Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই খবর শোনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ট্যুইট করে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য কামনা করেন। সোনিয়া গান্ধী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেই নিজেকে নিভৃতবাস রেখেছেন। বৃহস্পতিবার সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর  অসুস্থতার খবর প্রথম জানান কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। তিনি জানান, সোনিয়া গান্ধীর হালকা জ্বর এসেছিল ও অন্যান্য কোভিডের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে লেখেন, “কোভিড-১৯ (Covid-19) থেকে সোনিয়াজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮ জুনে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা  সোনিয়ার। আর তার আগেই করোনায় আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস নেত্রী। 

    আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্ত সোনিয়া, রয়েছেন নিভৃতবাসে, ইডি তলবের পরদিনই জানাল কংগ্রেস

    সোনিয়ার হাজিরা নিয়ে কংগ্রেস থেকে জানানো হয়েছে, সোনিয়াজি চাইছেন ৮ তারিখই তিনি ইডি-র দফতরে যাবেন। তবে অবশ্যই যদি সেই সময় কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা না থাকে। পাশাপাশি, এই মামলায় তাদের যে কিছুই লুকোনোর নেই তাও মনে করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দল বলেছে, “আমরা আইনি, রাজনৈতিক, সামাজিক পথেই লড়াই করব।” 

    কংগ্রেস মন্ত্রী ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই মামলায় অর্থ পাচার বা বিনিময়ের কোনও প্রমাণই নেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলকে নিশানা করতেই এই মামলা দায়ের করেছে এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, সোনিয়া গান্ধীর পর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। করোনায় আক্রান্তের খবর শুক্রবার নিজেই ট্যুইট করে জানালেন তিনি। তিনি ট্য়ুইটে লেখেন, “আমার করোনা পজিটিভ এসেছে ও করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতেই রয়েছি। গত বেশ কয়েকদিন যাঁরা আমার কাছাকাছি এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুগ্রহ করছি।”

    [tw]


    [/tw]

  • Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি (Delhi) সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ৯ জুন পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতে পাঠাল আদালত। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের (money laundering) অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)।

    মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় সত্যেন্দ্রকে। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, “কী ভাবে টাকা হাওয়ালায় (Hawala) লগ্নি করা হয়েছিল, অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল, সে সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতের ১৪ দিনের হেফাজত চাইছে ইডি।” 

    মেহতা জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ১.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন সত্যেন্দ্র। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই দুর্নীতির টাকা তিনি কলকাতার ভুয়ো সংস্থার খাতায় পাঠিয়েছিলেন। কলকাতারই দুই ব্যক্তি ওই কাগুজে সংস্থাগুলি তৈরি করেছিলেন। একশো টাকায় ১৫-২০ পয়সা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করার কথা তাঁরা স্বীকারও করেছেন। ইডি-র দাবি, আসলে সত্যেন্দ্রই ওই সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, রাজনীতিতে আসার আগে সত্যেন্দ্র প্রথমে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে নির্মাণ সংক্রান্ত একটি পরামর্শদাতা সংস্থা খোলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ইডি ইতিমধ্যেই জৈন পরিবার ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলির ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে।

    আদালতে ইডি জানায়, এই মামলায় প্রথমে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার না করেই তদন্ত চালাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মন্ত্রী উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সত্যেন্দ্রর আইনজীবী বলেন, ‘‘২০১৮ সালে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। এখন ২০২২। এর মধ্যে অন্তত ছ’বার মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছে এবং প্রত্যেক বারই তিনি সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা শুধু বড় বড় কথা বলছে। মন্ত্রীর সঙ্গে কালো টাকার যোগের প্রমাণ কোথায়?’’

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার (Vijay Singla) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সপ্তাহখানেক আগেই তাঁকে বরখাস্ত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। সত্যেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালও (Kejriwal) কেন একই পথে হাঁটছেন না, বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া আজ সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

    কেজরিওআলের দাবি, ‘‘পাঞ্জাবের মন্ত্রীর একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছিল, যার কথা কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা বিরোধীরা জানতই না। চাইলে আমরা সেটা ধামাচাপা দিয়ে দিতেই পারতাম। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছি। কিন্তু সত্যেন্দ্র নির্দোষ। মামলাটি পুরোপুরি জাল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিচার ব্যবস্থায় আমাদের আস্থা আছে। সত্যেন্দ্র জৈন সত্যের পথে হেঁটেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’’

    এদিকে, সত্যেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য কেজরিওয়ালের দিকে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সত্যেন্দ্রকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে স্মৃতি বলেন, সত্যেন্দ্র দেশের সম্পদ লুঠ করেছেন তাঁকে শাস্তি না দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন আপ (AAP) নেতা।

  • Modi Yoga Day: আসন্ন বিশ্ব যোগ দিবসে এখানে যোগাসন করবেন মোদি!

    Modi Yoga Day: আসন্ন বিশ্ব যোগ দিবসে এখানে যোগাসন করবেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day)। ওইদিন মাইসুরু প্রাসাদের (Mysuru palace) সামনে গণ যোগাসন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানান, অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। মাইসুরু হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের প্রথম শহর যারা যোগ কর্মসূচির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

    যোগাসন ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য। সুপ্রাচীন কাল থেকে ভারতের বুকে চলছে যোগ চর্চা। বেদেও যোগের উল্লেখ রয়েছে বলেও শোনা যায়। সেই ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করেই ভারতের যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্প্রসারিত করতেই যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জে ২১ জুন দিনটিকে যোগ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার পরের বছর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় যোগ দিবস পালন।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    যোগব্যয়ামের প্রসারে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এগুলি হল, ২০১৪ সালে নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনস্বাস্থ্যে যোগের ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করে। ওই বছরই গঠিত হয় আয়ুষ মন্ত্রক। এই মন্ত্রকের অধীনেই যোগ সম্পর্কিত নানা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ক্ষমতায় আসার পরেই ৯ নভেম্বর সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশ যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর পরের বছর ১৫ জুন থেকে বিশ্বব্যাপী যোগ দিবস পালিত হয়। সেই থেকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে পালিত হয়ে আসছে নানা কর্মসূচি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    যোগ সম্প্রসারণ ও সংস্কারেও সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এগুলি হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের ক্ষেত্রে যোগা প্রোটোকল নির্ধারণ করে আয়ুষ মন্ত্রক। ‘ন্যাশনাল যোগা অ্যান্ড ন্যাচারোপ্যাথি প্রোমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় স্তরে যোগ সম্পর্কিত উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে এই সংস্থা। ২০১৬ সালে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় শোক এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসার প্রচারে উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষণে শংসাপত্র দিয়ে উৎসাহিত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যোগব্যায়াম শিখতে যুব প্রজন্মকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। দেশের সব নাগরিকের জন্য প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। যোগ প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলির ওপর আয়ুষ মন্ত্রকের নজর রাখার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

     

     

  • Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর (foundation stone) স্থাপন করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh cm) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার হয় বিশেষ প্রার্থনাসভা ও পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পূজারি এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দিনটি অতি পবিত্র। এই পবিত্র দিনেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

    তার পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আজ হল গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ভারতবাসীর এই স্বপ্নের মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।

    আরও পড়ুন : ১৮৬২টি মন্দির ভেঙে বদলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে! তালিকা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের

    মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার এই মন্দিরটি হবে ত্রিতল বিশিষ্ট। পুরোটাই হবে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। মন্দির তৈরি করতে লাগবে ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথর। প্রতিটি পাথর লম্বায় পাঁচ ফুট, চওড়ায় আড়াই ফুট। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পাথর। আট একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে মন্দির। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) সহ অন্যান্য মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid dispute)। হিন্দুদের দাবি ছিল, যে জায়গায় বাবরি মসজিদ রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান রাম। তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    শেষমেশ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দেয়। বিচারপতি সব পক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে রায় পড়ে শোনান। তিনটি পক্ষই আদালতে সওয়াল-জবাব করেছে। তাদের প্রত্যেকের সওয়াল-জবাবকেই মান্যতা দিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জমিটি রাম লালার বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

     

  • Dalai Lama: স্বাধীনতা নয়, অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি, বললেন দলাই লামা  

    Dalai Lama: স্বাধীনতা নয়, অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি, বললেন দলাই লামা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনারা (Chinese) এখন বুঝতে পারছেন আমি স্বাধীনতা (Independence) চাইছি না বরং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন (Meaningful Autonomy) এবং তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতির সংরক্ষণ চাইছি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বললেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)।

    শুক্রবার লেহ যাওয়ার কথা দলাইয়ের। বৃহস্পতিবার ভোরে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা ছাড়েন তিনি। পরে সেখান থেকে চলে যান জম্মু। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বহু মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন সেখানে। এই জম্মু থেকেই তাঁর লেহ যাওয়ার কথা। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই তিব্বতি ধর্মগুরু। তিনি বলেন, কিছু চিনা কট্টরপন্থী আমাকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করেন। তাঁরা সব সময় আমার সমালোচনা করেন। কিন্তু এখন চিনারা বুঝতে পারছেন আমি স্বাধীনতা চাইছি না। বরং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি। তিনি বলেন, তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতিরও সংরক্ষণ চাইছি আমি। তাঁর সফরে চিনের আপত্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দলাই বলেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে চিনা জনগণ আপত্তি করছেন না। চিনারা বেশি করে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছু চিনা পণ্ডিত বুঝতে পারছেন তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম খুবই বৈজ্ঞানিক। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।

    আরও পড়ুন : চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    দেশে দেশে যুদ্ধের তিনি যে ঘোরতর বিরোধী, এদিন তা ফের উঠে এসেছে দলাইয়ের কথায়। তিব্বতি এই ধর্মগুরু বলেন, মানুষের কাছে আমার বার্তা, আমরা সকলে ভাইবোন। লড়াই করে কোনও লাভ নেই। আমার জাতি, আমার আদর্শের মতো সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে লড়াই শুরু হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব বিবাদের সমাধানের ওপর আরও একবার জোর দিয়েছেন তিব্বতি এই ধর্মগুরু। চলতি মাসের শুরুর দিকে জন্মদিন ছিল দলাইয়ের। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি। তা নিয়ে মোদির সমালোচনা করে শি জিনপিংয়ের সরকার। যদি তাকে পাত্তাই দেয়নি নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দালাই লামা দেশের একজন সম্মানীয় অতিথি। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

     

  • Delhi Shocker: ট্রলি ভরতি বন্দুক, দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার দম্পতি

    Delhi Shocker: ট্রলি ভরতি বন্দুক, দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্য দেশ থেকে ট্রলি ব্যাগ ভরতি বন্দুক (Handguns) বেআইনিভাবে দেশে পাচার করে ধৃত এক ভারতীয় দম্পতি। বুধবার নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Indira Gandhi International Airport) শুল্ক বিভাগের (Customs Department) আধিকারিকরা ৪৫টি পিস্তল সহ দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছেন। বন্দুকগুলো আসল কি না তা  খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (NSG) সন্ত্রাস দমন শাখা এই মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সবকটি বন্দুক আসল। ব্যালিস্টিক রিপোর্টে নিশ্চিত করা হবে বন্দুকগুলি আসল কি না। 

    [tw]


    [/tw]

    এক শুল্ক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড প্রাথমিক রিপোর্টে নিশ্চিত করেছে যে বন্দুকগুলি আসল এবং সচল।’ সূত্রের খবর ধৃতদের নাম, জগজিৎ সিং (Jagjeet Singh) এবং জাসবিন্দর কৌর (Jaswinder Kaur)। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। ভিয়েতনাম থেকে বন্দুকগুলি এনেছেন বলে, প্রাথমিক জেরায় জানিয়েছেন এই দম্পতি। তাঁরা গত ১০ জুলাই ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর থেকে ভারতে ফিরেছেন। আগে থেকেই তাঁদের ওপর নজর রাখা হয়েছিল। দুটি ট্রলি ব্যাগে করে এই বন্দুকগুলি আনেন তাঁরা। ভাই মনজিৎ সিং এই বন্দুকগুলি তাঁকে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জগজিৎ।

    আরও পড়ুন: গতি বাড়ল রাজধানী এক্সপ্রেসের, হাওড়া থেকে দিল্লি মাত্র ১৪ ঘণ্টায়    
     
    শুল্ক আধিকারিকদের মতে, মহিলা যাত্রী তাঁর স্বামীকে বন্দুক বোঝাই ট্রলি ব্যাগ নিয়ে পালাতে সাহায্য করেছিল। ব্যাগে থাকা ট্যাগগুলি নিজেই সরিয়েছিলেন জাসবিন্দর কৌর। এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুরুষ যাত্রীটি যেই দুটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তাতে ৪৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বন্দুক রয়েছে। উদ্ধারকৃত বন্দুকের আনুমানিক মূল্য ২২.৫ লক্ষ টাকা।’ অভিযুক্ত উভয়ই জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা এর আগে তুরস্ক থেকে ২৫টি পিস্তল ভারতে এনেছিলেন। সেই বন্দুকগুলির মোট মূল্য ছিল ১২.৫ লক্ষ টাকা। বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এতগুলো বন্দুক নিয়ে এই দম্পতি কী করে ভিয়েতনাম বিমান বন্দরে বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পেলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারী দল। আধিকারিকদের দাবি, এই বন্দুকগুলি দম্পতি ৫-৬ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। এক একটি বন্দুক ৪০-৫০ টাকায় বেচার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। 

    আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    এই দম্পতির সঙ্গে তাঁদের শিশুকন্যাও ছিল। তাকে তার ঠাকুমার কাছে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। 

     

     

     

  • Bill Gates: ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান নিয়ে বড় মন্তব্য বিল গেটসের

    Bill Gates: ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান নিয়ে বড় মন্তব্য বিল গেটসের

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: করোনা টিকাকরণ অভিযানে ভারতের সাফল্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। করোনা ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ নিয়ে তিনি বলেছেন ভারত প্রায় সমস্ত জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে। এর জন্য ভারত বিশ্বব্যাপী এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গত সপ্তাহে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বিল গেটস ও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এর পর মাণ্ডব্য টুইট করে বলেন, “বিল গেটসের সঙ্গে কথা বলে আমি আনন্দিত। কোভিডের ব্যবস্থাপনা এবং বিশাল টিকাকরণ প্রচেষ্টায় ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন তিনি।”

    তিনি আরও বলেন, “আমরা ডিজিটালে স্বাস্থ্যের প্রচার, রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, এমআরএনএ আঞ্চলিক হাব তৈরি এবং কম মূল্যের এবং ভালো ডায়াগনস্টিকস ও চিকিৎসা করার বিভিন্ন যন্ত্রের উন্নয়নকে শক্তিশালী করা সহ স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।”

    বিল গেটসও তাঁর উত্তরে ট্যুইটারে লেখেন, “মানসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে দেখা করে ও বিশ্বের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করে আমি আনন্দিত। ভারতের টিকাকরণ অভিযান ও চিকিৎসায় বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার, এক সাফল্য এনে দিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী এক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে।”

    বিল গেটসের মতে, বিশ্বজুড়ে দারিদ্রতা দূর করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা করোনার জন্য সম্পূর্ণ হতে পারেনি। তাই এইসময়ে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন খুবই দরকার।

    গত বছরের জানুয়ারিতে কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান অভিযান শুরু করার পর ভারত দেশের প্রায় ৮৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূর্ণরূপে টিকা দিয়েছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute)  মাধ্যমে ভারতের জনসংখ্যার একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)  টিকা দেওয়া হয়েছে।

    বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ( Bill & Melinda gates Foundation) বিশ্ব উন্নয়ন রিপোর্ট (Global Development Report) অনুসারে, এরা ২০০৩ সাল থেকে ভারতে কাজ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতে বেশি বিনিয়োগ করেছে।

  • India-Bangladesh train services: দু’বছর পর ফের চালু হল ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা

    India-Bangladesh train services: দু’বছর পর ফের চালু হল ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে প্রায় দু’বছরের বিরতি কাটিয়ে ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relations) মধ্যে ফের চালু হল যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। রবিবার ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitree Express)। একই সঙ্গে কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বন্ধন এক্সপ্রেস (Bandhan Express)। ইস্টার্ন রেলের (Eastern Railway) তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগামী দিনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। 

    রবিবার সকাল ৭টা ১০ নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা দেয় ভারত-বাংলাদেশ বন্ধন এক্সপ্রেস। দুই বছর বাদে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এদিন যাত্রী-সংখ্যা অল্প ছিল। উৎসাহ দেখা গেছে কলকাতার রেল কর্তৃপপক্ষের মধ্যেও। এদিন ৯ জন বাংলাদেশি এবং ১০ জন ভারতীয়-সহ মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা স্টেশন থেকে ১০ বগির বন্ধন এক্সপ্রেস ছাড়ে। অভিবাসন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ডগ স্কোয়াড বিএসএফ, আরপিএফ এবং সিআরপিএফ কলকাতা স্টেশনটি ঘিরে ফেলেছিল। ট্রেন ছাড়ার ১ ঘণ্টা আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাত্রীরা আসা শুরু করেন। এরপর প্রত্যেকের টিকিট এবং পাসপোর্ট চেক করে যাত্রীদের আসন গ্রহণ করতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে কলকাতা থেকে ছাড়ে বন্ধন এক্সপ্রেস।

    অন্যদিকে, রবিবার ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস।  বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে  ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। এর উদ্বোধন করেন সেদেশের রেলওয়ে আধিকারিক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। ট্রেনটিতে আসন রয়েছে ৪৫৬টি। এর মধ্যে ভারতীয় যাত্রী ১৬ জন। আর একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। বিকেল চারটে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। সোমবার আবার কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।

    করোনাকালে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ২০২০-র ১৫ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল (India Bangladesh passenger train service) বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৬ মাস পর সেই কাঁটা সরল বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতি ও রবি, সপ্তাহে দু’দিন করে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস (Kolkata-Khulna Bandhan express) চলবে বলে ঠিক হয়েছে। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস (Dhaka Kolkata Maitree express) চলবে সপ্তাহে পাঁচদিন। অন্যদিকে, রেল সূত্রে খবর, চার দশক পর ১ জুন থেকে ফের চালু হচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী একমাত্র ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস।  বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে মিতালি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Baishnaw) এবং বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন। 

  • Rajya sabha election: আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    Rajya sabha election: আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জারি হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya sabha election) বিজ্ঞপ্তি। ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে নির্বাচন। ভোট ১০ জুন। রাজ্যসভার এই নির্বাচনে শক্তিবৃদ্ধি হবে কেন্দ্রের ক্ষমতাশীন দল বিজেপির (bjp)। আর শক্তিহীন হয়ে পড়বে কংগ্রেস (congress)। আগামী লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha elections 2024) আগে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির পক্ষে যা অশনি সংকেত। রাজ্যসভায় শক্তি বৃদ্ধি হলে জুন-জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও অ্যাডভান্টেজ পাবে গেরুয়া শিবির।

    পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি শাসন করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শেষ তিনটি রাজ্যে রয়েছে জোট সরকার। রাজ্যসভার নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। দিল্লি ও পাঞ্জাবের ক্ষমতায় রয়েছে তারা। তারা জয়ী হবে পাঁচটি আসনে। স্বভাবতই শক্তিবৃদ্ধি হবে আঞ্চলিক দলগুলির।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য চব্বিশের নির্বাচন, বুথ-স্তরে নীল-নকশা তৈরির পথে বিজেপি, গঠিত বিশেষ কমিটি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) প্রথম মেয়াদে রাজ্যসভায় শক্তিশালী ছিল কংগ্রেস। শক্তিক্ষয় হওয়ায় এবার এক ধাক্কায় তাদের আসন সংখ্যা কমবে বেশ খানিকটা। আর ২০১২ সালে রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৭। বর্তমানে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে তারা। সংখ্যাতত্ত্বের জেরে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ সহ বিভিন্ন হার্ডল বিজেপি পেরিয়েছে অনায়াসে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    যাঁরা রাজ্যসভা থেকে অবসর নিচ্ছেন, তাঁদের সংখ্যা ৫৯। এর মধ্যে ২৫ জন গেরুয়া শিবিরের। এই ৫৯ জনের মধ্যে এনডিএ-র (NDA) আসন ৩১টি। আসন্ন নির্বাচনে তারা হারাতে পারে ৭ থেকে ৯টি আসন।

    অন্ধ্রপ্রদেশে চারটি আসনের মধ্যে বিজেপি হারাবে তিনটি আসন। চারটি আসনেই জয়লাভ করবে ওয়াইএসআরসিপি (YSR Congress)। দুটি আসনে জিতবে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS)। বিজেডি ধরে রাখবে তিনটি আসনই। আসন বাড়বে আরজেডির। এক থেকে রাজ্যসভায় তারা বেড়ে হবে দুই।

    অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস আরও সংকুচিত হতে পারে। চোদ্দ ও উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর তারা হেরেছে একের পর এক রাজ্যে। যার জেরে রাজ্যসভায় তাদের ব্যাপক শক্তিক্ষয় হবে। কংগ্রেস অন্ধ্রপ্রদেশে একটিও আসন পাবে না। রাজস্থানে পাবে দুটি, আগে ছিল চারটি। ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়েও একটি করে আসন হারাবে তারা। এখন থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যসভার ৬৫টি আসনে নির্বাচন হবে। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষীণতর হবে কংগ্রেস।

    উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) কংগ্রেস পাশ করা প্রস্তাব অনুযায়ী, তরুণদের ৫০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দেবে কংগ্রেস। সেই কারণেও বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলেই কংগ্রেস সূত্রে খবর। পি চিদাম্বরম, কপিল সিবাল, জয়রাম রমেশ এবং অম্বিকা সোনির মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি সহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও। এঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যসভা থেকে অবসর নেবেন। রাজ্যসভায় ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই।

    কংগ্রেসকে হারিয়ে একের পর এক রাজ্যের রশি হাতে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের অস্তিত্ব রয়েছে কেবল রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে জোট সরকারে শামিল হয়েছে তারা। ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের হয়ে গলা ফাটানোর এবার আর কেউ থাকবে না।

     

  • Madhya Pradesh: ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম বিজেপির! মধ্যপ্রদেশে প্রথম জয় আপের

    Madhya Pradesh: ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম বিজেপির! মধ্যপ্রদেশে প্রথম জয় আপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) পুর নির্বাচনে (mayoral seats) সাড়া ফেলল রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP)। ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম দখল করেছে তারা। কংগ্রেস (Congress) জিতেছে তিনটিতে। চমকে দিয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। প্রথমবার মধ্যপ্রদেশের পুর নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিংগ্রাউলির (sungrauli) মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আপ নেত্রী  রানি আগরওয়াল। বিজেপি জিতেছে উজ্জ্বয়িনী, বুরহানপুর, সাতনা, খাণ্ডওয়া, সাগর, ইন্দোর এবং ভোপালে। ফলপ্রকাশের পরে ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    উল্লেখ্য, ৬ জুলাই মধ্যপ্রদেশের ১১ টি পুরনিগমে নির্বাচন হয়। রবিবার ভোটগণনা হয়। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গড় হিসেবে পরিচিত গোয়ালিয়রে অবশ্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের শোভা শিকারওয়ার। জবলপুর এবং ছিন্দওয়াড়াতেও মেয়র পদ দখল করেছে কংগ্রেস। এই তিন পুরনিগমে জয়ের পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সব নেতা-কর্মীকে অভিনন্দন। নানা দিক থেকে আক্রমণ উপেক্ষা করে ৫৭ বছর পরে গোয়ালিয়র পুরসভা এবং ২৩ বছর পরে জবলপুর পুরসভায় কংগ্রেসকে জয় এনে দিয়েছেন তাঁরা।’’ এই প্রথম মধ্যপ্রদেশের কোনও পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। মধ্যপ্রদেশে দলের সাফল্যে দিল্লিতে উৎসবে মাতেন আপ সমর্থকেরা।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দেখুন ভোট দিলেন কারা

    মধ্যপ্রদেশে পুরনির্বাচনে এই জয়কে জনগনের জয় বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। দলের প্রতি ভরসা রাখার জন্য রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় মোদি জানান, “মানুষ রাজ্যে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের প্রতি যে ভরসা রাখে এই জয় তার প্রমাণ।” বিজয়ী প্রার্থী ও দলের কর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি। আগামী বছর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। গত পুর নির্বাচনে রাজ্যের সবকটি পুরনিগমই বিজেপির দখলে ছিল। এবার চারটি হাতছাড়া হওয়াতে একটু চিন্তায় পদ্ম শিবির। তাই আরও সচেতন হয়ে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন কাজ করতে চায় রাজ্য বিজেপি।

LinkedIn
Share