Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভয় পেয়ে তিনি পিছিয়ে যাবেন না। লড়াইও চালিয়ে যাবেন। আপনজনেরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অভিমান বালসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের। বৃহস্পতিবার আস্থাভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই  বুধবার মহারাষ্ট্রের ( Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফেসবুক লাইভে এসে একথা ঘোষণা করেন তিনি। এদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ FB Live -এ এসে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার কথা জানান ঠাকরে।

    লাইভে এসে উদ্ধব বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার মানুষ নই। কিন্তু, রাস্তাঘাটে শিব সৈনিকদের (Shivsena) রক্ত ঝরুক সেটা আমি চাই না। সেই কারণেই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    নাম না নিয়ে বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেকে  (Eknath Shinde) কটাক্ষ করে উদ্ধব বলেন, “যারা অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চালাত, আমরা তাঁদের সাংসদ, বিধায়ক বানিয়েছি। আমি যাদের সবকিছু দিয়েছি, তাঁরাই এমন করেছে।”  তাঁর কথায়, শিবসেনা যাঁদের তুলে এনে কাউন্সিলর এবং মন্ত্রী করেছে, তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করছে। 

    এদিন আবেগঘন বক্তৃতায় উদ্ধব জানান, তিনি চিরতরে চলে যাচ্ছেন না।  সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে  উদ্ধব বলেন, “আমি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত করে থাকি তবে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এখানে থাকব আবার শিবসেনা ভবনে বসব। আমি আমার সমস্ত মানুষকে একত্র করব।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?

    এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেসকে (Congress)  ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্ধব বলেন,“আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছি না। আমার কোনও দুঃখ বা আক্ষেপ নেই। আমি এনসিপি এবং কংগ্রেসের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যে তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। যাঁদের নিজে হাতে গড়লাম, তাঁরাই ক্ষমতা পেয়ে অতীত ভুলে গেল। আমি হঠাতই ক্ষমতায় এসেছিলাম আবার একইভাবে ক্ষমতা থেকে সরে যাচ্ছি। তবে শিবসেনা একটা পরিবার, একে আমি ভাঙতে দেব না। আমি কোথাও যাচ্ছি না। সমস্ত সমর্থকদের একজোট করে আমরা আবার ক্ষমতা দখল করব।”

  • Reliance Story: বাবার মতো ভুল করতে চান না মুকেশ আম্বানি! দায়িত্ব দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে

    Reliance Story: বাবার মতো ভুল করতে চান না মুকেশ আম্বানি! দায়িত্ব দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে ভুল বাবা করেছিলেন সে ভুল করতে নারাজ ছেলে। ২০০২ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পরই তিক্ত হতে শুরু করে তাঁর দুই ছেলে মুকেশ ও অনিলের সম্পর্ক। সম্পত্তির বিবাদ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। একসময়ে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর ব্যবসার দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন মুকেশ ও অনিল আম্বানি। অনিল আম্বানি বিদ্যুৎ ও টেলিকম ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব নেন। তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব নেন মুকেশ আম্বানি। ২০১০ সালের মে মাসে তাঁদের মা কোকিলাবেন আম্বানি দুইজনের মধ্যেকার দ্বন্দ্বে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য ২০১৯ সালে ভাইয়ের বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ান মুকেশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রিলায়েন্সের সহযোগী সংস্থা এরিকসনের বকেয়া টাকা না মেটাতে পারলে জেলে যেতে হত অনিল আম্বানিকে। এক-দু’ লাখ নয়, বকেয়ার অঙ্ক ছিল ৫৫০ কোটি। সেই বিপুল আর্থিক বকেয়ার পুরোটাই ভাইকে দেন মুকেশ আম্বানি। ভাই অনিলও দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ত্রুটি রাখেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিক্ততা দূর হয়। নিজের সন্তানদের মধ্যে সেই সমস্যার বীজ বপন করতে চান না মুকেশ, এমনই অভিমত শিল্প-বাণিজ্য মহলে। তাই নিজে দায়িত্ব নিয়েই পরবর্তী  প্রজন্মের হাতে ধীরে ধীরে রিলায়েন্স গ্রুপের ব্যাটন তুলে দিচ্ছেন মুকেশ অম্বানি। বড় ছেলে আকাশ আম্বানির হাতে রিলায়েন্স জিওর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, এবার কোম্পানির খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্স রিটেইলের (Reliance Retail) দায়িত্ব যেতে পারে মুকেশের কন্যা ইশা আম্বানির হাতে।

    আরও পড়ুন: আকাশের পর ইশা! রিলায়েন্স রিটেইলের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকেশ-কন্যা? 

    মুকেশ আম্বানির তিন সন্তান। যমজ আকাশ এবং ইশা এবং অপর একজন অনন্ত। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্সের বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে মুকেশ বলেন, “আমাদের উচিত ওদের গাইড করা, আরও ক্ষমতা দেওয়া এবং উৎসাহিত করা। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করলে ওদের পিছনে বসে সাধুবাদ জানাতে হবে, আর ভুল হলে তা শুধরে দিতে হবে।” সেই মতোই দেশের অন্যতম বৃহত্তম কর্পোরেট হাউস রিলায়েন্স গ্রুপে বড়সড় বদল ঘটান মুকেশ। গত মঙ্গলবার থেকেই আকাশ আম্বানি হয়েছেন রিলায়েন্স জিও-র বোর্ডের চেয়ারম্যান। সোমবার রিলায়েন্স জিও-র বোর্ড কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পদ ছাড়েন মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্থানে বসেন পুত্র আকাশ আম্বানি।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    ব্যবসায়িক মহলে জল্পনা, ইশা অম্বানিকে রিলায়েন্স রিটেলের চেয়ারপার্সন করা হতে পারে। রিলায়েন্স রিটেলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। রিলায়েন্স গ্রুপের খুচরো ব্যবসা ইশা আম্বানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোম্পানি ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, উত্তরসূরিদের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করেছেন মুকেশ আম্বানি। সেই কারণেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদ থেকে সরে গিয়েছেন তিনি।

    দাদার মতোই মুকেশের ছোট পুত্র অনন্ত আম্বানিও পড়াশোনা করেছেন, আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে। Reliance New Energy, Reliance New Solar Energy, Reliance O2C, Jio প্ল্যাটফর্মের বোর্ডে রয়েছেন তিনিও। তাঁর জন্যও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে বাবা মুকেশ আম্বানির। নিজের ছেলেমেয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ধরে রাখতেই কী এই সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞ মুকেশের, জল্পনা চলছে ব্যবসায়িক মহলে।

  • Domestic Crude Oil: দেশে উত্তোলন হওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ তুলল কেন্দ্র

    Domestic Crude Oil: দেশে উত্তোলন হওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ তুলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে দেশের তেল উত্তোলক এবং উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি কোনও শর্ত ছাড়াই দেশের মধ্যে অপরিশোধিত তেল (Crude oil) বিক্রি করতে পারবে। বুধবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union cabinet)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রক্রিয়ার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।

    কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে দেশে তৈরি অপরিশোধিত তেল বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। এর ফলে তেল উত্তোলক এবং উৎপাদক সংস্থাগুলির দেশে তেল বিক্রি করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না। এর আগে এই সংস্থাগুলির ওপরে যেসব নিষেধাজ্ঞা চাপানো ছিল তা ১ অক্টোবর থেকে আর কার্যকর হবে না। তবে আগের মতোই বাইরের দেশে তেল রফতানির অনুমতি থাকবে না এই সংস্থাগুলির।

    আরও পড়ুন: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত

    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী তিনি। মন্ত্রী এদিন বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে। কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে ব্যবসা করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। শিল্পের বিষয়ে নানা সিদ্ধান্তও সহজে নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।”

    আরও পড়ুন: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া? 

    চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড ছুঁয়েছে। ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনতে ১২২ ডলার দিতে হচ্ছে ভারতকে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯ হাজার ৫৩৩ টাকার কাছাকাছি। কেন্দ্রের এই নীতি পরিবর্তনে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

  • Cities Renamed in Maharashtra: শেষবেলায় দুই শহরের নাম বদল, হিন্দুত্ববাদ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা উদ্ধবের!

    Cities Renamed in Maharashtra: শেষবেলায় দুই শহরের নাম বদল, হিন্দুত্ববাদ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা উদ্ধবের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুসপ্তাহের টানাপোড়েন। অবশেষে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে পা রেখেছিলেন নির্বাচনী রাজনীতিতে। শেষ মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ‘মহা বিকাশ আঘাডি’ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মসনদে বসেছিলেন উদ্ধব। কিন্তু এত ঘটা করে সিংহাসনে বসেও শেষ রক্ষা হল না। মাত্র আড়াই বছরেই ভেঙে গেল উদ্ধব রাজত্ব। ছাড়লেন বিধান পরিষদের সদস্য পদও। ইস্তফা দিয়েই বলেছেন কোনও আফসোস নেই। সত্যিই কী শুরু থেকেই পদের প্রতি এতটা নির্মোহ ছিলেন উদ্ধব?

    আরও পড়ুন: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির 

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল তখন রাজ্যবাসীর মন পেতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি উদ্ধব। শেষবেলায় ফের হিন্দুত্বের পথেও হেঁটেছেন তিনি। গতকালই ঔরঙ্গাবাদের (Aurangabad) নাম পরিবর্তন করে সম্ভাজিনগর করার অনুমোদন দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা!  মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নামে নয় এবার ছত্রপতি শিবাজির ছেলে শম্ভাজির ( Sambhajinagar) নামে শম্ভাজিনগর হতে চলেছে ওই এলাকার নাম। ওসমানাবাদেরও (Osmanabad) নাম পাল্টে হচ্ছে ধারাশিব (Dharashiv)। হায়দ্রাবাদের শেষ নবাব মীর ওসমান আলি খানের নামে ছিল এই শহরের নাম। এই দুই শহরের নাম বদলের দাবি বহুদিনের। মারাঠা ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারকে প্রমাণ করে  ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টাটি করেছিলেন উদ্ধব।    

    এই সিদ্ধান্ত যে নিজের হিন্দুত্ববাদ প্রমানের মরিয়া চেষ্টার ফসল তা সহজেই বোঝা যায়। অর্থাৎ ইস্তফার কয়েক ঘণ্টা আগেও আশা ছাড়েননি উদ্ধব। কিন্তু তরী ডোবা আটকানো যায়নি।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?   

    সুত্রের খবর, এই প্রস্তাবে একেবারেই রাজী ছিল না শিবসেনার জোটসঙ্গী এনসিপি। তবে এদিনের বৈঠকের শেষ তিন মিনিটে আবেগপ্রবণ ঠাকরে কংগ্রেস ও এনসিপিকে ধন্যবাদ জানায় পাশে থাকার জন্য। এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানান উদ্ধব ঠাকরে। 

    উদ্ধবের এমন পরিণতিতে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্য সামনে আসছে। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি থেকে সরে এসে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ঝোঁকার মতো সিদ্ধান্ত উদ্ধবের বিপক্ষে গিয়েছে। অনেকে আবার ছায়াসঙ্গী তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকেও উদ্ধবের পতনের জন্য দায়ী করেছেন।

     

  • Uddhav Thackeray: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    Uddhav Thackeray: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, দু’বার তিনি পদত্যাগ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, জোটসঙ্গী তথা প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) কথায় পিছু হঠেন। তবে, তৃতীয়বার আর পিছোলেন না। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ  (Floor Test) করার আগের রাতে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফলে, নতুন মোড় নিল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট (Maharashtra Crisis)।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির (Bhagat Singh Koshyari) কাছে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। এর পরই বুধবার, উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। সেই আস্থাভোট আজ বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল অর্থাৎ বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হয় উদ্ধব-শিবির। 

    কিন্তু, শীর্ষ আদালত তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, নির্ধারিত সময়ই হবে আস্থাভোট। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে যে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল, তা বিলক্ষণ জানতেন উদ্ধব। যে কারণে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধব। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। এদিকে, উদ্ধব পদত্যাগ করার ফলে, নিযুক্ত সরকার রইল না। ফলে এমতাবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    এদিকে, বিশাল নিরাপত্তার বেষ্টনীতে বুধবার সন্ধ্যায় আসাম থেকে গোয়ায় পৌঁছেছে একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবির। গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বিমানে করে বিধায়করা ডাবোলিমে এসে পৌঁছন। আজ বৃহস্পতিবার, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মহারাষ্টে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে একনাথ শিন্ডের বলে জানা গিয়েছে।

    ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া ফড়নবীশও। মহারাষ্ট্রের মসনদে প্রত্যাবর্তনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কোশিয়ারির কাছে যেতে তিনি প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে একনাথ শিন্ডেকে। সব ঠিক থাকলে ২ জুলাই শপথ নিতে পারেন তাঁরা।

    বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই উৎসব শুরু হয়ে যায় বিজেপি শিবিরে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের সঙ্গে সেই সময় পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন ফড়নবীশ। বিজেপি-র অন্য নেতারাও সেখানে ছিলেন। প্রায় ধরেবেঁধে সকলে মিলে ফড়নবীশকে মিষ্টিমুখ করান।

    আরও পড়ুন: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

  • India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ,তা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এবার এই ভূখণ্ডে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মীয়মাণ চিনপাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (CPEC) তৃতীয় কোনও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিন ও পাকিস্তানের কড়া নিন্দা করে এই ধরনের গতিবিধিকে ‘স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত এবং গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অভিহিত করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় সিপিইসি-র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় সম্পর্কিত বৈঠক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী চিন ও পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হতে অন্য দেশগুলোকেও  আমন্ত্রণ জানায়। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (External Affairs Ministry Spokesperson Arindam Bagchi বলেন, ”ওই করিডোরে যা হচ্ছে তা একেবারেই বেআইনি, অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য। ভারত এর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ করবে।”

    আরও পড়ুন: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    ২০১৩-য় শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক করিডোর পাকিস্তানের গদর বন্দরের সঙ্গে চিনের শিনঝিয়াং প্রদেশকে যুক্ত করেছে। এই করিডোর পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে যাওয়ায়, তা নিয়ে স্বভাবতই শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। দিল্লির বিরোধিতা সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর বানাচ্ছে চিন। করিডোর তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মন্তব্য করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাকিস্তানের রাস্তা, রেলপথ ও শক্তি পরিবহন পরিকাঠামো গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে বেজিং। 

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘সিপিইসি-তে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তির আমন্ত্রণ সংক্রান্ত খবর আমরা দেখেছি। যে কোনও দেশের তরফে এই সংক্রান্ত পদক্ষেপ ভারতের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব সরাসরি লঙ্ঘনের প্রয়াস হিসাবেই দেখা হবে।’’

  • SpiceJet emergency landing:  করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    SpiceJet emergency landing: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার সমস্যায় স্পাইসজেট (SpiceJet)। এবার ভারতের স্পাইসজেটের একটি বিমানকে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আচমকাই জরুরি অবতরণ করাতে হল পাকিস্তানের  বন্দরনগরী করাচি বিমানবন্দরে (Karachi airport)। বিমানটি দিল্লি (Delhi) থেকে দুবাইয়ে (Dubai) যাচ্ছিল। এদিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ (DGCA)।

    সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্পাইসজেট SG-11 বিমানটিকে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে হয়। বিমানটি সঠিক সময়েই দিল্লি থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। দিল্লি থেকে ওড়ার কিছুক্ষন পরেই মাঝ আকাশে  বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জরুরি কালীন ভিত্তিতে  পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে বিমানটিকে নামানো হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “বিমানটি করাচিতে নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “কোনও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি। বিমানটি স্বাভাবিকভাবেই অবতরণ করেছে। এর আগে বিমানের কোনও ত্রুটির খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের জলখাবার দেওয়া হয়েছে। স্পাইসজেটের অন্য একটি বিমান করাচিতে পাঠানো হচ্ছে যা যাত্রীদের দুবাই নিয়ে যাবে।” এই ঘটনার  পর স্পাইসজেটের বিমান নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ নিয়ে গত তিন মাসে স্পাইসজেটের বিমানে  আটবার যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা সামনে এল। সম্প্রতি দিল্লি থেকে জব্বলপুরগামী স্পাইসজেটের একটি বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তার আগে জুন মাসে মাঝ আকাশে বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে স্পাইসজেটের এক বিমানে। চালকের তৎপরতায় পাটনায় জরুরি অবতরন করে বিমানটি।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ কমলেও জারি সতর্কতা, কতটা মারাত্মক নয়া ভ্যারিয়েন্ট?

    এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে স্পাইসজেটের তরফে জানানো হয়, বিমানটিতে আলোর সমস্যা হচ্ছিল বলেই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমানের বাঁ দিকের ট্যাঙ্কে তেলের পরিমাণেও অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছিল। তবে যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। বিমানের জরুরি অবতরণের খবর প্রকাশ্যে আসার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই বেসরকারি বিমান সংস্থার মুখপাত্র বিমান বিভ্রাট নিয়ে বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে দুবাইগামী স্পাইসজেটের বি ৭৩৭ বিমানটিকে ইন্ডিকেটরের আলোর যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য করাচিতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। করাচিতে বিমানটি নিরাপদেই অবতরণ করেছে। যাত্রীরাও নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের আলাদা বিমানে গন্ত্যব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত যাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে।

  • National Statistics Day: কেন ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস ডে হিসেবে পালিত হয় প্রশান্ত মহলনাবিশের জন্মদিন?

    National Statistics Day: কেন ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস ডে হিসেবে পালিত হয় প্রশান্ত মহলনাবিশের জন্মদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস ডে (National Statistics Day)। জাতীয় পরিসংখ্যান (Statistics) দিবস। দৈনন্দিন জীবনে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ফি বছর ২৯ জুন দিনটি পালিত হয় ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স ডে হিসেবে। এদিনই জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশ (PC Mahalanobis)। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই বেছে নেওয়া হয়েছে বিখ্যাত এই পরিসংখ্যানবিদের জন্মদিনটিকেই।  

    আরও পড়ুন : আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    রাজ্য কিংবা দেশ। সর্বত্রই নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাহায্য করে পরিসংখ্যান। জাতীয়স্তরে যে বিশেষ দিনগুলি ঘটা করে পালন করা হয়, তার মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য। করোনা অতিমারির জেরে এবার অবশ্য দিনটি পালন করা হবে ভিডিও কনফারেন্সিং বা ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে। পরিসংখ্যান প্রক্রিয়ার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কোনও একটি বিষয়কে এদিন আলোচনার জন্য বেছে নেওয়া হয়। এটাই হল থিম। চলতি বছর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স দিবসের থিম হল ডেটা ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    ২৯ জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশ। তাঁর পিতার নাম প্রবোধ চন্দ্র মহলনাবিশ। ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নেন। স্নাতক হন ১৯০৮ সালে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। মহলানবিশ ১৯১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক হন। উচ্চ শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে পরের বছর পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে।

    মহালনাবিশ ছিলেন পরিসংখ্যানবিদ। মুক্ত ভারতের দ্বিতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের। তিনিই হলেন ভারতের আধুনিক পরিসংখ্যানের জনক।

    এদিনের অনুষ্ঠানে অ্যাপ্লায়েড ও থিওরিটিক্যাল ফিল্ডে উচ্চমানের গবেষণা কীভাবে অফিসিয়াল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সিস্টেমের কাজে লেগেছে, তা তুলে ধরা হবে। এদিনই অফিসিয়াল স্ট্যাটিসটিক্সে পি সি মহলানবিশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এবং অধ্যাপক সিআর রাও ন্যাশন্যাল অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়াং স্ট্যাটিসটিসিয়ানের নাম ঘোষণা করা হবে।

     

  • ONGC chopper emergency landing: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার

    ONGC chopper emergency landing: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ করল অয়েল অ্যান্ড ন্যাচরাল গ্যাস কর্পোরেশন লিমিটেড (ONGC)-এর  হেলিকপ্টার ( (ONGC Chopper)। জানা গিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে দু’জন পাইলট-সহ মোট নজন ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃ্ত্যু হয়েছে ওএনজিসির চার কর্মীর। পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। জুহু বিমানবন্দরের ডিরেক্টর এ কে ভার্মা (Juhu airport director A K Verma) জানান, মৃত চার জন ওএনজিসির কর্মীর মধ্যে একজন ঠিকাদার কর্মীও রয়েছেন। তাঁদের দেহ কুপার হাসপাতালে (Cooper Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটিতে ছ’জন ওএনজিসি কর্মী এবং ঠিকাদারের সংস্থার অধীনে কর্মরত আরও এক কর্মী ছিলেন। হেলিকপ্টারটি মুম্বই উপকূল থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে বম্বে হাই (Arabian Sea) এলাকায় অবস্থিত ‘সাগর কিরণ রিগে’অবতরণ করে। রিগের ল্যান্ডিং জোন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে পড়েছিল কপ্টারটি। এটি ,পবন হংস (Pawan Hans) চালিত একদম নতুন কপ্টার। এতে কেন বিপত্তি ঘটল তা জানতে নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা এমআরসিসি মুম্বইয়ের তরফে একটি ভেসেল মালভিয়া-১৬ কে উদ্ধার অভিযানে নামানো হয়। উদ্ধারকারী নৌকার সাহায্যে পুরোদমে চলে উদ্ধারকাজ। দমন এয়ারবেস থেকেও একটি এয়ারক্র্যাফ্ট পাঠানো হয়। ওএনজিসি’র তরফে টুইটে জানানো হয়েছে,কপ্টারে থাকা প্রত্যেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন ওএনজিসির কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করতে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

     প্রসঙ্গত, এ বছরের ১৫ জানুয়ারি ভারতের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ বিপিন রাওয়াত একটি হেলিকপ্টারে যাচ্ছিলেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই কপ্টার মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় সস্ত্রীক রাওয়াত-সহ ১৩ জনের।

  • Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট! বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। আস্থা ভোটে যোগ দেবেন শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেরও ( Eknath shinde)। রাজ্যপালের এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আস্থাভোটের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল উদ্ধব শিবির।

    এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে আগ্রহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিন্ডের। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সোমবার রাতে গুজরাটে এসে শিন্ডে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    এর পরে পরেই উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্ধব অনুগামী বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উদ্ধবের পক্ষে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল। তাই এখনই পরীক্ষায় যেতে চাইছেন না তাঁরা। উদ্ধর ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের দেওয়া আস্থা ভোটের নির্দেশ বেআইনি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও রাজ্যপাল মিলে আস্থা ভোট করানোর চেষ্টা করছে। তাঁর আশা, ন্যায় বিচার মিলবে সুপ্রিম কোর্টে। তিনি জানান, বিধায়কদের নিয়ে যে মামলা চলছে, সে সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হবে রাজ্যপালকে। সঞ্জয় বলেন, আস্থাভোটের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। এখনও শিবসেনার ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সুতরাং এই আস্থা ভোট বেআইনি। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করেছেন দলের চিফ হুইপ সুনীল প্রভু।

    আরও পড়ুন : ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে গিয়ে রাজ্যাপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তার একটি হল, পুরো আস্থাভোট পর্ব ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। রাজ্যপাল সাফ জানিয়েছেন, এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি আস্থা ভোট। তা কোনওভাবেই স্থগিত করা যাবে না।

    এদিকে, আস্থাভোটের আগে উদ্ধবের চিন্তা বাড়িয়েছেন এনসিপির দুই বিধায়ক। সূত্রের খবর, তাঁরা দুজনেই সংক্রমিত হয়েছেন কোভিডে।

    অন্যদিকে, গুয়াহাটির হোটেল থেকে দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফেরার কথা শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের। এদিন কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শিন্ডেবাহিনী। সেখানেই তিনি জানান, দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফিরছেন তাঁরা।

     

LinkedIn
Share