Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid Vaccine: করোনা-রুখতে শিশুদের টিকাকরণে গতি আনতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Covid Vaccine: করোনা-রুখতে শিশুদের টিকাকরণে গতি আনতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের ঊর্ধ্বমূখী করোনার গ্রাফ। ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ। এরমধ্যেই স্কুলও খুলে গিয়েছে। গত দু’সপ্তাহে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় সংক্রমণের শিকার হচ্ছে সেই সব বাচ্চা, যারা এখনও টিকার একটিও ডোজ় পায়নি। তাই খুদেদের টিকাকরণে গতি আনতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়োজনে স্কুলগুলিতে বিশেষ টিকাকরণ শিবির আয়োজন করার পরামর্শও দেন তিনি।
    সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ রুখতে বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে করোনা-সংক্রান্ত ২৪তম বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদী বলেন, ‘‘ওমিক্রন ও তার উপপ্রজাতি ইউরোপে সক্রিয়। যার ফলে ওই মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ছে ভারতেও।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। তাই যে শিশুরা টিকা পায়নি, তাদের দ্রুত টিকাকরণের উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এত দিন ৬-১২ বছর বয়সিরা টিকাকরণের আওতার বাইরে রয়ে গিয়েছিল। ওই বয়সের কারও টিকাকরণ না করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় ওই বয়সিদের মধ্যে বেশি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাই দেরি না করে গতকালই ৬-১২ বছর বয়সিদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা মঞ্জুর করেছে মোদী সরকার। 
    এদিন এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে টিকাকরণের হার বাড়াতে প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলিতে টিকাকরণ শিবির করতে হবে।’’ তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করার উপরেও জোর দেন। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে চলছে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ টিকার অন্তত একটি ডোজ় পেয়েছেন। ১৫ বছরের বেশি বয়সি অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৮৪ শতাংশ ইতিমধ্যেই টিকার দু’টি ডোজ় পেয়ে গিয়েছে।
    বর্তমানে এ দেশে টিকাকরণের মাধ্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকবচকে শক্তিশালী করতে দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের পরে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রিকশান বা বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা বাড়িতে শিশুসন্তান রয়েছে এমন বাবা-মায়েদেরও প্রিকশান ডোজ় নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার ন’মাস পরে প্রিকশান ডোজ় নিতে পারবেন এক ব্যক্তি। এ ছাড়া, সংক্রমণকে দ্রুত চিহ্নিতকরণ করতে সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানোর উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সেই নমুনা জিনোম পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, ওই জিনোম পরীক্ষাই বলে দেবে দেশের কোনও প্রান্তে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রশ্নে করোনা ভাইরাসের কোন প্রজাতি সক্রিয়। যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে মন্ত্রক।

  • 75th Independence Day: আজ ১৫ অগাস্ট, ফিরে দেখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস

    75th Independence Day: আজ ১৫ অগাস্ট, ফিরে দেখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার (Independence) পঁচাত্তর বছর পূর্তি। দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। ভারত সরকার (India Govt.) হাতে নিয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। দেশের স্বাধীনতা আনতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতর্পণ চলছে বছরভর ধরে। পালিত হয়েছে হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। আসুন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ফের একবার মনে করে নিই বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলি।

    ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ: স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধটি হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। দেশবাসী একে জানেন সিপাই বিদ্রোহ হিসেবে। মঙ্গল পাণ্ডে, বাহাদুর শাহ জাফর, রানি লক্ষ্মীবাই এবং নানা সাহিব রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রিটিশ সৈনদের বিরুদ্ধে। পরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।

    স্বদেশি আন্দোলন: উনবিংশ শতাব্দীতে শুরু হয় স্বদেশি আন্দোলন। বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে দেশীয় জিনিস ব্যবহার করার ডাক দেওয়া হয়। বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো নেতারা দেশবাসীকে স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহার করার আহ্বান জানান। পরবর্তীকালে তিলক এবং জেআরডি টাটা মিলে চালু করেন বিখ্যাত বম্বে স্বদেশি কো-অপারেটিভ স্টোর্স কোম্পানি।

    ভারত ছাড়ো আন্দোলন: ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট শুরু হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলন। এদিনই মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির বম্বে অধিবেশন বসে। এই আন্দোলন ছিল অহিংস আন্দোলন।

    প্রথম জাতীয় পতাকা: ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকায় ছিল সবুজ, হলুদ এবং লাল রং। ১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট কলকাতার পার্সি বাগান স্কোয়ারে তোলা হয় ওই পতাকা। বর্তমানে যে জাতীয় পতাকা দেখি, তা প্রথম দেখা যায় ১৯২১ সালে। তিরঙ্গা ওই পতাকায় রয়েছে গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। ২৪ স্পোকের অশোক চক্রও রয়েছে। জাতীয় এই পতাকার ডিজাইন করেছিলেন পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই এটি গ্রহণ করা হয়। সরকারিভাবে এই জাতীয় পতাকা তোলা হয় ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন।

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীত: ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় কোনও জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ভারত ভাগ্য বিধাতা। পরে এর নাম হয় জনগণমন। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে একে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

    র‌্যাডক্লিফ লাইন: ভারত পাকিস্তানের মধ্যে র‌্যাডক্লিফ লাইন টানা হয় ১৯৪৭ সালের ৩ অগাস্ট। পাঞ্জাব ও পাকিস্তানের সীমান্ত ও বাংলা রিজিয়ন প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৭ অগাস্ট।

    ভারতের জাতীয় গীত:  ১৮৮০ সালে জাতীয় গীত বন্দে মাতরম লিখেছিলেন আনন্দমঠের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধান পরিষদ একে জাতীয় গীত হিসেবে গ্রহণ করে।

    ভারতের স্বাধীনতা: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায় কঙ্গো, বাহরিন, কোরিয়া এবং লিচেস্টাইনের সঙ্গে ভারতও। ভাগ হয়ে যায় ভারত ও পাকিস্তান।

    কেন ১৫ অগাস্ট? ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছিলেন। ভারতীয় নেতারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন। পরে ব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হন ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। তিনি জানান, দেশে আরও কোনও প্রতিবাদ দেখতে চান না তিনি।

    প্রথম তিরঙ্গা উত্তোলন: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় প্রথমবার উত্তোলন করেন তিরঙ্গা পতাকা। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী যখন ঘুমোচ্ছে, তখন ভারত জাগবে নতুন জীবন ও স্বাধীনতা নিয়ে।

     

  • Agnipath Scheme Protest: বিক্ষোভকারীদের কোনও জায়গা নেই অগ্নিপথে, স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    Agnipath Scheme Protest: বিক্ষোভকারীদের কোনও জায়গা নেই অগ্নিপথে, স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভকারীদের (Protestors) কোনও জায়গা নেই ‘অগ্নিপথ‘ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) চাকরিতে। পরিস্কার জানিয়ে দিল কেন্দ্র। অগ্নিপথ নিয়োগের আগে চাকরিপ্রার্থীকে মুচেলেকা (Written Pledge) দিয়ে জানাতে হবে তাঁরা বিক্ষোভের সাথে কোনওভাবে জড়িত ছিলেন না। এরপর সেই বক্তব্যের পুলিশি যাচাই হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই চার বছরের জন্যে হওয়া যাবে অগ্নিবীর (Agniveers)। 

    রবিবার অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী (Lt Gen Anil Puri)। প্রথমেই তিনি জানান কোনও পরিস্থিতিতেই প্রত্যাহার করা হবে না অগ্নিপথ প্রকল্প। বিক্ষোভকারীদের জন্যে অগ্নিপথে কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনিল পুরী কড়া ভাষায় বলেন, বিক্ষোভকারী স্থান নেই সেনাাহিনীতে। তিনি বলেন,‘‘প্রত্যেক আবেদনকারীকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, তাঁরা কোনও বিক্ষোভের অংশ ছিলেন না। পুরোনো পুলিশি রেকর্ডের যাচাইও হবে।’’ 

    আরও পড়ুন: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    গত সপ্তাহেই সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নতুন প্রকল্প অগ্নিপথের ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চার বছরের জন্য দেশের সাড়ে ১৭-২৩ বছর বয়সি তরুণদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। চার বছর পরে ২৫%-কে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী পদ দেওয়া হবে, বাকিদের এককালীন ভাতা দিয়ে অবসর দেওয়া হবে।  

    ঘোষণার পর থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। পথ অবরধ থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, বিক্ষোভকারীরা কোনও কিছুতেই পিছপা হয়নি। বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দিয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প প্রত্যাহার করবে না কেন্দ্র। উল্টে কবে নিয়োগ হবে, কবে থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে, সবকিছুই বিশদে জানানো হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

    আরও পড়ুন: তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার 

    ২৪ জুন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনায় নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৪ জুলাই প্রথম দফার অনলাইন পরীক্ষার শুরু হওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে প্রথম দফার নিয়োগ শুরু হবে। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ। অন্য দিকে নৌবাহিনীতে ২১ নভেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী। তিনি জানিয়েছেন, নৌবাহিনীতে মেয়েদেরও নিয়োগ করা হবে ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে।      

    আপাতত অগ্নিপথে ৪৬ হাজার আবেদনকারীকে সুযোগ দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে এক লক্ষ ২৫ হাজার অগ্নিবীরের শূন্যপদ তৈরি হবে সেনাবাহিনীতে।

     

  • Aamir Khan: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

    Aamir Khan: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। বহু প্রতীক্ষার পরে শেষপর্যন্ত ১১ অগাস্ট মুক্তি পেল আমির খান (Aamir Khan) অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha)। আর এই সূত্রেই তাঁর আসাম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই তাঁর আসাম সফর স্থগিত করা হয়। এবং তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে বিনোদন জগৎ থেকে রাজনৈতিক মহলে।

    ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই ছবিটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেট নাগরিকরা। কয়েক বছর আগের এক সাক্ষাৎকারে দেশ নিয়ে এক মন্তব্য করাতেই আজ তাঁর সিনেমাকে বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা। ফলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন খোদ অভিনেতা তথা বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। এরই মধ্যে আমিরের আসাম সফর পিছিয়ে দিল নিজেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আসাম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) অনুরোধে সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের পর পর্যন্ত। কিন্তু কেন তিনি এমনটা করলেন তা নিয়েই কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “আমার ছবি বয়কট করবেন না”, নেটিজেনদের অনুরোধ আমির খানের

    সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন থেকে নজর যাতে সরে না যায় সবার, তাই আমিরকে অসম সফর পিছোতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান এই বিশেষ সময়ে দেশবাসীর সমস্ত ফোকাস শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ঘিরেই থাকুক।

    মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমির খান এখানে আসতে চেয়েছিলেন এবং আমাকে সেই ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের ফোকাস যাতে অন্য দিকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমি তাঁকে ১৫ অগাস্টের পরে আসতে অনুরোধ করেছি। স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গার ওপর থেকে নজর সরুক, তা আমরা চাই না।” তিনি আরও বলেছেন যে “নিয়মিতভাবে খানের সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ রয়েছে এবং আমি যখনই তাঁকে আসার জন্য বলব তখনই তিনি আসবেন। তবে সেই তারিখ পরে নিশ্চিত করব।“

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে বন্যায় বিধ্বস্ত আসামকে রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আমির খান। তিনি এই রাজ্যে শেষ এসেছিলেন ১০ বছর আগে। সেই সময়ে উত্তরের তেজপুরে থেকেছিলেন।

  • Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presdential polls)। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই ব্যস্ততা তুঙ্গে।এমতাবস্থায় সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। সেই কারণে বিজেপির তরফে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath singh)।

    ভারতে রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় জনগণই ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। আর ভারতে জনগণের হয়ে ভোট দেন বিধায়ক, সাংসদরা। তাই রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাইছেন না পদ্ম নেতৃত্ব। বরং তাঁরা চাইছেন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত হোন ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। সেই জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাড্ডা এবং রাজনাথকে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বলেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দ বসার আগেও বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য গঠন করা হয়েছিল দুজনের কমিটি। সেবার অবশ্য ঐক্যমত্য হয়নি। কোবিন্দকে সমর্থন করেছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজু জনতা দল। ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রাইসিনা হিলসে যান কোবিন্দ। এবার বিজেপির তরফে আসরে নামানো হয়েছে বেঙ্কাইয়া ও রাজনাথকে। কোবিন্দের ক্ষেত্রে না হলেও, হয়েছিল আবদুল কালামের ক্ষেত্রে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি।  

    এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট হতেই কোমর কষে পথে নেমে পড়েছে বিজেপি। তবে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোটের বৈঠক করতে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই বিরোধীদের তরফে একজনকে দাঁড় করনোর চেষ্টা হতে পারে রাষ্ট্রপতি পদে।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে ভোট রয়েছে ৪৮.৯ শতাংশ। আর সম্মিলিত বিরোধী জোটের ঝুলিতে রয়েছে ৫১.১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বিজেপি এবং বিরোধীদের ভোটের ব্যবধান ২.২ শতাংশের মতো।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    সূত্রের খবর, গতবারের মতো এবারও বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে ওড়িশার বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে নীতিশের দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বভাবতই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা শাসক বিরোধী দুই শিবিরেই।

     

  • Amarnath Yatra: দুবছর পর ফের শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা, কীভাবে আবেদন করবেন?

    Amarnath Yatra: দুবছর পর ফের শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা, কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) জন্যে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটান্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা (Lt Gen Manoj Sinha)। ‘আওয়াম কী আওয়াজ’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মনোজ সিনহা বলেন, “আমরা আশা করছি এইবার আমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীর সংখ্যা অনেক বাড়বে। আগামী ৩০-শে জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসন সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত।”

    করোনা আবহে দুবছর বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হওয়ায় তীর্থযাত্রীদের পুনরায় এই ধাম দর্শনের অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। বছরে মাত্র ৪৩ দিনের জন্যই যাওয়া যায় অমরনাথে। এ বার যাত্রা শুরু হচ্ছে ৩০ জুন। শেষ হবে ১১ অগস্ট।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩০ জুন, এগুলি সঙ্গে না রাখলে পড়বেন সমস্যায়

    এই প্রথমবার শ্রীনগর থেকে সোজা হেলিকপ্টারে করে পৌঁছনো যাবে অমরনাথে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে এই পথে হেলিকপ্টার চালানোর অনুমতি পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। যারা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন না, তাঁরা চাইলে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছতে পারবেন অমরনাথে। এত দিন পঞ্চতরণীর পর থেকে ৬ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হত তীর্থযাত্রীদের। এ বার চাইলে হেলিকপ্টারে করে উড়েও যেতে পারবেন তাঁরা। তবে তার জন্যে অমরনাথ যাত্রার আবেদন করার সময়েই জানাতে হবে বিষয়টি।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি 

    যে যত আগে আবেদন করবেন, তাঁর অমরনাথ যাত্রার অনুমতি পাওয়ার সম্ভবনা তত বেশি। ১৩ বছরের কম এবং ৭৫ বছরের বেশি বয়স হলে এই যাত্রার অনুমতি মেলে না। অমরনাথ যাওয়ার দুটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তা দুটি দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার যাত্রী অমরনাথ যাত্রার অনুমতি পান। 

    কীভাবে অমরনাথ যাত্রার জন্যে আবেদন করবেন? 

    • আবেদন করতে সবার আগে https://jksasb.nic.in/register.aspx  -এই ওয়েবসাইটটিতে লগ-ইন করতে হবে। 
    • তারপর ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। 
    • নিজের যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। 
    • এর পরে আবেদনের নম্বর পাওয়া যাবে। 
    • সেটা পাওয়ার পরে সম্মতি জানালে মিলবে অনুমতি পত্র। 
    • কেউ চাইলে সরাসরি শ্রীনগর বা জম্মু গিয়ে শ্রী অমরনাথজি মন্দির বোর্ডের দফতর থেকে অনুমতি নিতে পারেন।  

    www.shriamarnathjishrine.com – এই ওয়েবসাইটে আবেদনের ফর্ম পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে লাগবে চিকিৎসকের শংসাপত্র। সেটা অবশ্যই ২০২২ সালের ২৮ মার্চ তারিখের পরে নেওয়া হতে হবে। কোন চিকিৎসকরা শংসাপত্র দিতে পারবেন সেই তালিকাও রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। এর সঙ্গে দিতে হবে চারটে পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর আধার বা ভোটার কার্ডের ফটোকপি। 

  • Pulwama Encounter: পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলায় জড়িত ২ আল-বদর জঙ্গি

    Pulwama Encounter: পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলায় জড়িত ২ আল-বদর জঙ্গি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় খতম ২ আল-বদর জঙ্গি। বুধবার বিকেল থেকে মিত্রিগ্রাম এলাকায় জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়৷ তাতেই ২ জঙ্গি খতম হয়েছে। এই কথা টুইট করে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে নির্দিষ্ট সূত্র মারফৎ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার মিতরিগাম এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। সময় নষ্ট না করে, দ্রুত তল্লাশি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গভীর রাতে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হানা দেয় পুলিশ, আধাসেনা ও সেনাকে নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ যৌথবাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি টের পেতেই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। প্রায় রাতভর চলা এনকাউন্টার শেষে দুই জঙ্গি নিহত হয়। আহত হয়েছেন এক জওয়ানও। 

    [tw]


    [/tw]

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠন আল বদরের সদস্য। তাদের নাম–আইজাজ হাফিজ ও শাহিদ আয়ুব। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং হামলায় জড়িত ছিল এই ২ জঙ্গি। ঘটনাস্থলে থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। 

     

     

     

  • Weather Update: বৃষ্টিপাত নিয়ে আগাম বার্তা দিল মৌসম ভবন

    Weather Update: বৃষ্টিপাত নিয়ে আগাম বার্তা দিল মৌসম ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বছর অর্থাৎ ২০২২ এ বর্ষা নিয়ে বড়সড় ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর ( IMD)। শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয়, এবছর কেমন বর্ষা হবে। সেপ্টেম্বর ২০২২-এ বৃষ্টিপাত হতে পারে গড় ৮৬৮.৬ মিলি ৷ ৯৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা রয়েছে এবছর৷ মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে (IMD) এইবার গড় বৃষ্টিপাত হবে (Average Rainfall), ৮৬৮.৬ মিমি। ৮৬০.৬ মিমি বৃষ্টিপাত হবে জুনে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৯৭১ থেকে ২০২১ এর মধ্যে ৫০ বছরের বৃষ্টিপাতের গড় ৮.৬ মিমি বেড়েছে ৷ মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানতে পারা গিয়েছে (IMD) বছরে ২ বার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ৷ অনুমান (Prediction for Monsoon) করতে হয় ৷ প্রধানত বৃষ্টিপাতের অনুমান যা জুনে ২০২২ গিয়ে প্রকাশিত হয় ৷ মৌসম ভবনের (IMD) পক্ষ বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী এই বছরে বৃষ্টিপাত হবে ভাল মতই ৷ উত্তর ভারতে ভাল বৃষ্টিপাত হবে ৷ এছাড়াও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হবে বলে অনুমান আবহাওয়া দফতরের।

  • Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপনায় রাশ টানতে ফের পদক্ষেপ করল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) সরকার। ভূস্বর্গে জামাত-ই-ইসলামির (Jamat-e-Islami) সঙ্গে সম্পর্কিত ফালাহ-ই-আম (Falah-e-Aam) ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত সব স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মুখ্য সচিব বি কে সিং বলেন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে সমস্ত শিক্ষাক্রম অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

    আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    মঙ্গলবার সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, এই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পাঠরত সব শিক্ষার্থীকে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য কাছাকাছি সরকারি কোনও স্কুলে ভর্তি হতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১২টি স্কুল ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ছাড়াও আরও ডজনখানেক প্রাথমিক ও মধ্যমস্তরের স্কুল রয়েছে যা এই আদেশের আওতায় আসবে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলগুলিতে পড়ে। তাদের কাছাকাছি কোনও সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে বলা হয়েছে।

    চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অনেকের সম্পত্তি সিল করে দিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়ে অভিযান চালিয়ে দু ডজনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    প্রশাসনের তরফে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই স্কুলগুলিতে নতুন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবং এই স্কুলগুলিকে নতুন করে আর রেজিস্ট্রেশন করা হবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে জামাত-ই-ইসলামি ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩০০ স্কুল স্থাপন করে এই ট্রাস্ট। এই স্কুলগুলি কাশ্মীরে ভীষণ জনপ্রিয়। ট্রাস্টের সংবিধান অনুযায়ী, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ এই ট্রাস্টের অন্যতম লক্ষ্য।

    ইদানিং ফের রক্তাক্ত হচ্ছে উপত্যকা। বাড়ছে জঙ্গিপনা। অভিযোগ, এই জঙ্গিপনায় মদত দিচ্ছে এই জাতীয় ট্রাস্ট। তাই এই ট্রাস্টগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

     

  • Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছুঁতে চলেছে ১৩ হাজারের গণ্ডি। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। সংক্রমণের  নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল ও কর্নাটক। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। সংক্রমণ বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। সার্বিকভাবে গোটা দেশেই করোনার গ্রাফ (Corona Graph) ঊর্ধ্বমুখী।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১২ হাজার ৮৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের থেকে এই সংখ্যা সামান্য বেশি। দেশে এই অবধি মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৭৭ জন।

    আরও পড়ুন: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

    সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। শুধু মহারাষ্ট্রেই সংক্রমণ চার হাজারের বেশি। দিল্লির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংক্রমণ বেড়েছে কেরল ও কর্নাটকের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও। কেরলে একদিনে ৩ হাজার ৪১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণে তারপরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে ১৩২৩ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। আর কর্নাটকে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৩৩ জন। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯৮ জন। 

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৩ জন। এই সংখ্যা দৈনিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিনে দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। গতকালের থেকে আজ ৪ হাজার ৮৪৮ জন সক্রিয় রোগী বৃদ্ধি হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি।   

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Social Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই অবধি দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৭ জন। করোনা থেকে একদিনে সেরে উঠেছে ৭ হাজার ৯৮৫ জন। এযাবৎ দেশে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬৪ শতাংশ।

    করোনাকে রুখতে টিকাকরণেই বেশি জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এখন পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৮৪ লক্ষ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ। 

     

LinkedIn
Share