Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • FCRA Violation: ঘুষ দিয়ে এনজিও-র কারবার! দেশজুড়ে হানা সিবিআইয়ের, নজরে কেন্দ্রীয় আধিকারিক

    FCRA Violation: ঘুষ দিয়ে এনজিও-র কারবার! দেশজুড়ে হানা সিবিআইয়ের, নজরে কেন্দ্রীয় আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তাদের ঘুষ দিয়ে দিব্যি চলছিল এনজিওর (NGO) কারবার। সেই কারবারের পর্দাফাঁস করতে দেশজুড়ে শুরু সিবিআই (CBI) তল্লাশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (ministry of home affairs) বিদেশি বিভাগের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ(bribe) নিয়ে এনজিও-র লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগেরই তদন্ত করতে দেশের ৪০টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই।

    দেশের সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এনজিও। এগুলির বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছে। আবার লাইসেন্স পেয়েও পরে আর তা পুনর্নবীকরণ করেনি বেশ কিছু এনজিও। অভিযোগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি বিভাগের কয়েকজন আধিকারিককে ঘুষ দিয়ে চলছে এনজিওগুলির এই রমরমা কারবার।

    সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান দিল্লি, রাজস্থান, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কোয়েম্বটুর এবং মাইসোর সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলেছে। তিনি জানান, এনজিও-র প্রতিনিধি, মিডিলম্যান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কয়েকজন আধিকারিক ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (Foreign contribution regulation act ) লঙ্ঘন করছে। ঘুষের বিনিময়ে তাঁরা বিভিন্ন এনজিওকে সুবিধাও পাইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সব অভিযোগের সারবত্তা জানতেই তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানান ওই আধিকারিক। সংবাদমাধ্যমকে ওই আধিকারিক বলেন, প্রায় আধ ডজন সরকারি আধিকারিক ও অন্যান্য কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তল্লাশি চালানোর সময়। হাওলার মাধ্যমে ২ কোটির কাছাকাছি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বিভাগটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ফরেনার্স ডিভিশনের একটি অংশ। এনজিওতে যে বিদেশি অনুদান আসে, তার অনুমতি দেয় এই বিভাগ। এরা যেমন এনজিওগুলির লাইসেন্স দেয়, তেমনি লাইসেন্স পুনর্নবীকরণও করে। এই বিভাগে কর্মরতদের একাংশের বিরুদ্ধেই উঠেছে ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ। সেই অভিযোগের কিনারা করতেই দেশজুড়ে চলছে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান।

    জানা গিয়েছে, দেশে রেজিস্টার্ড এনজিও রয়েছে ১৬ হাজার ৮৯০টি। সরকার বাতিল করেছে ২০ হাজার ৬৭৯ এনজিও-র লাইসেন্স। ১২ হাজার ৫৪০ এনজিও তাদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করেনি বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, সিবিআই অভিযুক্ত আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে পারে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে পারলেই জানা যাবে কীভাবে ঘুষের বিনিময়ে চলছে এনজিও-র রমরমা কারবার।

     

  • Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) বিতর্কে সরগরম দেশ। বিতর্ক শুরু মথুরায়ও। এহেন আবহে ফের মন্দির-মসজিদ বিতর্ক (temple mosque controversy)। কর্নাটকের (Karnataka) ম্যাঙ্গালুরুর (mangaluru) এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছে স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (vhp) নেতারা।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই শুরু বিতর্ক। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করেছে হিন্দুদের একটি গোষ্ঠী। পুজোপাঠ সংক্রান্ত ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল।  

    ভরত বলেন, চলতি মাসের ২৫ তারিখে মসজিদ চত্বরে আমরা বিশেষ “থাম্বুলা প্রাশে” করতে চলেছি। আচার শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। সূত্রের খবর, উত্তেজনা এড়াতে ইতিমধ্যেই এলাকাটি সিল করে দিয়েছে পুলিস।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    দক্ষিণ কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনার রাজেন্দ্র কেভি বলেন, আমি পুরো বিষয়টি জেনেছি। ভূমি দফতর জমিটির মালিকানার ইতিহাস খতিয়ে দেখছে। আমি ওয়াকফ বোর্ড এবং হিন্দু মন্দিরের দাবিদার, দু পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। পুরো বিষয়টি শুনব। তিনি বলেন, সব পক্ষের কথা শুনে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করবে। ততদিন এলাকায় বজায় থাকুক স্থিতাবস্থা।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যাবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার (Wazukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে। তার পর এবার ফের আরও একটি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্য উত্তর প্রদেশ নয়, কর্নাটক।

     

  • Arunachal Landslide Tragedy: মর্মান্তিক ঘটনা! অরুণাচলে ভূমিধসে মৃত্যু ১৬ বছরের কিশোরের

    Arunachal Landslide Tragedy: মর্মান্তিক ঘটনা! অরুণাচলে ভূমিধসে মৃত্যু ১৬ বছরের কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে অসম (Assam) ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। অসমের নগাঁও (Naogaon) জেলার কামপুর (Kampur) এলাকায় বন্যা(flood) পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়েছে। সেখানে অনেক গ্রাম জলের তলায়। এদিকে অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিধস (landslide) নামায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু মানুষ। এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সী ছেলেটির মৃত্যু মর্মান্তিক।

    আরও পড়ুন:বানভাসি আসাম, ৭ জেলা ভাসছে জলে

    খবরসূত্রে জানা যায়, ছেলেটির নাম রেজ হিল্লি (Rage Hilli) ও অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) পশ্চিম সিয়াং(West Siang) জেলার কেয়াক(Keyak) গ্রামের বাসিন্দা। বক্সিং ট্রায়ালের বাছাই পর্বে  যাওয়ার পথে সুদ (Sood) নামক গ্রামের কাছে ধস নামায় সেখানেই জীবন্ত অবস্থায় মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তার দেহ উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। প্রবল বৃষ্টির জেরেই সেখানে ধস নামায় এই পরিস্থিতার সৃষ্টি হয়েছে।

    পুলিশসূত্রে জানা যায়, রেজ হিল্লি ও তার বন্ধু তাই আবু (Tai Abu) রাজিব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়(Rajiv Gandhi University) থেকে তারা বক্সিং ট্রায়ালে যাওয়ার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। তখন মৃতের বন্ধু নিজে বেঁচে গেলেও তার বন্ধুকে বাঁচাতে পারেনি ও মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা কুন্ডু (Pema Kundu) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে লিখেছেন, ১৬ বছর বয়সী বক্সার(Boxer) রেজ হিল্লির মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত। হিল্লি নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল ও পরে দেশসেবার কাজে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিল। তিনি নিহতের পরিবারের জন্য শোকাহত ও এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে রয়েছেন। এর পাশাপাশি, অন্যান্যদের বৃষ্টির জন্যে সতর্ক থাকতে বলেছেন ও যেখানে ধস নামতে পারে এমন জায়গা এড়িয়ে যেতে বলেছেন।

  • Mom or Dad: মা না বাবা, কে বেশি সন্তানদের হাতখরচ দেন? সমীক্ষায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

    Mom or Dad: মা না বাবা, কে বেশি সন্তানদের হাতখরচ দেন? সমীক্ষায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়েদের তুলনা হয় না। সন্তানদের পকেটমানি দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাবাদের থেকে মায়েরা বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। বাচ্চাদের ডিজিটাল পকেটমানি পেতে সাহায্য করা স্টার্টআপ সংস্থা জুনিও-র সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। সমীক্ষা আরও বলছে, সন্তানদের টাকা-পয়সার হিসেব, কীভাবে খরচ করা দরকার এমন সব ধারণা তৈরির পাশাপাশি তাদের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করার শিক্ষাটা মায়েরাই দিয়ে থাকেন।

    কলকাতা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, চেন্নাইয়ের এক লক্ষেরও বেশি বাবা-মায়েদের উপরে সমীক্ষা করে জুনিও-জানাচ্ছে, দেখা গিয়েছে যে বাবারা সন্তানদের গড়ে ১১০০ টাকা হাতখরচ দেন। যেখানে মায়েরা গড়ে ১৫০০ টাকা হাতখরচ দেন। সংস্থার এক কর্তা জানাচ্ছেন, টেক-স্যাভি যুগে বাচ্চাদের হিসেব করে খরচ করার অভ্যাস ও সঞ্চয়ের প্রবণতা তৈরি করা অপেক্ষাকৃত সহজ। এক্ষেত্রেও মায়েরা এগিয়ে। তাঁরাই মূলত বাচ্চাদের মধ্যে বুঝে শুনে খরচ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। ওই কর্তার কথায়, ‘‘খারাপ সময়ের জন্য সঞ্চয় করা প্রয়োজন, এটা জীবনের একটা অন্যতম শিক্ষা। এবং এই শিক্ষায় সন্তান‌দের শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে মায়েদের আলাদা ভূমিকা রয়েছে। তবে বাচ্চাদের অর্থনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলা বাবা-মা, উভয় অভিভাবকেরই অন্যতম কর্তব্য। ডিজিটাল যুগে এই কাজটা করা তুনামূলকভাবে সহজ। শুধু একটু সচেতন হয়ে সেই দায়িত্বটুকু পালন করা দরকার।’’

    সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, মায়েরাই মূলত সন্তানদের খরচ সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষিত করে তোলেন। হাতখরচের বহুমাত্রিক ধরন সম্পর্কেও সচেতন করেন। মাসের বাজেট কত, কীভাবে তা খরচ করতে হবে, কীভাবে সঞ্চয় করতে হবে, কোন-কোন খাতে খরচ করা হচ্ছে তার হিসেব রাখা ইত্যাদি একজন মা তাঁর সন্তানকে ভাল করে বুঝিয়ে দেন। বাচ্চারা তাদের হাতখরচের বেশিরভাগ টাকাই খাবার, গাড়িভাড়া, মোবাইল রিচার্জের মতো খাতে খরচ করে থাকে।

    বাচ্চারা কীভাবে তাদের পকেটমানি খরচ করে, তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হয় সমীক্ষায়। দেখা যায়, বাচ্চাদের হাতখরচের বেশিরভাগ অংশই জোমাটো, ফোনপে, সুইগি, ব্লিনকিট, আমাজন, পেটিএমে খরচ হয়েছে।

  • Draupadi Murmu: পরনে ইক্কত শাড়ি, সঙ্গে মুক্তোর দুল, সোনার চেন-বালা, আজ যেন ঘরোয়া নারী দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: পরনে ইক্কত শাড়ি, সঙ্গে মুক্তোর দুল, সোনার চেন-বালা, আজ যেন ঘরোয়া নারী দ্রৌপদী মুর্মু

    অগ্নিমিত্রা পাল

     

    পরিপূর্ণ ভারতীয় নারী। শাড়ি পরিহিত এক নারীর শপথ ভারতের কাছে আজ হয়ে দাঁড়াল ভারতীয়ত্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। ছিমছাম সাজের শপথ আজ ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল। ইতিহাস লিখলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দুনিয়া দেখল, এক নারীর জয়গাথা। এক আদিবাসী মেয়ের রূপকথার উত্থান। এক হার না মানা লড়াই জায়গা করে নিল রাইসিনা হিলসে। ছিমছাম সাজের আড়াল থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছিল আত্মবিশ্বাস। পরণে ছিল ওড়িশার ইক্কত শাড়ি, শাড়িতে সবুজ ও গাঢ় লাল রঙের। যা সেখানকার সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। সেজেছিলেন কানে মুক্তোর দুলে, গলায় চেন, হাতে সোনার বালা। এই সাজ ঘরোয়া নারীর। এই সাজ সহজ, সরল এক মেয়ের।

    প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন। এ যাবৎ যতজন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কনিষ্ঠতমও হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে এক আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতির পদে বসছেন, এর থেকে বড় উদযাপন আর কিছু হতে পারে না। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পূর্ণ স্বরাজ এর কথা বলতেন। আজ আমরা যদি ভারতের সাংবিধানিক পদগুলোর দিকে তাকাই বুঝতে পারব প্রকৃত স্বাধীনতার মানে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার এবং আগামী দিনের উপরাষ্ট্রপতি সবাই খুব সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেছেন। কেউ আদিবাসী সমাজ থেকে কেউবা আবার অনগ্রসর সমাজের প্রতিনিধি। কেউ কৃষক পরিবারের সন্তান আবার কেউ চা বিক্রেতা। নিজেদের যোগ্যতায় সবাই উঠে এসেছেন, জায়গা করে নিয়েছেন। এটাই আমার ভারত।

    গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল এই নির্বাচনের ফলের দিকে। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের একটি হতদরিদ্র আদিবাসী পরিবার থেকে রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছাতে তাঁকে যে দৌড়টি দিতে হয়েছে, যাঁরা এই জীবনের সঙ্গে পরিচিত নন তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না।

    এই উত্থানগুলো থেকে সমাজের মধ্যে উত্থান আকাঙ্ক্ষা জন্মায়। তার অনেকটাই কার্যকরী হয়। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে এমন প্রান্তিক সমাজ থেকে দৌপদী মুর্মুর মতো একজন যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে কেউ কল্পনা করতে পেরেছিল? আজ কিন্তু পারা যায়। সেটা দেখিয়ে দিলেন মোদিজি। ভারতের সিএজি হয়ে ওঠেন একজন আদিবাসী দক্ষ আইএএস অফিসার। একটি রাজ্য চালান আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেও পশ্চিমবঙ্গের একদল তথাকথিত দলিত বোদ্ধা গেল গেল করবে। যেন এক আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হওয়ায় সংবিধান উচ্ছন্নে যাবে, তিনি সংবিধানের বারোটা বাজিয়ে দেবেন। যেন অন্য আদিবাসী সমাজ এর ফলে উপকৃত হবে না। এটা শুধু প্রতীকী বিষয়। তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীর আমলে প্রথম আদিবাসী মন্ত্রক তৈরি হয়েছিল।

    অনাদিকাল থেকে, কংগ্রেসি আমলে যাঁরা রাষ্ট্র চালিয়েছিলেন, তাঁদের মুখগুলো ক্ষমতার অলিন্দে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই অলিন্দে যত প্রান্তিক সমাজ থেকে লোক ঢুকবে তত মনোপলি বন্ধ হবে। আমাদের এবং দেশের স্বপ্নগুলি ভিন্ন ভিন্ন নয়। আমাদের নিজস্ব আর রাষ্ট্রীয় সফলতাগুলি ভিন্ন ভিন্ন নয়। রাষ্ট্রের প্রগতির মধ্যেই নিহিত রয়েছে আমাদের প্রগতি। আমাদের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আর রাষ্ট্রের মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্ব – এই ভাব, এই বোধ নতুন ভারতের নির্মাণে আমাদের ভারতবাসীর সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠছে।

    আজ দেশ যা কিছু করছে এতে সকলের প্রচেষ্টা একসঙ্গে সামিল রয়েছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ অউর সবকা প্রয়াস’ – এটা এখন গোটা দেশের মূলমন্ত্র হয়ে উঠছে, যা সাম্য এবং সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে মজবুতভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা একটি ভারতকে জেগে উঠতে দেখছি, যার ভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি নতুন, যার সিদ্ধান্তগুলি অত্যন্ত প্রগতিশীল।

    ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতীয় উপমহাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম, দর্শন, সভ্যতা ও সংস্কৃতি সমূহের মিলনস্থল। ভিন্ন ভিন্ন নদী যেমন একই সমুদ্রে এসে পতিত হয় তেমনি ভারতের জনজীবনের মহাসমুদ্রে একেকটি নদীর ধারার মতোই এসে মিলেছে আর্য, অনার্য, গ্রীক, শক, হুন, পার্সি, আরব, তুর্কী, চৈনিক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। আর সঙ্গে নিয়ে এসেছে তাদের কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতির অংশ। এজন্যই ভারতীয় সমাজে পরিলক্ষিত হয় সংস্কৃতি ও রুচির এমন বৈচিত্র্যময় মেলবন্ধন। সেই সংস্কৃতিকে তুলে ধরলেন দ্রৌপদী মুর্মু।

    প্রথম দিনই লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন। বললেন, ” আমি দেশের যুব সম্প্রদায়কে বলতে চাই, শুধু নিজের ভবিষ্যতের কথাই ভেবো না, দেশের ভবিষ্যতের জন্য ভিত গড়ার কথাও ভাব। রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমি সবসময়ে তোমাদের পাশে থাকব।”
    দেশের প্রান্তিক মানুষের কল্যাণই হবে আমার লক্ষ্য।”

    তিনি সকল ভারতবাসীর রাষ্ট্রপতি।

     

    (লেখিকা খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজ়াইনার তথা বিজেপি নেত্রী)

  • Vivo: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

    Vivo: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভোর (Vivo) বিরুদ্ধে জোরদার তদন্ত শুরু করল ভারত (India)। দুজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও একজন কোম্পানি সেক্রেটারি আপাতত রয়েছেন তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায়। গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি জম্মু-কাশ্মীরে ভিভোর ডিস্ট্রিবিউটর। কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনের জন্য তাঁরা জাল নথিপত্র ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ। ওই দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও একজন কোম্পানি সেক্রেটারি সেই নথিপত্র জাল জেনেও স্বাক্ষর করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ভিভোর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। 

    আরও পড়ুন : শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    এদিকে, ইডি হানার মধ্যেই দেশ ছেড়ে পালালেন ভিভোর ডিরেক্টর ঝ্যাংসেন ওউ এবং ঝ্যাং জি। যার জেরে ফের বেশ কিছু আইনি জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই চিনা মোবাইল সংস্থা ভিভোর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। সম্প্রতি ইডির তরফে দেশের ৪৪টি শহরে ভিভোর ডিরেক্টরদের খোঁজ চালানো হয়েছে। চালানো হয়েছে তদন্তও। যদিও এখনও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০২০ সালে গলওয়ানে (Galwan Clash) যখন চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) হাতে ভারতের ২০ জন সেনা শহিদ হন, তারপর থেকেই চিনের প্রতি কঠোর হতে শুরু করেছে ভারত। এরপরেই চিনের একাধিক সংস্থার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। ব্যান করা হয় একাধিক অ্যাপও।

    আরও পড়ুন : ০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে লেগেছে রাজনীতির রং। রীতিমতো বিবৃতি জারি করে চিন জানিয়েছে, তাদের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি তদন্ত যেন সঠিক ধারা মেনেই হয়। কোনওরকম অসহযোগিতা কিংবা বৈষম্যমূলক আচরণ যাতে না হয়, সেই দিকটিও নিশ্চিত করার অনুরোধও করেছে ড্রাগনের দেশ। চিনা বিদেশমন্ত্রীর মতে, পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছে তারা। এদিকে, ভিভোর বিভিন্ন অফিসে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এমতাবস্থায় ভিভোর ডিরেক্টররা দেশ ছেড়ে পালানোয় গোটা ঘটনাটি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।

  • Petrol Issues: দাম কমবে পেট্রলের? তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যাঙ্কের চুক্তি

    Petrol Issues: দাম কমবে পেট্রলের? তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যাঙ্কের চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে পেট্রলের (Petrol) দাম ঊর্ধ্বমূখী। তাই পেট্রলের দামে লাগাম টানতে এবার ইথানলের (Ethanol) উপর ভরসা রাখল দেশের বড় তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থা। এ নিয়ে রাষ্ট্রাত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে চুক্তিও করল তারা। বুধবার, ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন (BPC), ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC),হিন্দুস্থান পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন (HPC)ইথানল কেনা নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক (IOB) এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের (IB) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল। 

    ২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রলে ২০% ইথানল মেশানোর কথা ভাবছে তেল সংস্থাগুলি। তাতে পেট্রলের চাহিদা কমবে। লিটার প্রতি ১০ টাকা কমতে পারে পেট্রলের দাম। সেই সূত্রে কমবে বিদেশ থেকে অশোধিত তেল আমদানির খরচও। তাই পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর কথা ভাবছে তেল সংস্থাগুলি। তাই ইথানল আমদানি করার জন্য ব্যঙ্কগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সংস্থাগুলি।

    ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলিতে পেট্রলের বিকল্প হিসেবে ইথানলকে ব্যবহার করা হয়। এই দুই দেশের পেট্রলের সঙ্গে খুব বেশি মাত্রায় ইথানল মেশানো হয়। এই মুহূর্তে ভারতে পেট্রলের সঙ্গে ৮.৫শতাংশ ইথানল মেশানো হয়। ভারতীয় বাজারে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল সহ পেট্রল  আসতে পারে।

    ইথানল কী?
    ইথানল হল একটি জৈব জ্বালানি যা আখ এবং ভুট্টার গাঁজন থেকে তৈরি হয়। মূলত গুড় থেকে তৈরি, ইথানল প্রচলিত পেট্রল এবং ডিজেলের বিকল্প জ্বালানি হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও ইথানল পোড়ালে কোনও কণা বাতাসে নির্গত হয় না। পোড়া ইথানল কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, জল এবং ফরমালডিহাইড নির্গত করে। এই জ্বালানি ফসিল ফুয়েলের তুলনায় নাইট্রোজেন অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করে। এইভাবে, ইথানল পরিষ্কার এবং একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি হিসেবে কাজ করে।

    ভারতের জন্য  ইথানল ব্লেন্ড করা পেট্রল উপকারী হতে পারে কারণ বিশ্বের অন্যতম প্রধান আঁখ প্রস্তুতকারী দেশ ভারত। আঁখ উৎপাদনে ব্রাজিলের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।  এই বিপুল পরিমাণ আঁখের কিছু পরিমাণ ইথানল প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হতে পারে। যা আঁখ চাষকেও চাঙ্গা করবে, বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল।

    পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশালে একই সঙ্গে কমবে দূষণও। ইথানল পোড়ালে কম দূষণ ছড়ায়, এছাড়াও সহজেই সুরক্ষিত ভাবে এই জ্বালানি এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব। পেট্রল ও ডিজেলের তুলনায় অনেক কম দূষণ ছড়ায় ইথানল।

    ইথানল মেশানো পেট্রল ভারতীয় বাজারে এলে সবদিক থেকেই দেশের মঙ্গল। এক্ষেত্রে বাধা একটাই, ইথানলের জোগান। ২০২৫ সালের লক্ষ্য পূরণের জন্য ১,০১৬ কোটি লিটার ইথানল প্রয়োজন। এখন দেশে আখের রস, গুড় থেকে যা তৈরি হয় প্রায় ৪০০ কোটি লিটার। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি লিটারের বেশি। এই ঘাটতি পূরণের জন্যই তাই নানা পন্থার কথা ভাবা হচ্ছে। 

  • Taj Mahal Controversy: তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ? 

    Taj Mahal Controversy: তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলকে (Taj Mahal) সম্প্রতি ‘তেজো মহালয়া’ (Tejo Mahalaya) নামের এক মন্দির দাবি করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। এনিয়ে এখন দেশের রাজনীতিতে শোরগোল। হিন্দু (Hindu) সংগঠনগুলিও তাই বিশ্বাস করে। জেনে নেওয়া যাক এই দাবির নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে? আদৌ কি কোনও ভিত্তি রয়েছে দাবিটির? 

    ২০১৫ সালে একদল আইনজীবী মোট সাতটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন আগরা (Agra) দায়রা আদালতে। সবকটি পিটিশনে দাবি কার হয়েছিল যে তাজমহলে যাতে হিন্দুদের গিয়ে পূজা-পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, মুঘল (Mughals) জমানার এই বিশ্ববিখ্যাত সৌধ আদতে ‘তেজো মহালায়া’ নামক এক প্রাচীন শিবমন্দির (Lord Shiva Temple)। সেই থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। 

    মামলাকারী আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিটি তাজমহলের কক্ষগুলি পরীক্ষা করবে এবং সেখানে হিন্দু মূর্তি বা ধর্মগ্রন্থের সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রমাণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে। 

    আরও পড়ুনঃ তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন
     
    ভারতের শিব মন্দিরগুলির স্থাপত্যশৈলী এবং বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাজমহলের তুলনা করে মিল খুঁজে পান মামলাকারী শঙ্কর জৈন। যদিও আদালতে মামলাকারীর যুক্তি খাটেনি। আবেদনটি মানা হয়নি এবং এখনও আগরার নিম্ন আদালতে এই মামলা বিচারাধীন।  তবে আগরার আদালতে সেই আবেদন বিফলে গেলেও প্রায় একই ধরনের আবেদন গত সপ্তাহে দায়ের হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে। অযোধ্যা জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া ইনচার্জ ডঃ রজনীশ সিং আবেদন করে তাজমহলের ভিতর ২০টি ঘর খোলার দাবি তোলেন।  

    বিজেপি নেতা রজনীশ সিং দাবি করেন, ‘তাজমহল নিয়ে পুরনো বিতর্ক রয়েছে। তাজমহলের প্রায় ২০টি কক্ষ তালাবদ্ধ এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আমার ধারণা, এসব ঘরে হিন্দু দেব-দেবী ও ধর্ম সম্পর্কিত মূর্তি রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছি যাতে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে এই কক্ষগুলি খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কক্ষগুলি খোলা হলে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্ক থেমে যাবে আর তা করতে তো কোনও ক্ষতি নেই।’

     

  • UP Madrassa Grant: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    UP Madrassa Grant: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার অনুদানে কাঁচি যোগী (Yogi Adityanath) সরকারের!

    এখন থেকে উত্তর প্রদেশে (Uttar pradesh) আর কোনও অনুদান পাবে না নতুন করে তৈরি হওয়া মাদ্রাসাগুলি (Madrassa)। সম্প্রতি এই মর্মে ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।এর পর থেকে সরকারের তরফে অনুদানের তালিকায় নয়া মাদ্রাসাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয় ওই বৈঠকে।

    ওই ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের তরফে রাজ্যে নয়া মাদ্রাসাগুলিকে অনুমোদন না দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে যায় প্রস্তাব। এই বৈঠকেই ২০১৬ সালে অখিলেশ যাদব সরকারের মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ার নীতিও অবলুপ্ত করা হয়। অখিলেশ জমানার নীতি অনুযায়ী, আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে হত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে। ওই জমানায় অনুদান পেত ১০০-রও বেশি মাদ্রাসা।

    যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার সিংহাসনে বসেই সেই অনুদান বন্ধ করে দেয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। সম্প্রতি যোগী সরকারের তরফে মাদ্রাসাগুলির কাজকর্ম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়, রাজ্যে একাধিক ভুয়ো মাদ্রাসা রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুদান পেয়ে আসছে। সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট পেয়েই অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার।

    উত্তর প্রদেশে বর্তমানে সাত হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। গত বাজেটেই উত্তর প্রদেশের সরকারের তরফে মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য ৪৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে নতুন করে আর কোনও মাদ্রাসাকে আর্থিক অনুদান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিজেপি (BJP) সরকার। উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু মন্ত্রী দানিশ আনসারি এই প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন।

    আরও পড়ুন :”বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    গত সপ্তাহেই মাদ্রাসাগুলিতে ক্লাস শুরুর আগে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে যোগী সরকার। এবার করল ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার মূলে কুঠারাঘাত।

    ভোট কুড়োতে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের সংখ্যালঘু তোষণ নতুন নয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই যোগী-পূর্ববর্তী বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসা গঠনে রাশ টানেনি। ভোটের স্বার্থে চালানো হয়নি নজরদারিও। যার জেরে রাজ্যের যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে মাদ্রাসা। এই সব মাদ্রাসার একাংশে দেশবিরোধী কার্যকলাপে মদত দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ‘জঙ্গিপনা’য় রাশ টানতেই নয়া গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার অনুদানে(madrasa grant) কোপ যোগী মন্ত্রিসভার।

     

  • LPG Price Hike:  হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    LPG Price Hike: হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক গ্যাসেই হাজার খালি! ভর্তুকিযুক্ত গার্হস্থ্য রান্নার গ্যাস (Domestic LPG) সিলিন্ডারের দাম পেরল ১০০০ টাকা। ২২ মার্চের পর, মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে ফের বাড়ল গ্যাসের দাম। এবারও একলাফে ৫০ টাকা। মার্চেও পঞ্চাশ টাকাই দাম বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই চালু হল নতুন দাম। এখন কলকাতাবাসীকে একটা ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে গুনতে হবে কড়কড়ে ১০২৬ টাকা।

    যদিও রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করা ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের খরচ কমেছে ৯.৫০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতেই বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এবার ছাড় জুটল ৯ টাকা ৫০ পয়সা। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ২৪৪৫টাকা।

    ইউক্রেন (Ukraine) রাশিয়ার (Russia) যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম (crude oil price) ১০০ ডলারের ওপরেই ঘোরাফেরা করছে। প্রায় চার মাস স্থির ছিল পাঁচ রাজ্যে ভোটের কারণে। নির্বাচন মেটার পরেই ২২ মার্চ থেকে লাগাতার দাম বাড়ে (petro price hike) পেট্রল-ডিজ়েলের। ছাড় পায়নি রান্নার গ্যাসও (LPG)।

LinkedIn
Share