Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে। বৃহস্পতিবার নতুন করে মথুরা আদালতে আবেদন করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    পরে, ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে দাবি করেন শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অখিল ভারত হিন্দু কোষাধ্যক্ষ দীনেশ শর্মার দাবি, যেহেতু ইদগাহটি ছিল ভগবান কৃষ্ণের গর্ভগৃহ, তাই এখানে আজান হওয়া ঠিক না। তিনি বলেন, মসজিদের আশেপাশে যাঁরা বসবাস করেন, আজানের ফলে তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।দীনেশ বলেন, যেহেতু লাউডস্পিকারে আজান বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাই এখানেও মাইকে আজান না হওয়াই উচিত।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণের মন্দিরও রয়েছে, কাটরা দেব মন্দির। মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। এর মধ্যেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মথুরার মসজিদ বিতর্ক।

  • Mathura Mosque Case: শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    Mathura Mosque Case: শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরার (mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ (Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah mosque controversy) মামলায় মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা (status quo) চেয়ে আবেদন জমা পড়ল সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) আদালতে। শুক্রবার তিনটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরই একটিতে মসজিদ (mosque) প্রাঙ্গনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah mosque)। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Krishna Janmabhoomi)। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মপালনের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থান দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    বিচারক জ্যোতি সিংয়ের এজলাসে আবেদনপত্রগুলি জমা দেওয়া হয়। আবেদন করেন দেবতা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান এবং লখনউ নিবাসী মণীশ যাদব। এই মণীশই নিজেকে শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলে দাবি করেন। ২০২০ সালে মসজিদ স্থানান্তরিত করার দাবিও তুলেছিলেন ইনিই।

    আবেদনকারীদের দাবি, কাটরা কেশব দেবের ১৩.৩৭ একর জমির একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এর আগে মসজিদে জরিপের আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। গ্রীষ্মাবকাশের পর আদালত খুললে ১ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    জেলা সরকারি কাউন্সেল (সিভিল) সঞ্জাই গৌর বলেন, তিনটি নতুন আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে, দুজন সহকারী অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করতে হবে এবং অ্যাডভোকেট কমিশনার যখন মসজিদ পরিদর্শন করবেন, তখন ঘটনাস্থলে জেলাস্তরের আধিকারিকদের থাকতে হবে।

    স্থিতাবস্থা চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে আবেদনকারীরা দাবি করেছেন যে হিন্দুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মসজিদের ভিতরে চাপা দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের আশঙ্কা, এই প্রমাণগুলি বিকৃত করা হতে পারে। তাই স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন।

     

  • Yasin Malik: ‘ধর্তব্যের মধ্যেই আনি না!’, ইয়াসিনকে নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Yasin Malik: ‘ধর্তব্যের মধ্যেই আনি না!’, ইয়াসিনকে নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়াসিন মালিককে (yasin malik) নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন, সংক্ষেপে ওআইসি-র (OIC) মন্তব্যের কড়া নিন্দা করল ভারত (India)। ওই সংগঠন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ নয়াদিল্লির।

    সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানো (Terror Funding) ও বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলনে মদত দেওয়ার দায়ে কাশ্মীরের জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করে পাতিয়ালার বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। বুধবার শোনানো হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। বিচারক প্রবীণ সিং ইয়াসিন মালিককে ওই সাজা দেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে ইয়াসিন মালিক নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। নয়ের দশকে সে ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিককে খুনও করেছিল। এহেন জঙ্গিনেতা ইয়াসিনের সাজা ঘোষণার পর প্রতিবাদে সরব হয় পাকিস্তান। ভারতের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইসলামিক দেশগুলি। ইয়াসিন মালিককে সাজা দেওয়ার পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ভারতের কড়া সমালোচনা করে ওআইসি। 

    আরও পড়ুন : যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    শুক্রবার তারই প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। ওআইসিকে সন্ত্রাসবাদে মদত না দেওয়ার আহ্বান জানায় নর্থ ব্লক। জানিয়ে দেয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির (Zero tolerance policy) পক্ষপাতী তাবৎ বিশ্ব।

    বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “মালিকের সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আদালতে তা প্রমাণও হয়েছে।” মালিক সম্পর্কে এনআইএ বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওআইসি-আইপিএইচআরসির (OIC-IPHRC) করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা এক প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, “ভারত ওই সংগঠনের মন্তব্যগুলিকে ধর্তব্যেই মধ্যেই আনে না।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের মতে, এই মন্তব্যগুলির মাধ্যমে ওআইসি-আইপিএইচআরসি ইয়াসিন মালিকের সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপের প্রতি পরোক্ষে সমর্থন প্রকাশ করছে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি চায়। তাই আমরা ওআইসি-কে অনুরোধ করছি যে সন্ত্রাসবাদকে যেন কোনওভাবেই মান্যতা দেওয়া না হয়।” বাগচি বলেন, “যেহেতু আদালতে ইয়াসিন মালিকের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, তাই এই বিষয়ে ওআইসি-র মন্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    প্রসঙ্গত, ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। তবে ইয়াসিন মালিকের মতো এক জঙ্গি নেতার এহেন সাজায় খুশি নয় তার হাতে খুন হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির পরিবার। ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

  • Agra Fort: এবার নমাজ বন্ধের দাবি আগরা ফোর্টের ভিতরের বেগম কি মসজিদে

    Agra Fort: এবার নমাজ বন্ধের দাবি আগরা ফোর্টের ভিতরের বেগম কি মসজিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নমাজ (Namaz) বন্ধের দাবি উঠল আগরা ফোর্টের ভিতরে থাকা মসজিদে। এই দুর্গের ভিতরে রয়েছে ‘বেগম কি মসজিদ’ (Begum ki Masjid)। এই মসজিদেই নমাজ বন্ধের দাবি উঠেছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মুঘল আমলে এই মসজিদের সিঁড়ির নীচে হিন্দু দেবদেবীদের সমাহিত করা হয়েছে। তাই মসজিদে নমাজ পাঠ বন্ধ করতে হবে বলে দাবি ওই সংগঠনের। শুক্রবার এই মর্মে মথুরা আদালতে আবেদন করেন মহেন্দ্র প্রতাপ সিং সহ আরও কয়েকজন।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ (Kashi Viswanath Temple-Gyanvapi Mosque controversy) বিতর্কের জেরে সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) নির্দেশে ওই মন্দির ভাঙা হয়েছিল। গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। পরবর্তীকালে ফের মন্দির গড়ে ওঠে। এই মন্দির তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। সেই মন্দিরই এখনও রয়েছে।

    জ্ঞানবাপী বিতর্কের মধ্যেই লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে (Shahi Idgah Mosque)। বৃহস্পতিবার নতুন করে মথুরা আদালতে আবেদন করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের দাবি, মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। এই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Shri Krishna Janmabhoomi)। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে হয়েছে মামলা।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    এই মামলা চলাকালীনই এবার নমাজ বন্ধের দাবি উঠল আগ্রা ফোর্টের ভিতরে থাকা মসজিদে।আবেদনকারীদের দাবি, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে থাকা মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। আগরা ফোর্টের ভিতরের মসজিদের সিঁড়ির নীচে সমাহিত করেছিলেন মন্দিরের বিগ্রহদের। মহেন্দ্র বলেন, নমাজ পড়তে যখন লোকজন মসজিদে আসেন তখন নিত্য পদদলিত হন দেবতারা। এটা হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করে। তাই মসজিদে নমাজ নিষিদ্ধ করা উচিত।

    আদালত অবশ্য এই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগকারীকে নোটিশও দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।  প্রসঙ্গত, ইউনেস্কোর (UNESCO) তালিকায় রয়েছে আগরা ফোর্ট (Agra Fort)। মুঘল রাজাদের দ্বারা সেটি নির্মিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, মুঘল আমলে বহু মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। জোর করে ধর্মান্তকরণও করা হত। সেই সময়ই এই মন্দিরগুলি ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল কিনা, সেটাই দেখার।

  • India curb rice exports: গম, চিনির পর এবার চাল রফতানিও নিয়ন্ত্রিত করবে কেন্দ্র?

    India curb rice exports: গম, চিনির পর এবার চাল রফতানিও নিয়ন্ত্রিত করবে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশে খাদ্যশস্য রফতানিতে জোর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যার জেরে দেশের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিনির রফতানিতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার চালের বিদেশে রফতানিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও এখনই এবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। চাল রফতানি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে ভারতীয়দের এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই। সূত্রের খবর, দেশে এখন পর্যাপ্ত চাল মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চালের দামও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া মাত্রা থেকে নীচেই রয়েছে চালের দাম। তাই এখনই দেশের মানুষের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। 

    আরও পড়ুন: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    ভারতীয় খাদ্যভাসে চাল ও গম একে অপরের পরিপূরক। কেন্দ্র রেশনের মাধ্যমে চাল ও গম দুটিই দেয়। তবে চলতি বছরে গমের ফলন কম হওয়ায় কেন্দ্রের তরফে রেশনের মাধ্যমে গমের বদলে চাল দেওয়া হতে পারে। তাই ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত চাল মজুত রাখতে সচেষ্ট কেন্দ্র। সেজন্যই বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নিয়োগ করা একটি কমিটি এখন প্রত্যেকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম যাচাই করছে। যে পণ্যের মূল্যই সাধারণের সাধ্যের বাইরে বলে মনে হবে, তার দাম কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভারত যদি চালের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে। ভারত গম রফতানি বন্ধ করার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ড (IMF)। আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা কেন্দ্র সরকারের কাছে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। চাল রফতানিকারী দেশের তালিকায় একেবারে ওপরদিকে রয়েছে ভারত। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে চাল ও গম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য, তাই চাল রফতানি বন্ধ হলে এর প্রভাব হবে মারাত্মক, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

  • VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

    VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভিভো (VIVO) এবং বিভিন্ন চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ৪০ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে অভিযান চলে। আর্থিক তছরূপ বিরোধী আইনের আওতায় ভিভোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি।     

    ইডির অভিযানের পর বুধবার বেজিং (China), আইন মেনে ভিভোর বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যহীন’ তদন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়েছে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ভিভোর। ভারত ছেড়ে পালিয়েছেন ভিভোর অধিকর্তা ঝেনশেন ওউ এবং ঝ্যাং ঝাই।

    আরও পড়ুন: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

    সারা দেশে ৪৮ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ভিভো ইন্ডিয়ার ৬৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, ৪৬৫ কোটি টাকাসহ ১১৯ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডির দাবি, ভিভো ইন্ডিয়া ভারতে ব্যবসার টার্নওভারের ৫০% অর্থাৎ ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনকে পাঠিয়েছে।   

    কর এড়ানোর জন্য ভিভোসহ বেশ কিছু সংস্থা বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইডি। 

    ইডি জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ২৩টি সহযোগী সংস্থা, যেমন মেসার্স গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড (GPICPL)- এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৮টি স্থানে অনুসন্ধান চালিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে দু কিলোগ্রাম সোনার বার এবং নগদ ৭৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।   

    ইডির মতে, ২০১৪ সালের ১ অগাস্ট,  হংকংয়ের কোম্পানি মাল্টি অ্যাকর্ড লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। আরওসি দিল্লিতে হয়েছিল এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন। GPICPL, ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর  আরওসি সিমলা, সোলান, হিমাচল প্রদেশ, গান্ধীনগর, জম্মুতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল।   

    ইডির দাবি, নীতিন গর্গ নামে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সহায়তায়, ঝেংশেন ওউ, বিন লো এবং ঝাং জি নামে তিন ব্যক্তি GPICPL স্থাপন করেন। বিন লু ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ভারত থেকে চলে গিয়েছেন। ঝেংশেন ওউ এবং ঝাং জি-ও ২০২১ সালে ভারত ছাড়েন।

    ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি ভিভো ইন্ডিয়াতে বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করেছে। ব্যবসার ১,২৫,১৮৫ কোটি টাকা আয়ের মধ্যে, ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনে পাঠিয়ে দিয়েছে ভিভো ইন্ডিয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৫০% টার্নওভারই চলে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশে। মূলত ভারতকে কর দেওয়া থেকে বাঁচতেই এই ব্যবস্থা। এই সংস্থাগুলির বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে কর ছাড় পাওয়ার জন্য এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে ইডি।   

    কিছুদিন আগে শাওমির ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছে,  ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের (FEMA) অধীনে শাওমির অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

     

  • Kupwara Encounter: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    Kupwara Encounter: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাশকতার বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কুপওয়ারায় (Kupwara) খতম তিন লস্কর জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। 

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের উত্তপ্ত জম্মু–কাশ্মীর। উপত্যকার বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। এদিন গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কাশ্মীরের কুপওয়ারায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সেনা।

    আচমকাই জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সমর্থিত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম হয়েছে তিনি লস্কর জঙ্গি। এখনও বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সেনা সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন যোগ দিলেন অভিলাশা বারাক

    নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, বলে জানান কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা বাহিনী। এদিনের এনকাউন্টারে তেমনই একটি ছক বানচাল হল বলে মনে করছে কাশ্মীর পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে বদগাম এলাকায় নিজের বাড়িতে লস্কর জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন অমরীন ভট্ট (Amreen Bhat) নামে কাশ্মীরের এক অভিনেত্রী। হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে অভিনেত্রীর নাবালক ভাইপো। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।  এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা-সহ উপত্যকার বহু রাজনৈতিক নেতা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বদগামের চদোরা এলাকায় অমরীনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তিন সশস্ত্র জঙ্গি। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে গুরুতর জখম হন ৩৫ বছরের অমরীন। তাঁর ঘাড়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অমরীনের ১০ বছরের ভাইপোর হাতেও গুলি লেগেছে। রাতেই দু’জনকেই আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অমরীনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অভিনেত্রীর ভাইপোর সেখানে চিকিৎসা চলছে। 

    কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, টেলিভিশনে অভিনয়ের পাশাপাশি নেটমাধ্যমেও নিজের গানের ভিডিও আপলোড করতেন অমরীন। বদগামের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শোকপ্রকাশ করেছেন উপত্যকার বহু রাজনৈতিক নেতা।  এই হামলার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা আলতাফ ঠাকুর। একে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

    এর একদিন আগেই শ্রীনগরে নিজের বাড়ির বাইরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। হামলায় জখম হয়েছিল তাঁর সাত বছরের এক শিশুকন্যা। নিহত পুলিশ কর্মীর নাম সইফুল্লা কাদরি। শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় তাঁর বাড়ি।

  • Gyanvapi Mosque: ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Gyanvapi Mosque: ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মামলায় ধাক্কা খেল আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। বারাণসী (Varanasi) দায়রা আদালতের নির্দেশে হওয়া সমীক্ষার (videography survey) কাজ রদ করতে এবং মামলাটি বারাণসী থেকে সরিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেছিল মসজিদ কমিটি। 

    এদিন কোনও আবেদনই গ্রাহ্য করল না সুপ্রিম কোর্ট। একদিকে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি  সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহাকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ যেমন জানিয়ে দিল সমীক্ষার কাজ চলবে। তেমনই মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হল বারাণসীর জেলা আদালতে। আবেদনকারী মসজিদ কমিটির দাবি ছিল, সমীক্ষার নির্দেশে ১৯৯১ সালে তৈরি উপাসনাস্থল আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই সমীক্ষার কাজ বন্ধ করা হোক। 

    আরও পড়ুন: মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “এক মুহূর্তের জন্য মন্দির-মসজিদ বিবাদ দূরে সরিয়ে রেখে ভাবুন। ধর্মস্থলের মিশ্র চরিত্র নতুন কিছু নয়।” আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলে, “একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় কাঠামোর উপস্থিতি ধর্মীয়স্থলের চরিত্র পরিবর্তন করবে না। শুধুমাত্র নামাজের মাধ্যমে জ্ঞানবাপী মন্দিরকে মসজিদে পরিবর্তন করা হবে না। তাই এক্ষেত্রে সমীক্ষার নির্দেশ উক্ত আইনের আওতায় পড়বে না।

    আবেদনকারী চাইছিল, মামলা বারাণসী থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু, এদিন শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, বারাণসী দায়রা আদালত মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে কোনওপ্রকার হস্তক্ষেপ করবে না তারা। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সমীক্ষা করা যাবে কিন্তু কোনো রিপোর্ট ফাঁস করা যাবে না। 

    আরও পড়ুন: “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    এত দিন জ্ঞানবাপী মামলাটি ছিল বারাণসী দায়রা আদালতে। শুক্রবার জেলা আদালতকে মামলা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এমন স্পর্শকাতর মামলার শুনানির জন্য আরও অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বিচারবিভাগীয় আধিকারিকের প্রয়োজন।’’ একইসঙ্গে বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানা। তবে নমাজপাঠ করতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিত হবে। 

    ইতিহাস সাক্ষী আছে, অযোধ্যা মামলাও (Ayodhya case) নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত হয়ে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছিল। বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছিল বেশ কয়েক দশক। এখন জ্ঞানবাপী মসজিদের ক্ষেত্রে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটে কি না সেটাই দেখার।

    আরও পড়ুন: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের

  • VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (vhp) ও বজরং দল (Bajrang dal)। এদিন সকালে রীতি মেনে মালালির ওই মসজিদে ‘তম্বুলা প্রশ্নম’ (Thamboola prasnam) পরিবেশিত হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মসজিদ (mosque) সংস্কারের কাজ চলাকালীন সেখানে একটি মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মিলেছে। তার পরেই এদিন আচার পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো পরিবেশিত হয় তম্বুলা প্রশ্নম।

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। পুজোপাঠ সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল প্রমুখ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সেদিনই ভরত জানিয়েছিলেন, ২৫ মে মসজিদ চত্বরে বিশেষ তম্বুলা প্রশ্নম পালন করা হবে। তার পরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অশান্তি এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তার মধ্যেই তম্বুলা প্রশ্নম পালন করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। মসজিদটি এক সময় মন্দির ছিল কিনা, তা জানতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে হিন্দত্ববাদী একটি সংগঠন। তম্বুলা প্রশ্নম আচার পালনের পর হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে তারা অষ্টমঙ্গলা প্রশ্নম করবে। কারণ তাদের বিশ্বাস, মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি মন্দিরের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের নেতারা এবং আরও কিছু হিন্দু সংগঠন আদালতে গিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল যাতে মন্দিরের মতো কাঠামোগুলি যথাযথ তদন্ত না করে ভেঙে ফেলা না হয়। সত্য প্রকাশ্যে আনার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সমীক্ষা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ভিএইচপি নেতারা প্রাপ্ত নথিগুলি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাঠোমোর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কন্নড় কমিশনারেট। প্রশাসন জমির নথি খতিয়ে দেখছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীকে।

     

  • Shinzo Abe: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

    Shinzo Abe: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বন্ধুর’ মৃত্যুতে ‘শোকাহত’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার আবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মোদির ট্যুইট, “আমি গভীরভাবে ব্যথিত। চলে গেলেন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবে। দুঃখপ্রকাশের কোনও ভাষা নেই। জাপানকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সারা জীবন দিয়ে দিলেন শিনজো। পৃথিবীতে জাপানকে একটি বিশেষ স্থানে উন্নীত করেছেন আবে।”  মোদি আরও জানান, “প্রাক্তন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আগামিকাল ভারত একদিনের জাতীয় শোক পালন করবে।” শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আগেই ট্যুইট করেন মোদি। ট্যুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, “আবের পরিবারের পাশে আছি। জাপানের মানুষের সঙ্গে আছি।’’  

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, বলে ট্যুইট করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দুঃখপ্রকাশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    এই ঘটনাকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, “এই ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। এ ধরনের হামলা সহ্য করা হবে না।” আবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। 

    আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, আততায়ীর পরিচয় প্রকাশ

    শিনজো আবের আমলে ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়া উচ্চতা পায়। এরই স্বীকৃতিস্বরুপ তাঁকে গতবছর পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি জয় পাওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রনেতা হিসেবে শিনজো আবেই  মোদিকে অভিনন্দন জানান। চলতি বছরের মে মাসে মোদি জাপান সফরে গেলে আবের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়  প্রধানমন্ত্রীর। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর বরাবরই জোর দিয়েছিলেন আবে।

LinkedIn
Share