Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Modi speaks: মোদির মুখে মিলেনিয়াল শব্দ, বিনিয়োগ টানতে ‘অস্ত্র’ FOMO!

    Modi speaks: মোদির মুখে মিলেনিয়াল শব্দ, বিনিয়োগ টানতে ‘অস্ত্র’ FOMO!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : মোদির মুখে ‘মিলেনিয়াল শব্দ’ (millennial lingo)! এবার দেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত শব্দ ‘FOMO’-কেই হাতিয়ার করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার India-Denmark Business Forum-বক্তব্য রাখার সময় এই শব্দ ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী  মেতে ফ্রেডেরিকসন (Mette Frederiksen)। মোদি এদিন বলেন, “আজকাল ফোমো (FOMO) কথাটি বিপুল ব্যবহৃত হচ্ছে। FOMO মানে হল ফিয়ার অফ মিসিং আউট (Fear of Missing Out) সবার মধ্যে আলাদা না হয়ে যাওয়া বা হারিয়ে না যাওয়া। ভারতে যেভাবে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, তাতে কেউ যদি দেশে বিনিয়োগ করতে না চায় সেক্ষেত্রে বলতে হয় তিনি কিছু Miss Out করছেন।” মিলেনিয়াল ভাষায় মোদীর বিনিয়োগ টানার এই অভিনব মন্তব্যে কার্যত আপ্লুত নেটনাগরিকরা। এরপরেই অবশ্য নরেন্দ্র মোদির কথার খেই ধরেই পালটা মন্তব্য করেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি ভাবতাম FOMO বিষয়টাই শুক্রবার রাত্রি বা পার্টির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় কিন্তু, এখন মনে হয় আদতে তা নয়।”

    [tw]


    [/tw]

    এদিন মোদি বলেন, “এর আগে অতীতে ডেনমার্ক এবং ভারত একসঙ্গে অনেক কাজ করেছে। আমাদের দুই দেশের কাজের উৎকর্ষতা একে অপরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ভারতে গ্রিন টেকনলজিতে বিনিয়োগ করার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রেও রয়েছে বিনিয়োগের সুযোগ।” 

    এদিন ডেনমার্কে মোদি বলেন, ”প্রতিবছর পাঁচজন বিদেশীকে ভারত ভ্রমণের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। তাঁদের বোঝান ভারতের কোনায় কোনায় কী কী খাজানা লুকিয়ে রয়েছে। আর এই কাজটা মোটেও বিদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের নয়। দূতাবাস তো থাকবেই। কিন্তু, আপনারাই এক একজন রাষ্ট্রদূত। বিশ্বের চারপাশে এই রাষ্ট্রদূতেরা ছড়িয়ে রয়েছে। আপনারাই ভারতকে বিশ্বের দরবারে চিনিয়ে দিতে সক্ষম। তাই আমার এই ছোট্ট অনুরোধটুকু রাখুন।” অর্থাৎ বিদেশের মাটিতে ভারতের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরেছেন মোদি।

  • Ghaziabad Hijab Row: গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    Ghaziabad Hijab Row: গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) একটি কলেজের বাইরে কয়েকজন হিজাব (Hijab Row) পরিহিতা ছাত্রীর প্রতিবাদ করার একটি ভিডিও ভাইরাল (viral video) হয়েছে। ভিডিওটি মোদিনগরের গিন্নি দেবী কলেজের। কলেজটিতে ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছিল। অভিযোগ, কিছু ছাত্রী হিজাব পরে আসায় তাদের হাতে ট্যাবলেট তুলে দিতে অস্বীকার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই এই অশান্তির সূত্রপাত।

    গাজিয়াবাদ পুলিশের বক্তব্য, খবর পাওয়ার পরেই তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ছাত্রীদের বাড়ি পাঠানো হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছে, কলেজ চত্বরের বাইরে কী হচ্ছে তা দেখা তাদের দায়িত্ব নয়। তাদের কথায়, “ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছিল। ৬৯ টি ট্যাবলেট দেওয়া বাকি ছিল। কিছু ছাত্রী কলেজের পোশাক পরে আসেনি। তাদের কলেজের নিয়ম মেনে চলতে বলাতেই তারা ক্ষেপে ওঠে। কলেজ থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর তারা কলেজ চত্বরের বাইরে কী করেছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।”

     

  • Yogi Meets Mother: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মায়ের সঙ্গে দেখা হল যোগী আদিত্যনাথের, আবেগে ভাসলেন দুজনই

    Yogi Meets Mother: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মায়ের সঙ্গে দেখা হল যোগী আদিত্যনাথের, আবেগে ভাসলেন দুজনই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-ছেলের শেষ দেখা হয়েছিল ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ-পাঁচটা বছর। এর মধ্য়ে যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ছেলে এখন এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গত মার্চ মাসে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছেন। মা থাকেন ভিনরাজ্যের ছোট্ট গ্রামে। মাঝে বছর দুয়েক আগে, বাবা মারা যাওয়ার সময়ও কোভিড নিষেধাজ্ঞা থাকায় মা-ছেলের সাক্ষাত হয়নি। এখন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মা-ছেলের দেখা হল। আবেগে ভাসলেন দুজনই। 

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পৌরী গাড়োয়াল জেলার যমকেশ্বর ব্লকের মধ্যে ছোট্ট গ্রাম পাঞ্চুর (Panchoor)। সাধারণ চোখে দেখাও যায় না, এতটাই ছোট জনপদটি। কিন্তু, এখন সেখানেই সাজো সাজো রব। কারণ, দীর্ঘ ২৮ বছর পর নিজের পৈতৃক ভিটেয় ফিরলেন গ্রামের ছেলে আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। যিনি এখন পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রীও।  গ্রামে যোগী পা রাখা মাত্রই উৎসাহে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা৷ এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। যোগীর পরিবারের কাছে বহু প্রতীক্ষিত এই দিন। এলাকাবাসীরাও যে ঘরের ছেলেকে এতদিন বাদে ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি তা বলাই বাহুল্য।

    গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেই সবার আগে মা সাবিত্রীদেবীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে মায়ের গলায় একটি ফুলের মালা পরিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মায়ের পাশেই বসে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। এদিন মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেই বিশেষ মুহূর্তের ছবি নিজের টুইটারে পোস্টও করেন যোগী আদিত্যনাথ। ক্যাপশনে লেখেন, ‘মা’।  আর এই একটি শব্দেই যেন নিজের সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় আসা মুখ্যমন্ত্রী।  

    [tw]


    [/tw]

    ২০২০ সালের এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের বাড়ন্ত করোনা পরিস্থিতির জন্যে হরিদ্বারে বাবার শেষকৃত্যেও যোগদান করতে পারেননি যোগী। এবিষয়ে তিনি বলেন, “বাবাকে শেষবারের জন্যে দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমার ২৩ কোটি রাজ্যবাসীর প্রতি আমার কর্তব্যের কথা মাথায় রেখে সেটাও করে উঠতে পারিনি।” 

    যদিও রাজ্যের কাজ নিয়েই উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়েছেন তিনি। তিন দিনের সফরে গিয়ে প্রায় তিন দশক পর নিজের বাড়িতে যান যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে মায়ের সঙ্গে দেখা করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।  দীর্ঘদিন পর গৃহত্যাগী ছেলেকে দেখে মাও যে যারপরনাই খুশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর মায়ের এহেন ঘনিষ্ঠ আবেগঘন মুহূর্তের ছবি স্বভাবতই মন কেড়েছে নেটিজেনদের। যোগীকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছে নেটপাড়া। দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাড়ি ফিরে খুশি আদিত্যনাথও।

     

  • Kapil Sibal: সৌহার্দ্যপূর্ণ বিদায়! দলত্যাগী কপিল সিব্বলকে নিয়ে চুপ কংগ্রেস হাইকমান্ড

    Kapil Sibal: সৌহার্দ্যপূর্ণ বিদায়! দলত্যাগী কপিল সিব্বলকে নিয়ে চুপ কংগ্রেস হাইকমান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (congress) সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দল ছেড়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কপিল সিব্বল (kapil sibal)। সমাজবাদী পার্টির (samajwadi party) সমর্থনে স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি। দিনদশেক আগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia gandhi) পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সিব্বল। তবে সেটি প্রকাশ্যে এসেছে বুধবারই, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর।

    ’১৪ সালে কংগ্রেস দিল্লিতে ক্ষমতা হারাতেই বেসুরো গাইতে থাকেন সিব্বল। কংগ্রেসের শীর্ষ পদে বদলের দাবিতে দলের মধ্যে একটি উপদলও গজিয়ে ওঠে সিব্বলের নেতৃত্বে। কংগ্রেসের অন্দরে ভুঁইফোড় ওই উপদল জি-২৩ (G-23) নামে পরিচিত। সেই জি-২৩ এর কেউই ঘূনাক্ষরেও জানতে পারেননি যে কংগ্রেসের পাট চুকিয়ে ফেলেছেন সিব্বল। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ এই শিবিরও।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, ১৬ মে সোনিয়ার কাছে সিব্বল তাঁর সংক্ষিপ্ত পদত্যাগপত্র পাঠান। সেখানে উল্লেখ করেছেন, দলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ “সৌহার্দ্যপূর্ণ”। দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পদত্যাগপত্রে। একইসঙ্গে এখনই তাঁর এগিয়ে যাওয়ার সময় বলেও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    সিব্বল যে দল ছেড়ে নতুন কিছু করতে যাচ্ছেন, কেবল জি-২৩ নয়, টের পাননি কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারাও। তাঁরাও জানতে পারলেন দেশের আমজনতার সঙ্গে। যেহেতু কংগ্রেসের সঙ্গে সিব্বলের বিচ্ছেদ সৌহার্দ্যপূর্ণ, তাই সিব্বল স্বয়ং কিংবা কংগ্রেস, কেউই কাউকে খুব একটা আক্রমণ করেননি। প্রবীণ এক কংগ্রেস নেতার ভাষায়, এটি কংগ্রেস এবং সিব্বলের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ বিচ্ছেদ ছিল। তাঁর মতে, সিব্বলের কংগ্রেস ত্যাগ জি-২৩ শিবিরেও বিশাল প্রভাব ফেলবে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, সিব্বল দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে সম্মান ও পদমর্যাদা দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই উচ্চাকাঙ্খা থাকে। তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেও স্বাধীন। আনোয়ার বলেন, কংগ্রেস সত্তর বছর ক্ষমতায় ছিল। এখন যখন ক্ষমতায় নেই, তখন অনেকেই যাঁরা সংগ্রাম করতে চান না, শুধুই ক্ষমতা চান, তাঁরা চলে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন :কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    কংগ্রেস কর্মীরা যে দলের কাছে ঋণী, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা। বলেন, আমাদের উপলব্ধি করা উচিত যে আমরা কংগ্রেসের মন্ত্রী বা মুখপাত্র যাই হই না কেন, আমরা দলের কাছে অনেক ঋণী। দল আমাদের কাছে ঋণী নয়। এআইসিসি ইনচার্জ ত্রিপুরা অজয় ​​কুমার বলেন, প্রশ্ন হল, যে বা যাঁরা দলত্যাগ করছেন, তাঁরা কি (জনসাধারণের) ইস্যুতে লড়াই করতে প্রস্তুত নাকি তাঁরা কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে চলে যাচ্ছেন?

    সিব্বল বলেন, আমি ১৬ মে নিজেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার কাগজপত্র জমা দিয়েছি। সংসদে একটি স্বাধীন কণ্ঠস্বর হতে হবে, এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমি সমাজবাদী পার্টির প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞ। অখিলেশ যাদব আমায় সমর্থন করেছেন।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস কীভাবে সিব্বল-ক্ষত সামলায়, এখন তাই দেখার।

     

  • Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের মদত এবং অর্থসাহায্য মামলায় (Terror funding) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। এই ঘটনার আঁচ পড়ল ভারত-পাক  ক্রিকেট বৃত্তেও। ইয়াসিন মালিককে নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (Afridi) এবং ভারতের অমিত মিশ্র (Amit Mishra)।

    ঘটনার সূত্রপাত আফ্রিদির একটি ট্যুইট থেকে। আফ্রিদি ট্যুইটে লেখেন “মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মতামতকে চেপে রাখতে চেষ্টা করে ভারত। ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আটকে রাখা যাবে না।” এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীরি নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বেআইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    এই ট্যুইটের পালটা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় লেগস্পিনার অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, “ইয়াসিন মালিক আদালতে নিজেই সব দোষ স্বীকার করেছেন। সবকিছু তোমার বয়সের (Shahid Afridi Age) মতো বিভ্রান্তিকর নয়।” প্রসঙ্গত, গত বছর নিজের জন্মদিনেই আফ্রিদি জানিয়েছিলেন তাঁর বয়স ৪৪ বছর। কিন্তু আইসিসির রেকর্ড অনুযায়ী শাহিদ আফ্রিদির বয়স ৪১ বছর। আবার তাঁর আত্মজীবনী অনুযায়ী, আফ্রিদির বয়স ৪৬ বছর। সেই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। অমিতের ট্যুইটে ফের মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক। 

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (Terror activities), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against nation), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF)  নেতা ইয়াসিনের। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, ইয়াসিন তা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। গত ১০ মে আদালতে দোষ কবুল করেছিলেন ইয়াসিন নিজেই। 

  • Rajya Sabha Nomination: রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Rajya Sabha Nomination: রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে দক্ষিণ ভারতের ৪ রাজ্য থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বেছে নিল কেন্দ্র। কেরল (Keral), তামিলনাড়ু (Tamilnadu), কর্ণাটক (Karnataka) এবং অন্ধ্রপ্রদেশের (ANdhra Pradesh) ৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজ্যসভায় আনা হচ্ছে। ক্রীড়াবিদ পিটি উষা (P.T. Usha), সঙ্গীত পরিচালক ইলাইয়ারাজা (Iliyaraja), চলচ্চিত্র পরিচালক ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ (K.V Vijayendra Prasad) এবং সমাজসেবী বীরেন্দ্র হেগড়ে (Veerendra Hegde) রয়েছেন এই তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় মনোনীত চার বিশিষ্টজনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    এবার রাজ্যসভার ট্র্যাকে দৌড়বেন অ্যাথলিট পি টি  ঊষা। ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে মিলখা সিংকেও কার্যত টপকে গিয়েছিলেন কেরলের মেয়ে পিটি ঊষা। একটুর জন্য তিনি পদক পাননি। তবে অলিম্পিকে পদক না পেলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নজরকাড়া সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবেই এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ঊষা। তাঁকে এই পদের জন্য মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘ আমি উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করব। আমি সবসময় দেশের জন্য কিছু করতে চাই।’

    রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসাবে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত হলেন কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক ইলাইয়ারাজাও। ইলাইয়ারাজা তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বহু বিখ্যাত দক্ষিণী ছবিতে সুর দিয়েছেন তিনি। সদমা, পা, চিনি কমের মতো বলিউড ছবিতেও সুর দিয়েছেন তিনি।  এই সম্মান পেয়ে তিনি অভিভূত বলে ট্যুইট করেন ইল্লাইয়ারাজাও। সেই সঙ্গে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কর্নাটকের বাসিন্দা সমাজসেবী বীরেন্দ্র হেগড়ে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা চিত্রনাট্যকর ও পরিচালক বি বিজয়েন্দ্র। 

    [tw]


    [/tw]

    চার জনের কেউই প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতিতে নেই। কিন্তু জনমানসে তাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপি হিসাব কষেই ‘দাক্ষিণাত্য তাস’ খেলতে চেয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতের অধিকাংশ জায়গায় নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার পর এবার বিজেপির লক্ষ্য দক্ষিণ ভারত। সেকারণেই দক্ষিণের ব্যক্তিত্বদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

  • Rajya sabha elections: রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    Rajya sabha elections: রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya sabha elections 2022) জন্য মোট ২২ জন প্রার্থীর (candidate) নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি (bjp)। প্রার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি ওবিসি (OBC) এবং এসসি (SC)। চলতি মাসের ১০ তারিখে হবে রাজ্যসভার ভোট। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে ওই নির্বাচন।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    কেন্দ্রের শাসক দল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে আটজন, মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও কর্নাটক (Karnataka) থেকে তিনজন, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ থেকে দু’জন করে এবং রাজস্থান,  উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানা থেকে একজন করে প্রার্থী দিয়েছে। এর পাশাপাশি বিজেপি দুই নির্দল প্রার্থীকেও সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এঁরা হলেন, রাজস্থান থেকে সুভাষ চন্দ্র এবং হরিয়ানার কার্তিকেয় শর্মা। উভয় রাজ্যেই বিজেপির অতিরিক্ত ভোট রয়েছে।

    বিজেপির সহযোগী দল হরিয়ানার জননায়ক জনতা পার্টি কার্তিকেয় শর্মাকে সমর্থন করবে বলে ঘোষণা করেছে। রাজস্থানেও বিজেপির ৩০টি অতিরিক্ত ভোট রয়েছে। রাজ্যসভায় মনোনীত হতে গেলে কোনও ব্যক্তির ৪১টি ভোটের প্রয়োজন। সোমবার সুভাষ চন্দ্র রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের (Basundhara Raje) সঙ্গে অ্যাসেম্বলির লবিতে দেখা করেন। ১ অগাস্ট হরিয়ানা থেকে তাঁর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত নাড্ডার

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্য থেকে পদ্ম শিবিরের কারা প্রার্থী হচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী হচ্ছেন লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, রাধামোহন আগরওয়াল, সুরেন্দ্র সিং নগর, বাবুরাম নিষাদ, দর্শনা সিং, সঙ্গীতা যাদব, মিথিলেশ কুমার এবং কে লক্ষ্মণ। কর্নাটকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা হলেন, নির্মলা সীতারমণ, জগেশ এবং লাহার সিং সিরোয়া।

    মহারাষ্ট্রে বিজেপির বাজি পীযূষ গোয়েল, অনিল সুখদেবরাও বোন্দে, মহারাষ্ট্র থেকে তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে থাকছেন ধনঞ্জয় মহাদিক। বিহার থেকে প্রার্থী হচ্ছেন সতীশ চন্দ্র দুবে এবং শম্ভু শরণ প্যাটেল। রাজস্থানে পদ্ম প্রার্থী ঘনশ্যাম তিওয়ারি, উত্তরাখণ্ডে ডাঃ কল্পনা সাইনি, হরিয়ানায় কৃষাণ লাল পানওয়ার।

    মধ্যপ্রদেশে সুমিত্রা বাল্মীকি এবং ঝাড়খণ্ডে আদিত্য সাহু। এদিকে, কেন্দ্রের শাসক দল ২২টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও, কংগ্রেস ঘোষণা করেছে মাত্র ১০টি আসনে। যার জেরে রাজ্যসভায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি একপ্রকার নিশ্চিত। ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়বে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল।

  • Illegal Loudspeakers: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের

    Illegal Loudspeakers: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের ( Yogi Adityanath) পদাঙ্ক অনুসরণ কি করতে চলেছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার? সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনে লাউডস্পিকার (loudspeaker) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের(Basavraj Bommai) প্রশাসন। 

    সম্প্রতি, রাজ্যের সব মন্দির-মসজিদ থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যানাথের সরকার। মাইকে আজান মৌলিক অধিকার নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই রাজ্যজুড়ে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এবার সেই একই পথে হেঁটে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার বন্ধে উদ্যোগী হল কর্নাটক সরকার। সোমবার কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্গা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, লাউডস্পিকার নিয়ে রাজ্যের প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

    রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদে আজান হয় লাউডস্পিকারে। তার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শ্রীরাম সেনার কর্মীরা মাইকে হনুমান চালিশা পাঠ করতে শুরু করেন। দুই লাউডস্পিকারের কান ফাটানো আওয়াজের জেরে কান পাতা দায় হচ্ছিল বলে অভিযোগ আসতে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এর পরেই বেআইনি লাউডস্পিকার ( illegal loudspeakers) বন্ধে উদ্যোগী হয় সরকার। জ্ঞানেন্দ্র জানান, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের সব বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে। প্রত্যেককেই আদালতের রায়কে সম্মান করতে হবে। তা না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারা (শ্রীরাম সেনা) কী করছে আমি জানি না। তবে সরকার কী করছে, তা আমি আপনাদের জানাচ্ছি।

    খোদ মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, আদালতের (supreme court) রায়কে সম্মান করতেই হবে। কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। সবাই আদালতের রায় মানলে কোনও সমস্যা হবে না। তিনি জানান, উত্তর প্রদেশেও এই একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও অবিলম্বে এই ব্যবস্থা চালু হবে, আশাবাদী বাসবরাজ।

     

  • Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia war) ফি-দিনই প্রাণ খোয়াচ্ছেন দুই দেশের মানুষ। ভিটে-মাটি ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিবেশী কোনও দেশের শরনার্থী শিবিরে। সর্বনাশের এই দিকের উল্টো ছবিও আছে। সেখানে শুধুই লাভের কড়ি ঘরে তুলছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মাস দুয়েকের যুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মুদ্রা লাভ করেছে ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সংস্থা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। মাসদুয়েক পেরিয়ে গেলেও, যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণ নেই। প্রত্যাশিতভাবেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দুই দেশেই মূল্যবৃদ্ধি লাগাম ছাড়া। তবে যুদ্ধের এই আবহে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, তখন রাশিয়ায় হু-হু করে পড়ছে অশোধিত তেলের (crude oil) দর। তার জেরেই লাভবান হচ্ছে মুকেশের (Mukesh ambani) কোম্পানি। মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের লাভের সিংহভাগ আসে অশোধিত তেল শোধন করে বিক্রি করে। অঙ্কের হিসেবে প্রায় ৬২ শতাংশ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেল বেচেই কোটি ডলার রোজগার করছে মুকেশের সংস্থা। 

    ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) ন্যাটোর (NATO) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কার্যত বয়কট করে রাশিয়াকে। স্বাভাবিকভাবেই তেলের খদ্দের জোটেনি। অর্থনীতির নিয়মেই তলানিতে তেলের দাম। এমতাবস্থায় ব্যারেল ব্যারেল তেল কিনেছে বিভিন্ন রিফাইনারি কোম্পানিগুলি। এর মধ্যে রয়েছে মুকেশের সংস্থাও। গত ত্রৈমাসিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মাস দুয়েকের এই যুদ্ধের আবহে কয়েক মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে আম্বানি গোষ্ঠী।

    মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের যমজ রিফাইনারি (Oil refinery) কারখানা রয়েছে এদেশেই। ওই দুই কারখানা থেকে প্রতিদিন ১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল শোধন হয়। তেলের গুণমান ভাল হওয়ায় বিক্রিবাটাও বেশ ভাল। প্রত্যাশিতভাবেই লাভের কাঁড়ি কাঁড়ি কড়ি উঠেছে আম্বানির ঘরে।

    খর বৈশাখেই আম্বানির পৌষমাস!

     

  • Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্যের জের। গোটা দেশে প্রবলভাবে সমালোচিত তৃণমূলের (Trinamool) সাংসদ (MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মঙ্গলবার মা কালীকে (Smoking Kali Controversy) নিয়ে একটি বিবৃতি দেন সাংসদ। কিন্তু সেই মন্তব্যের দায় নেয়নি দল। অভিমান হয়েছে মহুয়ার। দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করেছেন তিনি। এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫৬ টি এফআইআর দায়ের হল। রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে শুরু করে বউবাজার থানা প্রতিটি জায়গাতেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার  

    দেবী কালী নিয়ে মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কালীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে বিজেপি ৷ এই নিয়ে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা।

    সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আজ বিজেপির তরফে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় । পাশাপাশি মোট ৫৬ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, সেই সময় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি না থাকায়, আজ বিকেলে বিজেপির তরফে জানানো অভিযোগগুলির নম্বর তাদের দেওয়া হবে। এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। কালী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মহুয়া মৈত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা৷ এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী জানান, “আমরা গোটা রাজ্যজুড়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।”

    লীনা মণিমেকলাইয়ের একটি তথ্যচিত্র ‘কালী’র পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এতে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্টারে দেবী কালীর হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি রঙিন পতাকাও দেখা যায়। এই পোস্টার বিতর্কের মাঝেই মহুয়া বলেন, “আমার কাছে মা কালী মাংসভোজী, মদ পান করা একজন দেবী।” মহুয়ার এই মন্তব্যের পরেই তাঁর পাশ থেকে সরে যায় তৃণমূল। সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলে,  মন্তব্যের দায় দলের নয়। এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল ট্যুইটারে আনফলো করেন মহুয়া। 

    মহুয়ার মন্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “সবসময় হিন্দু ধর্মকে অপমান করে তৃণমূল। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পদক্ষেপ নেবেন।”       

    বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য থেকে তৃণমূল দায় এড়াতে পারে না। তৃণমূল যদি সমর্থন না করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মহুয়াকে সাসপেন্ড করা উচিত দল থেকে।

    কৃষ্ণনগরের সাংসদ এদিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। বিপদ বুঝে নিজের মতামত থেকে সরে এসে একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি কালীর উপাসক। কোনও কিছুতে ভয় পাই না।’ ট্যুইটে মহুয়া আরও লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’  

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ভোপালেও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মহুয়ার মন্তব্যে আপত্তি তোলার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, “মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং হিন্দু দেব-দেবীর অবমাননা কোনও ভাবেই সহ্য করা হবে না।” এরপরই ভোপাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার খবর জানান ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার শৈলেন্দ্র চৌহান।   

    মহুয়ার এই দুর্দিনে তিনি কাছে পাননি বন্ধু দল কংগ্রেসকেও। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি (Avishek Singhvi) সাংসদের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।    

LinkedIn
Share