Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Supreme Court: পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসতি এলাকায় রাস্তায় কুকুরদের (Stray Dogs) যাঁরা খেতে দেন বা যাঁরা পথ-কুকুরদের ভালবাসেন, তাঁরাই পথ-কুকুরদের দায়িত্ব নিক। তাঁদের নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। ওই কুকুর কোনও সাধারণ ব্যক্তিকে কামড়ালে বা আঁচড়ালে তাঁদের চিকিৎসার দায়ভার নিক। এমনই অভিমত শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)। কেরলে (Kerala) কুকুরের কামড়ে এক ১২ বছরের ছেলে মৃত্যু নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই অভিমত ব্যক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট

    আরও পড়ুন: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক

    বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চে কেরলে পথকুকুরের হামলা নিয়ে মামলার পিটিশন চলাকালীন এই কথা উল্লেখ করা হয়। বিচারপতি খান্না জানান, তিনি নিজে পশু প্রেমী, তাই তার মনে হয়, পথ কুকুরদের সমস্যা দূর করতে একটি বিশেষ পদক্ষেপ করা উচিত। তিনি বলেন, যাঁরা রাস্তায় কুকুরদের খেতে দেন তাঁরাই নিজেদের অঞ্চলে কুকুরদের চিহ্নিত করে ভাগ করে নিন। এক এক জন কয়েকটি কুকুরের দায়িত্ব নিক। সেই নির্দিষ্ট কুকুরদের শুধু খেতে দেওয়াই নয় উপযুক্ত টিকাকরণের ব্যবস্থাও করতে হবে ওই ব্যক্তিকেই। সেই কুকুরের দ্বারা কেউ আহত হলে তাঁর চিকিৎসাও করাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    আদালতের তরফে বলা হয়, দায়িত্ব নিলে পথ-কুকুরদের (Street Dogs) নিয়ে সমস্যা অনেকটা কমানো যাবে। বেঞ্চ জানায়, শুধু পশুদের ভালবাসলেই হবে না, দায়িত্বও নিতে হবে। নইলে সাধারণ মানুষ বা নিরীহ পথচারীরাও বিপদে পড়তে পারেন। এর ফলে অসহায় পশুদের উপরও ক্ষুব্ধ হতে পারেন বাসিন্দারা। তাই যাঁরা পশু ভালবাসেন তাঁরাই উদ্যোগী হন। অনেক সময়ই দেখা যায়, কুকুররা হিংস্র হয়ে ওঠে। খাবারের অভাবে বা কোনও অসুখের কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এর ফলে ছোট বাচ্চা, নিরীহ পথচারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। যা কখনওই কাম্য নয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengaluru Flood: জলমগ্ন বেঙ্গালুরুর অভিজাত ‘এপসিলন’ এলাকা, নৌকা করে উদ্ধার কোটিপতিদের

    Bengaluru Flood: জলমগ্ন বেঙ্গালুরুর অভিজাত ‘এপসিলন’ এলাকা, নৌকা করে উদ্ধার কোটিপতিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক টানা প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বেঙ্গালুরু। অট্টালিকা থেকে সাধারণ বাড়ি, মার্সিডিজ থেকে অ্যাপ ক্যাব জলের তলায় সবকিছু। বৃষ্টিতে বানভাসি বেঙ্গালুরু। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। নতুন করে ভাসতে পারে কর্ণাটকের রাজধানী-সহ  রাজ্যের অন্যান্য অংশ। 

    শহরের বিলাসবহুল অঞ্চল এপসিলন জলের তলায়। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে এই অঞ্চলেই বাস করেন উইপ্রো চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি। থাকেন ব্রিটানিয়ার সিইও বরুন বেরি। এখানেই বাড়ি রয়েছে বিগ বাস্কেটের সহ প্রতিষ্ঠাতা অভিনয় চৌধুরি। শহরের ১৫০ জন বিত্তশালী ব্যক্তির বাস এই অঞ্চলে। পুরো এলাকাই জলে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এবং বাড়িঘরেও জমেছে এক কোমর পর্যন্ত জল। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লাইন। সৃষ্টি হয়েছে যানজটেরও। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে রীতিমতো আটকা পড়েছেন বাসিন্দারা। তাদের উদ্ধার করতে সরকার থেকে মোতায়েন করা হয়েছে ছোট ছোট নৌকা, রবার বোট ও ট্রাক্টর।

    আরও পড়ুন: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    দেশের আইটি হাব বেঙ্গালুরু। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু এলাকায় ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে বন্যা পরিস্থিতির জন্য এই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিকেই দায়ী করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জল জমার জন্য পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বোম্মাই। তাঁর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নির্মাণ ও প্রশাসনিক গাফিলতির ফলে বেঙ্গালুরুতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু শহরের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এই বন্যার কারণে তাঁদের প্রচুর কাজের ক্ষতি হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতিতে আইটি কোম্পানিগুলিকে তাঁদের কর্মীদের অফিসে নিয়ে আসার জন্য ট্রাক্টরের ব্যবস্থা করতে দেখা যায়। অনেকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছেন।

    শেষ ৫০ বছরের ইতিহাসেও বেঙ্গালুরুতে এমন ভারী বর্ষণ বিরল। অত্যধিক বৃষ্টিতে ফুঁসছে কর্ণাটকের ১৬২টি হ্রদ। বেলান্দুর এবং ভার্থুর হ্রদের জল উপচে পড়েছে। এই দুই হ্রদের আশেপাশের আবাসিক এলাকা প্লাবিত। এই সব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের বের করে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে ট্রাক্টর ও নৌকা ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amazon: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের 

    Amazon: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিটেল জায়ান্ট অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিজাইস বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেন, “লোকেরা সিটবেল্ট পরা এড়াতে অ্যামাজন থেকে ক্লিপ কিনে নেয়। আমরা অ্যামাজনকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছি এগুলি বিক্রি বন্ধ করার জন্য।”

    এখন অবধি এই ধাতব ক্লিপগুলি বিক্রি করা বেআইনি নয়। কিন্তু সম্প্রতি টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry) মৃত্যুর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বদল আসতে পারে আইনে। পিছনের সিটে বসে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গির পান্ডোলে গাড়ির সিট বেল্ট পরেছিলেন না। দ্রুত গতিতে চলছিল গাড়িটি। ডিভাইডারে ধাক্কা লাগায় অত্যন্ত ঝাঁকুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। বিজনেস টাইকুনের দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ট্রাফিক রুলে আসতে চলছে আরও কড়াকড়ি। 

    আরও পড়ুন: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের  

    নিতিন গড়কড়ি এদিন আরও বলেন, “গাড়ি নির্মাতাদের জন্যে সিট বেল্ট অ্যালার্ম গাড়িতে তৈরি করা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা চলছে।” এখন শুধুমাত্র সামনের সিটে বসা যাত্রীদের জন্যেই সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক। যদিও পিছনের সিটের যাত্রীরা সিট বেল্ট না পরেন তাদের সেন্ট্রাল মোটর ভেইকেলস রুলস (CMVR)- এর নিয়মে ১৩৮ (৩) এর অধীনে ১০০০ জরিমানা করা যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেই নিয়ম জানেন না। বা জানলেও তা উপেক্ষা করে যান। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও পিছনের সিটে বসা যাত্রীরা সিট বেল্ট না পরলে জরিমানা করেন না। 

    প্রসঙ্গত, গাড়িতে সামনের সিট বেল্টের সঙ্গে একটি সেন্সর যুক্ত থাকে। যতক্ষণ না সিটবেল্ট পরা হচ্ছে, গাড়িতে একটি অ্যালার্ট বাজে। তাতেই বিরক্ত হন চালক ও যাত্রীরা। তাই সিটবেল্ট পরা এড়াতে বাজারে বিশেষ ধরণের ক্লিপ পাওয়া যায়। সেটা অনেকেই লাগিয়ে নেন। যাতে সেন্সর বন্ধ থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র সিট বেল্ট না বাঁধার কারণে ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন। 

    আরও পড়ুন: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট

    নিতিন গড়কড়ি এবিষয়ে বলেন, “২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেক করার লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্র। এছাড়াও সরকার এই বছর সমস্ত গাড়িতে ছয়টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করে একটি নির্দেশিকা জারি করবে।” 
     
    কিছুদিন আগেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন। আমি চারজন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়েছি, নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমি গিয়ে সামনের সিটে বসলাম। দেখলাম, একটি ক্লিপ এমনভাবে লাগানো, যাতে বেল্ট না পরলেও কোনও শব্দ না হয়। আমি তবুও চালককে বেল্ট কোথায় তা জিজ্ঞেস করে পরে নিয়েছিলাম।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-China: গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরল দুদেশের জওয়ান! চিন-সীমান্তে প্রস্তুত ভারত, বললেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    India-China: গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরল দুদেশের জওয়ান! চিন-সীমান্তে প্রস্তুত ভারত, বললেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখের গোগরা হটস্প্রিং পেট্রলিং এরিয়া ১৫ থেকে সেনা সরানোর কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। মঙ্গলবার সকালে দুই দেশের সেনা অফিসাররা অঞ্চল খতিয়ে দেখেন। অফিসিয়ালি সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হয় এদিন সকালেই। অন্যদিকে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরলেও, অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে ভারতচিন উত্তেজনা প্রশমিত রয়েছে। অরুণাচল তথা পূর্ব ভারতের সীমান্তগুলি সুরক্ষিত এবং এই অঞ্চলে যে কোনও বৈদেশিক আক্রমণ এবং অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা বলে দাবি করেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার (জিওসি ইন সি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের সেনা ক্যাম্পের নামকরণ করা হল প্রয়াত সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের নামে। অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু (Kibithu) মিলিটারি ক্যাম্পের নাম করা হল দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নামে (General Bipin Rawat)। বিপিন রাওয়াতকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাতেই ওই মিলিটারের ক্যাম্পের নামকরণ করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের পরই কথোপকথনের সময় রানাপ্রতাপ জানান, উন্নয়নের ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা প্রধান শর্ত। সেনা সে কাজে তৎপর। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নানান কাজ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। চিনের সেনার মোকাবিলায় ভারত যে প্রস্তুত তা-ও জানিয়ে দেন কলিতা।

    আরও পড়ুন: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কী বললেন?

    এদিকে সাংহাই বৈঠকের আগেই গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে চিন ভারতের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা প্রস্তুত করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে গোটা ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখতে দু’দিন ধরে লাদাখে ছিলেন। ২০২০ সালের ৫ মে পূর্ব লাদাখের প্যানগং লেক এলাকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর পর ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই দুপক্ষই সেনা মোতায়েন বাড়াতে থাকে। তারপর থেকে সেখানকার উত্তেজনা প্রশমনে বারবার আলোচনা হয়েছে। অবশেষে বরফ গলল। প্রত্যাশামতো সেনা সরালো দুই দেশ। এখন দেখার পূর্ব সীমান্তে এর প্রভাব কতটা পড়ে। এমনিতেই দুই দেশের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তি রক্ষার্থে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অন্য সীমান্তগুলি থেকেও সেনা সরিয়ে নেবে দুই দেশ।

  • Mumbai: হোয়াটসঅ্যাপে সেক্স ট্র্যাপ, ভিডিও কলের ফাঁদে ৫.২৮ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মুম্বইবাসী

    Mumbai: হোয়াটসঅ্যাপে সেক্স ট্র্যাপ, ভিডিও কলের ফাঁদে ৫.২৮ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মুম্বইবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক অচেনা মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ফলে খোয়াতে হল ৫ লক্ষের বেশি টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে, গোপনীয় ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক ৫৪ বছর বয়সী বিপত্নীক ব্যক্তির লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করল এক মহিলা। পরে সেই মহিলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নগ্ন ছবি বা গোপনীয় ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার মত ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটল মুম্বইয়ে।

    জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের আন্ধেরির এক ব্যক্তির কাছে ফেসবুকে প্রিয়াঙ্কা জৈন নামের এক মহিলা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠান। তারপর সেই মহিলা ওই ব্যক্তিকে মেসেজ করে তাঁর থেকে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চান। এরপর ২ সেপ্টেম্বর প্রিয়াঙ্কা সেই ব্যক্তিকে হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করে বাথরুমে যেতে বলেন ও তাঁর জামাকাপড় খুলতে বলেন। এরপর সেই ভিডিও কল পাঁচ মিনিট পরে কেটে দেন এবং শুধুমাত্র একটি ভয়েস কল করে সেই ব্যক্তিকে বলেন যে সে তাদের পুরো কলটি রেকর্ড করেছে। আর এরপরেই শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার হুমকি। ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তখনই ১৬,৪০০ টাকা পাঠানোর কথা বলে। তখন সেই ব্যক্তি সম্মানহানির ভয়ে ৩০০০০ টাকা তাকে পাঠিয়েও দেয়। কিন্তু এটি তো কেবল শুরু ছিল।

    আরও পড়ুন: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    টাকা পাঠানোর পরেও সেই ব্যক্তি রেহাই পায়নি। এই ঘটনার দুদিন পরেই অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ফোন আসে, আর সে নিজেকে সিবিআই অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয় এবং ওই ব্যক্তিকে সতর্ক করে বলে যে তার নগ্ন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। এবং এই ভিডিও টাকার বিনিময়ে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে ফের টাকা আদায় করা হয়। এভাবে সেই ব্যক্তির মোট ৫.২৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।

    এরপর তিনি আর সহ্য করতে না পেরে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি এবং সেই মহিলার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের অধীনে ৪১৯, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ভিডিও কল এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের পিছনে বড় ষড়যন্ত্র থাকে। তাদের কাজ হল মানুষকে ভিডিও কল করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করা। এর জন্য সবার প্রথমে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। প্রথমে, অজানা নম্বর থেকে ভিডিও কল এলে কোনওমতেই ধরা উচিত নয়। ভুলবশত আপনি যদি এই দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে অবিলম্বে প্রতারকদের ফাঁদে পা না দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিন।

  • Bihar Police: বিহারে লকআপে আটক পাঁচ পুলিশ অফিসার! কাজে গাফিলতিতে ‘শাস্তি’?

    Bihar Police: বিহারে লকআপে আটক পাঁচ পুলিশ অফিসার! কাজে গাফিলতিতে ‘শাস্তি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল তৈরি করা হয় অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু কারাগারে যদি পুলিশকেই আটকে রাখা হয়, তবে কেমন হয় ব্যাপারটা, কখনও ভেবে দেখেছেন? তবে এমনটাই ঘটল বিহারের নওয়াদা শহরের একটি থানায়। জানা গিয়েছে, বিহার পুলিশের ৫ আধিকারিককে ২ ঘণ্টা জেলবন্দি করলেন জেলার এসপি। আর এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।

    সূত্রের খবর, তাঁদের কাজে অখুশি হয়েই নাকি এসপি তাঁদের এমন শাস্তি দিয়েছেন। যদিও এসপি গৌরব মাঙ্গলা এই ঘটনাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই দেখা গিয়েছে, লকআপের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা।

    ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের। নাওয়াদা জেলার নাভাদা নগর থানায় ডিউটিতে থাকা ৫ পুলিশ কর্মীর কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁদেরকেই ২ ঘন্টার জন্য লকআপে রেখে দেন পুলিশ এসপি গৌরব মাঙ্গলা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন,  তিন অ্যাসিস্টেন্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর। তাঁরা হলেন সাব-ইন্সপেক্টর শত্রুঘ্ন পাসওয়ান এবং রামরেখা সিং; এএসআই সন্তোষ পাসওয়ান, সঞ্জয় সিং এবং রামেশ্বর উরাওন। তারপর দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যরাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: মোবাইল অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা ইডি-র, কীভাবে অপারেশন চালাত অভিযুক্ত আমির?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুলিশ এসপি গৌরব মাঙ্গলা নাভাদা নগর পুলিশ স্টেশন পরিদর্শনের জন্য রাত ৯টা নাগাদ গিয়েছিলেন। সেখানেই কাজে গাফিলতি দেখে ও অসন্তুষ্ট হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও পাঁচ পুলিশ কর্মীকে লকআপে আটকে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও তাঁরা কাজে কী গাফিলতি করেছিল, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

    এই পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন গৌরব মাঙ্গলা। থানার ইনচার্জ বিজয় কুমার সিং-ও তাঁর কথাতেই সম্মতি জানান। যদিও পরের দিনই হোয়াটসঅ্যাপে সিসিটিভি ফুটেজটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে তাঁদের লকআপের ভিতরে বন্দি থাকতে দেখা যায়। দু ঘণ্টা বাদে প্রায় মাঝরাতে তাঁদের লকআপ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এরপরেই বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং জানান, তিনি ওই ঘটনার পরই এসপি-এর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। ফলে গতকাল তিনি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দিতে পারে গৌরব মাঙ্গলা। তাই অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা ও এসপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানান মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং।

  • Chinook: চিনকে টক্কর দিতে চিনুকের জন্য অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড

    Chinook: চিনকে টক্কর দিতে চিনুকের জন্য অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ ও অরুণাচল সীমান্তে চিনের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা লেগেই আছে। যদিও গোগরা-হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। কিন্তু পাকিস্তান বা চিনকে পুরোপুরি ভরসা করা যায় না, এমনই অভিমত কুটনৈতিক মহলের। অতীতেও বহুবার শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েও পিছিয়ে এসেছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। তাই দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কোনওরকম সমঝোতায় নারাজ ভারত। কারুর জমি অধিগ্রহণ নয় কিন্তু নিজের মাটিতে অনুপ্রবেশও বরদাস্ত করবে না ভারতীয় সেনা। তাই অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সবসময় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এম ৭৭৭ হাউইৎজারও মোতায়েন করা হয়েছে এই এলাকায়। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে সামনে রেখে নানা আধুনিক সমরাস্ত্রে সেজেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। লাইট মেশিন গান, অ্যাসল্ট রাইফেল, রকেট লঞ্চার সহ নানা উন্নত অস্ত্র রয়েছে সেনার কাছে। সূত্রের খবর, চিনুক হেলিকপ্টারকেও মোতায়েন করা হচ্ছে পূর্ব ভারতের সীমান্তে। সেনারা যাতে অরুণাচলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে তাই চিনুক হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড।

    আরও পড়ুন: ফের জাল নোটের কারবার! আসামে জাল নোট ও জাল নোট তৈরি করার মেশিন সহ গ্রেফতার ৪ জন

    একই সঙ্গে সীমান্ত বরাবর নতুন স্যাটেলাইট টার্মিনালেরও ব্যবস্থা করছে সেনা। পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার ঠাকুর মায়াঙ্ক সিনহা জানিয়েছেন, আরও দক্ষ সেনা কাম্য। তাই সেনার প্রশিক্ষণ ও নয়া সমরাস্ত্রের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন যে অস্ত্রগুলি সেনা পাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হল ইজারেয়েলে তৈরি নাগেভ লাইট মেশিন গান, মার্কিন অ্যাসাল্ট রাইফেল, সুইডিশ রকেট লঞ্চার। আমেরিকায় তৈরি বিভিন্ন গাড়িও যুক্ত করা হচ্ছে। এই গাড়িগুলি দুর্গম অঞ্চল পর্যন্ত চলে যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যপথের (Kartavya Path) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই পথের উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, এক সময় যেটি পরিচিত ছিল কিংসওয়ে (King’s Way) নামে, পরে হল রাজপথ, যেটা এতদিন দসত্বের (Slavery) প্রতীক হিসেবে ছিল, এবার তার ঠাঁই হল ইতিহাসে। এদিন ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি ২৮ ফুট উঁচু মূর্তির আবরণও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন রাষ্ট্রপতিভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কর্তব্যপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। খরচ হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্তব্যপথের মধ্যে দিয়ে জন্ম নিল এক নয়া ইতিহাস। আর এই যে দেখছেন নেতাজির মূর্তি, তিনি আমাদের পথ দেখাবেন, প্রেরণা জোগাবেন দেশকে।

    মোদি বলেন, একদা রাজপথ থেকে কর্তব্যপথে উত্তরণ একটি প্রতীকী বিষয়। জনগণের সম্পত্তি ও ক্ষমতায়নের এটি একটি উদাহরণ। এই সময় চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। তাই জাতি এদিন থেকে একটি নতুন প্রেরণা পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নতুন রঙে ভবিষ্যতের ছবি রাঙিয়ে তুলছি। অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি। আজ সর্বত্রই এক নয়া আলোকছটা দেখা যাচ্ছে। এই আলোকছটা নিউ ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাসের। তিনি বলেন, কিংসওয়ে অথবা রাজপথ দাসত্বের প্রতীক। আজ থেকে চিরতরে মুছে গেল। এদিন কর্তব্যপথ থেকে সূচনা হল এক নয়া ইতিহাসের। স্বাধীনতার এই অমৃত কালে আরও একটি দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ দেশের মহিমার প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্তব্যপথ তৈরি করেছেন যেসব শ্রমিক এদিন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাঁরা কেবল এটা তৈরি করেননি, তাঁরা কর্তব্যের নয়া পথ বাতলেছেন। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে তাঁরা যে তাঁর অতিথি হতে চলেছেন, এদিন সে খবরও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে কর্তব্যপথ দেখার আহ্বানও জানান মোদি। বলেন, এই রাস্তার উন্নয়নে আপনি ভবিষ্যতের ভারতকে দেখতে পাবেন। এখানে এলে যে শক্তি পাবেন, তা আপনার জীবনে জন্ম দেবে এক নতুন বিশ্বাসের।

    আরও পড়ুন : ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, এই কর্তব্যপথ মোদি সরকারে সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের অংশ। এই প্রোজেক্টে হবে ত্রিকোণাকার পার্লামেন্ট বিল্ডিং, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন ও অফিস এবং উপরাষ্ট্রপতির নয়া এনক্লেভ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Centre-States Science Conclave: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Centre-States Science Conclave: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত কালের এই সময়ে গবেষণা ও আবিষ্কারের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে ভারতকে। কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের রাজ্যগুলিকে অন্যান্য রাজ্য থেকে সেরা অনুশীলনগুলি গ্রহণ করতে হবে। দেশে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে তা কার্যকরী পদক্ষেপ।” 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত দুদিনের কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান সম্মেলনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারতের বিকাশের জন্য, বিজ্ঞান সমস্ত ক্ষেত্রের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞান সব কিছুর সমাধান। বিবর্তনের ভীত। এই অনুপ্রেরণা নিয়েই আজকের নতুন ভারত, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞানের পাশাপাশি জয় অনুসন্ধানের ডাকে এগিয়ে চলেছে।” 

    আরও পড়ুন: তথ্য ডিজিটালাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু, কীভাবে পাবেন ডিজিটাল হেলথ কার্ড, জানুন

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা যখন আমাদের বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব উদযাপন করি, তখন বিজ্ঞান আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে। আমি সকলকে আমাদের বিজ্ঞানীদের জয় উদযাপন করার আহ্বান জানাই।” প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “২০১৪ সালের পর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের অবস্থান ছিল ৮১ তম স্থানে। সরকারের প্রচেষ্টার কারণে বর্তমানে ভারত আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৪৬ তম স্থানে রয়েছে।”

    শনিবার ভার্চুয়ালি কেন্দ্র-রাজ্য সায়েন্স কনক্লেভের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে এই কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজ্যের সরকারই এই কনক্লেভে অংশগ্রহণ করেছে। তবে এই অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুটি রাজ্য। বিহার ও ঝাড়খণ্ড এই অনুষ্ঠানে তাঁদের অনুপস্থিতির কোনও কারণও সরকারিভাবে জানায়নি।

    দেশজুড়ে একটি শক্তিশালী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের (STI) ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় এবং সহযোগিতার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্যই এই কনক্লেভের আয়োজন করা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ছাড়াও এই কনক্লেভে যোগ দিয়েছেন বড় বড় শিল্পপতি, তরণ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা। ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষকদের আয়ের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ, স্বচ্ছতা এবং পানীয় জল উৎপাদন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এই সম্মেলনে। 

    আরও পড়ুন: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক

    অনেকেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারণেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ড এই সম্মেলন থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। সম্প্রতি বিহারে এনডিএ-জেডিইউ সরকারের পতন হয়েছে। জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করেছে। বর্তমানে নীতীশ ও বিজেপির সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে। এদিকে ঝাড়খণ্ডে এখনও রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সেই কারণেই এই অনুপস্থিতি। 

  • F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) সাড়ে চারশো কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের (F-16 Fighter) যন্ত্রাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার (US) জো বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। যদিও আমেরিকা কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশ এবং ভারতের ঘনিষ্ঠ, তা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকের এহেন মনোভাব কূটনৈতিক মহলের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে মোদি প্রশাসন।

    সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণের লক্ষ্যে পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। তবে আসল কারণ অন্য। তা হল, পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আমেরিকা ভারতকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চায়, যে এই অস্ত্র সাহায্যের কোনও প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে না। তাছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে বজায় থাকবে মিলিটারি ব্যালেন্সও।

    ঘটনার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। বাইডেন প্রসাসনকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই মহম্মদরে ডেরায় হানা দেয়। তার ঠিক আগের দিন ওই যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। সেরকম ঘটনা ফের ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত।

    আরও পড়ুন : তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?

    পাকিস্তান এবং মার্কিন পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, বেশ কয়েকটি কারণে রাওয়ালপিন্ডিকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। এগুলি হল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করেছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে যান, তখন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন পাক সেনা। এটা তার পুরস্কার। তৃতীয়ত, লাইন অফ কন্ট্রোলে উত্তেজনা কমাতে বাজওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এটা তার স্বীকৃতিও হতে পারে।

    তবে যুদ্ধ বিমান দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানকে সাহায্য করছে না, তারা দিচ্ছে এফ-১৬ মেরামতের সরঞ্জাম। পাক সেনার মিলিটারি আপগ্রেডেশন কিংবা নতুন কোনও অস্ত্রশস্ত্রও দিচ্ছে না বাইডেনের দেশ। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ভারতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। পাক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share