Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajyasabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    Rajyasabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম কিস্তিতে ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। রবিবার ওই তালিকা প্রকাশিত হয়। এদিন ১০টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও।

    ১০ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে নির্বাচন হবে ওই দিন। এদিন ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এতে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। নির্মলা প্রার্থী হয়েছেন কর্নাটক থেকে। আর পীযূষ মনোনীত হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে। অর্থ মন্ত্রকের পাশাপাশি কর্পোরেট বিভাগ সামলান নির্মলা। পীযূষ রাজ্যসভায় বিজেপি দলনেতা। গ্রাহক পরিষেবা এবং বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর ওপর।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এবার রাজ্যসভায় সব চেয়ে বেশি আসন উত্তর প্রদেশে। সেখানে ভোট হবে ১১টি আসনে। গেরুয়া শিবিরের মনোনীত প্রার্থী হলেন লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, রাধামোহন আগরওয়াল, সুরেন্দ্র নিষাদ, দর্শনা সিংহ, সঙ্গীতা যাদব। মহারাষ্ট্রে পীযূষের পাশাপাশি অনিল দেশমুখ বোন্দের নামও মনোনীত হয়েছে। গোরক্ষপুর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রাধামোহন। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম-শিবির। রাজস্থান থেকে মনোনীত হয়েছেন ঘনশ্যাম তিওয়ারি। তবে তামিলনাড়ুর ৬টি আসনে সোমবার বিকেল পর্যন্তও কাউকে মনোনীত করেনি পদ্মশিবির।

    এই রাজ্যগুলি ছাড়াও বিহারের পাঁচটি, কর্নাটক, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি করে আসনেও নির্বাচন হবে ওই তারিখে। মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পঞ্জাবের দুটি করে আসনেও নির্বাচন হবে। একটি করে আসনে নির্বাচন হবে ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, তেলঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডে। হরিয়ানা থেকে মনোনীত হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণলাল পানওয়ার, মধ্যপ্রদেশ থেকে কবিতা পতিদার। তারকা-রাজনীতিবিদ যজ্ঞেশ মনোনীত হয়েছেন কর্নাটক থেকে।  

    আরও পড়ুন : জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    শাসক দলের পাশাপাশি এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। ১০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তারা। এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন এবং দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।

    চিদম্বরমকে মনোনীত করা হয়েছে তামিলনাড়ু থেকে। কর্নাটক থেকে মনোনীত হয়েছেন জয়রাম রমেশ। মাকেন মনোনীত হয়েছেন হরিয়ানা থেকে। আর সুরজেওয়ালাকে মনোনীত করা হয়েছে রাজস্থান থেকে। রাজস্থান থেকে মুকুল ওয়াসনিক এবং প্রমোদ তিওয়ারির নামও রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মনোনীত হয়েছেন বিবেক তানখা। রাজীব শুক্লা এবং রঞ্জিত রঞ্জন মনোনীত হয়েছেন ছত্তিশগড় থেকে। মহারাষ্ট্রে প্রার্থী হয়েছেন ইমরান প্রতাপগড়ি।

    প্রসঙ্গত, আগামী দু’মাসে রাজ্যসভায় যে ৫৫টি শূন্যপদ সৃষ্টি হবে, তার মধ্যে কংগ্রেসের রয়েছেন সাতজন। এঁরা হলেন চিদম্বরম, রমেশ, অম্বিকা সোনি, বিবেক তানখা, প্রদীপ টামটা, কপিল সিবাল এবং ছায়া ভার্মা। এর মধ্যে সিবাল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যসভায়।  

     

     

  • SC on Prostitution: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Prostitution: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পতিতাবৃত্তিকে (Prostitution) পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা বা যৌনকর্মীদের  (sex workers) আইনি সুরক্ষা প্রদান  করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সাবালক ও স্বেচ্ছায় আসা যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অযথা হেনস্থা ও ফৌজদারি পদক্ষেপ গ্রহণ যেন না করা হয়। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, পেশা যাই হোক, যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা ও সমান অধিকার প্রাপ্য। ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। 

    শীর্ষ আদালতে একটি আবেদনের শুনানি  চলছিল যেখানে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ (covid-19) অতিমারীর কারণে যৌনকর্মীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত একটি প্যানেলের সুপারিশের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ। 

    বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের (L Nageswara Rao) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই সংক্রান্ত ছ’টি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যৌনকর্মীরা আইনের সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। ফৌজদারি আইন অবশ্যই বয়স এবং সম্মতির ভিত্তিতে সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। যখন এটা স্পষ্ট যে যৌনকর্মী একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এবং সম্মতিতে যৌনকর্মে অংশ নিচ্ছেন, পুলিশকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা বা কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এটা বলার দরকার নেই যে, পেশা যাই হোক না কেন, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে (Article 21) এদেশের প্রতিটি ব্যক্তির একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! দিল্লি থেকে আই এএস অফিসারকে বদলি লাদাখে, স্ত্রীকে পাঠানো হল অরুণাচল

    আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, অনৈতিক ট্র্যাফিক (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬-এর অধীনে কর্তব্যরত কর্তৃপক্ষেকে মনে রাখাতে হবে যে, সাংবিধানিক সুরক্ষা এই দেশের সমস্ত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মতে, কোনও যৌনকর্মী যদি যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁকে আইন অনুযায়ী দ্রুত শারীরিক পরীক্ষা করে তদন্ত শুরু করতে হবে। যৌনকর্মীদের চিকিৎসা সহায়তা সহ সবধরনের পরিষেবা প্রদান করতে হবে, যা একজন যৌন নিপীড়িতাকে আইন অনুযায়ী দেওয়া প্রয়োজন। 

    আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও পতিতালয়ে অভিযানের সময় যৌনকর্মীদের “গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেওয়া বা হয়রানির শিকার হওয়া” উচিত নয় কারণ “স্বেচ্ছায় যৌনকর্ম বেআইনি নয় এবং শুধুমাত্র পতিতালয় চালানো বেআইনি।” আদালতের মতে, “এটা লক্ষ্য করা গেছে যে যৌনকর্মীদের প্রতি পুলিশের মনোভাব প্রায়শই নৃশংস এবং সহিংস। যেন তাঁরা এমন একটি শ্রেণিভুক্ত, যাঁদের অধিকার স্বীকৃত নয়।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত, মা যৌনপেশায় আছেন, শুধু সেই যুক্তিতে সন্তানকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে সরিয়েও নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি কোনও যৌনকর্মী যদি তাঁর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে যান, তা হলে সেটিও সমান মনোযোগের সঙ্গে দেখতে হবে পুলিশকর্মীদের।  পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে যৌনকর্মীদের অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। সমস্ত মৌলিক মানবাধিকার এবং সংবিধান স্বীকৃত সমস্ত নাগরিকের জন্য রক্ষিত অন্যান্য অধিকার যৌনকর্মীদেরও প্রাপ্য।

    পুলিশের উচিত, সকল যৌনকর্মীদের সাথে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা এবং তাঁদের মৌখিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা না করা। যৌনকর্মীদের ওপর কখনই হিংসা বা তাঁদের কোনও যৌন  কার্যকলাপে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জাবনিয়েছে বেঞ্চ। 

    সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশেও কিছু নির্দেশিকা বজায় রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের নির্দেশ, কোনও ঘটনা ঘটলে যৌনকর্মীদের পরিচয় যেন প্রকাশ্যে না আসে, সে ব্যাপারে গণমাধ্যম, সংবাদপত্রকে সতর্ক থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই সুপারিশগুলোর ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। সে দিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অভিমত শুনবে শীর্ষ আদালত।

     

     

  • Hardik patel: “মোদির নেতৃত্বে একজন ছোট সৈনিক…”, বিজেপিতে হার্দিক প্যাটেল

    Hardik patel: “মোদির নেতৃত্বে একজন ছোট সৈনিক…”, বিজেপিতে হার্দিক প্যাটেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বঘোষণা মতো পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন গুজরাতের (Gujarat) পতিদার আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। বৃহস্পতিবার সকালেই একটি ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, জীবনের নয়া অধ্যায় শুরু হচ্ছে আজ থেকে। নরেন্দ্র মোদির (Modi) নেতৃত্বে কাজ করব। এরপর গান্ধীনগরে হার্দিক আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)।

    এক সময় গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন হার্দিক। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তরের জেরে দিন কয়েক আগে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এদিন যোগ দেন বিজেপিতে। রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির (Chintan Shivir) হয় দিন কয়েক আগে। সেই শিবিরে যোগ দেননি গুজরাতের পতিদার নেতা। ১৮ মে ছাড়েন কংগ্রেস (Congress)। তার ঢের আগে থেকেই হার্দিকের মুখে শোনা যাচ্ছিল বিজেপি-প্রশস্তি। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় হার্দিকের গলায়।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    কংগ্রেস ছাড়ার পর হার্দিক বিজেপি নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টিতে (Aam Aadmi Party) যোগ দেবেন, তা নিয়ে ছড়িয়েছিল নানা জল্পনা। তিনি নিজেও প্রথমে জানিয়েছিলেন, এখনও এব্যাপারে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তবে যা করবেন, তা ভেবেচিন্তে জনগণের স্বার্থেই করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। দিনদুয়েক আগে হার্দিক জানিয়ে দেন, গেরুয়া শিবিরেই নাম লেখাচ্ছেন তিনি। সেই মতো এদিন যোগ দেন মোদি ব্রিগেডে। এদিন সকালে এক ট্যুইট বার্তায় হার্দিক লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একজন ছোট সৈনিক হিসেবে সমাজের স্বার্থে কাজ করতে চলেছেন।

    আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    চলতি বছরের শেষের দিকেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন (2022 Gujarat Assembly polls)। তার আগে হার্দিক গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় আদতে বিজেপিই লাভবান হল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেননা, গত বিধানসভা নির্বাচনে হার্দিকের প্রচার সভার পতিদার (Patidar) সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। হার্দিক গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যাওয়ায় তাঁর পতিদার ভোটের একটা বিরাট অংশ পদ্ম-ঝুলিতে পড়বে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। গুজরাতের ১২.৩ শতাংশ ভোট পতিদার সম্প্রদায়ের। এর একটা বড় অংশ গেরুয়া ঝুলিতে গেলেই কেল্লাফতে। ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। তার সুফল ঘরে তুলেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। এবার হার্দিক পদ্ম শিবিরে। তাই পাকা ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় গুজরাত বিজেপি (Gujarat BJP)।

     

  • Centre Procures Onions: আর বাড়বে না পেঁয়াজের দাম! রেকর্ড মজুত কেন্দ্রের

    Centre Procures Onions: আর বাড়বে না পেঁয়াজের দাম! রেকর্ড মজুত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর যোগানের অভাবে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি চিন্তায় ফেলে মধ্যবিত্তদের। তবে এই বছর থেকে কেন্দ্র সরকারের নতুন নীতির জন্য আর পেঁয়াজের মূল্যস্ফীতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না দেশের মানুষকে। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২২-২৩ এ পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার আগে থাকতেই ২.৫ লাখ টন পেঁয়াজের মজুদ বা বাফার স্টক তৈরি করছে। উৎসবের সময় বা বাজারে যখন পেঁয়াজের পর্যাপ্ত যোগান থাকবে না তখন এই মজুদ থেকে পেঁয়াজ ছাড়বে কেন্দ্র সরকার। এত বেশি পরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।  ২০২১-২২ সালে দুলাখ টন পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছিল। এবছর তার পরিমাণ বাড়ল বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়।

    বিশেষ করে বছরের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ খুব কম পরিমাণে উৎপন্ন হয় । তাই সেইসময় বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে দাম হঠাতই খুব বেড়ে যায়। উৎসবের সময় বিশেষ করে পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়। এই নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সমস্যা চলছিল। এবার কেন্দ্র সরকারের নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী তারা ২.৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে। মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হলেই সরকার মজুদ থেকে পেঁয়াজ ছাড়বে।

    আরও পড়ুন: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের মতো বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবে। দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বপন করা হয় এবং অক্টোবর মাসে কাটা হয়। এরপরে কৃষকদের থেকে পিঁয়াজ কিনে সরকার তা মজুদ করবে। তাহলে বর্ষার দিনেও আর কখনো দেশে পেঁয়াজের অভাব হবে না। এছাড়াও এক আধিকারিকের কথায়, “মজুদ পেঁয়াজ এই সমস্ত শহরে পাঠানো হবে যেখানে আগের মাসের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী আগস্ট মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

  • Gandhi Statue Vandalized: ফের ভাঙা হল গান্ধীজির মূর্তি, তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    Gandhi Statue Vandalized: ফের ভাঙা হল গান্ধীজির মূর্তি, তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে গান্ধী মূর্তি ভাঙার চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। এবার কানাডার (Canada) ওন্টারিও (Ontario’)-এর রিচমন্ড হিলে (Richmond Hill ) মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) একটি মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা। কানাডায় গান্ধী মূর্তির অবমাননার এই ঘটনায় বুধবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারত (India)। গতকালের এই ঘৃণ্য ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    ভারতের হাই কমিশন (Indian High Commission) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্যুইট করে লেখেন, ‘এই ঘৃ্ণ্য কাজ করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আনার জন্যে আমরা ক্ষুব্ধ। এই অপরাধটি ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়েছে। আমরা কানাডা সরকারকে এই ঘটনার তদন্তের জন্য এবং অপরাধীদের যথাযোগ্য বিচারের জন্য দাবি জানিয়েছি।’

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    ইয়র্ক স্থানীয় পুলিশের (York Regional Police) মুখপাত্র কনস্টেবল অ্যামি বউড্রিউ (Const. Amy Boudreau) জানিয়েছেন, এটি একটি ঘৃণ্য ঘটনা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘যারা জাতি, ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, বয়স, পরিচয়ের ভিত্তিতে অন্যদের আঘাত করেছে, তাদের যথাযোগ্য সাজা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ইয়র্ক স্থানীয় পুলিশ কোনও ধরনের ঘৃণ্য অপরাধকে বরদাস্ত করে না।‘

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০ বছর আগে ওই গান্ধি মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এদিন কানাডার ভারতীয় দূতাবাসও ট্যুইট করে লেখে, ‘রিচমন্ড হিলের কাছে বিষ্ণু মন্দিরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির অবমাননায় আমরা ক্ষুব্ধ। এই অপরাধমূলক, ঘৃণ্য ভাঙচুরের ঘটনা কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের আবেগে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এই কাজের তদন্তের জন্য আমরা কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’

    আরও পড়ুন: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, গান্ধী মূর্তি ভাঙচুরের এটি নতুন ঘটনা নয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে ভাঙা হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জের মূর্তি। 

  • Sidhu Moosewala Murder: সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ, কে কী বললেন?

    Sidhu Moosewala Murder: সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ, কে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে মাত্র ২৮ বছর বয়সে খুন হয়েছেন পাঞ্জাবের গায়ক-নেতা সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala)। আসল নাম শুভদীপ সিংহ সিধু। পাঞ্জাবের মানসা জেলার মুসেওয়ালা গ্রামে জন্ম ১৯৯৩ সালে। গ্রামের নামই পদবী হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি।

    মূলত গ্যাংস্টার র‍্যাপ গাইতেন। কানাডা নিবাসী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার তাঁর খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। অভিযোগ, গোল্ডির এক সহকারীর খুনে যুক্ত ছিল মুসেওয়ালার ম্যানেজার। প্রতিহিংসা থেকেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। সম্ভবনাময় এই তরুণ গায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ। শোকপ্রকাশ করেছেন  কপিল শর্মা, রনবিজয় সিং, বিশাল দাদলানি, সোনাল চৌহান। 

    কপিল শর্মা লিখেছেন, “খুব দুঃখজনক ঘটনা। খুব ভালো শিল্পী এবং মানুষ। ইশ্বর তাঁর পরিবারককে শক্তি দিন।”

    [tw]


    [/tw]

    রনবিজয় সিং লিখেছেন, “বিশ্বাস করতে পারছি না।”

    [tw]


    [/tw]

    সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানি লিখেছেন, “মুসেওয়ালা কয়েকজন ভালো আধুনিক শিল্পীর মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন। তাঁর গান, কন্ঠ, লেখা কোনওদিন ভুলব না।” 

    [tw]


    [/tw]

    সোনাল চৌহান লিখেছেন, “এটা কী সত্যি? কী হচ্ছে এসব?”  

    [tw]


    [/tw]

    এছাড়াও শোকপ্রকাশ করেছেন নিমরত কৌর, ভিকি কৌশল, রিচা চাড্ডা, আরমান মালিক, মিকা সিং, শেহনাজ গিল সহ অনেকে। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

     

  • Supreme court: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

    Supreme court: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ব্যাঙ্কের ঋণখেলাপি মামলায় পলাতক বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে (Vijay Mallya) সোমবার শাস্তি ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আর্থিক প্রতারণা মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ভারতে ফেরেননি বিজয় মালিয়া। ফলে ঋণখেলাপি মামলায় দোষী সাব্যস্ত পলাতক শিল্পপতির বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করতে পারে আদালত।  আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিজয় তাঁর সন্তানদের ৪ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর কাছে ভারতের (India) বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনাও বিপুল পরিমাণ টাকা। এজন্য তাঁকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা ফেরতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে জামিন অল্ট নিউজের মহম্মদ জুবেরের, দিল্লি মামলায় থাকতে হচ্ছে জেলেই
    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন, বিজয় মাল্য, নীরব মোদি ও মেহুল চোক্সির কাছ থেকে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে ব্যাংক।  জানা গিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। বর্তমানে তিনি ব্রিটেন রয়েছেন বলে খবর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোন নিয়ে তিনি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেননি ব্যাংকে। ওই  লোন নেওয়া হয়েছিল কিং ফিশার এয়ারলাইন্সের নামে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের

    জানা গিয়েছে, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত বিজয়ের সাজা ঘোষণা করবেন। ১০ মার্চ বিচারপতি ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট ও পিএস নরসিমহাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁর সাজা স্থগিত রেখেছিল। সেই সাজাই ঘোষণা হতে পারে ১১ জুলাই। ফেব্রুয়ারি মাসে বিজয়কে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তখনও তিনি আদালতে হাজির হননি । বিজয় মামলায় এদিন কোন রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। 

    আরও পড়ুন : আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

     

  • Sidhu Moosewala: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    Sidhu Moosewala: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত জনপ্রিয়তা কমছে পঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) সরকারের। কংগ্রেসকে হারিয়ে তিন মাসেরও কম সময়ে পঞ্জাবের (Punjab) ক্ষমতায় এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। তার পরেই নানা কারণে দলের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনের পর যা বিশাল আকার ধারণ করেছে।

    দিনকয়েক আগে খুন হন সিধু। তদন্তে নেমে পুলিশ উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করে মনপ্রীত সিং নামে একজনকে। মাদক পাচারকারী মনপ্রীতের বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচার, খুনের চেষ্টার অভিযোগ, গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন :আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মনপ্রীতকে গ্রেফতার করা হলেও জনতার ক্ষোভের আঁচ নেভেনি একটুও। তার কারণ ভগবান মানের (Bhagwan Mann)  সরকার। মাস তিনেক আগে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে পঞ্জাবের কুর্সিতে বসে আম আদমি পার্টি। বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির বাইরে প্রথম পঞ্জাবে পা রাখে তারা। সরকার হয় ভগবান মানের নেতৃত্বে।

    কুর্সিতে বসেই ভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন মান। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে লাভ হবে দু’দিক থেকে। এক, ভিআইপিদের নিরাপত্তায় অকারণে টাকা খরচ করতে হবে না। দুই, ওই পুলিশ কর্মীদের লাগানো যাবে প্রশাসনিক কাজে। ভিআইপি নয়, পুলিশ সেবা করবে আম আদমির। সেই মতো সিধু সহ ৪২৪ জন ভিআইপির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে মান সরকার। সিদ্ধান্তের ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই খুন হন সিধু। তার পরেই ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে পঞ্জাবজুড়ে। সরকারের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তরুণরা। সাধারণ মানুষেরও বক্তব্য, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে মান সরকার।

    পঞ্জাবে বিশেষত তরুণ সমাজের কাছে সিধুর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তাই আপ বিধায়ক, কর্মী এবং সরকারি কর্মীরা যাতে সিধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ না দেন, সে ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। কারণ তাঁরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

    আরও পড়ুন : সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    এদিকে সিধু খুনে এনআইএ (NIA) কিংবা সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস। বুধবার পঞ্জাব কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানায়।প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং। মান যে সরকার চালাতে ব্যর্থ, এদিন তা দাবি করেছেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও। তাঁরা বলেন, ভগবন্ত মান কেবল অযোগ্যই নন, পঞ্জাবে কি ঘটছে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি কাজ করছেন দিল্লির নির্দেশে।

     

     

  • Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (gyanvapi) কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর খোঁজ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ করার এত হিড়িক কীসের? আরএসএস কর্মীদের এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। হিন্দু ও মুসলমানদের উচিত ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং ঘটনাগুলিকে হিংসা ছাড়াই মেনে নেওয়া।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের (Ram Mandir-Babri Masjid dispute) অবসান হয়েছে। এখন আদালতে চলছে জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্ক (Gyanvapi-Kashi Viswanath temple dispute)। তার পর একের পর এক মসজিদ (masjid) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সংঘ প্রধান যে এই বিতর্ক ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাঁর এদিনের বক্তব্যই তাঁর প্রমাণ।  

    জ্ঞানবাপী বিতর্ক থেকে আরএসএস-কে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ভাগবত। জানান, অযোধ্যা ছাড়া আর কোনও আন্দোলনে জড়িত নন তাঁরা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্য মত পোষণ করেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।

    জ্ঞানভাপি মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিরোধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ভাগবত। পরামর্শ দেন, হিন্দু ও মুসলিম পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে যাতে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা করা যায়। আদালত রায় দেওয়ার পরে এই ইস্যুতে কোনও আন্দোলন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 

    ধর্মীয় স্থানগুলি নিয়ে নিত্যবিরোধ উত্থাপনের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন ভাগবত। কুতুব মিনার (Kutub Minar) থেকে আজমেড় দরগাহ (Ajmer Dargah), তাজমহল (Taj Mahal) সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে হিন্দু মূর্তিগুলির প্রমাণ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে ভাগবতের প্রশ্ন, কেন প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা হবে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি ছিল। আমরা সেগুলি সম্পর্কে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন একটি নতুন বিষয় নিয়ে সামনে আসা উচিত নয়। কেন আমরা বিরোধ বাড়াব? ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে। তা নিয়ে কিছু করাও ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ কেন? তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে আমাদের সম্মান জানানো। 

    আরও পড়ুন : ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    প্রত্যেক ভারতবাসীর উৎস যে একই তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিলেন। হিন্দুরা একটি অখণ্ড ভারতের দ্বিখণ্ডন মেনে নিয়েছে। একটি মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংঘ প্রধান বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসলিম আছেন যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানে যেতে পছন্দ করেননি, তাঁরা সকলেই ভারতীয়।

    ভাগবত বলেন, আমাদের কোনও প্রকার উপাসনার বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা নেই। আমরা সকল প্রকার উপাসনাকে গ্রহণ করি এবং পবিত্র বলে মনে করি। তারা হয়তো উপাসনার একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ভাগবতের মতে, তাঁরা আমাদের মুনি, ঋষি, ক্ষত্রিয়দের বংশধর। আমরা একই পূর্ব পুরুষের বংশধর।

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মামলার (gyanvapi case) পরবর্তী শুনানি হবে ৪ জুলাই। বিচারপ্রার্থীরা তাঁদের দাবির স্বপক্ষে ৮০ বছরের পুরনো একটি মামলার রায়কে হাতিয়ার করছেন। ১৯৪২ সালে ওই রায়ে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বাদী ও বিবাদী— দু’পক্ষই তাদের নিজ নিজ যুক্তি সমর্থনে ওই রায়ের বিভিন্ন অংশকে তুলে ধরছেন।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরের বাইরের দেওয়ালে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতে আবেদন করেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। তাঁদের দাবি, ১৯৩৭ সালে সাক্ষীদের বক্তব্য প্রমাণ করে যে বিতর্কিত প্রাঙ্গণে হিন্দু দেবতার মূর্তি পুজো করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন : “মামলা খারিজ করা হোক”, আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

    জ্ঞানবাপী মসজিদটি পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। এই কমিটি মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের যুক্তি, আদালত ঘোষণা করেছে যে মসজিদটি যে জমিতে গড়ে উঠেছে, সেটি ওয়াকফ সম্পত্তি। ‘রাখি সিং বনাম উত্তরপ্রদেশ’ দেওয়ানি মামলায় ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে আদালত বলেছে যে মসজিদের সম্পত্তিটি ওয়াকফ সম্পত্তি নয়।

    মামলাকারীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে গড়ে তোলা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) নির্দেশেই ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। যদিও মুসলিমপক্ষের দাবি, ওই জায়গায় মসজিদ ছিল অনেক আগে থেকেই।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    বর্তমান দেওয়ানি মামলায় আবেদনকারীরা ন’টি বিবৃতি তালিকাভুক্ত করেছেন। তারই একটি হল, ১৯৩৭ সালে দায়ের হওয়া “দীন মহম্মদ ও অন্যান্য বনাম সেক্রেটারি অফ স্টেট” মামলা। বর্তমান আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, ১৯৩৭ সালে মামলার সাক্ষীরা প্রমাণ করেছেন যে মা শৃঙ্গার গৌরী, ভগবান গণেশ, ভগবান হনুমান এবং দৃশ্যমান ও অদৃশ্য দেবতার ছবি এবং প্রতিদিনের পুজোর অনুষ্ঠান হত একই জায়গায়।

    তাঁদের আরও যুক্তি, এই বিবৃতি মুসলিমদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। কিন্তু, হাইকোর্ট ১৯৪২ সালের রায়ে বলেছিল, যে কিছু সাক্ষী শ্রদ্ধেয় ছিলেন অবশ্যই। কিন্তু, তাঁদের নির্দিষ্ট অভিপ্রায় ছিল। উপরন্তু, তাঁরা কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেননি।

    অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, সাক্ষীদের ব্যক্তিগত বক্তব্যের ওপর এখন নির্ভর করা যায় না। পাশাপাশি, তাদের আরও দাবি ছিল, মসজিদ চত্বরও যে জমিতে রয়েছে সেটিও ওয়াকফ সম্পত্তি। কিন্তু, হাইকোর্ট সেই যুক্তিও খারিজ করে দিয়েছিল।

    ১৯৪২ সালের ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছিল, সিভিল জজ এই মসজিদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছেন এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। যে মন্দির সপ্তদশ শতাব্দীতে ভেঙে দিয়েছিলেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব। তাই মসজিদের উৎপত্তির প্রশ্নে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। 

LinkedIn
Share