Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajnath Singh: জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    Rajnath Singh: জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) থেকে কাউকে জোর করে তাড়ানো হলে আমরা তা মেনে নেব না। জম্মুর (Jammu) একটি অনুষ্ঠান যোগ দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    দু দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছেন রাজনাথ। এদিন যোগ দিয়েছিলেন হরি সিং নিবাস প্যালেসে মহারাজা গুলাব সিংয়ের রাজপদে অভিষিক্ত হওয়ার দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশাপাশি নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকেও।

    আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    নয়ের দশক থেকে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। বেছে বেছে ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়েছে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে মাঠে নামেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভা। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন করতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজ। দ্রুত শুরু হয়ে যাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজও।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    শান্তির ভূস্বর্গে সম্প্রতি শুরু হয়েছে টার্গেট কিংলিং। বেছে বেছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনকে খুন করা হচ্ছে নৃশংসভাবে। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজনাথ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে জোর করে তাড়ানো হলে তা মেনে নেব না। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর অভিবাসনের কষ্ট পেয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই আর তা হতে দেব না। আর কোনও সম্প্রদায়কে জম্মু-কাশ্মীরের কোনও অংশ থেকে তাড়ানো হলে, তা মেনে নেব না।

    তিনি বলেন, সম্প্রতি উপত্যকায় ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভাদরবা এলাকায় যা ঘটে গিয়েছে, তা জম্মু-কাশ্মীরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সত্তর বছর ধরে যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়েছে কাশ্মীর। রোগমুক্তি ঘটেছে। এখন যে জম্মু-কাশ্মীর দেখছেন, তা নতুন। আত্মনির্ভর। নবকলেবরের এই জম্মু-কাশ্মীর কেবল ভারত নয়, গোটা এশিয়া মহাদেশেই একটি ঈর্ষনীয় মডেল।

    এদিন নাম না করে পাকিস্তানকেও নিশানা করেছেন রাজনাথ। বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশী দেশ জম্মু-কাশ্মীরে ঘৃণার বীজ বপন করে চলেছে। ১৯৪৭-৪৮ সালের কাবাইলি হামলা থেকে সম্প্রতি শুরু হওয়া টার্গেট কিলিংয়ের ষড়যন্ত্র করে চলেছে তারা।

     

  • Chinese shell companies: ভুয়ো চিনা সংস্থাকে সাহায্য! কেন্দ্রের নজরে দেশের ৪০০ সিএ এবং সিএস

    Chinese shell companies: ভুয়ো চিনা সংস্থাকে সাহায্য! কেন্দ্রের নজরে দেশের ৪০০ সিএ এবং সিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোপনে চিনকে (China) সাহায্যের অভিযোগ উঠল দেশের বহু চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট সংস্থার (CA Firm) বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে দেশের বড় বড় শহরগুলিতে ভুয়ো চিনা সংস্থা গড়ে তুলতে এই সংস্থাগুলি সাহায্য করেছে বলে সন্দেহ কেন্দ্রের। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগে ৪০০ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (CA) এবং সংস্থার সচিবদের (CS) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে কেন্দ্র।      

    ২০২০ এর গালওয়ানে (Galwan Clash) যখন চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) হাতে ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হন তারপর থেকেই চিনের প্রতি কঠোর হওয়া শুরু করেছে ভারত। এরপরেই চিনের একাধিক সংস্থার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। ব্যান হয় একাধিক অ্যাপও। এরপর থেকে বার বারই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির ছবি সামনে উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের   

    ভারতের নয়া নীতি লাগু হওয়ার পর থেকেই গত দুবছরে চিনা সংস্থার থেকে কোনও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) গ্রহণ করেনি ভারত সরকার। ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT) অনুসারে, ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন মাসে চিন থেকে এফডিআই আসে ১৫ হাজার ৪২২ কোটি মার্কিন ডলার। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬২২ কোটি ডলারে।”

    আরও পড়ুন: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন     

    কেন্দ্রের এক সরকারি আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছন যে এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ও সচিবদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্র। বিধি লঙ্ঘন করে দেশের প্রধান শহরগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিনা মালিকাধীন বেনামী সংস্থাকে দেশীয় সংস্থার তালিকায় অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে। কারচুপিতে চিনা সংস্থাগুলিকে সাহায্য করেছে এই অভিযুক্ত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট সংস্থাগুলি। দেশের সরকারকে ভুল তথ্য দিয়েছে তারা। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক (MCA) গত দুমাসে তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্তে এসেছে। 

     

  • Rajya Sabha Polls Update: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    Rajya Sabha Polls Update: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপির (BJP) দখলে এল ৮। বাকি ৭টি আসনের রাশ গিয়েছে কংগ্রেস (Congress)-এনসিপি (NCP)-শিবসেনা (Shivsena) জোটের দখলে। বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন একটি আসনে।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল ১০ জুন। ৪১ জন প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে যাওয়ায় এদিন ভোট হয়েছে ১৬টি আসনে। নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, কর্নাটক ও রাজস্থান চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই হয়েছে মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    এদিন ক্রসভোটিংয়ের সম্ভাবনা ছিল। হয়েছেও তাই। কর্নাটকে জনতা দল সেকুলারের (JDS) দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটপর্ব শুরু হয়েছিল সকাল ৯টায়। শেষ বিকেল ৪টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৮টি আসনে। বাকি ৭টিতে কংগ্রেস। বিজেপি সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন।

    যে ১৬টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আসন সংখ্যা ৬। রাজস্থান ও কর্নাটকে ৪টি করে আসন। আর দুটি আসন হরিয়ানায় (Haryana)। গণনা শেষ হয় মধ্য রাতে। তখনই জানা যায়, মহারাষ্ট্রের তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট জয়ী হয়েছে একটি আসনে। হরিয়ানায় বিজেপি জিতেছে একটি আসন। আর বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন একটি আসনে।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    রাজস্থানের (Rajasthan) কুর্সিতে রয়েছে কংগ্রেস। সেখানে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। একটি আসনে জয়ী হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী। কর্নাটকে (Karnataka) রাজ্যসভার তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন।

    আগামী মাসেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls)। তাই রাজ্যসভার এই নির্বাচন শাসক এবং বিরোধী দু পক্ষের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে রাজ্যসভায় স্বভাবতই শক্তি বাড়ল বিজেপির। শক্তি খোয়াল কংগ্রেস। প্রত্যাশিতভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি!

     

  • Akasa Air: আজ থেকেই টিকিট বুকিং শুরু ভারতের নয়া বিমান সংস্থা ‘আকাশা এয়ার’-এর

    Akasa Air: আজ থেকেই টিকিট বুকিং শুরু ভারতের নয়া বিমান সংস্থা ‘আকাশা এয়ার’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত আকাশা এয়ার (Akasa Air) বিমান সংস্থার পরিষেবা। আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে আকাশা এয়ারের উড়ান। স্বাধীনতা দিবসের ঠিক এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ৭ অগাস্ট থেকে উড়ান নিতে চলেছে আকাশা বিমান সংস্থার বিমান। আজ থেকে অর্থাৎ ২২ জুলাই থেকেই এই এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে। বর্তমানে আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বই ও কোচির মধ্যে চলা বিমানের জন্যই টিকিট বুকিং করতে পারবে যাত্রীরা। 

    রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala) সমর্থিত বিমান সংস্থাটি আগেই আকাশা এয়ার সংস্থার পরিষেবা শুরু করার জন্যে DGCA-এর থেকে সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছে আকাশা এয়ারলাইন। এবারে শুধু এর পরিষেবা শুরু হওয়ার পালা। জানা গিয়েছে, ৭ অগাস্টে প্রথম বিমানটি মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটে চলবে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু-কোচি রুটে বিমান চলা শুরু হবে ১৩ অগাস্ট থেকে। কোম্পানির তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ২৮ টি বিমানের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, পাকিস্তানের মাটিতে জরুরি অবতরণ ইন্ডিগোর বিমানের

    খবরসূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ছাড়া প্রতিদিনই মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে বিমান চলাচল হবে। ১০টা ৫ মিনিটে যাতায়াতকারী মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের বিমানের টিকিটের মূল্য ৪৩১৪ টাকা। আমেদাবাদ থেকে মুম্বই যাওয়ার টিকিটের দাম ৩৯০৬ টাকা। আবার যেগুলো দুপুরের দিকে মুম্বই থেকে আহমেদাবাদগামী বিমান, সেগুলোর টিকিটের দাম বেশি। একইভাবে কোচি ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে চলা বিমানের টিকিটের দাম ৩৪৮৩ থেকে শুরু হচ্ছে।

    জানা গিয়েছে এই বিমান সংস্থার প্রতিটি রুটেই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স (Boeing 737 MAX) বিমান চলবে। আকাশার বিমানের টিকিট বুকিং বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ, আকাশার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট  www.akasaair.com, ট্র্যাভেল এজেন্টদের থেকেও করতে পারবেন। এছাড়াও ক্যাফে আকাশা (Café Akasa) নামে অন বোর্ড খাবারের জন্য ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে? 

  • SC on Pregnancy Termination: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত

    SC on Pregnancy Termination: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে একটি অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় লিভ-ইন সম্পর্কে (Live in Relation) থেকে বেরোনোর ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের অনুমতি দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    সম্প্রতি গর্ভপাত নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ২৫ বছর বয়সী মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, তিনি অবিবাহিত এবং আর্থিক ভাবেও সচ্ছল নন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গী তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়, এই সময় গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া মানে ভ্রূণ হত্যার সমান। তারপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। 

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    এবার ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। দিল্লি এইমসের এক বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, যে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই গর্ভপাত করা যেতে পারে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টিতে দিল্লি হাইকোর্ট ‘অযথা’ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এদিনের পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে অবিবাহিত মহিলাদের ওপর জোর দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, যেহেতু আবেদনকারী অবিবাহিতা, তাই তাঁকে গর্ভধারণের জন্যে বাধ্য করা যেতে পারে না।  

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    সুপ্রিম কোর্টের কাছে ওই অবিবাহিত মহিলা তাঁর ২৩ সপ্তাহ ৫ দিনের গর্ভাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভপাতের আবেদন জানিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মহিলার যদি প্রাণের কোনও ঝুঁকি না থাকে তবে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে গর্ভপাত করাতে পারবেন এবং তাঁর রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।   

     

  • India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (East Ladakh) অব্য়াহত চিনা উস্কানি। গত মাসেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) কাছে যুদ্ধ বিমান (Fighter Aircraft) উড়িয়েছে লালফৌজ (Red Army)। এই আবহেই সামরিক স্তরে ১৬ রাউন্ডের বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। সেই বৈঠকের এক সপ্তাহই পেরোয়নি আবার প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চালাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)।

    চিনের সংবাদ মাধ্যমে এই সেনা মহড়ার একটি ৩৩ সেকেণ্ডের ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওয় দেখা যায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের হ্রদ প্যাংগংয়ের উপর চিনা ফৌজের জিনজিয়াং শাখার কমান্ডাররা মহড়া চালাচ্ছে। জেড-১০ আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলি এই প্রথমবার সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে। আগে এই হেলিকপ্টারগুলি শুধু সেনা নিয়ে নানা প্রান্তে যাতায়াত করত।

    ভারতচিন (India China Relation) সম্পর্ক বরাবরই নাতিশীতোষ্ণ। পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে উত্তেজনা কমাতে  সেনাস্তরের ১৬তম বৈঠকেও স্থায়ী সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে ঐক্যমত ভারতীয় এবং চিনা সেনা। বিবৃতিতে ভারত-চিনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা মেটাতে দুই দেশই উদ্যোগী। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজতে দু’পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই চিনা ফৌজের এই পদক্ষেপ ভালভাবে নিচ্ছে না দিল্লি।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা অবস্থান নিয়ে যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা দুই বছর কাটার পরও মেটেনি। এর আগেও একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় বসেছিল ভারত ও চিন। কিন্তু বৈঠকের পরই চিনের তরফে উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। লাদাখের ডেমচক, গোগরা, দেপ সাং-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে যেসমস্ত জায়গায় এখনও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য ভারতীয় সেনার তরফে চিনকে চাপ দেওয়া হয়। যদিও চিন কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে হাঁটতে চায়নি। তবে ভারতও যে আর চিনের কাছে শান্তি ভিক্ষা করবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা প্রধান। নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা যুদ্ধবিমানের কার্যকলাপ নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি (Air Chief Marshal VR Chaudhari)। চিনা যুদ্ধবিমান ভারতের সীমায় এলেই, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

  • Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)। শুক্রবারই শুরু হয় গণনা। হয়েছে ক্রস ভোটিংও (Cross Voting)। এদিকে, রাজ্যসভা (Rajya Sabha) ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়ে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay Highcourt)।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৪১ জন আগেই জয়ী হয়ে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে ২৩টিরই রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। কংগ্রেসের দখলে ৮টি। বাকি আসনগুলি রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দখলে। রাজ্যসভা থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নাকভি, কপিল সিব্বল , পি চিদাম্বরম প্রমুখ। নির্বাচন ঘিরে চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observers)। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি (Videography) করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিকে, ক্রস ভোটিং হয়েছে কর্নাটকে। এ রাজ্যের জনতা দল সেকুলারের দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এদিন যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

    ভোট শুরু হয় সকাল ৯টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। এদিন ভোট হয়েছে চারটি রাজ্যে। বাকি ১১টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী আগেই জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে শাসক ও বিরোধীর ভোটের অঙ্কে অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছেন। তাই ক্রস ভোটিং হওয়ারই ছিল। হয়েছেও তাই।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    যে ১৬টি আসনে এদিন ভোট হয়েছে, তার মধ্যে রাজস্থানে রয়েছে ৪টি আসন। সেখানে দুটি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। যদিও তাদের প্রার্থীর সংখ্যা তিন। এই তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাদের প্রয়োজন আরও ১৫ জনের সমর্থন। কর্নাটকের চার আসনে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হরিয়ানায় আসন দুটি। যদিও লড়ছেন তিন জন। মহারাষ্ট্রে আসন ছটি হলেও, প্রার্থী রয়েছেন সাতজন।

     

  • Mask Mandatory in Flights: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ? 

    Mask Mandatory in Flights: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা (Covid 19)। প্রায় দুবছর ধরে লড়াইয়ের পর সংক্রমণ কমলেও এখনও মহামারীর অভিশাপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পায়নি  দেশ।  যদিও শিথিল হয়েছে কোভিড বিধি (Covid Protocol)। কিন্তু ফের দেশের কিছু অংশে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান মন্ত্রক (DGCA)। বিমানবন্দরে এবং বিমানে মাস্ক (Mask) আবার বাধ্যতামূলক (Mandatory) করা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন নিয়ন্ত্রক,  ডিজিসিএ বুধবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, যারা মাস্ক পরবেন না তাঁদের টেক অফের আগে ডি-বোর্ড করা হতে পারে। সিআইএসএফ কর্মীরা মাস্ক বিধি প্রয়োগের দায়িত্বে থাকবেন। 

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    ডিসিজিএ আরও বলেছে, উড়ানে থাকাকালীন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ মাস্ক খুলতে পারবেন না। যাত্রীরা যাতে মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে বিমান কর্তৃপক্ষকে। 

    কীরকম মাস্ক উড়ানের জন্যে আদর্শ? 

    বিশেষজ্ঞরা মাল্টি লেয়ারড মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন। নাক এবং মুখকে শক্ত করে ঢাকবে এবং কোথাও ফাঁকা থাকবে না এমন মাস্ক পরুন। ডিসপোসেবেল থ্রি লেয়ার মাস্ক, এন-৯৫, মাল্টি লেয়ার কটনের মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সম্ভব হয়, তাহলে দুটি করে মাস্ক পরার অভ্যেস করতে বলছেন তাঁরা। লেসের ফেব্রিক দিয়ে তৈরি মাস্ক এড়িয়ে চলুন। এমনটাই মত চিকিৎসকদের। 

    বদ্ধ জায়গায় মাস্ক খোলা নিরাপদ? 

    চিকিৎসকরা বলছেন মাস্ক কখনোই খোলা উচিত না। শ্বাসকষ্টের সমস্যা না থাকলে যাত্রায় কখনই মাস্ক খুলবেন না।  মাস্ক যেন টাইট হয়ে মুখে বসে। অন্যথা অন্য মাস্ক পরুন। 

    আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    যদিও দেশজুড়ে টিকাকরণ চলছে। তাও করোনাকে আটকানোর একমাত্র উপায় কোভিডবিধি মেনে চলা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। হাতধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে মাস্ক পরা, আগের মতো সব নিয়মই মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে। তাহলেই আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না করোনা।   

     

  • Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জেরা করা হচ্ছে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। গত তিন দিনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। শুক্রবার ফের চলছে জেরা। এদিকে, ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলন করতে গিয়েই হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরীর (Renuka Chowdhury) বিরুদ্ধে উঠল পুলিশের (police) কলার চেপে ধরার অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেণুকা।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া। তাই হাজিরা দিতে পারেননি ইডির দফতরে। রাহুলকে অবশ্য টানা তিন দিন জেরা করেছে ইডি। শুক্রবার ফের চলছে জেরা।

    রাহুলকে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী পুলিশের কলার চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও রেণুকার দাবি, ভারসাম্য বজায় রাখতেই ওই পুলিশ কর্মীর কলার চেপে ধরেছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, আমি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার হাত ফসকে যায়। আর তাই আমি ওঁর কলার চেপে ধরেছিলাম। রেণুকার সাফাই, আপনারা ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন, কীভাবে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কীভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, রাহুলকে জেরার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের হাতে এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই, যা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন নেতাকর্মীরা। রাহুলের ইডি জেরাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন করে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সোনিয়ার দল। রাহুল গ্রেফতার হয়ে গেলে খান খান হয়ে যাবে কংগ্রেস।এই আশঙ্কা থেকেও আন্দোলন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিকে, ইডি জেরার মুখে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার নাম নিয়েছেন রাহুল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর ছেলে অরুণ ভোরা। তাঁর মতে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে মতিলাল সম্পর্কে রাহুল এমন মন্তব্য করেননি বলেই বিশ্বাস করেন অরুণ।

     

  • Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ায় গলদ। তাই তাল কাটল শুরুতেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি (BJP)-বিরোধী বৈঠকে হাজিরই হলেন না আম আদমি পার্টির (AAP) কেউ। আসেননি টিআরএসের (TRS) কেউও। গরহাজির ছিল শিরোমণি অকালি দলও (SAD)। বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র তরফেও কেউ উপস্থিত হননি বৈঠকে। তার পরেও অবশ্য বৈঠক হয়েছে। তবে হয়েছে বিতর্কও। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই হয় অশান্তি। বিরোধী দলগুলি সাফ জানিয়ে দেয়, বৈঠক হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) নিয়ে। সেখানে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব কেন?

    আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বুধবার বৈঠক ডাকেন মমতা। চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২২ জন বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া (Sonia) গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়াল হাজির হননি বৈঠকে। কংগ্রেস থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিল টিআরএস এবং শিরোমণি দলও। আসেনি বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র কেউও। 

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে সে চেষ্টা যে বিষম কঠিন, এদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে উদ্যোগী হন মমতা। তবে তাঁর সে চেষ্টাও বৃথা যায়। কারণ উপস্থিত নেতারা জানিয়ে দেন, বৈঠকের মূল বিষয় যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেখানে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    এদিকে, বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তিনি নেই। তাঁকে এখনও রাজি করানোর চেষ্টা চলছে বলছে সূত্রের খবর। তিনি নিতান্তই রাজি না হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopal Krishna Gandhi) ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম বিবেচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

LinkedIn
Share