Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা হয়, ঠিক সেইভাবেই জামাত ও ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাতে-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, ঠিক এই ভাবেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ইতিমধ্যে সেই দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জামাত শিবিরের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ইসালামি জেহাদি সংগঠন আল-কায়দার যোগসূত্র থাকার চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত প্রকাশ্যে এনেছে।

    কী বললেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)?

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নোটিশ দিয়ে এই দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “জামাত (Jamaat-e-Islami) ও ছাত্র শিবিরকে এখন থেকে জঙ্গি সংগঠন ধরেই মোকাবিলা করতে হবে। আমি নিশ্চিত, নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এরা আত্মগোপনে করবে এবং নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজ করবে। এতদিন রাজনৈতিক ভাবে জামাতের মোকাবিলার পথ চলেছিল। এখন আর উপায় নেই। এই বিপুল পরিমাণে প্রাণহানি এবং নাশকতার তদন্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে সাহায্য চাইব।”

    নির্বাচন কমিশন আগেই জামাতকে অবৈধ বলেছে

    প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি একাধিক সময়ে আন্দোলন করে দাবি তুলেছেন যে, জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াইও চলছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ হিসেব স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতে ইসলামিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। এবার, সেই দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে পাকিস্তানি সেনাদের সহচর জামাতে ইসলামিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার।

    আরও পড়ুনঃ অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল

    সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলনে, সাধারণ ছাত্রদের ঢাল করে দেশব্যাপি সন্ত্রাস, প্রাণহানি, লুটপাট, ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির জন্য জামাতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বড় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোয়েন্দারা দাবি করেন, গত তিন মাসে রাজশাহি, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, ফেনি, ফরিদপুর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। দাহ্য, তেল, বিস্ফোরক, দেশি অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। বাগমারা এলাকা থেকে প্রশিক্ষিত নিষিদ্ধ জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। জেএমবি সরাসরি আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত। আন্দোলনের নামে বড়সড় নাশকতামূলক ছক করেছিল এই জামাত শিবির। তাই কড়া হাতে দমনের পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamas: হানিয়ের আগেই খতম হামাসের সামরিক প্রধান মহম্মদ ডেইফ, বলল ইজরায়েল

    Hamas: হানিয়ের আগেই খতম হামাসের সামরিক প্রধান মহম্মদ ডেইফ, বলল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের (Hamas) জন্য বড় ধাক্কা। জঙ্গিগোষ্ঠীর সামরিক প্রধান মহম্মদ ডেইফের (Mohammad Deif) মৃত্যু এবার নিশ্চিত করল ইজরায়েল। ইজরায়েলর সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ডেইফকে নিকেশ করেছে তারা। জুলাই মাসেই হামাসের সামরিক প্রধানকে খতম করলেও সেই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুর ঠিক পরেই।

    গাজার ওসামা বলা হয় ডেইফকে (Mohammad Deif)

    ডেইফকে গাজার ওসামা বিন লাদেন বলা হত। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী য়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন,  ১৩ জুলাই গাজার ওসামা মহম্মদ ডেইফেকে (Mohammad Deif) খতম করেছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। ওসামার মতই লুকিয়ে হামলা চালানোর বিষয়ে পারদর্শী ছিল (Hamas) ডেইফ। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (IDF) জানিয়েছে, ১৩ জুলাই সূত্র মার্ফত খবর পেয়ে খান ইউনিসে হামলা চালায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা। এরপর গোয়েন্দা সূত্রে ডেইফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। তাঁর সঙ্গেই মারা গিয়েছেন হামাসের আরও এক স্থানীয় শীর্ষ কমান্ডার রাফা সালামা।

    ইহুদি গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল ডেইফ (Hamas)

    হামাসের (Hamas) তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় যে হামলা চালানো হয়েছিল, তাতে ৯০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে ডেইফের (Mohammad Deif) মৃত্যুর খবর এখনও স্বীকার করেনি হামাস। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ইহুদি গণহত্যার সূচনা হয়েছিল। ‘আল-আকসা ফ্লাড’ নামের সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই মহম্মদ ডেইফ। হামাসের হামলায় ইজরায়েলে ২৪ ঘণ্টায় নারী, পুরুষ, শিশু মিলিয়ে ১,১৯৭ জনের মৃত্যু হয়। ইজরায়েলের ইতিহাসে এত কম সময়ে এত মৃত্যু এর আগে হয়নি।

    আরও পড়ুন: নিহত হামাস প্রধানকে ‘শহিদ’ উল্লেখ, বিতর্কে দিল্লি মাইনরিটি কমিশনের প্রাক্তন প্রধান

    নৃশংস হত্যালীলার প্রতিশোধ হিসেবে হামাসের মাথাদের খতম করার অভিযান শুরু করে আইডিএফ। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে হামাসের সশস্ত্র শাখা এই আল কাসাম ব্রিগেডের প্রধান হয় ডেইফ। গত তিন দশক ধরে ইজরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন ডেইফ। ২০১৫ সাল থেকে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের তালিকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamas: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    Hamas: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি তেহরানে নিজের বাড়িতে গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ দেয় গাজার জঙ্গি সংগঠন, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হামাস (Hamas) প্রধানকে। বিবৃতি দিয়ে এমন দাবি করল স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। শুধু তিনি একা নন, তাঁর দেহরক্ষীকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও বুধবার সকালে হানিয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। 

    সিমির লক্ষ্য 

    স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি) মূলত জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের (JIH) ছাত্র শাখা, যেটি ১৯৮১ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের ভারত সফর নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে মূল সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে হামাস (Hamas) এবং সিমির যৌথ লক্ষ্য ভারতে (India) একটি ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করা। সিমি ভারতের প্রেক্ষাপটে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের উপর বিশেষ জোর দেয়। তারা মনে করত যে, দেশে সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও, মুসলমানদের শরিয়ত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা উচিত, কারণ তা করতে ব্যর্থ হলে তাদের নরকে ঠাঁই হবে। 

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    সিমির আর্থিক উৎস 

    উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সহ একাধিক রাজ্যে ঘাঁটি সহ উপস্থিত ছিল সিমি। জামাত বাংলাদেশের ছাত্র শাখা ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) এবং সৌদি আরবের জামাইয়াতুল আনসার (জেএ) উভয়ের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল সিমি। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় মুসলমানদের পরামর্শদাতা কমিটি, কুয়েতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনস এবং রিয়াধে মুসলিম যুবদের বিশ্ব সমাবেশকে অর্থের অন্যান্য উৎস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে সিমি সদস্যরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর মতো দলে যোগ দিয়েছিল। এরপর সিমির পুনর্গঠনের বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও অনেকেই সিমিতে যোগদানে অনুপস্থিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ismail Haniyeh: নিহত হামাস প্রধানকে ‘শহিদ’ উল্লেখ, বিতর্কে দিল্লি মাইনরিটি কমিশনের প্রাক্তন প্রধান

    Ismail Haniyeh: নিহত হামাস প্রধানকে ‘শহিদ’ উল্লেখ, বিতর্কে দিল্লি মাইনরিটি কমিশনের প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হামাসের (Hamas) শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়েকে (Ismail Haniyeh) শহিদ তকমা দিয়ে তাঁর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করলেন জাফারুল ইসলাম খান (Zafarul Islam Khan)। কে এই জাফারুল? তিনি দিল্লির মাইনরিটি কমিশনের প্রাক্তন প্রধান। ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ কুরআনের ইংরেজি অনুবাদ করেছেন তিনি। অনেকগুলি বইও লিখেছেন। একদা সাংবাদিকতা করেছেন। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন হামাসের ওই শীর্ষ নেতাকে শহিদ আখ্যা দিয়েছেন জাফারুল ইসলাম। ইরানে হানিয়ের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। যদিও ইরান এবং হামাসের দাবি হানিয়েকে খতম করার নেপথ্যে রয়েছে ইজরায়েল।

    হামাস প্রধানের মৃত্যুতে দুঃখী জাফারুল (Zafarul Islam Khan)

    নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে জাফারুল যে পোস্ট করেছেন, তাতে তিনি ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টি সংক্রান্ত ইসলামিক ধর্মীয় মন্ত্র সহযোগে লিখেছেন, “হামাসের (Hamas) শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়েকে (Ismail Haniyeh) হত্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এটা ইজরায়েলের কাজ। ইজরায়েলের এভাবে হত্যা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মধ্যস্থতাকারী বের্নাডটকে হত্যা করা হয়েছিল। এখানে তিনি (হানিয়ে) কোরানের মন্ত্র পাঠ করে বলছেন, শহিদরা মরে না।” এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জাফারুল। পর পর বেশ কয়েকটি পোস্টে ইসমাইল হানিয়েকে শহিদ তকমা দিয়েছেন জাফারুল (Zafarul Islam Khan)। তাঁর সামাজিক মাধ্যমের বেশ কয়েকটি পোস্ট যথেষ্ট বিদ্বেষমূলক বলে অভিযোগ।

    হামাসের সমব্যথীদের শাস্তির দাবি (Hamas)

    যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন (Hamas), গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের নিরপরাধ মানুষদের বন্দি বানিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, যাদের হেফাজতে এখনও রয়েছেন বহু নিরপরাধ ইহুদি ইজরায়েলি নারী, পুরুষ ও শিশু, যারা কিনা ইজরায়েলকে যুদ্ধ করতে বাধ্য করেছে— সেই জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডারের (Ismail Haniyeh) মৃত্যুতে ভারতেও কেউ সমব্যথী, এটা ভেবেই অনেকেই অবাক হচ্ছেন। তবে, জাফর এক নন। তাঁর মতো অনেকেই হানিয়ের মৃত্যুতে শোকপালন করছেন তলে তলে। 

    আরও পড়ুন: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    হামাসের সমর্থনে ভারতে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের বহু নেতা মুখ খুলেছেন এর আগেও। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সহমর্মিতা দেখানোর জন্য এঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel attack: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    Israel attack: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোলান মালভূমিতে রকেট হামলায় ১২ শিশুমৃত্যুর বদলা নিল ইজরায়েল। এবার ইজরায়েলের (Israel attack) পাল্টা মারে খতম হল হিজবুল্লার অন্যতম কমান্ডর ফুয়াদ শুক্র (Fuad Shukr)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুয়াদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। একটি বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, তাদের যুদ্ধবিমান বৈরুট এলাকায় হিজবুল্লার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। সেখানেই তাদের প্রথম সারির এক কমান্ডার মৃত্যু হয়েছে। যদিও হিজবুল্লার তরফে এখনও এই দাবির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।  

    ১২ শিশুমৃত্যুর বদলা (Israel attack) 

    সম্প্রতি সিরিয়াকে কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়েছিল ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার মধ্যে। গত শনিবার গোলান মালভূমিতে হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লা। ঘটনায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয়। হিজবুল্লার সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার হিজবুল্লা কমান্ডারকে খতম করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ইজরায়েল। এই পাল্টা হামলার পরেই ইজরায়েলি সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, রকেট হামলায় হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল সেনার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল এই ফুয়াদ। এমনকি ৯০-এর দশকে ইজরায়েলের ৩ সেনা আধিকারিক খুনে যুক্ত ছিল সে। 

    আরও পড়ুন: ”এই ভাষণ সকলের শোনা উচিত”, জাতগণনা ইস্যুতে অনুরাগের বক্তৃতার প্রশংসা মোদির

    কে এই ফুয়াদ শুক্র? (Fuad Shukr) 

    শীর্ষ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ফুয়াদের নাম। আনুমানিক ৬০ বছর বয়সি এই ফুয়াদকে হিজবুল্লার নেতা হাসান নাসারাল্লার ‘শীর্ষ উপদেষ্টা’ বলা হয়। ১৯৮২ সালে মুগনিয়ে ও মুস্তফা বদরুদ্দিনের পাশে থেকে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধেও লড়েছিলেন ফুয়াদ। এরপর ২০০৮ সালে দামাস্কাসে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তৎকালীন হিজবুল্লার শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ফুয়াদ। ইজরায়েলে একাধিক সশস্ত্র হামলার (Israel attack) ছক কষেছেন তিনি। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ID) শীর্ষ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, কোনও বৃহত্তর যুদ্ধ ছাড়াই ‘যে কোনও পরিস্থিতি’তে হিজবুল্লার সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। কিন্তু হিজবুল্লার কিছু নেতাদের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    Bangladesh: অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: অশান্ত বাংলাদেশকে (Bangladesh) শান্ত করতে মোক্ষম দাওয়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেবল জামাত নয়, এই ইসলামিক সংগঠনের ছাত্র সংগঠনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। 

    জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তার জেরে মৃত্যু হয় অন্তত ২০০ জন নাগরিকের। এই অশান্তির নেপথ্যে উগ্রপন্থী ইসলামিক সংগঠন জামাত (Jamaat E Islami) বলে অভিযোগ। তার জেরেই জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে সে দেশের সরকার। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের তরফে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বুধবারের মধ্যে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সরকারের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।  

    জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আগেও

    হাসিনা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জোট সরকারের ১৪টি দলের তরফে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব জমা পড়েছিল। সেই সব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। জামাত কট্টরপন্থী। ২০১৮ সালেই হাইকোর্টের একটি রায়ে জামাতকে কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন বলে উল্লেখ করেছিল উচ্চতর আদালত। তার পর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তালিকা থেকে বাদ দেয় জামাতের নাম।

    কাফেরদের রক্তেই জ্বলজ্বল করে তাঁর অস্ত্র! এমনটাই তলোয়ারের হাতলে লিখেছিলেন টিপু

    দেশের অগ্নগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে বৈঠকে বসেন জোটের নেতারা। সেখানেই জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জানান, হিংসা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাত রয়েছে জামাতের। বৈঠকে তুলে ধরা হয় গোয়েন্দা রিপোর্টও। তার পরেই গৃহীত হয় জামাত ও তার ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত।

    সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) সব চেয়ে বড় রাজনৈতিক দল (শাসক দলও বটে) আওয়ামি লিগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের স্বার্থে ১৪ দলের রাজনৈতিক জোট জামাত ও ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশ থেকে দেশ-বিরোধী শক্তিকে বিচ্ছিন্ন করতেই (Jamaat E Islami) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পে

     

  • Hamas-Israel: ‘গুপ্ত’ হামলায় খতম হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে, তির ইজরায়েলের দিকে

    Hamas-Israel: ‘গুপ্ত’ হামলায় খতম হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে, তির ইজরায়েলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহরানে এক ‘গুপ্ত’ হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে (Ismail Haniyeh) এবং তাঁর এক দেহরক্ষীকে হত্যা করা হয়েছে। হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর এই শীর্ষ নেতা ইরানেই ছিলেন। হামাস এবং ইরানের ইসলামিক রেভেনিউশনারি গার্ডস কোরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইহুদিরা। তবে হামাস জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করবে তারা। আবার প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনীর অবশ্য দাবি, ইজারায়েল (Hamas-Israel) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও ঠিক কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

    রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কর্ণধার ছিলেন হানিয়ে (Hamas-Israel)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত কাতার থেকেই হামাসের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিতেন ইসমাইল। হানিয়ের মৃত্যুতে হামাস (Hamas-Israel) গোষ্ঠী বড় ধাক্কা পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মঙ্গলবারই তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন এই হামাস শীর্ষ কমান্ডার। আবার ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খোমেইনির সঙ্গেও তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন হানিয়ে। কিন্তু ১৯৮৯ সালে হানিয়েকে (Ismail Haniyeh) তিন বছর বন্দি করে রেখেছিল ইজরায়েল। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ইজরায়েল এবং লেবাননের মাঝে এক ‘নো-ম্যানস-ল্যান্ড’ এলাকায় নির্বাসিত করা হয়েছিল। নির্বাসন কাটিয়ে আসার পর ১৯৯৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর সদস্য হয়েছিলেন তিনি। অপর দিকে এই ঘটনার পর ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, “আরও বড় মাপের যুদ্ধ ছাড়াই এই জটিল পরিস্থিতির যাতে সমাধান হয়, সেটাই চায় ইজরায়েল। আমাদের সেনা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। যেকোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি।”

    আরও পড়ুনঃ আমেরিকায় প্রায় আড়াই লক্ষ অভিবাসী অনিশ্চতায়, বেশিরভাগ ভারতীয়! ফিরতে হবে দেশে?

    গতবছর অগাস্টে ইজরায়েলে হামলা হয়েছিল

    গত বছর ২০২৩ সালের ৭ অগাস্ট ইজরায়েলের (Hamas-Israel) উপর হামাস আচমকা হামলা করলে দুই দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। তারপর থেকে বেশ কয়েক মাস গাজায় ইজরায়েল হামাস-হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংগঠিত করে। এই যুদ্ধে প্যালেস্টিনীয় নাগরিকদেরও মৃত্যু হয়ে ছিল। হামাসের অবশ্য দাবি, এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও, ইজরায়েল বার বার হামাসের জঙ্গি কার্যকলাপকে সম্পূর্ণ ভাবে খতম করার কথা ঘোষণা করেছিল। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে এগিয়ে যায় সেটাই দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Immigration Issues: আমেরিকায় প্রায় আড়াই লক্ষ অভিবাসী অনিশ্চতায়, বেশিরভাগ ভারতীয়! ফিরতে হবে দেশে?

    US Immigration Issues: আমেরিকায় প্রায় আড়াই লক্ষ অভিবাসী অনিশ্চতায়, বেশিরভাগ ভারতীয়! ফিরতে হবে দেশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। কমলা হ্যারিস না ডোনাল্ড ট্রাম্প কে আসবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা মার্কিন রাজনীতির অন্দর মহলে। মার্কিন নির্বাচনে অভিবাসন নীতি (US Immigration Issues) একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন মিটলেই হয়তো অভিবাসীদের সন্তানদের দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হবে আমেরিকা। এর মধ্যে একটা বড় অংশই ভারতীয়দের। তাই তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    নাগরিকত্বের আশা

    বহু অভিবাসী (US Immigration Issues) আমেরিকায় গিয়ে সেখানকার নাগরিকদের বিয়ে করেছেন এবং তাঁদের সন্তানও রয়েছে। সেই সংখ‌্যাটা প্রায় আড়াই লক্ষ। এবার তাঁদের দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন। এর গোটা দায়ভার পূর্বতন রিপাবলিক‌ান সরকারের উপর চাপিয়েছে হোয়াইট হাউস। যদিও এ দায় অস্বীকার করেছে রিপাবলিকানরা। বিদেশি পড়ুয়ারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতক হলেই ‘অটোমেটিক’ গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন বলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে কট্টর অভিবাসী-বিরোধী বলে নিন্দিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন সেখানে স্নাতকস্তরে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। পড়া শেষ করেই পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে আসতে হবে না দেশে।

    হোয়াইট হাউসের কথা

    রীতিমতো আইনকানুন মেনেই মার্কিন মুলুকে পা রেখেছেন বহু ভারতীয়। পরে সেখানেই থিতু হয়েছেন। তবে তাঁদের সন্তানদের জন‌্য অপেক্ষা করছে অনিশ্চয়তা। কারণ অভিবাসী (US Immigration Issues) ও মার্কিন নাগরিকের সন্তানদের আর মার্কিন ভূমে রাখা হবে না। এই তরুণ সম্প্রদায়ের অনেকেই এখন ‘ইয়ং অ‌্যাডাল্ট’ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দ্বারপ্রান্তে অপেক্ষা করছেন। এখন তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন মার্কিন মুলুকের পাকাপাকি নাগরিক হওয়ার। সেই দায় বইতে চাইছে না প্রশাসন। এই গোটা জটিল প্রক্রিয়ার জন‌্য রিপাবলিকানদের দিকে দায় ঠেলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব, কেরিন জঁ পিয়ের বলেন, “আগেও তাদের ফেরত পাঠানোর জন‌্য আলোচনা হয়। কিন্তু এই প্রস্তাব রিপাবলিক‌ানরা দুবার বাতিল করেছে।”  তিনি জানিয়েছেন, “এই তরুণ প্রজন্ম এখানেই স্কুলে কলেজে পড়েছে। বড় হয়েছে। দীর্ঘদিন গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হয়নি। ফলে অনেক অভিবাসীই এই তালিকায় অপেক্ষায় রয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    উল্লেখ্য, আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করা কয়েক হাজার অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিতে একটি নতুন উদ্যোগের কথা আগেই অবশ্য ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই উদ্যোগের আওতায় মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন এমন প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যদিও এই অভিবাসন নীতি (US Immigration Issues) রিপাব্লিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ঘোর বিপরীত। তব ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তাতেই দিন কাটাচ্ছেন অভিবাসীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: আন্দোলনের আড়ালে সরকার উচ্ছেদের চেষ্টা জামাত-বিএনপির, দাবি হাসিনার  

    Bangladesh Protest: আন্দোলনের আড়ালে সরকার উচ্ছেদের চেষ্টা জামাত-বিএনপির, দাবি হাসিনার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার (Bangladesh Protest) আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার ফেলার চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামাত। দাবি হাসিনা (Seikh Hasina) প্রশাসনের। সরকারিভাবে জানানো হল মৃত্যুর সংখ্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে নিহতদের একটা সংখ্যা এসেছে। তা হল ১৪৭। পরে সংখ্যাটি বাড়তে পারে। ১৪৭ জনের মধ্যে ছাত্র, পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারী, হকার সহ নানান পেশার মানুষ রয়েছেন।”

    সমন্বয়ের উপর চলছে অত্যাচার (Bangladesh Protest)

    যদিও সরকারি সংখ্যা মানতে নারাজ আন্দোলনের সমন্বয়করা। সমন্বয়কদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে দাবি আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের। ইতিমধ্যেই নাহিদ ইসলাম সহ ৬ জন সমন্বয়ককে রাতের অন্ধকারে আটক করে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ। সমন্বয়কদের কোথায় আটকে রাখা হয়েছে এবং কবে ছাড়া হবে তা জানানো হয়নি। পরিবার দেখা করতে চাইলে, দেখা করেননি ডিবি কর্তারা। সমন্বয়কদের জোর করে আন্দোলন (Bangladesh Protest) প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সমন্বয়করা তাঁদের হেফাজতেই রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি জানিয়েছেন ওদের (সমন্বয়ক) প্রাণের ভয় আছে। নিরাপত্তার কারণে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নাহিদ ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন সমন্বয়ককে এর আগেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের উপর অত্যাচার করে ঢাকার রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখান থেকে ওফের তুলে নিয়ে যায় ডিবি। যদিও সরকারের দাবি, শিক্ষার্থীদের আড়ালে বিক্ষোভ এবং নাশকতা ছড়িয়েছে বিএনপি এবং তাঁদের মৌলবাদী শরিক দল জামাত-এ-ইসলামী। তাঁরা সরকার ফেলার অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

    সরকারী সম্পত্তি ছিল আন্দোলনকারীদের টার্গেট

    বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও একই দাবি করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, নাশকতার (Bangladesh Protest) উদ্দেশ্য ছিল, সরকারের পতন ঘটানো। এই উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর দখল করার চেষ্টা হয়। একাধিক পুলিশ স্টেশন ছিল আন্দোলনকারীদের টার্গেটে। মেট্রো রেল এবং বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল যেভাবে বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাঁর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বাংলাদেশ সরকার (Seikh Hasina)

    বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “হিংসায় যাদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারকে সম্পূর্ণ সুবিচার দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina), আবু সায়েদের পরিবার সহ বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সহযোগিতার চেক তুলে দিয়েছেন। মৃতদের পরিবারের জীবন-জীবিকার প্রতি লক্ষ্য রাখা হবে, বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখে সহমর্মিতার কথা বললেও কোনওভাবেই (Bangladesh Protest) আন্দোলন দমনে পিছপা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কাউকে দেখলেই গুলি মারার নির্দেশের আওতায় খতম করা হয়নি বলে দাবি করেছে হাসিনা প্রশাসন। তবু বিরোধীদের অভিযোগ, যারা আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, শুধুমাত্র আন্দোলনের খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার কোনওভাবেই বিরোধিতা সহ্য করতে চাইছে না।

    সরকার ফেলতে চেয়েছিল বিরোধীরা

    সরকার , ছাত্র সমাজের সমাজের পাশে আছে বলে দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) বলেন, আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। তবে তাঁদেরকে ঢাল বানিয়ে যেভাবে বিএনপি-জামাত জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন শুরু করেছে, আমরা সেটাকে কোনভাবেই বরদাস্ত করব না। অনেক কষ্ট করে এই দেশ আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। মানুষের জীবনের মানের উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পিছিয়ে যাক, এটা হতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সরকার (Bangladesh Protest) আন্দোলনের পাশে থেকেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে ছাত্রদের দাবি শুনতে চেয়েছিলেন। সরকারের চেষ্টায় অবশেষে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার হয়েছে। এরপর হিংসাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, প্রধানমন্ত্রীর নিরন্তর আশ্বাস সত্ত্বেও বিএনপি-জামাত মিলিতভাবে হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট

    প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে একটি মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। আসলে তাঁরা চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান গণভবনে সশস্ত্র আন্দোলনকারীদের ঢুকিয়ে দিতে। যাতে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলাদেশে। গোটা ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maldives: মলদ্বীপের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ মুইজ্জুর

    Maldives: মলদ্বীপের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ছিল মলদ্বীপের (Maldives) ৫৯তম স্বাধীনতা দিবস। এদিনই মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে দ্বীপ রাষ্ট্রের ঋণ পরিশোধ সহজ করার জন্য ভারতের (Modi government) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মলদ্বীপের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করার জন্য তিনি ভারত ও চিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এই দ্বীপের ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকট মোকাবিলায় এবং এর ভবিষ্যৎ উন্নয়নে দুই দেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে তিনি পররাষ্ট্র নীতির প্রশংসা করে ঋণ পরিশোধ সহজ করার জন্য উভয় দেশকেই ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

    মহম্মদ মুইজ্জুর মন্তব্য (Maldives) 

    এ প্রসঙ্গে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, “মলদ্বীপের জনগণের স্বার্থে, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য এবং আমাদের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য আমি মলদ্বীপের জনগণের পক্ষ থেকে চিন সরকার এবং ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পর গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হয়েছিলেন মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট। 

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক   

    উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মলদ্বীপে (Maldives) ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। মলদ্বীপে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুইজ্জুর গলায় শোনা গিয়েছিল ‘ভারত-বিরোধী’ সুর। সে দেশ থেকে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে সরকারি ভাবে জানিয়েও ছিলেন তিনি। এরপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। যদিও এরপর বরফ গলেছিল। ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর গলাতেই শোনা গিয়েছিল নরম সুর। সে সময় নয়াদিল্লির কাছে (Modi government) ঋণ মকুবের আর্জি জানিয়ে তিনি বলেছিলেন ভারত মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’-ই থাকবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে ভারত থেকে প্রায় ৪০০.৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল মলদ্বীপ। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এবার সেই ঋণ পরিশোধই সহজ করল ভারত। 
    আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরেই মলদ্বীপ-ভারত সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দলের একাধিক নেতা। তার পরই নিন্দার ঝড় ওঠে। গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় ‘বয়কট মালদ্বীপ’ (Maldives)। সেই থেকেই পর্যটক কমতে শুরু করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। বলে রাখা ভালো, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন মুইজ্জু। এরপরেই দেশকে ঋণ মুক্ত করতে ঋণ মকুবের আর্জি জানান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share