Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Crisis: লাগাতার আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধে ফের পথে বাংলাদেশের হিন্দুরা, অবরোধে অচল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: লাগাতার আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধে ফের পথে বাংলাদেশের হিন্দুরা, অবরোধে অচল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাস হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার (Hindus) পরেও বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। লাগাতার আক্রমণের প্রতিবাদে পথে নামলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)। ন্যায় বিচার ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।

    আট দফা দাবি (Bangladesh Crisis)

    আন্দোলন হয় সনাতনী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে। এই ছাতার তলায় জড়ো হয় হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন। এদিনের আন্দোলনে ছিল বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চও। আট দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে ব্যাপক যানজট হয় শহরে। শুক্রবারই আট দফা দাবিতে চট্টগ্রাম শহরের জামাল খান মোড় এলাকায় সমাবেশ করে সম্মিলিত সনাতনী সমাজ, বাংলাদেশও। যে আট দফা দাবিতে এদিন আন্দোলন হয়েছে, সেগুলি হল, সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন দেওয়া, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরিত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা এবং তাদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা, সঠিকভাবে অর্পিত সম্পত্তি আইন কার্যকর করা এবং দুর্গাপুজোয় পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীও। তিনি (Bangladesh Crisis) বলেন, “ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ অভ্যুত্থানের পর আমরা ভেবেছিলাম, আমরা একটা বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা পাব। তবে ৫ অগাস্ট থেকে দেশের ৪৯টি জেলায় হিন্দু জনগণের বাড়িঘর, তাদের মন্দির ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রথম আলোর (বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১ হাজার ৬৮টি।” তিনি বলেন, “অস্থায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। আমরা আশা করি, তিনি দেশের সকল মানুষের, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ করবেন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    বিশিষ্ট কবি ফারহাদ মাজহার বলেন, “দেশের বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড।” তিনি বলেন, “এটা অপরাধমূলক কাজ। একাজ প্রতিরোধে নয়া সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দ্বিতীয়ত, মন্দিরগুলিতে আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। জনসাধারণের ঘোষণার পরেই এসব আক্রমণ চালানো হয়েছে।”
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি মোদি (নরেন্দ্র মোদি)-কেও বলেছি, এসব বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামি লিগ যে অরাজকতা করেছিল, তার পর দেশ একটি অস্থিরতার মধ্যে পড়েছিল। সেই সময় যারা (Hindus) তাদের পাশে ছিল, তারাই আক্রমণের শিকার হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: হিন্দুদের নির্বিচারে পেটাচ্ছে, পেটের চিন্তায় ভারতের কাছে আলু-পেঁয়াজও চাইছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh: হিন্দুদের নির্বিচারে পেটাচ্ছে, পেটের চিন্তায় ভারতের কাছে আলু-পেঁয়াজও চাইছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ভারতে ইলিশ রফতানি করত হাসিনা সরকার (Bangladesh)। তবে চিত্রটা বদলে যায় গত অগাস্ট মাসে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরেই। ভারত-বিরোধী শক্তি জামাত-বিএনপির সহায়তায় গণভবন দখল করা হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরেই সে দেশে শুরু হয় হিন্দুনিধন যজ্ঞ। সমাজ মাধ্যমের পাতায় জামাত-বিএনপি নেতারা একের পর এক ভারত বিরোধী-হিন্দু বিরোধী উস্কানিমূলক পোস্ট করতে থাকেন। এই আবহে ইউনূস সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেয়, উৎসবের মরশুমে ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবে না তারা। তার পরেই অবশ্য নির্লজ্জের মতো হাত পেতে ২ লাখেরও বেশি মুরগির ডিম আমদানি করে বাংলাদেশ। এবার জামাত-বিএনপি’র কাছে প্রাণভোমরা থাকা ইউনূস সরকারের আর্জি, যেন কোনওভাবেই আলু এবং পেঁয়াজের রফতানি ভারত বন্ধ না করে। এর পাশাপাশি ইলিশ রফতানি করার ইস্যুটি ভারতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব (Bangladesh) ফেলবে না বলেও জানিয়েছে তারা।

    পেটের চিন্তা বড় চিন্তা (Bangladesh)

    ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সে দেশে অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে। মুরগির ডিমের দাম পৌঁছায় ১৫-১৬ টাকায়। ভারতের কাছ থেকে তা আমদানি করার পরে দাম কমে আসে ৭ থেকে ৮ টাকায়। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম কমবেশি ৭০ টাকা। সে দেশে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আবার ১৪০ টাকা দরে। হাসিনা সরকারের আমলে আলুর দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে। পেটের চিন্তা, বড় চিন্তা-আপাতত তাই ভারত-বিরোধী ডায়লগ দেওয়া বন্ধ করে সামান্য আলু-পেঁয়াজে সন্তুষ্ট হতে চাইছে তারা। ইলিশ (Hilisha) দেব না হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলেও নামতে দেখা গিয়েছে সে দেশের মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে। এক সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বিবৃতি, ‘‘শুধু ভারত নয়, কোনও দেশেই ইলিশ পাঠাচ্ছি না আমরা। এবার ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ (Hilisha) ধরাও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’’

    ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে

    জানা গিয়েছে, পেটের তাগিদে ভারত থেকে দ্রুত আলু আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। এ কারণে মোট দশজনকে ‘ইমপোর্ট পারমিট’ (আইপি) দিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকার। গত শুক্রবারই এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলি। তিনি জানান, বাংলাদেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে বন্দরের ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ভারত থেকে আলু আমদানি হলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই কমে আসবে, এ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লালফৌজ। শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফেই এ খবর (S Jaishankar) জানানো হয়েছে (India China Relation)। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, রাশিয়ায় ভারত ও চিন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে স্থির হয়েছে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে চিন? (India China Relation)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দাবিকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব লাদাখের চার এলাকা মুক্ত করে দিয়েছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই আলোচনায় দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রেখে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। ন্যূনতম বোঝাপড়া কায়েম করার ব্যাপারেও একমত হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে দুপক্ষে।”

    সেনা প্রত্যাহার

    তিনি (India China Relation) বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে চিন-ভারত সীমান্ত এলাকার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশই বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। সেই হিসেবে এখন চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, দুদেশের মধ্যে থাকা সীমান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে চিন-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীলতা দুই দেশের জনগণের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। দুই দেশই রাজি রয়েছে, উভয় দেশের প্রধানদের মধ্যে অর্জিত ঐক্যমত বাস্তবায়ন করবে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস বাড়াবে, নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে। এর পরেই চিনা মুখপাত্র বলেন, “গালওয়ান-সহ চারটি এলাকা দখলমুক্ত করতে সম্মত হয়েছে চিন ও ভারতীয় সেনা। সেই মতো দখল করা চারটি এলাকা থেকেই সরে গিয়েছে (S Jaishankar) চিনা ফৌজ (India China Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doval meets Putin: মোদির তৈরি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি ফর্মুলা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    Doval meets Putin: মোদির তৈরি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি ফর্মুলা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর ‘নীল নকশা’ তুলে দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক চলছে রাশিয়ায়। বৃহস্পতিবার, তারই ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন ডোভাল। সূত্রের খবর, ডোভালের এই রুশ সফরের লক্ষ্যই হল রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শান্তি ফর্মুলা নিয়েই তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    মোদির অপেক্ষায় পুতিন

    ভারতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিন ও ডোভালের বৈঠকের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ঠিক কী কী কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তা বিশদে জানা না গেলেও সূত্রের খবর, পুতিন জানিয়েছেন যে, তিনি এবছরের শেষে কাজানে হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। বৈঠকের ফাঁকেই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেগুলির বাস্তবায়নের কাজ কতদূর এগলো তা খতিয়ে দেখা  এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করা হবে অক্টোবরের ওই বৈঠকে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, “আমরা আমাদের ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদির জন্য অপেক্ষা করছি এবং তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।” শুধু পুতিনের সঙ্গেই নয়, গত বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সার্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন অজিত ডোভাল। ‘পারস্পরিক স্বার্থের’ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুজনে আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ভারতের কূটনৈতিক জয়

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউক্রেন সফরের আড়াই সপ্তাহ পর রাশিয়া সফরে গিয়েছেন অজিত ডোভাল। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশকে একসঙ্গে বসতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ভারত এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, মোদির পরামর্শে যদি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া তাহলে তা বিরাট কূটনৈতিক জয় হবে ভারতের। কারণ পুতিনের সঙ্গে মোদির সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই ‘সোনার বাংলা’। বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের (Power Crisis) প্রধান মহম্মদ ইউনূস। দেশের একমাত্র নোবেলজয়ীর হাতে দেশের ভার সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন হাসিনাকে দেশছাড়া করে কী ভুলটাই না করেছেন তাঁরা! এখন দেখে নেওয়া যাক, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ।

    বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি (Bangladesh Crisis)

    দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে বাংলাদেশে। আকছার হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার জেরে শিল্প উৎপাদন ও নাগরিকদের দুর্দশার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি রয়েছে। কয়লার ঘাটতি রয়েছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। ত্রিপুরা থেকে রফতানি হ্রাসের কারণে অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্যা আরও বেড়েছে। ভারতের আদানি গ্রুপের কাছে বাংলাদেশের দেনা রয়েছে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ কমেছে ৮২০ মিলিয়ন ঘনফুট। পাওয়ার ক্রাইসিসের যে আশু কোনও সমাধান নেই, তা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিনান্স ও কমার্স উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ ছন্দে ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করছে। ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি ও কয়লা আমদানিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

    আইনশৃঙ্খলার অবনতি

    সংরক্ষণকে ঘিরে যে আন্দোলন (Bangladesh Crisis) শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে ভাঁটা পড়েছে। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশও ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের দায়িত্ব বর্তেছে ইউনূসের হাতে। তবে তাতে যে বাংলাদেশের খুব একটা উন্নতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়নি এখনও। খুন-জখম-রাহাজানি চলছেই। সোমবারই খুন হয়েছেন বগুড়ার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান মিজান। এদিনই খুন হয়েছেন লেডু নামেও আর একজন। এর ঠিক আগের দিন আশুলিয়া শহরে একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা সেনা, পুলিশ এবং রাবকে আক্রমণ করে। বকেয়া মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই সেখানে গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। তাদের ওপরই হামলা চালান ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

    জামিনে মুক্ত সন্ত্রাসবাদী এবং অপরাধীরা

    ডামাডোলের বাজারে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতায় এসেই (Power Crisis) ইউনূস মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু জঙ্গি এবং দাগি আসামীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যাপক অবনতি হয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার। বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে অন্তত ৬ জন শীর্ষ অপরাধী ও জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কিলার আব্বাস, শেখ মহম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, ইমামুল হাসান হেলাল, সানজিদুল ইসলাম, নাইম আহমেদ ও খোরশেদ আলম রাসু। কুখ্যাত এই জঙ্গিরা ১০-১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল বাংলাদেশের জেলে।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    ফেলে দেওয়া থুতু গিলতে হল!

    মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়েছিল বাংলাদেশও। অথচ, দেশের ক্রাইসিস মেটাতে তাদেরই নির্ভর করতে হচ্ছে ভারতের ওপর। এতদিন যারা ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছিল, তারাই এখন ২.৩১ লাখ মুরগির ডিম আমদানি করেছে। সোমবারই প্রথম লটের ডিম চলে গিয়েছে ‘সোনার বাংলা’য়।

    ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত

    কুর্সি যাতে খোয়াতে না হয়, তাই ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হতে দিয়েছেন ইউনূস স্বয়ং। গদি ধরে রাখতে একদিকে তিনি যেমন কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন জামাত-এ-ইসালমির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন, তেমনি মুক্তি দিয়েছেন মৌলবাদী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেতা মহম্মদ জসিমউদ্দিন রহমানিকে। হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে, তাকেও বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে ইউনূস আস্থা অর্জন করছেন সে দেশের মুসলমানদের।

    রোহিঙ্গা সমস্যা

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে মায়ানমার ছেড়ে দলে দলে রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। গত আট থেকে ১০ দিনে ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। সীমান্তে অপেক্ষা করছে আরও অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, মূলত রাতের অন্ধকারেই সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। রিফিউজি রিলিফ ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এ দেশে ঢুকছে, তারা বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে থাকা তাদের আত্মীয়দের কাছে এসে উঠছে। ঠিক কতজন ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে (Power Crisis), তা বলতে পারব না (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh: ‘তালিবানি বাংলাদেশ’! নমাজের সময় ঢাক বন্ধের ফতোয়া, কমল দুর্গাপুজোর সংখ্যাও

    Bangladesh: ‘তালিবানি বাংলাদেশ’! নমাজের সময় ঢাক বন্ধের ফতোয়া, কমল দুর্গাপুজোর সংখ্যাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে (Bangladesh) হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে যখন উদ্বেগে সবাই, তখন মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছিল যে, বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গাপুজো (Durga Puja) হবে। ফলে, সংখ্যালঘু হিন্দুরা আশার আলো দেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারের আসল রূপ ক্রমশ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। নমাজের সময় দুর্গাপুজোর ঢাক-ঢোল-মাইক বাজানো যাবে না ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যা নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    দুর্গাপুজোয় ঢাক-মাইক বন্ধে ফতোয়া জারি (Durga Puja)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবারই পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। বৈঠকেই তিনি ঘোষণা করেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মসজিদে আজানের সময় মণ্ডপে ঢাক-মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজানের ৫ মিনিট আগেই মাইক ও যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ করতে হবে। আজান শেষের পরই ফের মাইক বা ঢাক বাজানো যাবে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের বক্তব্য, পুজোর সময় আজান শুরু হলে ঢাক-ঢোল বাজানো যাবে না। আসলে পরোক্ষে পুজো বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সরকার। 

    মণ্ডপের পাহারা নিয়েও নতুন আশঙ্কা

    পাশাপাশি, দুর্গাপুজোর নিরাপত্তা নিয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণায় তৈরি হয়েছে নতুন উৎকণ্ঠা। ঘোষণা অনুযায়ী, দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে (Durga Puja) যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, যারা পালা করে মণ্ডপ পাহারা দেবেন।বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, এই সুযোগে মাদ্রাসা ও জামাতের লোকজনকে পুজো মণ্ডপে মোতায়েনের চেষ্টা হচ্ছে, যারা মূর্তি পুজোয় বিশ্বাস করেন না। ফলে অশান্তির আশঙ্কা থাকছেই। এতদিন পুজো কমিটির লোকজনেরাই স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতেন। সঙ্গে থাকত পুলিশ বা অন্য কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। 

    সরকারের আড়ালে মৌলবাদীরা!

    সরকারের আড়ালে মৌলবাদীরা যে কলকাঠি নাড়ছেন, এই ঘোষণাই তার প্রমাণ। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হিন্দু খেদাও ও হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের হিন্দু প্রধান এলাকায় গিয়ে পুজো ও ধর্মীয় আচরণ বন্ধ করার ফতোয়া দিয়েছে বিএনপি-জামাত-এ-ইসলামির মতো মৌলবাদী দলগুলি। তালিবানি শাসন শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে! আর সেই হুমকির পরেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে হিন্দুরা।

     

    আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

     

    ইসকনের ভাইস-প্রেসিডেন্ড রাধারমণ দাস ট্যুইট করে বাংলাদেশি সরকারের ফতোয়াকে তালিবানি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

     

    মৌলবাদীদের হুমকি-হামলা, কমল দুর্গাপুজো

    শেখ হাসিনা জমানায় গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। গত বছর রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা দেশে ৩৩ হাজার ৪৩১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আয়োজন করা হয়েছিল। আর এ বছর এখনও পর্যন্ত ৩২ হাজারের মতো পুজো কমিটি পুজো আয়োজনের কথা জানিয়েছে। অনেক জায়গাতেই আয়োজকরা ঘট পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হামলার হাত থেকে বাঁচতে অনেক জায়গাতেই দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের বেশি পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজো বন্ধ হওয়ার সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পুজো উদযাপন পরিষদের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives: সরিয়ে দিলেন মোদি-বিরোধী দুই জুনিয়র মন্ত্রীকে, ভারতে আসছেন মুইজ্জু

    India-Maldives: সরিয়ে দিলেন মোদি-বিরোধী দুই জুনিয়র মন্ত্রীকে, ভারতে আসছেন মুইজ্জু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী মলদ্বীপ (India-Maldives)। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শীঘ্রই ভারতে আসছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (President Muizzu)। মুইজ্জুর প্রস্তাবিত নয়াদিল্লি সফরের আগে মোদি (PM Modi) বিরোধী বলে পরিচিত মলদ্বীপের দুই মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। শোনা যাচ্ছে, মুইজ্জুর নির্দেশেই নাকি তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। চিন-পন্থী মুইজ্জুর নির্বাচনে জয়লাভের ঠিক পরেই মলদ্বীপে মোতায়েন ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মীদের সরানোর দাবি নিয়ে মলদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। মে মাসে মলদ্বীপ থেকে সব প্রতিরক্ষা কর্মীদের সরিয়ে নেয় ভারত। এর পর কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে।

    দিল্লি সফরে আগ্রহী 

    গত বছর নভেম্বরে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই দিল্লি বিরোধী সুর চড়িয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু (President Muizzu)। এমনকী, তাঁর দুই মন্ত্রী প্রকাশ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্যও করেছিলেন। সেই মুইজ্জুর অফিস থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট যত দ্রুত সম্ভব দিল্লি সফরে যেতে চান। মুইজ্জু এর আগে গত জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সেটা রাষ্ট্রীয় সফর ছিল না। শপথ অনুষ্ঠান শেষেই দেশে (India-Maldives) ফিরে যান তিনি। তখনই ফের আসার আমন্ত্রণপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর হাতে। সেই মতো চলতি মাসেই নয়াদিল্লি সফরে আসতে চলেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ভারত তাঁর ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ছে।

    আরও পড়ুন: উপকৃত ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক, আয়ুষ্মান ভারত বিমার আওতায় সব সত্তরোর্ধ্ব

    দেশে প্রবল চাপে মুইজ্জু

    শুধু ভারতে আসার বাসনা ব্যক্ত করাই নয় মুইজ্জু (President Muizzu) তাঁর দুই মন্ত্রীকে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছেন। যদিও সরকারিভাবে বলা হচ্ছে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। এ বছর জানুয়ারিতে দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন। মুইজ্জু তখনকার মতো দুই মন্ত্রীর দফতর কেড়ে নিয়েছিলেন। তবে মন্ত্রী পদ ছিল। মঙ্গলবার মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে মুইজ্জুর ভারত (India-Maldives) সফরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গেই জানানো হয় ওই দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, ভারত বিরোধিতা নিয়ে দেশে প্রবল চাপে আছেন মুইজ্জু। কারণ, মোদির সম্পর্কে ২ জুনিয়র মন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্যের পরই ভারতজুড়ে বয়কট মলদ্বীপ-এর ডাক দেওয়া হয়। এর ফলে, বিপুল ক্ষতি হয় পর্যটন-নির্ভর মলদ্বীপের। কারণ, সেদেশে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সিংহভাগই ভারত থেকে যান।

    অর্থাভাবে সরকারি বন্ড বিক্রি

    পরিস্থিতি এমন পর্যায় গিয়ে দাঁড়ায় যে, অর্থাভাবে সরকারি বন্ড পর্যন্ত বিক্রি করতে হয় মুইজ্জু প্রশাসনকে। এর পরই, সব বিরোধী দলই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্ত দিয়ে মুইজ্জুর ভারত বিরোধিতা এবং চিন (China) প্রীতি নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ করে। বাধ্য হয়ে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (India-Maldives) ঠিক করতে উদ্যোগী হয় মুইজ্জু প্রশাসন। কয়েকমাস আগেই, ভারত সফরে এসে সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করেন মলদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী। এর মধ্যে, ভারতের সঙ্গে নতুন করে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে মুইজ্জু প্রশাসন।

    এবার ভারতে আসছেন খোদ মুইজ্জু (President Muizzu)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunil Gangopadhyay: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিটে হাতালেন বিএনপি নেতা, তীব্র প্রতিবাদে হল দখলমুক্ত

    Sunil Gangopadhyay: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিটে হাতালেন বিএনপি নেতা, তীব্র প্রতিবাদে হল দখলমুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যতই শান্তি ফেরানোর দাবি করুক, ফের তার অন্তঃসারশূন্যতা সামনে এল। মূলত, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরপরই ভাঙা পড়েছিল খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহির বাড়ি। সেটা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চুপসে যায় সরকার। দখলমুক্ত হয় রাজশাহির বাড়ি। এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদারিপুর জেলায় জবরদখল হয়ে গিয়েছিল ভারত-বাংলা দু’দেশেই সমান জনপ্রিয় প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sunil Gangopadhyay) পৈতৃক ভিটে। সুনীলের ওই ভিটেতে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। মূলত ভারত-বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কার্যত চাপে পড়ে নড়েচড়়ে বসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রবল চাপে দখলমুক্তও করা হয়। কিন্তু, দখলদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না-করায় সুনীলের ওই ভিটে কতদিন নিরাপদ থাকবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সকলে। কারণ, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। এমনই অভিযোগ উঠেছে। মূলত, এই সরকারের আমলেই বাংলাদেশ জুড়ে বিএনপির এত বাড়বাড়ন্ত। তারা জানে এই ধরনের অন্যায় করলেও সরকার কিছু করবে না। তবে, তীব্র প্রতিবাদে সরকার বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sunil Gangopadhyay)

    বাংলাদেশের মাদারিপুরে সুনীলের (Sunil Gangopadhyay) একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে কয়েক বছর আগে গড়া হয়েছিল সুনীল স্মৃতি পাঠাগার। অভিযোগ, গত শনিবার বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার এবং তাঁর সঙ্গীরা তালা ভেঙে ঢুকে সেই পাঠাগার ভেঙে তছনছ করে। দুষ্কৃতীরা সুনীলের ব্যবহৃত লেখার সরঞ্জাম, বই নষ্ট করে দেয়। পাঠাগারের আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি-সহ একাধিক ছবি ভাঙচুর করে। লেখকের বাড়ির সামনে শেখ হাসিনার জমানায় জেলা প্রশাসনের লাগানো একটি সাইনবোর্ডও ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ওই ঘরে এক ট্রাক চাল রেখে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়কার ভাঙচুর, তাণ্ডবের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সব মিডিয়াতে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। ভারতবাসীও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে। এত হইচই শুরু হওয়ায় সোমবার রাতেই জেলা প্রশাসনের তরফে বাড়িটি পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পাঠাগার (Sunil Gangopadhyay) ভাঙচুরের অভিযোগ স্বীকার করেছেন মাদারিপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আধিকারিক উত্তমকুমার দাস। তিনি বলেন, পুলিশ ও সামরিক কনভয় গিয়ে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সেই মতো প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে- ‘লেখকের ভিটে-জমি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে প্রশাসন। নতুন তালা লাগানো হয়েছে। এই জমিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। খুব শীঘ্রই এখানে মিউজিয়াম, লেখকের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন, পুকুরপাড় সংলগ্ন উন্মুক্ত মঞ্চ, শান বাধানো ঘাট নির্মাণ করা হবে। এটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করবে।’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Trump vs Harris: কমলার নিশানায় ট্রাম্প, বিতর্কসভা জমিয়ে দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    Trump vs Harris: কমলার নিশানায় ট্রাম্প, বিতর্কসভা জমিয়ে দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন মুলুকে (US Presidential Election 2024)। নির্বাচনে মুখোমুখি হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump vs Harris)। নির্বাচনী দৌড় থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছিটকে যাওয়ায় ডেমোক্র্যাটরা সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নিয়েছেন হ্যারিসকে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গোহারা হারানোর শপথ নিয়েছে তিনি। সম্প্রতি এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যোগ দিয়েছিলেন বিতর্কসভায় (US Presidential Debate)। সেখানেই ট্রাম্পকে একের পর এক কটাক্ষ-বাণে বিদ্ধ করতে থাকেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

    ট্রাম্পকে ধুয়ে দিলেন কমলা (Trump vs Harris)

    বিতর্কসভায় প্রথম থেকেই ঝাঁঝালো ছিলেন কমলা। আগাগোড়াই তিনি চাঁদমারি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে। বলেন, “যাঁরা ভাবছেন ট্রাম্প দেশবাসীর কথা ভাবছেন, তাঁরা সকলেই ভুল করছেন। বোকামো করবেন না। ট্রাম্পের সমস্ত ভাবনার পিছনের কোনও না কোনও স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে। নিজের লাভ ছাড়া কোনও কথাও ভাবেন না উনি।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী (Trump vs Harris) বলেন, “ট্রাম্প কেবলমাত্র ধনীদের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলছেন। সকলের মন ভোলাতে এসব কথা বলছেন উনি। আখেরে এতে লাভ হবে ধনীদেরই। গোটা দেশকে বেকারত্ব ও কর্মহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন উনি। তার মারাত্মক ফল ভোগ করেছে গোটা দেশ।” তিনি (US Presidential Debate) বলেন, “ট্রাম্প চিন ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়াতে চান। এটা আসলে মার্কিনদের ওপর বিক্রয় কর বসানো। এর ফলে পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে।”

    প্রসঙ্গ গর্ভপাত

    গর্ভপাত প্রসঙ্গে কমলা বলেন, “মহিলারা তাঁদের শরীর নিয়ে কী করবেন, কী তাঁদের করা উচিত, সরকার কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trump vs Harris) তা বলা উচিত নয়।” তাঁর দাবি, “ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিষিদ্ধ বিলে সই করে দেবেন।” সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি এমন কোনও নিষেধাজ্ঞায় সই করছি না, করার প্রয়োজনও নেই।”

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ প্রসঙ্গে কমলা বলেন, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী (Trump vs Harris) বলেন, “অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার। গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধ বিরতি প্রয়োজন। সেই সঙ্গে যাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে (US Presidential Debate)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আর এই অস্থির পরিস্থিতির জেরে বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটের (Economic crisis) সম্মুখীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। শুধু তাই নয়, জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও গত ১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে বিধিনিষেধ

    সারা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জুড়ে বিক্ষোভের কারণে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা (Supply chain) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিন্দু বিরোধিতা এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে দেশের ব্যবসায়িক খাতও। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নগদ তোলার সর্বোচ্চ পরিমাণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকরা ব্যাঙ্ক থেকে একদিনে ২ লক্ষ বাংলাদেশি টাকার বেশি তুলতে পারছেন না। মাস্টারকার্ড ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের (MEI) নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি ধীরগতিতে নামবে। ২০২৫ আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশে এবং মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৯.৮ শতাংশে দাঁড়াবে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    বাংলাদেশি টাকার মান কমছে

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ৩১ জুলাই ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ২১.৭৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। এইভাবে বাংলাদেশের মুদ্রাভান্ডার থেকে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজারের (Kawran Bazar) বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি টাকার মান কমতে থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার চাপে রয়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যবসায় লাভ করতে পারছেন না তাঁরাও। যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন, আগামী মাসে দাম বাড়ানো যাবে বলে সরকারের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। ভারত সহ প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ডাল, ড্রাই ফ্রুটস, মশলাপাতি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে অনুমান ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে কবে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share