Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Unicorn Startup: নতুন ভারতের মূল মন্ত্র চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন তিনি?

    Unicorn Startup: নতুন ভারতের মূল মন্ত্র চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ‘ইউনিকর্ন’ স্টার্টআপের (Unicorn Startup) সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। ভারতীয় ‘ইউনিকর্ন’ স্টার্টআপগুলির বার্ষিক বৃদ্ধির হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। এমনকী করোনা অতিমারীর মধ্যে দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা থাকা সত্ত্বেও দেশের এই বহুমূল্য স্টার্টআপগুলি নিজেদের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। রবিবার ৮৯তম ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) রেডিও অনুষ্ঠানে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।   

    কোনও নতুন ব্যবসা যদি মার্কেটে শেয়ার ছাড়ার আগেই তার ভ্যালুয়েশন ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি হয়, তাহলে তাকে ‘ইউনিকর্ন’ স্টার্টআপ বলা হয়। এদিন এই ইউনিকর্ন স্টার্টআপগুলিরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “ভারতীয়দের জন্যে গর্বের বিষয়, যে বিশ্বব্যাপী মহামারীর মধ্যেও লাভের টাকা ঘরে তুলেছে এই স্টার্টআপগুলি। আগামী বছরগুলিতে এই স্টার্টআপগুলিতে লাভের পরিমাণ আরও বাড়বে।”  

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পিএম কিষান প্রকল্পের ১১তম কিস্তির টাকা বিতরণ করবেন মোদি, জানুুন বিস্তারিত

    প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, “গতবছর এই বড় স্টার্টআপ কোম্পানিগুলির জন্যে খুব ভালো সময় ছিল। ৪৪ টি নতুন কোম্পানির প্রত্যেকের ভ্যালুয়েশন ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের সব নতুন বড় কোম্পানিগুলির মধ্যে ৪০ টি গত বছর তৈরি করা হয়েছে। ১৪ টা তৈরি করা হয়েছে গত ৩-৪ মাসে।” প্রধানমন্ত্রী পরিসংখ্যান দেন, “মে মাস অবধি ভারতে ১০০ টি স্টার্টআপের মোট মূল্য ৩৩,২৭০ কোটি মার্কিন ডলার।”

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল চোখে সবকিছুই নজরবন্দি প্রধানমন্ত্রীর

    মোদি বলেন, “স্টার্ট আপগুলি হল নতুন ভারতের মূল মন্ত্র। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে এই স্টার্ট আপগুলি ভারতকে উন্নতির নতুন শিখরে নিয়ে যাবে। এই স্টার্ট আপগুলিকে সঠিক দিশা দেখানো হলেই এগুলি শিখরে পৌঁছে যেতে পারবে। ভারতে এমন অনেকেই আছেন, যারা এই স্টার্ট আপগুলিকে সঠিক দিশা দেখাতে পারেন।”  

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি ইউনিকর্ন মানে অন্তত ৭,৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ। এই ইউনিকর্নগুলির মোট মূল্য ৩৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এটা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

    তিনি আরও বলেন, “আগামী সময় ভারতের হবে। এই ইউনিকর্নগুলি বিভিন্ন দিকে কাজ করছে। ইউনিকর্নের নিরিখে অনেক দেশ ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে।” 

    নিও ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘ওপেন’ ভারতের ১০০ তম ইউনিকর্ন স্টার্টআপ। বাণিজ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বের  প্রতি ১০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপের মধ্যে একটি ভারতের। 

     

  • Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় সেনা। লাদাখের (Ladakh) শিয়ক নদীতে (Shyok River) পড়ে গেল জওয়ান বোঝাই গাড়ি। অন্তত সাতজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখের তুরতুক (turtuk) সেক্টরে ঘটেছে ঘটনাটি। জখম হয়েছেন একাধিক সেনাকর্মী। বায়ুসেনার (IAF) নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।  

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ২৬ জন জওয়ানকে নিয়ে পার্টাপুরের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে হানিফ সাব সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়িটি। প্রায় ৯ কিমি চলার পর থয়েসের কাছে গাড়িটি পিছলে রাস্তা থেকে ৫০-৬০ ফুট  নীচে নদীতে পড়ে যায়।

    [tw]


    [/tw]

    দ্রুত উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের হরিয়ানার পাঁচকুলা জেলার চণ্ডীমন্দির এলাকার আর্মি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সাত জন জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরও অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা জওয়ানদের সুচিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে বায়ুসেনাকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি    

    ঘটনার পরেই ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, “লাদাখের বাস দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের দেশের বীর জওয়ানদের হারালাম। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যা সাহায্য প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করব।”

    [tw]


    [/tw]

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও (Ram Nath Kovind)। তিনি লেখেন, “লাদাখের দুর্ঘটনার কথা জেনে মর্মাহত। আমাদের বীর সেনারা প্রাণ হারালেন। মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: জম্মু টানেলে ধস উদ্ধার কাজে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

  • Booker Prize: হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    Booker Prize: হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দি উপন্যাস ‘রেত সমাধি’-র জন্য আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার (International Booker Prize) পেলেন গীতাঞ্জলি শ্রী (Geetanjali Shree)। ২০১৮-য় প্রকাশিত গীতাঞ্জলির ‘রেত সমাধি’ (Ret Samadhi)  নামের হিন্দি উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ হল ‘টুম্ব অফ স্যান্ড’ (Tomb Of Sand)।

    মার্কিন অনুবাদক ও লেখক ডেইজি রকওয়েল (Daisy Rockwell) বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন। শ্রীর হাত ধরেই এই প্রথমবারের জন্য ভারতীয় ভাষায় লেখা কোনও বই পেল আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ। তিনিই প্রথম ভারতীয় লেখক যিনি হিন্দি ভাষায় উপন্যাসের জন্য এই সম্মানে সম্মানিত হলেন।

    দিল্লির বাসিন্দা গীতাঞ্জলির ‘রেত সমাধি’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন উত্তর ভারতের একজন ৮০ বছরের বৃদ্ধা, যিনি দেশভাগের সময় ভারতে আসলেও পরে পাকিস্তানে চলে যান। ফলে দেশভাগের জন্যে তাঁর জীবনের ওপর কী কী প্রভাব পড়েছে সেইসব দৃশ্যই এই উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন গীতাজ্ঞলি। একজন কন্যা, মা ও নারী হয়ে তাঁর জীবনের কী কী উপলব্ধি, তা নিয়েই গীতাঞ্জলি শ্রী-র এই উপন্যাস।

    গীতাঞ্জলি শুধুমাত্র পুরস্কারই পাননি, সঙ্গে পেয়েছেন ৫০ হাজার পাউন্ড, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ডেইজি রকওয়েল-এর  সঙ্গে পুরস্কারও ভাগ করে নিয়েছেন গীতাঞ্জলি। সব মিলিয়ে গীতাঞ্জলি পাঁচটি উপন্যাস লিখেছেন এবং অনেক ছোট গল্পও লিখেছেন। তাঁর লেখা ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, কোরিয়ান সহ একাধিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বুকার পুরস্কারটি পাব, তা কখনও ভাবতেই পারিনি। এর জন্য আমি বিস্মিত, খুশী, গর্বিত এবং সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।”

     

  • Viral News: এ কি কাণ্ড আমাজনের! প্লাস্টিকের বালতি, মগ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টাকায়!

    Viral News: এ কি কাণ্ড আমাজনের! প্লাস্টিকের বালতি, মগ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টাকায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা প্লাস্টিকের বালতির দাম ২৬ হাজার টাকা! একটা প্লাস্টিকের মগ প্রায় ১০ হাজার টাকা! না, কোনও চোখের ভুল নয়। একদম ঠিক পড়ছেন। জনপ্রিয় অনলাইন রিটেল স্টোর (online fretail store) আমাজনের ওয়েবসাইটে এমনই ডিসপ্লের দেখা মিলেছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। সকলেই বলছেন, যত কাণ্ড আমাজনে!

    কোনও জিনিস অনলাইনে কেনার কথা হলেই প্রথমেই যে ই-কমার্স (e-commerce) প্ল্যাটফর্মের কথা মনে পড়ে তা হল আমাজন (Amazon)। আর এই আমাজনের এমন কাণ্ড দেখে রীতিমত শোরগোল পড়়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সম্প্রতি, একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমাজনে এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যন্ত সাধারণ পণ্যের পাশে অস্বাভাবিক মূল্য হেঁকে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাজন ওয়েবসাইটের ছবি তুলে দেখানো হয়েছে, সামান্য প্লাস্টিকের বালতি ২৫,৯৯৯ টাকায় এবং প্লাস্টিকের মগ ৯,৯১৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

    এখানেই শেষ নয়, মজাদার বিষয় হল, যখন বালতিটির আসল দাম জানা গেল। কারণ বালতিটির আসল দাম হল ৩৫,৯০০ টাকা এবং ২৮ শতাংশ ছাড়ের পরেই দাম হয়েছে ২৫,৯৯৯ টাকা। এমনকী, এও বলা হয়েছে যে কিস্তির মাধ্যমেও কিনতে পারেন ওই বালতি। এটি শোনার পর আরও হতবাক হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

    বিবেক রাজু নামে এক ব্যক্তি তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটি শেয়ার করে লেখেন, “এটি আমাজনে পেলাম, আমি জানি না, কি করা উচিত।” এরই মধ্যে অনেকেই বিষয়টিকে আমাজনের ভুল বলে মেনে নিয়েছে। আমাজনের তরফেও বলা হয়েছে, “এই ভুলভ্রান্তির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা এই দিকে বিশেষ নজর রাখব।”

    আরেকজন একটি আশ্চর্যজনক বিষয় তুলে ধরেন, এটি আমাজনের স্টকে মাত্র একটি পড়ে রয়েছে। অন্য একজন ট্যুইটার ইউজার একটি হাস্যকর কমেন্ট করে লেখেন, “কোনও বেআইনি জিনিস পাঠানোর এটি একটি ভালো পদ্ধতি। এটি একটি কোডেড আইটেমও (Coded Item) হতে পারে এবং এর মাধ্যমে অন্য জিনিসও পেয়ে যেতে পারেন।”

    এরই মধ্যে দুটি বাথরুম মগ ৯,৯১৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায় আমাজনে। যার আসল দাম ছিল ২২,০৮০ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ ছাড়ের পর ৯,৯১৪ টাকা হয়েছে। তবে এমন কাণ্ড আমাজনে নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক কম দামি জিনিসকে চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।এরপর আর কী কী দেখার বাকি আছে, এই নিয়েই সাধারণ মানুষ চিন্তিত।

  • Dog Walking Row: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    Dog Walking Row: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করার ফল! দিল্লি থেকে সটান দেশের দুই সীমান্তে বদলি করে দেওয়া হল আইএস দম্পতিকে।

    পোষা কুকুরকে নিয়ে সস্ত্রীক স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন আইএএস অফিসার। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে খালি করে দেওয়া হত দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম (Thyagraj Stadium)। ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের ব্যাগপত্র গুছিয়ে সাতটার মধ্যেই খালি করে দিতে হত স্টেডিয়াম চত্বর। সাংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) তথা আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ারকে (Sanjeev Khirwar) বদলি করে দেওয়া হল লাদাখে (Ladakh) এবং উচ্চপদে কর্মরত তাঁর আইএএস স্ত্রী রিঙ্কু দুগ্গাকে পাঠানো হল অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh)। 

    [tw]


    [/tw]

    অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের সন্ধে ৭টার মধ্যে স্টেডিয়াম ছাড়তে বলা হচ্ছিল। ওই সময় নিজের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে সস্ত্রীক এই স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) তথা আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ার। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির সমস্ত স্টেডিয়াম রাত ১০টা পর্যন্ত খেলোয়াড়দের জন্য খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। দিল্লির মুখ্যসচিব বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (Home Ministry ) চিঠি লেখেন। এর পরই আইএএস সঞ্জীব খিরওয়ার এবং তাঁর আইএএস অফিসার স্ত্রীকে বদলি করা হল।

    আরও পড়ুন: যৌনকর্মীরাও সমান সুরক্ষার অধিকারী জানাল শীর্ষ আদালত

    সম্প্রতি এক প্রশিক্ষক অভিযোগ করেন, “আগে আমরা ৮টা-সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রেনিং করতাম। কিন্তু এখন, আমাদের সন্ধে ৭টার মধ্যে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ওই আমলা তাঁর কুকুর নিয়ে হাঁটতে পারেন। এর ফলে আমাদের প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছে।’’এই ঘটনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে স্টেডিয়ামে খেলতে আসা খেলোয়াড়দের পরিবারের তরফ থেকেও।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা অনিল চৌধুরি আইএএস অফিসারের সুবিধার জন্য খেলোয়াড়দের তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, খেলোয়াড়দের সন্ধে ৭টা পর্যন্তই প্রশিক্ষণ করার নিয়ম ছিল। এর পর, খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষকরা নিজেরাই চলে যান। কেউ তাঁদের তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলেনি। আইএএস অফিসার সঞ্জীব জানিয়েছেন, এই ঘটনার ‘সম্পূর্ণ ভুল’ ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি মাঝে মাঝে তাঁর পোষ্যকে নিয়ে বেড়াতে যান ঠিকই, কিন্তু তাতে কারও প্রশিক্ষণে ব্যাঘাত ঘটে না। তবে ঘটনা যাই হোক আমলা দম্পতির বদলির পর তাঁদের পোষ্যটি কোথায় যাবেন তা নিয়ে চিন্তিত নেটিজেনরা। এই নিয়ে ট্যুইটারে মিমের ছড়াছড়ি। 

  • Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা অন্ধকার ঘর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শুধু পেট ভরানোর জন্যে দুবেলা অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার। এক কথায় নরকের জীবন। বাস্তবে তাই হয়ে থাকে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কিন্ত এক নিয়ম চলে না। জেলে বসেও কেউ কেউ থাকতে পারেন রাজার হালে। যেমন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। জেলে বসেও প্রাক্তন সাংসদ পাচ্ছেন রোজমেরি চা, চিয়া সিডস, ফলের রস, ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, অ্যাভোকাডো। ভিআইপি বন্দির ডায়েট চার্ট দেখলে জেলে রয়েছেন না ফাইভ স্টার কোনও হোটেলে আছেন বোঝা দুষ্কর।  

    আরও পড়ুন: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর 

    সম্প্রতি ৩৪ বছরের পুরনো একটি পথ হিংসার মামলায় এক বছরের জেলের সাজা পেয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। রায় ঘোষণার পরেই সিধুকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অসুস্থতার কথা জানিয়ে কোর্টের কাছে কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয় এবং সিধুর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পাতিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁর জন্যে ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’ -এর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। এখন এই ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’- নিয়েই আলোচনায় মেতেছে বিভিন্ন মহল। 

    আরও পড়ুন: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন?
     
    কী কী রয়েছে সিধুর বিশেষ ডায়েটে? 

    একদম সকালে সিধু পাবেন রোজ়মেরি চা, ডাবের জল বা চালকুমড়োর জুস। প্রাতরাশে ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড, সানফ্লাওয়ার, মেলন বা চিয়া সিড, পাঁচ-ছটা আমন্ড, একটা আখরোট, দুটো পেকান নাট। কিছুটা সময় পরে, যাকে আমরা ‘প্রি-লাঞ্চ’ বলি, সেই সময় বিটের রস, বা তুলসী-পুদিনা কিংবা সেলেরি পাতার জুস দেওয়া হবে। এক-একদিন এক একরকম করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি ফল দেওয়া হবে। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যাভোকাডো, কিউই- র মতো দামি দামি সব ফল। দুপুরে সিধুকে দেওয়া হবে রুটি, তরকারি, রায়তা, শসা, লেটুস, লেবু দিয়ে স্যালাড ও এক গ্লাস লস্যি। সন্ধ্যায় ফের ল্যাকটোজ ছাড়া দুধের চা, সঙ্গে পনীর বা টফু। রাতে বিভিন্ন সবজি দিয়ে স্যুপ এবং অল্প তেলে হাল্কা ভাজা সবজি। ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাঁকে দেওয়া হবে চ্যামোমাইল চা এবং গরম জলে সাইলিয়াম হাস্ক। এছাড়াও রয়েছে বিকল্প খাবারের লম্বা এক তালিকা।

    এছাড়া কী কী খাওয়া যাবে না রয়েছে তারও লম্বা তালিকা। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রসেসড ফুড নৈব নৈব চ। রান্না করতে হবে অলিভ অয়েল বা কোল্ড প্রেসড ভোজ্য তেলে। স্যালাডে দেওয়া যাবে না সাধারণ সাদা লবন। সিধুর জন্যে জেল কর্তৃপক্ষের এই এলাহি ব্যবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। অনেকেই মশকরা করে বলেছেন এটা জেল না স্পা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
     

     

     

      

  • Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে মূর্তি ভাঙচুর (idol smashed)। কর্নাটকের (Karnataka) হাসান জেলার আরাসিকেরে জেলার একটি মন্দিরের (temple) ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরাসিকেরে শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মালেকাল্লু তিরুপতি (Tirupati) পাহাড়ের ওপর রয়েছে ওই মন্দির। ৩০০ বছরের পুরনো এই পবিত্র স্থানটি এলাকাবাসীর কাছে চিক্কা তিরুপতি (Mini Tirupati) নামে পরিচিত। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই স্থানটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার।

    আরও পড়ুন : কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    পুলিশ জানিয়েছে, চার দুষ্কৃতী মূর্তিটি ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠার জন্য সবে তৈরি হয়েছিল মূর্তিটি। রড-সহ বেশ কিছু ধাতব পদার্থ দিয়ে মূর্তিটি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার আর শ্রীনিবাস গোয়াদা। পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে আঙুলের ছাপ।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দুত্ববাদীরা। কয়েকশো জনতা ভিড় করে মন্দির চত্বরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। দুষ্কৃতীদের ধরতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  কে বা কারা মূর্তিটি ভেঙেছে, তা জানা না গেলেও, এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোমবার মন্দির চত্বরে আসা দুষ্কৃতীরা প্রথমে মন্দিরের পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে। আপত্তি করা হলেও তারা শোনেনি। পরে তারা সেখানে ধূমপান করে। মন্দিরে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়েও দেয়। তার পরেই ভেঙে ফেলা হয় মূর্তিগুলো।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কে (Temple Mosque controversy) সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী (Hindutva) বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) আমলে দেশের একাধিক মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন এরকমভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ১৮০০ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তারা এই মসজিদগুলিকে অবৈধ তকমা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের এক বিগ্রহের মূর্তি ভাঙায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কয়েকটি প্যান্ডেলে গিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। তা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। এ দেশের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি পুজো প্যান্ডেলেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয় দুর্গা মূর্তি। মূর্তি ভাঙচুরের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কর্নাটকের ওই মন্দিরেও।

  • Prophet Row: নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    Prophet Row: নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আজমের দরগার ধর্মগুরু গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে। তাঁকে বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমের শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    উদয়পুরে কানহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উদয়পুরের ঘটনার পরে সামনে আসে রাজস্থানের দরগা আজমের শরিফের (Ajmer dargah) কথা। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক বলে পরিচিত আজমের শরিফ। সূত্রের খবর ওই দরগার এক ধর্মগুরু সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মাথা কাটার স্লোগান তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দরগার গওহর চিস্তি বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। কানহাইয়া লালকে হত্যার আগে তিনি রিয়াজের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। 

    এএসপি (additional superintendent of police) বিকাশ সগওয়ান জানান, গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে ২৫ জুন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল ১৭ জুন বিতর্কিত বক্তৃতা করেন গওহর। তারপর ২৯ জুন রাজস্থান ছাড়েন তিনি। এদিন হায়দরাবাদ থেকে গওহর চিস্তি ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে প্রথমে জয়পুর বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে আজমেরের কিষাণগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ ধরে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন গওহর। তবে তিনি সফল হননি। তিনি প্রথমে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর পরে বিহারের পূর্ণিয়া এবং শেষে হায়দ্রাবাদে ছিলেন। গওহর মাঝেমাঝেই হায়দ্রাবাদের পাহাড়ি শরিফ দরগায় যেতেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর খোঁজ মেলে। উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লালকে ২৮ জুন নির্মমভাবে হত্যা করার পর, আজমের পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করে। বিতর্কিত স্লোগান তোলার অভিযোগে গওহর চিস্তির সঙ্গে উপস্থিত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দরগাহ থানার একজন কনস্টেবলের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, গওহর মানুষকে উস্কে দিয়েছিলেন। দেখা যায়, তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।

  • Dumka School Contro: রবিবার নয় ছুটি শুক্রবার! ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৩টি সরকারি স্কুলে আজব নিয়ম

    Dumka School Contro: রবিবার নয় ছুটি শুক্রবার! ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৩টি সরকারি স্কুলে আজব নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব সরকারি স্কুলেই ছুটি থাকে রবিবার। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকা (Dumka) জেলায় এমন ৩৩টি স্কুল রয়েছে যেখানে রবিবার ক্লাস হয়। ছুটি থাকে শুক্রবার। এই স্কুলগুলির নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দু কথাটি। এই ৩৩টি স্কুলের প্রায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলার উর্দু স্কুলে রবিবারের বদলে শুক্রবার ছুটি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে একদল সাংবাদিক। দেখা যায় শুধু ওই স্কুল নয় দুমকা জেলায় উর্দু নামধারী ৩৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়  রয়েছে, যাদের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। তবে জেলার বাকি আর সব সরকারি বিদ্যালয়ে রবিবারই সাপ্তাহিক ছুটি।

    জেলা শিক্ষা সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার দাস (Sanjay Kumar Das) জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জেলার সমস্ত ব্লকের বিইইওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কী পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির নাম পরিবর্তন করে উর্দু করা হয়েছে এবং কার নির্দেশে শুক্রবার স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিটি ব্লক থেকে শিক্ষা আধিকারিকদের রিপোর্ট পেশ করতেও বলা হয়। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা , তলব প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকেও

    সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষের কোনও নির্দেশ ছাড়াই ছুটি বদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কোনও স্কুল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জেলা দুমকা। এখানকার সরকারি স্কুলেই এরকম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দুমকার শিখরীপাড়া ব্লকের একটি, রানিশ্বর ব্লকের আটটি, শরিয়ৎ ব্লকের সাতটি, জামা এবং জারমুন্ডি ব্লকের কটি করে স্কুল রয়েছে। সবকটি স্কুলের নামের শেষে উর্দু স্কুল কথাটি যোগ করা হয়েছে। সঞ্জয় জানান, শিক্ষা দফতরে স্কুলের ছুটির দিন পরিবর্তন বা নাম বদলের কোনও কথা জানায়নি স্কুলগুলি। এরকম কোনও নির্দেশো দেওয়া হয়নি। তাহলে কী করে, কার অনুমতিতে এই বদল তা খতিয়ে দেখবে সরকার।

    চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগরনাথ মাহাতো জানান তাঁর কাছে খবর রয়েছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবারের বদলে শুক্রবার। এই খবর শুনেই তিনি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি জানান, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের (Ranjana Prakash Desai) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি (Five member Committee) গড়ল সে রাজ্যের সরকার।

    উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল রয়েছেন।

    উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP) জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Pushkar Dhami)। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরার পরে এ বার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তৎপর তিনি। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ধামী জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত দেবভূমির (উত্তরাখণ্ড) সংস্কৃতি রক্ষা করবে এবং সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্য আনবে।’ 

    বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, দেশের নাগরিকদের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি আইন আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন সংক্রান্ত বিলটি আগামী যেকোনও সময়ে সংসদে উত্থাপন করা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সূত্রের খবর, তার আগে পরীক্ষামূলক ভাবে উত্তরাখণ্ডে এই আইন তৈরির মহড়া শুরু হয়েছে।  এ ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র।

    ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়াতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরেই কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সচেষ্ট। এই আইন অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইন কার্যকর করা হয়। এক্ষেত্রে আইন সকলের জন্য সমান আর সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারের দ্বারা গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি, যাঁরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।

LinkedIn
Share