Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) নন, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মসনদে বসেছেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। কে হবে মহারাষ্ট্রের রাজা, এই নিয়ে মসনদে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবারই শিন্ডে মুম্বাই ফিরেছেন। আর এদিনই নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। রাজ্যের বিধানপরিষদের নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির পরই একনাথ মহারাষ্ট্র ছাড়েন। প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে চলে যান আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে। শিন্ডের দাবি তিনি ও তাঁর অনুগামীরাই আসল শিবসেনা ও বালাসাহেব ঠাকরের আসল উত্তরসুরী। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন এই আশঙ্কায় আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তারপেই সেই পদে বসেছেন একনাথ।  

    আরও পড়ুন: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    মাত্র এক মাসে প্রচারের চড়া আলোয় চলে আসা কে এই একনাথ শিন্ডে?  
     
    দুদশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রচারের আলোয় সেভাবে কখনই আসেননি। চারবারের বিধায়ক শিন্ডে সামলেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে একসময় অটোও চালিয়েছিলেন। ৫৮ বছরের সেই একনাথ শিণ্ডেই এবার মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে। থানেতে মহারাষ্ট্রের ভিত শক্ত করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল শিন্ডের। ২০০৪ সালে শিবসেনার থানে জেলা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।   

    ১৯৬৪ সালে সাতারাতে জন্ম একনাথের। একাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৮০ সালে বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিবসেনা যোগ দেন। সেই সময় একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন একনাথ। একদা থানে শহরের অটো ড্রাইভার শিণ্ডে ধীরে ধীরে দলে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আসেন। ১৯৯৭ সালে থানে পুরনিগমের কর্পোরেটর পদে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেন। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    ২০০১ সালে থানে পুরনিগমের দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ অবধি ওই পদে ছিলেন শিন্ডে। ২০০৪ সালে বিধানসভার টিকিট পান। বড় ব্যবধানে জেতেন সেবার। তার পর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন ওই একই কেন্দ্র থেকে। ২০১৯ সালে মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হন একনাথ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিধানসভার দলনেতার দায়িত্ব পান শিন্ডে। 

    মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক সীমান্ত সমস্যার প্রতিবাদের কারণে ৪০ দিন জেলেও কাটিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র দাঙ্গার সময় তিনি এক মা-ছেলেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালেও পৌঁছে দেন। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ একনাথ শিন্ডে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বৃহস্পতিবারই তিনি দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

     

     

  • Udaipur Tailor Killing: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    Udaipur Tailor Killing: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ, নূপুর শর্মাকে সমর্থন। আর তাই প্রাণ গেল এক দরজি যুবকের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে করা হল মুণ্ডচ্ছেদ। খুনের ভিডিও শেয়ার করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নৃশংসতা লঙ্ঘন করল সমস্ত সীমা। ভয়ঙ্করতায় আঁতকে উঠল গোটা দেশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur) শহরের ধানমণ্ডি এলাকায়। পুরো বিষয়টির জন্যে গেহলট (Ashok Gehlot) সরকারের তোষণের রাজনীতিকেই দুষলেন রাজস্থানের প্রাক্তন এবং বিজেপি নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje)।     

    রাজস্থানের শিরশ্ছেদের (Udaipur beheading) ঘটনায় অশোক গেহলট সরকারের নীতির নিন্দা করে বসুন্ধরা রাজে বলেন, “উদয়পুরে নিরপরাধ যুবকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে রাজ্য সরকারের প্ররোচনা ও তোষণের কারণে অপরাধীদের মনোবল এখন তুঙ্গে। কংগ্রেস সরকারের ভুল নীতির কারণেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা এবং সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে সত্বর প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘হিংসায় ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না’, মুসলিম সমাজকে আবেদন মৌলবীদের

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দরজিকে হত্যা করেছে দুই যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দরজির মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। হত্যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করতেও দেখা গিয়েছে হত্যাকারীদের। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে তার জন্য এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, হত্যার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ  

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা শুরুতে সেই দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিযুক্তরা। এমনকী প্রধামন্ত্রীকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। নূপুর শর্মার মুণ্ডচ্ছেদেরও হুমকি দেয় দুই হত্যাকারী।    

    মৃত যুবকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগে নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে ওই যুবক একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।  

    যুবক খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদয়পুর শহরে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, সেই আশঙ্কায় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের এলওপি (LOP) গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, “এই ঘটনা কোনও ব্যক্তি বিশেষের নয়, কোনও সংগঠনের বলেই অনুমান করা হচ্ছে।”  

     

  • Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। তবে তাঁর সঙ্গে দ্রৌপদীর লড়াই হবে আদর্শের। এমনই জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিজেপি-বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। বিরোধীদের ভোটের পাশাপাশি বিজেপির কিছু ভোটও পাবেন বলে আশাবাদী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী প্রাক্তন রাজ্যপাল বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যাতে সর্বসম্মত হয়, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজনাথ সিংকে। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থ হন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দল সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যে তিনটি নাম নিয়ে বিরোধীরা প্রথমে এগিয়েছিলেন, সেই এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা ও কংগ্রেসের গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী সাফ জানিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তাঁরা নেই। এর পরেই বেছে নেওয়া হয় বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহাকে। তৃণমূলের এই ভাইস প্রেসিডেন্টকেই প্রার্থী করেন বিরোধীরা।

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীই। এনডিএর পাশাপাশি বিজেডি এবং নীতীশ কুমারের দলের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এতদসত্ত্বেও আশা ছাড়তে রাজি নন যশবন্ত স্বয়ং। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপি রয়েছেন, তাঁদের ভোটও পাব। আমি জানি, বিজেপির লোকও বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। গোপন ব্যালটে ভোট হবে। তাই বিষয়টি গোপনই থাকবে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    বস্তুত, এই হিসেব কষেছে তৃণমূলও। যশবন্ত যেহেতু বিজেপির প্রাক্তনী, তাই তিনি কিছু ভোট ভাঙাতে পারবেন। অন্তত এমনই ভেবেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পাওয়ার, আবদুল্লা এবং গান্ধী না করে দিতেই যশবন্তের নামে পড়ে শিলমোহর।

    কোন ইস্যুতে ভোট চাইবেন? সংবাদ মাধ্যমের এহেন প্রশ্নের জবাবে যশবন্ত বলেন, ভারতের সংবিধান রক্ষা করাই আমার সব চেয়ে বড় কাজ। যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাই, তাহলে এই কাজই করব।এই সরকার সংবিধান ও সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে মানছে না। রাষ্ট্রপতি ভবনে যদি রাবার স্ট্যাম্প থাকে, তাহলে এই সরকার তার সুযোগ নেবে এবং রাষ্ট্রপতিকে তাঁর কর্তব্য পালন করতে দেবে না।

    যশবন্তের রাইসিনা হিলসে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় কিনা, সেটাই দেখার।

          

  • Labrador Price Hike: হঠাৎ কেন ল্যাব্রাডর কুকুরের দাম বৃদ্ধি? কারণ জানলে অবাক হবেন…

    Labrador Price Hike: হঠাৎ কেন ল্যাব্রাডর কুকুরের দাম বৃদ্ধি? কারণ জানলে অবাক হবেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ‘৭৭৭ চার্লি’ (777 Charlie) নামে দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সিনেমা হলে। এই সিনেমায় একজন মানুষ ও কুকুরের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    ছবিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে কুকুরটি (Dog) এসে মানুষটির জীবনকেই বদলে দেয়। পোষ্যকে দত্তক নেওয়ার গুরুত্ব নিয়েও দুর্দান্ত বার্তা দিয়েছে এই ছবিটি। এর মাধ্যমে বহু রাস্তার কুকুরের জীবন বাঁচানো সম্ভব, তাও দেখানো হয়েছে। এককথায় বাড়িতে পোষ্য রাখার ভালো দিকগুলিও দেখানো হয়েছে সিনেমাতে।

    কিন্তু এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এক অদ্ভুত ট্রেন্ড দেখা যায়। এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরের চাহিদা বাড়তে দেখা যায়। এর চাহিদা বাড়ার ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর দামও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ল্যাব্রাডর (Labrador) প্রজাতির কুকুরের দাম ৯ হাজার টাকা থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে ১২-১৩ হাজার টাকা হয়েছে।

    বাড়িতে পোষ্য রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে বিভিন্ন পোষ্যের মধ্যে অনেকেই কুকুরকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র সিনেমার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কুকুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অনেক পশুপ্রেমীরাই এটিকে ভালো চোখে দেখছেন না।

    আরও পড়ুন: খাঁচা গলে বাইরে শিম্পাঞ্জি, তারপর…?

    এমনই এক পশুপ্রেমী দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, সিনেমাটি সমাজে এক বিপরীত প্রভাব ফেলেছে এবং ‘৭৭৭ চার্লি’ পর্দায় আসার পর থেকেই হঠাৎ ল্যাব্রাডর কুকুরের চাহিদা বেড়েছে। ফলে সিনেমাটির প্রধান উদ্দেশ্যই যেন হারিয়ে গিয়েছে। এই কুকুরের চাহিদা এতই বেড়ে গিয়েছে যে শহরে মানুষ এখন বেআইনিভাবে ব্রিডারদের থেকে এই প্রজাতি কিনছেন। তিনি আরও জানান, মাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র ল্যাব্রাডর কুকুর নিতেই আগ্রহী। এত চাহিদার ফলে কুকুর স্থানীয়ভাবে পাওয়া না গেলে, অন্য শহর থেকেও আনানো হচ্ছে।

    ওই পশুপ্রেমীর মতে, কীভাবে রাস্তার সারমেয়কেও পোষ মানানো যায় ও রাস্তার তাদের পোষ্য করার একটি দারুণ গল্প সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু মানুষ এটিকে অন্যভাবে নিয়েছে। ফলে আজ এই পরিণতি।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    এর আগেও দেখা গিয়েছিল যে ভোডাফোনের বিজ্ঞাপনে পাগ (Pug) প্রজাতির কুকুরকে ব্যবহার করার ফলে তখনও ওই প্রজাতির কুকুরের চাহিদা ও দাম দুইই বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে লকডাউনের সময় দেখা গিয়েছিল, মানুষ নিজেদের একঘেয়েমিতা কাটাতে বাড়িতে পোষ্য রাখতে শুরু করছে। আবার লকডাউন শেষ হলে তারা পোষ্যদের নয় রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে, নয় অন্যদের দিয়ে দিচ্ছে। ফলে মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য এমন কাজ করায় পশুপ্রেমীরা এই বিষয়টির নিন্দা করেছেন। তাঁদের আক্ষেপ, মানুষের এমন অমানবিক আচরণের জন্য নিরীহ জীবজন্তুদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

  • Sidhu Moosewala Murder: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের,  প্রকাশ্যে ভিডিও

    Sidhu Moosewala Murder: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের, প্রকাশ্যে ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের গত মে মাসে বিখ্যাত পাঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে (Sidhu Moosewala) পরিকল্পনা করে খুন করায় গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এবার এই খুনের ঘটনায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। প্রকাশ্যে আসা এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের পর গাড়িতে চেপে উল্লাস করছে খুনিরা। গাড়িতে বাজছে জনপ্রিয় গান। আর সেই গানের তালে তালে নিজেদের হাতে থাকা বন্দুক ঘোরাচ্ছে খুনিরা।

    [tw]


    [/tw]

    এই খুনে মূল অভিযুক্ত হিসেবে প্রথমের নাম উঠে এসেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণুই ও গোল্ডি ব্রারের। কিন্তু এরপরেই রবিবার এই খুনে অভিযুক্ত অঙ্কিত শীর্ষ এবং শচীন ভিওয়ানিকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার অঙ্কিত খুনিদের মধ্যে কনিষ্ঠতম ছিল ও ঘটনার দিন সে গায়কের সব থেকে কাছে গিয়ে তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয়টি গুলি চালায়। এও জানা গিয়েছে যে অঙ্কিত লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের সদস্যও ছিল। ঘটনার দিন পাঞ্জাবি গায়ক সিধুকে এরাই নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল।

    আরও পড়ুন: খালিস্থান-বন্দুক-সহিংসতাকে সমর্থন, স্বল্প দৈর্ঘ্যের জীবনে বিতর্ক যেন মুড়ে রেখেছিল সিধু মুসেওয়ালাকে

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিডিওটি অঙ্কিতের ইনস্টাগ্রাম (Instagram) হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছিল। বর্তমানে যদিও মুছে ফেলা হয়েছে সেই ভিডিও। তবে এখন সেই ভিডিও পুলিশের হাতে। আর তা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিধু মুসেওয়ালার অনুগামীরা।

    এই ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির পিছনের দিকে নীল জামা পরে হাসিমুখে দু হাতে বন্দুক তুলে দেখাচ্ছে প্রিয়ব্রত ফৌজি (Priyabrata Fouzi)। আর সামনের দিকে শচিন ভিওয়ানি (Sachin Bhiwani), অঙ্কিত সিরসা (Ankit Sirsa) বসে। তাছাড়া দীপক মুণ্ডি (Deepak Mundi) নামে আরও এক খুনিকেও দেখা যাচ্ছে উল্লাস প্রকাশ করতে। 

    এর আগেই দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল গুজরাটের কচ্ছ থেকে এই খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩টি পিস্তল, ৮টি গ্রেনেড, ৯টি  ইলেকট্রিক ডেটোনেটর। পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের মাস্টারমাইন্ড (Mastermind)  যে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণুই ছিলেন তা সে নিজেই স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৫ জুলাই ফৌজি সহ বাকি তিন অভিযুক্তকে সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

  • Yashwant Sinha: রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী,  জানেন কি আসল কাহিনি?

    Yashwant Sinha: রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী, জানেন কি আসল কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি (President) পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি হারছেন তা আগাম ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমন বলতে তিনিই পারেন। নিজেদের জোটের প্রার্থীকে ভোটের আগেই হারিয়ে দিয়ে এনডিএ-র (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয় নিশ্চিত বলেছেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঠিক আগে পাল্টি খেয়ে তিনি দ্রৌপদীদেবীকে সমর্থন করে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। মমতা সবই পারেন!

    যশবন্ত সিনহা ছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তাঁকে সমর্থন করছে সিপিএম-সহ বাম দলগুলি। এতদিন যে সিপিএম ‘দিদি-মোদি’ সেটিংয়ের তত্ত্ব প্রচার করত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারাই প্রমাণ করে দিয়েছে সেটিং আসলে ‘সীতা-মমতা’র। কিন্তু মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের পর মত বদলেছে মমতার। তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সহ-সভাপতি যে ভোটে হারছেন তা তিনি আগেই ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক বৃত্তে অনেকের প্রশ্ন, কাকে, ঠিক কী বার্তা দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো?এত কিছুর মাঝেও যশবন্ত সিনহা কীভাবে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী হলেন তার আসল কাহিনি অনেকের অজানা। মাধ্যম সে কথাই আজ জানাবে।

    আরও পড়ুন : “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ জুন হয় সেই বৈঠক। মমতা চাইছিলেন শারদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্খী হোন। তা ঠিক করতে দিল্লি পৌঁছান মমতা। উদ্দেশ্য ছিল, জাতীয় রাজনীতিতে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা। কিন্তু নয়াদিল্লিতে নেমেই মমতা জানতে পারেন, তাঁর ১৫ জুনের বৈঠকের পর আরও একটি বৈঠক ২১ জুন ডাকা হচ্ছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ পাওয়ার, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা আলোচনা করে তা ঠিক করে ফেলেছেন। তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, মমতা বুঝতে পারেন আরও বৈঠক হলে এবং তা তৃণমূলের নেতৃত্বে না হলে ১৫ জুনের বৈঠকের কোনও মূল্যই থাকবে না। ফলে শারদ পাওয়ারকে ম্যানেজ করতে দিল্লিতে পা দিয়েই তাঁর বাড়িতে ছোটেন মমতা। পাওয়ারকেই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে অনুরোধ করেন। এনসিপি নেতা সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েও দেন।

    আরও পড়ুন : বাজল উপরাষ্ট্রপতি পদের দামামাও, কীভাবে ভোট হয় জানেন?

    এমন পরিস্থিতিতে ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠক বসে। মমতা-শারদ পাওয়ার সেই বৈঠকের পর একটি তিনপাতার যৌথ বিবৃতি প্রকাশের জন্য সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে দায়িত্ব দেন। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লার নাম প্রস্তাবও করা হয় সেখানে। বৈঠকে আলোচনার পর তৃণমূল নেত্রী যখন যৌথ বিবৃতির কথা বলেন সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন ডিএমকে নেতা টি আর বালু। তিনি জানিয়ে দেন, এমন বিবৃতি এবং প্রস্তাবিত নাম নিয়ে এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি সই করতে পারবেন না। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি জানান। তার পর মুখ বাঁচাতে মেহবুবা মুফতিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে গিয়ে শুধু দুটি নাম নিয়ে আলোচনার কথা জানাতে বাধ্য হন তৃণমূল সুপ্রিমো। দু এক দিনের মধ্যে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লা জানিয়ে দেন তাঁরাও রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চান না।

    জাতীয়স্তরে  মমতার বিশ্বাসযোগ্যতাকে তলানিতে ঠেকিয়ে আসরে নামেন সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ পাওয়ার এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁরা যৌথভাবে প্রস্তাব দেন যশবন্ত সিনহাকে। ২১ জুনের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু যশবন্তকে বলা হয় আগে তৃণমূল ছাড়ুন তারপরই প্রার্থীপদে আপনার নাম ঘোষণা হবে। সেই মতো তৃণমূল সুপ্রিমোকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে এবং টুইট করে তৃণমূল ছেড়ে দেন যশবন্ত সিনহা। তাই তাঁর নিজের দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়ার পরেও রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে বিশেষ নাচানাচি করতে চাইছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের নেতা হয়েও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য যশবন্ত আবার প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্য থেকে। আর কলকাতায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেছেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতেন। মহারাষ্ট্রের দেওয়াল লিখন দেখে দ্রৌপদী মুর্মুর মাধ্যমেই এনডিএ-র কৃষ্ণ ভগবানকে স্মরণ করতে চাইছেন কি তিনি? রাজনৈতিক চর্চাজীবীদের একাংশের তেমনই মত। 

     

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

  • Maharashtra speaker election: মহারাষ্ট্রে ফের জয় টিম শিন্ডের, স্পিকার পদে বিজেপির রাহুল  

    Maharashtra speaker election: মহারাষ্ট্রে ফের জয় টিম শিন্ডের, স্পিকার পদে বিজেপির রাহুল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন বিজেপির (BJP) রাহুল নরওয়েকার (Rahul Narwekar)। রবিবার সকালে ভোটাভুটিতে ১৬৪টি ভোট পেয়ে স্পিকার (Speaker) নির্বাচিত হন তিনি। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগারের চেয়েও ঢের বেশি ভোট পেয়েছেন রাহুল। উদ্ধব ঠাকরের প্রার্থী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়ক রজন সালভি পেয়েছেন মাত্র ১০৭টি ভোট।

    গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শূন্য হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার পদ। ইস্তফা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের নানা পাটোলে। তারপর থেকে স্পিকারের কাজ সামলাচ্ছিলেন ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল। এদিন স্পিকার নির্বাচনের পর পূরণ হল সেই শূন্যস্থান। মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তার জেরে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। ওই পদে বসেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। রবিবার হয় স্পিকার নির্বাচন। হয় ভোটাভুটিও। ভোটদানে বিরত ছিলেন তিন বিভিন্ন দলের বিধায়ক। এদিকে হুইপ জারি করেছিল শিবসেনা। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং অনেক বেশি ভোট পেয়ে বিজেপির রাহুল পরাস্ত করেন শিবসেনার স্পিকার পদপ্রার্থীকে। রাহুলও এক সময় শিবসেনায় ছিলেন। ঘনিষ্ঠ ছিলেন আদিত্য ঠাকরের। ২০১৪ সালে বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে ত্যাগ করেন শিবসেনা-সঙ্গ। পরে যোগ দেন এনসিপিতে। তারও পরে বিজেপিতে। সেখানেই হল বাজিমাত।

    আরও পড়ুন : গুয়াহাটির হোটেলে ৮ দিন আস্তানা, ৭০ লক্ষের বিল মিটিয়েছে শিন্ডে-বাহিনী?

    এদিকে, রাহুলের জয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। শিবসেনার ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ক্ষমতা চলে এল স্পিকারের হাতে। গত মাসে ডেপুটি স্পিকার নরহরি এই ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের জন্য পদক্ষেপ করেছিলেন। নবনির্বাচিত স্পিকার সেই আবেদন প্রত্যাহার করতে পারেন। শিবসেনার শিন্ডে বাহিনীকে আদৌ আসল শিবসেনা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কিনা, সেই ক্ষমতাও থাকছে স্পিকারের হাতে। রাত পোহালেই আস্থা ভোট। এদিন স্পিকার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় প্রত্যাশিতভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

    আরও পড়ুন : ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?আরও পড়ুন : গুয়াহাটির হোটেলে ৮ দিন আস্তানা, ৭০ লক্ষের বিল মিটিয়েছে শিন্ডে-বাহিনী?

  • Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট কেটেছে। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর মহারাষ্ট্রর রাশ গিয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের (Eknatn Shinde) হাতে। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। প্রশ্ন হল, কেন বিজেপি একনাথকে ছেড়ে দিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ? কেনই বা ফড়নবিশকে বসানো হল উপমুখ্যমন্ত্রী পদে?

    আরও পড়ুন: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি সঙ্গ ধরতে চেয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার পরেই শুরু হয় একপ্রস্ত নাটক। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান শিন্ডে। চেষ্টা করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না বুঝে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিন্ডে। ‘কিং মেকার’ বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরে দাঁড়ান। ফড়নবিশের এই উদারতার ব্যাপক প্রশংসা করেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ফড়নবিশের হৃদয় বড়। প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী হতেও রাজি ছিলেন না ফড়নবিশ। পরে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার অনুরোধে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বলে সূত্রের খরব। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যেই বিজেপির রয়েছে ১০৬ জন বিধায়ক। সেখানে শিন্ডে শিবিরের সংখ্যা ৩৯। তার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন না বিজেপির কেউ?

    আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই ‘বিদ্রোহী’দের ফেরাতে গোয়া উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে অনেকগুলি কারণ। প্রথমত, বিজেপি ক্ষমতায় বসলে সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা গেরুয়া শিবিরের গায়ে ক্ষমতা লোভীর তকমা সেঁটে দিত। যা মোটেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহীদের সিংহভাগ যদি উদ্ধব শিবিরে ফেরেন, তাহলে সরকার পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার পড়ে যাওয়ার কলঙ্ক লাগবে না মোদি-শাহের দলের গায়ে। তৃতীয়ত, সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কেলেঙ্কারি কিংবা অপদার্থতার অভিযোগ উঠলেও তার আঁচ কোনওভাবেই লাগবে না পদ্ম শিবিরে। সর্বোপরি, শিন্ডে মরাঠি সম্প্রদায়ের। তিনি শিব সৈনিকও। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে পুরো মারাঠি আবাগের হাওয়া নিজেদের পালে টেনে নিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের এই ‘উদারতা’য় প্রত্যাশিতভাবেই খুশি হবেন মারাঠিরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যার সুফল বিজেপি ঘরে তুলবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে।  

     

  • Eknath Shinde: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    Eknath Shinde: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা (Shiv Sena)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই একথা ঘোষণা করে দিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। বৃহস্পতিবার রাতেই মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি।

    মহাবিকাশ আঘাড়ি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই মহারাষ্ট্রে সরকার চালাতে চাইছিলেন শিন্ডে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সঙ্গে বিরোধের জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে চলে যান শিন্ডে। দিন কয়েক আগে গুজরাটে এসে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তার পর বৃহস্পতিবার ফড়নবিশই মুখ্যমন্ত্রী পদে ঘোষণা করেন শিন্ডের নাম। শপথ নেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিন্ডে। তিনি জানান, হিন্দুত্বের আদর্শ মেনে চলার জন্যই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শিন্ডে বলেন, ফড়নবিশের এই মহানুভবতার জন্য ধন্যবাদ। বালাসাহেবের হিন্দুত্বের আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি জানান, আঘাড়ি সরকারে থেকে কাজ করতে অনেকদিন থেকেই সমস্যা হচ্ছিল। তাঁর ওপর ভরসা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিন্ডে। তাঁর দাবি, পুরো টার্ম নয়, অর্ধেক সময়ের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সেই শর্তেই তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আঘাড়ি সরকার গড়তে দিতে রাজি হয়েছিলেন বিধায়করা।

    আরও পড়ুন : বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে শিবসেনার ৫০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যাঁরা তাঁর ওপর ভরসা রেখেছেন এতদিন ধরে, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিদ্রোহী এই শিবসেনা বিধায়কের আশ্বাস, অনুগত বিধায়কদের বিশ্বাস এবং ভরসা কোনওদিনও ভাঙতে দেবেন না তিনি। বিধায়কদের সব কেন্দ্রে উন্নয়নের কাজের ধারা জারি রাখার বার্তাও দিয়েছেন শিন্ডে। তাঁর দাবি, আগাড়ি সরকারের শাসনকালে রাজ্যে থমকে গিয়েছিল উন্নয়নমূলক কাজকর্মের ধারা। শিন্ডে জানান, এ নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কোনও সুরাহা হয়নি। এর পরেই তাঁরা বুঝে যান, এই সরকারে থেকে কাজ করা যাবে না। তার জেরেই সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। শিন্ডে বলেন, বিজেপি ও শিবসেনার আদর্শ এক। তাই বিজেপির সমর্থন নেওয়া।

     

LinkedIn
Share