Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না।” হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা (Hezbollah Leader) হাসান নাসরাল্লাহকে বেইরুটে হত্যা করার পর এমনই মন্তব্য করল ইজরায়েল (Israel)। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না। নাসরাল্লাহর পাশাপাশি হিজবুল্লার তথাকথিত দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলি কারাকিও নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    খতম হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও (Israel)

    হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন বলে ওই সূত্রের খবর। বেইরুটের দক্ষিণে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দাহিয়া। এখানেই রয়েছে হিজবুল্লার প্রধান সদর দফতর। সেটাও আবার একটি আবাসিক ভবনের নীচে, ভূগর্ভে। এখানেই নিশ্চিন্তে ছিলেন নাসরাল্লাহ। শুক্রবার এই সদর দফতরেই হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) তরফে জানানো হয়, এই হামলাটা এমন সময় চালানো হয়, যখন হিজবুল্লার শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সদর দফতরে উপস্থিত ছিল। সেই সময় তারা ইজরায়েলবাসীর বিরুদ্ধে কীভাবে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালানো যায়, তার পরিকল্পনা করছিল। ইজরায়েলি সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, বেইরুটে থাকা ভবনের নীচে হিজবুল্লার রাখা কয়েক ডজল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলও ধ্বংস করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    কী বলছে আইডিএফ

    হিজবুল্লা প্রধানের নিকেশ হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি আইডিএফ (Israel) চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি বলেন, “যারা ইজরায়েল ও তার নাগরিকদের হুমকি দেয়, তাদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে যাবে ইজরায়েল। যারা ইজরায়েলবাসীকে হুমকি দেয়, তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছতে হয়, তা আমরা জানি।” প্রসঙ্গত, ইজরায়েল যেদিন বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে অভিযান চালায়, সেদিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু ইরান ও তেহরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, “ইরানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে ইজরায়েলের দীর্ঘ হাত পৌঁছতে পারবে না। এটা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্যও সত্য।”

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “হামাস অস্ত্র ত্যাগ করলে ও বন্দিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে। তবে সম্পূর্ণ বিজয় না পাওয়া (Hezbollah Leader) ইস্তক লড়াই চালিয়ে যাবে ইজরায়েল (Israel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nepal Flood: প্রবল বৃষ্টি ও ধসে নেপালে মৃত্যু ১১২, হড়পা বানে বানবাসী একাধিক নদী

    Nepal Flood: প্রবল বৃষ্টি ও ধসে নেপালে মৃত্যু ১১২, হড়পা বানে বানবাসী একাধিক নদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার থেকে প্রবল বৃষ্টি (Heavy Rain) ও ধসে নেপালে (Nepal Flood) মোট মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১২ জনের। সেই সঙ্গে এখনও নিখোঁজ প্রায় ৭০ জন, আহত শতাধিক। একাধিক নদীতে আসছে হড়পা বান, জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতিতে জনজীবন ব্যাহত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ওই দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গত ৫৪ বছরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হিসেবে ৩২৩ মিলিমিটার রেকর্ড হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

    ২০০টি হড়পা বান এবং ধসের ঘটনা (Nepal Flood)

    নেপালের (Nepal Flood) পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন। তবে অতি বর্ষণের জন্য উদ্ধারকাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে যেভাবে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। শুক্রবার থেকেই একাধিক জায়গায় অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য ধসের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় কার্যত বৃষ্টির জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডন বাহাদুর কর্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রবিবার সকাল পর্যন্ত ৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিলতপুর থেকে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাঠমাণ্ডুতে ১২ জন, মাকওয়ানপুরে ৭ জন সহ একাধিক জেলায় মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। অন্তত ২০০টি হড়পা বান এবং ধসের ঘটনা ঘটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেকগুলি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’

    আরও পড়ুনঃ সুনীতাদের আনতে রওনা দিল নাসা ও স্পেসক্রাফটের মহাকাশযান, ফেরা ফেব্রুয়ারিতে

    ৭৭টি জেলার মধ্যে ৫৬টি জেলায় সতর্কতা

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কাঠমাণ্ডুর (Nepal Flood) অবস্থাও বেশ উদ্বেগজনক। রাজধানীর আশেপাশের প্রায় সব নদী অতিরিক্ত জলে বানভাসি (Heavy Rain) হয়ে আছে। জলের স্রোত রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। জলমগ্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গায়। ৭৭টি জেলার মধ্যে ৫৬টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নেপালের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৩ হাজার কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন। নৌকায় করে এলাকায় এলাকায় পরিদর্শন করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকায় হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। দেশের রাজধানী থেকে ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমান। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০টি বিমান বাতিল হয়েছে। চলতি বছরেই নেপালে বন্যার কবলে পড়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে!” বিশ্বমঞ্চে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে (Pakistan) তোপ দাগলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৯তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানেই জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তান তার কর্মের জন্যই ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বের তালিকায়।”

    পাকিস্তানকে নিশানা করেছিলেন ভাবিকাও (S Jaishankar)

    শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলনন্দন নিশানা করেছিলেন পাকিস্তানকে। বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা এমন এক দেশকে নিয়ে কথা বলছি, যে দেশটা সেনা চালায়। সন্ত্রাসের জন্য দেশটা সারা বিশ্বে পরিচিত। এমন দেশ যেখানে ওসামা বিন লাদেন আশ্রয় নিয়েছিল। এমন এক দেশ যার আঙুলের ছাপ বিশ্বের সব জঙ্গি হামলায় রয়েছে।”

    জয়শঙ্করের তোপ 

    এর ঠিক পরের দিনই ফের পাকিস্তানকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “দুঃখজনকভাবে ওদের খারাপ কাজের ফল অন্যদেরও প্রভাবিত করে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকে। যখন রাজনীতি জনগণের মধ্যে ধর্মান্ধতা জাগিয়ে তোলে, তখন দেশের জিডিপি শুধুমাত্র মৌলবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ও সন্ত্রাসবাদের আকারে এর রফতানির ভিত্তিতেই পরিমাপ করা হয়।” তিনি বলেন, “বহু দেশ পিছিয়ে পড়ে এমন কিছু পরিস্থিতির জন্য, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু আবার নিজেদের ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণেও পিছিয়ে পড়ে অনেক দেশ। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল পাকিস্তান।” জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্য কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। বরং এটা তার কর্মের ফল।” তিনি (S Jaishankar) বলেন, “যে দেশ অন্যের জমি দখল করার চেষ্টা করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া ও পাল্টা জবাব দেওয়া জরুরি।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে চলল গুলি, হতাহতের খবর নেই

    রাষ্ট্রসংঘের এই মঞ্চেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চাই। পাকিস্তানের এই সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনের নীতি কখনওই সফল হবে না। ওরা এর দায়ও এড়াতে পারে না। কর্মের ফল ওদের (Pakistan) ভুগতেই হবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে রওনা নাসা ও স্পেসক্রাফটের মহাকাশযানের, ফেরা ফেব্রুয়ারিতে

    Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে রওনা নাসা ও স্পেসক্রাফটের মহাকাশযানের, ফেরা ফেব্রুয়ারিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও তাঁর সহযোগী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফেরাতে উদ্যোগ নিল নাসা। শনিবার রাতেই রওনা হয়ে গিয়েছে নাসা (Nasa) এবং স্পেস ক্রাফটের মহাকাশযান। এদিন ফ্লরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে দু’জন মহাকাশচারীকে নিয়ে সেই যান মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিউ-৯’।

    সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুনীতারা (Sunita Williams) পৃথিবীতে ফিরে আসবেন

    যে দুই মহাকাশচারী রওনা হয়েছেন, তাঁরা ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ (আইএসএস)-এ থেকে গবেষণা চালাবেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা সুনীতাদের সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। প্রসঙ্গত, সুনীতারা (Sunita Williams) যে যানে করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন, সেটি বিগড়ে যায়। হিলিয়াম গ্যাস লিক হতে থাকে ওই যান থেকে। এর ফলে গত জুন মাস থেকেই তাঁরা ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এ আটকে রয়েছেন। চলতি মাসের ৬ সেপ্টেম্বর সুনীতাদের না নিয়েই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে স্টারলাইনার। এ বার তাঁদের ফেরাতে শুরু হল অভিযান।

    মহাকাশে পাঁচ মাসে হবে প্রায় ২০০টি গবেষণা

    জানা গিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবারই সুনীতাদের (Sunita Williams) ফেরাতে এই অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, ঘূর্ণিঝড় হেলেনের কারণে ফ্লরিডায় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। সেই কারণে স্থগিত রাখা হয় অভিযান। নাসার (Nasa) তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, ‘ক্রিউ-৯’ অভিযানটি পরিচালনা করবেন মহাকাশচারী নিক হগ, তার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সঙ্গে থাকবেন আলেকসান্দ্র গোরবুনভ। মহাকাশে পাঁচ মাস থেকে প্রায় ২০০টি গবেষণা করবেন তাঁরা।

    ৩০ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সময় রাত ৩টের সময় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এ অবতরণ করবে মহাকাশযানটি

    প্রসঙ্গত, নাসার বাণিজ্যিক প্রকল্পের অধীনে এই নিয়ে নবম বার অভিযানে নামল ইলন মাস্কের সংস্থার স্পেসক্রাফট। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সময় রাত ৩টের সময় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এ অবতরণ করবে স্পেসক্রাফটের ড্রাগন মহাকাশযান। এই মহাকাশযানে চার জনের যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। পৃথিবী থেকে রওনা হয়েছেন ২জন। বাকি দুটি আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে, যাতে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা এবং বুচকে সেখানে জায়গা দেওয়া যায়। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ক্রিউ-৯ আইএসএসে পৌঁছনোর আগেই সুনীতা এবং বুচ ক্রিউ-৮ ড্রাগন ক্যাপসুলে গিয়ে উঠবেন। ওই ক্যাপসুল বর্তমানে আইএসএসের ভিতরেই রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hezbollaah conflict: লেবানানে বোমাবর্ষণে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা খতম, দাবি ইজরায়েলের

    Israel-Hezbollaah conflict: লেবানানে বোমাবর্ষণে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা খতম, দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Israel-Hezbollaah conflict) প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাকে খতম করেছে ইজরায়েল। লেবানানের (Lebanon) রাজধানী বেইরুটে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েল সেনা। হাসানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ইজরায়েল সেনার পক্ষ থেকেই। পাল্টা ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লা এই মৃত্যু নিয়ে এখনও স্পষ্ট বক্তব্য জারি করেনি। পশ্চিম এশিয়ায় লাগাতর সংঘর্ষের কারণে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

    কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে খতম

    গত কয়েক দিন ধরেই লেবানানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ক্রমাগত জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আক্রমণ (Israel-Hezbollaah conflict) চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। শুক্রবার রাতে তাদের নিশানায় ছিল বেইরুট। দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। বোমা বর্ষণের জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে লেবানান। ইজরায়েলের সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়, সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার গোপন আস্তানাকে চিহ্নিত করা গয়েছিল। এরপর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে তাঁকে খতম করা গিয়েছে।

    ১৯৯২ সাল থেকে সক্রিয় নাসারাল্লা (Israel-Hezbollaah conflict)

    বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় লেবানানে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি হামলায় হিজবুল্লার ড্রোন বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হুসেন শ্রাউর এবং অন্যতম কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসিরও মৃত্যু হয়েছে। লেবাননের (Lebanon) স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শুক্রবারে ইজরায়েল সেনার হামলায় ৬ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছে ৷ হামলায় ছ’টি ভবন ধ্বংস হয়েছে ৷ ১৯৮০ সাল থেকে লেবানানের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই এই জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে ইসলামি ধর্মীয় নেতা এবং রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সক্রিয় ছিলেন নাসারাল্লা।

    আরও পড়ুনঃ ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    তিনটি রকেট ছুড়ে হামলা করেছিল হিজবুল্লা

    উল্লেখ্য গত বছর ৭ অক্টোবর আচমকা গাজা থেকে ইজরায়েলে (Israel-Hezbollaah conflict) হামলা চালানো হয়েছিল। ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের দিনে একাধিক জায়গায় হামলার ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। একই সঙ্গে হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গিরা বহু অসহায় নিরপরাধ মানুষকে পণ বন্দি করে রেখেছিল। প্রচুর মানুষকে ঘুমন্ত অবস্থায় নির্বিচারে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। এরপর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে নেমে পড়ে ইজরায়েল। হিজবুল্লা সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও হামাসকে সব রকম সহযোগিতা করেছিল। লেবানান থেকে ইজরায়েল ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে হামলা করলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে ইজরায়েল। এরপর থেকে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে নির্দেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার বালিকা বিদ্যালয়

    Bangladesh: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে নির্দেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার বালিকা বিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh) মোসলেমউদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ে ইসলামিক ধর্মশাস্ত্রের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠল, তিনি হিন্দু ছাত্রীদের জোরপূর্বক হিজাব পরার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি জোর করে কোরান পাঠও করাতে চেয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ (Hindu students) প্রদর্শন করে। ঢাকার ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ রবিউল ফয়সাল ২৭ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ সামনে এসেছে যে তিনি ভগবত গীতা সম্পর্কে কটুক্তি করেছেন এবং হিন্দু ছাত্রীদের জোর করে হিজাব পরাতে চেয়েছেন।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্রীরা অভিযুক্ত মুসলিম শিক্ষকের অপসারণের দাবি তুলেছেন।

    কোরান মুখস্থ করতে বলতেন শিক্ষক! (Bangladesh) 

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (Hindu students) সমাজ মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া নানা অভিযোগ এনেছেন শিক্ষকদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে। একজন পড়ুয়ার দাবি, ‘‘ওই শিক্ষক আমাদেরকে কোরানের বিভিন্ন আয়াত ও সূরা অর্থসহ ১ সপ্তাহের মধ্যে মুখস্থ করতে বলেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি মেয়েদের হিজাব পরতে নির্দেশও দেন। তিনি এও বলেন, হিজাব না পরলে ছেলেরা তোমাদের শরীর দেখবে। এভাবেই দিনের পর দিন তিনি শ্রেণিকক্ষে আমাদেরকে অপমান করতে থাকেন।’’

    ওই শিক্ষক মূর্তিপূজা বিরোধী নানা মন্তব্য করতেন বলেও অভিযোগ

    আরেক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘ওই শিক্ষক বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন (Bangladesh)। তিনি হিন্দু ছাত্রীদের দাঁড় করিয়ে রাখতেন, তাঁদেরকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেন, কেন তারা হিজাব পরেনি? যখন ছাত্রীরা জানতে চাইত, তারা কেন পরবে হিজাব, তখন তিনি জবাব দিতেন, হিজাব না পরলে রাস্তার ছেলেরা মেয়েদের শরীর দেখবে।’’ এর পাশাপাশি ওই শিক্ষক মূর্তিপূজা বিরোধী নানা মন্তব্য করতেন বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    China: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলযুদ্ধে আমেরিকাকে টেক্কা দেওয়ার বাসনা চিনের (China) বরাবরের, যা এবার ধাক্কা খেল। ডুবে গেল বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীর নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন। চিন একথা প্রকাশ্যে না আনলেও বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক এই দাবি করেন। তাঁর দাবি, চিনের (China) নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত ওই সাবমেরিন (nuclear-powered attack submarine) এই বছরের শুরুর দিকে ডুবে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবিও ধরা পড়েছে বলে মত তাঁর।

    খবর প্রকাশ করেনি চিন

    বিশ্বের বৃহত্তম নৌসেনার অধিকারী চিন (China)। চিনের রয়েছে ৩৭০ টিরও বেশি জাহাজ। এছাড়াও, চিন ইতিমধ্যেই একটি নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক (Nuclear Submarine) সশস্ত্র সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু করেছে। এমন অবস্থায় এই খবর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই খবর সামনে আসায় অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে বেজিংও। যদিও তাদের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে দেওয়ার মতো কোনও তথ্য নেই। দূতাবাসের তরফে বলা হয়, এই ঘটনা সম্পর্কে তারা অবগত নয়। 

    আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ডাহা ফেল প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, প্যান ডি! ৫৩ ওষুধের তালিকা প্রকাশ

    মে-জুন মাসের ঘটনা

    চিনের (China) প্রতিরক্ষা শিল্প দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের সরঞ্জামের গুণমান এমনকী লালফৌজের জলসেনার প্রশিক্ষণ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েলিংটন কু, (Taiwan Defence Minister Wellington Koo), শুক্রবার তাইপেইতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, “একাধিক গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে তিনি বিশদ বিবরণ দেননি। মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, “চিনের নতুন প্রথম-শ্রেণির পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন (Nuclear Submarine) মে থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে একটি পিয়ারের পাশে ডুবে যায়।” তিনি আরও বলেন, কী কারণে সাবমেরিন ডুবে গিয়েছে বা সেই মুহূর্তে তাতে পারমাণবিক জ্বালানি ছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দুর্গাপুজোর ছুটির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আর তারপরই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরই নমাজ আর আজানের সময়ে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) বাদ্যযন্ত্র এবং মাইক বন্ধ রাখতে হিন্দুদের ফতোয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু তাই নয়, একাধিক দুর্গাপুজো কমিটিকে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে এই মর্মে যে, ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আয়োজন করা যাবে না পুজো। স্বাভাবিকভাবে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরই এই সব ঘটনা হিন্দুদের দুর্গাপুজো করা নিয়ে চরম বার্তা দিয়েছিল। এবার পুজো যত এগিয়ে আসছে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে আশঙ্কা এবং আতঙ্ক তত বাড়ছে।

    দুর্গাপুজোর বিরোধিতায় রাস্তায় নামল মৌলবাদীরা (Durga Puja)

    অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুরা নিপীড়িত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ। বাংলাদেশের পুলিশ এবং মহম্মদ ইউনূসের সরকার শান্তিতে পুজোর (Durga Puja) আশ্বাসই সার। সরকারের এই আশ্বাসকে তোয়াক্কা না করে আগেই খুলনা এবং ময়মনসিংহ এলাকায় পুজো করা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে এবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না বলে হিন্দুদের সতর্ক করেছে ইসলামপন্থি একটি সংগঠন। ইতিমধ্যে খুলনা জেলায় মন্দির ভাঙচুর, দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কাছে তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এবার একেবারে ইউনূসের খাসতালুক ঢাকা শহরে দুর্গাপুজোর বিরোধিতায় রাস্তায় নামল মৌলবাদীরা। তাদের দাবি, হিন্দুদের সবথেকে বড় এই উৎসব প্রকাশ্যে উদযাপন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, এই সময় গোটা দেশে ছুটিও দেওয়া চলবে না। তাতে নাকি দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে। তাদের মতে, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন বলে দাবি করা অন্য ধর্মকে অবমাননা করার সামিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘২৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি’’, দাবি সিবিআই কর্তার

    মন্দিরগুলিতে ভারত-বিরোধী ব্যানার টাঙানোর ফতোয়া

    ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি চরমপন্থী সংগঠন ঢাকার সেক্টর ১৩-এ মালিবাগ মোড়ে একটি সমাবেশ ডেকেছিল। সেখানে যোগ দেন চরমপন্থী সংগঠনটির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। ঢাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা। সেই সময়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে পুজোর (Durga Puja) বিরোধিতাও করেছে তারা। জানা গিয়েছে, সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘রাস্তা বন্ধ করে সর্বত্র পূজা নয়। প্রতিমা বিসর্জনের দ্বারা জল দূষণ নয়। প্রতিমা পূজা নয়’। এমনকী ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি খেলার মাঠে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে মিছিল করাও হয়েছে।

    ভারত-বিরোধিতা করলে তবেই পুজো!

    দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারা ১৬ দফা দাবি জানিয়েছে। তারই অন্যতম হল, বাংলাদেশি হিন্দুদেরও ভারত বিরোধিতা করতে হবে। কারণ, ভারতকে, বাংলাদেশের ‘জাতীয় শত্রু’ বলে মনে করে এই কট্টরপন্থী সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, এই জন্য মন্দিরগুলোতে ভারত- বিরোধী ব্যানার ও দুর্গাপুজোর আলোচনায় ভারত বিরোধী স্লোগানও দিতে হবে বলে দাবি করেছে তারা। মন্দিরে অখণ্ড ভারত গঠনের লক্ষ্যে হিন্দু উগ্রপন্থীরা সভা করে বলেও দাবি তাদের। এই সব অভিযোগ এনে মন্দির বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অনেক জমি দখল করে বিভিন্ন মন্দির নির্মিত হয়েছে। সেই মন্দিরগুলি সরিয়ে ফেরতে হবে।

    পুজোর প্রসাদ খাওয়া যাবে না

    মুসলমানের জন্য ফরমান জারি করা হয়েছে যে, তাদের পুজোয় আর্থিক সাহায্য দেওয়া চলবে না, প্যান্ডেলে প্রবেশ করা চলবে না, পুজোর প্রসাদও তারা মুখে তুলতে পারবে না। সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, দুর্গাপুজোর সময় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানি করার ঘোষণা করেছে। এই মৌলবাদী সংগঠন স্পষ্ট জানিয়েছে, এটা কোনও উপহার নয়। ওই মাছ রফতানি করা হচ্ছে মাত্র। ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছে এই কট্টরপন্থী সংগঠন। তাদের দাবি, বাংলাদেশের রফতানি নীতি অনুসারে, ইলিশ মাছ রফতানিযোগ্য নয়। কাজেই এই সিদ্ধান্তে ইউনূস সরকার সেই নীতি লঙ্ঘন করেছে। দেশের জনগণের এর জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: পুজোর আগে ফের দুর্গার প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশে! গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    Bangladesh: পুজোর আগে ফের দুর্গার প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশে! গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু নির্যাতন এখনও অব্যাহত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে হাসিনা সরকারের পতন ঘটার পর থেকে মৌলবাদী কট্টর মুসলমানদের আগ্রাসনের (Hindu torture) শিকার হচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। হাতে মাত্র আর কয়েকদিন বাকি দুর্গাপুজোর। ইতিমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বারবার হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা মূর্তির ভাঙচুরের খবর উঠে আসছে। বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর শহরে একজন কট্টরপন্থী মুসলিম যুবক দেবী দুর্গা এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করেছে। অভিযুক্তের নাম ইয়াসিন মিয়াঁ (২২)। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় দুর্গাপুজো না করার দাবি নিয়ে জামাত শিবিরের সমর্থকরা বিরাট মিছিল করেছে রাজপথে। সেখানে হিন্দুদের উদ্দেশ্য করে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সামজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তার পরই এই হামলার খবর। ফলে, দুর্গাপুজো নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা।

    গোবিন্দজিউ মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর (Bangladesh)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ইয়াসিন মিয়াঁ বুধবার ভোররাতে গৌরীপুর (Bangladesh) শহরে গোবিন্দজিউ মন্দিরের প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। এরপর গত ২০ দিন ধরে যে দেবী দুর্গার মূর্তিগুলি তৈরি করা হচ্ছিল, তা নির্বিচারে ভাঙচুর করা হয়। মূর্তিগুলিকে ভাঙার সময় স্থানীয় ডলি রানী নামে এক হিন্দু মহিলা, এই অপকর্ম করতে দেখে ফেলেন। ঘটনাস্থলের দৃশ্য দেখে অত্যন্ত ভয় (Hindu torture) পেয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে, অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন দুই স্থানীয় অখিল চন্দ্র বিশ্বশর্মা এবং বিপুল ঘোষ। এরপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    অভিযুক্ত মানসিক ‘প্রতিবন্ধী’-র তত্ত্ব!

    চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে হিন্দুদের দুর্গাপুজো শুরু হবে। গৌরীপুরের (Bangladesh) গোবিন্দজিউ মন্দিরে বড় করে দুর্গাপুজো হয়। এখানকার হিন্দুরা এই পুজোতে একত্রিত হন। ওই মন্দিরে মৃৎশিল্পীরা আরও একাধিক মূর্তি তৈরি করছিলেন। ইতিমধ্যে ধৃত মুসলিম ব্যক্তিকে এখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, আবদুর হান্নানের ছেলে ইয়াসিনের বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার গজান্দার গ্রামে। তবে অভিযুক্তের মা মিনা আখতার দাবি করেছেন, ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। উল্লেখ্য, যখনই মন্দির ভাঙা হয় আর অভিযুক্তদের ধরা হয়, তখনই প্রতিবন্ধী বা বিকারগ্রস্তের তত্ত্ব দিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। এমনটাই স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের (গৌরীপুর উপজেলা) সভাপতি বলেন, “নির্মীয়মাণ সব মাটির মূর্তিগুলিকেই কমবেশি ভাঙা হয়েছে। কেন এটা করা হল বুঝতে পারছি না। আমি আমার জীবনে এমন ঘটনা আগে দেখিনি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র (Hindu torture) চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    লাগাতার হিন্দুদের উপর হামলা

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে হিন্দু পরিবার থেকে শুরু করে মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় মিথ্যা অভিযোগে উৎসব মন্ডল নামে এক হিন্দু ছেলেকে উগ্র মুসলিম জনতা কীভাবে প্রায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল (Hindu torture) সেই কথাও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কীভাবে মুসলিম ছাত্ররা ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, সেই কথাও দেশের হিন্দু নির্যাতনের চিত্রকে স্পষ্ট করেছে।

    জামাত শিবিরে যোগ দিতে চাপ হিন্দুদের

    মানবাধিকার কর্মী এবং নির্বাসিত বাংলাদেশি ব্লগার আসাদ নূর সম্প্রতি জানান, হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এখন ‘জামাতে ইসলামি’তে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই ভাবে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার কথা তুলে ধরে সামজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। গত ৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের কদম মোবারক এলাকায় গণেশের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রার সময় হিন্দু ভক্তদের উপর হামলা করেছিল কট্টরপন্থীরা। একই ভাবে পুজো করতে গেলে পুজো উদ্যোগতাদের কাছে ৫ লক্ষ করে টাকার দাবিও করছে বিএনপি এবং জামাত শিবির। উল্লেখ্য কয়েক বছর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, বরিশালের দুর্গাপুজোর উপর ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ইসকনের একাধিক ভক্তকে হত্যা করার ঘটনাও ঘটানো হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে অস্থির বাংলাদেশে সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন কেবল মাত্র হিন্দুরা। অপর দিকে, সেনাবাহিনী এবং ইউনূস প্রশাসন এই বিষয়ে নির্বাক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে জোরালো সমর্থন জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। এর আগে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা। ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে (UNGA) ভাষণ দেওয়ার সময়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী করে তোলার জন্য ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসেবে দেখতে চায় ফ্রান্স।

    ফ্রান্সের সমর্থন

    বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষেই যে বিশ্বের একটি বড় অংশ রয়েছে, তা প্রমাণিত। নিউ ইয়র্কে সাধারণ পরিষদে (United Nations) বক্তব্য রাখার সময় মাক্রঁ বলেন, “আসুন, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও কার্যকর করি। আমাদের এটিকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হবে এবং এ কারণেই ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদকে সম্প্রসারিত করার পক্ষে। এজন্য জার্মানি, জাপান, ভারত এবং ব্রাজিলকে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া উচিত।” 

    কেন দরকার ভারতকে

    ভারত এখন শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য। ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃদ্ধির হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিশ্বে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। তাই নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত বলেই অভিমত কূটনীতিকদের। ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। অন্যরা দু’বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নটি ১৯৭৯ সাল থেকে সাধারণ পরিষদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। এখন দিনে দিনে, বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা সংঘাতের মধ্যে সংস্কারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি কোয়াড বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) ভারতের স্থায়ী সদস্য পদের দাবিকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে (UNSC) সংস্কার করব। নিরাপত্তা পরিষদকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, কার্যকর, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক করতে এখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদের সম্প্রসারণ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share