Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবটা মালুম হয়েছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের (Balakote airstrike) সময়। ভালমানের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের (Air-to-Air Missile) অভাবে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছিল ভারতকে (India)। সেই ঘাটতি ঢাকতে বদ্ধপরিকর ছিল মোদি (Modi) সরকার। লক্ষ্য ছিল, দেশীয় উন্নতমানের দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিলেছে। অবশেষে, এবার ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) ও নৌসেনায় (Indian Navy) ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের মারণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে “অস্ত্র”।

    মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে (Modi@8) ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ভারতীয় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (Bharat Dynamics Ltd) এর সঙ্গে ২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার জন্য ‘অস্ত্র মার্ক ১’ (ASTRA Mk I) বিয়ন্ড ভিজ়্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে (BVRAAM) উৎপাদন করবে ভারত ডায়নামিক্স (BDL)।

    আরও পড়ুন: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য দৃষ্টিসীমার বাইরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম  “অস্ত্র” আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রর পাল্লা ১১০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটির গবেষণা থেকে শুরু করে নির্মাণ ও পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিলক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। এখন ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সিস্টেমগুলির উৎপাদনের জন্য সমস্ত প্রযুক্তি বিডিএল-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ডিআরডিও। 

    বর্তমানে ব্রহ্মোস (BrahMos) ছাড়া, ভারতের সবকটি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করা। ফলে, সেগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন ও দেশীয় অস্ত্র নির্মাণ ও উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই নিরিখে, এর নতুন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের  ফলে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগলো ভারত।

    “অস্ত্র” হল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান ভরসা রুশ-নির্মিত সুখোই সু-৩০ এমকেআই (Sukhoi Su-30 MKI) যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, বায়ুসেনার দেশীয় ‘তেজস’ (Tejas) এবং নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান ‘মিগ-২৯কে’ (MiG 29K) সজ্জিত হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে।

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময় পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত মার্কিন নির্মিত ‘এফ-১৬’ (F-16) যুদ্ধবিমানে সঙ্গে আসা ‘এআইএম-১২০’ (AIM-120) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের জন্য সরাসরি আক্রমণে যেতে পারেনি ভারত। কারণ, পাক বায়ুসেনার বিভিআর মিসাইলের নিশানায় চলে আসত ভারতীয় সুখোই বিমানগুলি। ভারত সেই সময় সিদ্ধান্ত নেয়, দ্রুত এই মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। 

    বর্তমানে ভারতের অস্ত্রাগারে রয়েছে ‘মিটিয়র’ (Meteor)-এর মতো যা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা BVRAAM। ফরাসি যুদ্ধবিমান ‘রাফাল’- এর সঙ্গে এসেছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। কিন্তু, এগুলির প্রতিটির দাম অনেক বেশি। তুলনায় ভারতে তৈরি ‘অস্ত্র’ মিসাইল অনেকটাই সস্তা। ডিআরডিও-র দাবি, পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত ‘এআইএম-১২০’ মিসাইলের সমতুল্য হচ্ছে ‘ASTRA Mk I’। 

    অন্যদিকে, গবেষণা চলা ‘ASTRA Mk II’ ও ‘অস্ত্র মার্ক III’ ভেরিয়েন্টগুলির পাকিস্তানের ব্যবহৃত মিসাইলের থেকে ঢের ভালো হবে এবং চিনা মিসাইলকে সমানে সমানে টক্কর দেবে। জানা গিয়েছে, এই দুই মিসাইলের পাল্লা হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩৫০ কিলোমিটার।

    আরও পড়ুন: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

  • IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনের থেকে এগিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এখন চিনকে (China) বিমানযুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারবে ভারত (India)। WDMMA-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর স্থানে উঠে এল ভারত। এতদিন পর্যন্ত চিন ছিল এই স্থানে। ভারতের থেকে পিছিয়ে চার নম্বরে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে চিন। এখন ভারতের আগে শুধু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও রাশিয়া (Russia)।

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) সম্প্রতি ২০২২-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ্যে এনেছে। World Air Power Index-এর সেই তালিকায়  তৃতীয় স্থান অধিকার করল ভারতীয় বায়ুসেনা আর চতুর্থ স্থানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স (PLAAF)। শুধু চিন নয়, প্রতিযোগিতার বিচারে একযোগে জাপান এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স, ইজরায়েলি এয়ার ফোর্স, ফ্রেঞ্চ এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। 

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) ৯৮টি দেশের ১২৪টি এয়ার ফোর্সের দক্ষতা সম্পর্কে বিশেষ পর্যবেক্ষণ করে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার মধ্যে নৌসেনা, সেনা ও বায়ুসেনার মোট ৪৭,৮৪০টি যুদ্ধ বিমানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা খতিয়ে দেখা হয়েছে।  যুদ্ধবিমানগুলির দুর্বলতা কোথায় তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    প্রতিটি বিমানবাহিনীর True Value Rating-এর মধ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রতিটি দেশের কতগুলি যুদ্ধবিমান আছে শুধু তা দেখা হয় না, বিমানগুলির আধুনিকীকরণ, লজিস্টিক সহায়তা, আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপরও জোর দেওয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে বিমানবাহিনীর সামরিক ক্ষমতা নিয়ে প্রকাশিত এই তালিকায় সেরকম কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    প্রথমে আমেরিকা, তার পর রাশিয়া ও তার পরেই চিন থাকে। ভারত ছিল চতুর্থ স্থানে। এবার চিনকে পিছনে ফেলে এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। চিনের প্রাপ্ত রেটিং ৬৩.৮, ভারতের রেটিং ৬৯.৪। আমেরিকা ও রাশিয়ার রেটিং যথাক্রমে ২৪২.৯ আর ১১৪.২। দেশের বায়ুসেনার এই সাফল্যে খুশি সেনা আধিকারিকেরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিমানবাহিনীর এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে। 

  • RSS on Gyanvapi issue: “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    RSS on Gyanvapi issue: “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যকে কখনও লুকিয়ে রাখা যায় না। সময় এসেছে ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সমাজের সামনে নিয়ে আসার। বুধবার একথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর(sunil ambekar)। বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদের(Gyanvapi mosque) ওজুখানার জলাধারে ‘শিবলিঙ্গে’র(shivling) অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। এই আবহে আরএসএসের প্রচার প্রধানের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এদিন দেবঋষি নারদ পত্রকার সম্মান সমারোহ নামের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন আম্বেকর। সেখানেই তিনি বলেন, জ্ঞানবাপী সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, তাদের বেরিয়ে আসতে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যাই হোক না কেন, সত্য সর্বদা একটি মুক্তির পথ খুঁজে পায়। তাঁর প্রশ্ন, কতদিন লুকিয়ে রাখতে পারবেন? আম্বেকর বলেন, আমি বিশ্বাস করি এটাই সময় যে আমরা ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাখ্যা করি।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছে বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি। যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির ছিল। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে তিন দিন ধরে মসজিদ চত্বরে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। প্রথম দিন মন্দির কমপ্লেক্সে ভিডিওগ্রাফিতে বাধা দেয় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এর পরেই বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওগ্রাফির কাজ। পরে ফের শুরু হয়। তিনদিন চলার পর কাজ শেষ হয় সোমবার।

    এর পরেই মামলায় হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্য দাবি করেন, ভিডিওগ্রাফি করতে গিয়ে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সংস্থা একটি শিবলিঙ্গ খুঁজে পেয়েছে। মন্দিরের অস্তিত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। এর পরেই মসজিদ সংলগ্ন ওজুখানার জলাধারটিতে কড়া প্রহরার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যাতে নির্বিঘ্নে নমাজ পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সমাজের সামনে নিয়ে আসার দাবি জানালেন আরএসএসের প্রচার-প্রমুখ। 

            

  • Pakistani Drone: চোরাচালানের ছক! পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার প্রচুর মাদক

    Pakistani Drone: চোরাচালানের ছক! পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার প্রচুর মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাব (Punjab) সীমান্তে একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। সোমবার ভোরে সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে ড্রোনটি। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়ে সেটিকে নামিয়ে আনেন। ড্রোনটি থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন (Heroin) উদ্ধার হয়। 

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অমৃতসরের সীমান্তবর্তী ভারোপাল গ্রামে একটি পাকিস্তানি ড্রোন দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়ে সেটিকে নামিয়ে আনেন। ড্রোনটি থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মাদকের মূল্য ভারতীয় বাজারে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বিএসএফের তরফে একটি ট্যুইটে জানানো হয়েছে, “পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচার করার আরও একটি প্রচেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ। পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়ে আনেন জওয়ানরা। সেই ড্রোন থেকে ন’টি প্যাকেটে মোড়া ১০ কেজি হেরোইন পাওয়া গিয়েছে।”    

    রবিবার পাঞ্জাবের তরন তারান থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি শক্তিশালী আইইডি উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে, পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই বোমাটি ভারতে পাচার করা হয়েছিল।  

    মূলত অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক দ্রব্য ছড়াতেই সীমান্তরেখা পেরিয়ে এই ড্রোনগুলিকে ভারতে পাঠায় পাকিস্তান। নাশকতার কোনও ছকও থাকতে পারে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়। অতিমারীর সময় থেকেই সীমান্তে পাক হামলার ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনার একের পর এক প্রত্যাঘাতে নাকাল হতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তাই এখন ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান।

     

  • Yasin Malik: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    Yasin Malik: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (jklf) প্রধান ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে পাতিয়ালার এনআইএ-র (nia) বিশেষ আদালত। সন্ত্রাসবাদে অর্থ (terror funding) সাহায্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলেন (separatist movement) মদত জোগানোর দায়ে চলতি মাসের ১৯ তারিখে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ইয়াসিন মালিককে। বুধবার শোনানো হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। বিশেষ এনআইএ বিচারক প্রবীণ সিংয়ের আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়। এই প্রবীণ সিং-ই বছর ছাপান্নর ইয়াসিনকে পাকাপাকিভাবে গারদে পাঠালেন। ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় বিচারক কী কী মন্তব্য করেছিলেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

    আরও পড়ুন : যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

    বিচারক প্রবীণ সিং বলেন, দোষী ব্যক্তি ১৯৯৪ সালে বন্দুক ছেড়ে দিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তার আগে সংঘটিত হিংসার জন্য কখনওই সে কোনও অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। এখনও সে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। দোষী ব্যক্তি গান্ধীর অহিংস নীতি অনুসরণ করছে বলে আদালতে দাবি করেছে। বিচারক বলেন, সে মাহাত্মা গান্ধীর নাম মুখে আনতে পারে না। কারণ চৌরিচৌরার ঘটনার পর গান্ধীজি সহিংস আন্দোলনের পথ ছেড়ে অহিংস আন্দোলেনের রাস্তায় হাঁটেন। ইয়াসিন সে পথে হাঁটেনি। বিচারকের মতে, ইয়াসিনের সংঘটিত অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুতর প্রকৃতির। তিনি বলেন, সংঘটিত অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুতর প্রকৃতির ছিল। ভারতের ধারণার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করার এবং ভারত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে জোরপূর্বক আলাদা করার উদ্দেশ্যও তার ছিল।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    বিচারক বলেন, ইয়াসিনের অপরাধের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এগুলি সংঘটিত হয়েছিল বিদেশি শক্তি ও মনোনীত সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যে। সব শেষে সিদ্ধান্তে আসেন বিচারক। বলেন, অপরাধ সংঘটনের পদ্ধতি ও ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের কারণে এগুলি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এদিন আদালত মালিককে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে। এদিন মালিকের সাজার খবরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভূস্বর্গের একাংশে। নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথরও। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তারও।   

     

  • India Covid Deaths: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    India Covid Deaths: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) করোনা অতিমারীতে (Corona pandemic) প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু (covid deaths) হয়েছে। এমনটাই অনুমান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, অনেক দেশই করোনায় (Covid-19) মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি। বিশ্বে মাত্র ৫৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু আদতে সেই সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি বলে আশঙ্কা করছে ‘হু’।    

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সরকারি হিসেবের চেয়ে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা ১০ গুণ বেশি। করোনায় মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (Registrar General of India) তাদের রিপোর্টে করোনায় ৫ লক্ষ দেশবাসীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আর সেই রিপোর্টেরই বিরোধীতা করছে হু- এর দেওয়া সংখ্যাতত্ত্ব।    

    সরাসরি কোভিডের কারণে মৃত্যু না হলেও, এর প্রভাবে হাসপাতালে যেতে না পেরে যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেসব মৃত্যুও এই গণনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অতিরিক্ত ৯৫ লক্ষ মৃত্যুর মধ্যে ৫৪ লক্ষের বেশি মৃত্যু হয়েছে সরাসরি ভাইরাসের প্রভাবেই। 
     
    দেশে করোনভাইরাস-সম্পর্কিত মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে ৪৭ লক্ষ অতিরিক্ত মৃত্যু কোভিডের কারণে হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার সেই পরিসংখ্যানকে স্বীকৃতি দেয়নি!  
      
    কেন্দ্রের (Central Government) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারণে যে মডেলিং অনুশীলন প্রক্রিয়া (World Health Organisation on excess mortality estimates) ব্যবহার করা হয়েছে তার পদ্ধতি এবং ফলাফলের প্রতি ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই তথ্য প্রকাশ করেছে হু৷ এমনকি পুরো প্রক্রিয়াতে ভারতের তরফে তোলা প্রশ্নের সমাধান না করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতিরিক্ত মৃত্যুর অনুমান প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেলের (Registrar General of India) সহযোগিতায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম-এর মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আগেই জানানো হয়েছিল।

    কেন্দ্র সরকার, হু-কে স্পষ্ট জানিয়েছে ভারতে (India) জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং বিধিবদ্ধভাবে সংগ্রহ করা হয়। তাই সেই ব্যবস্থায় ভুলের সুযোগ কম। ভারত সরকারের মতে, ৩ মে পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯- এ মৃত্যুর সংখ্যা ৫২২৭৬৭। 

  • Nupur Sharma: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের

    Nupur Sharma: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (SC)পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গেলেন অজয় গৌতম নামে এক ব্যক্তি।   গত এক মাস ধরেই পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্য ঝড় তুলেছে গোটা দেশে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অশান্তি থিতু হলেও শুক্রবার প্রাক্তন বিজেপি (BJP) মুখপাত্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তাঁর মন্তব্যে যেভাবে আগুন জ্বলে উঠেছে, তা স্মরণ করিয়ে নূপুরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে এক টেলিভিশন চ্যানেলে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন নূপুর শর্মা। যে ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। দেশের একাধিক রাজ্যে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। চলে ভাঙচুরও। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের কাছে নূপুর আর্জি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত এফআইআর যেন দিল্লিতে সরিয়ে আনা হয়। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্টে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী করা হয় নূপুরকে।

    [tw]


    [/tw]

    নূপুর শর্মার হয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা অনুপম খের। উল্লেখ্য, নূপুরের উদ্দেশে এদিন সুপ্রিম রায়ের পরই ট্যুইট করে বিচারপতির উদ্দেশে অনুপমের মন্তব্য, “মাননীয় ধর্মাবতার, আপনি এমন কিছু করুন, যা প্রকৃত অর্থেই সম্মানজনক।” যদিও সেই ট্যুইটে কোথাও নূপুরের নামোল্লেখ করেননি প্রবীণ অভিনেতা। তবে তাঁর মন্তব্যের ধরন ও সময় দেখে নেটপাড়ার আর বুঝতে বাকি থাকেনি যে, এটা নূপুর শর্মাকে নিয়ে সুপ্রিম রায়কে বিঁধেই লেখা।

    [tw]


    [/tw]

    নেদারল্যান্ডসের চরম দক্ষিণপন্থী নেতা হিসাবে খ্যাত সাংসদ গ্রিট উইল্ডার্সও নূপুর শর্মার সমর্থনে এগিয়ে এলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই এই ডাচ সাংসদ বলেন, নূপুর শর্মার ‘ কখনওই ক্ষমা চাওয়া উচিত নয় সত্যিটা বলার জন্য…, তিনি উদয়পুর কাণ্ডের জন্য দায়ী নন।’ এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই গত ১৮ জুন পুলিশের কাছে এসে নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন নূপুর। তিনি তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন।

  • Abhilasha Barak: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    Abhilasha Barak: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে নজরদারি থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান চালানো সব ক্ষেত্রেই মহিলারা নিজেদের প্রমাণ করছে। বন্দুক হাতে যেমন সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন তেমনি দেশের সুরক্ষায় চালাচ্ছেন যুদ্ধবিমানও। এবার প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে সেনার কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক। ভারতীয় সেনার কাছে এই ঘটনা অত্যন্ত গর্বের। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগদান করেছেন। যা দেশের কাছে গর্বের।

    [tw]


    [/tw]

    মাত্র ২৬ বছর বয়সেই এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন অভিলাশা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিলাশা সফলভাবে তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। তার পরেই তাঁকে কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি (OTA) থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আসেন। নাসিকের কমব্যাট আর্মি অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং স্কুলের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা কমব্যাট হেলিকপ্টার পাইলট হলেন।

    [tw]


    [/tw]

    তিনি ২০১৬ সালে দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। ছোট থেকেই সামরিক পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েছেন অভিলাশা। তিনি বলেন, ” ছোট থেকে সামরিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য সেনাবাহিনী নিয়ে আলাদা করে উৎসাহ ছিল না। কিন্তু যেদিন (২০১৩ সালে) ভারতীয় সামরিক অ্যাকাডেমিতে আমার বড় ভাইয়ের “পাসিং আউট প্যারেড” দেখি, তখন থেকে স্থির করি নিজেও সেনায় যোগ দেব। ”

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    পাশাপাশি তিনি বলেন, “২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর আমি আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে বেছে নিয়েছিলাম। আমি জানতাম সেদিন আর বেশি দূরে নয় যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী সামরিক হেলিকপ্টার চালানোর জন্য মহিলাদেরও বেছে নেবে।” ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, “৩৬ জন সেনা পাইলটের সঙ্গেই ক্যাপ্টেন অভিলাশাকে এই মর্যাদাপূর্ণ শাখায় ভূষিত করা হয়েছে।”

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদান উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৫ জন মহিলা ইতিমধ্যে আর্মি অ্যাভিয়েশনে যোগ দেওয়ার জন্যে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু পাইলট অ্যাপটিটিউড ব্যাটারি টেস্ট এবং মেডিক্যালের পর মাত্র দুজনকেই নির্বাচিত করা হয়। ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক দেশের প্রত্যেক মহিলার কাছে অবশ্যই গর্বের।
     

  • Assam: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

    Assam: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের (Assam) গুয়াহাটির একটি বিলাসবহুল হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন মহারাষ্ট্রের (Maharastra) বিদ্রোহী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর সঙ্গে ওই হোটেলে ঠাঁই নিয়েছেন আরও প্রায় চল্লিশ জন বিধায়ক। আসাম সরকার তাঁদের থাকার খরচ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। শনিবার সেই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরই সতীর্থ শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে চলে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই অনুগতদের নিয়ে একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। শনিবার মধ্যরাতের বিশেষ বিমানে গুজরাটের ভাদোদরায় ফিরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন শিন্ডে। রাতেই ফিরে যান আসামের ওই হোটেলে।

    আরও পড়ুন : আধা-সামরিক বাহিনী ও আসাম রাইফেলসে নিয়োগে অগ্রাধিকার ‘অগ্নিবীর’দের

    বিলাসবহুল হোটেলে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের থাকা খাওয়ার খরচ দিচ্ছে আসাম সরকার। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয় এমনই। প্রবল বন্যায় যখন রাজ্য ভাসছে, তখন সরকারের বিরুদ্ধে ‘বদান্যতা’র অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধীরা।  

    বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেন, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেলের থাকার খরচ দিচ্ছে না আসাম সরকার। অসমে বর্তমানে ভয়াল আকার নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের হোটেলে থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেল খরচ আসাম সরকার দিচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিশ ধরিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী ১৬ বিধায়ককে। আগামিকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। এই ১৬ জনের মধ্যে রয়েছেন বিদ্রোহীদের নেতা শিন্ডে স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের হিসেব, এভাবেই বিদ্রোহীদের দমন করার খেলায় নেমেছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার।

     

  • National Anthem: মাদ্রাসাগুলিতে প্রার্থনার সময় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত, উত্তরপ্রদেশের পথে হরিয়ানাও?

    National Anthem: মাদ্রাসাগুলিতে প্রার্থনার সময় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত, উত্তরপ্রদেশের পথে হরিয়ানাও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা (madrassa) বা স্কুলগুলিতে প্রার্থনার পর জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কারোর কোনও সমস্যা হতে পারে না, অভিমত হরিয়ানার (Haryana) শিক্ষামন্ত্রী কানোয়ার পালের। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের সঙ্গে একমত তিনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সব মাদ্রাসায় প্রার্থনার পর জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) বাধ্যতামূলক করেছে যোগী সরকার। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কানোয়ার জানান, হরিয়ানাতেও সব মাদ্রাসা বা স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে সরকার।

    কানোয়ার বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত সব জায়গায় গাওয়া যেতে পারে। এটা দেশবাসীর কাছে গর্বের। স্কুল হোক বা মাদ্রাসা, জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কারোর বাধা দেওয়া উচিত নয়।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত “জন গণ মন” গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি মাদ্রাসায় সকালে হয় জাতীয় সঙ্গীতের সুর বাজাতে হবে না হলে গাইতে হবে। এই নির্দেশিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার এস এন পান্ডেও সমস্ত মাদ্রাসায় এই নির্দেশ জারি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।       

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে, রাজ্যের সমস্ত স্বীকৃত, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং অ-সহায়ক মাদ্রাসায় আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক এবং ছাত্রদের দ্বারা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। কিছু কিছু মাদ্রাসায় অবশ্য জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তবে এবার প্রতিটি মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করে দিল যোগী সরকার।  

    হরিয়ানাতেও কী এধরনের পদক্ষেপ করা হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে কানোয়ার জানান “জন গণ মন” গাওয়াতে কোনও সমস্যা নেই। হরিয়ানা সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। হরিয়ানা সরকারের ক্লাস নাইনের ইতিহাস বইতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে কানোয়ার জানান, কোনও দলের ইচ্ছানুসারে ইতিহাস রচনা করা যায় না।

LinkedIn
Share