Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Joe Biden: কোভিড আক্রান্ত জো বাইডেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়া নিয়ে সংশয়

    Joe Biden: কোভিড আক্রান্ত জো বাইডেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়া নিয়ে সংশয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোভিড আক্রান্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । বুধবার তাঁর কোভিড ১৯ (Joe Biden Covid-19) রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে তিনি সেলফ আইসোলেশনে আছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়ে ডেলাওয়ারের বাড়িতে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনিতেই দীর্ঘ দিন ধরেই শারীরিকভাবে  অসুস্থ রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ ধরা পড়েছে। কখনও তিনি (Joe Biden) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে সম্মোধন করেছেন, কখনও কমলা হ্যারিসকে ট্রাম্প হিসাবে। তিনি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, ক্লান্তির জেরে বিকেলের পর চোখ খুলে রাখাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। আর এই অসুস্থতাকেই হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। এমনকী, ডেমোক্র্যাট দলের অন্দরেও বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, অগস্ট মাসের আগে বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হবে না।

    অসুস্থতা দীর্ঘতর হলে নির্বাচনে লড়া নিয়ে সংশয় (Joe Biden Covid-19)

    প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অসুস্থতা দীর্ঘতর হলে আদৌ নির্বাচনে লড়তে পারবে কিনা? তাঁর বয়স ৮১ বছর। ফলে অসুস্থতা দীর্ঘস্থায়ী হলে তিনি যদি নির্বাচনে না লড়তে পারেন, সে ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটারদের অসুবিধে হতে পারে। বুধবার লাস ভেগাসে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তাঁর অসুস্থতা বোধ হওয়ায় করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং ৮১ বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden) রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর তাঁর সমস্ত প্রচার কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপাতদৃষ্টিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অসুস্থতা (Joe Biden Covid-19) খুব গুরুতর না হলেও, তাঁর বয়স বেশি হওয়ায় চিন্তার কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: হিন্দু স্ত্রীই অনুপ্রেরণা, স্বীকারোক্তি মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক কেভিন ও’কনার জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের গলায় সংক্রমণ সর্দি কাশির মত কিছু সমস্যা ছিল। কোভিড নাইন্টিন পরীক্ষা করার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসায় এন্টিবায়োটিক ডোজের উপর রাখা হয়েছে।  

    আইসোলেশনে আছেন জো বাইডেন (Joe Biden)

    আমেরিকার প্রেস সচিব কেরিন জঁ পিয়েরি জানিয়েছেন, বাইডেনকে (Joe Biden) ডেলায়েরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কিছুদিন তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হবে। গুরুতর অসুস্থতা বোধ হলে তবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আপাতত বাড়ি থেকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবেন তিনি। আগামী নভেম্বরেই আমেরিকায় নির্বাচন। তাঁরই প্রচারে গত বুধবার দুপুরে হিসপ্যানিক ভোটারদের সামনে বক্তৃতার উদ্দেশে লাস ভেগাস যাচ্ছিলেন বাইডেন। এমনকি, স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগও সারেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oman Oil Tanker Sinks: ওমান উপকূলে ডুবে যাওয়া তেল ট্যাঙ্কার থেকে আট ভারতীয়কে উদ্ধার নৌসেনার

    Oman Oil Tanker Sinks: ওমান উপকূলে ডুবে যাওয়া তেল ট্যাঙ্কার থেকে আট ভারতীয়কে উদ্ধার নৌসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওমানে মাঝ সমুদ্রে (Oman Oil Tanker Sinks) তেলের ট্যাঙ্কার ডুবে তলিয়ে গিয়েছিলেন ১৩ জন ভারতীয়-সহ মোট ১৬ জন। বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ন’জনকে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌসেনা। আট জন ভারতীয় ছাড়াও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক। এখনও পাঁচ ভারতীয়-সহ সাত জন নিখোঁজ। একযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা এবং ওমানের সমুদ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওএমএসসি৷ 

    কেন দুর্ঘটনা (Oman Oil Tanker Sinks) 

    ওমানের (Oman Oil Tanker Sinks) দুকম বন্দরের কাছে রাস মাদ্রাকার দক্ষিণ-পূর্বের সমুদ্রে তেলের ট্যাঙ্কার ভর্তি জাহাজটি উল্টে যায়। মনে করা হচ্ছে, আবহাওয়াজনিত কারণেই এই দুর্ঘটনা। আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজেও সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। ওই এলাকায় এখনও সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চলছে ঝোড়ো হাওয়া। নৌবাহিনীর মুখপাত্রের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, তৈলবাহী ট্যাঙ্কার এমভি প্রেস্টিজ ফ্যালকন জাহাজ ডুবে গিয়েছে৷ উদ্ধারকাজ শুরু করতে ১৬ তারিখ ওমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ শুরু হয় উদ্ধারকার্য৷ আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিকূলতা ছাড়াও জাহাজডুবির নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, উদ্ধারকাজ শেষ হলে তা খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

    তৎপর নৌসেনা (Oman Oil Tanker Sinks) 

    ওমানের সমুদ্রে (Oman Oil Tanker Sinks) এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, ওমান সরকার এবং উপকূলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখেছে দূতাবাস। ভারতীয় নৌসেনাও ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তেগকে ওমানের ওই অংশের সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান চালানোর কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এ ছাড়াও নৌসেনাকে এই কাজে সাহায্য করছে পি৮আই নামের বিমান। বুধবার নিখোঁজ ১৬ জনের মধ্যে ৯জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮জন ভারতীয় ও একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Sheikh Hasina: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দিলেন বড় আশ্বাস

    PM Sheikh Hasina: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দিলেন বড় আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina)। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশজুড়ে যে সঙ্কট চলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় তার সমাধানের সুযোগ রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে ন্যায় বিচারই পাবে ছাত্রসমাজ। আদালতের রায়ে হতাশ হবেন না শিক্ষার্থীরা।” সংরক্ষণ নিয়ে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাসও দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    উত্তাল বাংলাদেশ (PM Sheikh Hasina)

    সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুব আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। আন্দোলনের জেরে বুধবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এহেন আবহে এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন হাসিনা। বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আদালতে আপিল করেছে সরকার। তার ভিত্তিতে ধার্য হয়েছে শুনানির দিনও। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে আদালত। এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবে না বাংলাদেশ সরকার।”

    কী বললেন হাসিনা?

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Sheikh Hasina) বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংরক্ষণ আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যা ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিক্সের সুরক্ষায় ভারতের সারমেয়কুল, কেন জানেন?

    এদিকে, বুধবারও অশান্তির খবর এসেছে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, সিলেট এবং কুমিল্লা থেকেও। সংঘর্ষ রুখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস খালি করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধার (Bangladesh) মুখে পড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি আনা হয় (PM Sheikh Hasina) নিয়ন্ত্রণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Protest in Bangladesh: সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত ৬, আরও উত্তাল বাংলাদেশ

    Protest in Bangladesh: সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত ৬, আরও উত্তাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা (Protest in Bangladesh) বাতিলের দাবিতে প্রায় ১৫ দিন ধরে আন্দোলনে উত্তাল হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন আরও উগ্র রূপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার ঢাকা সহ বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগ যুক্ত হয়ে যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে সাধারণ পোশাকে থাকা বহু যুবক।

    সমস্যার মূলে ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বজন’ কোটা (Protest in Bangladesh)

    ছাত্রদের মূল দাবি, কোটা ব্যবস্থা (Quota system) পুরোপুরি তুলে দিতে হবে। তবে তাঁদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সংরক্ষণ নিয়ে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৫০ বছর আগে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁদের নাতি-নাতনিরাও যুগ যুগ ধরে কেন অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করবেন। তবে, এবার তাঁরা চান কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ তুলে দিয়ে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ হোক। তবে কোটা ব্যবস্থার মাঝেও চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জুড়ে ঘুষের বাড়-বাড়ন্ত রয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। সেই ঘুষ ব্যবস্থাও সমাপ্ত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তাঁরা। বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্র জানাচ্ছে, চট্টগ্রামে (Protest in Bangladesh) নিহত হয়েছেন তিনজন। রাজধানী ঢাকায় নিহত হয়েছেন দুজন। এবং রংপুরে একজন। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র যুবদের মিছিলে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। 

    সরকারের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা (Quota system)

    ২০১৮ সালেও সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ৫৬ শতাংশ (Quota system) সংরক্ষিত এবং ৪৪ শতাংশ সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এই ৫৬ শতাংশের মধ্যে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষিত পদ ছিল। ২০১৮-য় কোটা-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ জারি করে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং জেলা খাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেন।

    আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ সংরক্ষণ। তখনকার মতো আন্দোলনে ইতি টানেন ছাত্ররা। পরে আদালতের নির্দেশে ফের কোটা ব্যবস্থা বহাল হওয়ায় শুরু হয় আন্দোলন।  তবে সরকারের তরফে এখনও তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Oil Tanker Sinks Oman: ওমানে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গেল তেলের ট্যাঙ্কার, নিখোঁজ ১৩ জন ভারতীয়

    Oil Tanker Sinks Oman: ওমানে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গেল তেলের ট্যাঙ্কার, নিখোঁজ ১৩ জন ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওমানে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গেল তেলের ট্যাঙ্কার (Oil Tanker Sinks Oman)। সেই ট্যাঙ্কারে ছিলেন ১৬ জন নাবিক। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনই ভারতীয়। বাকি ৩ জন শ্রীলঙ্কার। ট্যাঙ্কার উল্টে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ তাঁরা। উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কারও খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার ওমানের সমুদ্র (Oman Coast) নিরাপত্তা কেন্দ্র বা মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার (এমএসসি) এ কথা জানায়।

    কী ঘটেছিল (Oil Tanker Sinks Oman)

    ওমানের মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার (এমএসসি) এক্স-এর একটি পোস্টে জানিয়েছে, একটি কমোরো-পতাকাবাহী তেল ট্যাঙ্কার (Oil Tanker Sinks Oman) বন্দর শহর ডুকমের কাছে রাস মাদরাকাহ থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ডুবে গিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্যাঙ্কারটি এডেনের ইয়েমেনি বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জাহাজটি। তবে কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। এমনকি, সমুদ্রে তেল পড়েছে কি না তা-ও জানা যায়নি। 

    কোথায় দুর্ঘটনা (Oil Tanker Sinks Oman)

    সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্যাঙ্কারটি ১১৭-মিটার দীর্ঘ, ২০০৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল। মূলত তেলের ট্যাঙ্ক (Oil Tanker Sinks Oman) বহন করে থাকে এটি। তবে এই জাহাজটি ছোট যাত্রাপথে মাল বহনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার হত। ওমানের (Oman Coast) দক্ষিণ-পশ্চিমে ডুকম বন্দর অবস্থিত। সেখানেই রয়েছে একটি বড় তেল শোধনাগার। প্রায়ই ছোট, বড় জাহাজ তেলের ট্যাঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন দিকে পাড়ি দেয়। আর সেই সব জাহাজে কাজ করেন বহু ভারতীয়।

    আরও পড়ুন: গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JD Vance: হিন্দু স্ত্রীই অনুপ্রেরণা, স্বীকারোক্তি মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর  

    JD Vance: হিন্দু স্ত্রীই অনুপ্রেরণা, স্বীকারোক্তি মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (১৫ জুলাই) ঘোষণা করেছেন, ওহিও’র সেনেটর জে ডি ভ্যান্স (JD Vance) আসন্ন ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৩৯ বছর বয়সী ভ্যান্স এক সময় ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন। বর্তমানে কংগ্রেসে ভ্যান্স ট্রাম্পের সবচেয়ে অবিচল এবং আপসহীন সমর্থক হয়ে উঠেছেন।

    ২০১৪ সালে বিয়ে হয় উষা এবং ভ্যান্সের (Trump’s VP)

    ভ্যান্স (JD Vance) সান ফ্রান্সিসকোর একজন কর্পোরেট মামলাকারী উষা চিলুকুরির সঙ্গে বিয়ে করেছেন, যার বাবা-মা ভারতীয় হিন্দু। সান দিয়েগো শহরে তাঁর বেড়ে ওঠা, ঊষা চিলুকুরি চার বছর ইয়েলে পড়াশুনা করে কেমব্রিজে গেটস ফেলোশিপ করতে চলে আসেন। সেখানে তিনি বেশিরভাগ উদারপন্থী এবং বামপন্থী সান্নিধ্যে আসেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত, তিনি একজন ডেমোক্র্যাট সদস্য ছিলেন। ঊষার একাডেমিক কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে ইয়েল জার্নাল অফ ল অ্যান্ড টেকনোলজির ম্যানেজিং এডিটর এবং দ্য ইয়েল ল জার্নালের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট এডিটর হিসেবে কাজ করা। তিনি এবং ভ্যান্স ইয়েল ল স্কুলে দেখা করেছিলেন, এবং এই দম্পতি ২০১৪ সালে কেনটুকিতে বিয়ে করেন। ব্রাহ্মণের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন তাঁরা। এই দম্পতির একসঙ্গে তিনটি সন্তান রয়েছে।

    সবসময় স্বামীর পাশে উষা (J D Vance)

    উষা তাঁর স্বামীর উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইয়েলে, তিনি ভ্যান্সকে (JD Vance) গ্রামীণ আমেরিকার সামাজিক অবক্ষয় সম্পর্কে ধারণাদিয়েছিলেন। যা তার সর্বাধিক বিক্রিত স্মৃতিকথা, হিলবিলি এলিগির ভিত্তি তৈরি করেছিল। ২০২০ সালে রন হাওয়ার্ড ওই বইটির উপর একটি সিনেমা বানিয়েছিলেন। অতীতে, ওহিও সিনেটের ভোট চলাকালীন ভ্যান্সের সঙ্গে বেশ কয়েকবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ট্রাম্প তাঁর ভবিষ্যতের সহকারী (Trump’s VP) হিসেবে ভ্যান্সকে ঘোষণা করার তিন সপ্তাহ আগে নেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, উষা তাঁর সেনেটর স্বামী সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের কথা বলেছেন এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য তাঁকে বাছাই করার জল্পনা সম্পর্কে তাদের মতামত কী তা জানার চেষ্টা করেন।

    আরও পড়ুন: কনসার্টের মাঝে দিলজিতের সঙ্গে ট্রুডোর সাক্ষাৎ ঘিরে বিতর্ক

    অন্যদিকে স্বামীর (JD Vance) সবসময় পাশে থাকছেন কেন, জানতে চাওয়া হলে উষা বলেন, “আমার বাবা –মা হিন্দু ছিলেন। পরিবারের পাশে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। বাবা – মায়ের পর এখন ভ্যান্স আমার পরিবার। ও এখন এই বিষয়টা বোঝে এবং আমরা একে অপরের পাশে থাকি। মূল্যবোধ একটা বড় বস্তু। সকলের এটা বোঝা উচিত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diljit Trudeau Controversy: কনসার্টের মাঝে দিলজিতের সঙ্গে ট্রুডোর সাক্ষাৎ ঘিরে বিতর্ক

    Diljit Trudeau Controversy: কনসার্টের মাঝে দিলজিতের সঙ্গে ট্রুডোর সাক্ষাৎ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টরন্টোর রজার্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়া কনসার্টের সমস্ত টিকিট বিক্রির ঐতিহাসিক ঘটনায় অভিনন্দন জানানোর জন্য পাঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতে গেলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপি আপত্তি জানিয়েছে

    ট্রুডোর অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জকে ‘পাঞ্জাবের গায়ক’ বলার বিষয়ে বিজেপি নেতাদের একাংশ আপত্তি জানিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে শব্দ নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। দিলজিৎ ভারতের গায়ক না বলে পাঞ্জাবের ব্যক্তি বলায় আপত্তি তৈরি হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইনস্টাগ্রামে দিলজিতের সঙ্গে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করার পরে ক্ষমতাসীন বিজেপি এই আপত্তি তোলে। যাতে তাঁকে উষ্ণভাবে ওই গায়ককে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। বিজেপির মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসা টুইটারে একটি পোস্টে বলেছেন, ট্রুডো পাঞ্জাবি গায়কের প্রশংসা করতে বেছে বেছে শব্দ ব্যবহার করেছেন। দিলজিৎ শুধু পাঞ্জাবের নয়, আগে ভারতের। তবে প্রোপ্যাগান্ডার জন্য ওকে পাঞ্জাবের বলা হয়েছে।

    কী বললেন ট্রুডো?

    দিলজিৎ দোসাঞ্জের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘রজার সেন্টারে যখন দিলজিৎ দোসাঞ্জের শো-এর সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কানাডা একটি মহান দেশ। পাঞ্জাবের এক ছেলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এবং স্টেডিয়ামের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি নয়। এটা একটা সুপার পাওয়ার।’

    চার দেশ সফরে পাঞ্জাবি গায়ক

    দিলজিৎ দোসাঞ্জের ভ্যাঙ্কুভার বিসি প্লেস এবং টরন্টো রজার্স সেন্টার স্টেডিয়ামের জন্য যথাক্রমে ৫৪ হাজার এবং ৪৯ হাজারের বেশি আসনের সমস্ত টিকিট বুক হয়ে গিয়েছে। পাঞ্জাবি গায়ক তার ‘দিল-লুমনাতি’ কনসার্টের জন্য কানাডা সহ চারটি দেশ সফরে রয়েছেন। প্রসঙ্গত কিছু দিন আগেই দিলজিত দোসাঞ্জ অভিনীত ‘অমর সিং চমকিলা’ সিনেমা রিলিজ হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রাখবেন মোদি, তুলতে পারেন নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি

    ওই সিনেমায় শিখ প্রভাবিত উগ্রপন্থী সংগঠনের অত্যাচার দেখানো হয়েছিল। কীভাবে শুধুমাত্র গান গাওয়ার জন্য এবং ওই সংগঠনের কথামত না চলার জন্য সেই সময়ের জনপ্রিয় গায়ক অমর সিংকে সস্ত্রীক হত্যা করা হয়েছিল, তা দেখানো হয় ওই সিনেমায়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    China: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) কি দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে মসজিদ? উৎখাত করবে উইঘুরদের (চিনা মুসলমান) (Uyghur)? তাঁদের মিশিয়ে দেবে চিনা সংস্কৃতির সঙ্গে? অন্তত সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই মিলেছে এহেন তথ্য। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে মাজার-সহ অন্যান্য ইসলামিক শ্রাইন।

    ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার উদ্যোগ! (China)

    শিনজিং প্রদেশ থেকে তারা ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ। উইঘুরদের আত্তীকরণ করতে বাধ্য করছে হান চাইনিজ সংস্কৃতি। এই তথ্য যে অতিরঞ্জিত নয়, তা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসও। এক্স হ্যান্ডেলে তারা জানিয়েছে, ‘সেই ষোড়শ শতাব্দী থেকে অধিকাংশ উইঘুর ইসলাম ধর্মাচরণ করছেন। কিন্তু চিনের এতে আগ্রহ নেই। তার বদলে চিন থেকে তারা উইঘুরদের মুছে ফেলতে চাইছে। গত কয়েক বছরে তারা শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, গুঁড়িয়ে দিয়েছে মুসলিম শ্রাইনগুলিও’। প্রকাশিত এই রিপোর্টের শিরোনাম, ‘চায়না ইজ ইউজিং আর্কিওলজি অ্যাজ ওয়েপন’। এই রিপোর্টেই বিশদে বলা হয়েছে, কীভাবে ইসলামি ঐতিহাসিক নিদর্শন মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে চিন। শি জিনপিংয়ের রাজত্বকালেই যে এটা হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। কাশগড়ে যে মিউজিয়াম রয়েছে, সেখানে ইসলামের উল্লেখ নগন্য। সেখানে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, উইঘুররা প্রকৃতিগতভাবে মুসলমান নন।

    উইঘুর মুসলমানদের ধর্মত্যাগ করানো হচ্ছে!

    বছর চারেক আগেও চিনের (China) এই উইঘুর-ধ্বংসযজ্ঞের খবর শিরোনাম হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের। সেবার জানা গিয়েছিল, শিনজিয়াং প্রদেশের ১৬ হাজার মসজিদ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে চিন। ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে ধর্মত্যাগ করানো হয়েছে। সেবার এ খবর জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিশি ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট। এই রিপোর্ট সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছিল, তুর্কিভাষী ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার নামে সেখানে মুসলমানদের অন্য ধর্মের আচার-আচরণ পালন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখতে দেওয়া হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    তসলিমার কটাক্ষ

    চিন উইঘুরদের ওপর নির্যাতন চালালেও, অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বের মুসলিম দেশগুলি। এনিয়ে ওই দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের কটাক্ষ করেছিলেন বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন। শিনজিয়াং প্রদেশে প্রচুর মসজিদ ভেঙে সুলভ শৌচালয় বানানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতেই ট্যুইট-বাণ হেনেছিলেন তসলিমা। লিখেছিলেন, “চিন উইঘুর মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করছে। কিন্তু ক’টা মুসলিম দেশ এর বিরোধিতা করছে? আসলে চিন মুসলিম দেশগুলিতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করে। তারা ভালো করেই জানে, ধর্মের চেয়ে অর্থ অনেক বেশি প্রয়োজন।”

    চিনা প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি

    কেবল মসজিদ নয়, বৌদ্ধস্তূপ এবং মন্দির ধ্বংসেও মেতেছে ড্রাগনের দেশ। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলের শহর কাশগড়ের একটি বৌদ্ধ স্তূপ ও তার পাশের একটি মন্দির নির্মিত হয়েছিল প্রায় ১৭০০ বছর আগে। পরে সেগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ওই জায়গায় খননকার্য চালান চিনা প্রত্নতাত্ত্বিকরা। পাথরের হাতিয়ার, তামার মুদ্রা ও একটি বুদ্ধ মূর্তির অংশ বিশেষ উদ্ধার করেন তাঁরা। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, এসব নিদর্শন প্রাচীন চিনা ঐতিহ্যের নিদর্শন। তাঁদের বিবৃতির উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোয়ের মন্দিরে যেসব প্রত্ন-নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে মিল রয়েছে হাজার হাজার মাইল দূরের হান সংস্কৃতির নিদর্শন স্বরূপ পাওয়া প্রত্নরত্নের। চিনের প্রধান এথনিক গ্রুপ হল হানেরা। মন্দিরের কিছু অংশ হান বৌদ্ধদের স্টাইলে বানানো হয়েছিল। সপ্তম শতকে সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন সুয়াঝাং। বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি। চিনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জেনোসাইডের অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকরা। আধিকারিকদের মতে, ধর্মীয় উগ্রবাদকে দূর করার চেষ্টা চলছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শিনজিংয়ের বাসিন্দারা যদি চিনাই হন, তবে তাঁদের আত্তীকরণের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।

    কী বলছে ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম?

    উইঘুরদের ওপর চিন প্রশাসনের অত্যাচার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কালচারাল জেনোসাইডের অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি বিষয়টিতে আলোকপাত করেছে ব্রিটেনের স্কাই নিউজও। এই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, কী কঠোর বিধিনিষেধ এবং নজরদারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে উইঘুরদের (China)। বিশেষ করে মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে এসব ঘটছে। রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল চিনের একটি ধুলোময় ঠান্ডা জায়গায় একটি ছোট্ট মসজিদের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন মুসলমান নেতা। ‘ধর্ম মৃতপ্রায়’ বলে বিলাপ করছেন তিনি। এই রিপোর্টেও বলা হয়েছে, চিনে মসজিদ ধ্বংসের কথা। কীভাবে ধর্মীয় আচার পালানে জারি করা হচ্ছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা, কীভাবে ধর্মীয় পোশাক পরায় জারি করা হচ্ছে (Uyghur) নিষেধাজ্ঞা, সেনসর করা হচ্ছে ইসলামিক টেক্সট (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • United Nations: রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রাখবেন মোদি, তুলতে পারেন নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি

    United Nations: রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রাখবেন মোদি, তুলতে পারেন নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nations) বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে যে বক্তার তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে তাতে নাম রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৯তম সাধারণ সভা ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এর মাঝেই ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বক্তব্য রাখবেন।  

    মোদির পাশাপাশি বক্তব্য রাখেবন বাইডন (United Nations)

    জানা গিয়েছে, এবারের সভায় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রথম বক্তা হতে চলেছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিল্ভা। ২৪ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nations) তাঁর শেষ বক্তব্য রাখবেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। এরই মাঝে বিশ্বের নানান দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বক্তব্য রাখতে চলেছেন। শেষবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০২১ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রেখেছেন। এর আগে বহুবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এবার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। অকংগ্রেসী সরকার হিসেবে এটি একটি রেকর্ড। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান অ্যানটনিও গুতেরেস সাধারণ সভা শুরু হওয়ার আগে তাঁর রিপোর্ট পেশ করবেন। বিভিন্ন দেশের নেতারা এবার প্রতিবারের রাষ্ট্রসঙ্ঘের উপস্থিত হবেন।

    আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ন করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা

    এবারের উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন চুক্তি, বিশ্বস্তরে ডিজিটাল সহযোগিতায় বৃদ্ধি এবং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হয়ে চলা যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়েও কথা হতে পারে এবারের সাধারণ সভায়।

    নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের দাবি ভারতের (PM Modi)

    প্রসঙ্গত ভারত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবি তুলেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে, ভারত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী স্থানের জন্য যুক্তি দিয়ে আসছে যে, বর্তমান সংস্থাটি প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে সীমিত। কয়েক বছর ধরে চিন ছাড়া চারটি স্থায়ী সদস্য সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের (PM Modi) দাবিকে সমর্থন করেছে। এবারও ভারত নিজের দাবি এবং নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যের সংখ্যাবৃদ্ধির দাবি তুলতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা প্রজেক্ট (Teesta Project) করুক ভারত। চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই প্রকল্পটি করতে চেয়েছিল চিনও। এগিয়েছিল ভারতও। এহেন আবহে দিন কয়েক আগে চিন সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই ভারত সফর সেরে গিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? (Sheikh Hasina)

    কমিউনিস্ট শাসিত শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি চান তিস্তা প্রকল্পটি করুক ভারত। কী জন্য এই প্রকল্প রূপায়ণে তিনি ভারতকে চান, তাও ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামি লিগের সর্বময় কর্ত্রী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, “ভারতের পাশাপাশি এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন-ও। তবে সব দিক বিবেচনা করে আমি চাই তিস্তা প্রকল্পটি রূপায়ণ করুক ভারত।” তিনি বলেন, “তিস্তার জল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাই তারা এই প্রজেক্ট করুক। তারা যদি এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে চায়, তাহলে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।”

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তিকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে নদীটি গিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে। তাই তিস্তার জলের ন্যায্য দাবিদার বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ জল নেই বলে তিস্তা চুক্তিতে সায় দেননি পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন (Sheikh Hasina) তিনি। বলেছিলেন, “ওরা কীভাবে তিস্তার জল দিতে পারে? সিকিম ১৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। সিকিমের প্রজেক্ট তৈরির সময় খেয়াল রাখা উচিত ছিল কেন্দ্রের। সব জল সিকিম নিয়ে যাচ্ছে…।” মমতার দাবি, বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিলে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, তিস্তার অববাহিকায় বিরাট জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পই রূপায়ণ করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। আগ্রহী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। টানটান করা (Teesta Project) স্নায়ুর লড়াইয়ে যে শেষ হাসি হাসল ভারতই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share