Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্ত্রেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার শপথ নিয়েছেন। আমেরিকা হোক কিংবা ফ্রান্স, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে এতদিন  উন্নত দেশগুলির উপর ভরসা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে এবার আর বিদেশ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম না কিনে,যৌথভাবে দেশের মাটিতেই তা তৈরি করার পথে হাঁটছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া না দিলেও এখন এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। বিশ্বখ্যাত সংস্থা জেনারেল ইঞ্জিন (GE) ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক দেশের ভবিষ্যৎ পঞ্চম প্রজন্মের (5th Generation) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (Advanced Medium Combat Aircraft) বা AMCA. 

    আরও পড়ুন: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    ‘সুপার ক্রুজ’ ক্ষমতাসম্পন্ন  AMCA তৈরির সঙ্গে, ভারত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান (Stealth Aricraft) আছে এমন দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে থাকবে ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স এ ধরনের ফাইটার জেট তৈরি করেছে। AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত ফ্রান্সের সাফ্রাঁ (Safran) এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে আসরে নামে আমেরিকা।  AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত প্রথম আমেরিকার সাহায্য চায় কিন্তু ২০১৯ সালে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব স্থগিত রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন পুনরায় সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। শুধু তাই নয় এবার একেবারে সর্বাধুনিক ইঞ্জিন দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। 

    সূত্রের খবর, AMCA-র যে প্রোটোটাইপ ভারত নির্মাণ করছে, তাতে ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ (F414-INS6) ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। এই মডেলটি ৯৮ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। ভারত ইতিমধ্যেই দেশীয় তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2)- মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (MCA) জন্য ৯৯টা ইঞ্জিনের বরাত জিই-কে দিয়েছে। ইতিমধ্য়ে ১২টি চলে এসেছে। যেগুলি তেজস মার্ক ২ প্রোটোটাইপে শুক্ত করা হবে। এখন আমেরিকা প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত চাইলে এই ইঞ্জিনের সর্বাধুনিক মডেল এফ৪১৪-জিই-৪০০ (F414-GE-400) মডেলটি নিতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই মডেলটি ১১৬ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা AMCA-র জন্য আদর্শ। ভারতের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন দিয়ে AMCA-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হবে। পরবর্তী ৫টি স্কোয়াড্রনকে নতুন ১১০-১২০ কিলোনিউটন শ্রেণির ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্সের যৌথভাবে এই নতুন ইঞ্জিন তৈরি করার কথা।

    আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের Safran এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Rolls Royce এবং GE এই তিন সংস্থার মধ্যে যে কোনও কেউ AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরি করবে।  ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং একটি ভারতীয় সংস্থারও এই কাজে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে আমেরিকা দাবি করে, রপ্তানিযোগ্য প্রযুক্তি ভারতের জন্য কী কাজে লাগবে তা- আগে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। এখন এ প্রসঙ্গ স্বচ্ছ ধারণা পেতেই চুক্তিতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্রে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি ‘বিদ্রোহী’দের, কী লিখলেন বিধায়করা?  

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্রে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি ‘বিদ্রোহী’দের, কী লিখলেন বিধায়করা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও চাপে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)! বৃহস্পতিবার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি দিলেন শিবসেনার (Shiv Sena) ৩৭ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। আসামের (Assam) গুয়াহাটির শিবির থেকে এই বিধায়করা মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালের কাছে লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে একনাথ শিন্ডেকেই বিধানসভায় তাঁদের নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এর আগে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার অজয় চৌধুরীকে বিদ্রোহী মন্ত্রী শিন্ডের বদলে বিধানসভায় তাদের দলের নেতা হিসেবে অনুমোদন দেয় শিবসেনা। পরে শিন্ডে ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালকে একটি চিঠি দেন যাতে স্বাক্ষর রয়েছে বিদ্রোহী ৩৭ জন বিধায়কেরই। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এই বিধায়করা আমার সঙ্গে গুয়াহাটিতে রয়েছেন। সুনীল প্রভুর বদলে শিবসেনা বিধায়ক ভারত গোগাওয়ালেকে বিধানসভায় দলের চিফ হুইপ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিদ্রোহীদের চিঠিতে।

    এদিকে, বিধায়ক দলের বুধবারের বৈঠকে শিন্ডে সহ ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ডিস্কোয়ালিফিকেশন দাবি করে শিবসেনা। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের কাছে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে তারাও। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিন্ডে ট্যুইটারে লেখেন, ডিস্কোয়ালিফিকেশনের জন্যে ১২ জন বিধায়কের নাম দিয়ে আপনি আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন না। কারণ আমরা শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরের অনুগামী। আমরা আইন জানি। তাই আমরা আপনার হুমকিতে কর্ণপাত করি না।

    আরও পড়ুন : দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    বিদ্রোহ দমন করতে আপাতত সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, আমার দল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোট এমভিএ ত্যাগ করার কথা ভাবতে রাজি। তিনি বলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের মহারাষ্ট্রে ফিরে আসা উচিত। অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা করাও প্রয়োজন। শিবসেনা সাংসদ বলেন, যদি বিধায়করা মনে করেন যে জোট সরকার থেকে শিবসেনার বেরিয়ে যাওয়া উচিত, তাহলে মুম্বইতে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথা বলা উচিত।

    প্রসঙ্গত, নরম হিন্দুত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে তিনি বর্তমানে রয়েছে বিজেপি শাসিত আসামের গুয়াহাটিতে। বিধানসভায় শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। দলবিরোধী আইন রুখতে প্রয়োজন ৩৭ জনের সমর্থন। এই ৩৭জনই বিদ্রোহী শিবিরে। শিন্ডের পেছনে যে বিজেপির সমর্থন রয়েছে, এদিন নাম না করে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিন্ডে। তিনি বলেন, একটি জাতীয় দল আমাদের পাশে রয়েছে। তারা আমাদের সব রকম সাহায্য করতে রাজি।

     

  • Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। প্রতিদিন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হয়ত চতুর্থ ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল বলে! কোভিড ঘিরে আবারও উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশ্বাস, করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ঘিরে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, আক্রান্তরা যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনটা কিছুই হয়নি। কারণ করোনা হয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও কম, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও, একইসঙ্গে করোনার থেকে বাঁচতে কোভিড নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। 

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    সোমবার দিল্লিতে একদিনে কোভিডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬০, আর মৃত্যু হয় ৬ জনের। শুক্রবারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯৭ যা বিগত চার মাসের মধ্যে  সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল।

    চিকিৎসকদের মতে, গত সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়লেও এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর সমস্যাও কম দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র বয়স্ক অথবা যাঁদের ইমিউনিটি কম বা যাঁদের আগের থেকে অসুখ রয়েছে তাঁরাই একমাত্র ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।

    বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সাধারণ মানুষকে এই ভাইরাস নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে এবং এর পাশাপাশি কোভিডবিধি পালন করতে হবে। যেমন— মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যাঁদের শরীরে কোভিডের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাঁদের আগে থেকে আইসোলেশনে (Isolation) চলে যাওয়া উচিত বলেও পরামর্শ চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    অসতর্কতা বা সচেতনতার অভাবেই গ্রাফের এই উত্থান বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কোভিড পুরোপুরিভাবে না যাওয়ার আগেই সাধারণ মানুষ ভ্যাকেশনে (Vacation) চলে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়েও কোনওপ্রকার কোভিড নিয়ম মেনে চলছেন না। তাঁদের মতে, মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এবং সামাজিক দূরত্ব (Social Distancing) বজায় না রাখার সঙ্গে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি (Health Guidelines) ঠিকঠাক করে না মেনে চলার জন্যই করোনার গ্রাফের এই ঊর্ধ্বগতি।

    ফলে করোনা নিয়ে চিন্তা না থাকলেও প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্কের (Mask) ব্যবহার মাস্ট এবং এতেই হবে সমস্যা দূর। এছাড়া শারীরিক দূরত্ববিধিও মেনে চলা থেকে শুরু করে নিয়মিত হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।

  • Modi in Hyderabad: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    Modi in Hyderabad: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হিন্দু নয়, দলকে সমস্ত সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শেষ দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এই কথা বলেন তিনি। রবিবার ওই বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের হিন্দু ছাড়াও অন্যান্য বঞ্চিত ও নিপীড়িত সম্প্রদায়ের মানুষের (downtrodden sections in other communities) সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দলের এক নেতার কথায়, বৈঠকে মোদি বলেন, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও বঞ্চিত এবং নিপীড়িত মানুষ আছেন।  শুধু হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে চলবে না।  সমস্ত বঞ্চিত ও নিপীড়িতের জন্য কাজ করা উচিত। এ জন্য ‘স্নেহ যাত্রা’ শুরু করা উচিত, বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যখন মোদি এ কথা বলছেন, তার ঠিক কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশে দু’টি উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে, সেই দুই লোকসভা আসন— আজমগড় ও রামপুরে জয়-পরাজয় স্থির করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে মুসলিম জনসংখ্যার। মনে করা হচ্ছে, মোদি এ কথা বলে আসলে ওই দুই এলাকার পাসমান্দা মুসলিমদের নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চাইলেন। যারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া। 

    আরও পড়ুন: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    দ্রৌপদী মুর্মুর মতো আদিবাসী নেত্রীকে দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তুলে ধরে, দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে সদর্থক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে বিজেপি। পাশাপাশি হিন্দু ছাড়াও অন্য সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে দুর্বল জনসংখ্যাকেও পাশে পেতে ঝাঁপাবে বিজেপি, রবিবার মোদির বক্তব্যে তা-ও স্পষ্ট হল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, মোদি বৈঠকে বলেছেন, দ্রৌপদীর সহজ সরল জীবনযাত্রা, তাঁর লড়াইয়ের কথা তৃণমূল স্তরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

    কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে মহিলাদের জীবনযাত্রার মানে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বিজেপি সরকারের একাধিক জনহিতকর কর্মসূচি। হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর এক সভায় এই দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,উজ্জ্বলা যোজনা থেকে স্বচ্ছ্ব ভারত, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন তেলঙ্গানার মানুষ। এর ফলে গোটা দেশ ও তেলঙ্গানার মহিলাদের জীবনে পরিবর্তন বেড়েছে। দেশে মহিলাদের সংখ্যা বেড়েচ্ছে। দেশের নারী শক্তিকে রাষ্ট্রশক্তি বানানোর চেষ্টা করছে সরকার। 

    নিজামের শহরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন হায়দরাবাদকে ‘ভাগ্যনগর’ বলেও সম্বোধন করেন মোদি। আর তাতেই হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

  • Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) গড় হিসেবে পরিচিত, রামপুর এবং আজমগড়ে  (Rampur and Azamgarh) লোকসভা উপনির্বাচনে (Lok Sabha bypoll) পরাজিত হয়েছে সমাজবাদি পার্টি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রবিবার দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এদিন যুব ও মহিলা শাখা সহ দলের জাতীয়, রাজ্য ও জেলা কার্যনির্বাহী সমস্ত পদ ভেঙে দেওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    রবিবার সমাজবাদী পার্টির করা ট্যুইট অনুসারে, রাজ্য ও জাতীয় পার্টি সংগঠনগুলি ভেঙে দেওয়ার কথা জানানো হয়। সমস্ত শাখা সংগঠন, মহিলা শাখাগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দলের রাজ্য সভাপতি পদে নরেশ উত্তমকে বহাল রাখা হয়েছে। তবে কেন অখিলেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,সেই বিষয়ে দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর দলকে পুনর্গঠন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু উপনির্বাচনে আজমগড় সমাজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লালা যাদব নিরহুয়া জয়ী হন। সামজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায় আজম খানের শক্ত দুর্গ রামগড়। জয়ী হন সমাজবাদী পার্টিরই প্রাক্তন কর্মী ঘনশ্যাম লোধি। তিনি কয়েকমাস আগেই সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশে ক্রমেই সমাজবাদী পার্টির দ্বন্দ্ব এবং বেহাল অবস্থা প্রকট হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত পার্টি সুপ্রিমোর, দাবি বিশেষজ্ঞদের। দলীয় সূত্র অনুসারে খবর, অখিলেশ শীঘ্রই বিভিন্ন দলীয় সংগঠন পুনর্গঠন করবেন এবং সেখানে নতুন কিছু মুখ নিয়ে আসা হবে।

  • Manipur Landslide: মণিপুরের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫, নিখোঁজ ৩৮ জন

    Manipur Landslide: মণিপুরের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫, নিখোঁজ ৩৮ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের নোনে জেলায় ভূমিধসে (Manipur Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৪। নিখোঁজ ৩৮ জন। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। মাটি সরালেই মিলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের দেহ। সেনা সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১৫ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) জওয়ান। এখনও ধসের নীচে অন্তত ৫৫ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলের কাছেই আরও একটি ধস নামার কথা জানা গিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    বুধবার, ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। মণিপুরের নোনে জেলায় টুপুলে রেলওয়ে নির্মাণ শিবিরে ভয়াবহ ধস নামে। ধসের নিচে চাপা পড়েন সেনা, রেলকর্মী থেকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন। ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিঙের বাসিন্দা একাধিক জওয়ানের। উদ্ধারকাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। তিনি এই ধসকে রাজ্যের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে খারাপ ঘটনা’ বলে আখ্যা দেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন,”পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়েও সব মৃতদেহ উদ্ধার করতে এখনও দু’‌তিনদিন লাগবে। সেনা ও NDRF উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। যান চলাচলে প্রভাব পড়ায় উদ্ধারকাজ শেষ হতে একটু সময় লাগবে। ঘটনাস্থলে প্রচুর কাদা থাকায় গাড়ি চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।” ইতিমধ্যেই মণিপুর সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

    [tw]



    [/tw]

     
    উত্তর-পূর্ব রেলের সিপিআরও জানিয়েছেন, অবিরাম বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হয়। জিরিবাম – ইম্ফল নতুন লাইনের কাজের সময় টুপুল স্টেশন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে বলা হয়েছে, টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানদের দেহ সসম্মানে তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। এখনও ১৫ জন জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ অনেক বাসিন্দাও। শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। মৃত জওয়ানদের মধ্যে ৯ জন দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। মমতা টুইটে লিখেছেন, “মণিপুরে ধসে মৃতদের মধ্যে ৯ জওয়ান দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। শোকস্তব্ধ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।” শনিবার সকালে পাওয়া খবর অনুসারে, রাজ্যে ফিরছে মণিপুরের ধসে মৃত টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০ জওয়ানের দেহ। এদের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্শিয়ঙের ৯ এবং এক জওয়ান জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা। দুটি বিমানে রাজ্যে পৌঁছবে ১০ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। বাগডোগরায় নামার পর নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙডুবি সেনা হাসপাতালে। সেখানে গান স্যালুট দেওয়ার পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।

  • Mohammed Zubair Alt News: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের

    Mohammed Zubair Alt News: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে মহম্মদ জুবের (Mohammed Zubair)। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট (Fact Checking Website) অল্ট নিউজের (Alt News) সহ প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিককে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ ও ২৯৫ এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে জুবেরের বিরুদ্ধে। এদিন দিল্লি আদালতে তোলা হলে তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। 

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা এক ট্যুইট বার্তায় জানান, দিল্লি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল জুবেরকে ডেকে পাঠায় ২০২০ সালের একটি মামলায়। ওই মামলায় আগাম জামিন নেওয়া রয়েছে তাঁর। এদিন সন্ধ্যায় জানতে পারি জুবেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জুবেরের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলায় অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জুবেরকে একদিনের পুলিশি হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁর হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেন তাঁর পরামর্শদাতারা। তবে জামিন মেলেনি। 

    আরও পড়ুন : কে এই তিস্তা শেতলবাদ? জানুন

    পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে করা একটি ট্যুইটের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে জুবেরকে। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত একটি ক্লাসিক ছবির ক্লিপ শেয়ার করে একটি মন্তব্য করেছিলেন জুবের। অভিযোগ, ওই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা জুবেরের বিরুদ্ধে ট্যুইট বার্তায় হিংসার অভিযোগ উঠেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। জুবের তদন্তে সাহায্য করেননি বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, জুবেরের বিভিন্ন বক্তব্য এবং পোস্টে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে। ওই সব পোস্টের জন্য দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এদিকে, জুবেরের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রাক্তন আমলা, লেখক, চিন্তাবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা।

     

  • Nambi Narayanan: “আমাকে ফাঁসিয়েছিল, এখন…”, শ্রীকুমার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইসরো বিজ্ঞানীর

    Nambi Narayanan: “আমাকে ফাঁসিয়েছিল, এখন…”, শ্রীকুমার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইসরো বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আরবি শ্রীকুমারের (Former IPS officer RB Sreekumar) গ্রেফতারিতে (Arrest) খুশি ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন (Nambi Narayanan)। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে আমেদাবাদ পুলিশ শনিবার প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আরবি শ্রীকুমার এবং সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে গ্রেফতার করে। মামলা দায়ের হয় আরেক প্রাক্তন আইপিএস  সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধেও। তবে তিনি বর্তমানে জেলেই রয়েছেন। পুলিশি হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় সঞ্জীব ভাটকে যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

    শুক্রবার গুজরাট হিংসার (Gujarat Violence 2002) ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ প্রধানমন্ত্রীকে আগেই এই মামলায় ক্লিনচিট দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team)৷ এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই গুজরাট হিংসার ঘটনায় তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতের রায়েও ক্লিনচিট মোদি  

    এরপরেই আমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এই তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৬৮, ৪৭১ , ১৯৪ ,২১১ নং ধারার অধীনে তিনটি মামলা করে। একই সঙ্গে  ২১৮ এবং ১২০ বি ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে অভিযুক্তরা গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। এই এফআইআরের ভিত্তিতেই গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমার এবং তিস্তা শেতলবাদকে আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তিস্তাদের বিরুদ্ধে সিট! ছয় সদস্যের বিশেষ দল গঠন গুজরাট সরকারের   

    আরবি শ্রীকুমারের গ্রেফতারিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নাম্বি নারায়ণন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছিল এই পুলিশ অফিসার। আমাকে ফাঁসিয়েছিল। আমাদের আইন ব্যবস্থা এমন, যে যেকোনও ভিত্তিহীন কথা বলে পার পাওয়া যায়। কিন্তু সবকিছুর একটা শেষ আছে। এই অফিসার সব মাত্রা লঙ্ঘন করে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত তাঁকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, এতে আমি খুশি।”   

    [tw]


    [/tw]

    চরবৃত্তির অভিযোগে ১৯৯৪ সালে বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, নাম্বি নারায়ণন ও ইসরোর অন্য এক বিজ্ঞানী ক্রায়োজেনিক রকেট টেকনোলজির নথি শত্রু দেশের হাতে তুলে দিয়েছেন। সে সময় নাম্বি দাবি করেছিলেন, রকেটের তরল জ্বালানীর প্রযুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চরকাণ্ড আসলে ছিল একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। কিন্তু কেরল পুলিশ তাঁর কথা শোনেনি। দুমাস জেলেও থাকতে হয় তাঁকে। পরে মামলা সিবিআইয়ের হাতে গেলে ছাড়া পান নাম্বি নারায়ণন।

    এরপরই শুরু হয় তাঁর আইনি লড়াই। টানা ২৪ বছর পর ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নাম্বির বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো  নিম্ন আদালতে যান নাম্বি। মামলা চলার পাশপাশি কেরল সরকার নাম্বির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চায়। শেষপর্যন্ত সরকার কেরল পুলিশের ওই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে ১.৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। কেরল পুলিশের যে দল নাম্বির গ্রেফতারির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তার মাথা ছিল এই আর বি শ্রীকুমার।
      

  • Ajit Doval on Agnipath: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval on Agnipath: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath Scheme) নিয়ে এবার জোরদার সওয়াল করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে, বহু বছর ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এই প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে। অগ্নিবীরদের (Agniveer) নিয়ে পুরো সেনাবাহিনী (Indian Army) তৈরি হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    ডোভাল জানান, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা বাড়ানো। কোন পথে দেশকে মজবুত করা যায়, তার জন্য অনেক পথই ভাবতে থাকেন তিনি। সেই ভাবনারই ফল এই প্রকল্প। ডোভাল বলেন, ভবিষ্যতে সব দেশেরই প্রতিরক্ষা হবে প্রযুক্তি নির্ভর। তাই যুবশক্তির প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রশিক্ষিত আর্মড ফোর্স (Armed Forces)। 

    আরও পড়ুন: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    যারা অগ্নিবীর হতে চায় সেই যুবকদের উদ্দেশ্যে অজিত দোভালের বার্তা, সর্বদা পজিটিভ থেকো। দেশের প্রতি বিশ্বাস রাখো, বিশ্বাস রাখো নেতৃত্বের প্রতি। সর্বোপরি নিজের ওপর। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। তাঁর সাফ কথা, গণতন্ত্রে কোনও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হতেই পারে, কিন্তু ভাঙচুর বা হিংসাকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যে তাণ্ডব চলেছে, তার পিছনে একশ্রেণির স্বার্থ জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসবের মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ডোভালের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই দেশে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। তিনি সাহস দেখাতে পেরেছেন, সাহস দেখিয়েছেন বদল আনার। তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা করা যায়, তা যতই ঝুঁকির হোক না কেন। আর এই সাহসে ভর করেই আগামীর ভারত তৈরি হবে বলে আশাবাদী তিনি। 

    আরও পড়ুন: “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তান (Pakistan) প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)। ডোভালের দাবি, কাশ্মীরের মানুষ আর পাকিস্তানের পক্ষে নেই। সন্ত্রাসও বরদাস্ত করে না তারা। তারা চায় শান্তি। ধর্মঘট চালিয়ে দিনের পর দিন রাজ্যকে অচল রাখার পক্ষপাতি নয় আজকের কাশ্মীর। ২০১৯ সালের পর থেকেই তাদের এই মনোভাবে বদল এসেছে বলে মনে করেন ডোভাল (Doval)। এই সাক্ষাৎকারের মধ্যে দিয়ে অজিত ডোভাল একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নিরাপত্তার স্বার্থে দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। দূরদৃষ্টি নিয়েই দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

  • Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) জের। বদলি করা হল এসপি (SP), আইজিসহ (IG) ৩২ আইপিএস (IPS) অফিসারকে।  দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজস্থানসহ গোটা দেশ। তারই মাঝে একটি খবর সামনে আসে, যে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি আসতে শুরু করে মৃত  দর্জির কাছে। সে বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও। অস্বস্তিতে পড়ে রাজস্থান সরকার। আর তাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন  

    বৃহস্পতিবার মৃত দর্জির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি পুলিশের সততা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমেই সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। পরে বাকি পুলিশ কর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।     

    ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল জানান, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না। দুদিন পরে দুজন তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক   

    তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেশি থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কানহাইয়া থানায় গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পরে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু তার পরেও কানহাইয়া লালকে হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। আর এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজস্থান সরকার। বদলির নির্দেশ নেমে আসে আইপিএসদের মাথায়।    

     

LinkedIn
Share