Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Viral News: স্কুলে নম্বর বেশি পাওয়ার ফল মৃত্যু! বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ সহপাঠীর মায়ের বিরুদ্ধে

    Viral News: স্কুলে নম্বর বেশি পাওয়ার ফল মৃত্যু! বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ সহপাঠীর মায়ের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ কাণ্ড! ১৩ বছরের এক ছেলেকে বিষ খাইয়ে খুন করল তার সহপাঠীর মা। ছেলেটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত বলে জানা যায়। ঘটনাটি পুদুচেরীর কারাইকালের। তবে কেন এমন করলেন এই মহিলা, তার কারণ জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।

    জানা গিয়েছে, স্কুলে নম্বরের রেষারেষির জেরেই এই পরিণতি সেই ১৩ বছরের ছেলের। জানা গিয়েছে, সেই ছেলেটির নাম বালা মণিকানন্দন ও মহিলাটির নাম এস সাগায়ারানী ভিক্টোরিয়া। গত শুক্রবার বালা তার স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতার রিহার্সেল শেষ করে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাড়িতে যায় এবং তারপর থেকেই হঠাৎ তার বমি হতে শুরু হয়। এরপর সে তার বাবা-মা কে জানায়, স্কুলে সফট ড্রিঙ্কস খাওয়ার পর থেকেই তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। বালা জানায়, সেই ড্রিঙ্কস স্কুলের ওয়াচম্যান তাকে দিয়েছিল। বাড়িতে এসে বালা তার মাকে এও জিজ্ঞেস করছিল যে তার মা ওই ড্রিঙ্কস পাঠিয়ে ছিল কিনা। এরপর তার মাও ভেবেছিল যে তাঁদের কোনও আত্মীয় হয়তো দিয়েছিল এই ড্রিঙ্কসটি। এরপর বালার যখন শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে, তখন শুক্রবার রাতেই তাকে কারাইরাল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই চিকিত্‍সা চলাকালীন প্রাণ হারায় সে।

    আরও পড়ুন: গঙ্গা বক্ষেই হুকায় সুখটান, সঙ্গে কাবাব, ভিডিও ভাইরাল হতেই মামলা দায়ের প্রয়াগরাজে

    এরপর বালার মা বাবা সেই ড্রিঙ্কস কে দিয়েছে সেই খোঁজ করতে স্কুলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান যে বালার এক সহপাঠীর মা সাগায়ারানী সেই সফট ড্রিঙ্কস ওয়াচম্যানের কাছে দেয় বালাকে দেওয়ার জন্য। এরপরেই তাঁরা থানায় সেই ভিক্টোরিয়ার নামে অভিযোগ করেন ও বলেন যে, বালা তাঁর মেয়ের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে বলে সেই মহিলার এতটাই হিংসে হয়েছে যে, বালাকে বিষ দিয়ে খুন করেছে।

    এরপরেই রবিবার সাগায়ারানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাগায়ারানী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে ও বালার মধ্যে নম্বর নিয়ে একাধিকবার দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।

  • Russian-Ukrainian Love Marriage: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

    Russian-Ukrainian Love Marriage: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধে শরিক হতে রাজি নন তাঁরা। তাঁদের বিশ্বাস ভালবাসায়। তাঁদের বিশ্বাস, “গণরোষের বদলে, গণচুম্বনের ভয়ে হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি”। আর সেই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। তাঁদের ভালবাসাকে পরিণতি দিতে আবদ্ধ হলেন বিবাহবন্ধনে। হিন্দু রীতি (Hindu ceremony) মেনে বিবাহ সারলেন হিমালয়ের কোলে।

    পাত্রের নাম সের্গেই নভিকভ (Sergei Novikov), আদতে রাশিয়ান (Russian man) হলেও বর্তমানে থাকেন ইজরায়েলে। আর পাত্রী ইউক্রেনের (Ukrainian ) ইলোনা ব্রাকোমা (Elona Bramoka)। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামিরক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু দু’দেশের যুদ্ধও চিড় ধরাতে পারেনি তাঁদের সম্পর্কে। সম্প্রতি তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, শান্তি-মৈত্রী-ভালবাসা যেখানে শেষ কথা সেই ভারতেই আবদ্ধ হবেন পরিণয়-বন্ধনে। পরিকল্পনা মতো এদেশে আসেন তাঁরা।

    সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের আসর বসে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ধর্মশালায়। স্থানীয় রীতিনীতি মেনেই বিয়ে সারলেন দু’জনে। ধর্মশালার এক আশ্রমের পুরোহিতই এক করেন চার হাত। সঙ্গে হিন্দু মন্ত্র-সিঁদুর-দান। বর-কনে দু’জনেরই পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। বিনোদ শর্মা নামক এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন কন্যাদান করতে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দুই দলে ভাগাভাগি করে পাত্রপক্ষ ও কন্যাপক্ষ হয়েছিলেন বিয়েতে।

    আরও পড়ুন: দীর্ঘ ২০ বছর সম্পর্কের পরিণতি! বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক

    এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে গোলাবর্ষণ, রকেট-মিসাইল হামলা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরুর পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ইউক্রেনের লাখ লাখ বাসিন্দা। জীবন বাঁচাতে তারা প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ইউক্রেনবাসীর আপাতত রাগের কারণ রাশিয়া। তবে সেখানকার মানুষদের উপর নয়। রাগ পুতিনের নীতির উপর। এই পরিস্থিতিতে মেলবন্ধনের বার্তা দিলেন দুই দেশের যুগল।

    একেই বলে ভালোবাসা। যা মানে না কাঁটাতারের বেড়া, মানে না যুদ্ধ, মানে না বন্দুকের নল। সব বাধা পেড়িয়ে ভালোবাসা খুঁজে নেয় নিজের আশ্রয়। সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন।

     

  • Light Combat Helicopters: ছাড়পত্র মিলেছে ১৫টির, সেনা চায় ৯৫টি! জানুন এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য

    Light Combat Helicopters: ছাড়পত্র মিলেছে ১৫টির, সেনা চায় ৯৫টি! জানুন এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি ১৫টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopter) কেনার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি বায়ুসেনার (Indian Air Force) জন্য। ৫টি সেনার (Army) হাতে থাকবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) থেকে কেনা হবে এগুলি। এজন্য খরচ হবে ৩,৮৮৭ কোটি টাকা। তবে সেনা সূত্রে খবর, পাঁচটি নয় সেনার প্রয়োজন ৯৫টি লাইট কমব্যাট কপ্টার।

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের একটি স্কোয়াড্রন তৈরি করতে চাইছে সেনা। সেখানে সাতটি ইউনিট থাকবে। এক একটি ইউনিটে ১০টি করে কপ্টার থাকবে। এগুলি ইস্টার্ন কম্যান্ডে ব্যবহার করার কথাও ভাবা হচ্ছে। মূলত পাহাড়ি এলাকায় ও উচ্চ অক্ষাংশে যাতায়াত করার জন্য় লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় এটি সমরসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারে। শত্রুর ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে, এয়ারক্রাফটকে নিশানা করতে, পাহাড়ে থাকা শত্রু বাঙ্কারকে উড়িয়ে দিতে, জঙ্গল এলাকায়, শহর এলাকায় সেনাদের সহায়তা করতে এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের জুড়ি মেলা ভার।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় এই লাইট কমব্যাট কপ্টারের প্রয়োজন অনুভব করেছিল ভারতীয় সেনা। এমন কপ্টার, যা অনেকটা উঁচুতে উড়ে লড়াই চালাতে পারবে। অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানের সেনারা কার্গিলের বিভিন্ন শিখর দখল করে রেখেছিল। কিন্তু, রাশিয়া থেকে আমদানি করা কপ্টারগুলো অত উঁচুতে উড়তে পারছিল না। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। সেই সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী এমআই-১৭ কপ্টার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিল। শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে তাতে বেশ ক্ষতিও হয়েছিল বাহিনীর। এরপরই ২০০৬ সালে হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিকস লিমিটেড বা হ্যাল হালকা যুদ্ধকপ্টার তৈরির কথা ঘোষণা করে। এমন কপ্টার যা রুক্ষ, শুষ্ক মরুভূমিতেও ব্যবহার করা যাবে। আবার লাদাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহের মতো উঁচু শৈলশিখরেও তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।

  • Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। ২ জুন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। রাখা হয়েছিল হোম আইসোলেসনে। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির (Delhi) গঙ্গারাম হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ডের অবস্থা স্থিতিশীল।

    রাহুল গান্ধী বিদেশে থাকাকালীন সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোনিয়া। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত। এর পরেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সর্বময় কর্ত্রীকে। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা জানান, করোনা সংক্রমিত কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁকে। যাঁরা ওঁর শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন, তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    এদিকে, সোনিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুদিন আগেই মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সোনিয়া। কথা বলার সময় সোনিয়া কাশছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সোনিয়াকেও। সেই বৈঠকের আগেই তাঁকে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ায় তিনি আপাতত হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে সোমবার ইডি দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পায়ে হেঁটে গিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। তার আগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা।

     

     

  • Nitin Gadkari: অমৃতসর-ভাটিণ্ডা-জামনগর হাইওয়ের অসাধারণ ছবি শেয়ার করলেন নিতিন গড়কড়ি

    Nitin Gadkari: অমৃতসর-ভাটিণ্ডা-জামনগর হাইওয়ের অসাধারণ ছবি শেয়ার করলেন নিতিন গড়কড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল কাজ অমৃতসর-ভাটিণ্ডা-জামনগর (Amritsar-Bathinda-Jamnagar) হাইওয়ের। অবশেষে সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর এবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari) অমৃতসর-ভাটিণ্ডা-জামনগর হাইওয়ের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করেছেন। ছবিগুলো দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো যেন বিদেশের রাস্তা। কিন্তু আদৌ তা নয়। ভারতেই এই রাস্তা তৈরি হয়েছে মোদি (Modi) সরকারের আমলে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অমৃতসর-ভাটিণ্ডা-জামনগর করিডর (Amritsar-Bathinda-Jamnagar Corridor) সম্পন্ন হতে খরচ হয়েছে ২৬ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। নিতিন গড়কড়ির দেওয়া রাস্তার ছবিকে সাধারণ মানুষ প্রশংসা করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, তিনটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের সূচনা করার সময়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি বলেছিলেন যে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লালের (Manohar Lal) নেতৃত্বে হরিয়ানা সারা দেশে এগিয়ে গিয়েছে। হরিয়ানায় প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নরিমান পয়েন্ট থেকে গুরুগ্রাম পৌঁছানোর সময় মাত্র সাড়ে ১২ ঘণ্টা হতে চলেছে। আর মাত্র ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই গুরুগ্রাম থেকে দিল্লি-মুম্বই হাইওয়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়ে উঠেছে।

    এছাড়াও হরিয়ানায় ডিজেলের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক বাসের প্রস্তাব রেখেছে হরিয়ানার সরকার। অন্যদিকে জেওয়ার বিমানবন্দরের সঙ্গেও ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংযোগ স্থাপন করা হবে। আবার দ্বারকা এক্সপ্রেস হাইওয়ের (Dwarka Express Highway) কাজও দ্রুত শেষ হতে চলেছে। এককথায় হরিয়ানার সরকারের হাত ধরেই হরিয়ানা উন্নতির মুখ দেখতে পাচ্ছেন, এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি।

    এই সড়ক নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্যই হল দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় পৌঁছানোর সময় যাতে কমানো যায়। এর ফলে এখন থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে দিল্লি। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী গড়কড়িকে হাইওয়ে নির্মাণের জন্য ও হরিয়ানায় সড়ক যোগাযোগকে আরও উন্নত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই কর্নাটকের (Karnataka) মাঙ্গালুরুর উপ্পিনাংগাদির গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজে পোশাকবিধি না মেনে হিজাব (Hijab Row) পরে ক্লাস করায় ৬ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফের একই অপরাধে চলতি সপ্তাহেই ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড (Suspend) করল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী 

    পুত্তুরের বিধায়ক সঞ্জীবা মাতান্দুর (Sanjeeva Matandoor) এবিষয়ে বলেন, “ছাত্রীরা কর্নাটক হাইকোর্টের কলেজ পোশাকবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিয়ম ভেঙে হিজাব পরে ক্লাসে আসবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।”    

    প্রাক্তন মন্ত্রী ইউটি খাদের (UT Khader) বলেন, “যারা হিজাবের পক্ষে সওয়াল করছেন তারা ভারতে যে স্বাধীনতা পাচ্ছেন তাতে খুশি থাকুন। যারা সত্যিই পড়াশোনা করতে চান তাদের বিরক্ত করবেন না।” মাতান্দুর আরও বলেন, “কলেজ সব ধর্মের মানুষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনও দায়িত্বহীন ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    গত মার্চ মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, “হিজাব ইসলামি ধর্মীয় অনুশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। তাই কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকলে তা মানতে হবে পড়ুয়াদের।” এরপরেই কর্নাটকের কয়েক জন পড়ুয়া হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাটির জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন জানায় তারা। তবে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।  

    এদিনের ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিক্ষোভ। নেটমাধ্যমে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বিজেপি নেতা জশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমোদ মুতালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে!

    এই হুমকির জেরে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি জশপাল এবং প্রমোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। এবিষয়ে জশপাল বলেন, ‘‘দেশবিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে গোলমাল বাধাতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই।’’

  • Satyendar Jain: আরও বিপাকে সত্যেন্দ্র জৈন, বিপুল নগদ-সোনা উদ্ধার ইডির

    Satyendar Jain: আরও বিপাকে সত্যেন্দ্র জৈন, বিপুল নগদ-সোনা উদ্ধার ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দুর্নীতির মামলায় জড়িত দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২.৮৫ কোটি টাকা নগদ এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।

    ইডির (ED) তরফে জানানো হয়েছে— বৈভব জৈন, অঙ্কুশ জৈন, নবীন জৈন এবং রামপ্রকাশ জুয়েলার্সের মালিকরা আর্থিক তছরুপে সত্যেন্দ্রকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাম প্রকাশ জুয়েলার্সের কাছ থেকে ২.২৩ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে, বৈভব জৈনের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন সহ ৪১.৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

    বিষয়টির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, “আপ-এর পেছনে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় রাজধানী এবং পঞ্জাবে বিজেপি সরকারে নেই। মিথ্যা, মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা। সমস্ত সংস্থার ক্ষমতা আপনার হাতে, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”   

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র পাল্টা ট্যুইটে লিখেছেন, “সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা, সোনার কয়েন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। সাহস থাকে তো সত্যেন্দ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করুন। কিন্তু, আপনি পারবেন না, কারণ, আপনার হাটে হাঁড়ি ভেঙে যাবে।” 

    [tw]


    [/tw]

    কপিল যোগ করেন, “কেজরিওয়ালের মতে, তিনি একজন সৎ মানুষ। সত্যেন্দ্র জৈনের দুর্নীতি শুধুমাত্র একটা ঝলক মাত্র। আসল মাস্টারমাইন্ড হলেন কেজরিওয়াল, কেজরিওয়ালের দুর্নীতিতে গোটা বিশ্ব অবাক হবে।”

    সত্যেন্দ্র জৈন গত ১ জুন থেকে ইডির হেফাজতে রয়েছেন। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “সত্যেন্দ্র জৈনের বাস ভবনে এবং কিছু অন্যান্য স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। সত্যেন্দ্র জৈন আগামী ৯ জুন পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই থাকবেন।” 

    চলতি বছরেই এপ্রিলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কলকাতার একটি কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত ৪.৮১ কোটি টাকার তছরুপের মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনের যোগ খুঁজে পায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রীকে। সিবিআইয়ের দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে আপ ওই নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। 

    অভিযোগ, সত্যেন্দ্র জৈন চারটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও, কোম্পানিগুলির তহবিলের টাকার উৎস কী, তার জবাব দিতে পারেননি। তদন্ত সংস্থার দাবি, সত্যেন্দ্র জৈনের দিল্লিতে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই ১৬.৩৯ কোটি কালো টাকা পাচার করেছেন মন্ত্রী। 

      

  • RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ৭.২ শতাংশ পর্যন্ত। এই আশার আলো দেখিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের (reserve bank of india) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।

    সম্প্রতি হয়ে গেল তিনদিন ব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (monetary policy committee) বৈঠক। ওই বৈঠকেই একথা জানান শক্তিকান্ত। তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে যথাক্রমে ১৬.২%, ৬.২%, ৪.১% এবং ৪.০%।

    তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine War) পরিস্থিতিতে তিনি এই বৃদ্ধির ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৭.২ শতাংশ। যদিও তাঁর আগের পূর্বাভাস ছিল ৭.৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শক্তিকান্ত বলেন, চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে ও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি গড় মূল্য ১০৫ মার্কিন ডলার হবে ধরে নিলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬.৭ শতাংশে।

    এক ভিডিও বার্তায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, মুদ্রাস্ফীতির জেরে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিদ্যুতের দাম, পশুখাদ্য এবং অপরিশোধিত তেলের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তার জেরে প্রতিদিনই আমাদের নয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    প্রসঙ্গত, আরও একবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ানো হয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপো রেট বাড়িয়ে ৪.৯০ শতাংশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রশ্ন হল, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে কী প্রভাব পড়বে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ওপর? শক্তিকান্ত জানান, এর জেরে দেশের জিডিপি বাড়তে পারে প্রায় ৭.২ শতাংশ। এর থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হল, রেপো রেট বাড়ালেও, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে কোনও কাটছাঁট করছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ যে জায়গায় ছিল, সেখানেই রইল।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেপো রেট বাড়লে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ কমে। আর রেপো রেট কমলে হয় উল্টোটা। গতবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করার পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশের একাধিক সংস্থা। যার জেরে জিডিপি বৃদ্ধিতে কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলো ঋণের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি করে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির যা হাল, তাতে ঋণদানের ওপর নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারও।

     

  • Gyanvapi row: জ্ঞানবাপী মামলায় সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া বিচারককে হুমকি-চিঠি!

    Gyanvapi row: জ্ঞানবাপী মামলায় সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া বিচারককে হুমকি-চিঠি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জ্ঞানবাপী (Gyanvapi) মামলায় ভিডিও সমীক্ষার (Videography survey) নির্দেশ দেওয়ায় বিচারককে হুমকি। রীতিমতো চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। চিঠির শেষে নাম রয়েছে ইসলামিক অঘজ মুভমেন্ট (Islamic aghaz movement) নামের এক সংগঠনের। ঘটনার জেরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সিভিল জজ রবিকুমার দিবাকরের (ravi kumar diwakar)।

    বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে। অন্তত হিন্দুত্ববাদীদের (Hindutva) দাবি এমনই। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, মুঘল আমলে একাধিক মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুদের একটি সংগঠন আবার দেশজুড়ে ১৮০০ ‘অবৈধ’ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তাদের দাবি, এই সব মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, মুঘল আমলে।

    হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে বেশ কিছু মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরও ভাঙা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) নির্দেশে। তার পরেই তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। পরবর্তীকালে বিশ্বনাথের মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন রানি অহল্যাবাই।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রমাণ নন্দীর মূর্তিও। বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন নেপালের রানা। সেই নন্দীর মুখ রয়েছে মসজিদের দিকে। হিন্দুদের দাবি, নন্দীর মুখ থাকে শিবলিঙ্গের দিকে। তাই মন্দির ভেঙেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল।

    মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। এখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো হত বলে দাবি তাঁদের। তাই ফের পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে একটি ফুটেজ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই ফুটেজে স্পষ্ট মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ (Shivling)। তার পরেই ওই জলাধার সিল করে দেয় আদালত। পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়ার অধিকার দেওয়া হয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদেরও।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    চলতি বছরের ২০ মে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে চলে আসে বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court)। সেখানেই চলছে মামলার শুনানি। মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিভিল জজ রবিকুমার দিবাকর। তার পরেই তাঁকে দেওয়া হয় হুমকি চিঠি। চিঠি পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে রবিকুমারের নিরাপত্তা।

    বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এ সতীশ গণেশ বলেন, বারাণসীতে সিভিল জজ এবং লখনউতে তাঁর মায়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ১৩ মে থেকে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জেলা জজেরও।

             

  • Karnataka High Court: স্ত্রী কোনও এটিএম মেশিন নয়! বিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    Karnataka High Court: স্ত্রী কোনও এটিএম মেশিন নয়! বিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম মানসিক সম্পর্ক ছাড়া স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া বা স্ত্রীকে এটিএম (ATM) হিসাবে ব্যবহার করা মানসিক হেনস্তার সমান। এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এই পর্যবেক্ষণ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। আদালতের মতে, মন থেকে ভালবাসা, আবেগ উবে গিয়েছে যে সম্পর্কে, দুগ্ধবতী গাভী এবং টাকার তোলার মেশিন হয়ে থাকা ছাড়া যে সম্পর্কে স্ত্রীর কোনও অস্তিত্ব নেই, সমাজের খাতিরে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। তাতে ইতি টানার পক্ষে রায় দিল আদালত

    দীর্ঘ তিন দশকের বিবাহে ইতি টানতে চেয়ে সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হন এক মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে বিয়ে হয় তাঁর। ২০০১ সালে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে এক কন্যাসন্তানেরও আবির্ভাব হয় তাঁদের জীবনে।

    মহিলার দাবি, পেশায় ব্যবসায়ী স্বামী ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। দেনার দায়ে মাথা তুলতে পারছিলেন না। সেই অবস্থা থেকে স্বামীকে মুক্ত করতে ২০০৮ সাল থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন তিনি। এই দেড় দশকে নয় নয় করে স্বামীকে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি।

    মেয়ে এবং তাঁর নামে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে স্বামী ওই টাকা নিতেন বলে জানান আবেদনকারী ওই মহিলা। তিনি জানান, গত দেড় দশক ধরে শুধু তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছেন স্বামী। তার কানাকড়িও ফেরত দেননি। বরং দিনের পর দিন তাঁকে অবহেলা করে গিয়েছেন। তা নিয়ে অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকে। তাই এই বিবাহ থেকে মুক্তি চান তিনি।

    কিন্তু রাজ্যের পারিবারিক আদালতে ওই মহিলার বিবাহবিচ্ছেদের আরজি খারিজ হয়ে যায়। উল্টে আদালত জানায়, স্বামী তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণই দিতে পারেননি আবেদনকারী ওই মহিলা।

    আরও পড়ুন: গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মহিলা

    নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদ পেতে ব্যর্থ হয়ে এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। বিচারপতি অলোক আরাধে এবং জেএম কাজির ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদন গৃহীত হয়। তাতে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেয় আদালত। অনুমোদন দেওয়া হয় ওই মহিলার বিবাহবিচ্ছেদের আরজিতে। এই ধরনের ঘটনা, যেখানে সাংসারিক অশান্তি, মনোমালিন্যের বিষয় জড়িয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে নির্যাতন বলতে শুধু শারীরিক নির্যাতন নয়, মানসিক নির্যাতনের প্রশ্নও জড়িয়ে থাকে। তাই সবদিক ভাল করে খতিয়ে দেখা উচিত বলে জানায় আদালত।

LinkedIn
Share