Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kashmir killing: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের

    Kashmir killing: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বেড়ে চলেছে অশান্তি। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ হিন্দু নাগরিকরা (Hindus Targeted in Kashmir)। কখনও ব্যাঙ্ক কর্মী, কখনও স্কুল শিক্ষিকা, কখনও পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও হিন্দু পণ্ডিত (Hindu Pandits) তো কখনও ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও।

    এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে (security meet) ডেকেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval), সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে (Army Chief General Manoj Pande), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (JK L-G Manoj Sinha) উপস্থিতিতে বিকেল ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: বিয়ের অ্যালবাম এখনও হয়নি, শুধু ছবিই সঙ্গী কুলগামে নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ (CRPF) ডিজি কুলদীপ সিং এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) প্রধান পঙ্কজ সিং, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, উপত্যকার নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিহতদের সম্পর্কে তথ্য থেকে শুরু করে লাগাতার এই হামলার পিছনে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত নথি পেশ করা হয়। 

    কাশ্মীরের নাগরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও। কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে নর্থ ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে ওই বৈঠক ডাকেন অমিত। সূত্রের খবর, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই বৈঠক চলে। সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের আরও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। কীভাবে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। কাশ্মীরে কেন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর উপর হামলা চালানো হচ্ছে তা জানতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে অশান্তি বেড়েছে। মাঝে কিছুদিন পুলিশ ও সেনার চরম তৎপরতায় পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গত কয়েক মাসে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিধানসভা ভোটের তোড়জোড় শুরু হতেই সেখানে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) প্রতি বিদ্বেষ। সেনা সূত্রে খবর, পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে, একের পর এক সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে তারা।  

  • Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই!  চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese State Councillor and Foreign Minister)  ওয়াং ই (Wang Yi) এর মুখোমুখি বসবেন  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affiars Minister S Jaishankar)? সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা SCO-র বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে  কি না তা নিয়েই এখন গুঞ্জন চলছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসের শেষেই উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) রাজধানী তাসখন্দে (Tashkent) হবে SCO-র বৈঠক। কেন্দ্রীয় আধিকারিক সূত্রে খবর, সেখানে আলাদা করে ওয়াং ই এবং জশঙ্করের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    এর আগে বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন চলাকালীন এক পার্শ্ববৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বকেয়া বিষয়গুলি মেটাতে সওয়াল করে ভারত। এবারও দু-দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসতে পারে পূর্ব লাদাখ থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবি। এ বিষয়ে বারবার চিনকে সতর্ক করেছে ভারত। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’, ‘পারস্পরিক সংবেদনশীলতা’ এবং ‘পারস্পরিক স্বার্থ’। আবারও সেই দাবিই রাখা হবে। ভারত মনে করে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’দেশেরই উচিত, সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে উদ্যম ধরে রাখা। দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল এবং সীমান্ত চুক্তিগুলি মান্য করার উপরে বরাবরই জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    চলতি বছরের ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর, উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkhand) পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেবেন SCO ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনায়করা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত-সমস্যার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাত হবে। তারই পথ প্রশস্ত করবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • Gyanvapi mosque survey: জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    Gyanvapi mosque survey: জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গের (shivling) অস্তিত্ব মিলেছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের। এবার মসজিদ (mosque) চত্বরের দেওয়ালে ত্রিশূলের (trishul) মতো কোনও চিহ্ন খোদাই করা দেখা গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi mosque) সমীক্ষা করে এক প্রতিনিধি দল। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। সেই ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ চলে এসেছে প্রকাশ্যে। যদিও মাধ্যম ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

    জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির মামলা আদালতের বিচারাধীন। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে তাঁরই নির্দেশে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে গড়ে তোলা হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ। সম্প্রতি পাঁচ মহিলা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালের কাছে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করার। এর পরেই আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে হয় ভিডিওগ্রাফি। সেই ভিডিওগ্রাফির ফুটেজই প্রকাশ্যে এসেছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    চলতি মাসের প্রথম দিকে হিন্দু আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন, মসজিদ চত্বরের ওজুখানার জলাধারে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, কাঠামোটি আদতে একটি পুরনো ফোয়ারা। হিন্দু আবেদনকারীদের তরফে এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মহিলাদের প্রবেশাধিকার না থাকায় আমাদের মসজিদের ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। এখন আমরা প্রথমবার ভিডিওটি দেখছি। এটি একটি মন্দির। যদিও মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রইস আহমেদের যুক্তি, মসজিদ চত্বরে কোনও দেবতা নেই।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    তবে সমীক্ষার সময় তৈরি ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওজুখানার জলাধারের জল কমানোর পর শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটি দেখা যাচ্ছে। সেই আকৃতি দেখার পর ভিডিওটি করা হয়। সেটির মাপজোকও করা হয়। কমিশনের রিপোর্টে যা যা বলা হয়েছে, সেসবই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে শিবলিঙ্গের ওপর সিমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, শিবলিঙ্গের ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছিল। শিবলিঙ্গের মাঝখানে ছিদ্র করার চেষ্টাও হয়েছে।

    হিন্দুত্বাবাদীদের দাবি, তাঁদের আরাধ্য দেবতার ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। নন্দীর মূর্তির ঠিক সামনে মসজিদ এলাকায় টিনের শেডের নীচে রয়েছে জলাধার। এখানেই রয়েছে শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটা। এখানেই ওজু করতেন নমাজ পড়তে আসা মুসলমানরা। একই সঙ্গে মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালের ছবিও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। যার ওপর এমন অনেক কারুকার্য রয়েছে, যা দেখে দাবি করা হচ্ছে যে সেখানে মন্দির ছিল। ত্রিশূল ছাড়াও দেওয়ালে স্বস্তিকের চিহ্ন রয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য মসজিদ কমিটির তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে এসেছে ভিডিওটি।

     

  • J P Nadda: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    J P Nadda: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী (Kashi) ও মথুরার (Mathura) বিষয়ে বিজেপির (BJP) কোনও রেজোলিউশন নেই। সিদ্ধান্ত নেবে আদালত ও সংবিধান (constitution)। নরেন্দ্র মোদি (Modi) সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, দল সর্বদা সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলেছে এবং আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদকাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্কে (Kashi Vishwanath Temple-Gyanvapi mosque dispute) সরগরম গোটা দেশ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। ১ হাজার ৮৬২টি ‘অবৈধ’ মসজিদের তালিকাও প্রকাশ করেছে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। তাদের দাবি, এই মসজিদগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল মন্দির ভেঙে। এই তালিকায় রয়েছে কাশী মথুরার একাধিক মসজিদের নামও।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    এদিন বিজেপি সভাপতি বলেন, আমরা সব সময় সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলে আসছি। কিন্তু এসব বিষয় (মন্দির-মসজিদ) সংবিধান ও আদালতের রায় অনুযায়ী মোকাবিলা করা হয়। সুতরাং, আদালত এবং সংবিধান এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপি সেই সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    কাশী এবং মথুরার মন্দিরগুলি পুনরুদ্ধার করা বিজেপির অ্যাজেন্ডায় ছিল কিনা, সে প্রশ্নের জবাবে নাড্ডা বলেন, রাম জন্মভূমি (Ram Janmabhoomi) ইস্যুটি পালমপুরে পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সংসদে পাস হওয়া প্রস্তাবের অংশ ছিল। কিন্তু এর পরে আর কোনও রেজুলেশন হয়নি। নাড্ডা বলেন, বিজেপি একটি শক্তিশালী জাতি গঠনে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা যখন রাজনৈতিকভাবে কাজ করি, তখন সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করি। বিজেপি সভাপতি বলেন, মোদি সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস’ নীতি অনুসরণ করে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নাড্ডা। বলেন, এটা ঠিকই আছে। তারা (উত্তরাখণ্ড) এটা নিয়ে আলোচনা করছে। আমরা তো বলেই আসছি সকলের সঙ্গে সমান আচরণ করা উচিত। আমাদের সরকারের মূল কথাই হল সকলকে ন্যায়বিচারের সুবিধা প্রদান করা। এটাই আমাদের মৌলিক নীতি। এই নীতি মেনেই কাজ করছি আমরা।

    মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় নাড্ডার মুখে। বিজেপি সভাপতি বলেন, মোদি সরকার ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করেছে এবং একটি প্রতিক্রিয়াশীল, দায়িত্বশীল এবং সক্রিয় সরকারের সূচনা করেছে। তিনি বলেন, সেবা, সুশাসন এবং গরিব কল্যাণ হল মোদি সরকারের আত্মা।

    নাড্ডার মতে, অতিমারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধ দুইই সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু মোদি সরকার (Modi Sarkar) বৃদ্ধির হার অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছিল। বেকারত্ব সমস্যার সমাধানেও যত্ন নিয়েছিল। এদিন বিজেপি ‘মোদি সরকার নয়া ভারতের স্থপতি’ শিরোনামে একটি থিম সং প্রকাশ করেছে। নমো অ্যাপের (NaMo app) একটি নতুন মডিউলও চালু করা হয়েছে এদিন। 

     

  • Supreme Court: গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালকের বিচার হবে প্রাপ্তবয়স্কের মতো? কী বলল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court: গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালকের বিচার হবে প্রাপ্তবয়স্কের মতো? কী বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হত্যার মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোনও কিশোর বা কিশোরীর বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতো করা যেতে পারে কিনা তা নিয়ে মতামত জানালো দেশের শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই ‘সূক্ষ্ম কাজ’বলে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের। এ বিষয়ে মনস্তাত্ত্বিক তদন্তেরও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় আদালত। দেশে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (juvenile justice boards) এবং শিশু আদালত (children’s courts) নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন একথা জানায় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    ২০১৫ সালে জুভেনাইল জাস্টিস (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইনের ১৫ নম্বর ধারায় গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে একটি ‘প্রাথমিক মূল্যায়ন’ করতে বলা হয়। এই মূল্যায়নের দ্বারা বোঝা যাবে কোন পরিস্থিতিতে, কোন সময়ে ওই কিশোর অপরাধ করেছে। অপরাধ করার সময় তার মানসিক স্থিতি কেমন ছিল তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ভিত্তিতেই কিশোরের অপরাধের পরিণতি বোঝা যাবে, বলে জানায় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চ (Dinesh Maheshwari and Vikram Nath)।

    জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড যদি মনে করে যে কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত হবে না, তাহলে মামলাটি শিশু আদালতে প্রেরণ করা হবে না। মামলাটি জাস্টিস বোর্ডই শুনবে। সেক্ষেত্র শিশুটি দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে তিন বছরের জন্য কিশোর পরিচর্যায় (Juvenile care) পাঠানো হবে। অন্যদিকে, বোর্ড যদি প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচারের জন্য শিশু আদালতে মামলাটি রেফার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে কিশোর বা কিশোরী দোষী হলে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও ভোগ করতে হতে পারে।

    শীর্ষ আদালতের কথায়, কিশোর বা কিশোরীর মানসিক স্থিতি বোঝার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কাঠামো বা নির্দেশিকা নেই যা মেনে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হবে। এব্যাপারে কেন্দ্র (Centre) এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (National Commission for Protection of Child Rights) এবং স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসকে (State Commission for Protection of Child Rights) এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করার কথা বলা হয়েছে। আদালত বলেছে যে বোর্ড শিশুর মূল্যায়ন করবে, সেখানে  অন্তত একজন  অভিজ্ঞ শিশু মনোবিজ্ঞানী থাকা উচিত। 

  • Om Prakash Chauata: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    Om Prakash Chauata: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের (Tihar Jail) ১৯,৫৮৪ বন্দির মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Haryana Chief Minister) ওম প্রকাশ চৌটালা (Om Prakash Chautala)। বয়স ৮৭ বছর। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির (dispropotionate assets) মামলায় ওম প্রকাশ চৌটালাকে চার বছরের হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।  

    এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চৌটালাকে আরও দুই বন্দির সঙ্গে রাখা হবে ২ নম্বর জেলের একটি সেলে। জেলের রেকর্ড অনুযায়ী, ৮০ বছরের ওপরে মোট ৭ জন বন্দি আছে তিহার জেলে, যাদের মধ্যে চৌটালাই সবচেয়ে বয়স্ক। ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে রয়েছে ৬৩ জন বন্দি। চৌটালা জেলে আসার আগে ৮৫ বছরের এক খুনের অপরাধী ওই জেলে সচেয়ে বয়স্ক ছিল।

    ৭০ বছরের ওপরের সব বন্দির জন্যেই বয়সের কথা মাথায় রেখে একটি করে বিছানা বরাদ্দ করা হয়। চৌটালার জন্যেও করা হয়েছে। বয়স্ক বন্দিদের জেলে কোনও কাজও করানো হয় না। জেলের এক আধিকারিকের কথায়, “বয়স্কদের শোয়ার জন্যে বিছানার ব্যবস্থা করা হয়। চৌটালাও তা পাবেন। বয়স্ক বন্দিদের খেয়াল রাখার জন্যে তাঁদের সঙ্গে একজন করে থাকে। বিশেষত যেসব বন্দিদের ব্যবহার ভালো এবং বয়স্কদের খেয়াল রাখতে চায়, তাঁদের এই কাজে বহাল করা হয়।”

    আধিকারিক আরও জানান, “এই বন্দিরা বয়স্কদের কাপড় ধোয়া এবং যাবতীয় কাজ করে। এমনকি তাঁদের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। ডাক্তারদের পরামর্শে বয়স্ক বন্দিদের জন্যে বিশেষ খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।”

    এই সব সুযোগই পাবেন ওম প্রকাশ চৌটালা। জেলে নিজের জামাকাপড়ও কাচতে হবে না চৌটালাকে। তাঁর দৈনন্দিন কাজগুলি করে দেবে অন্য কেউ। এরই পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে তাঁর।

    ২১ মে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউর বিশেষ আদালত। আদালত জানায়, আয়ের চাইতে প্রায় একশো তিন গুণ সম্পত্তি রয়েছে চৌটালার। যা অঙ্কের সহজ হিসেবে কোনওভাবেই মিলছে না। আদালত আরও বলে যে, নিজের সাফাইয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কীভাবে বিপুল সম্পত্তি জমা করেছেন তিনি, তার স্পষ্ট কোনও জবাব নেই।

    ২০০৫ সালে চৌটালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই (CBI)। এরপর ২০১০ সালে ২৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি হয়েছে চৌটালার।

     

     

  • Yasin Malik: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী? 

    Yasin Malik: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik) মামলায় মূল সাক্ষীদের (Witness) পরিচয় গোপন করতে তাঁদের জ্যাক, জন, আলফা নাম দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, কেসটির গুরুত্ব বুঝে এবং এই ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত থাকতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সাক্ষীদের নাম বদলানো হয়েছে। সাক্ষীদের পরিচয় সামনে এলে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। 

    শুধু জ্যাক, জন, আলফাই নয়। মোট ২৫ জন সাক্ষীর বয়ানের ওপর ভিত্তি করে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে কেসটি সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই সবারই পরিচয় গোপন রাখার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এনআইএ। সুরক্ষার সাথে কোনওভাবেই আপোষ করা হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তাই এই ২৫ জনকেই আলাদা আলাদা ছদ্মনাম দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক। বুধবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের  সাজা দেয় পাটিয়ালার বিশেষ এনআইএ আদালত । ইউএপিএ আইনে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিল এনআইএ। শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। আদালতে নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন মালিক। 

    এছাড়াও তদন্তকারী দল ৭০ জায়াগায় অভিযান চালিয়ে ৬০০ টি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    সাজার পরে ইয়াসিন মালিককে রাখা হয়েছে তিহারের ৭ নম্বর জেলে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অন্যান্য কয়েদীদের থেকে আলাদা একটি সেলে রাখা হয়েছে ইয়াসিনকে। সেখানে একাই আছে সে। একই কারণে কোনও কাজও দেওয়া হয়নি তাকে। ইয়াসিনের জেলে বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে ইয়াসিনের সেলে। 

     

  • Anil Parab: আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    Anil Parab: আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের পরিবহণমন্ত্রী অনিল পরবের বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।

    জমি লেনদেনে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ রোধ আইনে (PMLA) মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সূত্রেই এদিন মুম্বই, পুণে, রত্নগিরিসহ মোট সাতটি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালীন মুম্বইয়ের নরিমান পয়েন্টে নিজের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তিনবারের শিবসেনা বিধায়ক। গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে। আট ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন আধিকারিকরা। রাত আটটা নাগাদ তাঁর বাড়ি ছাড়ে ইডি। তারপরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান অনিল পরব।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে রত্নগিরির দাপোলি জেলায় ১ কোটি টাকা দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন অনিল। ২০১৯ সালের সেই জমি নথিভুক্ত করান। ইডির অভিযোগ, এর পরের বছর সদানন্দ কদম নামে মুম্বইয়ের এক কেবল অপারেটরকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ওই জমিতে একটি রিসর্ট নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চে আয়কর বিভাগের একটি তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালে ওই বেআইনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রিসর্টটি তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৬ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    যদিও ইডির অভিযোগ স্বীকার করে নেননি মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন রিসর্টটি তাঁর নয়, সদানন্দ কদমের নামে নথিভুক্ত। এর সঙ্গে আর্থিক তছরুপের কোনও যোগ নেই। এক বছর আগেও পরবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইডিই ছিল সেই তদন্তের দায়িত্বে। অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন যে, পুলিশদের পছন্দের জায়গায় বদলি দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশদের থেকে টাকা নিতেন অনিল পরব এবং এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। 

     

  • Restaurants Service Charge: রেস্তোরাঁ ‘সার্ভিস চার্জ’ নিচ্ছে? তাহলে জেনে রাখুন এই সরকারি নিয়ম

    Restaurants Service Charge: রেস্তোরাঁ ‘সার্ভিস চার্জ’ নিচ্ছে? তাহলে জেনে রাখুন এই সরকারি নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোটেল-রেস্তোরাঁর সার্ভিস চার্জ নিয়ে বড় ঘোষণা করল কেন্দ্র। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক জানিয়ে দিল, হোটেল-রেস্তোরাঁয় নেওয়া সার্ভিস চার্জ “বেআইনি”। এই মর্মে এখন থেকে সকল হোটেল ও  রেস্তোরায় ‘সার্ভিস চার্জের’ ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক। 

    জাতীয় রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনকে ইতিমধ্যেই এই নিয়ম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরসূত্রে জানা যায়, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ক্রেতাদের থেকে অত্যাধিক টাকা ধার্য করার কোনও আইনি বৈধতা নেই। খুব শীঘ্রই ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের থেকে এই বিষয়ে আইনি নির্দেশিকা জারি করা হবে।বৃহস্পতিবার জাতীয় রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্র।

    প্রায় অনেক গ্রাহকরাই সার্ভিস চার্জ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে থাকেন। ফলে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক ২ জুন জাতীয় রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। রেস্তোরাঁগুলি সাধারণত বিলের ওপর অত্যধিক ১০ শতাংশ টাকা ধার্য করে।

    ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি রোহিত কুমার সিং পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, এখনকার প্রায় সমস্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। কিন্তু আইন অনুসারে এটি বাধ্যতামূলক নয়। অনেক সময় গ্রাহকদের সার্ভিস চার্জ নিয়ে ভুলপথে চালনা করা হয় এবং তাঁদের বাধ্য হয়েই চার্জ দিতে হয়। গ্রাহকরা হোটেলে সার্ভিস চার্জ নিয়ে প্রশ্ন করলেও তাঁদের হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে হেনস্থা হতে হয়।

    হোটেল ও রেস্তোরাঁয় সার্ভিস চার্জ নিয়ে ২০১৭ সালে ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, গ্রাহকরা কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁয় সার্ভিস চার্জ দিতে বাধ্য নন। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক সম্প্রতি জানিয়েছে যে, কোনও গ্রাহককে হোটেল বা রেস্তোরাঁয় সার্ভিস চার্জ দিতে বাধ্য করা হলে তা ক্রেতা সুরক্ষা আইন (Consumer Protection Act) অনুসারে Restrictive trade practice -এর মধ্যে পড়ে।

    নির্দেশিকা অনুসারে, যদি কোনও গ্রাহক কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁয় এমন সমস্যার সম্মুখীন হন বা Restrictive trade practice -এর শিকার হন, তবে তিনি এর বিরূদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

  • Rajya Sabha Polls: শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    Rajya Sabha Polls: শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসে (Congress) ফিরল রিসর্ট সংস্কৃতি! বিধায়করা যাতে দল ভেঙে বিজেপিতে (BJP)  গিয়ে না ভিড়ে যান, তার জন্য তাঁদের বিভিন্ন হোটেলে ‘লুকিয়ে’ রেখেছিলেন রাজস্থান কংগ্রেস। প্রায় সেই একই ছবির রিমেক হতে চলেছে এবারও। সৌজন্যে রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)।

    একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে হারাতে প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। দেশের মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর দল। এই দুই রাজ্য হল রাজস্থান ও ছত্তিশগড়। ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। কংগ্রেস ১০।

    আরও পড়ুন :রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    এই প্রার্থীরাও যে গেরুয়া-কূলে গিয়ে তরী ভেড়াবেন না, তা কে বলতে পারে? গেরুয়া খাতায় নাম লেখাতে পারেন বিধায়করাও। অতএব, ‘বন্দি’ করো বিধায়কদের! কংগ্রেস সূত্রে খবর, হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের ছত্তীশগড়ের রায়পুরের একটি হোটেলে রাখা হতে পারে। আর ছত্তীশগড়ের বিধায়কদের রাখা হতে পারে রাজস্থানের উদয়পুরের এক হোটেলে।

    রাজ্যসভায় ক্রমেই শক্তিহীন হতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কংগ্রেসকে মাত দিতে তৈরি বিজেপি। হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে একটিও বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি নন পদ্ম নেতৃত্ব। তাই এই চার রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ‘ভোট’ জোগাড়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে।

    দুশো আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বিজেপির ৭১। এই রাজ্যে রাজ্যসভার একটি আসন জিততে হলে কোনও প্রার্থীকে ৪১ জনের ‘ভোট’ পেতে হবে। সেই হিসেবে কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর জেতার পরে বাড়তি ভোট থাকছে ২৬টি। আবার বিজেপির প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হাতে থাকছে ৩০টি ভোট। বিজেপির এক নেতার কথায়, তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে কংগ্রেসের প্রয়োজন ১৫টি ভোট। আর পদ্ম শিবিরের দ্বিতীয় প্রার্থীকে জেতাতে দরকার ১১টি ভোট। স্বভাবতই এগিয়ে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    হরিয়ানাতেও কংগ্রেসকে মাত দিতে সক্রিয় বিজেপি নেতৃত্ব। হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। সেরাজ্যে ভোট হবে রাজ্যসভার দুটি আসনে। একজন প্রার্থীকে জেতাতে প্রয়োজন ৩১টি ভোট। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যাও ৩১। এঁদের অনেকেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের আশঙ্কা বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে পারে ওই বিধায়কদের। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দলীয় বিধায়কদের রায়পুর কিংবা রাজস্থানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির।

    দল বাঁচাতে আর উপায়ই বা কি!

     

LinkedIn
Share