Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kashmiri Pandit Killing: অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    Kashmiri Pandit Killing: অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে জঙ্গিবাদের বলি ফের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri pandit)। সরকারি অফিসে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় রাজস্ব বিভাগের কর্মী রাহুল ভাটকে (Rahul Bhatt)। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপত্যকায়। জঙ্গিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে কাশ্মীরের সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়। ঘটনাটিকে বর্বরোচিত আখ্যা দিয়েছেন লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ((lieutenant governor Manoj Sinha)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসে কাজ করছিলেন রাহুল। আচমকাই কয়েকজন জঙ্গি বিনা বাধায় অফিসে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়, সশস্ত্র অবস্থায় চাদুরার তহশিলদার অফিসে হানা দিয়েছিল জঙ্গিরা। তারা সংখ্যায় দুজন ছিল। রাহুলকে গুলি করে গা-ঢাকা দেয়। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    [tw]


    [/tw]

     

    কেন্দ্রের তখ্তে বসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদি (modi) সরকার। তারপর থেকে বেশ শান্ত হয়ে গিয়েছিল উপত্যকা। পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের আসন টলমল করার কিছু আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে (jammu & kashmir) ফের বাড়বাড়ন্ত হয় জঙ্গিদের। মাসকয়েক ধরে জঙ্গিরা নিশানা করে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিক ও সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়কে। ইতিমধ্যেই যার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন : “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    গত অক্টোবরেই এক সপ্তাহের মধ্যে জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা সকলেই শিখ, পণ্ডিত কিংবা ভিন রাজ্য থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। নিহতদের এই তালিকায় ছিলেন কাশ্মীরের বিখ্যাত ওষুধ দোকানের মালিক মাখনলাল বিন্দ্রু। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। বীরেন্দর পাশোয়ান নামে এক ব্যবসায়ীকেও খুন করেছিল জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন সরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ সুপিন্দর কৌর। এই তালিকায়ই এবার উঠল বদগামের রাহুলের নাম। এই এলাকায় এখনও কিছু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। রাহুল খুনের জেরে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। জঙ্গিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন পণ্ডিতরা।

    নয়ের দশকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভূস্বর্গ। প্রায় প্রতিদিনই খুন হতে হচ্ছিল পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষকে। যার জেরে দলে দলে লোকজন উপত্যকা ছেড়ে চলে যান অন্যত্র। জঙ্গিদের হাতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়ন-পর্ব তুলে ধরা হয় সাম্প্রতিককালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমায়। যা নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ভূস্বর্গে ফের হিন্দু-পণ্ডিত নিধন।

     

  • Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (sedition law) নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে জানাল নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। সোমবার একটি হলফনামায় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২৪-এ (বিদ্রোহ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে নানা সময় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আদালতে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল যে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে রাজি নয় তারা। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল (A-G K.K. Venugopal) জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অন্তর্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। মামলার শুনানি পর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল সাম্প্রতিককালে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের জন্যও অযৌক্তিকভাবে ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    দেশে নানা সময় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত মামলাও হয়েছে বিভিন্ন সময়। তাই প্রয়োজন ছিল একটি নির্দেশিকার। যে নির্দেশিকার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্টও। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ঔপনিবেশিক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর এই আইনের অপব্যবহারের দিকের কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল, এক সময় যে ঔপনিবেশিক আইন ব্যবহার করে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ও লোকমান্য তিলকের (Lokmanya Tilak) মতো নেতাদের নিপীড়ন করা হয়েছিল, এখনও সেই আইন কেন প্রয়োগ করা হবে? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ (এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

  • Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিয় নায়ক কিংবা নায়িকার ছবি ট্যাটু (Tattoo) করতে দেখা যায় অনেককেই। তবে কোনও রাজনীতিবিদ বা মুখ্যমন্ত্রীর (CM) জন্মদিনে নিজের শরীরে ট্যাটু করানোর ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এবার দেখা গেল। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ছবি বুকে ট্যাটু করিয়ে ঘুরছেন এক যুবক। শুনতে অবাক লাগলেও, এমন ঘটনাই ঘটেছে। হয়েছে ভাইরালও। জানা গিয়েছে, ছবিতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম ইয়ামিন সিদ্দিকী। বছর তেইশের ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই তাঁর আদর্শ বলে মনে করেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সরাই আগস্তে।  

    দিন দুয়েক আগেই দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পেরল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রথম দফার পরে দ্বিতীয় দফায়ও যোগী আদিত্যনাথের কাজের ধরন ও জনগণের জন্য তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে মুগ্ধ ইয়ামিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আবেগ এতটাই যে ৫ জুন যোগীর জন্মদিনে নিজের বুকে আদিত্যনাথের ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।ইয়ামিন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম অন্ধ ভক্ত। আদিত্যনাথের সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি তাঁর। তবে তিনি চান, শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। দেখাতে চান বুকে আঁকা আদিত্যনাথের ছবি।

    আরও পড়ুন :যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    নিজের শরীরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ট্যাটু করানোর পরে কম গঞ্জনা সইতে হয়নি ইয়ামিনকে। তাঁর মুসলিম বন্ধুরা যখন বিষয়টি জেনেছিলেন, তখন তাঁরা ইয়ামিনের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। তাতে অবশ্য দমে যাননি ওই তরুণ। বলেন, উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার গঠনের পর থেকেই বদলে গিয়েছে রাজ্যের ছবি। যোগী সরকারের বিভিন্ন স্কিম গরিবদের জন্যও। কেউ কখনও বৈষম্যের শিকার হননি। হিন্দু বা মুসলিম প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সবাই সমানভাবে।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বক্তব্যের পরে পাথর ছোড়া ও রাজ্যে অশান্তি প্রসঙ্গে ইয়ামিন বলেন, যোগী আদিত্যনাথ ভাল সরকার চালাচ্ছেন। তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পাথর ছোঁড়ে, তাণ্ডব চালায়।

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

  • Lucknow: লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী? যোগীর ট্যুইটে নয়া জল্পনা 

    Lucknow: লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী? যোগীর ট্যুইটে নয়া জল্পনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারে আসার প্রথম পাঁচ বছরেই উত্তরপ্রদেশবাসীর বহুদিনের দাবি ফৈজাবাদ এবং এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi)। ফৈজাবাদের নাম বদলে করা হয়েছে অযোধ্যা এবং এলাহাবাদের নতুন নাম প্রয়াগরাজ। উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় এসেছেন যোগী। তাহলে এবার কী নাম পরিবর্তনের পালা লখনউ- এর? যোগীর সাম্প্রতিক ট্যুইট ঘিরে এমনই বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) লখনউতে স্বাগত জানিয়ে একটি ট্যুইট করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ”শেষ অবতার ভগবান লক্ষ্মণের পবিত্র নগরীতে আপনাকে স্বাগত জানাই।” লখনউকে (Lucknow) ‘লক্ষ্মণের নগরী’ (Laxmanpuri) বলে ট্যুইটে উল্লেখ করাতেই জল্পনা শুরু হয়। তবে কী এবার লখনউয়ের নাম বদল করে ‘লক্ষ্মণপুরী’ করতে চলেছেন যোগী?     

    [tw]


    [/tw]

    জনশ্রুতি রয়েছে, লক্ষ্মণ থেকে বিকৃত হয়ে লখনউ নামটি এসেছে। ধর্মীয় বিশ্বাস, রামের ভাই লক্ষ্মণের নামেই রাখা হয়েছিল শহরটির নাম। পরবর্তীতে তা উচ্চারণ বিকৃতিতে বদলে যায়। বহুদিন ধরেই তাই বিজেপির দাবি লখনউ-এর নাম বদলে ‘লক্ষ্মণপুরী’ করা হোক। যোগীর ট্যুইটের পরেই সেই জল্পনার পালে আবার হাওয়া লেগেছে।  

    লখনউ- এর মেয়র সংযুক্তা ভাটিয়া এর আগে জানিয়েছিলেন, ”লক্ষ্মণের ১৫১ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে লখনউতে। তার জন্যে ১৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে সরকার। শহরের কোন জায়গায় বসানো হবে মূর্তিটা সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”  ভাটিয়া আরও জানান, মূর্তিটি জাদুঘরের আদলে তৈরি করা হবে। সেখানে লক্ষ্মণপুরীর ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। 

    প্রথমবার যোগী মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার পরেই বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এবং রাজস্থানের বর্তমান রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য এর ফলে মানুষ ভারতীয় সংস্কৃতিকে বুঝতে পারবে। 

    এর আগেও বেশ কিছু জায়গার নাম পরিবর্তন করেছেন যোগী। সুলতানপুর, মির্জাপুর, আলিগড়, ফিরোজাবাদেরও নাম বদল করার প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তাব গৃহীত হলে সুলতানপুরের নাম হবে কুশ ভবনপুর, মেইনপুর হবে মায়া নগরী, আলিগড় হবে হরিগড়, ফিরোজাবাদ হবে চন্দ্রানগর এবং মির্জাপুর হবে বিন্ধধাম। সেকারণেই যোগীর এই নয়া ট্যুইটে লখনউ-এর নাম বদল নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। 

     

  • Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Tripura bypoll) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন চার আগরতলা, বরদোয়ালি, যুবরাজনগর আর সুরমা কেন্দ্রে উপনির্বাচবন হবে। ২৬ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

    কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে, উপনির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ জুন । মনোনয়ন স্ক্রুটিনী হবে ৭ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ৯ জুন। ২৩ তারিখ হবে ভোটগ্রহণ এবং ২৬ জুন হবে ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার কেন্দ্রে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। 

    বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস সাহা দলত্যাগ করায় যথাক্রমে ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে আগরতলা ও বরদোয়ালি আসন দুটি। সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। অন্য়দিকে, প্রবীণ সিপিএম বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ মারা যাওয়ায় যুবরাজনগর আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    উপনির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি৷  বিজেপির ত্রিপুরা ইনচার্জ তথা সাংসদ বিনোদ সোনকর ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক সেরেছেন। আগামী বছর দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, এই উপনির্বাচনকে সেমি-ফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছে গেরুয়া-শিবির। 

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন ত্রিপুরার নব-নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Tripura CM Manik Saha)। সম্প্রতি, বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) পরিবর্তে তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই উপনির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে, ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন তাঁকে জিতে আসতে হবে। 

    নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি, ত্রিপুরা পুরভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে দল। ত্রিপুরার মানুষ খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। তা সত্ত্বেও, উপনির্বাচনে যে তৃণমূল লড়াই করতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। সাংসদ তথা উত্তর পূর্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি৷ ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতর খোলা হবে৷’ তৃণমূল সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে লড়াই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আলোচনাও চলছে৷

    ত্রিপুরার (Tripura) চার কেন্দ্রের পাশাপাশি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ওইদিন। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের আত্মাকুর, দিল্লির রাজিন্দর নগর এবং ঝাড়খণ্ডের মাদার বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। এই তিন আসনের ভোটগ্রহণও হবে ২৩ তারিখেই।

  • China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েন অব্যহত। তার মাঝেই ভারতীয় সেনা জানাল, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। 

    অরুণাচলের সীমান্তের ঠিক ওপারেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA)-র নির্মাণ কাজ চালানোর খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে প্রতিবেশী দেশ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নির্মাণ চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতি উপস্থিত হলে সেনাদের দ্রুত সীমান্তে নিয়ে আসা।’’   

    সেনা কর্তা আরও জানান, “আমরা বিষয়টির ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছি। পরিকাঠামোগত উন্নতিতেও নজর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।” কিছুদিন আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিরক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত ২০২০-২১ সালে যেখানে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৫৫.১২ কোটি, এখন ২০২১-২২ সালে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০২.৩০ কোটি টাকা।

    পাকিস্তানের থেকেও এই মুহূর্তে চিনকে বেশি ক্ষতিকারক মনে করছে ভারতীয় সেনা। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনার ডিভিশন সরিয়ে আনা হয়েছে চিন সীমান্তে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ৬টি ডিভিশনকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করেছে। সেনাবাহিনী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আজকের নয়, বিগত দুবছর ধরেই চলছে এই কাজ।   

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্থানান্তরিত হওয়া সেনা ডিভিসনের মধ্যে একটি পাক সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের কাজে মোতায়েন ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুরস্থিত গজরাজ কোরের অধীনে আসামের ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই সেনা ডিভিশনকেও লাদাখ সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে এক সেনা ডিভিশনকে চিন সীমান্তে সরানো হয়েছে। এছারা লাদাখ সেক্টর থেকে একটি সেনা ডিভিশন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঠানো হয়েছে। 

    সাম্প্রতিক সময়ে চিন একতরফা ভাবে ভারতে আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে। যেকোনওদিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কাতেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই সেনা স্থানান্তরিত করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকেও নজর দিয়েছে তারা। 

     

  • Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের (Udaaipur Tailor Murder) সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। উদয়পুর দর্জি খুন নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস নেতা এবং রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। বৃহস্পতিবার সচিন বলেন, “এরা মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। খুনের নৃশংসতায় সবাই হতবাক। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তাদের বিচার হবে এবং খুব শীঘ্রই শাস্তি দেওয়া হবে। বিষয়টি গোটা দেশের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে।” 

    আরও পড়ুন: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে 

    জয়পুরে সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই এমন মন্তব্য করেছেন সচিন পাইলট। উদয়পুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবারই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিন সচিন জানান, রাজস্থান পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে। ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  দর্জি খুনের ঘটনায় পাকিস্তান যোগ রয়েছে, এই দাবি আগেই করেছেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন্দ্র যাদব ৷ 

    সচিন পাইলট এদিন আরও বলেন, “পাঞ্জাব, কাশ্মীরের মতো রাজস্থানও সীমান্ত রাজ্য। এই ঘটনায় সীমান্তের ওপারের যদি কোনও যোগ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা বিষয়টির শেষ অবধি যাব। অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদেরও রেয়াত করা হবে না।” 

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা মৃতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এই বিষয়ে কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে বর্ষীয়ান আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

    নুপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরে  কানহাইয়া লাল সাহু নামের এক দর্জিকে দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতিরা। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও- ও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।  

    ঘটনাকে জঙ্গি আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot)। তিনি জানিয়েছেন, “এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠন জড়িত ৷ দোষীদের অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে এবং সে বিষয়ে কোনও দেরি করা হবে না।”

     

  • Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসে এবার আদিবাসী কোনও মহিলাকে বসিয়ে চমক দিতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ফের কোনও মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে পারে দেশ।

    ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হবে রামনাথ কোবিন্দের। তাই শাসক তো বটেই বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৎপরতা। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপিকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উজিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা সম্মিলতিভাবে যাতে প্রার্থী দেয়, সেই জন্যই ওই তৎপরতা।

    বিরোধীরা যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তা টের পেয়েছে দেশের শাসক দলও। হাত গুটিয়ে বসে নেই তারাও। একটি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ কয়েকদফা আলোচনা শেষে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নামের একটি তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। এই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি ওড়িষার বিজেপি নেত্রী। এক সময় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার চেষ্টা করছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বিরোধীদের আদিবাসী-বিরূপতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেবে বিজেপি। তাছাড়া, চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাত সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। দ্রৌপদীকে রাইসিনা হিলসে পাঠানো গেলে ওই রাজ্যগুলির আদিবাসী ভোট এসে পড়বে গেরুয়া ঝুলিতে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যার সুফলও ফলবে বলে দাবি শাসক শিবিরের।

    দ্রৌপদী ছাড়া আরও একজন রয়েছেন রাইসিনা হিলসের দৌড়ে। তিনি গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দী বেন প্যাটেল। বর্তমানে তিনি যোগীরাজ্যের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন। তবে চব্বিশের মহারণের আগে দ্রৌপদীকেই রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ (NIA)। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ইয়াসিন।

    কে এই মালিক: ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা মাইসুমায় জন্ম ইয়াসিন মালিকের।  তার দাবি ছিল, ১৯৮০ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (Indian security Forces) সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে। এরপর তালা পার্টি গঠন করে সে, পরে যার নাম হয় ইসলামিক স্টুডেন্টস লিগ৷ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় শ্রীনগরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে মালিক। সেই সময় মালিককে গ্রেফতার করা হয়। চার মাসের জন্য জেলও খাটে মালিক। ১৯৮৮ সালে ইয়াসিন মালিক নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে।

    জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান: পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) চেয়ারম্যান হয় মালিক। মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের (armed terrorism) নেতৃত্ব দেয় সে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বিরুদ্ধে সহিংসতার নেতৃত্বদানকারী প্রাথমিক ব্যক্তিত্বদের একজন মালিক। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের (Mufti Mohammed Sayeed) কন্যা রুবিয়া সইদকে অপহরণের নেতৃত্বও দেয় ইয়াসিন।

    ১৯৯০ সালে চারজন সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল সে। ওই বছর অগাস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি হয় মালিক। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল হিংসা ত্যাগ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করবে মালিক। ১৯৯৫ সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিবাদ করে সে। তার দাবি ছিল, গণতন্ত্রের নামে কাশ্মীরিদের উপর নির্বাচন চাপিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের মামলা: অভিযোগ, দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফ। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে ইন্ধন জোগাচ্ছিল তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনের। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মে ইন্ধন ছিল তাদের। তাই ২০১৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা (separatist leader) ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করা হয় মালিককে। 

    ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (terror activitieds), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against government), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিল ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।

  • Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) রয়েছে, সেখানে এক সময় মন্দির ছিল। ১৯৩৬ সালের একটি হলফনামায় এই তথ্য মিলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরেই ছিল হিন্দু উপাসনার স্থান।

    হলফনামা অনুযায়ী, মসজিদের পূর্বদিকে অবস্থিত পিপুল গাছের নীচে আমরা গঙ্গেশ্বরের পুজো করি। এরপর আমরা রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পুজো করি। ভিয়াস যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমরা আবার প্রাঙ্গনে আসি। গৌরীশঙ্কর নামে পরিচিত শিব এবং দশরথের যুগল মূর্তিও পুজো করি।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    পিটিশনের একটি অংশে লেখা, এর পরে আমরা গৌরী শঙ্করের মূর্তির কাছে তারকেশ্বর, তার পরে নন্দ কেশবস, তারপর মহাকালেশ্বর চবুতরের ওপর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পিপুল গাছের নীচে, তারপর জ্ঞানবাপী কূপ, তার পর মাদাদি পঞ্চ বিনায়ক নামে পরিচিত গণেশজির পুজো করি। তারপর তৃতীয় পিপুল গাছের নীচে মহেশ্বর, তারপরে মুক্তেশ্বর যা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি লুকানো জায়গা, তারপরে আমরা শ্রীঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করি…।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    সিভিল মামলায় এই এলাকাটি ওয়াকফ (Wakf) সম্পত্তির অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। মামলার বাদী পক্ষ জানায়, মন্দিরের জমিতে তৈরি করা কোনও কাঠামোকে মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা ভারতে মুসলমান শাসনের শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি ও মন্দিরের উল্লেখ করেছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারত সরকারও নোটে উল্লেখ করেছিল, অমুসলিমরাও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ওই জমি ব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক

    সোমবার বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court) শুনানি শেষ হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi Viswanath temple)-জ্ঞানবাপী মসজিদ  মামলার। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

    প্রসঙ্গত, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদ কমিটির দাবি, দীর্ঘকাল মসজিদটি এই এলাকায়ই রয়েছে। যদিও হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বনাথের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। সম্প্রতি মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তির দাবি, ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষা (Videography survey) করার সময় মসজিদের ওজুখানার (Wuzukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে। তার পরেই ওজুখানা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

     

LinkedIn
Share