Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India-China: দেশের উপর নজরদারি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান

    India-China: দেশের উপর নজরদারি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের সামরিক তোড়জোড় নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সীমান্তে। ভারতের সঙ্গে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে। তার পরেও প্রায়শই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান। এভাবেই ভারতীয় সেনা ও দেশের নিরাপত্তার উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন বলে অনুমান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। সেনা সূত্রে খবর, চিনা বাহিনী বহুবার পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    বায়ুসেনা (IAF) সূত্রে খবর, গত তিন থেকে চার সপ্তাহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার চিনের বিমান ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। বায়ুসেনা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। এই ঘটনা কোনওভাবেই তারা বাড়তে দেবে না বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, এই এলাকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা দেখার উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, “জে-১১ সহ চিনা ফাইটার জেটগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি উড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে ১০ কিলোমিটার কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার (সিবিএম) লাইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এই উস্কানিগুলির একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ভারতীয় বিমান বাহিনী মিগ-২৯ এবং মিরাজ ২০০০ সহ সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমানগুলিকে উন্নত ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করেছে যেখান থেকে তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে চিনা কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।”

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) সীমান্তের ওপারে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা নজরে এসেছে। সেখানে ২৫টি অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। আগে ওই এয়ারবেসে মিগ-২১-এর মতো বিমান রাখত চিন। কিন্তু এবার আধুনিক ও জটিল যুদ্ধে সক্ষম জে-১১ এর মতো বিমান মোতায়েন চিন্তার বিষয়। তবে ভারতও ছেড়ে কথা বলবে না বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। সীমান্তের কাছে চিনা যুদ্ধবিমান দেখতে পেলেই তার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে ভারতীয় বায়ুসেনা। আঘাত হলে তার প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে বলে দাবি বায়ুসেনার।

  • Gautam Adani: বিল গেটসকে টপকে  বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি আদানি, দশম স্থানে মুকেশ 

    Gautam Adani: বিল গেটসকে টপকে  বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি আদানি, দশম স্থানে মুকেশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চতুর্থ ধনী (Rich) ব্যক্তি কে জানেন? তিনি থাকেন এই ভারতেই (India)। বিশ্বের এই অন্যতম ধনকুবেরের নাম গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তাঁর সম্পত্তির বহর ছাপিয়ে গিয়েছে মার্কিন ধনকুবের মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের (Bill Gates) সম্পত্তিকেও।

    প্রতিবছর বিভিন্ন ধন কুবেরের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরে ফোরবেস রিয়্যাল টাইম। বৃহস্পতিবার তাদের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায় চার নম্বরে নাম রয়েছে ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা। ধনী ব্যক্তিদের ওই তালিকায় নাম রয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসেরও। তবে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আদানির চেয়ে কম। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতার সম্পত্তির পরিমাণ ৮ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরও এক ভারতীয়ের। তবে তিনি রয়েছেন তালিকার দশম স্থানে। তিনি আর কেউ নন, রিলায়েন্স জিওর মুকেশ আম্বানি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন : বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    আদানি চতুর্থ স্থানে থাকলেও, প্রথম স্থানে নেই কোনও ভারতীয়। ধনকুবেরদের এই তালিকায় প্রথম স্থানটি দখল করেছেন টেলসা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার কোটি টাকায় ট্যুইটার কিনে নেওয়ার কথা হয়েছিল মাস্কের। এই তালিকায় মাস্কের পরে রয়েছেন আরও দুজন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আদানি। বর্তমানে বন্দর, খনি ও গ্রিন এনার্জি ক্ষেত্রে ব্যবসা রয়েছে তাঁর। গত তিন বছরে আদানি সাতটি বিমানবন্দর ও ভারতের এয়ার ট্রাফিকের এক চতুর্থাংশ জায়গায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। তাঁর গ্রুপ দেশের সব চেয়ে বড় বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক ও শক্তি উৎপাদক। এদিকে, গ্যাডটের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ইজরায়েলের একটি বন্দরের টেন্ডার পেয়েছেন বলে জানান আদানি।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

     

  • Visa Free Entry: বিদেশ ঘুরতে লাগবে না ভিসা! শুধুমাত্র ভারতীয় পাসপোর্টেই ঘুরতে পারবেন এই ৬০টি দেশ

    Visa Free Entry: বিদেশ ঘুরতে লাগবে না ভিসা! শুধুমাত্র ভারতীয় পাসপোর্টেই ঘুরতে পারবেন এই ৬০টি দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও বিদেশে ঘুরতে যেতে গেলে পাসপোর্ট, ভিসা লাগে। তবে জানেন কি কিছু দেশ আছে, যেখানে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে। আগে ভারতীয় পাসপোর্ট বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অতটাও ক্ষমতাশালী ছিল না৷ তবে এবারে ভারতীয় পাসপোর্টকে উন্নত করা হয়েছে, কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে কোনও ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৬০টি দেশে যাওয়া যাবে। গ্লোবাল পাসপোর্ট র‌্যাঙ্কিং-এর (global passport rankings chart) হেনলে পাসপোর্ট ইনডেক্স (Henley Passport Index) অনুযায়ী এর আগে ভারতীয় পাসপোর্ট ৯০-তম স্থানে ছিল। সেখান থেকে এখন তিন ধাপ এগিয়ে গিয়ে এখন ভারতের পাসপোর্ট ৮৭-তম স্থানে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে বিল পেশ আমেরিকায়

    জাপানের পাসপোর্ট এই তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে, ফলে জাপানের পাসপোর্ট নিয়ে বিনা ভিসায় ১৯৩ টি দেশে যাওয়া যায়। এরপরেই সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়ার স্থান। এই দেশের পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ১৯২টি দেশে যাওয়া যায়। ২০২১ সালেই ভারতীয় পাসপোর্ট ৯০ তম স্থানে ছিল। কিন্তু এবারে ভারত ৮৭-এ উঠে এসেছে। তাই ভারতীয়দের জন্য এবার ৬০টি ‘ভিসা ফ্রি’ দেশ৷ এর পাশাপাশি ভারতীয়দের ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ অর্থাৎ আগাম ভিসা নেওয়ার পরিবর্তে সেই দেশে পৌঁছে গিয়ে তখনই ভিসা দেওয়ার সুবিধা করা হয়েছে। কিছু এশিয়ান দেশ থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকার ২১টি দেশ ও ইউরোপের মাত্র ২টি দেশে ভারতীয় নাগরিকদের জন্যে ভিসা অন অ্যারাইভালের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।  

    কেন্দ্র থেকে এই চেষ্টাই করা হচ্ছে, যাতে ভারতীয়দের জন্য আরও বেশি সংখ্যক দেশে ভিসা-ফ্রি এবং ভিসা অন অ্যারাইভাল ভ্রমণের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়৷ এতে অবশ্যই লাভবান হবেন ভারতীয়রা৷ বিদেশে যাতায়াতও অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে৷ আর ভিসা পাওয়ারও কোনও সমস্যা হবে না৷

    ভিসা ছাড়াই ভারতীয়রা যেতে পারেন ওশিয়ানিয়া অন্তর্ভুক্ত দেশ কুক দ্বীপপুঞ্জ, নিউয়ে, ভানুয়াতু, মাক্রোনেশিয়া, ফিজি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ দ্বীপপুঞ্জ, টুভালু এবং সামোয়ায়। পশ্চিম এশিয়ার দেশের মধ্যে কাতার, ইরান ও জর্ডনে যেতে কোনও ভিসা লাগে না ভারতীয়দের। ইউরোপের আলবেনিয়া ও সার্বিয়ায় যেতে ভিসার প্রয়োজন পড়ে না। আবার ক্যারিবিয়ান দেশগুলির মধ্যে বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভারজিন দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্তসেরাট, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিজ, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো যেতে ভিসা লাগে না।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই ভারতে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট, কেন জানেন?

    আবার, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ভুটান, নেপাল, ম্যাকাও ও ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, মালদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, টিমর-লেসটে এবং তাইল্যান্ডে যেতে ভিসা লাগে না। আমেরিকা মহাদেশের বলিভিয়া, এল সালভাডোর যেতে ভিসা লাগে না। আফ্রিকা মহাদেশের বৎসোয়ানা, কেপ ভার্ডে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরেস দ্বীপপুঞ্জ, ইথিওপিয়া, গাবোন, গেনিয়া বিসাউ, মাদাগাস্কার, মৌরিশিনিয়া, মোজাম্বিক, রাওয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবোয়ে, তানজিনিয়া, মরিশাস, টিউনিশিয়া, সেনেগাল, টোগো যেতে ভিসা লাগে না।

     

  • ED Quizzes Sonia: মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    ED Quizzes Sonia: মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দফতরে পৌঁছালেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। এদিন সোনিয়ার হাজিরা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি (Delhi)। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেসের অন্তত ৭৫ জন সাংসদ। তাঁদেরকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। কেবল দিল্লি নয়, আরও কয়েকটি রাজ্যেও সোনিয়াকে ইডির ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন : ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জুন মাসেই ইডি তলব করেছিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তলব করা হয়েছিল সোনিয়া পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও (Rahul Gandhi)। বিদেশে থাকার জন্য নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। পরে অবশ্য হাজিরা দেন। প্রায় পাঁচ দিন পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় রাহুলকে। লিপিবদ্ধ করা হয় তাঁর বয়ানও।

    প্রায় একই সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ারও। কিন্তু করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই চেয়ে নেন বাড়তি সময়। সেই মতো এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেন সোনিয়া। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও। পি চিদম্বরম, অজয় মাকেন, মানিকাম ঠাকুর, কেসি বেণুগোপাল, অধীররঞ্জন চৌধুরী, শশী তারুর, সচিন পাইলট, হরিশ রাওয়াত, অশোক গেহলট, কে সুরেশ সহ বেশ কয়েকজন সাংসদকে আটকও করে দিল্লি পুলিশ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, প্রতিবাদ করায় কংগ্রেস সাংসদ এবং কর্মীদের আটক করা হয়েছে। আমাদের পুরানো দিল্লির পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন। কয়েকটি গাড়িও পোড়ানো হয় বলে অভিযোগ। 

    সূত্রের খবর,  এদিন কার্যত প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয় সোনিয়াকে। জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। কংগ্রেসের অভিযোগ, দলনেত্রীকে হেনস্থা করতেই এসব করা হচ্ছে। সংসদে চলছে বাদল অধিবেশন। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভা ও রাজ্যসভা সংসদের দুই কক্ষেই স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধীরা। হট্টগোলের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করা হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। কংগ্রেসের এই প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। প্রসঙ্গত, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) আওতায় রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের (Money Laundering) মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই মামলায়ই এদিন হাজিরা দেন সোনিয়া।

     

     

  • Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চল্লিশ ঘণ্টা জেরা করা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও সন্তুষ্ট নয় ইডি (ED)। সেই কারণেই আজ, মঙ্গলবারও ফের ইডির জেরার মুখে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গত সপ্তাহে তিন দিন টানা জেরা করা হয় রাহুলকে। সোমবার জেরা করা হয় আরও এক প্রস্ত। ইডির দাবি, তার পরেও মেলেনি সন্তোষজনক উত্তর। তাই মঙ্গলবার ফের জেরা করা হচ্ছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (national herald case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত সপ্তাহে পরপর তিনদিন রাহুলকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিদিন প্রায় দশ ঘণ্টা করে জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার বিরতি নিয়েছিলেন ‘ক্লান্ত’ রাহুল। সোমবার ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। এদিনও ঘণ্টা দশেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল ইডি। বিদেশে থাকায় প্রথমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। নির্ধারিত সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি সোনিয়াও। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাজির হতে পারেননি তিনি। দেশে ফেরার পর ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন সোনিয়া। ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।

    আরও পড়ুন : রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন এই তিনটি সংবাদপত্র অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে অধিগ্রাহণ করে রাহুল ও সোনিয়ার মালিকানাধীন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থা। রাহুল ও সোনিয়া ওই সংস্থার ৭৬ শতাংশের মালিক। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ ও মতিলাল ভোরা। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, এই অধিগ্রহণ নিয়ম মেনে হয়নি। ঘুরপথে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।এর পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। জেরা করা হয় রাহুলকে। বৃহস্পতিবার জেরা করা হবে সোনিয়াকে।

     

  • President Election 2022: রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই

    President Election 2022: রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে একে তিন, মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন পছন্দের প্রার্থীই মুখ ফেরালেন। শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar), ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) পর এবার গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopalkrisna Gandhi) । এক বিবৃতিতে, মমতার তৃতীয় পছন্দের নেতা একদা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জানান, “বিরোধীদের এমন একজনের প্রার্থী হওয়া উচিত যিনি জাতীয় সহমতের ও বিরোধীদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন। আমার মনে হয়, (আমার) থেকেও আরও কেউ এই কাজটা ভাল করতে পারবেন।” ঘুরিয়ে নয় সরাসরিই গোপালকৃষ্ণ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি সব বিরোধীর পছন্দের নাম নন! শুধুমাত্র মমতার পছন্দের নাম।

    দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের প্রথম বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (President Election) হিসেবে এনসিপি (NCP) নেতা শরদ পাওয়ারের নামোল্লেখ করেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পিছিয়ে আসেন। মমতার বাঁদিকে বসে নিজের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে দেন বৈঠকেই। এরপরই মমতা তার নিজের স্টাইলে অন্য কারো সঙ্গে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই সামনে তুলে আনেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার নাম। মমতার ডানদিকে তখন বসে মেহবুবা মুফতি। দীর্ঘদিনের পরিণত রাজনীতিবিদ ফারুক ফিরিয়ে দেন মমতার প্রস্তাব। একেবারে শেষ পর্বে মমতা আবার সংবাদবাজারে ছড়ান গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম। তিনি সময় চেয়েছিলেন ভাববার। সোমবার মমতার সে প্রস্তাবও খারিজ করে দিলেন,পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।

    এমন এক সময়ে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী তাঁর মতামত জানালেন, ঠিক তার পরদিনই বিরোধী ঐক্যমতের রাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করার দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার কথা। সে বৈঠক ডেকেছেন শরদ পাওয়ার। সেই কারণে ঐ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা। নিজে গুরুত্ব না পাওয়ায়, ২০১২-র মুকুল রায়কে পাঠিয়েছিলেন। এবার যাচ্ছেন মমতার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যাকে ইতিমধ্যেই কয়লা, সোনা সহ একাধিক মামলায় সিবিআই-এ হাজিরা দিতে হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই অভিষেকের বক্তব্য বিরোধী নেতাদের কাছে আদৌ ওজনদার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। 

    গত ১৫ জুন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের সহমতের প্রার্থী ঠিক করতে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’র মত প্রথম বৈঠকেই বিরোধী শিবিরের ছন্নছাড়া দশা প্রকট হয়েছিল। যে বাইশটি দলের নেতাদের ডাকা হয়েছিল শুরুর বৈঠকেই ৫টি দল অনুপস্থিত ছিল। আপ, টিআরএস, টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজু জনতা দল যোগ দেয়নি। বাকি যে দুটি দলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাঁরা বিজেপি নেতৃত্বে এনডিএ-র (NDA) সঙ্গে আছে। স্বাভাবিক কারণে তারাও আসেনি বৈঠকে। একতরফা বৈঠক ডাকায় তখন বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই তাঁদের প্রথম শ্রেণীর প্রতিনিধিদের পাঠায়নি। মাধ্যম তখনই বলেছিল, মমতার আরেক ফ্লপ শোয়ের সাক্ষী থাকল দিল্লি।  

    দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠকের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব স্টাইলে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন যশোবন্ত সিনহার নাম। বুঝতে চাইছিলেন বিজেপি (BJP) ভেঙে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়া যশোবন্তকে কিভাবে নেন বিরোধী নেতারা। সেই অঙ্কও মেলেনি। গোপালকৃষ্ণের সময় নেওয়ার সময়েই বোঝা গেছিল জল মাপতে চাইছেন তিনি। অন্য কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল তার নাম নিয়ে উৎসাহ না দেখানোয় অবশেষে ফিরিয়ে নিলেন নিজেকে। ঠিক যেভাবে নিজে বৈঠক ডাকার সুযোগ না পাওয়ায় মঙ্গলবার বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা।

  • Modi on Agnipath: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    Modi on Agnipath: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রং ভাল কাজকেও নষ্ট করে দেয়। দেশের অগ্রগতিতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সারা দেশে বিরোধিতার প্রেক্ষিতে রবিবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে করা অনেক কিছুই রাজনীতির রঙে দেখা হয়।”

    [tw]


    [/tw]

    অগ্নিপথ (Agnipath)-বিক্ষোভের জেরে দেশ (India)-জুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ (Protest)। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন (Train)। জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে। সেই অগ্নিপথ আন্দোলনের আবহে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বেশ কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। দিল্লিতে প্রগতি ময়দানের মূল টানেল উদ্বোধনের পরে রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভাষণে অগ্নিপথের কথা উল্লেখ না করেই আক্ষেপের সুরে বলেন, “দেশের ভালর জন্য যা করা হয়, তাতেই রাজনীতির রঙ লেগে যায়! ১০০ টাকা দিলে খবর হয়, কিন্তু ২০০ টাকা সঞ্চয়ের কথা বললে সমালোচনা হয়। দেশের নাগরিকদের ভালোর জন্য সরকার নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা করে। তাতে রাজনীতির রং লেগে গেলে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।”

    আরও পড়ুন: মায়ের জন্মদিনে মাতৃপূজায় মোদি

    এদিন নয়াদিল্লিতে প্রগতি ময়দান ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর প্রকল্পের মূল টানেল এবং আন্ডারপাস উদ্বোধন করেন মোদি। দিল্লি-এনসিআর-এর সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলির বিশদ বিবরণ দিয়ে, মোদি বলেন,”গত আট বছরে মেট্রো পরিষেবা ১৯৩ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৪০০ কিলোমিটার হয়েছে। কয়েক দশক আগে ভারতীয় ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য তৈরি হওয়া প্রগতি ময়দানের খুব বেশি ‘প্রগতি’ হয়নি। কাগজে কলমে উন্নয়নের একটি পরিকল্পনা ছিল। তখনকার সরকার সংবাদপত্রের শিরোনামে এটিকে নিয়ে আসার জন্য এমনিই ঘোষণা করে দিয়েছিল এবং তারপরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।”

  • VK Singh on Agnipath: “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    VK Singh on Agnipath: “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অগ্নিপথ‘ (Agnipath Recruitment) প্রকল্প পছন্দ না হলে ভারতীয় সেনায় (Indian Army) যোগদান করবেন না। বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অগ্নিবীর নিয়োগ বিতর্ক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং (VK Singh) মহারাষ্ট্রের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “এটা কোনও দোকান বা সংস্থা নয়। যিনি সেনায় যোগ দেন, তিনি স্বেচ্ছায় যোগ দেন। ভারতীয় সেনা রোজগারের জায়গা নয়। যাঁদের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প পছন্দ নয়, তাঁদের আসার দরকার নেই।”

    ভিকে সিং আরও বলেন, “যারা সেনায় আসতে চান, তাঁরাই আসেন। ভারত সরকার কাউকে সেনায় যোগদান করতে জোর করে না। কিন্তু এখানে চাকরি পেতে হলে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, নিয়ম মেনেই চাকরি পেতে হবে।” 

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম মহিলা নাবিক! অগ্নিপথ প্রকল্প দেখাচ্ছে পথ

    ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব (Agnipath Protest) চলেছে। জ্বালানো হয়েছে ট্রেন, গাড়ি। সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কে আসতে বলেছে সেনায়? আপনারা বাস এবং ট্রেন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আপনাদের বলেছেন যে সেনায় আসতেই হবে? কোনও বাধ্যবাধকতা নেই তো।” 

    কিছুদিন আগেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) অগ্নিপথ প্রকল্পের নিন্দা করে বলেছিলেন, “এই প্রকল্প ভারতের যুবসমাজ তথা ভারতীয় সেনাকে ধ্বংস করে দেবে।” এই মন্তব্যের বিরোধীতা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধীকে ইডির জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে তাই কংগ্রেস ক্ষুব্ধ। তাই মোদির আমলের সব ভালো কাজের খুঁত বের করে ওরা প্রশ্ন তুলছে। যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। সরকারকে অপদস্ত করতে দেশে অশান্তির আগুন জ্বালাচ্ছে কংগ্রেস।”

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিবীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, পরীক্ষা জুলাইয়ে

    কিছুদিন আগেই সেনা বাহিনীতে নিয়োগের  জন্যে এক নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই প্রকল্পে চুক্তির ভিত্তিতে ১৭-২৩ বছর বয়সীদের নেওয়া হবে সেনাবাহিনীতে। চার বছর পরে ২৫%- কে স্থায়ী পদ দেওয়া হবে, বাকিদের করবিহীন এককালীন ভাতা দিয়ে অবসর দেওয়া হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা চাকরি পাবেন, তাঁদের ‘অগ্নিবীর’ নামে ডাকা হবে।  

     

  • Assam Flood: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ

    Assam Flood: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আসাম তথা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation)। আসামে (Assam) বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মীও।  

    চলতি বছরে পর পর দুবার বন্যায় এবং বন্যার কারণে ধসে আসামে মোট ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজালি, বক্সা, বরপেটা, কাছাড়-সহ ৩৩ টি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরপেটার। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ৭৪৪ টি আশ্রয় শিবির। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ। 

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪  
     
    শুধু আসামেই বন্যার কারণে ৪২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বরপেটায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে এক জন করে মৃত্যু হয়েছে। ডিব্রুগড়ের নৌকাডুবিতে চারজন এখনও নিখোঁজ। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়ি থেকেও এক জন করে নিখোঁজ।

    আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম, মৃত বেড়ে ৫৪, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষের বেশি  
     
    বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গজরাজ’। ভারতীয় সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত মিলিয়েছে, আধা সেনা (Para Military), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং দমকল বাহিনীও (Fire Brigade)। সূত্রের খবর, জলের তলায় রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম। শুধুমাত্র বরপেটা জেলার প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। এছাড়াও নওগাঁওয়ের প্রায় ৪ লক্ষ এবং দেলগুয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। অসমের ২৫টি জেলার ১০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লক্ষ গবাদি পশু। এমনকী কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের বেশ কিছু অংশও রয়েছে জলের তলায়। বন্যা কবলিত লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় শিবিরে। অনেকের কাছেই এখনও পৌঁছনো যায়নি ত্রাণ।     

    উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে (North-Eastern India) এই বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৭১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের সম্ভবনাময় এক ১৬ বছরের বক্সার। ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।  

    কামরূপে নদীর জল শেষ বন্যার থেকে .৩৩ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। এর আগে যখন সবচেয়ে বন্যা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল, তখন নদীএর জলের উচ্চতা ছিল ৬১.৭৯ মিটার। ব্রহ্মপুত্র, মধুরার জল বিপদ সীমার বেশ খানিকটা ওপর দিয়ে বইছে। এখনই কমছে না বৃষ্টিপাত, সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।  

     

  • Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ প্রকল্প’ (Agnipath Scheme) ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও অগ্নিবীরদের (Agniveers) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বাড়ছে নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও।

    [tw]


    [/tw]

    শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। গত দুবছর করোনা মহামারীর কারণে সেনায় নিয়োগ বন্ধ ছিল। তাই প্রথম বছরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২১ বছর, পরে তা ২৩ বছর করা হয়। এ বার আরও বাড়ল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা। তবে এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও, অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, সিআরপিএফে ‘অগ্নিবীর’দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার পর দিনই সামনে এল এই ঘোষণা। এর ফলে চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রশমন হবে বলে আশা করছে ওয়কিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: পরিস্থিতি এমন হবে বুঝিনি! একথা কেন বললেন নৌসেনা প্রধান?

    এখন আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি শাখায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। এগুলি হল বিএসএফ, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ, ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিএফ), সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি এবং সিআইএসএফ। পাশাপাশি, ৭৩,২১৯টি পদ খালি রয়েছে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজের ক্ষেত্রেও অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা জানানো হয় এদিন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেছেন, “নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিলকরণের মাধ্যমে আমরা যুবকদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব পোষণ করেছি। তাঁদের জন্য সংরক্ষণের কথাও ভাবা হচ্ছে।” 

LinkedIn
Share