Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) মিলল ‘শিবলিঙ্গ’ (Shivling)। অন্তত এমনই দাবি হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্যের। তাঁর দাবি, এই মামলায় চূড়ান্ত প্রমাণ মিলেছে।

    বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে বিতর্ক। বিতর্কের অবসানে গড়া হয় কমিটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষমেশ বারাণসী কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে (ASI) দায়িত্ব দেয়। দিন আগে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফি করতে যান আদালত কর্তৃক নিয়োজিত কয়েকজন। মসজিদ কমিটি তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে সুপ্রিম কোর্টে মসজিদ সার্ভের কাজ বন্ধ করার দাবি জানান প্রবীণ আইনজীবি হুজেফা আহমদি। কিন্তু অঞ্জুমান ইনতেজামিয়া মসজিদ কমিটির তরফে করা সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত।

    হিন্দু সংগঠনের দাবি, এক সময় ওই এলাকায় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri Temple)। সেখানে পুজোর আবেদনও জানিয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। বছর খানেক আগে প্রার্থনার জন্য এলাকাটিতে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই চত্বরে আরও দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এপ্রিল মাসে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় বারাণসী আদালত। দিন কয়েক ধরে চলছিল ভিডিও সার্ভের  (Videography survey) কাজ।

    মসজিদ কমিটির বাধার জেরে প্রথমে বন্ধ হয়ে গেলেও ফের শুরু হয় ভিডিওগ্রাফি সার্ভের কাজ। এদিন সেখানে শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি হিন্দুদের আবেদনকারীর।

    আরও পড়ুন : উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    আর্য বলেন, যে এলাকায় ভিডিও সমীক্ষার কাজ হচ্ছিল, সেখানকার একটি কুয়োয় শিবলিঙ্গ মিলেছে। শিবলিঙ্গটি নন্দীর প্রতীক্ষায় রয়েছে। যে মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখনই উপস্থিত জনতা হর হর মহাদেব ধ্বনি দিতে থাকে। ঘটনার পরে ম্যাজিস্ট্রেটকে এলাকাটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ মন্দিরের গায়েই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, বিশ্বেশ্বরের এই মন্দির বিদেশি হানাদারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকবার। ১৬৬৯ সালে মূল মন্দির দখল করে জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) তৈরি করেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। এখনও মসজিদের গায়ে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় বলে দাবি হিন্দু সংগঠনের। অষ্টাদশ শতকে হিন্দুদের আবেগকে মান্যতা দিয়ে মসজিদের কাছেই আজকের বিশ্বনাথ মন্দিরটি তৈরি করেন মারাঠা রাজ্য মালওয়ার রানি অহল্যাবাই হোলকর।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

     

  • PM Kisan: ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    PM Kisan: ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) ১১তম কিস্তির ২০০০ টাকা প্রদান করল কেন্দ্র। ‘ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার’-এর (Direct Bank Transfer) মাধ্যমে দেশের ১০ কোটির বেশি কৃষকের কাছে সবমিলিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে যাবে।

    আপনি কি এই প্রকল্পের আওতায় পড়েন? তাহলে আজই আপনার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেতে পারে টাকা। যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে একটি মেসেজ আসবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন টাকা ঢুকল কি না। কিন্তু কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কোনও কারণে যদি মেসেজ না ঢোকে তাহলেও নিরাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই।

    প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির দশম কিস্তির টাকা ১ জানুয়ারি পেয়ে গিয়েছেন কৃষকরা৷ এই প্রকল্পে বছরে তিনটি কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করে থাকে কেন্দ্র সরকার ৷ হিসেব অনুযায়ী, বছরে ৬০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয় কৃষকদের ৷ 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পিএম কিষান প্রকল্পের কিস্তির টাকা বিতরণ করবেন মোদি, জানুুন বিস্তারিত

    কী করে জানবেন আপনার অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির টাকা ঢুকল কিনা?  

    ১) প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmkisan.gov.in-তে যেতে হবে।

    ২) ডানদিকের ‘Farmers Corner’-এ ‘Beneficiary Status’ ট্যাবে ক্লিক করুন। ‘Aadhaar number’, ‘Account number’ বা ‘Mobile number’ বেছে নিন। যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নিয়ে সেইমতো আধার কার্ডের নম্বর বা অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিন।
     
    ৩) তারপর ‘Get Data’-য় ক্লিক করুন।

    ৪) ব্যাস। তাহলেই আপনি জানতে পারবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টে একাদশ কিস্তির ২,০০০ টাকা জমা পড়েছে কিনা। 

    এছাড়া পিএম কিষানের হেল্প লাইন নম্বরেও কল করা যেতে পারে। নম্বরদুটি হল 155261 / 011-24300606। 

    এবিষয়ে জেনে নিন আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

    কী করে জানবেন যে এই প্রকল্পে আপনি টাকা পাবেন কিনা?

    সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা পঞ্চায়েতে গেলেই দেখা যাবে। সেখানেই দেখে নিতে পারবেন আপনার বা আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের নাম সেই তালিকায় আছে কিনা। এছাড়া PIV-Kisan পোর্টালে Farmers Corner- এ গিয়েও দেখা যাবে।  

    একই জমিতে যদি আলাদা- আলাদা কৃষক পরিবারের নাম যুক্ত থাকে তাহলে কী আলাদা টাকা পাওয়া যাবে?

    হ্যাঁ। যদি তারা এই প্রকল্পের অন্যান্য যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাহলেই সেই জমির এক একজন মালিক বছরে ৬ হাজার টাকা করে পেতে পারেন।  

    এই প্রকল্পে কী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক? 

    হ্যাঁ। যেহেতু প্রকল্পের টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে, তাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। 

     

     

     

  • Char Dham yatra: “কোমর্বিডিটি থাকলে…”, চারধাম পুণ্যার্থীদের বিশেষ পরামর্শ উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের

    Char Dham yatra: “কোমর্বিডিটি থাকলে…”, চারধাম পুণ্যার্থীদের বিশেষ পরামর্শ উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারধাম যাত্রার প্রথম ছয় দিনের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই খবর সামনে আসার পরই শরীর পুরোপুরি সুস্থ না থাকলে চারধাম যেতে নিষেধ করলেন উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শালিজা ভাট। অনেক উচুঁতে ওঠায় সোমবার আরও ৪ তীর্থযাত্রীর হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এঁরা চারজনেই মারা যান। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ ছুঁল।

    ভাট এদিন আরও জানান, চারধাম যাত্রা প্রতিটি ভারতীয়ের মনেই ভিন্ন রোমাঞ্চ নিয়ে আসে। যুগ যুগ ধরে ভক্তরা এই তীর্থপথে আসেন পুণ্য লাভ করতে। গত বছর করোনার কারণে চারধাম যাত্রা হয়নি। ব্যাহত হয়েছিল তার আগের বছরেও। এ বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ৩ মে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। চারধাম– কেদার, বদ্রী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী মানুষকে সবসময় টানে। তবে শরীর-স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপোষ করে লাভ হয় না।  কেউ যদি যাত্রাকাল পিছোতে না চান তাহলে যাত্রা শুরু আগে চিকিৎসকের সম্মতি প্রয়োজন। পর্যটন দফতর থেকেই এই অনুমোদনপত্র চাওয়া হবে, বলে জানান ভাট। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধান সিং রাওয়াত নিজে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। জরুরি অবস্থার জন্য অ্যাডভান্স সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

     

  • Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতিপথ বদল করে অন্ধ্র উপকূলের কাঁকিনাড়ার কাছে ডাঙা ছোঁবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছিল, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) সমুদ্রেই থাকবে। স্থলভাগে প্রবেশ করবে না। কিন্তু এদিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তিক্ষয় করে সাময়িক ভাবে স্থলে প্রবেশ করে, কিছুক্ষণ থেকে আবার সমুদ্রে ফিরে যাবে ‘অশনি’।

    বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra pradesh) উপকূল জুড়ে এই মর্মে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রওনা হওযা অধিকাংশ বিমান বাতিল (Flights cancelled) করা হয়েছে। বাতিল হয়ছে প্রায় ৪০টি ট্রেন (trains cancelled)। এমনকি পূর্বনির্ধারিত বোর্ডের পরীক্ষাও জরুরি পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তবে মৌসম ভবন কিছুটা আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন সেটির তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলে বড় ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালে অন্ধ্র উপকূলে ঢোকার কথা ‘অশনি’র। তারপর সেটি মছলিপুরম, নরসাপুর, ইয়ানম, কাঁকিনাড়া, টুনি হয়ে ফের সমুদ্রে ফিরবে।

    আবহাওয়া ব্যুরোর এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘উপকূলের দিকে আপাতত ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এগোচ্ছে অশনি। তবে যত দ্রুত তার শক্তি ক্ষয় হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘গত কয়েক ঘণ্টায় ঝড়ের আকৃতি ছোট হয়েছে তাতেই কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে সেটি।’’ বুধবার সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘অশনি’ প্রভাবে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় অশনির জেরে পশ্চিমবঙ্গে বিপদের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া) বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে।  কলকাতা-সহ বাকিগুলি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে লাগাতার বর্ষণ হবে না। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বিশেষত আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টির প্রাবল্য বেশি থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় উত্তরবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে দখিনা বাতাস ঢুকছে। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টি হবে। 

  • Gyanvapi Mosque Update: শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    Gyanvapi Mosque Update: শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জ্ঞানবাপী মসজিদ(gyanvapi mosque) এলাকায় মিলল শেষনাগের দেখা! অন্তত এমনই দাবি আইনজীবি অজয় কুমার মিশ্রের(ajay kumar Mishra)। তাঁর দাবি, ফনা উঁচিয়ে শেষনাগ(sheshnag) রয়েছে, এমন একটি ভাস্কর্যের হদিশ মিলেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের আরও কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তির সন্ধানও মসজিদ(mosjid) চত্বরে মিলেছে বলে দাবি ওই আইনজীবীর।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের। বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভাঙা হয়েছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে। পরে রানি অহল্যাবাই মসজিদের অদূরে পুননির্মাণ করে বিশ্বনাথের মন্দির। যে মন্দির আজও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ যে মন্দির ভেঙেই নির্মাণ করা হয়েছিল, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন। তার পরেই মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেয় বারাণসী জেলা আদালত। তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করে আদালত নিযুক্ত সংস্থা। ভিডিওগ্রাফির কাজ তদারকির জন্য নিয়োগ করা হয় অ্যাডভোকেট কমিশনার। অজয় কুমার মিশ্রকেই ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই কারণ নয়, তথ্য ফাঁসের অভিযোগে পরে সরিয়ে দেওয়া হয় অজয় কুমারকে। দিন কয়েক আগে হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্য দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকার ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের প্রমাণ মিলেছে। তার পরেই আদালতের তরফে জলাশয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসককে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    সোহন লালের পর এবার অজয় কুমারের দাবি, মসজিদ চত্বরে শেষনাগের প্রতিমূর্তির সন্ধান মিলেছে। এই মর্মে আদালতে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন অজয় কুমার। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ এলাকায় ব্যারিকেডের বাইরে মন্দিরের পুরানো ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। ওই মন্দিরে হিন্দু দেবদেবীর ভাস্কর্য ও পদ্মের নিদর্শনও রয়েছে। রয়েছে শেষনাগের পাথরের ভাস্কর্যও। নাগফনার দেখাও মিলেছে। মন্দিরে কয়েকটি স্ল্যাবও দেখা গিয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, এটি একটি ভবনের অংশ। সিঁদুর মাখানো চারটি মূর্তিও দেখা গিয়েছে। মন্দিরে নিত্য প্রদীপ জ্বালানো হত বলেও দাবি রিপোর্টে।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ওঠায় আদালতের নির্দেশে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যাতে পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  

    আরও পড়ুন : কড়া নিরাপত্তায় ফের শুরু জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ

     

     

  • Gyanvapi Masjid: অ্যাডভোকেট কমিশনারের অপসারণের দাবি তুলল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

    Gyanvapi Masjid: অ্যাডভোকেট কমিশনারের অপসারণের দাবি তুলল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আদালত নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনারকে (Advocate Commissioner) সরনোর দাবি তুলল কাশীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid committee)। শনিবার এ ব্যাপারে আদালতে আবেদনও জানিয়েছে তারা। আদালত অজয়কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে মসজিদ কমিটির তরফে।

    বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid)। এখানে প্রতিদিন পাঁচবার নমাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। ১৯৯১ সালে বারাণসীর দায়রা আদালতে মসজিদ নিয়ে কয়েকটি আবেদন করা হয়েছিল। একটি আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদটি যে জায়গায় রয়েছে, সেখানে আগে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ছিলন(mosque in Varanasi)। পুজো করা হত শৃঙ্গার গৌরীর। মুঘল শাসকরা মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করে।

    তাই জ্ঞানবাপী মসজিদটি খালি করে তা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী-শৃঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির কাজ। এই কাজ তদারকির জন্য আদালত অজয়কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন মসজিদ কমিটির লোকজন।

    মসজিদ কমিটির অভিযোগ, সমীক্ষা চালানোর সময় মসজিদের বাইরে দুটি আবছা কিন্তু সুস্পষ্ট স্বস্তিক চিহ্ন তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন বলে কমিশনারের দলের ভিডিওগ্রাফাররা দাবি করেন। সমীক্ষক দলের মতে, স্বস্তিক চিহ্নগুলি সম্ভবত প্রাচীনকালে তৈরি হয়েছিল।

    এই দাবির পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে সমীক্ষার কাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। মসজিদ কমিটির দাবি, আদালত কমিশনার পক্ষপাতিত্ব করছেন। কমিটির তরফে জানানো হয়, আমরা কোর্ট কমিশনারকে সরানোর দাবি আদালতে জানিয়েছি। তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। কোর্টে শুনানির পর যে রায় হবে, আমরা সেই মতো চলব।

     

  • Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে ইদের উপহার কিনে দিতে নিজের গলার সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন তেলাঙ্গানার খুন হওয়া হিন্দু যুবক। উপহার কেনার আগেই অবশ্য স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ওই যুবক। কৃষ্ণবেশে স্বামীর একটা ছবিই আপাতত বুকে জড়িয়ে ধরে লাগাতার কেঁদে চলেছেন আসরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী। এতদিন পতিগৃহে যাত্রা করতে না পারলেও, এখন পেরেছেন। যতদিন বাঁচবেন স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোথাও নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বছর পঁচিশের ওই তরুণী।

    ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলাঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু যুবক বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ের পরে পরেই গা ঢাকা দেন নবদম্পতি। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে সুলতানার এক ভাই ও তার বন্ধু। সেদিনের সেই নৃশংসতার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুলতানার। তিনি বলেন, কয়েকটা মুহূর্তের মধ্যেই অন্তত ৩০-৩৫ বার লোহার রড দিয়ে আমার ভাই ও তার এক বন্ধু নাগরাজুর মাথায় আঘাত করছিল। সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল। সাহায্যের জন্য অনুনয়-বিনয় করলাম। সবাই খুনের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতেই ব্যস্ত। কেউ সাহায্য করল না আমাকে। চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা গেল আমার স্বামী।

    আরও পড়ুন : ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    নাগরাজুর মৃত্যুর পরে স্বামীর ভিটেয় ফিরে এসেছেন সুলতানা। স্বামীর পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়াতেই তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এদিক-সেদিক। নাগরাজুর মৃত্যুর পরে তাঁর শোকে কাতর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতেই ভিটেয় ফিরেছেন সুলতানা। স্বামীর একটি ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে চলেছেন অনর্গল। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করলেও, তিনি যে স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোত্থাও যাবেন না, কান্নাভেজা গলায় তা জানিয়ে দিয়েছেন ভিন ধর্মের ওই তরুণী।

    নাগরাজু যে তাঁকে কত ভালবাসতেন, কাঁদতে কাঁদতে বারবার সেকথাই বলছিলেন সুলতানা। তিনি জানান, তাঁকে ইদের উপহার কিনে দিতে চারমিনারে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন নাগরাজু। সেজন্য গলার দামি সোনার চেনটা মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিক্রিও করে দিয়েছিলেন। সেই টাকা এনে তাঁর হাতে দিয়েওছিলেন স্বামী। তারপর…। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন সদ্য বিধবা তরুণী। ওড়নার আঁচল দিয়ে কান্না রোধের নিষ্ফল চেষ্টাও করতে দেখা যায় তাঁকে।    

  • Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভিসা মামলায় বিপাকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে তথা তামিলনাড়ুর সাংসদ কার্তি চিদম্বরম (Karti Chidambaram)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে কার্তিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সিবিআই সদর দফতরে ঢোকার সময় কার্তি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলাই ভুয়ো। তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভুয়ো।’’

    সিবিআই সূত্রের খবর, চিদম্বরম এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, চিদম্বরম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে পঞ্জাবে বেদান্ত গোষ্ঠীর একটি প্রকল্পে কাজের জন্য ২৬৩ জন চিনা নাগরিককে টাকার বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি।

    এই অভিযোগের জেরে গত সপ্তাহে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শুধু তাই নয়, কার্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী এস ভাস্করমণকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভাস্করমণকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কার্তিকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।

    যদিও কংগ্রেস (Congress) সাংসদের সাফ কথা, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আমি জীবনে একজন চিনা নাগরিককেও ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করিনি।” কার্তির অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধী বলেই কেন্দ্র সরকার তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করছে।

    আরও পড়ুন: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    প্রসঙ্গত, এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। তার আগে ২০১৭ সালে সিবিআই ওই মামলায় কার্তিকেও গ্রেফতার করেছিল।

  • Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin Malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতের তরফে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life term) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার (Act of war) অভিযোগ এনে ইয়াসিন মালিকের ফাঁসির দাবি করেছিল এনআইএ। ফাঁসি না হলেও ওই অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বুধবার প্রাক্তন জেকেএলএফ (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিক আদালতে বলেন, ‘কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানির হত্যার ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। তার জোরেই আমি যে কোনও মন্তব্য করতে পারি। আমি কোনও ক্রিমিনাল নই।’ 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, সেই তালিকায় রয়েছে– কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়ন। ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকজন অফিসারকে হত্য়া। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকালপে মদত। জঙ্গিদের আর্থিক মদত। হুরিয়ত কন্ফারেন্স, হিজবুল মুজাহিদিন, দুক্তার-ই-মিল্লাত এর মতো সংগঠন উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য টাকা তুলেছিল। তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ইয়াসিনের।

    এনআইএ-র দাবি, হুরিয়ত (Hurriyat) নেতাদের সঙ্গে মালিক তৈরি করেছিল জয়েন্ট রেজিস্টান্স নামে একটি সংগঠন। তারাই কাশ্মীরে বন‍্‍ধ, প্রতিবাদ সভা, রাস্তা রোখার মতো কার্যকলাপ করত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই টাকা ইয়াসিন বিলি করত পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে। এনআইএর চার্জশিটে নাম রাখা হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন। 

    আরও পড়ুন: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    আদালতে ইয়াসিন মালিক দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের পর অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তিনি অহিংস রাজনীতির পথেই রয়েছেন। দেশের ৭ প্রধানমন্ত্রীর সময়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে অস্ত্রত্যাগের পর থেকে মহাত্মা গান্ধীর নীতি মেনে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই এগিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কাশ্মীরে অহিংস রাজনীতিরই অংশ আমি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা প্রমাণ করুক কোনও হিংসার বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে আমি জড়িত কিনা! রাজনীতি থেকে অবসর নেব, মৃত্যুদণ্ডও মাথা পেতে নেব।”

    এদিকে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরে কাশ্মীরে বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কোথাও যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয় সেকারণে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপত্যকায়।  ইতিমধ্য়েই কাশ্মীরের কিছু এলাকায় বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, অশান্তির আশঙ্কায় জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • Udaipur Killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন

    Udaipur Killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur Case) ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোড়ন পড়েছে গোটা দেশ জুড়ে। রাজস্থান পুলিশের পাশাপাশি উদয়পুর হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুর শহরের ধানমান্ডি এলাকায় দোকানে ঢোকে কুপিয়ে খুন করা হয় কানহাইয়া লাল তেলিকে ৷ গোটা ঘটনা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া ৷ এই খুনের দায়ে ধৃত মহম্মদ গাউসের সঙ্গে যোগ ছিল পাকিস্তানের চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামের। 

    ১৯৮১ সালে পাকিস্তানের করাচিতে দাওয়াত-ই-ইসলামির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মওলানা ইলিয়াস আত্তারি। সুন্নি মুসলিমদের এই সংগঠন নিজেদের নবী মহম্মদের বাণী প্রচারকারী একটি অলাভজনক সংস্থা বলে দাবি করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৯৪টি দেশে এই সংগঠন ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তারি যোগ করেন। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজও তার নামের সঙ্গে আত্তারি ব্যবহার করেন।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    ১৯৮৯ সালে পাকিস্তান থেকে এই সংগঠনের প্রতিনিধি দল ভারতে প্রবেশ করে। আলোচনার মাধ্যমে ভারতে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে মুম্বই ও দিল্লিতে এই সংগঠনের দফতর ছিল। সংগঠনের শীর্ষ নেতা সৈয়দ আরিফ আলি আত্তারি ভারতে প্রভাব বিস্তারের জন্য চেষ্টা করছে। দাওয়াত-ই- ইসলামির মতাদর্শ প্রচারের জন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। মাদানি নামের এই টেলিভিশন চ্যানেলে উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলাতে অনুষ্ঠান প্রচার করে। নবীর জন্মদিনে এই সংগঠনটি মুসলিম প্রধান অঞ্চলে মিছিল বের করে।

    গত তিন দশকে দাওয়াত-ই-ইসালামির বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই সংগঠন শরিয়া প্রচারের জন্য ৩২টি ইসলামিক কোর্স চালু করেছে। এই কোর্সগুলো অনলাইনেও করা যায়। অভিযোগ, এই কোর্সের মাধ্যমে দাওয়াত-ই-ইসলামি ধর্মান্তরিত করার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়। কট্টর মুসলিম তৈরি করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত এই সংগঠনের উগ্র প্রচারক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। খুনের পর দুই অভিযুক্ত আজমির শরিফ যাচ্ছিল বলে সন্ত্রাস দমন শাখার পুলিশ জানিয়েছে।

LinkedIn
Share