Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিচ্ছিন্নতাবাদ! স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তুললেন ডিএমকের (DMK) নেতা এ রাজা (A Raja)। তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়া না হলে তাঁরা স্বাধীন রাষ্ট্রের (Independent State) দাবিতে পথে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রবিবার পশ্চিম তামিলনাড়ুর নমক্কলে (Namakkal, TN) দলের গ্রামীণ জনপ্রতিনিধিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এ রাজা। হাজির ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)। তাঁর উপস্থিতিতেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের স্বায়ত্বশাসন দাবি করেন এ রাজা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, “দ্রাবিড় আন্দোলনের আইকন পেরিয়ার আমৃত্যু পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করে এসেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী (এম কে স্ট্যালিন) আন্নাদুরাইয়ের (ডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা) পথে চলেন। আমাদের পেরিয়ারের পথে হাঁটতে বাধ্য করবেন না। আলাদা রাজ্যের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের স্বায়ত্বশাসন দিয়ে দিন।” 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতা এ রাজা আরও বলেন, “আমরা অহংকার করে বলছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করছি। আমরা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি থেকে সরে এসেছি। কিন্তু আমরা স্বায়ত্বশাসন চাইছি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি।” 

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    স্বাভাবিকভাবেই ডিএমকে নেতার এই হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি।  এ রাজাকে পালটা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। তামিলনাড়ুতে গেরুয়া শিবিরের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। রবির কথায়, “পাঁচ দশক ধরে তামিলনাড়ুতে রাজনীতি করার পরও ওরা এই কথা বলছেন। তাতে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে এ রাজ্যে বিজেপির উত্থান ডিএমকেকে চাপে ফেলছে। তাদের আদর্শ ব্যর্থ হয়েছে। তাই ওরা ভয় পেয়ে এ ধরনের কথা বলছে।”

    তবে এ রাজার মন্তব্য় নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর তা মোকাবিলা করতে আসরে নামেন দলীয় সাংসদ টিকেএস এলংগোবন। তিনি বলেন, হতাশা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন রাজা। পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলার মতো কোনও নীতি কোনও দিনই ছিল না ডিএমকের। তবে রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি থেকেই রাজার এমন মন্তব্য বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি। 

  • New Labour Code: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    New Labour Code: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি (New Labour Code)। কিছুদিন আগেই খবর ছিল নতুন চারটে শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্র। জুলাই থেকেই লাগু হওয়ার কথা ছিল সেগুলির। কিন্তু আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে। 

    এক সরকারি আধিকারিক এ বিষয়ে বলেন, “১ জুলাই লাগু করা হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি। এখনও পুরো বিষয়টি আলোচনারস্তরে রয়েছে। পর্যালোচনার শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রটনায় কান দেবেন না।” আরেক আধিকারিক বলেন, “শ্রমমন্ত্রক রাজ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। কথা অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু ১ জুলাই নতুন আইন লাগু হচ্ছে না।” শ্রমমন্ত্রকের ( Ministry of Labour & Employment) এক আধিকারিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি নেতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে 

    কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই নতুন চারটি শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ২৩ টি রাজ্য এই আইনগুলির খসড়া গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চায় সমস্ত রাজ্য একসঙ্গে এই চারটি পরিবর্তন কার্যকর করুক।

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।  

    শোনা গিয়েছিল, খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে কেন্দ্র। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।    

    এইসব নতুন আইন ১ জুলাই থেকে লাগু হবে এমনটা শোনা গেলেও, তা এখনই হচ্ছে না। নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র।

     

  • EPFO: অভিন্ন পেনশন প্রকল্প, অস্থায়ী কর্মীদের পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর ভাবনা ইপিএফও-র

    EPFO: অভিন্ন পেনশন প্রকল্প, অস্থায়ী কর্মীদের পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর ভাবনা ইপিএফও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প (Provident Fund) আনার পরিকল্পনা নিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। আগামী ৮ জুলাই এই নিয়ে একটি বৈঠকে বসবে ইপিএফও-র কেন্দ্রীয় বোর্ড। যারা এখনও অবসর নেননি বা অবসরকালীন কোনও ভাতার আওতায় পড়েন না, মূলত তাঁদের অবসরকালের জীবনকে আরও একটু নিশ্চিন্ত করতেই এই ভাবনা।

    এছাড়া অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে একটি অভিন্ন পেনশন (Universal Pension) প্রকল্পেরও সুপারিশ করেছে পেনশন রিফর্ম কমিটি। বিষয়টি নিয়ে আগের বৈঠকে পর্যালোচনা করেছে কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। প্রস্তাবটি ইপিএফও- র কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৮ তারিখের বৈঠকে দুটি বিষয়ই পরিস্কার হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের অবসর জীবনকে সচ্ছল করতে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অভিন্ন পেনশনের মতো দুটি নতুন প্রকল্প চালু করতে পারে কেন্দ্র সরকার।”

    আরও পড়ুন: অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করলে নিশ্চিত করুন অবসরকালীন পেনশন

    শ্রমবিধিতেও এইরকম প্রকল্পের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছর কোনও কাজ এগোয়নি। ফের বিষয়টিতে নজর দিয়েছে কেন্দ্র।

    শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ ইপিএফও দুদিনের বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, এখন তার তালিকা প্রস্তুত করছে। 

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে

    দেশজুড়ে এই মুহূর্তে ৭,১৭,০০০ অস্থায়ী কর্মী বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। এদের ৫৮ শতাংশই বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী কর্মী এবং স্বনিযুক্তদের আনা হবে। 

    সূত্রমতে, কেউ যদি কমপক্ষে ১৫ বছর কাজ করেন এবং তাঁর মোট সঞ্চিত অর্থ যদি ৫.৪ লক্ষ বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় তিনি কমপক্ষে ৩০০০ টাকা করে পাবেন।

    এই মুহূর্তে এইপিএস বলে যে প্রকল্পটি আছে, তাতে কর্মীর কাছ থেকে তাঁর মোট বেতনের ১২ শতাংশ কাটা হয় ইপিএফ হিসেবে এবং ১২ শতাংশ দেয় নিয়োগ কর্তা। নিয়োগ কর্তার ১২ শতাংশ থেকে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় ইপিএসে। 

     

  • 2002 Gujarat riots case:  মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    2002 Gujarat riots case: মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে সমন জারি করে জেরা করেছে ইডি। এর প্রতিবাদে ইডির দফতরের বাইরে তুমুল প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এই নিয়েই রাহুলকে বিঁধছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সিটের সামনে হাজিরা দিতে মোদিজি কোনও নাটক করেননি। গণতন্ত্রে সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে তার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদিজিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি, সারা দেশের কর্মীরা মোদিজির সাথে সংহতি প্রকাশ করেনি। আমরা আইনের সাথে সহযোগিতা করেছি। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনি। ’

    গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিলেন জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার তাঁর সেই মামলা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপরই বিরোধীদের একহাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “মোদিজি নাটক করেননি।” শাহ জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদে বসতে মোদি কখনও না বলেননি। সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাঁকে জেরা করা হয়েছিল কিন্তু কেউ ধর্না দেয়নি। কোনও  দলীয় কর্মী তাঁর পাশে দাঁড়াতে আসেনি। তিনি কাউকে সে কথা বলেনওনি। 

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র জেরে ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালায় কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সামনে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তাঁরা কিন্তু কোনও প্রতিবাদ ছাড়াই তদন্তে সাহায্য করেছিলেন। কোনও নাটক হয়নি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলেরও। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রাহুল গান্ধী। টানা কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা নিয়ে প্রথম দিনে থেকেই রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রায় সব রাজ্যেই একই ছবি। বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে রাস্তায় নামেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বারবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে বিক্ষোভ আন্দোলনে ডাক দেয় হাতশিবির। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, চণ্ডীগড়, আগরতলায়  রাস্তায় নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হয় প্রায় সব জায়গাতেই। হায়দরাবাদে আন্দোলন ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ তেতে ওঠে কংগ্রেসের বিক্ষোভে। কর্ণাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের জয়পুরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে দিল্লির রাজপথে বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তদন্তে সাহায্য করলেই হল। নির্দোষ হলে তো যে কেউ ছাড়া পাবেন, তাহলে এত নাটক কেন? কিসের ভয়?

    প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের জমানাতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ১২ বছর আগে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। বিজেপি তো তখন এত বিরোধিতা করেনি! 

    আরও পড়ুন: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ৯ ঘণ্টা জেরা ও ১০০ টি পর পর প্রশ্ন। প্রসঙ্গ ছিল গুজরাতের বুকে ২০০২ সালের বিধ্বংসী হিংসার ঘটনা। যে ঘটনা নিয়ে খোদ সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি পড়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখে। একের পর এক প্রশ্ন। অথচ ধৈর্য্য হারাননি। এড়াননি একটা প্রশ্নও। ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় এক কাপ চা-ও পর্যন্ত নেননি নরেন্দ্র মোদি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এমন সব তথ্য উঠে এসেছিল তদন্তকারী দলের প্রধান আরকে রাঘবনের লেখা বইয়েও।   গান্ধীনগরে সিটের অফিসে জেরার জন্য হাজিরা দিতেও সম্মত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে নিয়ে ‘আ রোড ওয়েল ট্রাভেলড’ বইয়ে রাঘবন লিখেছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীদের আমরা বলেছিলাম, সিটের অফিসে তাঁকে আসতে হবে। অন্য কোথাও হলে তা তদন্তে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। সিটের অফিসে আসতে সম্মত হন।” সিটের অফিসে ৯ ঘণ্টার জেরায় ১০০টির কাছাকাছি প্রশ্ন করা হয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কোনও প্রশ্নই এড়িয়ে যাননি তিনি। এমনকি উত্তর সাজানোর চেষ্টা করেছেন বলেও মনে হয়নি।’ ২০১০ সালে মোদিকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিট। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেয় সিট। ক্লিনচিট পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রিপোর্টে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও প্রমাণই মেলেনি।  

    সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায়  রাজ্যছাড়া ছিলেন অমিত শাহ। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে শাহ বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু কোনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে জমায়েত করতে যায়নি বিজেপি। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান অমিত। তাহলে সেসময় কি কংগ্রেস তদন্ত সাজিয়েছিল? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

  • Pilot Monica Khanna: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    Pilot Monica Khanna: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাধিক যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে বাস্তবের ‘হিরো’ হয়ে উঠলেন স্পাইসজেটের (SpiceJet) মহিলা ক্যাপ্টেন মণিকা খান্না (Monica Khanna)। রবিবার স্পাইসজেটের একটি বিমানে আচমকাই আগুন লেগে যায়। এই বিমানে ১৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। সেইসময় মণিকা মাথা ঠান্ডা রেখে তৎক্ষণাৎ বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করান। এই পরিস্থিতিতেও অসীম ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দেন তিনি। অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    রবিবার স্পাইসজেটের বিমানটি পাটনা থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। টেক-অফের পরেই বিমানের বাঁদিকের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। খবরসূত্রে জানা যায়, একটি পাখি সরাসরি বিমানের ইঞ্জিনে ধাক্কা মারার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাখার তিনটি ব্লেড। সেখান থেকেই বেরতে থাকে ধোঁয়া ও আগুন।

    বিষয়টি দেখতে পেয়েই কেবিন ক্রুর-র এক সদস্য পাইলট (Pilot) মণিকা খান্নাকে জানান। তখন তিনি যাত্রীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এর পাশাপাশি প্রথম অফিসার বলপ্রীত সিং ভাটিয়ার (Balpreet Singh Bhatia) সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি বন্ধ করে তৎক্ষণাৎ বিমান নীচে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। 

    এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি। বুদ্ধি প্রয়োগ করে পাটনা অসামরিক বিমানবন্দরে না ফিরে বিমানটিকে নিকটবর্তী পাটনার বিহতা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে (Bihta Airforce Station) অবতরণ করান মণিকা। তুলনামূলক ছোট রানওয়ে ও গাছ এড়িয়ে অত্যন্ত সন্তর্পণে অবতরণ করাতে হয় বিমানটিকে। অত্যন্ত সাহসিকতা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ নিশ্চিত করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ফের বিপত্তি স্পাইসজেটের বিমানে, যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে চেন্নাই-অন্ডাল উড়ান

    এই অসাধ্য সাধন করে কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছেন স্পাইসজেট বিমানের ক্যাপ্টেন মনিকা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর তৎপরতা দেখে প্রশংসা করেছেন পুরো নেটদুনিয়া। স্পাইসজেট সংস্থার চিফ অব ফ্লাইট অপারেশন গুরুচরণ অরোরা জানান, দু’জনেই এই পরিস্থিতিতে  শান্ত থেকে খুব ভালোভাবে বিমানটিকে নিরাপদে নামিয়ে এনেছেন। এর জন্য তাঁরা খুব গর্বিত। ইতিমধ্যেই আগুন লাগার ভিডিও নেটমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

  • Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, রবিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ। এই বছর এই অবধি আসামে বন্যার কারণে জলে ডুবে এবং ভূমি ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বুলেটিনে এদিন বলা হয়, নওগাঁ জেলার ২ জন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং শিবসাগর জেলার  একজন করে জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ২৩ জেলার ১৮,৩৫,৫০০ জন মানুষ এখনও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বরপেটা, কাছার, দারাং, ডিব্রুগড়, হোজাই, কামরূপ মেট্রপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মরিগাঁও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শিবসাগর, এই জেলাগুলি এখনও জলের তলায়।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কাছার জেলা।  সেখানে এখনও ১০.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। তারপরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নওগাঁ (৩.৭৬ লক্ষ), মরিগাঁও (১.৭৬ লক্ষ)। শনিবার অবধি ২৪ জেলায় ২২.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে আটকে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? 

    এখনও ১,৬১৮টি গ্রাম, ৪৭,১৯৮.৮৭ হেক্টর জমি জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ত্রাণকেন্দ্রে ২০ জেলার ৬৫,৭৫৭ জন শিশুসহ মোট ২,৭৮,০৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

    বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য প্রশাসন ৬৮৫.২৬ কুইন্টাল চাল, ডাল, নুন এবং ২,৬৩৪ লিটার সরষের তেল এবং ৪৭৯২.৯২ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করেছে।

    ১২ জেলায় ৫,৯০,৯৪৯ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ। ব্রহ্মপুত্র এবং তিনটি উপনদী কপিলি, ডিসাং এবং বুড়িদিহিং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে ২৬৭৫টি গ্রাম। সেখানের এখনও প্রায় ৯১ হেক্টর জমি জলের তলায়। 

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সাধ্যমত ত্রাণ এবং পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, আমির খানরা। কেন্দ্রের তরফেও সব ধরণের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।   

     

  • Lalu Prasad Yadav: সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলেন লালু প্রসাদ যাদব, তারপর কী হল?

    Lalu Prasad Yadav: সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলেন লালু প্রসাদ যাদব, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত আরজেডি (RJD) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। কাঁধে ও হাতে গুরুতর আঘাত (Injured) পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে এমআরআই হয় ওই বর্ষীয়ান নেতার। 

    আরও পড়ুন: নতুন দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর  

    সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদ যাদবের কাঁধের হাড়ে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার হয়েছে। তাঁকে দুমাসের বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। লালুপ্রসাদ যাদব বর্তমানে বিহারের পটনায় রাবড়ি দেবীর সরকারি বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে থাকেন। সেখানেই ভারসাম্য হারিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে যান তিনি। কাঁধে ও হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাড়াহুড়ো করে পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর এমআরআই করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের ডান কাঁধের হাড় সামান্য ভেঙেছে। কোমরেও চোট লেগেছে।  

    [tw]


    [/tw]

    আরজেডি নেতৃত্ব জানিয়েছে, দলের সুপ্রিমো এখন ভালো আছেন। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা বেলাতেই লালু প্রসাদ যাদব বাংলোয় ফিরে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছেন। ৭৫ বছর বয়সী লালু প্রসাদের চোট লাগার খবরে কিছুটা হলেও চিন্তিত দলের কর্মীরা। আরজেডি চিফের স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: জামুইয়ে মিলল দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনির হদিশ, খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়ের দল?

    ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির রোগ, কিডনিতে পাথর, স্ট্রেস, থ্যালাসেমিয়া, প্রোস্টেট বৃদ্ধি, ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি, মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডান কাঁধের হাড়ে সমস্যার মতো একাধিক রোগ রয়েছে এই প্রবীণ নেতার। তার ওপর এই আচমকা আঘাত চিন্তা বাড়িয়েছে পরিবারের।  

      

  • RBI: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি 

    RBI: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় (India) অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতির (Inflamation) চাপ ও ভূ-রাজনৈতিক (Geo Political) ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলিকে নিরন্তর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলেই মসৃণ হবে ভারতীয় অর্থনীতির পথ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) ফাইনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং (Non Banking) ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেষ্ট পরিমাণ ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে,  মার্কিন অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে মুদ্রাস্ফীতির ফাঁস আটকেছে গোটা বিশ্বের গলায়। রাশিয়া (Russia) ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ-উত্তর কালে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে দু ভাগে। একপক্ষ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পক্ষে। অন্যপক্ষ রয়েছে মস্কোর পাশে। এসবেরই প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যার আঁচ লেগেছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। তা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economics)। দক্ষ হাতে পরিচালনা ও লাগাতার নজরদারি চালানোর জেরেই এটা ঘটছে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    বছর দুয়েক ধরে করোনা (Corona) অতিমারি পরিস্থিতি সামলেছে গোটা বিশ্ব। অতিমারির মারণ ভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বেঁধেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যার জেরে বিশ্বজুড়েই মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছোঁয়া। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাম ছাড়া। এর আঁচ লেগেছে ভারতেও। এসবই কাটিয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতি। শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের মতো হাঁড়ির হাল নয় তার। নির্দিষ্ট কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রস পারফর্মিং এসেস্টসের অনুপাত গত ছ বছরে কমেছে ৫.৯ শতাংশ। এটা অর্থনীতির উন্নতির দিকটিই সূচিত করে।

    আরও পড়ুন : ট্যাক্স-সেভিং স্থায়ী আমানতে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংক?

  • Gujarat: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    Gujarat: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার গুজরাটের (Gujarat) সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। রবিবারই তাঁকে আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয় গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (Anti Terrorist Squad )। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে। মুম্বইয়ের জুহু থেকে প্রথমে তাঁকে আটক করে গুজরাটের অপরাধ দমন শাখা (ATS)।  নিয়ে যাওয়া হয় সান্তাক্রুজ থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গুজরাট হিংসা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের। তিস্তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। কেবল তিস্তা নন, ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারকেও। 

    আরও পড়ুন : গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির
    ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেল স্টেশনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ৫৮ জন পুণ্যার্থীকে। তার পরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। মারা যান হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদিকে কালিমালিপ্ত করতে আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরা। মামলা গড়ায় আদালতে। তদন্তের জন্য তৈরি হয় সিট (SIT)। ২০০২ এর ওই হিংসায় মোদিকে পুরোপুরি ক্লিনচিট দেয় বিশেষ তদন্তকারী দল। ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। 
    এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মোদিজীকে দীর্ঘদিন এই নিয়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে দেখেছি। আজ তিনি সূর্যের মতোই কলঙ্কমুক্ত। সেদিন গুজরাট সরকার হিংসা রুখতে সচেষ্ট ছিল। মুখ্যমন্ত্রী বারবার শান্তির আবেদন করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি সর্বদা আইনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চলছিল।  একশ্রেণীর সংবাদকর্মীও আর এনজিও এই কাজ করেছে। তিস্তা শেতলবাদের এনজিও এর পিছনে ছিল। অমিত শাহের দাবি, গোধরার পরে যে হিংসা হয়,তা মোকাবিলায় সেনা নামাতে দেরি করেনি গুজরাট সরকার। আদালতের রায় কংগ্রেসের অপপ্রচারের জবাব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, যারা অভিযোগ করেছিল, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে। 

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ
    দেশের শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার পরেই আটক করা হয় তিস্তাকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। তাঁর এনজিও সংক্রান্ত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে প্রথমে আটক করা হয় বলে সূত্রের খবর। তিস্তার দাবি, অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।  
    আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে দায়ের করা এফআইআরে তিস্তার পাশাপাশি নাম রয়েছে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটেরও। 
    এদিকে, গুজরাট হিংসার ঘটনায় এদিন ফের একবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করল কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিস্তা শেতলাবাদ যে ভুয়ো অভিযোগ করেছেন,তার নেপথ্যে ছিল কংগ্রেসই। 

  • New Wage Code: চাকরি ছাড়ার ২ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া, নতুন বেতন বিধির সুপারিশ কেন্দ্রের

    New Wage Code: চাকরি ছাড়ার ২ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া, নতুন বেতন বিধির সুপারিশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটির সঙ্গে সঙ্গেই, নতুন বেতন বিধি (New Wage Code) আনার পরিকল্পনায় কেন্দ্র। এই নতুন বিধিতে, কোনও কর্মীর চাকরি ছাড়ার, অবসর নেওয়ার বা বরখাস্ত হওয়ার ২ দিনের মধ্যে নিয়োগকর্তাকে তাঁর যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে।  

    এই মুহূর্তে সাধারণত কোনও প্রতিষ্ঠান কোন কর্মীর চাকরি ছাড়ার ৪৫-৬০ দিন পর পাওনা মেটায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯০ দিন অবধিও গড়িয়ে যায় সেই সময়। কিন্তু নতুন এই বিধি লাগু হলে চাকরির শেষদিন থেকে দুদিনের মধ্যেই নিয়োগকর্তাকে কর্মীর পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে। 

    নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, “কোনও কর্মী যদি নিজে ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন বা তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয় বা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি চলে যায়, তাহলে তাঁর সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরির শেষ দিন থেকে দুটি কর্ম দিবসের মধ্যে যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে।”

    আরও পড়ুন: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই চারটি নতুন শ্রমবিধি (Labour Code) নিয়ে আসতে চলেছে শ্রমমন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। শুরুতে ১ জুলাই নতুন বিধি লাগু হওয়ার কথা থাকলেও, পরে তা পেছানো হয়।

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে  

    সরকার খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। সরকারের প্রস্তাব, একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।   

     

LinkedIn
Share