Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sarco Pod: যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যুর যন্ত্র সারকো-পড ঘিরে ফিরল গ্যাস চেম্বার বিতর্ক

    Sarco Pod: যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যুর যন্ত্র সারকো-পড ঘিরে ফিরল গ্যাস চেম্বার বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামদায়ক মৃত্যুর খোঁজ মিলেছে সুইজারল্যান্ডে (Switzerland) । নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য সুইসাইড পড’। গোলাকার কফিন আকৃতির পোর্টেবল যন্ত্রটি সাহায্য করবে কষ্টবিহীন স্বেচ্ছামৃত্যুতে। ২০১৯ সালে যন্ত্রটির প্রথম প্রোটোটাইট তৈরি করে ‘এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি সংস্থা। মূলত দুরারোগ্য ব্যাধিতে যারা ভুগছেন তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর বন্দোবস্ত করার উদ্দেশ্যেই এই মৃত্যু যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। ২০২১ সালে আইনি ছাড়পত্র পেয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র ‘সারকো-পড’ (Sarco Pod) ।  

    বোতাম টিপলেই স্বেচ্ছামৃত্যু (Sarco Pod)

    দাবি করা হয়েছে, কফিন আকৃতির এই মেশিনে শুয়ে একটি বোতাম টিপলেই মাত্রই ধীরে ধীরে যন্ত্রণা বিহীন ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া ব্যক্তি। বোতামে চাপ দিলেই সারকো পডে (Sarco Pod) ভরে যাবে লিকুইড নাইট্রোজেন। দ্রুত নামবে অক্সিজেনের মাত্রা। কয়েক মুহূর্তের অস্বস্তির পরেই জ্ঞান হারাবেন ঐ ব্যাক্তি। মিনিট দশকের মধ্যে হাইপক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ায় মারা যাবেন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে ‘সারকো-পড’ ব্যবহারের ন্যূনতম বয়সসীমা ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। কবে এবং কাকে প্রথমে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি।

    যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যু দেবে ‘সারকো-পড’ (Switzerland)

    মৃত্যু যে একেবারে যন্ত্রণাদায়ক হবেনা এমনটা অবশ্য দাবি করছে না। কয়েক সেকেন্ড পর অস্বস্তির পর জ্ঞান হারাবেন (Sarco Pod) স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া ব্যক্তি জ্ঞান হারানোর পর অবশ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। ‘সারকো-পডের’ মধ্যে ঢুকে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে গেলে তিনটি ধাপ পের হতে হবে। প্রথমে স্বেচ্ছামৃত্যুতে আগ্রহী ব্যক্তিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এর পর স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

    ফিরবে গ্যাস চেম্বারের স্মৃতি

    সুইজারল্যান্ড (Switzerland) সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু ১৯৪২ থেকে বৈধ ভাবে শুরু হয়। বছরে মোটামুটি ১৩০০ জন স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করে থাকেন। স্বেচ্ছামৃত্যু জনপ্রিয় হলে সেই ট্রেন্ড আরও বাড়বে। অনেক দেশেই স্বেচ্ছামৃত্যু অবৈধ। অনেকেই সুইজারল্যান্ডে গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু বিতর্ক ‘সারকো-পড’ (Sarco Pod) নিয়েও কম নয়। কারণ এই মেশিন এক ধরনের গ্যাস চেম্বার। নাজি বাহিনী যেভাবে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মারত, এই নয়া যন্ত্র গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে নিজেকে মেরে ফেলার সমান। ‘সারকো-পড’ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, এই যন্ত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই গ্যাস চেম্বারের স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। মেশিনের বোতাম কার কন্ট্রোলে থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

    মৃত্যু যন্ত্র তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর

    এই মেশিনের আবিষ্কারক ফিলিপ নিৎস্কে। তাঁকে ‘ডক্টর ডেথ’ বলে ডাকা হয়। মৃত্যুকে অকারণে গ্ল্যামার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। (Sarco Pod) যন্ত্রটির আবিষ্কারক পিলিপ বলছেন মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ২১ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশে নেমে আসবে অক্সিজেনের মাত্রা। খুব সহজেই অবচেতন অবস্থায় স্বেচ্ছামৃত্যু পাবেন আবেদনকারী ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাড়ল হিন্দু জনসংখ্যা, জানেন কত?

    যন্ত্রণা একেবারে যাতে কম হয় তা নিশ্চিত করবে এই যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে জীবনের ইতি টানতে গেলে খরচ করতে হবে ২০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার টাকার একটু কম। এই যন্ত্র তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর। খরচ হয়েছে ৭.১০ লক্ষ ডলার।  প্রয়োজনে এই যন্ত্র বাড়িতে নিয়ে গিয়েও স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো যেতে পারে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে আগেই জারি করা হয়েছিল কার্ফু (Curfew)। তবে কার্ফু জারির পরেও শনিবার আরও সাত জনের নিহতের খবর পাওয়ার গিয়েছে। এরই মাঝে আরও বড় পদক্ষেপ করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh) দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। অশান্ত বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের এমন নির্দেশ কতটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। রয়টার্স সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন ১১৪ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    রবিবার ও সোমবার সারাদেশে (Bangladesh) সাধারণ ছুটি 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) জারি করা হয়েছে কার্ফু (Curfew)। শনিবার দুপুর বারোটা থেকে দুটো পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছিল কার্ফু। এই সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় দোকান বাজার করতে বলা হয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে ঠিক এ কথাই জানিয়েছিলেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এই আবহে রবিবার ও সোমবার সারাদেশে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করে দিয়েছে সরকার।

    শনিবার সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীকে 

    বৃহস্পতিবার থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীকে। রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান। রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি ছাড়া অন্য জনপ্রাণীও নেই। জানা গিয়েছে, হাসিনা সরকার এই কার্ফু জারি করেছে আগামী রবিবার পর্যন্ত। ততদিনে পরিস্থিতি কি শান্ত হবে? এমনই প্রশ্ন উঠছে। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে হাসিনা সরকার তবে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের ধারণা কার্ফু জারির ফলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে।

    সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ

    অন্যদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। হাসিনা সরকারকে বার্তাও দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার। শুক্রবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হাসিনা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি জানিয়েছেন ছাত্রদের ওপর হামলা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ভলকার শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে চলতি সপ্তাহে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, আমি তা নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। বহু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে হিংসার কারণে। আহতের সংখ্যাও প্রচুর। বিশেষত, আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি বিস্ময়কর।’’

    বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে

    এই আবহে হিংসা ছড়ানোর দায়ে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির কয়েকজন নেতাকেও। অন্যদিকে, এই আবহেই বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। নাম এসেছে জামাত-ই-ইসলামের। এরই মাঝে রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে সংরক্ষণ মামলার শুনানি রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেছেন, বাংলাদেশের সংরক্ষণ ইস্যুতে আদালত সম্প্রতি যে রায় দিয়েছিল তা বাতিলের আবেদন করবে সরকার।

    ৭৭৮ জন ভারতীয় পড়ুয়া শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন

    অন্যদিকে বাংলাদেশের পড়তে যাওয়া ৭৭৮ জন ভারতীয় পড়ুয়া শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখনও পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের এই অশান্তির প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোল বন্দরেও। শনিবার সকালে পর থেকেই বাংলাদেশের রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমদানিও চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে।

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Military: চিনের ওপর গোঁসা, তাই কি ভারতকে তিস্তা প্রকল্পের ভার দিলেন হাসিনা?

    Bangladesh Military: চিনের ওপর গোঁসা, তাই কি ভারতকে তিস্তা প্রকল্পের ভার দিলেন হাসিনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চিন-প্রীতির খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সেনাকে! অভিযোগ, চিন (China) থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh Military) যেসব অস্ত্র আমদানি করেছে, তার সিংহভাগই নিম্নমানের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণে চিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্পের কাজ করুক ভারতই।

    চিন সফরে হাসিনা (Bangladesh Military)

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মাখো মাখো সম্পর্কটা ভালো চোখে দেখেনি ভারত। প্রকাশ্যে অবশ্য এনিয়ে কোনও অভিমতও ব্যক্ত করেনি নয়াদিল্লি। চিন থেকে ফিরেই হাসিনা জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্প করুক ভারত। যদিও এই প্রকল্প গড়তে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছে ড্রাগনের দেশ। তিস্তার উৎপত্তি ভারতে হলেও, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সেটি। এই নদীর জল ভারত এবং বাংলাদেশ – দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তায় জলাধার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Military)। সেই প্রকল্পই গড়তে দড়ি টানাটানি চলছিল চিন ও ভারতের মধ্যে। শেষমেশ প্রকল্পটি গড়তে ভারতের ওপরই ভরসা করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    নিম্নমানের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ!

    কারণ কী? জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চিন থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনে আসছে বাংলাদেশ। অভিযোগ, সেই সব সরঞ্জামেই রয়েছে ‘গলতি’। বিষয়টি বেজিংকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের তরফেও। কেবল বাংলাদেশ নয়, চিনা সামরিক হার্ডওয়্যার কেনে মায়ানমারও। তারাও সম্মুখীন হয়েছে সামরিক সরঞ্জামের গলতির। চিনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম যারা তৈরি করে, তাদের বক্তব্য, হাইলি সোফিসটিকেটেড মিলিটারি হার্ডওয়্যার তৈরি করার মতো দক্ষতা বেজিংয়ের নেই। তাই বেচতে হচ্ছে গলতি সামরিক সরঞ্জামই। অভিজ্ঞ মহলের মতে, চিনের এই ‘প্রতারণা’টাই মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশ। তাই বেজিংয়ের ওপর বেজায় খাপ্পা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নিম্নমানের সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে কমিউনিস্ট-শাসিত দেশটি তাঁদের ঠকিয়েছে বলে মনে করেন হাসিনা। সেই কারণেই তিস্তা প্রকল্পের ভার চিনকে না দিয়ে ভারতকে দিতে চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় সস্তায় মেলে চিনা সামরিক সরঞ্জাম। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলির অনেকেই কেনে সস্তার চিনা সরঞ্জাম। তবে সেই সস্তার জিনিসেই যে এত গলদ থাকবে, তা বোধহয় প্রথমে বুঝতে পারেনি হাসিনা সরকার। যখন বুঝল, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনা বেশ (China) বুঝেছেন নরেন্দ্র মোদির ভারতই বাংলাদেশের (Bangladesh Military) সব চেয়ে বেশি ভরসার জায়গা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan 2023 Census: পাকিস্তানে বাড়ল হিন্দু জনসংখ্যা, জানেন কত? 

    Pakistan 2023 Census: পাকিস্তানে বাড়ল হিন্দু জনসংখ্যা, জানেন কত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন পর পাকিস্তানে (Pakistan 2023 Census) বাড়ল হিন্দু জনসংখ্যা। এছাড়াও শিখ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যাও বেড়েছে প্রতিবেশী দেশে। পাকিস্তান প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল  এই ছয় বছরে পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ৩৫ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ লাখ হয়েছে। হিন্দুরা (Hindus) সংখ্যায় বৃদ্ধি পেলেও শতাংশের হিসাবে ২০১৭-র তুলনায় ২০২৩-এ সামান্য হলেও কমেছে। ২০১৭-তে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১.৭৩ শতাংশ ছিল হিন্দুরা। গত বছর তা কমে হয়েছে, ১.৬১ শতাংশ।

    বাড়ছে জনসংখ্যা (Pakistan 2023 Census)

    পাকিস্তানের জনসংখ্যা (Pakistan 2023 Census) এখন বেড়ে হয়েছে ২৪ কোটির সামান্য বেশি। পরিসংখ্যানবিদেরা বলেছেন, পড়শি এই দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন ২.৫৫ শতাংশ, যা ভারত ও বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই বেশি। পাকিস্তান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে হ্রাস টানতে না পারলে ২০৫০ সালে দেশটির জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের। শতাংশের হারে জনসংখ্যা সামান্য কমেছে সংখ্যাগুরু মুসলিমরা। ২০১৭ সালে মুসলিমরা ছিল জনসংখ্যার ৯৬.৪৭ শতাংশ যা ২০২৩-এ কমে হয়েছে ৯৬.৩৫ শতাংশ। ওই দেশে হিন্দু ও খ্রিস্টান জনসংখ্যায় খুব ফারাক নেই। ২৬ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে খ্রিস্টান জনসংখ্যা হয়েছে ৩৩ লাখ। তুলনায় শিখরা সংখ্যায় খুবই কম। মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৮জন।

    আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

    অভিযোগ খণ্ডনের চেষ্টা (Pakistan 2023 Census)

    দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে (Pakistan 2023 Census) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে ভারত। বিশেষ করে হিন্দুদের (Hindus) ওপর সেদেশে অত্যাচার নিয়ে আন্তর্জাতিকস্তরে সরব হয়েছে নয়াদিল্লি। একাধিক সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেশী দেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর অপহরণ ও ধর্মান্তকরণের একাধিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এই নতুন পরিসংখ্যান সামনে আসায় সেদেশে মানবাধিকার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের অনুমান, হিন্দুদের সংখ্যাবৃদ্ধির পরিসংখ্যান হাজির করে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিপীড়নের অভিযোগ খণ্ডন করার চেষ্টা করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protests: বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে মৌলবাদীরা! মনে করছেন ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব

    Bangladesh Protests: বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে মৌলবাদীরা! মনে করছেন ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে (Bangladesh Protests) অশান্তি কি মৌলবাদী সংগঠনগুলি ছড়াচ্ছে? এমন প্রশ্নই মাথাচাড়া দিল এবার। এই প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শৃঙলা। ক্রমশই সেখানকার পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সও সে দেশে কলকাঠি নাড়তে পারে বলে দাবি করলেন ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব তথা বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শৃঙলা।

    জামাত-ই-ইসলামির মতো মৌলবাদী সংগঠন (Bangladesh Protests) ঢুকে পড়েছে

    ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানতে পারছি যে এই বিষয়ে নাক গলাচ্ছে বিভিন্ন মহল। জামাত-ই-ইসলামির মতো মৌলবাদী সংগঠন ঢুকে পড়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। যা এই বিক্ষোভের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয় যুক্ত করেছে।’’ সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আইএসআই-ও (ISI) এই অস্থিরতার পিছনে যুক্ত থাকতে পারে। মানে এরকম রিপোর্ট শুনতে পাচ্ছি। সেটা ঠিক বা বেঠিক, সেটা তদন্ত চালিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Protests) সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। তবে হ্যাঁ, এই পরিস্থিতির ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন লোকজন। আর ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।’’

    সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়েছে বাংলাদেশ

    সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh Protests)। ঠিক এই আবহে সংবাদ সংস্থা এনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, সংরক্ষণ নিয়ে পড়ুয়ারা যা দাবি তুলেছেন সেটা নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে। পড়ুয়াদের দাবি পূরণ করার বার্তাও দিচ্ছে কিন্তু এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে কয়েকটি সংগঠন। তিনি আরও বলেন, ‘‘হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে জনসক্ষমে এসে বলেছেন যে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি আমরা। কিন্তু বিষয়টি আদালতে ঝুলে আছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, কার্ফু জারি দেশজুড়ে, নামল সেনা

    Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, কার্ফু জারি দেশজুড়ে, নামল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫, এখনও পর্যন্ত সেই পরিসংখ্যানই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। এই আবহে দেশজুড়ে হাসিনা সরকার জারি করল কার্ফু। শুক্রবার রাতেই এ কথা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারের প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান বলেন, “সরকার কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।” পাশাপাশি, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্যের পাশাপাশি শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা নামানো হয়েছে (Anti Reservation protest)।”

    বেড়েই চলেছে মৃত্যু সংখ্যা

    হিংসাত্মক আন্দোলনে প্রতিবাদী পড়ুয়া ও পুলিশ-সরকারপক্ষের সংঘর্ষে একের পর এক প্রাণের বলি হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। বিভিন্ন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই একশ পার করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, ১০৫ জন মারা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা ৪০-র ঘরে ছিল। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে ২৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন  বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) আন্দোলনকারীদের নেতা?

    অন্যদিকে, সংরক্ষণ ইস্যুতে হাসিনা সরকার (Bangladesh) আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তাঁরা তা খারিজ করেছেন। শীর্ষস্থানীয় আন্দোলনকারী নেতা সরোয়ার তুষার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।” প্রসঙ্গত, আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বন্ধ (Anti Reservation protest) রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে হাসিনা সরকার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশের স্তব্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গুজব রুখতেই এমন ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের মিছিল-সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাসিনা সরকার। তবে এতেও পরিস্থিতি খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

    জেলে হামলা বিক্ষোভকারীদের

    এর মধ্যেই নরসিংডি জেলার একটি জেলে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, ওই আগুন লাগানোর ফলে জেল থেকে শতাধিক কয়েদি পালিয়ে (Bangladesh) গিয়েছে। এক জেল আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা জেলে হামলা করার পরে শতাধিক কয়েদি পালিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনি নিজেই অন্তত কুড়ি জন কয়েদিকে পালাতে দেখেছেন। এদিকে যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ ছিলেন তাঁরা দেশে ফিরছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চুয়াডাঙ্গা দর্শন চেক পোস্ট হয়ে তাঁরা ফিরছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৭০জন পড়ুয়া ভারতে ফিরেছেন। এর পাশাপাশি পড়শি দেশ নেপালেও ফিরে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা।

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Unrest in Leeds: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেনের লিডস! আক্রান্ত পুলিশ, অভিযুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী নেতা

    Unrest in Leeds: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেনের লিডস! আক্রান্ত পুলিশ, অভিযুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ব্রিটেনের (UK) লিডস (Unrest in Leeds)। এখানেও যোগ মিলল এক বাংলাদেশি মুসলিমের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। প্রশ্ন উঠছে, ব্রিটেন কি তবে উগ্র মুসলিমদের দখলে চলে যাচ্ছে! হিংসার ঘটনায় ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে হল ব্রিটেনের পুলিশকে। তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাস ও গাড়িতে। জানা গিয়েছে, হামলার নেপথ্যে নাম উঠে এসেছে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা গ্রীন পার্টির নেতা মতিন আলির। এ নিয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাতে দেখা যাচ্ছে উন্মত্ত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, পুলিশের গাড়ি উল্টে দিচ্ছে পুলিশের গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি পুলিশকে আক্রমণ করছে উন্মত্ত জনতা। অবশেষে আক্রমণকারীদের (Unrest in Leeds) চাপে পড়ে পুলিশকে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাতে হয়।

    হামলার নেপথ্যে প্যালেস্তাইনপন্থী (Unrest in Leeds) নেতা মতিন আলি 

    হামলার নেপথ্যে উঠে আসা গ্রীন পার্টির (UK) মতির আলি প্যালেস্তাইনপন্থী নেতা বলেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, গত বছরের সাত অক্টোবর থেকে শুরু হয় ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে সরাসরি প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করেন মতিন আলি এবং তিনি সেই সময়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘প্যালেস্তাইনদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’’ শুধু তাই নয় লন্ডনে ইজরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল।

    ব্রিটেন কি তবে উগ্র মুসলিমদের (Unrest in Leeds) হাতে চলে যাচ্ছে? 

    এই অবস্থাতেই বারবার প্রশ্ন উঠছে, ব্রিটেন কি তবে উগ্র মুসলিমদের (Unrest in Leeds) হাতে চলে যাচ্ছে? তার কারণ সম্প্রতি ব্রিটেনে ক্ষমতা বদল হয়েছে। সে দেশে লেবার পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি পরাস্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় দুদিন আগেই মার্কিন রিপাবলিকান উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্স দাবি করেন, লেবাররা ক্ষমতায় আসার পরে কার্যতই ইংল্যান্ড হয়ে উঠতে চলেছে প্রথম ‘সত্যিকারের ইসলামিক’ দেশ, যাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে! ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মার্কিন রিপাবলিকান উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর এই দাবি নিছক মিথ্যা নয়, তা লিডসের তাণ্ডবেই পরিষ্কার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maitri Express: বাতিল মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধ ইন্টারনেট, বাংলাদেশ জুড়ে শাটডাউন

    Maitri Express: বাতিল মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধ ইন্টারনেট, বাংলাদেশ জুড়ে শাটডাউন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার দাবিতে পথে আন্দোলনকারীরা। দফায় দফায় পুলিশ এবং ছাত্রলীগের নেতা-নেত্রীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সে কারণেই বাতিল করা হল মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitri Express)। বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার মধ্যে কোনও ট্রেন চলাচল করবে না। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বন্ধ রেল পরিষেবা। শুক্রবারেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। আগেই দেশ জুড়ে  সমস্ত মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে গোটা দেশে ব্যাংকিং পরিষেবা।

    কলকাতা থেকেও ছাড়বে না মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitri Express)

    প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকায় কোন ট্রেন প্রবেশ করবে না। এমনকি ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন কোথাও যাবে না। উল্লেখ্য ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitri Express)। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাজধানীর জনজীবন। আগেই মৈত্রী এক্সপ্রেস নানান জায়গায় আটকে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনদের কারীদের টার্গেট হয়ে উঠেছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। এমতাবস্থায় ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শুক্রবার ঢাকা থেকে ছাড়বে না মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়বে না। শনিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে।

    আন্দোলনকে সমর্থন বিএনপি’র (Bangladesh Protest)

    সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। এই আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় সমস্ত শহরে। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ৩২টি প্রাণ আন্দোলনের বলি হয়েছে। নাগারে চলছে গুলি, রাবার বুলেট, কাঁদানো গ্যাসের শেল।  চাকরিতে সমস্ত ধরনের কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে এটাই মূল দাবি আন্দোলনকারীদের। তাদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের দেওয়া ৩০% সংরক্ষণ। ইতিমধ্যেই সরকার আলোচনা প্রস্তাব দিয়েছিল আন্দোলনকারীদের।

    আরও পড়ুন: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দিলেন বড় আশ্বাস

    কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় আন্দোলন (Bangladesh Protest) এখনই থমকে যাবে এই সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে কোটা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী ধর্মীয় সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল বিএনপি। শাসক দল আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপি এবং ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি ছাত্রদের সঙ্গে মিশে গিয়ে দেশ জ্বালানোর আন্দোলনে শামিল হয়েছে। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Trump Speech: “ভগবান পাশে ছিলেন, তাই বেঁচে গিয়েছি”, গুলি কাণ্ডের পর প্রথম সভায় বললেন ট্রাম্প

    Trump Speech: “ভগবান পাশে ছিলেন, তাই বেঁচে গিয়েছি”, গুলি কাণ্ডের পর প্রথম সভায় বললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান পাশে ছিলেন তাই বেঁচে গিয়েছি। বক্তব্য রাখতে পারছি। বক্তা, আমেরিকা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর স্পষ্ট (Trump Speech) কথা, “আমার পাশে ভগবান ছিলেন। তাই আমি বেঁচে আছি।”

    অভ্যাসের জেরেই বেঁচে যান ট্রাম্প (Trump Speech)

    শনিবার এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এক বন্দুকবাজ তাঁর এআর-১৫ রাইফেল থেকে ট্রাম্পকে (Donald Trump) লক্ষ্য করে গুলি চালান। কয়েক সেকেন্ড আগে মাথা ঘুরিয়ে নেওয়ায় গুলি কানে লাগে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অনেকের মতে এক পুরনো অভ্যাসের জন্যই বেঁচে গিয়েছেন ট্রাম্প সাহেব। কথা বলতে-বলতে (Trump Speech), মাঝে-মধ্যে ঘাড় বেঁকিয়ে ফেলেন তিনি। বলা হচ্ছে, সেই অভ্যাসের জেরেই বেঁচে গিয়েছেন তিনি। নিজেও আগে বলেছেন, সেই সময় তথ্য দেখার জন্য জায়েন্ট স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। না হলে গুলিটি তাঁর মাথা ভেদ করে যেত।

    শুটিং ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয় ম্যাথ্যুকে

    বরাত জোরে কোনওক্রমে রক্ষা পাওয়ার পর, একদিকে ভগবানকে (Trump Speech) ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।  ঠিক তেমনই গুলি কাণ্ডে নিহত দমকল কর্মীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে গিয়েই মৃত্যু হয় ৫০ বছর বয়সী কোরি কমপেলেটারের। তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, গুলি করা যুবক থমাস ম্যাথিউ ক্রুক একটি শুটিং ক্লাবের সদস্য হয়েছিল। শুটিং প্র্যাকটিসের সময় থমাস রীতিমত হাস্যকর কান্ড ঘটাত। কখনও টার্গেটে গুলি লাগাতে পারেনি সে। এতই বাজে গুলি চালাত, যে সবাই হেসে ফেলত। সেই কারণে তাঁকে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনও ট্রাম্পকে (Donald Trump) লক্ষ্য করে ৭ রাউন্ড গুলি চালায় সে। একটি গুলি ট্রাম্প ট্রাম্পের কানে লাগে। বাকি ৬টি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিন্তু তাতে দুজন আহত হন। মারা যান ৫০ বছর বয়সী নিরীহ কোরি।

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প! নিজেই ঘোষণা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম

    কিন্তু ট্রাম্পের গুরুতর অঙ্গে একটিও গুলি লাগেনি । নিশানা যে তার ভালো ছিল না, তা বোঝাই যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, থমাস কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। হঠাৎ ট্রাম্পের উপর কি এমন তার রাগ হলো যে বন্ধু খাতে সবাই গুলি চালিয়ে দিল থমাস। কেউ কি তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিল? কিংবা ব্রেনওয়াশ করেছিল, সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: একদিনে মৃত ১৯! সংরক্ষণ আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মামলার শুনানি রবিতে

    Bangladesh: একদিনে মৃত ১৯! সংরক্ষণ আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মামলার শুনানি রবিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। সে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র দাবি, বৃহস্পতিবার গোটা দেশে এমন সংঘর্ষে (Agitation in Bangladesh) মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯ জনের। অর্থাৎ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। তাঁদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়েছে গুলিতে, কারও বা ধারালো অস্ত্রের কোপে। ‘প্রথম আলো’র  আরও দাবি শুধু রাজধানী ঢাকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া এবং প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর নিচে বলে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিকভাবে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রেরও মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার, এমনই খবর সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।

     রবিবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে বাংলাদেশের চেম্বার আদালত

    এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগের ঘটনাও ইতিমধ্যে ঘটছে। একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাজারেরও ওপরে পৌঁছেছে সেদেশে (Agitation in Bangladesh) জখম সংখ্যা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে তারা নীতিগতভাবে সহমত এবং তারা আলোচনাতে বসতেও প্রস্তুত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলাটির রবিবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে বাংলাদেশের চেম্বার আদালত।

    সমাজমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার রুখতে ইন্টারনেটে রাশ টেনে ধরেছে বাংলাদেশ সরকার

    পড়ুয়াদের এমন বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই। মাঝখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ঢাকায় মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশ জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থাতে অশান্তির প্রভাব পড়েছে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষের ছবি, ঠিক এই আবহে সমাজমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার রুখতে ইন্টারনেটে রাশ টেনে ধরেছে বাংলাদেশ (Agitation in Bangladesh) সরকার। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share