Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।    

    বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।  

    আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    এক আধিকারিকের মতে, “এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আধিকারিক আরও জানান, “এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।”

    প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।   

      

     

  • Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশজুড়ে ফের ফণা তুলছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাকরণে (Vaccination) গতি এনেছে কেন্দ্র। জোড় দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজে (Booster Jab)। কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতে একে পূর্ব সতর্কতা ডোজও বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেওয়া হয় এই বুস্টার শট। 

    চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ। 

    এপ্রিল মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ লক্ষ করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপর চাহিদা খানিকটা কমলেও, মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে আবার বুস্টার ডোজের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ২১.০৮ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় টিকার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে অনেকটাই লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। কিন্তু এখন আবার সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। তাই চতুর্থ ঢেউকে প্রতিহত করতে বুস্টার ডোজ নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

    কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এই মুহূর্তে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার শক্তি খুব বেশি নয়। বুস্টার ডোজ এই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টে নিজের ক্ষমতা দেখাতে খুব বেশি সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর নিজে থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে নিতে পারে। অ্যান্টিবডি হ্রাস পাচ্ছে মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।  
    রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে টি-সেল এবং বি-সেল। টি-সেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতারই একটি অংশ। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই টি-সেল। কেউ কেউ বলেছেন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বুস্টার ডোজের কোনও প্রয়োজন নেই। একমাত্র নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলেই বুস্টার ডোজের কথা ভাবা যেতে পারে।   

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার ডোজ এই মুহূর্তে তাঁদেরই প্রয়োজন যারা এখন অবধি করোনায় একবারও আক্রান্ত হননি। তাঁদের সেই রোগের কোনও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি। তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। অল্প বয়স্কদের এখনই প্রয়োজন নেই বুস্টার ডোজ। বয়স্করা নিতে পারেন।  

    বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কোনও ভয় নেই। বরং নেওয়া থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে পারে না এই মারণ ভাইরাস। জানাচ্ছেন, ৬০% রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। তাঁদের মাত্র ৬% বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রশ্ন, কিছু দিনের মধ্যেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির হবে। তখন কেন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিতে দৌড়ব? আগে থেকে নিয়ে কেন প্রস্তুত থাকব না? বুস্টার ডোজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা কোমর্বিলিটির রোগী, অর্থাৎ যাদের হৃদরোগ, ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

    ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ডই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যদিও ভারতে এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আপনাকে প্রথম দুই ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে যে টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে তা করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বানানো হয়েছিল। ভাইরাস এখন মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকৃতি বদলেছে। তাই এই ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি কার্যকর হবে না এই টিকা বলে মত তাঁদের।
    তাই যাদের বিপদের আশঙ্কা সব থেকে বেশি একমাত্র তাঁদেরকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। 

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Jammu-Kashmir: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu-Kashmir: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) হামলার ছক বানচাল করল কাশ্মীর পুলিশ। রবিবারের পর সোমবার রাতেও জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন গভীর রাতে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ হয় উপত্যকায় ঢোকা লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিদের।  

    দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিন লস্কর জঙ্গিকে গুলি করে খতম করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর মধ্যে ২ জন পাক জঙ্গি। তৃতীয়জনের নাম আদিল হুসেন মীর। পুলিশ জানিয়েছে, আদতে অনন্তনাগ জেলার পহেলগামের বাসিন্দা হলেও ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস ছিল। সংঘর্ষের সময় একজন স্থানীয় ও এক পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্র-সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে ।

    [tw]


    [/tw]

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। জানা গেছে মৃত তিন জঙ্গি পাকিস্তান দিয়ে উপত্যকায় ঢুকেছিল। সোমবার রাতের এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। তিনি জানান, পাকিস্তান থেকে দুই লস্কর জঙ্গি ভারতে এসেছিল। তাদের নিকেশ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল পুলিশ। নিহত দুই লস্কর জঙ্গির একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের ফয়জলাবাদ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গির নাম আবদুল্লাহ গাজৌরি। পুলিশের অনুমান, নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গিই ফয়জলাবাদের বাসিন্দা। এর আগেও সোপোর এনকাউন্টারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু তখন কোনও কারণে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। খতম জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি একে–৪৭ রাইফেল, ১০টি ম্যাগাজিন, তাজা কার্তুজ, ওয়াই–এসএমএস ডিভাইস–সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে।

     

  • Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) ঔপনিবেশিক মানসিকতা (colonial mindset) ছিল। তাঁর মৌলিকতাও ছিল না। সেই কারণেই ভারত (India) অতীতে বিশ্বের সামনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এই মত পোষণ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক মুকুল কানিতকর। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী, ২০২২ সালেই হৃত অ্যাকাডেমিক গৌরব পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বের কাছে তার সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে ভারত।

    বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোচনাসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন কানিতকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘রিভিজিটিং আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ফ্রম স্বরাজ টু নিউ ইন্ডিয়া’। কানিতকরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আলোচনাসভায় নেহরুর মতাদর্শকে আক্রমণ করেন কানিতকর। বলেন, একবার নেহরুকে চিঠি লিখে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) অনুরোধ করেছিলেন, উন্নয়ন যাতে একেবারে গরিব শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছয়, তার জন্য “গ্রাম স্বরাজ” বা স্বনির্ভর গ্রামকে মান্যতা দেওয়া হোক। এর জন্য গান্ধী ৬টি পয়েন্টে গোটা বিষয়টি ভেঙে বুঝিয়েছিলেন নেহরুকে। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কারণ, তাঁর মধ্যে কোনও নিজস্বতা ছিল না এবং তাঁর মানসিকতা ঔপনিবেশিক ছিল। আরেকটি সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ গঠনের সময়। ভারত সেই সময় সহজেই এই উপ-মহাদেশে নিজের জন্য একটা জায়গা তৈরি করতে পারত।

    কানিতকর বলেন, ভারত বিশ্বের কাছে তার প্রকৃত শিক্ষার আত্মাকে উপস্থাপন করার সুযোগের বেশ কয়েকটি জানালা হারিয়েছে। কিন্তু এখন আর আমাদের এই সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়। তিনি বলেন, বিবাদের সমাধান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মেই। এগুলিকে একটি সামাজিক বিজ্ঞান তত্ত্বের আকারে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। তাহলেই বিশ্ব আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করবে। কানিতকর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপন করা উচিত।

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন বলেও মনে করেন কানিতকর। তিনি বলেন, ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরএসএসের সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক বলেন, ১৮৩৫ সালের পরে ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করেননি। পোখরান পরীক্ষা ও দেশীয়ভাবে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতীয় গবেষণার সত্যিকারের নিদর্শন। এর পরেই তিনি নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

    এদিনের অনুষ্ঠান বক্তৃতা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে হতে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ভারতকে আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন বলেও মনে করিয়ে দেন শাহ।

     

  • Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Prophet row: সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়ালেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamaat Ulama-e-Hind) প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। শান্তির বার্তা দিলেন সুহেব। ইসলামের রীতি মেনেই নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

    পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুরের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে অশান্তি। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন নূপুরকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কাসমি। দেশ জুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে সংগঠন সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কাসমি বলেন, “এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে, নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও, শুক্রবারের নমাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।”

    সমালোচনার মুখে পড়ে নূপুরকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কাসমি। তিনি বলেন, “নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতে আইন রয়েছে। আমরা নিজের হাতে সেই আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইনভঙ্গের অধিকার নেই আমাদের।” যে বা যাঁরা অশান্তি এবং হিংসা ছড়ানোয় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    শুধু তাই নয়, যে সমস্ত সংগঠন হিংসায় উস্কানি জুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছে জামাত উলেমা-ই-হিন্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ এর প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য যে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যেরল পরই বিজেপির তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সব ধর্মকে সম্মানের চোখে দেখে বিজেপি। বলা হয়, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি (BJP)।”  

     

  • PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। বুধবার ভোর রাতে থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে চলে ব্যপাক ধরপাকর অভিযান। এই অভিযান আগে থেকে পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। দীর্ঘদিন ধরেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    বিশেষ সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেই এই ধরপাকর অভিযান শুরু হয়। গত তিন চার মাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে বারবার আলোচনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নেতৃত্বেই সারা দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৯৩টি জায়গায় অভিযান চালায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (NSA) অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, বৃহস্পতিবার অভিযানের সময়ও এ নিয়ে এক প্রস্থ কথা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, এনআইএ ডিরেক্টর জেনারেল দীনকর গুপ্ত, অজিত দোভাল ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।  কেন্দ্রের তরফেও এই সংগঠনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে পিএফআই সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র, বোমা, গানপাউডার,তলোয়ার সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। কেরলে এই সংগঠনের বিস্তার সবচেয়ে বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন আইএনএস বিক্রান্তের উদ্বোধন করতে কোচি যান, তখনই কেরল পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে পিএফআই নিয়ে তাঁর কথা হয় বলেও জানান ওই আধিকারিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

    Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি পদে শপথ নিলেন জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। ২০২৮ সালের মে মাসে তিনি হবেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু’বছর তিন মাস। মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী এই বিচারক কোনও দম্পতির মধ্যে অশান্তি মেটাতে নিজের বাইরে গিয়েও চেষ্টা করেন। তাঁর প্রতিটি রায়ে দেন ‘মানবিকতার স্পর্শ’।  

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা (J B Pardiwala) ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা এই দুই বিচারপতিকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। 

    এর আগে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন বিচারক জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। নতুন দুই বিচারপতি শপথ নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের মোট বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪। তবে, তা ১০ মে পর্যন্ত। ১০ মে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি বিনীত সরনের। বিচারপতি ধুলিয়া, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট থেকে পদোন্নতি হওয়া দ্বিতীয় বিচারপতি। অপরদিকে, বিচারপতি পারদিওয়ালা চতুর্থ পার্সি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে উন্নীত হলেন।   

    ১১ বছর আগে বিচারক হন পারদিওয়ালা। কয়েকজন প্রবীণ বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে প্রতিযোগীতায় হারিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের এই পদে আসীন হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ ৩০ মাস ৩৪ জন বিচারপতির পদ শূন্য ছিল। সম্প্রতি ওই পদগুলি পূরণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নতুন বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক তা অনুমোদন করে। 

    গত ১১ বছর উচ্চ আদালতে বিচারপতি থাকাকালীন পারদিওয়ালার বিভিন্ন রায় সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে। কোভিড অতিমহামারীর সময় একাধিকবার তিনি সরকারকে তিরস্কার করেছেন। ওই সময় তিনি পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুমতি দেননি। একটি রায়ে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে ইমপিচ করার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল।   

    বিচারপতি পারদিওয়ালার ডাক নাম জাপু। গুজরাতের দক্ষিণে এক পার্সি পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর দাদু কাওয়াসজি নভরোজ পারদিওয়ালা, ১৯২৯ সালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৮ সাল অবধি আইনের পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জামশেদ পারদিওয়ালার বাবা  বুরজোর কাওয়াসজি পারদিওয়ালা ওকালতির পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গুজরাত বিধানসভার স্পিকার ছিলেন।

    জামশেদ পারদিওয়ালা ১৯৮৮ সাল থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। ২০১৩ সালে তাঁকে ওই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু জাল উনওয়ালা জানিয়েছেন, একসময় ভাল টেনিস খেলতেন পারদিওয়ালা। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। অদৃষ্টও মেনে চলেন। 

    পারদিওয়ালা তরুণ আইনজীবীদের কাছে একজন অত্যন্ত পছন্দের বিচারপতি। তাঁরা বলেন, পারদিওয়ালার ভাষার ওপরে তাঁর যথেষ্ট দখল আছে। সর্বোপরি তিনি প্রতিটি রায়ে মানবিক স্পর্শ দেন। এক প্রবীণ অ্যাডভোকেট বলেন, বিচারপতি পারদিওয়ালা যদি দেখেন এমন কোনও দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছে যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের তিনি নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান। দু’জনের কাছে আবেদন করেন, সন্তানের কথা ভেবে আপনারা বিচ্ছিন্ন হবেন না। এমনকি বৈবাহিক ধর্ষনেরও বিরোধীতা করেন এই ‘মানবিক’ বিচারপতি। 

     

  • Covaxin ৬-১২ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে Covaxin, জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র DCGI-এর

    Covaxin ৬-১২ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে Covaxin, জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র DCGI-এর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের (Bharat biotech) কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকা ব্যবহার করা যাবে। মঙ্গলবার এই বয়সীদের শরীরে কোভ্যাক্সিনের ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। কবে থেকে টিকা (covid-19 vaccine) দেওয়া শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই এই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে বলে খবর। 

    পাশাপাশি, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও সতর্ক কেন্দ্র। সেই কারণে, ভারত বায়োটেককে ডিসিজিআই-এর কঠোর নির্দেশ — প্রথম দুই মাসের জন্য প্রতি ১৫ দিন অন্তর যথাযথ বিশ্লেষণ সহ ভ্যাকসিনের প্রতিকূল ঘটনার পাশাপাশি এর কার্যকারিতার তথ্যও জমা দিতে হবে। এছাড়া, দুই মাস পরে, ভারত বায়োটেককে ৫ মাসের মাসিক তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

    এর আগে, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর, ১২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য কোভ্যাক্সিন টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য কোরবিভ্যাক্স (Corbevax)-কে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। কোরবিভ্যাক্স বর্তমানে ১২-১৪ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে এই বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে।

    করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও জুন-জুলাই থেকে ফের একবার সংক্রমণের গ্রাফ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরু করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে স্কুলও খুলে গেছে। রাজধানী দিল্লি (Delhi) সহ দেশের কয়েকটি প্রান্তে স্কুল খোলামাত্রই খুদেদের মধ্য়ে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। তাই বাচ্চাদের সুরক্ষার কারণেই জরুরি ভিত্তিতে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকায় ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।

     

  • Mirchi Baba Rape Case: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা ‘মির্চি বাবা’

    Mirchi Baba Rape Case: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা ‘মির্চি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ভোপালের নিরঞ্জনী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর (Mahamandaleshwar of the Panchayati Niranjani Akhara) তথা স্বামী বৈরাগ্যানন্দ গিরি (Swami Vairagyanand Giri) ওরফে  মির্চিবাবা (Godman Mirchi Baba)। এবার এই স্বঘোষিত গডম্যানকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। জানা গিয়েছে, সন্তান লাভের আশায় মির্চি বাবার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই বাবাজি মহিলাকে ধর্ষণ (rape) করে। মহিলাটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর গোয়ালিয়রের একটি হোটেল থেকে মির্চি বাবাকে গ্রেফতার করেছে ভোপাল ও গোয়ালিয়র পুলিশের যৌথ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, মির্চি বাবাকে এর আগে ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের (Congress) হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের (Digvijay Singh) জয়ের জন্য এক কুইন্টাল লঙ্কা দিয়ে হোমযজ্ঞ করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন স্বামী বৈরাগ্যানন্দ। সাধারণ মানুষ ও ভক্তদের কাছে তিনি মির্চি বাবা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপরেই এমন খবর উঠে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের চারবছর হয়ে গেলেও মা হতে পারছিলেন না মহিলা। সন্তান লাভের আশায় শেষমেশ স্বঘোষিত গডম্যান ‘মির্চি বাবা’র (Mirchi Baba) শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, ১৭ জুলাই মহিলা যখন মির্চি বাবার বাড়িতে যান তখন তাঁর খাবারে মাদকজাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত। মহিলা পুলিশকে জানান, খাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সন্তান লাভ তো দূর, উল্টে মির্চি বাবার হাতেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি।

    এরপরেই স্বামী বৈরাগ্যানন্দ ওরফে মির্চি বাবার বিরুদ্ধে সোমবার রাতে রাইসেনের বাসিন্দা ২৮ বছরের ওই তরুণী ভোপাল মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। মির্চি বাবার বিরুদ্ধে ৩৭৬,৩৪২, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে ভোপাল পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মঙ্গলবার মধ্য রাতে গোয়ালিয়রের একটি হোটেলের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে এবং মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে।

    এই ভণ্ড বাবাজি শুধুমাত্র মহিলাকে ধর্ষণই করেনি, মহিলা তাকে বাধা দিলে তাঁকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। ফলে তার এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য আদালত মির্চি বাবার কী শাস্তি দেয়, সেটিই এখন দেখার।

  • Prophet Remark Row: ফের গ্রেফতার বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়ক রাজা সিং, কেন জানেন?      

    Prophet Remark Row: ফের গ্রেফতার বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়ক রাজা সিং, কেন জানেন?      

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গ্রেফতার করা হল তেলঙ্গানার বিধায়ক বিজেপির (BJP) টি রাজা সিংকে (T Raja Singh)। বৃহস্পতিবার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুরানো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় রাজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিন যখন রাজাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তাঁর বাড়ির সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। বিধায়কের বাড়ির সামনের রাস্তায় তৈরি করা হয় ব্যারিকেড। তার পরেই রাজাকে নিয়ে যায় পুলিশ।

    হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত (Prophet Remarks Row) মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছিলেন তেলঙ্গানার (Telangana) বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। পরে তাঁর জামিনও হয়। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করে বিজেপি। বুধবার তাঁর জামিনের প্রতিবাদে হায়দরাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় জনতা। তালাবকাট্টা, চারমিনার, মুখলপুরা, চঞ্চলগুড়া, বাহাদুরপুর এবং আম্বেরপেট এলাকায় সারারাত রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। মুখলপুরায় পুলিশের ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ওপর পাথর ছোঁড়ে জনতা। বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। আদালতে তোলা হলে জামিনও পেয়ে যান রাজা। এরই প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। 

    আরও পড়ুন : রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর

    এদিকে, এদিনই এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি দাবি করেন, রাজা সিংয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই হায়দরাবাদে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো উচিত। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরানো মামলায় অভিযুক্ত এই বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলহাট পুলিশ স্টেশনে রুজু হওয়া একটি মামলায় পিডি অ্যাক্টে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে, নতুন রাজা সিংয়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরো পরিস্থিতির জন্য তেলঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিনকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজা। তিনি কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে নিশানা করেন। রাজার অভিযোগ, কেটি আমাদের ভগবানকে নিয়ে মজা করতে অনুমতি দিয়েছেন ফারুকিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share