Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী,  নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে দেশের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে। শুক্রবারও দেশের করোনা গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।   
     
    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭০ জন। যা গতকালের থেকে অনেকটা বেশি। সবচেয়ে চিন্তায় রাখছে দেশের পজিটিভিটি রেট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের পজিটিভিটি রেট ৩.৪০ শতাংশ। গত সপ্তাহের পজিটিভিটির রেটও ৩.৭৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯০৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ৪১৩ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৮৯ জন। যা গতকালের থেকে ২ হাজার ৬৩৪ জন বেশি।

    তামিলনাড়ুতে ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,০৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু চেন্নাইতেই এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৯ জন। তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪.৭৫ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পর পর দুদিন ১০০০ -এর ওপরে থাকল আক্রান্তের সংখ্যা। এরাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১,৫২৪ জন। পজিটিভিটি রেট ১২.৮৯ শতাংশ। বাংলায় এ যাবৎ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০.২৯ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের 

    মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। একদিনে আক্রান্ত ৩,৬৪০। এযাবৎ এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯.৭৬ লক্ষ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ জনের। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৫ জন। পজিটিভিটি রেট ৪.৪৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

     

  • GST: শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    GST: শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে অনলাইন গেমের(Online Game)  ওপরে জিএসটি (GST) আরও বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। অনলাইন গেমের পাশাপাশি ক্যাসিনো (Casin), ঘোড়দৌড়ের (Horse Race) মত জুয়া খেলাতেও জিএসটি বাড়তে চলেছে। এই অনলাইন গেমস, ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই কারণে অনলাইন গেমের ওপরে জিএসটি (GST) আরও বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ও অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনোর ওপর গুডস ও সার্ভিস ট্যাক্স(Goods and Services Tax) প্রায় ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    মেঘালয়ের (Meghalaya) মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার (Conrad Sangma) নেতৃত্বে মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানেই বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা একমত হন যে অনলাইন গেমের ওপরে ২৮ শতাংশ কর ধার্য করা উচিত। এর সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রবেশমূল্যও ধার্যের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    বর্তমানে ক্যাসিনো, হর্স রেসিং (ঘোড়দৌড়), কিংবা অনলাইন গেমিংয়ের ওপর ১৮% জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই এই জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশে বাড়নোর করতে সম্মতি দিয়েছে দেশের মন্ত্রীদের প্যানেল। এই প্যানেলে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar), গুজরাটের অর্থমন্ত্রী কানুভাই প্যাটেল (Kanubhai Patel), গোয়ার পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী মৌভিন গোডিনহো (Mauvin Godinho), তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী পি ত্যাগা রাজন (P Thiaga Rajan), উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না (Suresh Khanna), এবং তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রী টি হরিশ রাও (T Harish Rao)।  

    মন্ত্রীগোষ্ঠীর(GOM) সদস্যরা মতামত দিয়েছেন যে, হর্স রেসের ক্ষেত্রে বেটিং-এর জন্য মোট যত টাকা দেওয়া হবে তার উপরেও জিএসটি ধার্য করা  হবে। ক্যাসিনো গেমাররা যে কয়েন ও চিপস কিনবেন সেই মূল্যের উপরে কর ধার্য করা হবে। তবে প্রতিটি রাউন্ডে রাখা বাজির মূল্যের উপরে কোনও জিএসটি ধার্য হবে না। এছাড়াও ক্যাসিনোতে প্রবেশ করার জন্যও জিএসটি ধার্য করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই অনলাইন গেম, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ের মত খেলায় শেষ পর্যন্ত কত শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • Uddhav Thackeray: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    Uddhav Thackeray: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ একজন ব্যক্তির সেদিন থেকেই পতন শুরু হয়, যেদিন সে সৌভাগ্যকে নিজের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব হিসেবে ভুল বোঝে।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ইস্তফার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। হিন্দিতে করা একটি ট্যুইটে উদ্ধবের পতন শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে উদ্ধব-রাজের দ্বন্দ্ব বেশ পুরানো। ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হতেই সেই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছিল। প্রকাশ্যে উদ্ধব ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতেও দেখা গিয়েছে বালাসাহেবের ভাইপো রাজকে। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে রাজনৈতিক ডামাডোল চললেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন রাজ। মুখ খুললেন শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর। নিক্ষেপ করলেন ট্যুইট বাণ।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    মহারাষ্ট্রের মসনদে পালাবদল ঘটেছে বৃহস্পতিবারই। উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের রাশ এখন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের হাতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিত মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন রাজ।

    সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব হিন্দুত্বের আদর্শ থেকে সরে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিন্ডে। উদ্ধব যাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, সেই দাবিতেই সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। রাজ নিজেকে হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করেন। শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহী বিধায়করা যদি বিজেপিতে যোগদান না করেন, তাহলে তাঁরা রাজের নবনির্মাণ সেনায় যোগ দিতে পারেন। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নবনির্মাণ সেনার একজন বিধায়ক রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শিন্ডে শিবিরের এক নেতা ফোন করেছিলেন রাজকে। ফোনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেননা শিবসেনার বিদ্রোহীরা বিজেপিতে যোগ দিলে ক্ষমতার লোভের অভিযোগ উঠতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁরা যদি রাজ শিবিরে যোগ দেন তাহলে একনাথ শিবিরের মান এবং কূল দুইই রক্ষা হবে। কেবল শিন্ডে নয়, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গেও রাজের কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    এদিকে, উদ্ধবের সঙ্গে আপাতত রয়েছেন ১৬ জন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যেও কয়েকজন শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে খবর। এঁদের সিংহভাগ যদি শিন্ডে শিবিরে নাম লেখান, তাহলে উদ্ধবের ওপর চাপ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে শিবসেনার প্রতীক পাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের নিয়ে রাজ স্বয়ং আসরে নামতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।

     

  • Udaipur killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে  খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    Udaipur killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় দর্জি উদয়পুরের কানহাইয়া লাল তেলিকে হত্যার (Udaipur Murder Case)ঘটনায় এবার  সরাসরি পাক-যোগের প্রমাণ পেল তদন্তকারী অফিসারেরা। একই সঙ্গে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে জঙ্গিযোগ ৷ মিলছে ISIS যোগের প্রমাণ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইসলামিক স্টেটের স্লিপার সেলের উদয়পুর শাখার প্রধান ছিল ধৃত মহম্মদ রিয়াজ। জয়পুরের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও তার যোগ রয়েছে। রিয়াজের ‘লোন উলফ’ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা।

    এই ঘটনায় দুই আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত গাউস মহম্মদ ২০১৪-১৫ সালে ৪৫ দিনের জন্য পাকিস্তানের করাচিতে যায়। সে দাওয়াত-ই- ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয় গাউস৷ কয়েকদিন আরব এবং নেপালেও জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে ৷  জানা গিয়েছে হত্যাকারীরা খুনের আগে এবং পরে পাকিস্তানের এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পাকিস্তানের অন্তত আটটি  মোবাইল নম্বরের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখত। পুলিশ সূত্রে খবর, গাউস মহম্মদ ২০১৩ এবং২০১৯ সালে সৌদি আরব যায়।  তবে সেখানে সে অস্ত্র প্রশিক্ষণ কিংবা ধর্মীয় কোনও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

    তবে খুনিদের সঙ্গে কোনওভাবেই পাকিস্তানের যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক। এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ পাকিস্তান কখনও সমর্থন করে না। ভারত কেন বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ দণ্ডনীয়। ওই আধিকারিকের দাবি, ওই খুনিদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ভারতের মিথ্যে রটনা বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানের চরম মৌলবাদী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat-i-Islami) মাধ্যমে আইসিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত আরেক ধৃত রিয়াজ। ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি ভারতেও জাল বিছিয়েছে বলে খবর। তাদের স্লিপার সেল (Sleeper Cell) অর্থাৎ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির গোপন শাখার উদয়পুরের প্রধান ছিল রিয়াজ। গত পাঁচ বছর ধরে সঙ্গী মহম্মদ গাউসকে নিয়ে ধর্মীয় উসকানিমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়াজ। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে রিয়াজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিও। সেখানে সে আঙুলের মাধ্যমে একটি বিশেষ ভঙ্গি করে রয়েছে যা সাধারণত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের চিহ্ন। তাদের আরও এক সঙ্গীর হদিশ মিলেছে। রাজস্থানের টঙ্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজেবকে। যার সঙ্গে সরাসরি আইসিসের যোগের প্রমাণ মিলেছে। জেরায় ধৃতরা আরও জানিয়েছে, শুধু উদয়পুরের কানহাইয়া লাল-ই নয়, তাদের হিটলিস্টে ছিল জয়পুরের এক ব্যবসায়ী। এমনকী, জয়পুরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

  • Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: আম্বানিদের (ambani) জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus security) মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের (Tripura High Court) রায়েই স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে বর্তমানে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী নীতা পান ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির (Y Plus security) নিরাপত্তা। সম্প্রতি বিকাশ সাহা নামে এক ব্যক্তি ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রশ্ন, কী কারণে আম্বানি পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? মহারাষ্ট সরকারের সুপারিশেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট ওই শিল্পপতি ও তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে দুটি অন্তর্বর্তী অর্ডার পাশ করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় আম্বানি পরিবারকে কী কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। মামলা গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে আম্বানিদের। তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সেখানেই। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়েই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন : বিবাদ মিটিয়েছিলেন দুই ভাইয়ের, চিনে নিন আম্বানি পরিবারের ‘ভাইশ্রী’-কে

    গত বছর আম্বানি পরিবারের বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তার পরেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে। যদিও তাঁর সন্তানরা ওই সুবিধা পান না। মুকেশ ও নীতা যে নিরাপত্তা পান, সেজন্য তাঁদের মোটা টাকা গুণতে হয়। মুকেশ যে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, এদেশে তা পান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং হাতে গোণা কয়েকজন।

    ৫০-৫৫ জন সশস্ত্র কমান্ডো ২৪ ঘণ্টা প্রহরায় থাকেন আম্বানিদের বাড়ির সামনে। আম্বানিরা বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এসকর্ট এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী পান। চাইলে পেতে পারেন এনএসজি (NSG) কমান্ডোদেরও। মহারাষ্ট্র তো বটেই, দেশের যে কোনও প্রান্তে গেলে মুকেশের সঙ্গে থাকে একটি পাইলট কার এবং তার পিছনে কয়েকটি গাড়ির কনভয়।

  • Maharashtra Political Crisis: সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    Maharashtra Political Crisis: সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shivsena) দখল নিতে সক্রিয় একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনি। বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) তাঁর সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। গুয়াহাটিতে থাকা শিন্ডে-সহ ৩৭ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ বলে দাবি করে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshiyari) এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে। 

    মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব এদিন রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন ‘বর্ষা’ ছেড়ে পৈতৃক ভিটে ‘মাতোশ্রী’তে চলে গিয়েছেন। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) বলেন, ‘‘উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। তিনি ইস্তফা দেবেন না। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হবেন।’’ যদিও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য উদ্ধবকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বলে শাসক জোট ‘মহা বিকাশ অঘড়ি’র (Maha Vikas Aghadi)) একটি সূত্র জানিয়েছে। শিবসেনার পাশাপাশি এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেস (Congress) এই জোটের শরিক।

    আরও পড়ুন: সঙ্কট আরও ঘনীভূত, বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    কয়েক দিন ধরেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে জেরবার উদ্ধবের সামনে মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস এবং এনসিপি। কিন্তু জোটে নারাজ একনাথ জানিয়ে দেন, শিবসেনাকে টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে দুই শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা জরুরি। 

    একনাথ টুইটারে লেখেন, “গত আড়াই বছরের জোট সরকারে লাভবান হয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি। যেখানে অন্যান্য দল শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে সেনা শুধুমাত্র দুর্বল হয়েছে। যা দেখে শিব সৈনিকরা অবাক হয়েছেন।” তিনি আরও লেখেন, “দল এবং শিব সৈনিকদের বেঁচে থাকার জন্য অস্বাভাবিক জোট থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। মহারাষ্ট্রের স্বার্থে এখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।”

    আরও পড়ুন: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালকে লেখা চিঠিতে শিন্ডেকেই ‘শিবসেনা পরিষদীয় দলের নেতা’ পদে বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কেরা। শিন্ডে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দল আর দলের কর্মীদের বাঁচাতে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে অস্বাভাবিক জোট ছেড়ে বেরোনো শিবসেনার জন্য অপরিহার্য ছিল।’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় এত দিন পর্যন্ত বিধানসভায় শিবসেনার দলনেতার দায়িত্ব পালন করছিলেন শিন্ডে।

    প্রসঙ্গত, ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Assembly) শিবসেনার বিধায়ক ৫৫। যাঁদের মধ্যে ৩৬ জনই শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁরা যদি ইস্তফা দেন, তা হলে শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা নেমে আসতে পারে ১৯-য়। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে আরও অন্তত ৭ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে জোট সরকার। যা মোটেই কাম্য নয় সরকারের আর দুই শরিক এনসিপি এবং কংগ্রেসের।

  • Air India: বাড়বে পরিষেবা! এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য ৩০০ টি বিমান কেনার পরিকল্পনা টাটার

    Air India: বাড়বে পরিষেবা! এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য ৩০০ টি বিমান কেনার পরিকল্পনা টাটার

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা (Tata) গোষ্ঠী মালিকাধীন এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) নতুন করে ৩০০টি ‘ন্যারো বডি এয়ারক্র্যাফট’ (narrowbody jets) বা ছোট, মাঝারি মাপের বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে। ২০০৬ সালের পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া নতুন করে কোনও বিমান কেনেনি। ফলে এই বিমান কেনার চুক্তি সফল হলে দেশের বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবায় এয়ার ইন্ডিয়া এক নতুন ইতিহাস তৈরি করবে।

    আরও পড়ুন: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! ‘বসিয়ে দেওয়া’ হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের

    খবর সূত্রে জানা যায়, এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারবাস এসই-র এ৩২০নিও ফ্যামিলি জেট (Airbus SE’s A320neo family jets) অথবা বোয়িং কো’র ৭৩৭ ম্যাক্স (Boeing Co.’s 737 Max) মডেলের বিমান অথবা দুটোরই অর্ডার দিতে পারে। জানা যায়, ৩০০টি ৭৩৭ ম্যাক্স-১০ জেট (737 Max-10 jets) কিনতে খরচ হতে পারে প্রায় ৪০.৫ বিলিয়ন ডলার($40.5 billion )। তবে এই বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে মোদি সরকারের কাছ থেকে লোকসানে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নেয় টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)।

    বোয়িং (Boeing )কোম্পানির সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার ৩০০ টি বিমান কেনার চুক্তিটি সফল হলে বোয়িং কোম্পানির জন্যই ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ করোনার আগে পর্যন্ত এয়ারবাস (Airbus) কোম্পানিই বিমান পরিষেবার বাজারে বিশ্বে প্রথম স্থানে ছিল। এছাড়া ইন্ডিগো (IndiGo),  ভিস্তারা(Vistara), গো এয়ারলাইন্স (Go Airlines)-এর বিমালগুলো  ইন্টারগ্লোব অ্যাভিয়েশন (InterGlobe Aviation Ltd) কোম্পানির থেকেই অর্ডার করা হয়। এয়ারবাস একমাসেই ৫০ টি ‘ন্যারো বডি এয়ারক্র্যাফট’ তৈরি করে। এয়ার ইন্ডিয়া পরিকল্পনা করেছে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৫ টি এবং ২০২৫-এর মধ্যে ৭৫ টি ন্যারো বডি বা ছোট, মাঝারি মাপের বিমানের অর্ডার করা হবে।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    এয়ার ইন্ডিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রন টাটা গ্রুপকে দেওয়ার পর থেকেই  টাটা গ্রুপ এটিকে পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করছে। এয়ার ইন্ডিয়া নতুন বিমান দিয়ে তার পরিষেবা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনর্গঠিত করার জন্য ইতিমধ্যেই অনেক পরিকল্পনাও নিয়েছে টাটা গ্রুপ।

  • Maoist Attack: ওড়িশায় মাওবাদী হামলায় নিহত ৩ সিআরপি জওয়ান

    Maoist Attack: ওড়িশায় মাওবাদী হামলায় নিহত ৩ সিআরপি জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা-ছত্তিসগড় সীমান্তে মাওবাদী হামলায় (Maoist attack) নিহত হলেন আধা সামরিক বাহিনীর (CRPF) তিন জওয়ান। মৃতদের মধ্যে দু’জন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

    মঙ্গলবার ওড়িশার (Odisha) নুয়াপাড়া জেলায় সিআরপিএফ টহলদারি চলাকালীন হামলা চালায় মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, উপদ্রুত জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি এলাকায় টহলদারি দলের জন্য আগে থেকে অপেক্ষা করছিল মাওবাদীরা। জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনোমাত্র অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সময় সেসময় টহলে ছিলেন ৭ জন জওয়ান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পালটা জবাব দেয় বাহিনী।

    [tw]


    [/tw]

    ওড়িশা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই হামলা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে গুলির লড়াই। নিহত জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্রও লুঠ করেছে মাওবাদীরা। নিহত তিন সিআরপিএফ জওয়ানের মধ্যে দু’জন সাব ইন্সপেক্টর। মৃতদের পরিবার পিছু ২০ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ওড়িশা (Odisha) সরকার। এই ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা চলছে। ওড়িশা পুলিশের ডিজি এসকে বনশল জানিয়েছেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ওড়িশা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী এবং স্পেশ্যাল অপারেশনাল গ্রুপ (Special Operations Group)। ঘটনার পরই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সংকটে উদ্ধব-সরকার! নিখোঁজ মন্ত্রী সহ ২৭ বিধায়ক

    অন্যদিকে, ভোপালের বালাঘাট জেলায় এনকাউন্টারে তিনজন মাওবাদীকে খতম করল পুলিশ। তার মধ্যে একজন মাও কমান্ডার চিফও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিভিশন কমিটি মেম্বার স্তরের কমান্ডার-ইন-চিফ ৪০ বছর বয়সি নাগেশ ওরফে রাজু তুলাভির (Raju Tulavi) মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে। একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

    সুরক্ষা বাহিনী সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ছত্তিসগড় (Chhattisgarh) আর মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মধ্যে একটা নিরাপদ করিডর তৈরির চেষ্টা করছিল মাওবাদীরা। এবার সেখানেই অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেল মধ্যপ্রদেশ। মাওবাদী নেতা নাগেশকে খতম করা হয়েছে। তার মাথার দাম ছিল ২৯ লাখ টাকা। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ও মহারাষ্ট্র সরকার যৌথভাবে এই পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল। মধ্যপ্রদেশের ভিস্তার প্ল্যাটুনের দায়িত্ব ছিল নাগেশ।

    অপর নিহত দুই মাওবাদীর একজন হল পশ্চিম বস্তারের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি মনোজ এবং দ্বিতীয়জন সুকমার বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সি মহিলা মাওবাদী রামে। তাদের মাথার ওপর ১৪ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন মাওবাদী দমন বাহিনীর (Anti-Maoist Force) ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শরিদ ফাপু। মাওবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

     

  • Yogi Adityanath:  যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    Yogi Adityanath: যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পূরণ করল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। তিনি বলেন, এই একশো দিন সমর্পণ করা হয়েছে জনগণের সেবা-সুরক্ষা এবং সুশাসনের প্রতি। মুখ্যমন্ত্রী (CM) বলেন, জনতার কাছে যা কথা দিয়েছি, তা আমরা পূরণ করবই। এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশের অর্থ ব্যবস্থাকে এক ট্রিলিয়নে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

    উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় এসেই রাজ্যকে ‘কুশাসন’ মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যান যোগী। যার সুফল ঘরে তুলছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর জয় মিলেছে বিধান পরিষদ নির্বাচনেও। সম্প্রতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আজমেঢ় ও রামপুর উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত গেরুয়া শিবির। যোগী আদিত্যনাথ জানান, উত্তর প্রদেশকে আরও সংগঠিত করতে দশটি বিভাগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি হল কৃষি, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, আরবান ডেভেলপমেন্ট, ট্যুরিজম ও কালচার, শিক্ষা, রাজস্ব এবং আইন। এগুলির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের হাতে। প্রত্যেককে বেঁধে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে মোট ২৯২৫ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে মাফিয়া ও সমাজবিরোধীদের গতিবিধি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাফিয়াদের ৮৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তিও। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গত পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে উত্তর প্রদেশ পরিচিতই ছিল দাঙ্গা ও অশান্তির জন্য। কিন্তু বিজেপি সরকার আসার পরেই উত্তর প্রদেশে আর একটিও দাঙ্গার খবর নেই।

    আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    কেবল আইনশৃঙ্খলাই নয়, আর্থিকভাবেও ঢের উন্নতি লাভ করেছে যোগীর রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশের জিডিপি দ্বিগুণ হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয়ও। তিনি জানান, ধর্মীয়স্থানে অনাবশ্যক লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। ২০ হাজারেরও বেশি লাউড স্পিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানান আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত একশো দিনে প্রায় ১০ হাজার জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য উত্তর প্রদেশের সব যুবককে অন্তত দু লক্ষ করে টাকা লোন দেওয়া। এই টাকা নিয়ে তারা যাতে ব্যবসা করতে পারে, সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা করবে সরকার। আদিত্যনাথ বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রায় ৮৬ লক্ষ কৃষকের লোন মকুব করে। ২০২২ সালে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে ১৫ কোটি গরিব মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

  • Maharastra political crisis: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    Maharastra political crisis: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharastra) মহাসংকট! দুভাগ হয়ে গিয়েছে বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি শিবসেনা (Shiv Sena)। সূত্রের খবর, শিবসেনা বালাসাহেব নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) বাহিনী। তাদের ঠেকিয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বিদ্রোহীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ভোটে জিততে নিজেদের বাবার নাম নাও, আমার বাবার নাম নেবে না। এদিকে, শনিবারই মধ্যরাতে গুজরাটের ভাদোদরায় শিন্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। শিবসেনা বাঁচাতেই যে তিনি নয়া শিবসেনা গড়ছেন, এদিনই তা ফের জানিয়ে দিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে চলে যান গুজরাট এবং পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই অনুগতদের নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি।

    তবে এর মধ্যেই শনিবার মধ্যরাতের বিশেষ বিমানে গুজরাটের ভাদোদরায় ফিরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন শিন্ডে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে সম্ভাব্য সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই দুই নেতার। ২০১৯ সালে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের তখতে বসার আগে তিনদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলেন ফড়নবীশ-ই। রাতে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরে ফের বিজেপি শাসিত আসামে ফিরে যান শিন্ডে। এখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে প্রায় ৪০ জন অনুগত বিধায়ককে নিয়ে রয়েছেন বিদ্রোহী এই শিবসেনা নেতা।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিকে, শিবসেনা বালাসাহেব নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে শিন্ডে বাহিনী। সে খবর কানে পৌঁছতেই ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভোটে জিততে তোমরা নিজেদের বাবার নাম নাও, আমার বাবার (বালাসাহেবের) নাম নয়। তাঁর সাফ কথা, বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করা যাবে না কোনও মতেই। কেবল হুঁশিয়ারি দিয়েই ক্ষান্ত হননি উদ্ধব। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে সরাসরি নালিশও ঠুকলেন নির্বাচন কমিশনে। সূত্রের খবর, শিবসেনার তরফে এ ব্যাপারে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। উদ্ধব বলেন, ওরা যা পারে করুক। নিজেদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিক। কিন্তু বালাসাহেব ঠাকরের নাম নিয়ে কিছু করা যাবে না। উদ্ধবের নেতৃত্বে এদিন শিবসেনার জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকও বসে। সেখানে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বৈঠক শেষে আদিত্য ঠাকরে বলেন, শিবসেনা বিধায়কদের ‘প্রতারণা’ আমরা কোনওদিন ভুলব না। আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব।

    এদিকে, শিবসেনা বাঁচাতেই যে তিনি লড়ছেন, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিন্ডে। বলেন, এমভিএ সরকার নামের ড্রাগনের কবল থেকে শিবসেনাকে মুক্ত করতে চাইছি আমি। এই লড়াই পার্টি কর্মীদের জন্যই।

    অন্যদিকে, শিন্ডে বাহিনীর অভিযোগ উদ্ধবের দলবল হামলা চালিয়েছে তাদের একাধিক পার্টি অফিসে। এখন নিরাপত্তার আশঙ্কায় ভুগছেন বিদ্রোহীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে ১৫ জন বিধায়ককে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের স্ত্রীদের বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন উদ্ধবের স্ত্রী রশ্মি। অন্তত শিবসেনার একটি সূত্রের খবর এমনই।  

     

LinkedIn
Share