি কবিতা ৯টি, ওড়িয়া কবিতা ১১টি, বাংলা কবিতা ২৪টি এবং একটি কানাডা কবিতা।তিনি বলেন, এ থেকেই বোঝা যায় কীভাবে রাজভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা স্বাধীনতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছিল, যার জেরে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়েছিল সেগুলিকে নিষিদ্ধ করতে। হিন্দি ডিকশেনারির আরও বড় হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন শাহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Foxconn in Gujarat: ১,৫৪,০০০ কোটি টাকার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রকল্প গুজরাটে, মউ সাক্ষর করল বেদান্ত-ফক্সকন 

    Foxconn in Gujarat: ১,৫৪,০০০ কোটি টাকার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রকল্প গুজরাটে, মউ সাক্ষর করল বেদান্ত-ফক্সকন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে এফএবি উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের জন্য ভারতীয় গোষ্ঠী বেদান্ত এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী জায়ান্ট ফক্সকনের সঙ্গে একটি মউ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গুজরাট সরকার৷ মঙ্গলবার গান্ধীনগরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রেল যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে এই মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেন, “উভয় সংস্থাই গুজরাটে সুবিধা স্থাপনের জন্য ১,৫৪,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা রাজ্যে এক লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।” 

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত

    জেনে নিন গুজরাটের এই জায়ান্ট প্রকল্পের বিষয়ে কিছু তথ্য, 

    • ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor) যা সাধারণত বাইরের দেশ থেকেই ভারতে আমদানি করে সংস্থাগুলি। তবে সময়ের সাথে ক্রমশ পাল্টাচ্ছে পরিস্থিতি। তাইওয়ানের সংস্থা ফক্সকনের (Foxconn) সাথে গাঁটছাড়া বেঁধে গুজরাটে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে ভারতের বেদান্ত গ্রূপ (Vedanta)।
    • এই প্লান্টে ২০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,৫৪,০০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করা হবে বলে সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ২৫ লক্ষ টাকার দোলনা উপহার গুজরাটের মন্দিরে

    • গুজরাতের আহমেদাবাদে ডিসপ্লে ইউনিট সহ এই সেমিকন্ডাক্টর প্লান্ট গড়ে তুলবে বেদান্ত। সংস্থার পক্ষ থেকে ৯৯ বছরের লিজে বিনামূল্যে ১,০০০ একর জমি ও ২০ বছরের জন্য স্থায়ী দামে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই শর্ত পূরণ করেছে গুজরাত সরকার। মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে প্রকল্পের বরাত জিতে নিয়েছে মোদির রাজ্য। 
    • আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে আশা করা হচ্ছে। যেখানে গুজরাত সরকারের আধিকারিক এবং বেদান্ত গ্রুপের াধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।
    • কেন্দ্রের অনুমান, ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ২০২০ সালে ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। এই মুহূর্তে বিশ্বের বেশিরভাগ চিপ সরবরাহ করে তাইওয়ানের মতো কয়েকটি দেশ। ভারত এখনও সেই বাজারে ঢুকতে পারেনি। তবে কেন্দ্রের আশা, আগামী দিনে ভারতে ইলেক্ট্রনিক্স উৎপাদনে নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে।
    • এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে গুজরাটে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • PM PRANAM Scheme: কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে আসছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্রণাম’ প্রকল্প

    PM PRANAM Scheme: কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে আসছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্রণাম’ প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিকাজে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হচ্ছে রাসায়নিক সার (Chemical Fertilizer)। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতির পাশাপাশি জীবকুলও। এমতাবস্থায় প্রয়োজন রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহার কমানো। সেই কারণে এবার কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) সূচনা করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী প্রমোশান অফ অল্টারনেটিভ নিউট্রিয়াস অ্যান্ড এগ্রিকালচার ম্যানেজমেন্ট, সংক্ষেপে ‘প্রণাম প্রকল্প’ (PM PRANAM Scheme)। জানা গিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে যেসব রাজ্য কোনও একটি বছরে সব চেয়ে কম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছে, তাদের উৎসাহিত করতেই এই প্রকল্প।

    কম সময়ে বেশি ফসল ফলাতে গিয়ে কৃষিক্ষেত্রে যথেচ্ছভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন কৃষকরা। তার জেরে ক্ষতি হচ্ছে একাধিক দিক থেকে। খাদ্যের সঙ্গে আমাদের শরীরে ঢুকছে রাসায়নিকের বিষ। আবার রাসায়নিক মেশানো খেতের জল খেয়ে মারা যাচ্ছে ছোট ছোট পোকামাকড়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রও। তাই রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো জরুরি। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যকে উৎসাহিত করতে চালু হচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্রণাম প্রকল্প’। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের খবর, যে সব রাজ্য গত তিন বছর ধরে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপির মতো রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করছে, তাদের ৫০ শতাংশ হারে ইনসেনটিভ গ্র্যান্ট দেওয়া হবে। ওই সূত্রেরই খবর, রাজ্যগুলি এই ইনসেনটিভ গ্র্যান্টের ৮০ শতাংশ খরচ করতে পারবে কৃষকদের কল্যাণে। বায়ো কিংবা অর্গানিক সারের প্ল্যান্ট বসিয়ে সাহায্য করতে পারবে কৃষকদের। গ্র্যান্টের বাকি টাকায় বজায় রাখা যাবে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা। যার মাধ্যমে কৃষকরা বিকল্প সারের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন : যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আজ স্বনির্ভর হওয়ার আরও একটি পথ হল প্রাকৃতিক চাষ। এই প্রাকৃতিক চাষ, রাসায়নিক মুক্ত কৃষি আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার  লক্ষ্যে পৌঁছতে শক্তি জোগাবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বিকল্প দিশা’র স্বপ্ন পূরণ করতেই চালু হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী প্রণাম কর্মসূচি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) চিন (China) শক্তিশালী প্রতিপক্ষ (Formidable Challenge), তবে আমরাও প্রস্তুত। মঙ্গলবার একথা বললেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল (Navy Chief Admiral) আর হরি কুমার। তিনি জানান, সীমান্তে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ চিন। কেবল স্থলপথ নয়, জলপথেও তারা ক্রমেই ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ বলেও জানান নৌসেনা প্রধান।

    এদিন নৌসেনা প্রধান বলেন, চিন কেবল যে স্থলপথেই আমাদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাই নয়, জলসীমায়ও তারা ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে তারাও আমাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, সীমান্তে প্রতিদিনই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। কখনও কখনও তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টেস্টিং লিমিটও। তিনি বলেন, সম্মুখসমর না হলেও, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

    কেবল চিন নয়, ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও যে ক্রমেই সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে, সেদিকেও নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান। তিনি জানান, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সেনা বাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, আমাদের পশ্চিম দিকে রয়েছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও তারা ক্রমেই সেনাবাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। বিশেষত নৌসেনায়। এই সব সামরিক চ্যালেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বিপদ। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদ এখনও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে বড় হুমকি। নৌসেনা প্রধান বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের আকার, আকৃতি-প্রকৃতি। এই সমস্ত অদৃশ্য শত্রু এক ধাপ করে এগিয়ে রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের ধরণ, হাতিয়ার করছে প্রযুক্তিগত কৌশলকে। এগুলোর মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।

    আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। মৃতের সংখ্যা পার হয়ে গিয়েছে হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। ভয়াল এই বন্যার আগেই দেউলিয়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল সে দেশের অর্থনীতির। সেই আবহেও সেনায় আধুনিকীকরণ হবে বলে নানা সময় জানিয়েছিলেন সে দেশের সেনা কর্তারা। আমেরিকা থেকে কয়েকশো কোটি টাকার এফ ১৬ বিমানের যন্ত্রাংশও কিনেছে। এদিন কৌশলে নৌসেনা প্রধান সেই বিষয়টিরই উল্লেখ করলেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুপক্ষের আর্জি নিয়ে শুনানি শুরু

    Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুপক্ষের আর্জি নিয়ে শুনানি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Masjid Row) চত্বরে হিন্দুপক্ষের পুজার অনুমতি চেয়ে মামলার শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেছিল বারাণসী (Varanasi) জেলা আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই সেই মামলার শুনানি শুরু হল।

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’র পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। এই মামলাটির যাতে শুনানিই না হয়, তার জন্যে পাল্টা আবেদন জানায় জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। মসজিত কমিটির সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলা শুনানিযোগ্য (Gyanvapi Masjid Verdict)। বিচারক জানান, এক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের ধর্মরক্ষা আইন প্রযোজ্য নয়। সেই সূত্র ধরেই আজ থেকে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আদালতে চলছে মামলা।

    আরও পড়ুন: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে রয়েছে ‘শৃঙ্গার গৌরী’। যা আপাতত ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত। সেখানে পুজো-অর্চনার অধিকার চেয়ে মামলা করেন তাঁরা। মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, মসজিদের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এরপরেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তারা মসজিদের ভিতরে তদন্ত চালায়। ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। যদিও তার রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি শুরু হলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে, বলে অনুমান পুলিশের। তাই আগে থেকেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওই মসজিদ এলাকায়। এমনকি, জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হোটেল এবং গেস্ট হাউসে কারা আসছেন এবং যাচ্ছেন সেদিকেও কড়া নজর রাখছে পুলিশ। নেটমাধ্যমে এ নিয়ে কোনও লেখালেখি হচ্ছে কি না সেদিকেও সজাগ প্রশাসন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IAF Project Cheetah: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ

    IAF Project Cheetah: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তার (India Defence) ক্ষেত্রে আবারও আত্মনির্ভর ভারতের হাতছানি। সীমান্তে চিন (China) ও পাকিস্তানকে (Pakistan) ঠেকাতে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ (Project Cheetah) শুরু করতে চলেছে ভারত (India)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইজরায়েল (Israeli drone) থেকে কেনা ‘হেরন’ ড্রোনগুলিকে (Israeli Heron drone) সশস্ত্র করে তুলবে  ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। এই প্রকল্পের কাজ করবে দেশীয় অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। অর্থাৎ বায়ুসেনাকে মজবুত করে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকেও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।

    আরও পড়ুন: উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান, উদযাপিত এয়ারফোর্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘হেরন’ ড্রোনগুলিকে এবার অস্ত্রবহনে সক্ষম করা হবে। হেরন ড্রোনগুলি ২৫০ কিলোগ্রাম ওজন বহনে সক্ষম। এতে রয়েছে থার্মোগ্রাফিক ক্যামেরা, রেডার সিস্টেম, চালকদলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ড্রোনটি নিজেই কমান্ড সেন্টারে ফিরে আসতে পারে। এবার ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় ড্রোনগুলিতে মিসাইল মোতায়েন করা হবে। এই চালকহীন ড্রোন টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে। প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবিও স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। প্রয়োজনে ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে সক্ষম।

    আরও পড়ুন: শয়ে শয়ে ড্রোন আছড়ে পড়বে শত্রুর ওপর! ভারতীয় সেনার নয়া অস্ত্র ‘সোয়ার্ম ড্রোন’

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control) পেরিয়ে ভারতের এলাকায় বহু পাক-ড্রোন ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই পাক-হানাদার ড্রোনের মোকাবিলায় এবার একটি ‘ড্রোন ফোর্স’ বা ‘মানববিহীন সেনা’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে নয়াদিল্লি৷ এক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা ফোর্স তৈরি হচ্ছে না। পরিবর্তে একটাই বিশাল ‘ড্রোন ফোর্স’ (Drone Force) তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান। এই ফোর্স তৈরি হলে ভারত যে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে তা, বলাই বাহুল্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Patanjali: পাঁচ বছরেই রামদেবের ব্যবসা ছোঁবে ১ লক্ষ কোটি টাকা!

    Patanjali: পাঁচ বছরেই রামদেবের ব্যবসা ছোঁবে ১ লক্ষ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই আড়েবহরে বাড়ছে যোগগুরু বাবা রামদেবের (Baba Ramdev) ব্যবসা। এক সময় যোগগুরু হিসেবে নামডাক হলেও, পরে তিনি নাম করে ফেলেন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই রামদেবের কোম্পানি পতঞ্জলি (Patanjali) চারটি শেয়ার বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে। এগুলি হল, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ, পতঞ্জলি মেডিসিন, পতঞ্জলি ওয়েলনেস এবং পতঞ্জলি লাইফস্টাইল। এর মধ্যে সবার প্রথমে বাজারে আসবে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। তবে ঠিক কবে থেকে মিলবে ওই কোম্পানির শেয়ার, তা জানা যায়নি। এই কোম্পানির নামে অবশ্য এখনও বাজারে কোনও শেয়ার নেই। ২০১৯ সালে শেয়ার এসেছিল রুচি সোয়া নামে।

    দেশ তো বটেই, বিদেশেও রামদেবের কোম্পানি পতঞ্জলির উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রামদেব জানান, এই মুহূর্তে কোম্পানির টার্নওভার ৪০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে কোম্পানির টার্নওভার ছুঁয়ে ফেলবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। রামদেব বলেন, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ প্রোডাক্ট লাইন, রিচ, কাস্টমার বেস সব দিক থেকেই একে ক্রেতার কাছে সর্বাধিক প্রিয় প্রোডাক্ট বানিয়েছে। এর পরে রয়েছে পতঞ্জলি মেডিসিন। দিব্যা ফার্মেসির ব্যানারে তৈরি হয় এটি। এর পর রয়েছে পতঞ্জলি ওয়েলনেস। রামদেব বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি পতঞ্জলি ওয়েলনেসের অধীনে ২৫ হাজার বেড অপারেট করব। আমাদের প্রায় ৫০টা এরকম সেন্টার রয়েছে। এটাকে বাড়িয়ে ১০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি  মডেলে ধাপে ধাপে একে বাড়িয়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।পতঞ্জলি লাইফস্টাইলের মধ্যে রয়েছে পোশাক, পরিবহণ, গোখাদ্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কিছু ব্যবসা।

    আরও পড়ুন : মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    আগামী বছরে পাঁচ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান রামদেব। তিনি বলেন, আগামী বছরে পতঞ্জলি গ্রুপ ৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান করবে। উত্তরাখণ্ডে পতঞ্জলী যোগপীঠ ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলেও জানান যোগগুরু রামদেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share