Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nirmala Sitharaman: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    Nirmala Sitharaman: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর জন্য সরকারের ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানান, কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজকোষ। পেট্রল-ডিজেলের দাম (fuel tax) কমার একমাত্র রাস্তা ছিল শুল্কের হার কমানো। অবশেষে কেন্দ্র সেই রাস্তাতেই হাঁটল। নভেম্বরে শেষবার শুল্কের হার কমানো হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী জানান, এই ভর্তুকিতে রাজ্যের আমদানি শুল্কের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। পুরোটাই সেস থেকে প্রাপ্ত কেন্দ্র সরকারের টাকা থেকে দেওয়া হবে। পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কেন্দ্র এক্সাইজ ডিউটি কমাতেই সস্তা হচ্ছে জ্বালানি । পেট্রলের উপর থেকে ৮ টাকা ও ডিজেলের উপর থেকে ৬ টাকা এক্সাইজ ডিউটি কম করেছে কেন্দ্র। 

    সূত্রের খবর, এক্সাইজ ডিউটি কমানোর ফলে লিটার পিছু পেট্রল সস্তা হবে সাড়ে ৯ টাকা। অন্যদিকে সস্তা হবে ডিজেলও। প্রতি লিটার পিছু ডিজেলের দাম কমবে প্রায় ৬ টাকা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে প্রায় ৯ কোটি গ্রাহকের মুখে হাসি ফুটবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে সাধারণ মানুষের কাঁধ থেকে দৈনন্দিন খরচের বোঝা লাঘব করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

    কেন্দ্র সরকার দু’দফা শুল্ক কমানোর পরই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর কথা জানায়। পেট্রল-ডিজেলের ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছে  তারা। দেশের একমাত্র বাম শাসিত রাজ‌্য কেরল (Kerala) দুই জ্বালানি তেলের উপর যথাক্রমে ২.৪১ টাকা এবং ১.৩৬ টাকা কর কমিয়েছে। একই পথে হেঁটেছে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানও। রাজস্থানে (Rajasthan) লিটারপ্রতি পেট্রলে ভ্যাট কমানো হয়েছে ২ টাকা ৪৮ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি কমেছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। বাকি বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। মহারাষ্ট্র,বাংলা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে পেট্রল-ডিজেলের দাম বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলির থেকে ১০-১২ টাকা করে বেশি। 

  • Swiggy Drone Delivery: চাল-ডাল-তেল-নুন দিয়ে যাবে ড্রোন

    Swiggy Drone Delivery: চাল-ডাল-তেল-নুন দিয়ে যাবে ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে হোম ডেলিভারি (Home Delivery) শুরু করতে চলেছে স্যুইগি (Swiggy)।

    চলতি মাস থেকেই তার ইনস্ট্যান্ট গ্রসারি (Instant Grocery) পরিষেবা, ইনস্টামার্ট (Instamart)-এর জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোন ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে অনলাইন ফুড-ডেলিভারি (Online Food delivery) সংস্থা স্যুইগি। তবে এই ড্রোন-ডেলিভারি পরিষেবাটি একেবারে সরাসরি গ্রাহকের ঘরে পণ্য পৌঁছে দেবে না। বরং তা দোকান থেকে পণ্য নিয়ে পৌঁছবে ডার্ক স্টোরে (Dark Store)।

    কী এই ডার্ক স্টোর? ডার্ক স্টোর হল এমন এক জায়গা যা গ্রাহকের বাড়ির কাছে। সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে গ্রাহকের বাড়ি পৌঁছে দেবেন ডেলিভারি পার্সন। এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করবে হায়দরাবাদের সংস্থা মারুত ড্রোনটেক (Marut Dronetech)। মারুতের সঙ্গে আরও অনেক সংস্থাই এ কাজে স্যুইগিকে সাহায্য করবে।

    আপাতত রাজধানী দিল্লি (Delhi NCR) ও বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পরিষেবা শুরু করছে স্যুইগি। ড্রোনের মাধ্যমে Swiggy Instamart ডেলিভারি কতটা বাস্তব সম্মত তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শহরগুলির জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে Swiggy -র মতো কোম্পানি, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এতে কোনওভাবেই কোনও ডেলিভারি পার্সনের চাকরি যাবে না, বলে একটি ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে স্যুইগি। কারণ, বাড়ি বাড়ি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবেন ডেলিভারি পার্সনরাই।

    ডেলিভারি ড্রোন হল মনুষ্যবিহীন একটি বায়বীয় যান (UAV/Unmanned Aerial Vehicles)। এধরনের যান মূলত চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাদ্য এবং অন্য পণ্য পরিবহণে ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপদ্রুত এলাকায় মানুষের ত্রাণে এই ধরনের পরিবহণ করা হয়। স্যুইগির ক্ষেত্রে ড্রোনগুলি তার Instamart পরিষেবার অধীনে মুদি (Grocery) সামগ্রী সরবরাহ করতে ব্যবহার করা হবে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য চারটি ‘ড্রোন-অ্যাজ-এ-সার্ভিস’ (Drone-as-a-service) অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ডেলিভারির মধ্যস্তরে এই ড্রোন কেমন কাজ করছে তা পর্যালোচনা করে দেখবে স্যুইগি। ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে গত বছর ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক ২০টি সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে। 

  • India’s first 5G testbed: ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু 5G পরিষেবা, শতাব্দীর শেষেই 6G, জানালেন মোদি

    India’s first 5G testbed: ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু 5G পরিষেবা, শতাব্দীর শেষেই 6G, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম পরীক্ষামূলক ৫জি পরিষেবা (5G service) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। মঙ্গলবার টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (Telecom Regulatory Authority of India) বা “ট্রাই” (TRAI)-এর এক অনুষ্ঠানে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক প্রযুক্তির দিনে এই পরিষেবা দেশকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। চলতি দশকের শেষে ভারত ৬জি পরিষেবাও (6G service) চালু করতে সক্ষম হবে বলে জানান মোদি।

    দেশবাসীর ৫জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস ব্যবহারের আশাপূরণ করতে বিগত কয়েক বছর ধরে লাগাতার জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫জি-র আগমন ঘটলে ডেটা ডাউনলোডের গতি বাড়বে প্রায় ১০ গুণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক স্তরে এই পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালাতে খরচ হবে আনুমানিক ২২০ কোটি টাকা। আইআইটি মাদ্রাজের নেতৃত্বে দেশের আটটি সংস্থা এই পরিষেবা রূপায়ণে বড় ভূমিকা নেয়।

    [tw]


    [/tw]

    দেশের যুবসমাজ, গবেষক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে দেশজ এই পরিষেবা গ্রহণ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা দেশের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমান দিনে এই পরিষেবা প্রশাসনিক, ব্যবসায়িক এবং সামাজিক স্তরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি বলেন, নয়া প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করেই যাতে টেলিকম নেটওয়ার্কগুলি নতুন করে গড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মোদির কথায়,” এখন টেলিকম শুধু একটা সেক্টর নয়। প্রযুক্তি প্রতিটি সেক্টরকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করছে। তাই এখন সবাই কোলাবরেটিভ রেগুলেশন অর্থাৎ একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করার কথাই ভাবছে।” 

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দশকের শেষেই ভারতে চালু হয়ে যাবে ৬জি ইন্টারনেট (6G Internet) পরিষেবা। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তির উপর কাজ চলছে। একথা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়াররা নয়া প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। 

  • Smriti Irani: দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    Smriti Irani: দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। এতদিন ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বিজেপির (BJP) মুখতার আব্বাস নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল স্মৃতিকে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের পাশাপাশি এই মন্ত্রকটিও সামলাবেন স্মৃতি। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হয়েছে ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্ব।  

    ২০০৬ সালে মনমোহন সিংহের জমানায় সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ভেঙে তৈরি হয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। তার পর থেকে ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলে আসছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধি। মোদি সরকারের সময়ও ওই দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বিজেপির মুখতার আব্বাস নাকভি। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন মুখতার। তার পরেই ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্মৃতিকে। স্মৃতিই প্রথম অমুসলিম ব্যক্তিত্ব যাঁকে দেওয়া হল এই মন্ত্রকের দায়িত্ব। স্মৃতির আগে ছিলেন মুখতার আব্বাস নাকভি। তাঁর আগে ছিলেন নাজমা হেপতুল্লা। তাঁর আগে ওই মন্ত্রক সামলেছিলেন কে রহমান খান। তাঁরও আগে ছিলেন সলমন খুরশিদ। খুরশিদের পূর্বসূরি ছিলেন আবদুল রহমান আন্তুলে। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দিয়েছেন আরসিপি সিং-ও। তাঁর ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্যোতিরাদিত্যকে।

    আরও পড়ুন : মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা?

    অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্মৃতি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমাকে দেওয়া দায়িত্ব পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশসেবার সংকল্প জারি রাখব।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, সংঘ্যালঘু মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখতার। তিনি পদত্যাগ করায় মোদি মন্ত্রিসভায় এই সম্প্রদায়ের আর কোনও মুখ রইল না। তবে মুখতারকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দেওয়ার আগে মুখতার সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। তার পরেই তাঁর উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ছড়ায় জোর জল্পনা।

     

  • India restricts exports on Wheat: গমের পর আটা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

    India restricts exports on Wheat: গমের পর আটা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশে খাদ্যশস্য রফতানিতে জোর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যার জেরে দেশের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিনির রফতানিতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও কয়েকটি পণ্য। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, রফতানি করা যাবে না ময়দা (maida), হোলমিল আটা (wholemeal atta), রেজাল্টট্যান্ট আটা (ময়দা-সুজি তৈরির পর পরে থাকা আটা)। নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে। এই সব পণ্যের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (DGFT)।

    আরও পড়ুন: এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    দফতর সূত্রে খবর, DGFT গত ৬ জুলাই এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব সংস্থা তালিকাভুক্ত পণ্য রফতানি করে বা তালিকাভুক্ত পণ্য বিক্রি করে, তারা বিদেশে এই সব পণ্য রফতানি করতে চাইলে ডিজিএফটির (DGFT) আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি মিললে তবেই সেই পণ্য রফতানি করতে পারবে কোনও ভারতীয় সংস্থা।

    আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয়বার বিয়ে, এবার পাত্রী ৩২ বছরের কন্যা
     
    গত ১৪ মে ভারত সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে কোনও দেশের খাদ্য সুরক্ষার (Food Security) প্রশ্নে গম পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছিল ভারতের তরফে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম যাতে না বাড়ে এবং প্রবল গরমে যদি গম উৎপাদন ধাক্কা খায় তা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম রফতানিকারক। ফলে এই সিদ্ধান্তে চাপে পড়েছিল বিশ্বের একাধিক দেশ, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশও। ভারত রফতানি বন্ধ করতেই সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব বাজারে লাফিয়ে বেড়েছিল গমের দাম। 

     

  • West Nile Virus: নয়া ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি কেরলে, ভয় কি এখানেও?

    West Nile Virus: নয়া ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি কেরলে, ভয় কি এখানেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি, তারপর আবার টম্যাটো ফ্লু, মাঙ্কি পক্স। নয়া সংযোজন ‘ওয়েস্ট নাইল ফিভার’ (West Nile Fever)।

    রবিবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেরলে ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ১৭ মে থেকে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহের উপর জ্বর না কমায় তাঁকে ত্রিশূরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। জ্বর ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গও তাঁর শরীরে দেখা দিয়েছিল। হাসপাতালে পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের (West Nile Virus) দেখা মেলে। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালেও এই ভাইরাসের হানায় কেরলের কোকিঝোরে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।

    এই ঘটনায় কেরলবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মশাবাহিত এই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের (WNV) মোকাবিলায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কেরল প্রশাসন। কেরলের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মূলত RNA ভাইরাস। ফ্লাভিভিরিদে গোষ্ঠীর ভাইরাস এই ওয়েস্ট নাইল।  কিউলেক্স মশা এই ভাইরাস বহন করে। 

    আরও পড়ুন: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    চিকিৎসকদের একাংশের অনুমান, সঠিক সময় এই রোগের চিকিৎসা না হলে তা করোনার মতো মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। তাই এই বিষয়ে সতর্কতা গ্রহণের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তি যেখানে থাকতেন সেখানে একটা মেডিক্যাল টিমও পাঠিয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর।

    জেলা ভেক্টর কন্ট্রোল বোর্ড পরীক্ষার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা নিয়েছে। স্থানীয় মশার প্রজনন স্থানগুলি ধ্বংস করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেন, “সব জায়গায় মশার প্রজনন স্থানগুলি ধ্বংস করতে সচেষ্ট সরকার। সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়ির আশেপাশে ও আবাসিক এলাকাগুলি পরিষ্কার করা উচিত। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না।”

    সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের (Centre For Disease Control) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকাতেই প্রথম এই ভাইরাস মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। মশার কামড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও তা প্রথম বহন করে আনে পাখিরা। চক্রাকারে ছড়িয়ে দেয় এই ভাইরাস।

    এছাড়াও কেবলমাত্র মানুষ নয়, অন্য স্তন্যপায়ীরাও এই ভয়ংকর ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। মশার কামড়ের পাশাপাশি রক্ত এবং টিস্যু থেকেও ছড়িয়ে পড়ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এর অন্যতম কারণ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, রক্তদান, স্তন্যপানের দ্বারাও দেহে প্রবেশ করছে এই ভাইরাস।

    তবে একজন মানুষ থেকে অপরজনে সেটি সংক্রমিত হচ্ছে কিনা, তার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। যদিও মশাবাহিত রোগের চিকিৎসায় জড়িত অধিকাংশ ল্যাব টেকনিশিয়ানদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর।

  • Modi@8: “আমি প্রধানমন্ত্রী নই…”, অষ্টম বর্ষপূর্তিতে বড় মন্তব্য মোদির

    Modi@8: “আমি প্রধানমন্ত্রী নই…”, অষ্টম বর্ষপূর্তিতে বড় মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে (Modi@8) সিমলায় গরিব কল্যাণ সম্মলনের (Garib Kalyan Sammelan) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইউপিএ (UPA) সরকারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, “কোথা থেকে শুরু করেছিলাম তা মনে রাখা দরকার। তাহলে কোথায় পৌঁছেছি বোঝা যায়।”

    কংগ্রেস (Congress) জমানার ত্রুটিগুলি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “একসময় মানুষ ব্যঙ্গ করে সরকারের আটকি-লটকি-ভটকি প্রকল্পের কথা বলত। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন চর্চা হয়, সরকারি প্রকল্প থেকে পাওয়া সুবিধাগুলো নিয়ে। চর্চা হয় গরিবের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ পৌঁছনো নিয়ে।” ভারতের স্টার্টআপ সংস্থাগুলির বিকাশ নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা চলে। বিশ্বব্যাঙ্কও ভারতের ব্যবসা নিয়ে চর্চা করে, বলে জানান মোদি।

    মোদির কথায়, “২০১৪-এর আগে লুঠ, দুর্নীতি (corruption), পরিবারতন্ত্র, আটকে যাওয়া প্রকল্প-এসবই ছিল খবরের হেডলাইন। তৎকালীন সরকার দুর্নীতিকে সরকারি অংশ বানিয়ে ফেলেছিল। সরকারি প্রকল্পের অর্থ মানুষের কাছে পৌঁছনোর আগেই লুঠ হয়ে যেত। গরিবেরা অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারতেন না।” বিজেপি সরকার দুর্নীতি দমনে সচেষ্ট বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এখন গরিবেরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান প্রকল্পের সহায়তা পায়। 

    নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, “নিজেকে কখনও প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হিসেবে মনে করি না। যখন একাধিক ফাইলে সই করতে হয়, তখন পদে থাকার জন্য সেগুলি স্বাক্ষর করি। কিন্তু, ফাইলগুলি আমার দফতর থেকে চলে গেলেই আমি আর নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করি না। আমি প্রধানমন্ত্রী নই, ভারতের সেবক।” তাঁর আরও সংযোজন, ”১৩০ কোটি ভারতীয়র পরিবারের সদস্য আমি। প্রত্যেক ভারতীয়র মান, সম্মান, মর্যাদা রক্ষা করা আমার কাজ। তাঁদের সুরক্ষা আমার দায়িত্ব।”

    চলতি বছরের শেষে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Himachal Pradesh Assembly Elections)। তার আগে এদিন হিমাচল প্রদেশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, “তাঁর সরকার এখানকার হস্তশিল্পকে দেশ-বিদেশে পৌঁছে দিতে পেরেছে। কুলুতে তৈরি জ্যাকেট পৌঁছেছে কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে (Kashi Viswanath Temple), সেখানকার পুরোহিতরা তা পরছেন। বিলাসপুরে সরকার এইমস হাসপাতাল তৈরি করেছে। হিমাচলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ড্রোন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকারও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন সিমলার মল রোডে একটি রোড-শো (Modi roadshow) করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে দেখার জন্য রাস্তার দু’ধারে ছিল মানুষের ঢল। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরীর হাতে নিজের মায়ের ছবি দেখে বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। গাড়ি থামিয়ে রাস্তা নেমে পড়েন মোদি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেই মা হীরাবেনের ছবিটি গ্রহণ করেন তিনি। ওই কিশোরীর হাতে আঁকা ছবি নিয়ে তাঁর মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Maharashtra Political Crisis: যুদ্ধ চলছে! বিধায়কদের পর কাউন্সিলর, উদ্ধবের হাতছাড়া ঠাণে পুরসভা

    Maharashtra Political Crisis: যুদ্ধ চলছে! বিধায়কদের পর কাউন্সিলর, উদ্ধবের হাতছাড়া ঠাণে পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ অব্যাহত মহারাষ্ট্রে! শিন্ডে-সেনা (Shiv Sena)ও উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) শিব সেনার (Shiv Sena) লড়াই চলছেই। মহারাষ্ট্র সরকারের পর এ বার ঠাণে পুরসভার দখল হাতছাড়া হল উদ্ধবের। বৃহস্পতিবার ওই পুরসভার ৬৭ জন শিবসেনা কাউন্সিলরের ( মহারাষ্ট্রে যাঁদের কর্পোরেটর বলা হয়) ৬৬ জনই যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিবিরে। শিন্ডেদের দাবি,দ্রুত মুম্বই-সহ বিভিন্ন পুরসভার আরও কিছু শিবসেনা কর্পোরেটর তাঁদের সঙ্গী হতে চলেছেন। 

    উল্লেখ্য,সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের আগে এক সময়ে ঠাণে শহরেই অটো চালিয়েছেন শিন্ডে। থাকতেন শহরে টালির চালের একটি ছোট্ট ঘরে। এই এলাকা থেকেই অটোচালক থেকে নেতা হিসেবে উত্থান হয়েছিল একনাথের। আশির দশকে আনন্দ দীঘের হাত ধরে বাল সাহেব ঠাকরের দলে যোগ দেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই প্রথমবার ভোটে জিতে কাউন্সিলরও হন তিনি। পরবর্তীকালে এলাকার চারবারের বিধায়ক শিন্ডে। ফলে ওই শহরে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নাতীত। ঠাণে পুরসভার দখল নিয়ে এবার রাজ্য রাজনীতির নীচের তলাতেও ছড়ি ঘোরানোর কাজ শুরু করে দিলেন একনাথ। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে এবার ‘অটো-মার্সিডিজ’ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    প্রসঙ্গত, শিন্ডে-সেনার বিরোধিতায় গত ২৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন উদ্ধব ঠাকরে। এর একদিন পরেই ৪০ জন বিক্ষুব্ধ শিব সেনা বিধায়কের সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Maharashtra) হন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি (BJP) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Debendra Farnabish)। এখন শুধুই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব। তাঁর দলে প্রতিদিনই চলছে ভাঙনের পালা। বুধবারই শিবসেনার সংসদীয় দলে ভাঙনের আঁচ পেয়েছিলেন উদ্ধব। তাই তড়িঘড়ি শিন্ডে শিবিরের ঘনিষ্ঠ ভাবনা গওলীকে সরিয়ে লোকসভার চিফ হুইপ হিসেবে মনোনীত করেন রাজন বিচারেকে। ঠাণের সাংসদ রাজন শিন্ডে-বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। এরপরই শিবসেনার হাতছাড়া হল ঠাণে পুরসভা। শিবসেনার দখলে থাকা পুরসভাগুলির মধ্যে ঠাণে ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম। বৃহন্মুম্বই পুরসভার পরেই। ঠাণের ঘটনাতেই পরিষ্কার বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর সবক্ষেত্রেই নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন শিব সেনা প্রধান।

  • NFHS: ভারতের এই রাজ্যে ছেলেরা যায় শ্বশুরবাড়ি! জানেন কোথায়?

    NFHS: ভারতের এই রাজ্যে ছেলেরা যায় শ্বশুরবাড়ি! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! বিয়ের পর মেয়েরা বাড়িতেই থেকে যায়। আর ছেলেদের যেতে হয় শ্বশুরবাড়ি। এমন রাজ্যও আছে আমাদের দেশে।  উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে (Meghalaya) ঘটে এমনই বিচিত্র ঘটনা। পাহাড় ঘেরা উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি নানা দিক থেকে আশ্চর্যজনক। আর তার অন্যতম কারণ এখানে খাসি ও গারো (Khasi, Garo) নামে দুটি মাতৃতান্ত্রিক উপজাতির উপস্থিতি। সারা পৃথিবীতে যখন কন্যাভ্রূণ হত্যা এক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে, তখনও এই দুই উপজাতিতে কন্যা সন্তান জন্মালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেক সন্তান থাকলে মেয়েটির অধিকার থাকে সবার আগে। এমনকী এখানে বিয়ের পর ছেলেদেরই শ্বশুরবাড়িতে আসতে হয়।

    সারা দেশে পুত্রসন্তানের চাহিদা বেশি থাকলেও মেঘালয়ের মায়েরা কিন্তু চায় মেয়ে হোক, এই তথ্যই উঠে এসেছে সর্বশেষ জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় (National Family and Health Survey)। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মিজোরাম, লক্ষদ্বীপ, মণিপুর, বিহার-সহ উত্তর ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তান কাম্য। কিন্তু মেঘালয়ের ছবিটা পুরোপুরি অন্যরকম।

    মেঘালয়ের মাতৃপ্রধান সমাজে মেয়ের ভূমিকা প্রধান। পরিবারের সব সম্পত্তির অধিকারও পান বাড়ির ছোট মেয়ে। সন্তানেরাও মায়ের উপাধি নেয়। কোনও পরিবারে কন্যা সন্তান না হলে তাঁরা একজন মহিলাকে দত্তক নেয় এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার তাকে হস্তান্তর করেন। কন্যা সন্তানের জন্ম হলে উৎসবও পালন করা হয়। ছোট-বড় সব ব্যবসায়ের দায়িত্বই নেন মহিলারা।

    এনএফএইচএস-এর পঞ্চম নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্য়ায় এখন ‘পুরুষ-নারী অনুপাত’ (লিঙ্গ অনুপাত বা ‘সেক্স রেশিও’) ১০০০ : ১০২০। অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ১,০২০ জন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৭০৭ টি জেলার ৬,৫০,০০০টি বাড়িতে চালানো হয়েছিল ওই নমুনা সমীক্ষা। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে সংখ্যার হিসেবে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলারা। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বার। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য বেছে নিয়ে করা ওই নমুনা সমীক্ষার ফল সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Yashwant Sinha: মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা? 

    Yashwant Sinha: মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতি। রাষ্ট্রপতি (President) পদে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সেই যশবন্ত সিনহাই (Yashwant Sinha) ভোট চাইতে পশ্চিমবাংলায় নাও আসতে পারেন। যে ঝাড়খণ্ড তাঁর নিজের রাজ্য, সেখানেও তিনি যাবেন না বলেই এখনও পর্যন্ত খবর। বৃহস্পতিবার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রচার করছেন বিজেপি বিরোধী ১৮টি দলের প্রার্থী যশবন্ত। 

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী, জানেন কি আসল কাহিনি?

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর নামে সিলমোহর দেয় এনডিএ। রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হন, তাই রাজনাথ সিংকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। বিজেপি নেতৃত্ব পদ্ম-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথাও বলেন। তার পরেও চিঁড়ে ভেজেনি। বিরোধীরা পাল্টা সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন যশবন্ত সিনহার নাম। তবে তার আগে একপ্রস্ত নাটক হয়। বিরোধীরা প্রথমে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, পরে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং তারও পরে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন। এই তিনজনের কেউই প্রার্থী হতে চাননি। অতএব, শিকে ছেঁড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্তের কপালে। প্রার্থী হওয়ার আগে অবশ্য তৃণমূল ছাড়তে হয় তাঁকে। এদিকে, বিজেপি দ্রৌপদীকে প্রার্থী করতেই খেলা ঘুরে যায়। দ্রৌপদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তাই তাঁর বিরোধিতার ফল ভোটবাক্সে পড়তে পারে ভেবে দোটানায় পড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীই জিতবেন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর হয়ে সওয়াল মমতার

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজনীতির অঙ্কে বাংলায় জনসমর্থন মিলবে না ভেবেই বাংলায় ভোট প্রচারে নাও আসতে পারেন যশবন্ত। তাঁর খাসতালুক ঝাড়খণ্ডেও যাবেন না বলেই খবর। কারণ ইতিমধ্যেই দ্রৌপদীকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও। জানা গিয়েছে, এদিন উত্তর প্রদেশ সফরে গিয়েছেন যশবন্ত। তার পরের দিনই যাবেন গুজরাটে। সেখান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার কথা তাঁর। ভূস্বর্গবাসীর সমর্থন আদায় করতেই তাঁর উপত্যকায় যাওয়ার কথা।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, যশোবন্ত যা-ই করুন না কেন, রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কারণ এনডিএ ছাড়াও তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীদের অনেকেই। তাই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে যে যশবন্তের চেয়ে দ্রৌপদী কয়েক যোজন এগিয়ে, তা বলাই বাহুল্য।

     

LinkedIn
Share