Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Election) বিজেপির (BJP) মোকাবিলা করার আগে হারানো জমি কীভাবে ফিরে পাওয়া সম্ভব, সেই রোডম্যাপ তৈরি করতে উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের (Chintan Shivir) আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে তোলা। এই মর্মে, তিনদিনের সম্মেলন শেষে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল শতাব্দী-প্রাচীন দলটি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা বেরিয়ে গিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল পার্টির পুরনো ও নব্য নেতাদের মধ্যে মত-পার্থক্য প্রকট হয়ে পড়া। ফলে তরুণ নেতাদের আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে দল৷ সেই কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে সংগঠনের সব স্তরে ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কমবয়সিদের প্রার্থী করা হবে। পাশাপাশি ২০২৪-এর নির্বাচন থেকে শুরু করে তার পরে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও ৫০ শতাংশ আসনে ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রার্থী করা হবে। সংগঠন ও প্রার্থী তালিকায় দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং মহিলাদের যুক্তিসঙ্গত প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    চিন্তন শিবির, যাকে কংগ্রেস উল্লেখ করেছে ‘নব সংকল্প শিবির’ (Nav Sankalp Shivir) হিসেবে, তার শেষ দিন দলীয় সংগঠনে একাধিক সংস্কার আনতে তিনদিনের সম্মেলন শেষে “উদয়পুর নব-সংকল্প ঘোষণাপত্র” (Udaipur Nav Sankalp Declaration) গৃহীত হল কংগ্রেসে। সেখানে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) স্বীকার করে নেন, কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁর দাবি,  এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দল। তিনি জানান, জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এর কোন সহজ রাস্তা নেই।

    বস্তুত, চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ (Janajagaran Abhiyan) চালাবে কংগ্রেস। এরপর আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Yatra)।  কংগ্রেস বলেছে, ঠিক ৮০ বছর আগে,  সালে, মহাত্মা গান্ধী “ভারত ছাড়ো” স্লোগান দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে, “জোড়ো ভারত” (এক ভারত) স্লোগানটি গ্রহণ করা উচিত।

    বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসে “এক পরিবার এক টিকিট” চালু করার দাবি উঠেছে। সেই কারণে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ‘এক ব্যক্তি এক পদ ও এক পরিবার ও একটি টিকিট’ এই নীতি চালু করতে চলেছে। উদয়পুরের সাংবাদিক সম্মেলনে তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ও ‘এক পরিবার এক টিকিট’ তখনই বাদ দেওয়া হবে যখন কোনও একটি পরিবারের একাধিক সদস্য টানা পাঁচ বছরেও বেশি সময় কংগ্রেসের জন্য কাজ করেছেন। সেই অর্থে এক পরিবার একাধিক টিকিট পেতে পারে। যার অর্থ গান্ধী পরিবারের তিন জনই কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারবেন। 

    চিন্তন শিবিরে কংগ্রেসের নেওয়া অন্য বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জনমত গ্রহণের জন্য পৃথক বিভাগ গঠন। কর্পোরেট ধাঁচে জনতার মন বুঝতে জনসমীক্ষার জন্য ‘পাবলিক ইনসাইট’ শাখা, পদাধিকারীদের কাজের মূল্যায়নে ‘অ্যাসেসমেন্ট’ বিভাগ তৈরি হবে। তার ভিত্তিতেই নেতাদের পদোন্নতি, পদচ্যুত করা হবে। এআইসিসি ও প্রদেশ স্তরে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি গঠন হবে।

    এছাড়া, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্লক কংগ্রেস কমিটির নীচে মণ্ডল কমিটি গঠন করা হবে। দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। কেরালার ‘রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ থেকে তার সূত্রপাত হবে। আরেকটি গৃহীত সিদ্ধান্ত হল, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা গোষ্ঠী তৈরি হবে। কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে সেই কমিটি নিয়মিত রাজনৈতিক বিষয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবে।

     

     

  • Cyclone Asani Update: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    Cyclone Asani Update: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতি বাড়িয়ে ক্রমশ স্থলভাগের কাছে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclonic storm) ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার দিকে ঘুরবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘অশনি’র গতিপথ । সন্ধ্যা নাগাদ তা পৌঁছে যাবে উপকূলের খুব কাছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan) বা ফণির (Fani) মতো অতটা শক্তিশালী হবে না, বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। 

    সোমবার সকালের একটি বুলেটিনে ‘অশনি’র গতিপথ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিন সকালে পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল অশনি। অন্ধ্র উপকূল অর্থাৎ বিশাখাপত্তনম থেকে তার দূরত্ব ৫৫০ কিলোমিটার। গত পাঁচ ঘণ্টায় নিজের গতিবেগ ঘণ্টায় আরও ৪ কিলোমিটার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘অশনি’। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর এখন ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ঝড়টি। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী হলেও মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ওড়িশা উপকূলের দিকে মুখ ফেরাবে ‘অশনি’। উপকূলের কাছে পৌঁছনের আগে শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র। সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলেমিটার পর্যন্ত। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন দুপুর থেকে ঝড়ের গতি কমছে।

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রের গতি ঘণ্টায় ৯৫-১১৫ কিলেমিটারে নেমেছ। এ ভাবে প্রতি ছ’ঘণ্টায় ঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ কমতে থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সেটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের পর্যায়েই থাকবে। তার পর সেটি পরিণত হবে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে। ঝড়ের গতি থাকবে ৭৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। মঙ্গলবার সারাদিন সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই থাকবে ‘অশনি’। নিজের গতি না বাড়ালে শেষপর্যন্ত ‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই পুরীর উপকূলে আছড়ে পড়বে।  তা না হলে সেটি পরের দিন গভীর নিম্নচাপ হয়ে আরও উত্তরদিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূ্র্বাভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিঘা, বকখালির মতো সৈকত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং চলছে। ।MD-র ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ”ওডিশা বা অন্ধ্রপ্রদেশ, কোথাও ল্যান্ডফল নাও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। পশ্চিম মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ধরে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশা উপকূলের কাছে ১০ মে সন্ধ্যায় পৌঁছবে ঝড়টি। কিন্তু, এরপরই গতিপথ বদল করবে ঝড়। গতিপথ বদল করে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে ওডিশা উপকূলের কাছে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অগ্রসর হবে।”

    দিঘার পাশাপাশি সমুদ্র তীরবর্তী শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি-সহ জেলার উপকূল অঞ্চলগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশায় বিশেষ উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুরীর উপকূলের পাশ দিয়ে সবচেয়ে কাছে আসবে এই সাইক্লোন৷ পুরীর ১০০ কিলোমিটার কাছ দিয়ে বয়ে যাবে অতি শক্তিশালী এই সাইক্লোন এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

  • Teesta Setalvad: তিস্তাদের বিরুদ্ধে সিট! ছয় সদস্যের বিশেষ দল গঠন গুজরাট সরকারের

    Teesta Setalvad: তিস্তাদের বিরুদ্ধে সিট! ছয় সদস্যের বিশেষ দল গঠন গুজরাট সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা (Teesta) শেতলবাদ, গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team) বা সিট গঠন করল গুজরাট (Gujarat) সরকার। রবিবার গুজরাটের সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujarat ATS) ডিআইজি  দীপন ভদ্রনের নেতৃত্বে ওই দল গঠন করা হয়। 

    ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার (2002 Gujarat Riots) ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)-সহ বেশ কয়েক জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। তার বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সম্প্রতি সেই মামলা খারিজ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    ওই মামলায় তিস্তা শেতলবাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে (Gulbarg Society Massacre) নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির (Congress MP Ehsan Jafri) স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    এরপরই তিস্তাকে আটক করে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। গুজরাট হিংসা নিয়ে মিথ্যে তথ্য দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। শেতালবাদ এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন গুজরাটের এক পুলিশ আধিকারিক ডিবি বারাড। সেখানে তিস্তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    তিস্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করার পাশাপাশি নথি জাল করেছেন! তিস্তার বিরুদ্ধে এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘অন্য ব্যক্তি, সংস্থা এবং সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন গুরুতর অপরাধ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, আর্থিক এবং অন্যান্য সুবিধা নেওয়া ইত্যাদি অভিযোগের তদন্ত করা হবে।’’

    রবিবার তিস্তাকে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিস্তাকে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিস্তা আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁকে গ্রেফতারের সময় তাঁর উপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয়। যদিও পুলিশের তরফে একথা অস্বীকার করা হয়েছে।

  • Anand Mahindra Idli Amma: ইডলি আম্মাকে বাড়ি উপহার আনন্দ মাহিন্দ্রার

    Anand Mahindra Idli Amma: ইডলি আম্মাকে বাড়ি উপহার আনন্দ মাহিন্দ্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra) অনেক সময়ই তাঁর ব্যতিক্রমী ট্যুইটের কারণে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। আবার কখনও কখনও অনেক সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্যে প্রশংসিতও হন। মাতৃদিবসের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। ‘ইডলি আম্মা’ (Idli Amma) বলে পরিচিত এক মহিলাকে একটি বিশেষ উপহার দিলেন এই বিজনেস টাইকুন। মাতৃ দিবস উপলক্ষে কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা ‘ইডলি আম্মা’কে একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি।

    মাহিন্দ্রা তার ট্যুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। মাহিন্দ্রা লেখেন, “আমাদের টিম অভিনন্দনের যোগ্য, যারা সময় মতো বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে এবং মাতৃ দিবসে ইডলি আম্মাকে উপহার দিয়েছে। এটা তাঁকে এবং তাঁর কাজকে সম্মান জানানোর একটি উপায়। আপনাদের সবাইকে মাতৃ দিবসের শুভেচ্ছা।” ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন যে, ইডলি আম্মাকে তার পক্ষ থেকে একটি বাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলায় বসবাসকারী এম কমলাতাল, ইডলি আম্মা নামে পরিচিত। কমলাতাল পরিযায়ী শ্রমিক। মাত্র এক টাকায় ইডলি বিক্রি করেন এই ইডলি আম্মা। প্রায় তিন বছর ধরে করছেন এই কাজ। দুবছর আগে, আনন্দ মাহিন্দ্রা কাঠের চুলার বদলে ‘ইডলি আম্মা’কে গ্যাস কিনে দিয়েছিলেন। এরপর এখন তাঁকে বাড়িও দিলেন তিনি। আনন্দ মাহিন্দ্রার এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটপাড়া।

     

  • Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের কোনও আদর্শ নেই। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে(chintan shivir) এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের(Opposition parties) বিরাগভাজন হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul gandhi)। কংগ্রেসকে তাঁদের নয়, বরং আঞ্চলিক দলগুলিকে(regional parties) প্রয়োজন কংগ্রেসেরই, সাফ জানিয়ে দিলেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা। রাহুলকে চালকের আসনে বসিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হচ্ছিল। রাহুলের মন্তব্যে তা ধাক্কা খেল বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ‘ক্ষোভ’ সামাল দিতে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস।

    রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয়ে গেল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেই বসেছিল শিবির। এই শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি শুরু কংগ্রেসকে নিয়েই কথা বলবে, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেস কর্মীদের কথাই ঘুরেফিরে উঠে আসবে তাদের মুখে। কারণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে শক্তিশালী হলেও, আদর্শ না থাকায় আঞ্চলিক দলগুলির যে তাদের হারানোর ক্ষমতা নেই, সে কথা জানে বিজেপি। যদিও এই শিবিরেই সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। 

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসে। যৌথভাবে চলছে সরকারও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে টিকে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের নীতি না থাকলে বিজেপির মতো পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ আঞ্চলিক দলকে বেছে নিচ্ছে কেন?

    বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধির দল। বিহারের ওই দলের তরফে রাহুলকে সেকথা স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৯ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে নিজের দলের নেতাদের পাশে না পেলেও, লালুপ্রসাদ যাদবকে পাশে পেয়েছিলেন সোনিয়া। রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আম-আদমি পার্টি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কড়া প্রতিক্রিয়া দৃশ্যতই জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি  ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামানো হয় শশী তারুরকে(Shashi Tharoor)। তারুর বলেন, রাহুল বলতে চেয়েছেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের ভাবনা গোটা দেশকে নিয়ে। আঞ্চলিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ বুঝে চলতে হয়। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয়, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি এমনকি ডিএমকের সঙ্গেও কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে।

    তারুরের কথায় রাজনীতির চিঁড়ে ভেজে কিনা, তাই দেখার!

     

     

     

     

     

  • RBI: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস 

    RBI: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষ তো বটেই দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে এদিন রেপো রেট (Repo Rate) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই (RBI)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। তিনি জানিয়েছেন, রেপো রেট (যে হারে অন্য ব্যাঙ্কের থেকে সুদ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক) ৪০ বেসিস পয়েন্ট বা বৃদ্ধি করে ৪.৪০% করা হয়েছে।  

    গত মাসেই মুদ্রানীতি ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সময় অনেকেরই মনে হয়েছিল যে, এই মুহূর্তে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জমা টাকায় সুদের হার বৃদ্ধি করা উচিৎ। সেই কাজটিই একমাস পর করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাস জানান, রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বৃদ্ধি করে ৪.৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। 

    ২০১৮-র অগাস্টের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই ধরনের বৃদ্ধি এই প্রথম। রেপো রেট বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়ল। কারণ, এর ফলে ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    বর্তমানের মুদ্রাস্ফীতির চাপের কথাও এদিন অনলাইন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। এই বৃদ্ধি না হলে অর্থনীতি সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রেপো রেট নিয়ে আরবিআই-এর পরবর্তী আলোচনার দিন জানানো হয়েছে ৮ জুন। সেই সময় পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    এদিন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (CRR) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের যে পরিমাণ টাকা আরবিআই-এ গচ্ছিত থাকে সেটাই ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি ০.৫০% টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা থাকবে। নতুন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও হল ৪.৫%।  

    বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন আরবিআই- এর মতোই রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে  ইউএস ফেডারাল ব্যাঙ্ক (US Federal Bank)। আর এই জোড়া আশঙ্কাতেই ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। সেনসেক্সে ১৩০৭ পয়েন্ট বা ২.২৯% পতন হয়ে দাঁড়ায় ৫৫,৬৬৯। আর নিফটিতে ৩৯২ পয়েন্ট বা ২.২৯% পতন। দিনশেষে তা দাঁড়ায় ১৬,৬৭৮-এ।   

    যেখানে মার্চের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৯৫%, সেই সময় এপ্রিলে আরবিআই-এর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। আরবিআই-এর মুদ্রাস্ফীতির সহনশীলতার মাত্রা ছয় শতাংশ। পরপর তিন মাস যা ছয় শতাংশের ওপরে রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসে দাম বৃদ্ধির চাপ আরও বাড়বে।

     

  • 2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি (Ahmedabad Gulbarg Society) হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা শেতলবাদ। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    গুজরাটের হিংসায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি নাম জড়িয়েছিল গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু,তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী দল সিট। তারপর মামলা বন্ধের চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায়কেই বহাল রাখল। জাকিয়ার দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। শোকাহত জাকিয়ার যন্ত্রণাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কোথাও ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, বলে জানান বিচারপতিরা।

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    আদালতের রায়ে বলা হয়, জাকিয়া জাফরি অন্য কারোর নির্দেশে কাজ করেছেন। তিস্তা শেতলাবাদের এনজিও অনেক ভুক্তভোগীদের হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিল এবং তাঁদের অনেকেই জানতেনও না যে কিসে স্বাক্ষর করছেন তাঁরা।  এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এবং কিছু এনজিও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। তাদের একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম ছিল। তাই সবাই সেই মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে রায়টি পড়েছি (২৪শে জুন)। কিন্তু তাতে স্পষ্টভাবে তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর একটি এনজিও ছিল। সেটি সমস্ত থানায় বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল৷ মিডিয়ার দ্বারা এত চাপ ছিল যে সব আবেদনগুলি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়ে ইউপিএ সরকার এই এনজিওকে সাহায্য করেছিল।’অমিত শাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁরা মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

     

  • Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী সংঘর্ষের (Jahangirpuri violence) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল চক্রী মহম্মদ আনসার (Mohammad Ansar) সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের দাবি, ওই ঘটনায় মদত দিয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI)। 

    ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আনসার অত্যন্ত চতুর এবং সে নিজের সুবিধা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যদের ব্যবহার করে। আটক হওয়া ব্যক্তির আরও দাবি, PFI ও তাদের রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আসনারের। ওই ব্যক্তি আরও জানান, PFI-এর নেতাদের আমন্ত্রণ জানায় আসনার। তাদের সঙ্গে ছবি তোলে, অর্থের বিনিময়ে সংগঠনের হয়ে প্রচার করে।

    গত ১৭ তারিখ, আনসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল চক্রী হল এই আনসার। বর্তমানে আনসার ও আরও ২ জন — গুলাম রসুল ওরফে গুল্লি এবং সলিম শেখ ওরফে সলিম চিখনার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে আনসারের নামে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ ব্যবসা ও জুয়াচক্র চালানোর অভিযোগ অতীতে আসনারকে একাধিকবার প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। 

    অতীতে, একের পর এক বিবাদে জড়িয়েছে এই সংগঠনটি। PFI কর্মীদের বিরুদ্ধে খুন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগসাজেশের অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে।  ২০১২ সালে, কেরল সরকার হাইকোর্টে বলেছিল যে PFI নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI) এর একটি নতুন রূপ ছাড়া কিছুই নয়। এমনকী, PFI কর্মীদের আল-কায়দা (Al Qaeda) এবং তালিবানের (Taliban) মতো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগও উঠেছে।

    ২ বছর আগে, সিএএ-এনআরসি (CAA-NRC)-র বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheenbagh) দীর্ঘদিন ধরে চলা অবস্থান-বিক্ষোভ হোক বা হনুমান জয়ন্তী (hanuman jayanti) উপলক্ষে জাহাঙ্গীরপুরীতে (jahangirpuri) সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, প্রত্যেকটি ঘটনার নেপথ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) সর্বদা শিরোনামে চলে আসে। এর আগে কর্নাটকে (karnataka) হিজাব বিতর্কের (hijab row) সময়ে বিজেপি (BJP) এবং বেশ কিছু সংগঠন PFI-এর বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের (muslim students) উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। 

    PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ইতিমধ্য়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের হাতে বেশ কিছু নথি এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে PFI বেশ কয়েকটি শহরে রামনবমী (Ram Navami) মিছিলের সময় পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home ministry) বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের একটি ডসিয়ার তৈরি করেছে এবং PFI-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কেন্দ্রকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। 

     

     

  • Yasin Malik: ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    Yasin Malik: ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। সন্ত্রাসবাদে (terrorism) অর্থ দিয়ে সাহায্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে (separatist movement) মদত দেওয়ার দায়ে তাকে ওই সাজা দিয়েছে পাতিয়ালার বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। ১৯ মে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মালিককে। সাজা ঘোষণা হয় বুধবার। ইয়াসিনের কারাদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলনে কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    ভূস্বর্গে অশান্তির সূত্রপাত নয়ের দশকে। একের পর এক জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর (Kashmir)। চরম অত্যাচার করে, নৃশংসভাবে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় কাশ্মীর জুড়ে। তার পরেই প্রাণ বাঁচাতে উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোকজন। শিখ সহ উপত্যকায় অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।

    অশান্ত কাশ্মীরকে শান্ত করতে কোমর কষে নামে নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে (2019 General elections) দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মতো কাশ্মীর থেকে লুপ্ত হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পরেই ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে অশান্ত কাশ্মীর।

    কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ইতি টানতে বিজেপি সরকারের উদ্যোগে সাফল্যও মেলে। উপত্যকায় বন্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া (stone pelting)। হ্রাস পায় জঙ্গি কার্যকলাপও (terrorist activities)। গত বছর বিচ্ছিন্নবাদী নেতা আশরাফ সেহরাই এবং সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যু হয়। তার পর বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলনে ভাঁটা পড়ে। আরও এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে ঠাঁই হওয়ায়, উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে অক্সিজেন জোগানোর আর কেউ রইল না বলেই ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

    আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন

    এদিন মালিককে যখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, তখন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কাশ্মীরের মইসুমা এলাকায়, যেখানে ইয়াসিনের পৈত্রিক ভিটে। সাজা ঘোষণার সময় কিছুক্ষণের জন্য এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। প্রতিবেশী মহিলারা মালিকের বাড়িতে জড়ো হন। প্রতিবাদ স্বরূপ মুখ ঢেকে ফেলেন স্কার্ফ দিয়ে। কাশ্মীরি গান গেয়ে শোক প্রকাশও করতে দেখা যায় তাঁদের। 

     

  • Gyanvapi Update: কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    Gyanvapi Update: কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও থিতু হয়নি জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) বিতর্কের রেশ। এরই মধ্যে এবার মাথাচাড়া দিল আরও একটি মন্দির-মসজিদ বিতর্ক (temple mosque controversy)। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে একটি মসজিদ (mosque)। কাশীর বিন্দুমাধব মন্দির (Bindu Madhav temple) ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ‘মন্দির’ পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে দায়ের হল মামলা।

    বারাণসীর কাশীর পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছেই রয়েছে একটি মসজিদ। আবেদনকারীদের দাবি, বারাণসী গেজেটার নামের একটি ইতিহাস বইয়ে উল্লেখ রয়েছে পঞ্চগঙ্গার তীরে অবস্থিত বিন্দুমাধব মন্দিরের কথা। সেই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা ছিলেন বিষ্ণু।

    পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব (Aurangzeb) মন্দিরটি ধ্বংস করে দেন। তৈরি হয় বেণীমাধব কা ধারাহারা মসজিদ (Beni Madhav-ka-Dharahara)। আবেদনকারীদের আইনজীবী রাজা আনন্দ জ্যোতি সিং বলেন, পিটিশনে সেই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী শনিবার জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানির দিনই রয়েছে এই মামলার শুনানিও।

    আরও পড়ুন : ১৯৩৭-এ লেখা প্রবন্ধে গান্ধীজি বলেছিলেন, “মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি আসলে…”

    ২০০২ সালে প্রথমবার আলোচনায় উঠে আসে বেণীমাধব কা ধারাহারার নাম। সেই সময় পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছে বসবাসকারী কয়েকজন মিলে তৈরি করেন বেণীমাধর কা ধারাহারা বাঁচাও সমিতি। উদ্দেশ্য, এলাকায় নির্মিত সৌধটি রক্ষা করা। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই সৌধের মধ্যেই ছিল বিন্দুমাধব মন্দির। ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবস এবং ২০১৪ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে এখানে পতাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল দক্ষিণপন্থীরা। সেই সময় পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই ‘সৌধ-বিতর্ক’ই এবার ফের মাথাচাড়া দিল।

    আরও পড়ুন : শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    কাশীতে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল বলে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই সেখানে মন্দির ভেঙে তৈরি হয় মসজিদ। এই মসজিদই জ্ঞানবাপী মসজিদ। গত বছরের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু নারী মসজিদের ভিতরে পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে। কেবল জ্ঞানবাপী মসজিদই নয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি ভারতের প্রায় ১৮০০টি মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এগুলিকে তারা ‘অবৈধ’ মসজিদের তকমা দিয়েছে।

    এদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ভিডিও সমীক্ষার সময় তোলা ভিডিও এবং ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। মুসলিম পক্ষের দাবি, ভিডিও ফাঁস করেছেন হিন্দুরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হিন্দুপক্ষ।  

     

LinkedIn
Share